Blog

  • India-China Border: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    India-China Border: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে (India-China Border) উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। ডোকলাম (Doklam) থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে গ্রাম নির্মাণ করেছে চিন। স্যাটেলাইট চিত্রে (Satellite images) এই ছবি ধরা পড়েছে। ২০১৭ সালে ওই এলাকাতেই বিবাদে জড়িয়েছিল ভারত ও চিন। এখন সেখানেই আস্ত একটা গ্রাম গড়ে উঠেছে৷ বেজিংয়ের তরফে গ্রামটির নাম দেওয়া হয়েছে পাংডা (Pangda)। এটি ভুটান সীমান্তের (Bhutanese territory) কাছাকাছি। 

    সূত্রের খবর, এই গ্রাম ভুটানের আমো চু নদীর (Amo Chu river) তীরেই অবস্থিত৷ এমনকি ওই গ্রামের কিছু অংশ ভুটানের বলেই জানা যাচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই জায়গায় চিনা ফৌজ (PLA) গ্রাম নির্মাণ করে সহজে ডোকলাম এলাকায় আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে৷ একবার ওই এলাকা দখল করে ফেলতে পারলে শিলিগুড়ি করিডরের (Siliguri Corridor) অনেক কাছে চলে আসবে চিন। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, শিলিগুড়ি করিডর দখল করে ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দখলের পরিকল্পনা রয়েছে চিনা ফৌজের। 

    আরও পড়ুন: তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    ২০১৭ সালের ২৭ জুন একটি বিতর্কিত অঞ্চলে চিন রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে প্রতিবাদ জানায় ভুটান৷ জানা যায়, চীন জুফেরি পাহাড়ের কাছে ভুটানের সেনা ক্যাম্পের সামনে ডোকলামে রাস্তা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছিল। টানা ৭৩ দিন মুখোমুখি অবস্থান ছিল ভারত ও চিনের৷ সেসময় চিনা ফৌজ জোমপেলরি গিরিশিরা পর্যন্ত এগিয়ে আসার চেষ্টা করলেও ভারতীয় সেনার (Indian Army) বাধায় তা সম্ভব হয়নি।

    আরও পড়ুন: কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়

    প্রাক্তন এক সেনাকর্তা জানিয়েছেন, পাংডা গ্রাম ও তার উত্তর ও দক্ষিণের গ্রামগুলি থেকেই বোঝা যাচ্ছে চিনারা ডোকলাম মালভূমির (Doklam Valley) জোমপেলরি গিরিশিরার উপরে বৈধ অধিকার কায়েম করতে চাইছে। এবিষয়ে এখনও অবধি ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশমন্ত্রকের তরফে কোনও বার্তা মেলেনি। যদিও সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় সেনা চিনা ফৌজের গতিবিধির ওপর নজর রেখেছে৷ যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ভারতীয় সেনা সর্বদা প্রস্তুত। 

  • Indian Currency Notes: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    Indian Currency Notes: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মুদ্রায় শুধুই কেন মহাত্মা গান্ধীর ছবি? কেন নেতাজির বা অন্য কোনও মনীষীর ছবি নেই সেই প্রশ্ন উঠেছে বার বার। সামাজিক মাধ্যমেও এনিয়ে বিস্তর ঝড় উঠেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে কোনও সবুজ সংকেত আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার আসতে চলেছে সেই সবুজ সংকেত। মন বদলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। 

    ছাপা হচ্ছে নতুন টাকা। সেখানে শুধু মহাত্মা গান্ধী নন, দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore), দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ‘মিসাইল ম্যান’ ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের (Dr. APJ Abdul Kalam) ‘ওয়াটার মার্ক’। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India) ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনে নোটের ই-সিরিজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের ছবি ব্যবহার করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    আরও পড়ুন: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    জানা গিয়েছে,  রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (SPMCI) ওয়াটারমার্ক নির্বাচনের জন্য মহাত্মা গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এপিজে আবদুল কালামের নমুনার দুটি সেট আইআইটি-দিল্লির ইমেরিটাস অধ্যাপক দিলীপ টি সাহনির কাছে পাঠিয়েছে। এর পর এই প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মুদ্রা নোটে একাধিক ব্যক্তিত্বের ছবি অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

