Blog

  • Modi on Draupadi Murmu: ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    Modi on Draupadi Murmu: ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) শপথ গ্রহণকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দ্রৌপদীকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোদি। তিনি বলেন, এটি ভারতের কাছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বিশেষ করে দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিম্নমধ্যবিত্তদের কাছে এই ঘটনা অভূতপূর্ব। দেশের নয়া রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাঁকে ভবিষ্যতের শুভকামনাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    দ্রৌপদী হলেন ভারতের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা যিনি রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হলেন। দেশের সর্ব কনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতিও তিনি। শপথ গ্রহণের পরেই দেশের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে বার্তা দেন দ্রৌপদী। বলেন, আমার এই সাফল্যই প্রমাণ করে যে ভারতের গরিবরা শুধু স্বপ্নই দেখে না, তা পূরণও করে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, শপথ গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুজি তাঁর ভাষণে আশা ও সহানুভূতির বার্তা দিয়েছেন। তিনি ভারতের কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন। ভারত যখন আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করতে চলেছে, তার ঠিক আগেই তিনি ভবিষ্যতে এগিয়ে চলার পথ নির্দেশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়কে মোদি সরকারের জনজাতির প্রতি দায়বদ্ধতা হিসেবেই দেখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মুজির জয় প্রমাণ করে জনজাতির ক্ষমতায়ন, যার প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে মোদি সরকারের। রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়কে ভারতীয় গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলেও উল্লেখ করেন শাহ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওড়িশার এক দরিদ্র জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা দ্রৌপদীর যাত্রা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি পিছিয়ে পড়া সাঁওতাল সম্প্রদায়ের। তিনি আজ দেশের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে শপথ নেওয়ায় আনন্দিত তামাম ভারত, খুশি বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষও। শাহ বলেন, এই মুহূর্তটা ভারতীয় গণতন্ত্রের সাফল্যে নয়া পালক। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলেন জনজাতির বলিদান অবিস্মরণীয় বলেও জানান শাহ।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটি একটি স্মরণীয় দিন। আমি নিশ্চিত তাঁর অভিজ্ঞতা দেশকে সমৃদ্ধ করবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ভারত তার মেয়েদের থেকেই শক্তি সঞ্চয় করছে। এবং আক্ষরিক অর্থেই ভারতের অমৃতকাল ফিরছে।  

     

  • CBI Quizzes Paresh Pal: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা পরেশ পালের

    CBI Quizzes Paresh Pal: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা পরেশ পালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar Murder Case) খুনের মামলায় সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দিলেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল (MLA Paresh Pal) ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরেশ পালকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নোটিস পাঠিয়েছিল ৷ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পরই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে ৷ ওই ঘটনায় শাসকদলের বিধায়ক পরেশ পাল যুক্ত বলে অভিযোগ করে বিজেপি ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে অভিজিতের মৃত্যু নিয়েই তাঁকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ৷

    প্রায় তিন ঘণ্টা জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান পরেশ পাল। তিনি জানান, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। সিবিআইয়ের সঙ্গে তিনি সবরকম সহযোগিতা করবেন। এর পাশাপাশি জানান সিবিআই তাঁকে বলেছে যে আর তাঁকে ডাকা হবে না।। অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার বলেছিলেন, তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ভিডিও রয়েছে, যা তিনি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিয়েছেন যেখানে দাবি করা হয়েছে অভিজিৎ সরকার মৃত্যুর পেছনে পরেশ পাল ও তার লোকজন দায়ী। কিন্তু এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন পরেশ পাল। মানুষের তাঁদের ওপর আস্থা রেখেছে, তাই বিপুল ভোট দিয়ে তাঁদের এনেছেন। এই কাজের সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।

  • Horoscope Today, 18 May 2022: আজ সংসারে সুখের খবর আসতে পারে এই রাশির, দেখুন দৈনিক রাশিফল

    Horoscope Today, 18 May 2022: আজ সংসারে সুখের খবর আসতে পারে এই রাশির, দেখুন দৈনিক রাশিফল

    মেষ রাশি: আজ অফিসে জটিলতা দেখা দিতে পারে। আগুন থেকে সাবধান থকুন। খেলাধূলায় সাফল্য যোগ। বিয়ের ব্যাপারে সুখবর আসার সম্ভাবনা। ব্যবসায় আয়ের পরিমাণ বাড়তে পারে।

