Blog

  • US Vlogger Rape: বিশ্বাস ভেঙেছে কাছের লোক, পাকিস্তানে গণধর্ষণের শিকার মাকিন ভ্লগার 

    US Vlogger Rape: বিশ্বাস ভেঙেছে কাছের লোক, পাকিস্তানে গণধর্ষণের শিকার মাকিন ভ্লগার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। পাকিস্তানে গণধর্ষণের (Gang Rape) শিকার ২১ বছরের মার্কিন ভ্লগার (American Vlogger) । গত ১৭ জুলাই রাতে পাকিস্তানের (Pakistan) ডেরা গাজি খান শহরের ফোর্ট মনরো (Fort Monroe) হিল স্টেশনে একটি হোটেলের ঘরে ধর্ষণ করা হয় ওই মহিলা ভ্লগারকে। ধর্ষিতা জানান, যাকে বিশ্বাস করেছিলেন, সেই বন্ধুই বিশাসঘাতকতা করেছে। তিনি বলেন, “আমি জানি না আমার মনে ক্ষত কোনওদিন ভরবে কী না। আমি চাই দোষীরা সর্বোচ্চ সাজা পাক।”  

    আরও পড়ুন: ৩১ জুলাই ভারত-পাক মহিলা টি-২০ ম্যাচ, তুঙ্গে টিকিটের চাহিদা

    এফআইআরে বলা হয়েছে, ১৭ জুলাই রাতে একটি হোটেলের ঘরে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছিলেন মুজমাল সিপ্রা এবং শেহজাদ নামের দুই ব্যক্তি। মার্কিন যুবতী আরও অভিযোগ করেন, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া না চালানোর জন্য হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। ধর্ষণের ভিডিও- ও প্রকাশ্যে আনার হুমকি দেওয়া হয় মহিলাকে।

    আরও পড়ুন: পাটনায় ধৃত পাক স্লিপার সেলের সদস্য! হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যকলাপ

    ডেরা গাজি খানের ডেপুটি কমিশনার আনোয়ার বারিয়ার জানিয়েছেন, ওই ভ্লগার পাকিস্তানে ট্যুরিস্ট ভিসায় এসেছিলেন এবং গত সাত মাস ধরে পাকিস্তানেই থাকছেন। ভ্লগারের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া পরিচয় হয় মুজমাল সিপ্রার। তারই আমন্ত্রণে রবিবার করাচি থেকে ফোর্ট মনরোতে এসেছিলেন তিনি। সিপ্রার বাড়ি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রাজনপুর জেলায়। লাহোর থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরে। এই ঘটনায় মুজমাল সিপ্রা এবং শেহজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিপ্রা, শেহজাদ এবং আজান খোসা নামের আরও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ২৯২বি ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।  

    ঘটনার দিন মুজামিল ও আজানের সঙ্গে মিলে একটি ভ্লগের শুটিং করেন ওই মার্কিন তরুণী। এরপর তিনজন একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন। অভিযোগ, সেখানেই মুজামিল ও আজান মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। তারা একটি ভিডিও-ও রেকর্ড করে। হুমকি দেয়, কাউকে কিছু বললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেবে। কিন্তু সেই ভয়ে দমে যাননি সেই তরুণী। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে পাকিস্তানের বর্ডার মিলিটারি পুলিশ। মুজামিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যেই ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ।   

  • Sonia Gandhi: ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে  উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    Sonia Gandhi: ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হন সোনিয়া। এর আগে তিনবার ইডির তরফে সনিয়াকে তলব করা হয়। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে আগের বার ইডির মুখোমুখি হতে পারেননি তিনি। এদিন সনিয়ার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। সোনিয়া ইডি দফতরে যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন সনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)।

    ইডি সূত্রের খবর, রাহুলের মতো সোনিয়াকেও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হতে পারে। কংগ্রেস সভানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ মহিলা আধিকারিকের একটি দল গঠন করেছে ইডি। শেষ মুহূর্তে সোনিয়ার সঙ্গে আইনজীবী এবং একজন চিকিৎসককে ইডি দফতরে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস (Congress)। যদিও ইডি দফতরে সোনিয়ার সঙ্গে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না।

