Blog

  • Rambai Dadi: ১০৫ বছর বয়সে ১০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড ভাঙলেন হরিয়ানার ‘রামবাই দাদি’

    Rambai Dadi: ১০৫ বছর বয়সে ১০০ মিটার দৌড়ে জাতীয় রেকর্ড ভাঙলেন হরিয়ানার ‘রামবাই দাদি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৫.৪০ সেকেন্ডেই বাজিমাত। হয়ে গেলেন দেশের ‘সুপার গ্র্যান্ডমা’। বয়স যে শুধুই সংখ্যা বই আর কিছুই না, তা আরও একবার প্রমাণিত। এক মিনিটের কম সময়ে ১০০ মিটার দৌড়ে রেকর্ড গড়লেন হরিয়ানার ১০৫ বছরের রামবাই। সবার কাছে তিনি পরিচিত ‘রামবাই দাদি’ (Rambai Dadi) নামে।   

    যারা মনে করেন ৩০-৩৫ বছর বয়সেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে, কর্মক্ষমতা হারাচ্ছেন তাঁদের জন্যে রামবাইয়ের দৌড়ের ভিডিওটি অনুপ্রেরণা হতে পারে। মনের জোর যে প্রকৃতিকেও হার মানায়, তার প্রমাণ রামবাই। মনের  জোরে বয়সকে হার  মানিয়েছেন এই ‘সুপার গ্র্যান্ডমা’। ভারতের অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন (Athletics Federation of India) আয়োজিত ন্যাশনাল ওপেন মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (National Open Masters Athletics Championships) এক অনন্য রেকর্ড গড়লেন তিনি। ৪৫.৪০ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে ভাঙলেন জাতীয় রেকর্ড।

    আরও পড়ুন: “যোগ জীবনে শান্তি আনে” আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অভিমত মোদির

    ১৫ জুন ভদোদরায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের ১০০ মিটার দৌড়ের প্রতিযোগিতায় রামাবাই একাই দৌড়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে ৮৫ বছরের বেশি বয়সী মাত্র একজন প্রতিযোগীই এখানে অংশ নিতে পারেন। সেই কারণে রামাবাই কোনও প্রতিযোগীকে পাশে পাননি। তিনি একা ৪৫.৪০ সেকেন্ডে দৌড় সম্পূর্ণ করেন এবং জাতীয় রেকর্ড ভেঙে দেন। প্রতিযোগিতায় ১০০ এবং ২০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন রামবাই দাদি।

    আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত অশ্বিন! সংশয়ে ইংল্যান্ড সফর

    এর আগে এই রেকর্ড ছিল মন কৌরের নামে, যিনি ৭৪ সেকেন্ডে দৌড় সম্পূর্ণ করেছিলেন। রামবাই- এর লক্ষ্য এখন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পর এদিন রামবাই বলেন, “খুব ভালো একটা অনুভূতি। আমি আবার দৌড়তে চাই।” রামাবাইয়ের নাতিকে তাঁর খাবার ও জীবনযাপন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, রামবাই একেবারে খাঁটি নিরামিষাশী। প্রতিদিন প্রায় ২৫০ গ্রাম ঘি এবং ৫০০ গ্রাম দই খান। সেই সঙ্গে দিনে দুবার ৫০০ মিলিলিটার করে বিশুদ্ধ দুধ খান।        

     

  • Terrorist Killed: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি

    Terrorist Killed: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (Terrorist) দমনে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir) তিন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে নিহত হয় সাত জঙ্গি। সোমবার কাশ্মীরের জেনারেল পুলিশ ইন্সপেক্টর (IGP) বিজয় কুমার (ViJay Kumar) জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় তারা। নিহতদের তিনজন পাকিস্তানের (Pakistan) নাগরিক বলে জানা যায়।

