Blog

  • Hizbul Terrorist Arrest: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরে নাশকতায় জড়িত হিজবুল জঙ্গি

    Hizbul Terrorist Arrest: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরে নাশকতায় জড়িত হিজবুল জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার কাশ্মীরের হিজবুল মুজাহিদিন (hizbul mujahideen) জঙ্গি। জম্মু-কাশ্মীর (jammu & kashmir) ও কর্নাটক পুলিশের যৌথ অভিযানে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে ধরা পড়ে তালিব হুসেন নামের ওই জঙ্গি। ৫ জুন গ্রেফতার করা হয় তালিবকে। যদিও গ্রেফতারির খবর সংবাদমাধ্যমকে জানায় মঙ্গলবার পুলিশ।

    সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে বেড়ছে জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ। বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে হিন্দুদের। এর মধ্যে কাশ্মীর হিন্দু পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন ভিন রাজ্য থেকে কর্মসূত্রে সে রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক, ব্যাঙ্ক কর্মী, স্কুল শিক্ষিকা সহ নানা পেশার মানুষ। ১ মে থেকে এপর্যন্ত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছেন ৯ জন। এর পরেই জম্মু-কাশ্মীরে আঁটসাঁট করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। মঙ্গলবারই জম্মু-কাশ্মীরের দুই জায়গায় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয় লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গি। এদের মধ্যে এক জঙ্গি তুফায়েল পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    কাশ্মীরের এই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ খুনে নাম জড়ায় তালিবের। তার খোঁজে উপত্যকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এর পরেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে গা ঢাকা দেয় সন্দেহভাজন এই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। এখানকার একটি মসজিদে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। এখানেই শ্রমিকের কাজ করে দিন গুজরান করত তালিব। অটোও চালাত।

    গ্রেফতারির সময় তার কাছে আধার কার্ডও ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশ হানা দেয় বেঙ্গালুরুতে। গ্রেফতার করা হয় তালিবকে। তবে তালিব যে জঙ্গি কাজকর্মে জড়িত, তা জানতেন না অটোর মালিকও। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, উপত্যকায় বহু নাশকতার ঘটনায় অভিযুক্ত তালিব। দীর্ঘদিন ধরেই ফেরার ছিল সে। ২০১৬ সাল নাগাদ হিজবুল মুজাহিদিনে নাম লিখিয়েছিল সে।

    আরও পড়ুন : “পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

    এদিকে, বেঙ্গালুরু থেকে জঙ্গি ধরা পড়ায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই  বলেন, রাজ্যে কারা কারা আসছে, সেদিকে কড়া নজর রাখবে পুলিশ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে আমরা সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। এর আগে সিরসি এবং ভাটকলেও দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বেঙ্গালুরুতেও একজনকে গ্রেফতার করল। আমরা তাদের সাহায্য করেছি।  

     

  • KK Last Song Release: মৃত্যুর পর মুক্তি পেল কেকে-এর গাওয়া শেষ গান, আবেগপ্রবণ ভক্তরা

    KK Last Song Release: মৃত্যুর পর মুক্তি পেল কেকে-এর গাওয়া শেষ গান, আবেগপ্রবণ ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে মুক্তি পেল কেকে (KK)-এর শেষ রেকর্ড করা গান। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) নতুন হিন্দি সিনেমা ‘শেরদিল: দ্য পিলিভিট সাগা’র (Sherdil The Pilibhit Saga) গান, ‘ধূপ পানি বাহনে দে’ (Dhoop Paani Bahne De)। বিখ্যাত গীতিকার গুলজার (Gulzar) এই গানটি লিখেছেন এবং শান্তনু মৈত্র সুর দিয়েছেন ও গানটি গেয়েছেন কেকে। ‘শেরদিল: দ্য পিলিভিট সাগা’র প্রথম এই গানটি  সোমবার মুক্তি পায়।

    আরও পড়ুন: চোখের জলে শেষ বিদায়, মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পঞ্চভূতে বিলীন কেকে