    আরও পড়ুন: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে সনিয়া-পুত্র রাহুল গান্ধীকে একাধিকবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। তখন কংগ্রেসের সমস্ত নেতা দিল্লির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এদিনও একইভাবে পথে নেমেছে কংগ্রেস। এবারে প্রতিবাদ কর্মসূচি আরও বড় হবে বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস নেতাকর্মীরা এদিন ইডি দফতর ঘেরাও অভিযানে নেমে পড়েছেন। অনেক রাজ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। 

    এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় স্তরে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। আজ সংসদ অধিবেশনের আগেই রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ১৩টি বিরোধী দল সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সংসদের অধিবেশন শুরুর পরই সোনিয়াকে ইডির তলব নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। যার জেরে সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন মূলতুবি হয়ে যায়। কংগ্রেসের বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “যদি কোনও ভুল না থাকবে, তাহলে এত চিৎকার, বিরোধিতা কেন? তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তদন্তে সাহায্য করলেই সত্যিটা সামনে এসে যাবে।”

     

  • Rajbanshi People: উত্তরবঙ্গের রাজবংশী জনজাতি সত্যিই কি রাজবংশীয়?

    Rajbanshi People: উত্তরবঙ্গের রাজবংশী জনজাতি সত্যিই কি রাজবংশীয়?

    শুক্লা শিকদার

     

    “রাজবংশী” শব্দের আক্ষরিক অর্থ “রাজকীয় সম্প্রদায়”। ব্যুৎপত্তিগতভাবে রাজবংশী বলতে বোঝায় রাজার বংশধরদের। 

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, কোচ রাজবংশের উত্তরাধিকারদের একটি ধারা রাজবংশী জনজাতিগোষ্ঠীর সূচনা করেছে। কোচ উপজাতি থেকে উত্তরণ ঘটা কোচ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজবংশী বা কোচ রাজবংশীদের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং নিজস্ব ভাষা রয়েছে। রাজবংশীদের নিজস্ব ভাষা তাদের পূর্বপুরুষ কোচ আদিবাসীদের ভাষার তুলনায় পৃথক। রাজবংশীদের নিজস্ব ভাষা কোচ ভাষার মতো “অবশ্যই বিপন্ন” (Definitely Endangered) ভাষাও নয়, বরং রাজকীয় ভাষা হিসেবে জনপ্রিয়। 

    প্রাচীন কোচ উপজাতি থেকে উত্তরিত এই রাজবংশী জনজাতির জন্মভূমি ও বাসস্থানের মধ্যে রয়েছে তিব্বত, নেপাল, ভুটান, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশ, বিহার, অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়সহ ভারতের উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন অংশ এবং ভারতের আত্মজ প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের উত্তর অংশের রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ প্রভৃতি অঞ্চল। বর্তমানেও উক্ত বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রাজবংশীরা এবং তাঁদের লোকতত্বাতিক ইতিহাস।

    রাজবংশীরা যারা কোচদের সঙ্গে উত্পত্তিগতভাবে এক, যাদের কোচদের একই বর্ণের (caste) সদস্য হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছিল, তারা তাদের উন্নীত বংশমর্যাদার নিরিখে ১৯১০ সালে ক্ষত্রিয় রাজবংশী বলে নিজেদের নতুনভাবে সনাক্ত করতে আন্দোলনে নামল। কোচ রাজবংশের উত্তরাধিকারগণ ছাড়াও সামাজিকভাবে উচ্চ মর্যাদার অভিলাসী কোচরা এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। কোচদের আদিবাসী পরিচয় ও অ-হিন্দু সংস্কৃতি থেকে পৃথক একটি নতুন পরিচয় আন্দোলনকারীরা দাবি করেছিল। 

    পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের একজন রাজবংশী নেতা এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন পঞ্চানন বর্মা, যিনি ঠাকুর পঞ্চানন বা পঞ্চানন সরকার নামেও পরিচিতি লাভ করেছিলেন। একপর্যায়ে ক্ষত্রিয় রাজবংশী পরিচয়ের দাবিদার কোচদের মধ্যে আন্দোলন অনেকটা সংগঠিত হয় এবং পঞ্চানন বর্মার নেতৃত্বে তারা বর্তমান বাংলাদেশের রংপুরে ক্ষত্রিয় সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অর্থাৎ দীর্ঘকালীন সাংগঠনিক আন্দোলন ও সুসংহত নেতৃত্বের দ্বারা কোচদের একটি অংশ নিজেদের মূলগত আদিবাসী পরিচয় বর্জন করে নিজেদের ক্ষত্রিয় রাজবংশী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল। মূলত সেই কারণেই একমাত্র মেঘালায় ছাড়া অন্য কোনও ভারতীয় রাজ্যে কোচ বংশোদ্ভূতগণ সাংবিধানিকভাবে তফশিলি উপজাতি হিসেবে নথিভুক্তি লাভ করেনি।