    আরও পড়ুন:শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    তিনি আরও জানান, রবিবারেই কুপওয়ারায়(Kupwara) এনকাউন্টারে (Encounter) মারা যায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba ) দুই জঙ্গি। সোমবার সকালে আরও একজন পাকিস্তানি জঙ্গি ও সোপিয়ান (Shopian) থেকে আরেক স্থানীয় জঙ্গি, সওকাত(Showkat) সংঘর্ষে নিহত হয়। অন্যদিকে পুলওয়ামা(Pulwama) থেকে লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গি ও কুলঘাম (Kulgham) থেকে জইশ-ই-মোহাম্মদের (Jaish-e-Mohammed) এক জঙ্গি ও লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গিকে গুলি করে নিকেশ করা হয়। সাত জঙ্গিকে খতম করা হলেও এখনও আরো তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কুপওয়ারার পুলিশ সেনাদের সঙ্গে যৌথভাবে একটি অ্যান্টি-টেরোরিস্ট অপারেশন (Anti-Terrorist Operation) শুরু করেছে।

    কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলওয়ামার ছাটপোরা (Chatpora) এলাকা ও কুলঘামের ডিএইচ পোরা(DH Pora) এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। গত কয়েকদিনে বেশ অনেকজন স্থানীয় বাসিন্দাকে জঙ্গিরা খুন করে। ফলে এই পরিস্থিতিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীও।

    আরও পড়ুন: ৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Defence Minister) রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) জম্মুতে দু-দিনের সফরে গিয়ে ঘোষণা করেছেন যে জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) পরের মাস থেকেই বিধানসভার ভোটের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তিনি এদিন আরও জানান যে, কাশ্মীরে ঘৃণা ছড়ানোর কাজে পাকিস্তানের হাত রয়েছে এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া খুনের জন্যও অন্য দেশের ষড়যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের ছককে বানচাল করবে কেন্দ্র সরকার।

    সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুক্তদের গ্রেফতারে উপত্যকা জুড়ে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ-সেনার যৌথ বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে,  এর ফলেই গতকাল রাত থেকে কুপওয়ারা, কুলগাম এবং পুলওয়ামায় মোট সাত জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয় এবং অভিযান এখনও চলছে।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

  • mRNA Covid-19 vaccine: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    mRNA Covid-19 vaccine: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আঠারো-ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ প্রতিষেধকের (mRNA vaccine) আপৎকালীন ব্যবহারে  ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)। পুনের (Pune) ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেনোভা বায়োফার্মা করোনার এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের দেওয়া যাবে। 

    এই এমআরএনএ টিকা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন mRNA ভ্যাকসিন শূন্যের নিচে তাপমাত্রায় রাখতে হয়, কিন্তু জেনোভার  প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি এই ভ্যাকসিনটি ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে রাখলেও নষ্ট হবে না। ফলে এই ভ্যাকসিন  সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। জেনোভার তরফে দাবি করা হয়েছে, যে এই ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। এই ডোজগুলি ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োগ করা  হবে। গত শুক্রবার, করোনা মোকাবিলায় এই এমআরএনএ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল, যা  মঙ্গলবার গভীর রাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল দ্বারা অনুমোদিত হয়। 

    আরও পড়ুন: পেছাচ্ছে না নীট পরীক্ষা, জানিয়ে দিল এনটিএ, অ্যাডমিট ডাউনলোড কীভাবে?

    ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়, ফেজ-২ ও ফেজ-৩ ট্রায়ালে ৪ হাজার মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে। মেসেঞ্জার আরএনএ হল এক ধরনের আরএনএ যা শরীরে প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।  mRNA ভ্যাকসিন অন্যান্য কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের মতো হাতের ওপরের দিকের পেশিতে দেওয়া হয়। এটি শরীরের ভিতরে পৌঁছে কোষে স্পাইক প্রোটিন তৈরি করে। করোনা ভাইরাসের ওপরেও স্পাইক প্রোটিন পাওয়া যায়। যখন শরীরে প্রোটিন তৈরি হয়, তখন আমাদের কোষগুলি এমআরএনএ ভেঙে তা সরিয়ে দেয়। এরপর আমাদের কোষের স্পাইক প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে থাকে এবং স্পাইক প্রোটিন ক্রমে নষ্ট হয়ে যায়। এর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনও ধ্বংস হয়ে যায়। 