    এই গানের ভিডিও-তে অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী (Pankaj Tripathi), নীরজ কবি ( Neeraj Kabi) ও সায়নী গুপ্ত (Sayani Gupta) রয়েছেন। এই গানটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তাঁর ভক্তরা, কারণ এটি কেকে-র গাওয়া শেষ গান। গানটি ইউটিউবে আসার পরেই ভক্তরা শোকপ্রকাশ করেছেন। এক ভক্ত বলেছেন, “তাঁর কণ্ঠস্বর যে স্বস্তি দেয়, তা অতুলনীয়। বিশ্বাস করা কঠিন যে, আমরা তাঁর কাছ থেকে আর নতুন কোনও গান পাব না। যখনই আমরা তাঁর গান শুনি, আমি অনুভব করতে পারি যে তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন।” অন্য একজন বলেন, “তাঁর গান শোনার পর আমার চোখের জল থামাতে পারিনা।”

    আরও পড়ুন: জেনে নিন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কেকে-এর বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য

    কেকে-এর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে গুলজার সাহিব বলেছেন, “সৃজিত আমার বড় উপকার করেছেন, শুধুমাত্র ‘শেরদিল’-এর মত সুন্দর সিনেমায় গান লেখার জন্য নয়, আমি তাঁর জন্যেই অনেক বছর কেকে-এর সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। এই গানটির রেকর্ডিংয়ের সময়, কেকে তাঁর বহু পুরনো গান, ‘মাচিস’ (Maachis) এর ‘ছোড় আয়ে হাম’ গানটি গেয়েছিলেন। এই গানটি শোনার পর আমার মন খুশিতে ভরে গিয়েছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, এটিই তাঁর গাওয়া শেষ গান হয়ে থাকল। তিনি যেন এই গানটি গাইতে এসেই আমাকে বিদায় জানিয়ে গেলেন।”

    উল্লেখ্য, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘শেরদিল: দ্য পিলিভিট সাগা’ সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। আধুনিকীকরণ ও মানুষ-পশুর দ্বন্দ্ব, এর ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে সিনেমাটি।

  • Organ Donation: মৃত্যুর পরও জীবনদান! ‘ব্রেন ডেথ’ তরুণীর অঙ্গদানে প্রাণ বাঁচল পাঁচজনের

    Organ Donation: মৃত্যুর পরও জীবনদান! ‘ব্রেন ডেথ’ তরুণীর অঙ্গদানে প্রাণ বাঁচল পাঁচজনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অঙ্গদান করে নজির গড়ে তুলল এক তরুণীর পরিবার। এই তরুণী অঙ্গদান করে পাঁচজনকে এক নতুন জীবন উপহার দিয়েছেন। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, এক মহিলাকে মহারাষ্ট্রের পুনের সাউদার্ন কমান্ড হাসপাতালে (Command Hospital Southern Command) নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা ঘোষণা করেন তাঁর ব্রেনডেথ হয়েছে। এরপরেই তাঁর পরিবার অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন।

    আরও পড়ুন: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

    যেই পাঁচজনকে অঙ্গ দেওয়া হয়েছে তাঁর মধ্যে দুজন ভারতীয় সেনাকর্মীও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ১৪ ও ১৫ জুলাই এই অঙ্গদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তরুণীটির দুটি কিডনি দুই জওয়ানকে দেওয়া হয়। পুনের রুবি হল ক্লিনিকে এক মহিলার শরীরে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়। চোখ দুটিকে আই ব্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর সেগুলি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়।

    পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, এক দুর্ঘটনা ঘটার পর তাঁকে একদম শেষ পর্যায়ে আনা হয়েছিল কমান্ড হাসপাতালে। এরপরে সেখানে তাঁর ব্রেন ডেথের কথা চিকিৎসকরা জানালে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। দেরি না করে হাসপাতালের ট্রান্সপ্লান্ট কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যাঁদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাঁদেরকেই ওই তরুণীর অঙ্গদান করা হবে বলে রাজি হয়েছিলেন পরিবার। তারপর শেষপর্যন্ত তরুণীর অঙ্গগুলোতেই এক নতুন জীবন পেলেন পাঁচ ব্যক্তি। তিনি বেঁচে না থাকলেও তাঁর অঙ্গ দিয়েই অন্যদের প্রাণ দিয়ে গেলেন। তরুণীর পরিবারের এই মহান কাজে সবাই তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে মাকে অপহৃত হওয়ার ফোন মার্কিন যুবতীর, পরে বেরোল আসল সত্য!