    A Census report of Bengal, 1872 অনুযাযী কোচ উপজাতির মধ্যে তিনটি ভাগ— কোচ, রাজবংশী ও পোলিয়া। যে পোলিয়া জনজাতির অস্তিত্ব পশ্চিমবঙ্গের দিনাজপুরেও রয়েছে। W W Hunter কর্তৃক রচিত Statistical Account of Bengal, 1876 অনুযায়ী, কোচ থেকেই রাজবংশী জনজাতি উদ্ভুত হয়েছে। তাঁর মতে, রাজবংশীরা অর্ধ-হিন্দু ও আদিবাসী জনজাতিভুক্ত। 

    নৃতত্ববিদ ভুবন মোহন দাসও (B M Das 1933-2008) তাঁর Among the people of North East India : the diary of an anthropologist,  রচনায় উত্তর-পূর্ব ভারতের আদিবাসী জনজীবনের উপর তাঁর ক্ষেত্রসমীক্ষা ভিত্তিক নিরীক্ষণের মাধ্যমে আলোকপাত করেছেন। দেহতাত্ত্বিক (Physical-anthropology) ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান (Social Cultural Anthropology) এর আলোকে তিনিও রাজবংশীদের কোচ থেকে উদ্ভুত বলে সনাক্ত করেছেন। মূলগত কোচ জনজাতির মধ্যে সংস্কৃত ও হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরক্ত জনগোষ্ঠীরাই রাজবংশী বলে অনেকে মনে করেন। 

    বিজ্ঞানী EDWARD GAILS- এর মতেও হিন্দু ধর্মের প্রতি অনুরক্ত কোচরাই রাজবংশী। রাজবংশী জনজাতির মধ্যে বিভিন্ন গোত্রের অস্তিত্ব রয়েছে। রয়েছে দোভাষীয়া রাজবংশী, মদেশী রাজবংশী। রয়েছে রায়বর্মন পদবি থেকে কোচ পদবি।

    ( লেখিকা নৃতত্ববিদ, মতামত লেখিকার ব্যক্তিগত )

  • Cattle smuggling: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    Cattle smuggling: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সিবিআইয়ের দাবি, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মিলেছে ওই কনস্টেবলের কাছ থেকে। মিলেছে সোনা এবং নগদ। পরিবারের এক নিকটাত্মীয় মারা যাওয়ার পর তাঁর স্থানে পুলিশের (Bengal Police) চাকরিতে ঢোকেন সায়গল। ক্রমেই কেষ্ট মণ্ডলের দেহরক্ষী, তারপর থেকে প্রভাব এবং প্রতিপত্তি দুই-ই বিপুল হয়েছে। অভিযুক্ত হয়েছেন গরু পাচার (Cattle smuggling) মামলায়। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার।

    কিন্তু কেন সিবিআই সায়গলকে ধরল?

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ২০১৭-১৮ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া বিএসএফের (BSF) কমান্ডান্ট জিবু ম্যাথু ধরা পড়ার পরই গরু পাচারের চক্রটি বেরিয়ে আসে। সিবিআইয়ের কোচি শাখা ওই মামলার তদন্ত করছে। তাতেই গ্রেফতার হয়েছিল গরু পাচারের অন্যতম মূল মাথা এনামুল শেখ (Enamul Sheikh)। আর এখান থেকেই যোগাযোগ মিলেছে সায়গলের। সায়গলের গুরু ঠাকুরদেরও খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা। 

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, জেলে যাওয়ার আগে এনামুলের সঙ্গে সায়গলের এক বছরে শতাধিক বার টেলিফোনে কথা হয়েছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, এনামুলের ওই ফোনটি নেওয়া ছিল তাঁর এক ভাইয়ের নামে। তিনি স্বীকার করে নেন, তাঁর নামে ফোনটি নেওয়া হলেও সেটা ব্যবহার করতেন এনামুলই। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    প্রশ্ন, এনামুল বারবার সায়গলের সঙ্গে কথা বলতেন কেন? তদন্তকারীরা মনে করছেন, বীরভূম ছিল গরু পাচারের অন্যতম করিডর। জেলায় পাঁচটি গরুর হাট থেকে নিয়মিত গরু বাংলাদেশে পাচার হয়। এছাড়া সায়গলের ‘বস’ অনুব্রত মণ্ডল সেই সময় রাজনৈতিকভাবেও মুর্শিদাবাদ যাতায়াত শুরু করেছিলেন। তদন্তে জেরার সময় অনেকেই সিবিআইকে জানিয়েছেন, সায়গলের কাছে আসা অধিকাংশ ফোনই আসলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলার জন্যই আসত। 