    মার্কিন ডলারে জর্জ ওয়াশিংটন, বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন, টমাস জেফারসন, অ্যান্ড্রু জ্যাকসন, আলেকজান্ডার হ্যামিল্টন এবং আব্রাহাম লিঙ্কন সহ ১৯ শতকের কিছু রাষ্ট্রপতির ছবি রয়েছে। এবার সেই পথেই হাঁটবে আরবিআই।  

    আরও পড়ুন: এবার কার্ড ছাড়াই ATM থেকে তোলা যাবে টাকা! কীভাবে, জেনে নিন

    ১৯৬৯ সালে সর্বপ্রথম রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১০০ টাকার কাগজের নোটে গান্ধীর ছবি বসায়। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত আর অন্য কোনও মনীষীর ছবি স্থান পায়নি ভারতীয় মুদ্রায়। প্রাথমিকভাবে রবীন্দ্রনাথ এবং এপিজে আব্দুল কালামের ছবি ব্যবহার করলেও, পরবর্তীতে অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবিও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ছাপার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষেই এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। 

  • Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বর্ধমানের পর ফের হাওড়া। চোলাই বা বিষমদ খেয়ে আবারও মৃত্যুর ঘটনা। এক মাসের মধ্যে অন্তত ১৪ জনের মারা যাওয়ার ঘটনায় ফের চর্চা শুরু হয়েছে। বছর খানেক আগে আবগারি দফতর ২৮ টাকার ‘বাংলা’ মদ চালু করেছিল। লক্ষ্য ছিল চোলাইয়ের দামে সরকারি মদ বিক্রি শুরু হলে দমানো যাবে বিষমদের কারবার। ২৮ টাকার বাংলায় মেশানো হয়েছিল মহুয়ার গন্ধও। বাজারও পেয়েছে সেই সস্তার সরকারি মদ। তারপরেও কেন এক মাসে বর্ধমান এবং হাওড়াতে বিষমদে লোকজন মারা যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, ২৮ টাকার সরকারি মদ কার্যত চোলাইয়ের থেকেও সস্তা। ২৮ টাকায় মহুয়ার গন্ধ মিশিয়ে ৩০০ মিলিলিটার বাংলা বাজারে ছাড়া হয়েছে। চোলাই যেখানে ৬০-৬৫ টাকায় ৬০০ এমএল পাওয়া যায়। ৩০০ মিলিলিটার চোলাইয়ের দাম ৩৫ টাকা। দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেন তা হলে লোকে চোলাই ছাড়তে চাইছে না। আবগারি দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারের সঙ্গে দামে প্রতিযোগিতায় না পেরে চোলাইয়ে কারবারিরা নেশার ‘গুণে’ নেশাড়ুদের টেনে নিচ্ছে। সরকারি মদ ৭০ডিগ্রি আপে ভিত্তিতে তৈরি। অর্থাৎ স্পিরিটের শুদ্ধতা এমন করা হয়েছে যাতে কম দামে খুব বেশি নেশাও না হয়। সরকারের এই প্রবণতাকেই চোলাই কারবারিরা হাতিয়ার করেছে। ফলে তারা এখন চোলাইয়ের ‘’টেম্পার’ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই টেম্পারের কারণেই বার বার মদে বিষক্রিয়া হচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, চোলাইয়ের কারবারিরা সরকারি বাংলা মদের চেয়েও অতিরিক্ত নেশার মদ তৈরি করতে নানা রাসায়নিক মেশাচ্ছে। ফলে এক বোতল মদে ৫-১০ টাকা বেশি দিয়েও অনেকে ২৮ টাকার বাংলা পান করছেন না, টেম্পার থাকা চোলাই বেশি পছন্দ করছে। ফলে সরকারি মদ সস্তা হওয়ার পরেও চোলাই তার বাজার ধরে রেখেছে। কর্তারা জানাচ্ছেন, হাতুড়ে পদ্ধতিতে টেম্পার বাড়াতে গিয়েই মদে বিষক্রিয়া হয়ে যাচ্ছে। প্রাণ যাচ্ছে লোকের। 