    দেশীয় mRNA ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া ছাড়াও মঙ্গলবার ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল সিরাম ইনস্টিটিউটের  কোভোভ্যাক্স (Covovax) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকেও অনুমোদন দিয়েছে, যা ৭ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের দেওয়া যাবে৷ গত ২৮ ডিসেম্বর প্রাপ্তবয়স্কের উপর কোভোভ্যাক্সের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছিল। তার পর, ৯ মার্চ ১২-১৭ বছরের জন্যও করোনার এই প্রতিষেধক ব্যবহারে অনুমতি দেয় ডিসিজিআই।

  • Maharashtra crisis: “আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি…”, বিদ্রোহীদের আবেগঘন আবেদন উদ্ধবের

    Maharashtra crisis: “আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি…”, বিদ্রোহীদের আবেগঘন আবেদন উদ্ধবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগে একবার শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়কদের ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। শিবসেনা প্রধানের সেই আবেদনে কান দেননি একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) অনুগামী বিধায়করা। উল্টে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে সবক শেখাতে চেয়েছেন শিন্ডে বাহিনীকে। তার পরেও বিদ্রোহীদের দমাতে না পেরে ফের আবেদনের রাস্তায় হাঁটলেন উদ্ধব। বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে তাঁরা বার্তা, ফিরে আসুন, আলোচনা করে পথ খুঁজে বের করা যাবে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    নরম হিন্দুত্ব নিয়ে উদ্ধব-শিন্ডে বিবাদ শুরু। এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েই সরকার চালাতে আগ্রহী শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। তাতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এর পরে শিবসেনারই দুই নেতার বিরোধ ওঠে চরমে। ঘটনার জেরে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে ওই বিধায়কদের নিয়ে তিনি উড়ে যান বিজেপি শাসিত উত্তর পূর্বের রাজ্য আসামে। সেখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন তাঁরা।

    দিন দুয়েক আগে ফের বিশেষ বিমানে গুজরাতের ভদোদরায় উড়ে আসেন শিন্ডে। সাক্ষাৎ করেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে। সেখানেই দুই নেতার মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    শিন্ডের সঙ্গে ৩৯ জন বিধায়ক রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এদিন তাঁদের উদ্দেশে আবেগঘন আবেদন করেন উদ্ধব। বলেন, আপনারা দিন কয়েক ধরে গুয়াহাটিতে আটকে রয়েছেন। আপনাদের সম্পর্কে প্রতিদিনই নতুন নতুন খবর পাচ্ছি। আপানারা এখনও শিবসেনায়ই রয়েছেন। আপনাদের কয়েকজনের পরিবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা আমার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। শিবসেনা পরিবারের প্রধান হিসেবে আমি আপনাদের আবেগকে সম্মান জানাই। মন থেকে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। আলোচনা করি। নিশ্চয়ই একটা পথের সন্ধান মিলবে।

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৫। সূত্রের খবর, তার মধ্যে ৩৯ জন রয়েছেন শিন্ডে শিবিরে। উদ্ধব গড়ে রয়েছেন বাকিরা।

    এদিকে, শীঘ্রই মুম্বইয়ের উড়ান ধরেতে চলেছেন শিন্ডে। তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীকে নয়া চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছেন, এই ঘটনাই তার প্রমাণ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। শিন্ডে বলেন, গুয়াহাটিতে আমার সঙ্গে ৫০ জন বিধায়ক রয়েছেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় এসেছেন। আমরা খুব শীঘ্রই মুম্বই যাব।