    পাঁচ দফা জেরাপর্বে সে কথা সায়গল স্বীকার করতে চাইছিলেন না। উল্টে এমন কয়েকজনের নাম তদন্তকারীদের সামনে তিনি নিয়ে এসেছিলেন যাঁদের বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে বিশদ তথ্য ছিল না। ফলে গরু পাচারের চক্রটি আরও বড় করে দিয়েছিলেন সায়গল। সপ্তাহে দু-তিন বার কেন এনামুল তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন, তা এবার হেফাজতে নিয়ে জানতে চাইবে সিবিআই। এপ্রিলের শেষে তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। মারা যায় তাঁর ছোট্ট মেয়ে। তারপর থেকেই সায়গল কিছুটা তদন্তে সহযোগিতা শুরু করেন বলে খবর।

    এ তো গেল গরুপাচার নিয়ন্ত্রণে সায়গল এবং তাঁর মাথাদের যোগসূত্রের কথা। নামে-বেনামে সায়গলের সম্পত্তি দেখলে চোখ কপালে উঠবে সবার। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জেনেছেন, কয়েকশো কোটি টাকার মালিক তিনি। গত ১ এবং ২ জুন টানা তল্লাশি চালায় সিবিআই। কলকাতাতেই তাঁর তিনটি ফ্ল্যাট মিলেছে। এছাড়া ডোমকল ও বোলপুরে প্রাসাদের মতো বাড়ি। সবই হয়েছে গত পাঁচ ছয় বছরে। একটি বাড়ি থেকে মিলেছে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা। সবমিলিয়ে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ২ কেজি সোনা। তার মধ্যে একটি ফ্ল্যাট থেকেই ৯০০ গ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    তদন্তকারীদের দাবি, নামে-বেনামে পেট্রল পাম্প, রিসর্টেরও মালিক সায়গল। আরও বিস্ফোরক খবর হল, ডেউচা-পাচামির (Deucha Pachami) এক ক্রাশার মালিক সায়গলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন। সেই নথিও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। অনুব্রতর দেহরক্ষীর আয়কর রিটার্নে কোথাও এসবের উল্লেখই নেই। কেন কোনও ব্যবসায়ী তাঁকে এত বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছেন, তা এবার হেফাজতে থাকাকালীন জানাতে হবে সায়গলকে। তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন, বেনামি সম্পত্তিগুলি আসলে কার? 

    সিবিআইয়ের এক তদন্তকারীর কথায়, যদি তৃণমূলের নেতা কেষ্ট মণ্ডলের দেহরক্ষীই এত বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হোন, তা হলে দলের আরও বড় মাথাদের কথা ভেবে দেখুন। গরুপাচার থেকে শুরু করে কয়লাপাচার (Coal Smuggling) ও এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) যোগে এঁদের সকলকেই এবার আইনি প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling) শুধু সায়গল নন, জড়িত রয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার, রাজনৈতিক নেতা। তাঁদেরও বিচারের প্রক্রিয়ায় দ্রুত আনার জন্য তদন্তের জাল বিস্তার হচ্ছে।

  • Pakistan: সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের ‘পরামর্শকে’ খারিজ পাকিস্তানের

    Pakistan: সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের ‘পরামর্শকে’ খারিজ পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল পাকিস্তানের (Pakistan) করাচিতে (Karachi) একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেই পাকিস্তানকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs)। ভারতের সেই মন্তব্যকে খারিজ করল পাকিস্তান।   

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (Arindam Bagchi) বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা সম্প্রতি করাচিতে মন্দিরে ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে পেরেছি। বার বার পাকিস্তানে আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিষয়টির আমরা তীব্র নিন্দা করছি। পাকিস্তান সরকারকেও আমরা সেকথা জানিয়েছি। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করেছি।”