    বৃষ রাশি: আজ পেটের কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায় চাপ বাড়ার সম্ভাবনা। আজ একটু একা থাকতে ভাল লাগতে পারে। জমি, বাড়ি কেনার প্রস্তাব আসার যোগ রয়েছে।

    মিথুন রাশি: আজ কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। সংসারে সুখের খবর আসার সম্ভাবনা। আর্থিক ব্যাপারে সুবিধা পেতে পারেন। বাড়তি খরচের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের যোগ। বুদ্ধির ভুলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    কর্কট রাশি: আজ শরীরের কোনও কষ্ট অবহেলা করবেন না। আইনি কাজের জন্য ভাল সুযোগ আসতে পারে। বাবার শরীর নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধির যোগ। কোনও নামী জায়গায় কাজের যোগাযোগের সম্ভাবনা।

    সিংহ রাশি: আজ একটু ক্রোধ সংবরণ করতে হতে পারে। সম্পত্তির ব্যাপারে মা-বাবার সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা। বন্ধুদের সঙ্গে বিরোধ হতে পারে। আইনি কোনও কাজের জন্য খরচ বৃদ্ধির যোগ। আর্থিক চাপ আসতে পারে। সকালের দিকে কোনও আঘাত লাগার আশঙ্কা।

    কন্যা রাশি: আজ মাথার যন্ত্রণা বাড়তে পারে। ব্যবসায় কোনও নতুন কাজ হতে পারে। পাওনা নিয়ে বিবাদের আশঙ্কা। ভাল কাজের জন্য অফিসে সুনাম বাড়তে পারে। স্ত্রীর জন্য বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা। অতিরিক্ত ভোগের ইচ্ছা খরচ বাড়াতে পারে।

    তুলা রাশি: আজ অর্থ ব্যাপারে সাহায্য মেলার সম্ভাবনা। পাওনা আদায়ে দেরি হতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে সাবধান। আজ সকাল থেকে কাজের দিকে কোনও প্রকার অনীহা বাড়তে পারে।

    বৃশ্চিক রাশি: আজ বন্ধুদের সঙ্গে একটু বুঝে কথা বলুন, বিবাদ হতে পারে। হার্টের কোনও সমস্যা হতে পারে। প্রতিবেশীর সঙ্গে কোনও কারণে বিবাদ বা তর্ক হতে পারে। আজ ব্যবসায় মন্দা বাড়তে পারে।

    ধনু রাশি: আজ গঠনমূলক কোনও কাজের জন্য উন্নতির সম্ভাবনা। স্ত্রীর ব্যাপারে চাপ বৃদ্ধি হতে পারে। ব্যবসা বা কাজের দিকে নতুন দিশার যোগ। বাড়িতে কোনও অশান্তি আজ মিটতে পারে।

    মকর রাশি: আজ উপহার পেতে পারেন। বাইরের কোনও অচেনা লোকের জন্য বিপদের সম্ভাবনা। অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। আইনি কোনও কাজের জন্য বিশেষ আলোচনার যোগ। বিবাহের কথাবার্তা বন্ধ রাখা দরকার।

    কুম্ভ রাশি: আজ মানসিক কষ্ট কাটাবার চেষ্টা করুন। ভাল কোনও জিনিস নষ্ট হতে পারে। আজ কোনও বন্ধুর থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা। ব্যবসায় চাপ আসার যোগ। আজ আপনার ব্যবহার কারও খারাপ লাগতে পারে। শরীরে কোনও যন্ত্রণা বৃদ্ধির আশঙ্কা।

    মীন রাশি:  আজ ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে ভক্তি বাড়তে পারে। ব্যবসায় মিশ্র ফলের সম্ভাবনা। মহাজনের সঙ্গে বেশি তর্ক বিপদ বাড়াতে পারে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্তদের জন্য ভাল খবর আসার যোগ। আজ সারা দিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হতে পারে।