    আরও পড়ুন: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    আবগারি কর্তাদের একাংশের আরও দাবি, ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপকভাবে ছাড়া হয়নি। তা হলে সাধারণ বাংলা মদ আর বিক্রি হবে না। সেই কারণে যে সব এলাকায় চোলাইয়ের কারবার ব্যাপকভাবে চলত সেখানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রি করা হত। ফলও তাতে মিলেছে, চোলাইয়ের দাপট কমেছে। কিন্তু চোলাইওয়ালারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র ব্যাবসা ছড়িয়ে দিয়েছে। আবগারি দফতরের দাবি, বর্ধমান এবং হাওড়া দুটি স্থানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রির অনুমোদন ছিল না। ফলে সেখানে হাই টেম্পারের চোলাই বা বিষমদই ছিল সুপারহিট। এখন উপায়? এক মাসে ১৪ জন মারা যাওয়ার পর এবার ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র বিক্রির ব্যবস্থা করা হতে পারে। সস্তা দামের সঙ্গে নেশার গুণমানও(টেম্পার) কি বাড়ানো হবে? নিরুত্তর আবগারি কর্তারা। 

     

  • Norovirus: কেরলে আক্রান্ত ২, করোনা-মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস? 

    Norovirus: কেরলে আক্রান্ত ২, করোনা-মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস, মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস (Norovirus)। কেরলে ইতিমধ্যেই দুজনের শরীরে এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। তিরুঅনন্তপুরমের প্রাইমারি স্কুলের দুই শিশুর শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের উপস্থিতি। তা নিয়ে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। 

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের মাধ্যমে মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসা সম্ভব, জানাল গবেষণা

    মূলত খাবার এবং জলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস। অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাস বলে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আক্রান্তদের বমি ও ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।  আক্রান্ত হওয়ার এক থেকে দুদিনের মধ্যেই পেট ব্যথা, জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২ শিশুর শরীরে বমি, ডায়রিয়া এবং জ্বরের উপসর্গ রয়েছে।

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মিড ডে মিলের খাবার থেকেই ছড়িয়েছে এই রোগ। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি স্কুলগুলিকে মিড-ডে মিল রান্নার সময়ে আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধ করেছেন। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিনা জর্জ (Veena George) এবিষয়ে বলেন, “এই ভাইরাস খুবই সংক্রামক। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই ভাইরাস সম্পর্কে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে।”

    কেরল সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, “বারবার হাত ধোয়া, বাইরের খাবার বুঝে খাওয়া, বেশি করে জল খাওয়ার মাধ্যমে এই ভাইরাসকে দূরে রাখা সম্ভব।” এখনই এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১ থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।

    আরও পড়ুন: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, “বারবার হাত ধুতে হবে। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। খেলেও পরিষ্কার কোনও জায়গার খাবার খেতে হবে। বেশি করে জল খেলে ভাইরাস থেকে দূরে থাকা যাবে।”

    ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম কেরলে নোরোভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। সেই সময় রাজ্যের পশু চিকিৎসা কলেজের মোট ১৩ জন পড়ুয়া এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। চলতি বছর ফের খোঁজ মিলল নোরোভাইরাসের।

     

     

  • Agnipath scheme: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    Agnipath scheme: ৭.৫ লক্ষ আবেদন! অগ্নিপথে আগ্রহী তরুণ সমাজ, জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিপথ প্রকল্পে সেনা নিয়োগে আবেদন পাঠিয়েছেন প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ প্রার্থী৷ এর থেকেই বোঝা যায় দেশের যুবসমাজ অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প নিয়ে কতটা আগ্রহী। এমনটাই জানালেন ভারতীয় বায়ু সেনা (Indian Air Force) প্রধান ভিআর চৌধুরি (VR Chaudhari)৷ তিনি বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনা পরিচালিত অগ্নিপথ প্রকল্পের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ অতীতে ৬ লক্ষ ৩১ হাজার ৫২৮ জন আবেদন করেছিলেন ৷ সেই সংখ্যা ছাপিয়ে এবার ৭ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৯৯ জনের আবেদনপত্র গৃহীত হয়েছে ৷ এর থেকেই বোঝা যায় যতই বিরোধিতা হোক না কেন দেশের তরুণরা অগ্নিপথে আগ্রহী।” 