     

  • Viral News: ইনি ৬ লাখের গাড়ি কিনলেন ১০ টাকার কয়েনে! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    Viral News: ইনি ৬ লাখের গাড়ি কিনলেন ১০ টাকার কয়েনে! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ টাকার কয়েন জমা করেই কিনে ফেললেন ৬ লাখ টাকার গাড়ি। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu)। তামিলনাড়ুর আরুর(Arur) নামক জায়গার এক ব্যক্তি ভেট্রিভেল(Vetrivel) প্রায় অনেকদিন ধরেই ১০ টাকার কয়েন জমা করে গাড়িটি কিনেছেন। তবে তাঁকে বাধ্য হয়েই ১০ টাকার কয়েন জমা করতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যক্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে।

    সম্প্রতি ১০ টাকার খুচরো কয়েন নিয়ে অনেক দিন ধরেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাজারে ১০ টাকার ছোটো-বড় কয়েন কোনোটিই কেউ নিতে চায় না। যদিও কেন্দ্রের তরফে সব ধরনের ১০ টাকার কয়েন লেনদেন, বৈধ বলেই ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও দেশের বেশ কিছু ক্রেতা বিক্রেতারা ১০ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করে।

    আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    তামিলনাড়ুর এই ব্যক্তি এক-গাড়ি খুচরো ১০ টাকার কয়েন নিয়ে পৌঁছে যায় একটি অটোমোবাইলের দোকানে। শুধু তাই নয়,  ১০ টাকার খুচরো কয়েন দিয়ে মোট ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে নতুন গাড়িও কিনে ফেললেন। ভেট্রিভেল জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের একটি ছোট মুদিখানার দোকান রয়েছে। ওই দোকান থেকেই তাঁদের এত বিপুল পরিমাণ ১০ টাকার কয়েন জমা হয়েছে। দোকানে আসা ক্রেতাদের ১০ টাকার কয়েন দেওয়া হলে তা তাঁরা নিতে চাইতেন না। আর এই নিয়েই সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। তিনি আরও জানান যে, তাঁর আশেপাশের অনেক শিশুকেও ১০ ​​টাকার কয়েন নিয়ে খেলতে দেখেছেন কারণ এগুলো কোনো কাজে লাগে না। তারপর তিনি এই ১০ টাকার কয়েন দিয়ে গাড়ি কিনেই সবার তাক লাগিয়ে দিলেন ও এখনও যে ১০ টাকার কয়েনের মূল্য রয়েছে তা বুঝিয়ে দিলন। ভেট্রিভেল প্রায় ১ মাস ধরে এই ১০ টাকার কয়েন জমা করেন। যদিও শোরুমের মালিক প্রথমে অস্বীকার করে ১০ টাকার কয়েন নিতে কিন্তু পরে তিনি রাজি হয়ে যান।

    আরও পড়ুন:জানেন কি ইউটিউবের প্রথম ভিডিও কোনটি? কী বা আছে তাতে?

    তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তিনি কয়েন নিয়ে ব্যাঙ্কে গেলেও ব্যাঙ্ক অস্বীকার করে এই বলে যে, তাদের কয়েন গোনার জন্য কর্মী নেই। ১০ টাকার কয়েন যে গ্রহণযোগ্য নয় এমন কথা RBI-এর তরফে কখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে কেন ব্যাঙ্ক কয়েনগুলো নিচ্ছে না বলে প্রশ্ন করেছেন তিনি।

    কিন্তু অবশেষে গাড়ির দোকানের মালিক ভেট্রিভেলের দৃঢ় সংকল্প দেখেই এই কয়েনগুলো এর বদলে ৬ লাখ টাকার গাড়ি দিতে রাজি হন।

  • Plastic Ban: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো?