  • Assam floods: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    Assam floods: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে আসামে (Assam)বন্যা (Flood)পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার নিয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি (Heavy Rain) চলছে। আসামে ৬ মে থেকে ৫৪৫.৬৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জাতীয়সড়ক এবং পাঁচটি রাজ্যসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের পর গ্রাম। আসামের ২০টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত লাখ দুয়েক বাসিন্দা। প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে (Relief Camps) আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিটি এলাকা এক-একটা দ্বীপের চেহারা নিয়েছে। জেলাসদর হাফলঙের সঙ্গে মাইবাঙের যোগাযোগ নেই। কারণ ধসের পর ধস নেমেছে আসামের ওই পাহাড়ি জেলায়। এমনকি শহরতলি জাটিঙ্গায়ও যাওয়া-আসা বন্ধ। বহু জায়গায় রেল ট্র্যাক মাটির তলায়,সড়কের ওপর দিয়ে বইছে জলস্রোত।

    জেলার প্রতিটি রেলস্টেশনের চেহারা বদলে গিয়েছে। হাফলঙ স্টেশনে হাঁটুসমান কাদা। একটি ফাঁকা ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে। পাহাড় ভেঙে জল-কাদা গড়িয়ে যাওয়ার সময় এর পাঁচ-ছয়টি কামরাকে সরিয়ে দিয়েছে। সেগুলি কাত হয়ে দূরে পড়ে আছে। সেখানে অনেকটা জায়গা জুড়ে ট্র্যাক নিশ্চিহ্ন। আরও বহু জায়গায় ট্র্যাকের নীচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। দাওতুহাজা ও ফাইডিংয়ের মধ্যবর্তী তিনশো মিটার এলাকা রেললাইন ঝুলন্ত সেতুর চেহারা নিয়েছে। নিউ হাফলঙে টানা বর্ষণের রেললাইনে ধসের জেরে ট্রেনের মধ্যেই আটকে পড়েছিলেন প্রায় ২৮০০ যাত্রী। কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বায়ুসেনার কপ্টারে করে অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিমা হাসাও জেলায় লুমডিং শাখায় দুটি ট্রেন আটকে পড়েছিল। ওই দুটি ট্রেনের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। বন্যা পরিস্থিতি ও ধসের জেরে প্রাণ হাতে নিয়ে কার্যত আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন তাঁরা। শেষমেশ তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

     এই পরিস্থিতিতে ২৫ জোড়া ট্রেন বাতিল করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। আসামের Dima Hasao এলাকায় ভূমিধসের কারণে ত্রিপুরা, মিজোরাম ও দক্ষিণ অসমের এলাকায় চলাচলকারী ওই ট্রেনগুলিকে বাতিল করেছে Northeast Frontier Railway। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে রেললাইন মেরামতির কাজ। যে সমস্ত ট্রেন বাতিল ও আংশিক বাতিল করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে আছে Agartala–Anand Vihar Tejas Rajdhani এক্সপ্রেস, Bangalore Cant –Agartala এক্সপ্রেস, Agartala – Secunderabad এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-আগরতলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। 

    [tw]


    damaged because of the heavy-rain induced flash flood and landslide.#AssamFloods #AssamFloodUpdates #AssamNews #haflongflood @RailNf @RailMinIndia pic.twitter.com/PatgR9U0eC— Farhan Ahmed (@farhan_assam) May 16, 2022

    [/tw]

    আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (Assam Disaster Management Department) তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে কাছাড় (Kachar) এলাকা। ওই জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। কাছাড়ের সাড়ে ছ’শোরও বেশি গ্রাম বন্যার কবলে। বাড়ছে বন্যার জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা। করিমগঞ্জ জেলায়ও নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।  বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কয়েকজন নিখোঁজ বলেও জানা গিয়েছে। প্রায় ৬৬ হাজার ৬৭১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৬ হাজার হেক্টর জমি জলে ডুবে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। জলের তোড়ে তমালপুর জেলায় বোরোলিয়া নদীতে ভেসে গিয়েছে বাঁশের সেতু। অসমের জোরহাট (Jorhat), নওগাঁ (Naugaon ) জেলার পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগের। নগাঁও জেলায় কপিলি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ব্রহ্মপুত্রের জলও বিপদসীমার উপরে। এর মধ্যে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ নেই। বিঘ্নিত হচ্ছে জল সরবরাহ। মিলছে না ইন্টারনেট পরিষেবাও।

    আরও পড়ুন : সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকল আন্দামানে, রাজ্যেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

  • Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Kaliachak: কালিয়াচকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করাচ্ছে পুলিশ! সিবিআই, এনআইএ-কে যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মালদার (Malda) কালিয়াচকের (Kaliachak) ধর্মান্তরনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। এই মামলায় সিবিআই (CBI) এবং এনআইএ-কে (NIA) যৌথভাবে তদন্ত করবে এবং আদালতকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেবে।

    সম্প্রতি, কালিয়াচকে কয়েকটি গরিব হিন্দু পরিবারকে ধর্ম পরিবর্তনের (forceful conversion) জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বলপূর্বক ধর্মান্তরণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন ওই হিন্দু পরিবারগুলির মহিলা ও শিশুরা। পরিবারগুলির অভিযোগ, তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের গ্রেফতার করে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় আগেও দুই হিন্দু পরিবারকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, কালিয়াচক থানার আইসি-ই তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দিচ্ছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, কালিয়াচক থানার পুলিশ জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগের নিশানায় ছিলেন কালিয়াচক থানার আইসি। অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন না করলে পুরুষদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, এর আগেও ২ জনকে চাপ দিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে।

    একজন সরকারি আধিকারিকের এহেন আচরণে যারপরনাই বিস্মিত বিজেপি নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত লেখেন, গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ সংবিধান অনুসারে চলে। সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিককে তাঁর ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের অর্থাৎ ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারের। সেখানে একজন সরকারি পুলিশ অফিসার যিনি থানার ইন্সপেক্টর তিনি কীভাবে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য কোনও মানুষকে চাপ দিতে পারেন? এটা পুরোপুরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    পশ্চিম বাংলায় ধর্মীয় স্বাধীনতাও বিপন্ন হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি লেখেন,  পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চাকরি নেই, শিল্প নেই, সুশাসন নেই, বাক্ স্বাধীনতাও নেই। এছাড়াও নানা সমস্যা রয়েছে। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, তাই বলে সাধারণ মানুষের ধর্ম পালনের স্বাধীনতাটুকুও থাকবে না? তাঁর আশঙ্কা, তৃতীয়বার ক্ষমতালাভের পর কিছু নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতার অলিন্দে থেকে মুখোশের আড়ালে তাদের স্বার্থ কায়েম করতে চাইছে না তো?

    হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষাও দাবি করেন সুকান্ত। তিনি লেখেন, সরকারকে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবারগুলোর অভিযোগ প্রশাসনকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তার পরেও সরকার কোনও পদক্ষেপ না করলে ভবিষ্যতে পথে নেমে এর প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    থানার আইসি-র নেতৃত্বে জোর করে ধর্মান্তরণের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, সিবিআই ও এনআইএ যৌথ তদন্ত করবে অভিযোগের ভিত্তিতে। আগামী ২১ জুনের মধ্যে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

     

  • Dam On Brahmaputra: ব্রহ্মপুত্রের উপর হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ

    Dam On Brahmaputra: ব্রহ্মপুত্রের উপর হতে চলেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra)নদের উপর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ তৈরির করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ইংকিয়ং (Yingkiong)য়ে ওই বৃহৎ বাঁধ তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই অরুণাচল সীমান্তের কাছাকাছি তিব্বতের মেডগ কাউন্টিতে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদীর উপর বাঁধ তৈরি করেছে বেজিং। এবার তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের বুকে চিনা ‘মেগা ড্যাম’ প্রকল্পের পালটা অরুণাচল প্রদেশে এই বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি।

    চিন অধিকৃত তিব্বত অঞ্চলের উৎসস্থল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে ইয়ারলাং জ্যাংবো নদী। অরুণাচলে পৌঁছে এর নাম হয়েছে সিয়াং। আর অসমে প্রবেশ করার পরে এই সিয়াংই পরিচিত হয় ব্রহ্মপুত্র নামে এবং এর পর ফের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র। বর্ষার সময় এই নদের জল উপচে পড়লেও বছরের অন্য সময়ে তিব্বতের বরফ গলা জলই এই নদে জলপ্রবাহ ধরে রাখে।   