    দেশজুড়ে বিক্ষোভের মাঝেই ভারতীয় বায়ু সেনা অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের বিস্তারিত প্রকাশ করেছিল ৷ বায়ু সেনায় এই প্রকল্পের আওতায় নিযুক্ত জওয়ানদের ‘ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স অ্যাক্ট ১৯৫০’ অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে ৷ বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, চার বছরের মেয়াদ শেষে অগ্নিবীররা সমাজে ফিরে যাবেন ৷ ভারতীয় বায়ুসেনার প্রকাশিত এই বিস্তারিত বিবৃতিতে প্রার্থীদের বয়সসীমা, ফিজিক্যাল ফিটনেস, মেডিক্যাল পরীক্ষা, চাকরির শর্ত, ট্রেনিং এবং মূল্যায়ন সম্বন্ধে জানানো ছিল ৷ অগ্নিবীররা বছরে ৩০ দিন ছুটি পাবেন ৷ চাকরির শুরুতেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বেতন পাবেন তাঁরা ৷ প্রতি বছরে বেতন বৃদ্ধিও হবে ৷

    আরও পড়ুন: তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    বায়ুসেনা প্রধান জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই নিয়েগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। কী করে সব কাজ ঠিকমতো করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জের। সোমবারও এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Defence Minister Rajnath Singh) সঙ্গে বৈঠক করে বিরোধীরা। সংসদের বাদল অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথাও বলা হয়। এর মধ্যে বায়ুসেনা প্রধানের এই অভিমত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ৮ অক্টোবর বায়ুসেনা দিবস (Air Force Day) নিয়েও এদিন কথা বলেন এয়ার চিফ মার্শাল। তিনি জানান এবছর চণ্ডিগড়ে (Chandigarh) এয়ার ফোর্স ডে প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে। সে নিয়েও প্রস্তুতি চলছে।

  • Solar Storm: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    Solar Storm: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড় (Solar Storm)। এর ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতে। এই ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় (Geomagnetic Storm) নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। 

    চলতি বছরের ১৫ জুলাই গবেষকরা জানিয়েছিলেন যে যদি সৌরঝড় আসতে শুরু করে তাহলে উপগ্রহ প্রভাবিত হবে। জিপিএস এবং রেডিওর নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত হবে। মহাকাশ আবহাওয়াবিদ ড. তামিথা স্কোভ (Dr. Tamitha Skov) জানিয়েছেন, আশঙ্কা করা হয়েছে, ১৯ জুলাই অর্থাৎ আজই সৌর ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে। আবার, অন্য মহাকাশ-গবেষকদের আশঙ্কা, পৃথিবীতে এই সৌর ঝড় আছড়ে পড়তে পারে ১৯-২১ জুলাইয়ের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে নয়, মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

    ড. স্কোভ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, সূর্য থেকে এক সর্পিল আকারের বা সাপের আকারের ন্যায় পাতলা ফিলামেন্টের ঢেউ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে। যার ফলে পৃথিবীর মধ্য-অক্ষাংশ বরাবর অরোরা (Aurora) বা মেরুপ্রভা দেখা যেতে পারে। আবার এই সৌর ঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়ায় রেডিও, জিপিএস সিগনালেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছে নাসা (NASA) থেকে। আরও জানানো হয়েছে, এবারের সৌর ঝড়কে জি২ বা জি৩ মাত্রায় আছড়ে পড়তে পারে। যখন সৌর ঝড়ের চুম্বকীয় দিকটি দক্ষিণমুখী, তখনই সৌর ঝড় ‘জি২’ মাত্রায় আছড়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন:মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    প্রসঙ্গত, সৌর ঝড় বা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়কে জি স্কেলে (G-Scale) পরিমাপ করা হয়। জি স্কেলের ১-৫ স্কেলে মাপ করা হয়, যার মধ্যে ১ নম্বর সবচেয়ে দুর্বল এবং ৫ নম্বর মাপের ঝড়ে ক্ষতির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে। ২০২১ সালেও সূর্য থেকে ফিলামেন্ট ন্যায় ঢেউ পৃথিবীতে এসে পড়েছে ও সূর্যের একাধিক দাগও দেখতে পাওয়া যায়। যার ফলে সৌরঝড়ের সৃষ্টি হয়েছিল।