    অরিন্দম বাগচীর এই মন্তব্যের পরেই পাকিস্তান এক বিবৃতি জারি করে বলে, তারা ভারতের এই মন্তব্যকে খারিজ করছে। এরপর ফের ভারতে মুসলিম নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয় পাকিস্তান।  

    অপরদিকে, নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিষয়েও এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত সরকার। এই বিষয়ে ভারতের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারত সরকারের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত মন্তব্য গুলিয়ে ফেলাটা ঠিক নয়। আইনগতভাবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নূপুর শর্মাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নেবে। কিন্তু, সেটা সম্পূর্ণই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

    সম্প্রতি দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতা হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। তারপরেই মুসলিম দেশগুলি ভারতের সমালোচনা করে। পাকিস্তানও ভারতকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ‘জ্ঞান’ দেওয়ার চেষ্ঠা করে। তার কিছুদিন পরেই পাকিস্তানের মুখ পুড়িয়ে দুষ্কৃতীরা হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায়। আর তার প্রেক্ষিতেই পাকিস্তানকে ‘সংখ্যালঘু নিরাপত্তা’ নিয়ে খোঁচা দেয় ভারত।  
     
    প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে করা মন্তব্যে ইসলামিক দেশগুলিতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ভারতকে। আরব দেশগুলি ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেই স্রোতে গা ভাসায় পাকিস্তানও। কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যদেশের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। সাফ জানিয়ে দিল দিল্লি।

    ইসলামিক দেশগুলোর হস্তক্ষেপ যে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা কার্যত স্পষ্ট করল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সাংবাদিক বৈঠকে জানান,”যে ট্যুইট ও কমেন্টগুলি করা হয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন নয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মহল ব্যবস্থা নিয়েছে।”

    পয়গম্বর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যে জেরে বিজেপি ইতিমধ্য়েই নূপুর শর্মা ও নবীনকুমার জিন্দালকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। পাশাপাশি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেই অনভিপ্রেত ঘটনার দোহাই দিয়ে অন্যান্য দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই বিষয়টি কড়া ভাষায় জানিয়েছে মোদি সরকার।    
     
    এর মধ্যেই ভারত সফরে এসেছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়াঁ। দিল্লিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত কাল রাতে ইরানের মন্ত্রী টুইটারে লেখেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার জন্য আলোচনায় বসেছে দুই দেশ।  তেহরান এবং দিল্লি ধর্ম ও ইসলামের পবিত্রতাকে শ্রদ্ধা আর কোনও রকম বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরে থাকার বিষয় সম্মত। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।”

    এরপরেই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়ে ভারতের কড়া বার্তায় বিষয়টি থেকে খানিকটা পিছিয়ে আসে ইরানও। ভারত বার্তা দেওয়ার পর এই নিয়ে নতুন কোনও মন্তব্য করেনি ইরান। 

     

  • Black Fever: জেলায় বাড়ছে কালাজ্বরের প্রকোপ, সংক্রমিত ৬৫

    Black Fever: জেলায় বাড়ছে কালাজ্বরের প্রকোপ, সংক্রমিত ৬৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ফের বাড়ছে কালাজ্বরের (Black Fever) প্রকোপ। গত কয়েক সপ্তাহে বাংলার ১১টি জেলায় কালাজ্বরে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৫ জন। সংক্রমণ রুখতে নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের (Health department) এক শীর্ষ আধিকারিক। তিনি জানান, দার্জিলিং (Darjeeling), মালদহ (Malda), উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur), দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) এবং কালিম্পংয়ে এই জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে জানান ওই আধিকারিক।

    উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গেও কালাজ্বরে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতেও এই রোগে সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালাজ্বর ছড়ায় মাছি থেকে। রোগের উপসর্গ হল, জ্বর থাকবে ১৪ দিন ধরে। জ্বরের পাশাপাশি কমে যাবে খিদে, কমবে ওজন। চামড়া যাবে শুকিয়ে। রক্তাল্পতা ও বমি বমি ভাবের উপসর্গও থাকবে। সংক্রমিতের যকৃত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, সময় মতো কালাজ্বর ধরা পড়লে দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানান, জেলায় এই জ্বরের প্রকোপ বাড়লেও, কলাকাতায় এখনও সংক্রমিতের কোনও খবর মেলেনি। বিহার, উত্তর প্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে যাঁরা দীর্ঘদিন ছিলেন, তাঁরাই এই জ্বরে সংক্রমিত হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে আসা বেশ কয়েকজনের শরীরেও এই জ্বরের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক

    রাজ্য থেকে কালাজ্বর নির্মূল হয়ে গিয়েছিল বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে ফের মিলছে সংক্রমিতের হদিশ। গত কয়েক দিনে ১১ জেলায় ৬৫ জনের শরীরে এই রোগের জীবাণু মিলেছে। সংক্রমণ রুখতে সরকার সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। কালাজ্বরে সংক্রমিতদের নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানান রাজ্য সচিবালয়ের এক শীর্ষ আমলা। কোনও বেসরকারি ল্যাবরেটরি কিংবা হাসপাতালে পরীক্ষায় যদি কালাজ্বরের জীবাণুর হদিশ মেলে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। জ্বরে সংক্রমিতদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমলা। তবে এই রোগে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর মেলেনি বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার আইসিএমআর-এর

  • PM Kisan 11th installment: মঙ্গলবার পিএম কিষান প্রকল্পের কিস্তির টাকা বিতরণ করবেন মোদি, জানুুন বিস্তারিত

    PM Kisan 11th installment: মঙ্গলবার পিএম কিষান প্রকল্পের কিস্তির টাকা বিতরণ করবেন মোদি, জানুুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধি (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi) প্রকল্পের ১১তম কিস্তির ২১ হাজার কোটি টাকার বিতরণের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন ১০ কোটিরও বেশি কৃষক। ৩১ মে হিমাচল প্রদেশের সিমলায় ওই প্রকল্পের সূচনা হবে।

    সমাজের প্রান্তবাসী মানুষের কল্যাণে একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান (pm-kisan) সম্মাননিধি যোজনা তারই একটি। এই যোজনায় কৃষকদের অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রের তরফে তিন দফায় দেওয়া হবে ২০০০ করে টাকা। গরিব কল্যাণ সম্মেলন নামের ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রের ১৬টি প্রকল্প ও কর্মসূচির সূচনা করার পাশাপাশি সুবিধাভোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মত বিনিময়ও করবেন প্রধানমন্ত্রী। এক বিবৃতি জারি করে একথা জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রক। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ২১ হাজার কোটি টাকার কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের একাদশতম কিস্তি প্রকাশ করবেন। দিল্লির পুসা কমপ্লেক্স থেকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    পিএম কিষান প্রকল্পে যোগ্য কৃষক পরিবারগুলিকে ফি বছর ৬ হাজার টাকার করে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। তবে পুরো টাকা একসঙ্গে দেওয়া হয় না। প্রতি কিস্তিতে দু হাজার করে মোট তিন দফায় ওই টাকা মেলে। টাকা সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়। পয়লা জানুয়ারি ওই প্রকল্পের দশম কিস্তি প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার একাদশতম কিস্তি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    মন্ত্রকের মতে, এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় একক কর্মসূচি। কারণ আলোচনা হবে দেশব্যাপী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মত বিনিময় করবেন সুবিধাভোগীরা। এই প্রকল্প কীভাবে তাঁদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে, তাও জানাবেন তাঁরা। গরিব কল্যাণে কেন্দ্রের নানা প্রকল্প রয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পিএম কিষান, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (pradhan mantri ujjwala yojana), পোষণ অভিযান, প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনা, স্বচ্ছ ভারত মিশন (Swachh Bharat Mission), জল জীবন মিশন এবং আমরুত। রয়েছে প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা, এক জাতি-এক রেশন (one nation one ration) কার্ড, প্রধানমন্ত্রী গরিবকল্যাণ আন্না যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat), প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য ও সুস্থতা এবং প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা (pradhan mantri mudra yojana) যোজনা।

    জাতীয় এই অনুষ্ঠানটি দূরদর্শনের জাতীয় ও আঞ্চলিক চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে সুবিধাভোগীকে ই-কেওয়াইসি (e-KYC) করতে হবে। এজন্য সময় দেওয়া হয়েছে ৩১ মে পর্যন্ত। এই ই-কেওয়াইসি করা থাকলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মিলবে টাকা।

     

  • Sidhu Moosewala Murder: পাঞ্জাবে ভিআইপি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের মাশুলই কি দিতে হল সিধু মুসেওয়ালাকে?