    এর আগেও কর্নাটকের বেলাগাভি নামক জায়গায় এক ৫১ বছর বয়সী ব্যক্তির ব্রেন ডেথ হওয়ার পর তিনি তাঁর অঙ্গদান করে ছয়জনের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। তাঁর চোখ, কিডনি, লিভার, হার্ট দিয়ে রোগীদের এক নতুন জীবন দান করেছিলেন।  

     

  • Telangana: কেসিআর-এর পতনের শুরু দাবি অমিতের! তেলঙ্গনা নিয়ে কী ভাবছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Telangana: কেসিআর-এর পতনের শুরু দাবি অমিতের! তেলঙ্গনা নিয়ে কী ভাবছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসা তেলঙ্গানার বিধায়ক কে রাজাগোপাল রেড্ডির বিজেপিতে যোগদানের মধ্য দিয়েই সে রাজ্যে কেসিআর জমানার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। রবিবার, তেলঙ্গানার মুনুগোড়ে বিধানসভা উপনির্বাচনের জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় এই দাবি করেন অমিত। রাজাগোপাল কংগ্রেস ত্যাগ করার ফলেই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে নালগোন্ডা জেলার মুনুগোড়েরই বিধায়ক ছিলেন তিনি। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই উপনির্বাচনে রাজাগোপাল রেড্ডিকে জেতান। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, কেসিআরের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বিদায় নেবে!’’

    আরও পড়ুন: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা থেকে রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত রেখে ‘পাপ’ করেছে টিআরএস সরকার এদিন এমনই অভিযোগ তোলেন অমিত। তাঁর কথায়, কেন্দ্রের দু’লক্ষ কোটি টাকা সাহায্য সত্ত্বেও তেলঙ্গানা ঋণে ডুবে গিয়েছে। কোনও দলিতকে মুখ্যমন্ত্রী করার আশ্বাসের পাশাপাশি দলিত, বেকার ও জনজাতিদের দেওয়া বহু প্রতিশ্রুতিই রাখেননি কেসিআর। জ্বালানি তেলে ভ্যাট কমাননি। এমআইএম-এর ভয়ে তেলঙ্গানার মুক্তি দিবসও পালন করেননি। শাহের আশ্বাস, আগামী নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পাবে তেলঙ্গানা, যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কাজ করবেন। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের প্রতিটি ধানের দানা কেনা হবে, বলে জানান তিনি।

    রাতে ‘আরআরআর’ খ্যাত অভিনেতা এন টি রাম রাও (এনটিআর) জুনিয়রের সঙ্গে হায়দরাবাদে নৈশভোজ সেরেছেন শাহ। তাঁকে ‘তেলুগু ছবির রত্ন’ বলে দু’জনের ছবি টুইট করেছেন। শাহকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জুনিয়রও। এনটিআর জুনিয়র তেলুগু দেশম (টিডিপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা এন টি রাম রাওয়ের নাতি। এ দিন মিডিয়া টাইফুন রামোজি রাওয়ের আমন্ত্রণে রামোজি ফিল্ম সিটিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

  • West Midnapore: উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয় ভবন! কাঠগড়ায় পূর্ত দফতর

    West Midnapore: উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয় ভবন! কাঠগড়ায় পূর্ত দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বোধনের আগেই ফাটল! হেলে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের একাংশ! এমন ঘটনাই ঘটেছে মেদিনীপুরে (West Midnapore) বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) পণ্ডিত রবিশঙ্কর ভবনে। আর তাই ফের প্রশ্নের মুখে পূর্ত দফতরের ভূমিকা। 

    ভবনটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও উদ্বোধন হয়নি ভবনটির। তবে তারই আগে বিল্ডিং জুড়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। বিল্ডিংয়ের একাংশ হেলে গিয়েছে বলেও দাবি করছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে পূর্ত দফতরের ভূমিকা নিয়েই।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা মারতেই কি স্কুলে গরমের ছুটিবৃদ্ধি? তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    ২০১৪ সালে উচ্চশিক্ষা দফতর ভবনটি তৈরির জন্য বরাদ্দ করে প্রায় তিন কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা। ২০১৭ ফলে টেন্ডার করে ভবনটি তৈরির কাজ শুরু করে পূর্ত দফতরের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। ২০১৯ সালে পূর্ত দফতরের তরফে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয় ভবনটি।

    এখানে আর্ট অ্যান্ড মিউজিক বিভাগের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি ভবনটির। তবে এরই মধ্যে দেখা গিয়েছে বড় বড় ফাটল। ভবনের বাইরের অংশে যেমন ফাটল দেখা দিয়েছে, তেমনই চিড় ধরেছে ভেতরের দেওয়ালেও। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?