    ২০২২ সালের মার্চ মাসেও ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল ও কিছুদিন আগেই জি১ মাপের সৌরঝড় পৃথিবীতে ধেয়ে এসেছিল। তবে এই পরিমাপে সৌরঝড় বা ভূ-চৌম্বকায় ঝড় তেমন কোনও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে না। কিন্তু আজ অথবা আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে পৃথিবীর বুকে ধেয়ে আসা সৌরঝড়ের প্রভাবে জিপিএস সিস্টেম, রেডিও তরঙ্গ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। 

     

  • Jamai Sasthi 2022:  মেয়ের মঙ্গল কামনাতেই জামাইষষ্ঠী! জানুন এর নেপথ্য কথন

    Jamai Sasthi 2022: মেয়ের মঙ্গল কামনাতেই জামাইষষ্ঠী! জানুন এর নেপথ্য কথন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। প্রতি মাসেই কোনও না কোনও উৎসব পালন করা হয়। নববর্ষ, অক্ষয় তৃতীয়ার পরই আসে জামাইষষ্ঠী। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে ষষ্ঠী তিথিতে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়। এবছর ৫ জুন, রবিবার ঘরে ঘরে পালিত হবে জামাইষষ্ঠী। ব্যস্ত সময়ে আদরের জামাইকে নিজে হাতে পঞ্চব্যঞ্জন রেঁধে খাওয়ানোর সুযোগ খুব কমই পান শাশুড়ি মায়েরা। এবছর রবিবার, ছুটির দিন তাই এমন সুযোগ কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চান না অনেকে। তবে জামাইষষ্ঠী নাম হলেও আদতে মেয়ের মঙ্গল কামনাতেই এই উসৎব পালন করা হয়। এর পিছনে রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। 

    ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এক সময়ে সংস্কার ছিল যে মেয়ের বিয়ের পর তার বাবা বা মা-মেয়ের বাড়িতে ততদিন পর্যন্ত যেতে পারবেন না, যত দিন না তিনি সন্তানের জন্ম দেন। এতে সমস্যা হল — সন্তানধারণে সমস্যা বা সন্তান মৃত্যুর (শিশুমৃত্যু) ফলে কন্যার পিতামাতাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হত কন্যার বাড়ি যাওয়ার জন্য৷ তাই উপায়? সমাজের বিধানদাতা জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা ষষ্ঠীকে বেছে নিলেন জামাইষষ্ঠী হিসাবে৷ যেখানে মেয়ে জামাইকে নিমন্ত্রণ করে সমাদর করা হবে ও কন্যার মুখ দর্শন করা যাবে৷ আর সেইসঙ্গে মা ষষ্ঠীর পুজো করে তাঁকে খুশি করতে হবে যাতে কন্যা শীঘ্র সন্তানের মুখ দর্শন করতে পারে ৷ 

    ষষ্ঠী-পালন সাধারণত করে থাকেন মেয়েরা৷ তাঁদের কাছে এর তাৎপর্য অন্যরকম ৷ কথিত আছে — এক পরিবারে দুটি বউ ছিল৷ ছোট বউ ছিল খুব লোভী৷ বাড়ির মাছ বা অন্যান্য ভাল খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে অভিযোগ করত ‘সব কালো বেড়ালে খেয়ে নিয়েছে।’ বেড়াল মা ষষ্ঠীর বাহন ৷ তাই বেড়াল, মা ষষ্ঠীর কাছে অভিযোগ জানাল৷ মা ষষ্ঠী রেগে গেলেন৷ যার জেরে ছোট বউ-এর একটি করে সন্তান হয় আর মা ষষ্ঠী তার প্রাণ হরণ করেন৷ এইভাবে ছোট বউয়ের সাত পুত্র ও এক কন্যাকে মা ষষ্ঠী ফিরিয়ে নেন৷ ফলে স্বামী, শাশুড়ি ও অন্যান্যরা মিলে তাকে ‘অলক্ষণা’ বলে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ অথচ বড় বউ পুত্রকন্যাদের নিয়ে সুখে ঘর করতে থাকে৷