    Plastic Ban: ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিক! নতুন নিয়ম জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে’ ‘সিঙ্গল ইউজ’ প্লাস্টিকের (Single Use Plastic) ব্যবহার, কড়া নির্দেশ জারি করল কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (Central Pollution Control Board)। এর আগে, চলতি বছরের শুরুতেই প্লাস্টিক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে সতর্ক করেছিল পর্ষদ। এবার জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা।

    নতুন নির্দেশিকার পর এবার প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাগের পাশাপাশি, প্লাস্টিকের তৈরি ব্যানার, লজেন্স এবং আইসক্রিমে ব্যবহৃত হওয়া প্লাস্টিকের কাঠি, প্লাস্টিকের কাপ, গ্লাস এবং অন্যান্য বাসন, পাতলা প্লাস্টিকের বোতল, এমনই বিভিন্ন নিত্যদিনের ব্যবহৃত জিনিস নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত হতে চলেছে। যেহেতু এইসব জিনিস তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় অত্যন্ত পাতলা প্লাস্টিক, যার ঘনত্ব ১০০ মাইক্রনের চেয়ে কম ও তা ফের ব্যবহার করা যায় না। প্লাস্টিকগুলি পুনর্ব্যবহার করা যায় না বলেই এই ধরনের প্লাস্টিক দেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে যে, প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বিভিন্ন কাপড়ের ব্যাগ। কারণ এটি অনেকবার ব্যবহার করা যায় ও কাপড়ের ব্যাগ ইকো-ফ্রেন্ডলি। এছাড়াও প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসের জায়গায় বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

    এবারে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিয়ে কড়া নির্দেশ জারি তো করেছেই, এর সঙ্গে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারকারীদের জন্য ফাইন হতে পারে ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যক্তির জন্য ৫০০ টাকা এবং যে সংস্থা প্লাস্টিক ব্যাগ বানাবে বা সরবরাহ করবে তার জন্য ৫০০০ টাকা ফাইন দেওয়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি।

    আরও পড়ুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    প্লাস্টিক বর্জ্যের (Plastic wastes) পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকলেও প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার না কমিয়ে, অনেক সংস্থা এই নির্দেশে অসম্মতি জানিয়েছে ও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছে যাতে বিভিন্ন ড্রিঙ্কস, জুস ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হওয়া প্লাস্টিকের স্ট্র ব্যবহার করতে দেয় সরকার।

    প্লাস্টিকের ব্যবহারের (Plastic Use) ফলে দূষণ বেড়েই চলেছে। কারণ প্লাস্টিক প্রাকৃতিক উপায়ে মাটিতে মেশে না (Bio-nondegradable)। ফলে বাড়তে থাকে পরিবেশ দূষণের (Environmental Pollution) হার। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে, তাই এই পরিস্থিতিতে দূষণ রোধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

  • Meghalaya Rainfall: রেকর্ড বৃষ্টিপাত মেঘালয়ে, কারন জানেন?

    Meghalaya Rainfall: রেকর্ড বৃষ্টিপাত মেঘালয়ে, কারন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে জলের নিচে আসামসহ উত্তর-পূর্ব (North-East) ভারতের একাধিক রাজ্য। বৃষ্টিপাত (Rainfall) থামার নামই নেই সেখানে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে আসাম (Assam) ও মেঘালয়ে (Meghalaya)। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মেঘালয়ের দুই জায়গাতেই। এমনিতেই চেরাপুঞ্জি (Cherrapunji) এবং মৌসিনরামে (Mawsynram) দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু এই বছর সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। আবহাওয়া দফতর এবং মেঘালয় প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবারে ১৯৯৫ সালের পরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চেরাপুঞ্জির সহরা এলাকায়। আর ১৯৬৬ সালের পরে সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মৌসিনরামে। আধিকারিকরা জানান, সহরায় একদিনে ৯১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার, চেরাপুঞ্জিতে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮১১.৬ মিলিমিটার।    