    ভবনটি এই মুহূর্তে ব্যবহার করা যথেষ্ট বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পূর্ত দফতরের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে গোটা বিষয়টি। পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের দাবি, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

    গত মাসেই জেলা সফরে এসে পূর্ত দফতরের বিভিন্ন কাজ নিয়ে একরাশ অসন্তোষ প্রকাশ করেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একই সুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গলাতেও। বারবার কেন পূর্ত দফতরের কাজ প্রশ্নের মুখে পড়ছে! প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। সবমিলিয়ে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালের পণ্ডিত রবিশঙ্কর ভবনটি কতদিনে ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে সেটাই প্রশ্ন।

  • Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে অশান্তি বিক্ষোভকারীদের। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (Prayagraj) হিংসার মাস্টারমাইন্ড জাভেদ মহম্মদের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল চক্রী বছর আঠারোর এক তরুণকে। মুজাম্মেল (Muzammil) নামের ওই তরুণ একটি মাদ্রাসার ছাত্র। এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে কেবল উত্তর প্রদেশ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। সব মিলিয়ে চারশোজনের বেশি প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশজুড়ে।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    দিন দশেক আগে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। ঘটনার পরে পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। তার পরেও দেশজুড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে দেয় প্রতিবাদকারীরা। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ, কোথাও দোকানপাঠ ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, কোথাও আবার বাড়িঘর এবং বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।

    অশান্তির আঁচ নিভু নিভু হতেই মাস্টারমাইন্ডদের খোঁজে হন্যে হয় পুলিশ। জানা যায়, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের মূল চক্রী জনৈক জাভেদ মহম্মদ। এর পরেই তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি ১২ ও একটি ৩১৫ বোরের অবৈধ পিস্তল। মেলে কার্তুজও। বাড়িতে আপত্তিকর কিছু পোস্টারও মেলে। বাড়িটিও বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এর পরেই বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা জাভেদ মহম্মদের বাড়ি। পুলিশের দাবি, জাভেদের বাড়ির কিছু নথি ‘আদালতের চোখে আপত্তিকর’।

    এদিকে, উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মেল নামের এক তরুণকে। পুলিশ জেনেছে, জুম্মার নমাজেরর পরেই অশান্তি পাকায় সে। মুজাম্মেল স্থানীয় এক মাদ্রাসার ছাত্র। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাহারানপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোয় দুজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। অবৈধ নির্মাণ করায় তাদের বাড়ি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মুজাম্মলির উসকানিতেই মূলত অশান্তি ছড়ায়। সে একটি মাদ্রাসার ছাত্র। অন্য এক চক্রীর নাম সলমান। সে প্রাপ্ত বয়স্ক। সে-ই পোস্টার ছাপিয়েছিল বলে জেনেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অর্থ সাহায্য করে এই অশান্তির আগুনে কে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে উত্তর প্রদেশের আট জেলা থেকে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। হাজার খানেক প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে ১০ জুন রাঁচিতে দুজনের মৃত্যু হয়। জখমও হয় বেশ কয়েকজন।

     

  • India on High Alert: আল-কায়দার হুমকির জের, দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি গোয়েন্দা সংস্থার

    India on High Alert: আল-কায়দার হুমকির জের, দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি গোয়েন্দা সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন বিজেপি (BJP) নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) হজরত মহম্মদকে (Prophet) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই ইসলামিক দেশগুলির রোষানলে পড়তে হয়েছে ভারতকে। তারমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলার (Suicide Attack) হুমকি দিয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা (Al-Qaeda)। তার জেরে দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট (High Alert) জারি করল দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। 