    ছোট বউ মনের দুঃখে বনে চলে যান ও একাকী কাঁদতে থাকেন৷ শেষে মা ষষ্ঠী বৃদ্ধার ছদ্মবেশে তার কাছে এসে কান্নার কারণ জানতে চান৷ সে তার দুঃখের কথা বলে৷ তখন মা ষষ্ঠী তার পূর্বের অন্যায় আচরণের কথা বললে সে মাফ চায়৷ ষষ্ঠী তাকে ক্ষমা করেন। এরপর বলেন— ভক্তিভরে ষষ্ঠীর পুজো করলে সাতপুত্র ও এক কন্যার জীবন ফিরে পাবে৷ তখন ছোট বউ সংসারে ফিরে এসে ঘটা করে মা ষষ্ঠীর পুজো করে ও ক্রমে ক্রমে তার পুত্র কন্যাদের ফিরে পায়৷ এর থেকে দিকে দিকে ষষ্ঠী পুজোর মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে৷ এটাই জামাই ষষ্ঠী বা অরণ্যষষ্ঠী ব্রতকথার মূল গল্প৷

    জামাইষষ্ঠী মূলত লোকায়ত প্রথা। ষষ্ঠীদেবীর পার্বণ থেকেই এই প্রথার উদ্ভব। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী তিথিতে প্রথম প্রহরে ষষ্ঠীদেবীর পুজোর আয়োজন করা হয়। ষষ্ঠীদেবী মাতৃত্বের প্রতীক। জামাইষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের হাতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেওয়া হয় মা ষষ্ঠীর আর্শীবাদ রূপে। এরপর দীর্ঘায়ু কামনায় তেল-হলুদের ফোঁটা কপালে দিয়ে তালপাতার পাখা দিয়ে বাতাস করা হয়। ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করা হয়। সঙ্গে একটি থালায় সাজিয়ে দেওয়া হয় পাঁচটি বিভিন্ন রকমের গোটা ফল আর মিষ্টি। এ তো গেল পুজোর রীতিনীতি।

    জামাইষষ্ঠীর আসল চমক হল জামাইয়ের জন্য শাশুড়ি মায়ের নিজের হাতে রান্না করা পঞ্চব্যাঞ্জন। বিভিন্ন ধরনের মাছ, মাংস, মিষ্টির এলাহি আয়োজন। এখন অবশ্য উপহার দেওয়া-নেওয়ারও একটা পর্ব থাকে। নিয়মকানুন, রীতিনীতি, খাওয়া-দাওয়া, উপহার আদান-প্রদানের ভিড়ে এই উৎসবে মিশে থাকে সারা বছর ব্যস্ততার কারণে মেয়ে জামাইকে কাছে না পাওয়া মায়ের আবেগও। জামাইও শ্বশুরবাড়ি ঢোকার সময় দই-মিষ্টি আনতে ভোলেন না। প্রণামী হিসেবে শাশুড়িকে বস্ত্রাদি দেওয়ার রীতিও রয়েছে। সাহিত্যে এদিনে শ্যালক-শ্যালিকা নিয়ে জামাইয়ের থিয়েটার দেখা, সন্ধেবেলা জামাই ঠকানোর রঙ্গতামাশার কথাও আছে।

  • Bangladesh Fire: বাংলাদেশের রাসায়নিক ডিপোয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৪১

    Bangladesh Fire: বাংলাদেশের রাসায়নিক ডিপোয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৪১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) দক্ষিণে চট্টগ্রামের (Chittagong) সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বহু। আহত চার শতাধিক। বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৪১। তবে বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্য়া প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    মৃতদের মধ্যে ৯ জন ছিলেন দমকল কর্মী এবং ঘটনায় সাড়ে চারশোর বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি শনিবার ঘটে। জানা গিয়েছে, একটি রাসায়নিক কনটেনার ডিপোতে (Chemical Container Depot) একাধিক বিস্ফোরণের পর এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই কন্টেনার ডিপোতে কম করে ৬০০ জন ব্যক্তি কাজ করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা পরে আরও বাড়তে পারে।

    [tw]


    [/tw]