    Sidhu Moosewala Murder: পাঞ্জাবে ভিআইপি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের মাশুলই কি দিতে হল সিধু মুসেওয়ালাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে পাঞ্জাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু (Shot Dead) কংগ্রেস নেতা তথা জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালার (Sidhu Moosewala)। ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের (Punjab) মানসা জেলায়। আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সম্প্রতি পাঞ্জাব সরকার ভিআইপি সংস্কৃতি তুলতে ৪২৪ জনের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে। সিধু মুসেওয়ালাও ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। নিরাপত্তা প্রত্যাহারের একদিনের মধ্যেই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। মুসেওয়ালা এবং তাঁর দুই বন্ধু গাড়ি চালিয়ে পঞ্জাবের মানসাতে তাঁদের গ্রামে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনাটি ঘটে।

    আসল নাম শুভদীপ সিং সিধু। গায়ক, গীতিকার, র‌্যাপার এবং অভিনেতা শুভদীপ সিং সিধুকে তাঁর ভক্তরা চেনেন সিধু মুসেওয়ালা নামে। এর আগে নানা কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন এই গায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে হিংসাকে সমর্থন করার অভিযোগ ছিল। নিজের গান ‘সঞ্জু’তে তিনি হিংসার হয়ে প্রচার করেছেন বলে অভিযোগ ছিল। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ২৮ বছর। 

    গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়েছিলেন তিনি। আম আদমি প্রার্থী বিজয় সিংলার কাছে ৬৩ হাজারের কাছাকাছি ভোটে পরাজিত হন। আম আদমি পার্টির ভোটদাতাদের তিনি নিজের গানে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেও কটাক্ষ করেন। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই এই খুনের মূল কারণ। 

    আরও পড়ুন: ১৪ দিনের জেল হেফাজতে ঘুষকাণ্ডে ধৃত পাঞ্জাবের বরখাস্ত হওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    তরুণ গায়কের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজনৈতিক মহল।  

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবান্ত মান একটি ট্যুইটে লিখেছেন, “সিধু মুসেওয়ালার খুনের ঘটনায় আমি দুঃখিত এবং হতবাক। দোষীদের রেয়াত করা হবে না। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা। সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি।”

    [tw]


    [/tw]

    প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ট্যুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন এবং পাঞ্জাবে আইনশৃঙ্খলা নেই বলে বর্তমান সরকারের দিকে আক্রমণ শানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    কংগ্রেসের তরফ থেকেও শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। 

    [tw]


    [/tw]

    শোকপ্রকাশ করেছেন আকালি দলের নেতা সুখবিন্দর সিং বাদল। তিনিও ঘটনার জন্যে পাঞ্জাবে আইনের অবনতিকেই দায়ী করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    শোকপ্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি লেখেন, “পাঞ্জাবে গায়ক খুনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানের সাথে কথা বলেছি। দোষীদের কঠিন থেকে কঠিনতর স্বাস্থি দেওয়া হবে। সবাইকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করছি।” 

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Vijay Singla: ১৪ দিনের জেল হেফাজতে ঘুষকাণ্ডে ধৃত পাঞ্জাবের বরখাস্ত হওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    Vijay Singla: ১৪ দিনের জেল হেফাজতে ঘুষকাণ্ডে ধৃত পাঞ্জাবের বরখাস্ত হওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার গঠনের মাত্র দু’মাস কেটেছে। তার মধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছেন পাঞ্জাবের (Punjab) আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা (Vijay Singla)। এবার তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। নিজের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। বরখাস্ত করার পরেই এদিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন ভগবন্ত। তার পরেই মঙ্গলবার বিজয় সিংলাকে গ্রেফতার করে পাঞ্জাব পুলিশ।    

    মামলাটি মোহালি আদালতে উঠলে প্রাক্তন মন্ত্রীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। বিজয় সিংলার বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পে কাজের বিনিময়ে ঠিকাদারদের থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা, বরখাস্ত মন্ত্রিসভা থেকেও

    এবিষয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিটি টেন্ডার পিছু এক শতাংশ করে কমিশন চাইছিলেন অভিযুক্ত মন্ত্রী৷ বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি হলেও এই সরকার দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, তিনি জানতে পারেন যে, মন্ত্রিসভার একজন সদস্য টেন্ডার প্রতি এক শতাংশ করে কমিশন চাইছেন। বিষয়টি জানতেই দ্রুত পদক্ষেপ নেন তিনি। 