    গত এক সপ্তাহে চেরাপুঞ্জিতে ৩৫৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে ১৯৯৫ সালের ১৬ জুন এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। পরিমাণ ছিল ১৫৬৩ মিলিমিটার। বিগত ১২২ বছরের বৃষ্টিপাতের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চলতি বর্ষা।

    আরও পড়ুন: উত্তর-পুর্ব ভারতে বন্যায় মৃত ৭১, শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লক্ষ মানুষ 

    আবহাওয়া দফতরের মতে, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবেশ করেছে। তার জেরেই এই বৃষ্টিপাত। বায়ুর গতিপথের দিকে চেরাপুঞ্জির অবস্থান হওয়ায় এই এলাকায় আদ্রতার পরিমাণ ভীষণ বেড়ে যায়। যদিও আবহাওয়া দফতরের মতে, প্রবল বর্ষার সময় যেতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে এবার বৃষ্টির পরিমাণও কমবে।

    আরও পড়ুন: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪   

    এছাড়াও এই প্রবল বৃষ্টিপাতের আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। উত্তরের সমভূমি থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত একটি খাদ রয়েছে। সেখান থেকেও প্রচুর জলীয় বাষ্প উত্তর-পূর্বে ঢুকেছে। ভৌগলিক কারণেই জলীয় বাষ্পকে ধরে রাখতে পারার মতো ক্ষমতা নেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যগুলির। তাই অন্যান্য জায়গার থেকে এমনিতেই এখানে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া দফতরের মতে, ধীরে এই মৌসুমি বায়ু পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের দিকে অগ্রসর হবে।   

     

  • Agnipath Scheme: পরিস্থিতি এমন হবে বুঝিনি! একথা কেন বললেন নৌসেনা প্রধান?

    Agnipath Scheme: পরিস্থিতি এমন হবে বুঝিনি! একথা কেন বললেন নৌসেনা প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ (Agnipath scheme) প্রকল্পের বিরোধিতায় দেশ জুড়ে এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে ভাবতেই পারেননি, ভারতীয় নৌ সেনাবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Navy Chief R Hari Kumar)। হরি কুমার বলেন, ‘‘প্রকল্প নিয়ে এরকম প্রতিবাদ যে হতে পারে, তা আমি ভাবতে পারিনি ৷ আমরা প্রায় দেড় বছর ধরে এই প্রকল্পের উপর কাজ করেছি ৷ আমি অগ্নিপথ প্রকল্পের পরিকল্পনা দলের অংশ ছিলাম। এটি একটি পরিবর্তনশীল প্রকল্প। এর ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) বিভিন্ন উপায়ে পরিবর্তন আসবে।’’ কিন্তু এই প্রকল্পের গুরুত্ব না বুঝে এর ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে বলে জানান নৌসেনা প্রধান।

    হরি কুমারের দাবি, এই প্রকল্প দেশের যুবকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। অগ্নিপথকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য এবং ভুল ধারণার কারণেই দেশ জুড়ে এত প্রতিবাদ হচ্ছে বলেও তিনি মনে করছেন। তাঁর মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগে যেখানে এক জন সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ পেতেন, এখন সেখানে চার জন সেই চাকরি করার সুযোগ পাবেন। 

    আরও পড়ুন: তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার

    অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী হরি কুমার। তিনি এই প্রকল্পকে, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর একক বৃহত্তম মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার রূপান্তর’ বলেও ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি এই প্রকল্পকে ‘পরিবর্তন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘এটা মেড-ইন-ইন্ডিয়া এবং মেড-ফর ইন্ডিয়া৷’’ তাঁর মতে এটি ভারতের নিজস্ব এবং ভারতের জন্য ৷ শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়ে নৌপ্রধান বলেন, ‘‘আমি সবাইকে বলব, এভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন না করতে ৷ হিংসা বন্ধ করুন ৷ আগে এই প্রকল্পটা সবাইকে বুঝতে হবে ৷ শান্তি বজায় রাখুন ৷ দেশের সেবায় তরুণদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ৷’’