    সম্প্রতি হজরত মহম্মদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। বিষয়টি নিজের হ্যান্ডেলে ট্যুইট করেন আরেক বিজেপি নেতা নবীন জিন্দাল (Naveen Jindal)। বিতর্ক দানা বাঁধতেই নূপুরকে সাসপেন্ড এবং নবীনকে বহিষ্কার করে গেরুয়া শিবির। 

    আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    এই ঘটনার ‘বদলা’ নিতেই ভারতের কিছু শহরের নাম উল্লেখ করে নাশকতার হুমকি দেয় আল-কায়দার শাখা সংগঠন আল কায়দা ইন ইন্ডিয়াবন সাব-কন্টিনেন্ট (AQIS)। ৬ জুন একটি হুমকি চিঠিতে আল-কায়দা জানায়, “নবী মহম্মদের সম্মানের জন্য এই লড়াই। দিল্লি, মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে। নিজেদের এবং শিশুদের শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে পাঠাব। যারা আমাদের নবীকে অবমাননা করেছে তাদের নিস্তার নেই।”

    আরও পড়ুন: পয়গম্বরকে অবমাননার ‘বদলা’! ভারতে নাশকতার হুমকি-চিঠি আল-কায়দার

    আল-কায়দার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করা ওই চিঠিতে আরও লেখা হয়, “বিশ্বের সমস্ত উদ্ধত হিন্দুবাদী সন্ত্রাসী যারা ভারতকে কব্জা করে রেখেছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়ব। নবীর সম্মানের জন্য সকলকে এই লড়াইয়ে যোগ দিতে বলব। নবীর সম্মানে মৃত্যুবরণ করতে বলব। যাঁরা আমাদের প্রিয় নবীকে অসম্মান করেছে তাঁদের হত্যা করব।” 

    এই প্রথমবার কোন কোন শহরে হামলা চালাবে তা নির্দিষ্ট করল আল-কায়দা। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, “আল-কায়দার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এই চিঠি। তাই এই চিঠিকে খুব হাল্কাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। যে শহরগুলির নাম নেওয়া হয়েছে সেখানে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।” 

    একই দিনে বাংলাদেশকেও একইরকম হুমকি দিয়েছে আল-কায়দা। নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার শাখা সংগঠন আকিস হুমকি দেয় শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশকে। বাংলাদেশে ৭ ‘নির্দোষ’ ব্যক্তিকে কেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ সরকার হিন্দুত্বের এজেন্টের মতো আচরণ করছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে আল কায়দার তরফে। ঈশ্বর নিন্দা (Blasphemy) করায় ২০১৪ ও তার পরের বছর হত্যা করা হয় লিজিয়ন ও বিজয়কে। বাংলাদেশ সরকার হত্যাকারীদের ফাঁসি দেয়। সেই কারণেই আকিস হুমকি চিঠি দিয়েছে হাসিনার সরকারকে।

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওয়েবসাইটের লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্ঠা চলছে। আফ্রিকা, ইরান, আফগানিস্তান যেকোনও জায়গায় বসে লেখা হতে পারে এই হুমকির চিঠি। এখনই কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। পাকিস্তানকেও সন্দেহের বাইরে রাখছে না বলে জানিয়েছে গোয়ান্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থা আরও জানায় যে, এটা কোনও ‘লোন-উলফ’ আক্রমণও হতে পারে। সংগঠনটির আপাতত কোনও স্থায়ী অর্থ সাহায্য নেই। এই সংগঠনের কোনও সমর্থক এই কাজ করে থাকতে পারে। 

     

     

  • Mohan Bhagwat: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে আরএসএস, হায়দরাবাদে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জন্য অনেক বলিদান দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে (Hyderabad) সংগঠনের নয়া ভবনের উদ্বোধনে এসে এমনই দাবি করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, সত্যকে কোনওদিনই চেপে রাখা যায় না। তা একদিন না একদিন নিজের পথ করে নেবে।