    বিজয় সিংলার স্পেশ্যাল ডিউটি অফিসার প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবারই পুলিশ গ্রেফতার করে বিজয় সিংলা এবং প্রদীপ কুমারকে। বিপুল ভোটে জিতে মার্চে পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আসে আপ (AAP)। প্রতিশ্রুতি ছিল রাজ্যে দুর্নীতি দমন করা। মাত্র দুমাস যেতে না যেতেই সেই দলের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় অস্বস্থিতে আম আদমি পার্টি।

    মুখ্যমন্ত্রীর শপথের দিন দুয়েক পরে আম আদমি পার্টির ১০ বিধায়ক ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন দাঁতের ডাক্তার বিজয় সিংলা। পাঞ্জাবের মনসা কেন্দ্র থেকে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। তাঁর হাতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, বিজয় সিংলা নিজের অন্যায়ের কথা স্বীকার করেছেন।

     

     

  • Aryan Khan: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস, আমেরিকার পথে  শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

    Aryan Khan: মাদক-মামলায় বেকসুর খালাস, আমেরিকার পথে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রমোদতরী কর্ডেলিয়া ক্রুজ (Cordelia Cruise) কাণ্ডে আরিয়ান খানকে (Aryan Khan) বেকসুর খালাস দিল কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি (NCB)। সংস্থার চার্জশিটে বলা হয়েছে শাহরুখ-তনয়ের কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি।

    নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) ছ’হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিটে নাম ছিল না আরিয়ান খান সহ ছয় জনের। এরপরেই এনসিবি-র তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমনকী গ্রেফতারির দিন আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, তিনি মাদক সেবন করেছেন এমন প্রমাণও মেলেনি। তাই আরিয়ানকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    বলি-পাড়ার খবর, মাদক মামলা (Drug case) থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই আমেরিকা যাওয়ার কথা ভাবছেন শাহরুখ-তনয়। এতদিন মামলা চলার জন্য তাঁর দেশের  বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এখন নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় সেই বাধা কেটে গেল। পাসপোর্ট-সহ সমস্ত কাগজপত্র হাতে পেলেই নিজের পরবর্তী কাজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেবেন আরিয়ান। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ওয়েব সিরিজ পরিচালনার চিন্তাভাবনা করছেন আরিয়ান।

    আরও পড়ুন: নির্দোষ আরিয়ান, এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ

    সাত মাস আগে ক্রুজ কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান খান। গ্রেফতার করা হয় তাঁর দুই বন্ধু মুনমুন ধমেচা, আরবাজ মার্চেন্ট-সহ অন্যদের।  প্রায় একমাস জেলে কাটানোর পর অবশেষে গত বছর ৩০ অক্টোবর শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন শাহরুখ-পুত্র। এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে এনসিবি। একাধিকবার আদালতে বাড়তি সময়ও চাওয়া হয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষ থেকে। তা-ও শাহরুখ তনয়ের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি এই তদন্তকারী সংস্থা।

    সূত্রের খবর, বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের বয়ানই আরিয়ানকে নির্দোষ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয়। ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আরবাজ বারবার NCB আধিকারিকদের জানিয়েছেন যে আরিয়ান নির্দোষ। তিনি নিজে জুতোর নীচে চরস নিয়ে গিয়েছিলেন সে কথাও কবুল করেন আরবাজ। তবে আরিয়ান বিষয়টি জানার পরেই তাঁকে সাবধান করেছিলেন এবং ওই কাজ করতে বারণ করেছিলেন, এ কথাও জানান আরবাজ।

    এদিন এনসিবির পেশ করা চার্জশিটে নাম ছিল না আরিয়ান-সহ ৬ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রমোদতরীর অনুষ্ঠানের ৪ আয়োজকও। এঁদের কারও বিরুদ্ধেই তেমন কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে সংস্থা। এনডিপিএস (NDPS) আইনের বিভিন্ন ধারায় বাকি ১৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। শুক্রবার আরিয়ান খানের আইনজীবী মুকুল রোহত্গি (Mukul Rohatgi) জানান, ছেলে ক্লিন চিট পাওয়ায় অবশেষে চিন্তামুক্ত হয়েছেন শাহরুখ (Shah Rukh Khan)। তাঁর কথায়, “আমার ক্লায়েন্ট নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এতে আমি তো চিন্তামুক্ত হয়েছি ঠিকই। শাহরুখ খানও আজ চিন্তামুক্ত হলেন।” 

LinkedIn
Share