    প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বহু রাজ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বহু যুবক। বিপর্যস্ত জনজীবন। এই প্রকল্প অনুযায়ী, সাড়ে ১৭-২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য মাসিক ৩০-৪৫ হাজার টাকার চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। 

  • Saigal Hossain: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    Saigal Hossain: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী পুলিশ কনস্টেবল সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সাম্রাজ্যে হানা দিয়ে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। সায়গলের নামি-বেনামি সম্পত্তির হিসাব কষে কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে ৬০টি জমির ডিড মিলেছে শুধু ডোমকলেই। সিবিআই (CBI) তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সায়গলকে ঘিরে অন্তত ১৪ জনের সন্ধান মিলেছে, যাঁরা তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ১৪ জনের গ্যাং ধরা পড়লেই আরও কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ মিলবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    সিবিআই সূত্রের খবর, সায়গলের সাম্রাজ্য ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। তাঁর সঙ্গতকারীদের মধ্যে ডোমকলের ব্রিজ মোড়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে নজরে রাখা হয়েছে। জমির কাগজ, সোনাদানা বা নগদের বিস্তারিত বিবরণ তাঁর কাছে আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ডোমকলের রসুলপুর, ডোমকল বিডিও মোড়, ডোমকলের ভাদুরিয়া পাড়ার আরও ছয় যুবকও রয়েছে তদন্তকারীদের নজরে।

    আরও পড়ুন: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    জানা যাচ্ছে, দুবরাজপুরের দুই ব্যক্তি, সিউড়ির হাটজানবাজারের এক যুব তৃণমূল নেতা, ইলামবাজারের দুই তৃণমূল নেতা, রানিনগর শেখ পাড়া এবং ইসলামপুরের নাজিরপুরের দুই যুবকও ছিলেন সায়গল সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক। তদন্তকারীদের দাবি, এই ১৪ জন তৃণমূল নেতা ও ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই সায়গল অপারেট করত। গ্রেফতারির পর এঁদের অনেকেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে আজ না হয় কাল গরু, কয়লা, পাথর, বালির সাম্রাজ্যে হানা দেওয়া হলেই এরা ধরা পড়বেন বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    এদের মধ্যে দু-এক জন ইতিমধ্যেই তদন্তে সহযোগিতাও করছেন। সেই কারণেই সায়গলের ৬০টির বেশি জমির ডিড, ছটি বাড়ি-ফ্ল্যাট, পেট্রল পাম্প, রিসর্ট, ডাম্পার, অজস্র মোটরবাইক, চারচাকা, সোনা, নগদ উদ্ধার হয়েছে। দ্রুত আরও সম্পত্তি উদ্ধার হতে চলেছে বলে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন

    তাঁদের অনেকের প্রশ্ন, যদি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী এক পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকেই এত টাকা-সম্পত্তি উদ্ধার হয়, তা হলে আরও বড় চাঁইরা ধরা পড়লে কী পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া যাবে। গরুপাচার (Cattle smuggling) চক্রে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রেফতারি সামনের দিনে হতে চলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

  • Afghan Journalist: রাস্তায় খাবার বিক্রি করছেন সাংবাদিক! তালিবান শাসনের অভিশাপের ছবি আফগানিস্তানে

    Afghan Journalist: রাস্তায় খাবার বিক্রি করছেন সাংবাদিক! তালিবান শাসনের অভিশাপের ছবি আফগানিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবছর অগাস্ট মাসেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) মাথায় নেমে এসেছে তালিবানি (Talibs) শাসনের অভিশাপ। তারপর থেকেই তালিবানদের অত্যাচারে জেরবার দেশ।দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে আফগানদের জীবন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই উঠে এসেছে আফগান অর্থনীতির করুণ ছবি। আফগানিস্তানে ভাইরাল হওয়া ছবিতে আরও একবার উলঙ্গ হল তালিবান প্রশাসনের অপদার্থতার ছবি। এককালের সাংবাদিক (Journalist), কাজ হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে খাবার বিক্রি করছেন। এই দৃশ্য নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। 