    ভাগবতের মতে, আরএসএস কর্মীদের আত্মত্যাগের কারণেই আড়েবহরে বেড়েছে আরএসএস। তিনি বলেন, আরএসএস কর্মীরা অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। আর তা করতে পেরেছেন বলেই মজবুত হয়েছে সংগঠন। বিরোধীদের উদ্দেশে ভাগবত বলেন, কিছু মানুষ আছেন যাঁরা মনে করেন তাঁরাই একমাত্র সঠিক। আর বাকিরা ভুল। আর যখনই তাঁদের বিরোধিতা করা হয়, তাঁরা চেষ্টা করেন ন্যায় ও সত্যকে চেপে রাখতে। তিনি মনে করিয়ে দেন, হিংসা দিয়ে সত্যকে চেপে রাখা যায় না।

    আরও পড়ুন : হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    তেলঙ্গনায় দলীয় কর্মীদের সাফল্যেও তিনি যে অভিভূত, তাও দেরাজ গলায় প্রবীণ এই আরএসএস নেতা। তিনি বলেন, অনেক লড়াইয়ের শেষে এই সাফল্য পেয়েছেন এখানকার যুব নেতারা। তিনি বলেন, আমি তেলঙ্গানায় এবিভিপি ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। আমি দেখেছি কীভাবে তারা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে। আজ এই ভবনের উদ্বোধন বুঝিয়ে দিচ্ছে আন্দোলন কতটা ইতিবাচক হয়ে উঠেছে।

    সংগঠন বাড়ায় যে বিপদ হতে পারে সে ব্যাপারে সংগঠনের ছাত্র ও কর্মীদের সতর্ক করে দেন আরএসএস প্রধান। বলেন, এই সময় সতর্ক না হলে সমস্যা হতে পারে। আরএসএসের জনপ্রিয়তা এখন বাড়ছে। জনপ্রিয়তা নিজেই ভবিষ্যতে পথ আটকে দিতে পারে। সংঘপ্রধান মনে করিয়ে দেন, আমাদের কাছে সাফল্য কোনও গন্তব্য নয়, এটি হল যাত্রা।

    আরও পড়ুন : সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    হিন্দুত্ববাদীদের অতিসক্রিয়তা যে তিনি ভালো চোখে দেখছেন না, দিন কয়েক আগে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ভাগবত। তিনি বলেছিলেন, সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন কী? জ্ঞানবাপী নিয়ে আমাদের আলাদা ভক্তি থাকতেই পারে, তাই বলে সমস্ত মসজিদে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব খুঁজতে বেরনো অনুচিত।

     

  • Jammu and Kashmir polls: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!

    Jammu and Kashmir polls: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূস্বর্গে বাজতে চলেছে নির্বাচনের (Election) ঘণ্টা? অন্তত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের (Nityanand Rai) বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত মিলল। সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।

    চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ নির্বাচন হওয়ার কথা গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন জম্মু-কাশ্মীরেও ভোট করানোর পক্ষপাতী বলে সূত্রের খবর। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। এর পাশাপাশি রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ভূস্বর্গে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কমিশনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই উপত্যকায় সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করেছে। আগে এই রাজ্যের বিধানসভা আসন ছিল ১০৭টি। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৪টি। এবার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য দুটি আসন সংরক্ষিত থাকবে। তফশিলি জাতি উপজাতিদের জন্যও এবার নটি আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভোট করানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজও। কিছুদিন আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও জানিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে ভোট হতে পারে চলতি বছরের শেষের দিকে।তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে উপত্যকায় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?

    সরকারের তরফে চলতি বছরের শেষের দিকে ভোট হওয়ার কথা বলা হলেও, তা সম্ভব নয় বলেই মনে করে নির্বাচন কমিশনের একাংশ। তাদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। সংশোধিত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেই ভোট ঘোষণা করা হয়। তবে ওই সময় জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল ঠান্ডার কাল। ঠান্ডার এই পর্ব চলতে থাকে ৪০ দিন। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় চিল্লাই কলন। তাই ঠান্ডার এই পর্ব শেষ না হলে ভূস্বর্গে ভোট করানো সম্ভব নয় বলেই মনে করেন নির্বাচন কমিশনের ওই আধিকারিকরা। তবে তীব্র ঠান্ডার ওই পর্ব শেষ হলে নতুন বছরের গোড়ার দিকে ভোট করানো হতে পারে বলেই মনে করেন তাঁরা।

     

LinkedIn
Share