    ডিপোর ডিরেক্টর মহম্মদ মাইনুদ্দিন (Mohammad Moinuddin) বলেন, “রাসায়নিক পদার্থ হাইড্রোজেন পারক্সাইড (hydrogen peroxide)-এর ফলেই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, দমকল কর্মীরা শনিবার থেকেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে চলেছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাথমিক বিস্ফোরণের জেরে চার কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কেঁপে উঠেছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে যে দমকল কর্মীরা আজ রাতের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। আশেপাশের কোনও খাঁড়ি ও বঙ্গোপসাগরে যাতে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে না যায় সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

    সীতাকুণ্ডের (Sitakunda) বিএম কনটেনার ডিপোর (BM Container Depot) অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই দমকলকর্মীরা ছুটে যান কিন্তু সেই আগুনেই মারা যায় নয় জন দমকল কর্মী। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যেখানে একসঙ্গে এতজন দমকল কর্মী প্রাণ হারালেন।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে বিধ্বংসী আগুনে মৃত ২৭, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    চট্টগ্রাম হাসপাতালে (সিএমএইচ) দমকল কর্মীসহ আহতদের চিকিৎসা চলছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সামরিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার (ডিসি) আশরাফ উদ্দিন বলেছেন যে, নিহতদের পরিবারকে ডিসি কার্যালয় থেকে ৫৬০ মার্কিন ডলার (৫০,০০০ বাংলাদেশি টাকা) এবং আহতদের পরিবারকে ২২৪ মার্কিন ডলার (২০,০০০ বাংলাদেশি টাকা) দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    বিএম কন্টেনার ডিপোর পরিচালক মজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, “কী কারণে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আমার মনে হয় আগুনের সূত্রপাত কন্টেনার থেকে। আহতদের ভালে চিকিৎসা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার পুরো খরচ আমরা বহন করব। যাঁরা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে,” একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, “এছাড়া, আমরা সব নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেব।”

     

  • Coal India Recruitment: ৪৮১ শূন্যপদে নিয়োগ কোল ইন্ডিয়ায়, জানুন বিস্তারিত

    Coal India Recruitment: ৪৮১ শূন্যপদে নিয়োগ কোল ইন্ডিয়ায়, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলিতে ব্যাপকহারে নিয়োগ চলছে। এবার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল কোল ইন্ডিয়া (Coal India Recruitment 2022)। মোট শূন্য পদের সংখ্যা ৪৮১। ৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রক্রিয়াটি চলবে ৭ অগাস্ট রাত ১১:৫৯ অবধি। বেশ কয়েকটি পদে লোক নেবে কোল ইন্ডিয়া। ইচ্ছুক প্রার্থীরা এখনই আবেদন করতে পারেন। তার আগে বিষদে জেনে নিন এই চাকরির বিষয়ে। 

    পার্সোনেল এবং এইচআর (Personnel & HR): 

    শূন্যপদ: মোট ১৩৮ টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক হওয়ার পাশাপাশি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কমপক্ষে দু’ বছরের স্নাতকোত্তর বা পিজি ডিপ্লোমা থাকতে হবে।

    পরিবেশ (Environment): 

    মোট শূন্যপদ: ৬৮ টি পদে নিয়োগ করা হবে। 

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: পরিবেশ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি কোর্সে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। 

    মেটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্ট (Materials Management):   

    মোট শূন্যপদ: ১১৫ টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় ইলেট্রিক্য়াল বা মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হতে হবে। এর পাশাপাশি এমবিএ বা পিজি ডিপ্লোমা করতে হবে। এবং কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

    মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস (Marketing & Sales): 

    মোট শূন্যপদ: ১৭ টি পদে নিয়োগ করা হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০ শতাংশ নম্বরসহ মার্কেটিংয়ে দুবছরের এমবিএ বা পিজি ডিপ্লোমা থাকতে হবে।

    আরও পড়ুন: বিপুল সংখ্যক ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি নিয়োগ করতে চলেছে কোল ইন্ডিয়া, কীভাবে আবেদন করবেন?  

    কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (Community Development): 

    মোট শূন্যপদ: ৭৯ টি পদে নিয়োগ করা হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট বা রুরাল ডেভেলপমেন্ট বা কমিউনিটি অর্গানাইজেশনে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বরসহ স্নাতকোত্তর বা দুবছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রী থাকতে হবে। 

    এছাড়াও লিগ্যাল, পাবলিক রিলেশন, কোম্পানি সেক্রেটারির একাধিক শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। 

    বয়সসীমা :

    ৩১ মে অনুযায়ী আবেদনকারীর বয়স ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারে নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিত প্রার্থীরা বয়সে ছাড় পাবেন।

    আবেদন ফি:

    জিএসটি চার্জ নিয়ে ১১৮০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে প্রার্থীদের। তবে এসসি/এসটি/বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের আবেদন করতে কোনও টাকা লাগবে না।  

    আবেদনের শেষ তারিখ:

    ৭ অগাস্ট অবধি আবেদন করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: জুনিয়র রিসার্চ ফেলো নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ডিআরডিওর, জানুন বিস্তারিত

    বেতন:

    মাসিক ৫০০০০ থেকে ১৬০০০০ টাকা অবধি বেতন পাবেন কর্মীরা। 

    কী করে আবেদন করবেন?

    • www.coalindia.in -এই লিঙ্কে গিয়ে আবেদন করতে হবে চাকরি প্রার্থীদের। 
    • ‘Career’ – এই লিঙ্কে যান। 
    • সেখান থেকে  ‘CIL >>>> Jobs’ – এই লিঙ্কে। 
    • অনলাইনে আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে বেশ কিছু তথ্যের স্ক্যানড কপি জমা দিতে হবে। 
    • রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি, কালো কালিতে সই, মাধ্যমিকে সার্টিফিকেট এবং সর্বোচ্চ ডিগ্রীর প্রমাণপত্র স্ক্যান করে জমা দিতে হবে। 

     

     

  • MiG-21: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    MiG-21: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়মের-কাণ্ডের জেরে মিগ-২১ (single-engine MiG-21) পুরোপুরি বাতিল করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকরাশিয়ার (Russia) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের চারটি স্কোয়াড্রন এখন রয়েছে ভারতের কাছে। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) একটি স্কোয়াড্রনে কম-বেশি ১৬টি বিমান থাকে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তার মধ্যে একটি, শ্রীনগরের ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রনের (Srinagar 51 squadron) বিমানগুলিকে অবসরে পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অবসরে পাঠানো হবে অন্য স্কোয়াড্রনের মিগ যুদ্ধবিমান এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিমানগুলিকে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই অবসরের সঙ্গে গত ২৮ জুলাই বাড়মেরে মিগ দুর্ঘটনার কোনও যোগসূত্র নেই। নতুন ফাইটার জেট আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার জেরেই এবার মিগ ২১কে বিদায় নিতে হবে। এটাই ভারতের দীর্ঘদিনের ফাইটার প্লেন। এর বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই এগুলিকে এবার বিদায় নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: নৌসেনার হাতে এল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, অন্তর্ভুক্তি কবে? 

    ১৯৬৩ সালে এয়ার ফোর্স প্রথম সিঙ্গল ইঞ্জিন মিগ ২১ যুদ্ধ বিমান হাতে পেয়েছিল। গত ছয় দশক জুড়ে এই বিমান ব্যবহার করছে ভারতীয় সেনা। প্রসঙ্গত, গত তিন দশকে ২০০ বারেরও বেশি দুর্ঘটনায় পড়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার মিগ-২১। দুর্ঘটনাপ্রবণ বলে ভারতীয় বায়ু সেনা মহলে ‘উড়ন্ত কফিন’ নামে পরিচিত এই যুদ্ধবিমান। কয়েক বছর আগেই মিগ২১-কে অবসরে পাঠিয়ে পরিবর্ত হিসেবে বায়ুসেনাকে তেজস যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    ২০১৯ সালের একটি আলোচনাসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে উদ্দেশ্য করে তৎকালীন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া মিগ-২১-এর অবসর নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার বায়ুসেনার দাবি মেনে মিগ-২১কে বিদায় জানাতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে, প্রাক্তন অ্য়াসিস্ট্যান্ট চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল অবসরপ্রাপ্ত সুনীল নানোদকার জানিয়েছেন, আকাশপথে পাহারার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ফাইটার প্লেনও প্রয়োজন। তাই দ্রুত বিকল্প যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করতে হবে।

LinkedIn
Share