    আরও পড়ুন: নারীশক্তি! তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের মহিলা প্রতিনিধি 

    সুদর্শন ও সুবক্তা এই সাংবাদিক আফগান খবরের চ্যানেলে এক সময় উপস্থাপক ছিলেন। নাম মোসা মহম্মদী (Mosa Mohammadi)। স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরতেন সমাজে বিভিন্ন স্তরের খবর। কিন্তু এখন সেসব শুধুই সুখস্মৃতি। তালিবানি শাসনে সাংবাদিকতা এখন স্বপ্নাতীত। স্পষ্ট কথা, সরকারের সমালোচনা তো দূরের কথা। তাই সাংবাদিকতার মন্দার বাজারে কাজ হারিয়েছেন তিনি। রোজগার শূন্য। অবস্থা এতটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাস্তায় খাবার বিক্রি করে পেট চালাচ্ছেন মোসা।

    আরও পড়ুন: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    সম্প্রতি, আগের সরকারের আধিকারিক এবং প্রাক্তন সাংবাদিক কবীর হকমল একটি ছবি ট্যুইট করেন। আর তাতেই গোটা বিশ্ব জানতে পারে ওই সাংবাদিকের দুরাবস্থার কথা। ট্যুইটে ওই আধিকারিক লিখেছেন, “এই খাবার বিক্রেতা আসলে একজন প্রাক্তন সংবাদ উপস্থাপক। রিপোর্টার মুসা মোহাম্মদী নামে সুপরিচিত ছিলেন। কিন্তু তালিবানের ক্ষমতায় আসার পর তাঁর চাকরি গিয়েছে। আসলে এদেশে সাংবাদিকতা পেশাটিই এখন বিপন্ন। ফলে চরম আর্থিক অনটনের শিকার তিনি।”  

    [tw]


    [/tw]

    এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন একাধিক বড় বড় সাংবাদিক। 

    [tw]


    [/tw]

    মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় ট্যুইটটি। এক শিক্ষিতের দুরাবস্থা দেখে হতাশ হয়েছেন অনেকেই। 

    মোসাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “আমার কোনও উপায় ছিল না। সব জায়গায় চেষ্টা করেছি। কোনও সংবাদমাধ্যম কাজ দেয়নি। তাই নিজের পরিবারের সকলের পেট চালাতে আমাকে এই পেশা বেছে নিতে হয়েছে।”

    কিছুদিন আগে আফগান মহিলা সাংবাদিকদের জন্যও কড়া ফতোয়া দিয়েছে তালিবান। বলা হয়েছে, মহিলাদের মাস্ক পরে সংবাদ পাঠ করতে হবে। তালিবানের এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সাংবাদিক গোষ্ঠী। ফতোয়ার পুরুষ সাংবাদিকরাও তাঁদের মুখ ঢেকে খবর পাঠ করেন। কালো মাস্ক পরে খবর পড়তে দেখা যায় তাঁদের।

    মোসার বিষয়টি গোটা বিশ্বের সামনে আসতেই নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করেছে তালিবান সরকার। তালিবান সরকারের জাতীয় দূরদর্শন এবং রেডিও-র ডিরেক্টর জেনারেল মোসাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।   

    [tw]


    [/tw]

    আফগানিস্তানের দখল তালিবানদের হাতে যাওয়ার পর থেকেই চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে দেশটি। বেকারত্বের হারও বিপুল গতিতে বেড়েছে। বিশেষত গত কয়েক মাসে বহু মহিলা তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার পথে দেশটি। দেশের সংবাদমাধ্যম তো বটেই, বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলিকেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি তালিবানরা। 

     

LinkedIn
Share