    প্রসঙ্গত, নদীর অবস্থানের সুবাদে ভারতের (India) চেয়ে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে চিন। বিশেষ করে তিব্বত অঞ্চল নিজেদের দখলে রাখার পরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম নদীগুলির উৎস রয়েছে বেজিংয়ের কবজায়। এর মধ্যে ৪৮% নদীর জলই ভারতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে। চিনের ওই নয়া প্রকল্পের কারণে স্বভাবতই জল কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের। আবার বর্ষার সময় চিন বাঁধের জল ছাড়লে অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল,বাংলাদেশের একাধিক জায়গা জলের তলায় চলে যেতে পারে, বলে আশঙ্কা ছিল ভারতের। তাই চিনকে আটকাতে ভারত এই নতুন প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে বলে অনুমান।
     
    দেশের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, “চিনা বাঁধ থেকে তৈরি হওয়া সমস্যা ও কুপ্রভাব কাটাতে এই মুহূর্তে অরুণাচল প্রদেশে ব্রহ্মপুত্রের বুকে একটি বাঁধ তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, বাঁধের মাধ্যমে জল ধরে রাখার জন্য বিশাল জলাধার তৈরি করবে ভারত। এর ফলে তিব্বতে চিনা বাঁধ থেকে আচমকা জল ছাড়লে হড়পা বানের আশঙ্কা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে। পাশাপাশি, এর ফলে বর্ষার সময় ছাড়া বছরের অন্য দিনে  উত্তর-পূর্ব ভারতে জলসংকটের মোকাবিলাও করা যাবে।

  • Oil Import: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    Oil Import: রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্কো থেকে তেল আমদানি নিয়ে  ছয় মাসের চুক্তি করতে চলেছে ভারতের প্রথম সারির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর,ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOc), হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (HPCL), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL) একযোগে রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় তেল সংস্থা রসনেফ্টের সঙ্গে তেল আমদানি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

    এক মাসে ছয় মিলিয়ন ব্যারল অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারে আইওসি।  এছড়াও অতিরিক্ত তিন মিলিয়ন ব্যারল তেলও আমদানি করার কথা রয়েছে তাদের। একইসঙ্গে এইচপিসিএল এবং বিপিসিএল যথাক্রমে যথাক্রমে মাসে তিন এবং চার মিলিয়ন ব্যারল তেল আমদানি করতে পারে। দাম এবং ছাড়ের ভিত্তিতে তেলের পরিমাণ পরিবর্তন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    উল্লেখ্য, ইউক্রেনের (Ukraine) উপর রুশ (Russia) সেনা অভিযান চালানোর পর ওয়াশিংটনের বার্তা ছিল, রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত রকমের অসহযোগিতার করার। কিন্তু যুদ্ধের প্রায় আড়াই মাস পর দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ তেল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে, তার চেয়ে অনেক এগিয়ে ইউরোপের দেশগুলি। এমনকী আমেরিকাও এই আমদানির তালিকায় অনেকটা উপরের দিকেই রয়েছে। তাই তেল আমদানি করার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতা করতে রাজি নয় ভারত। অবশ‌্য শুরু থেকেই যুদ্ধের বিরোধিতা করলেও তেল আমদানি নিয়ে অনড় ছিল ভারত। মার্কিন চাপ সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি মোদি সরকার।

    ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে লাগাতার বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। আর রাজকোষে বিশাল চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে মোদি সরকারকে। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে সস্তায় তেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। বন্ধু দেশগুলিকে পাশে পেতেই অনেক কম দামে তেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। বলা হয়েছিল, যুদ্ধ শুরুর আগের চেয়েও কম দরে তেল রপ্তানি করবে রাশিয়া। তাতে সাড়াও দিয়েছিল ভারত। এই মুহূর্তে দেশের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে রুশ তেল আমদানি করা লাভজনক হবে বলেই মত অর্থনৈতিক মহলের। 

  • Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Register General of India) দেওয়া  তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে ভারতে ৮১.২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯- এ সেই সংখ্যা ছিল ৭৬.৪ লক্ষ, অর্থাৎ ৬.২% কম।  
     
    ২০২০ সালে কোভিডের (Covid 19) কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১.৪৮ লক্ষ মানুষ। পরের বছর সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে মহামারির প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩.৩২ লক্ষ মানুষের।  

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০২০ থেকে এই মারণ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫,২৩,৮৮৯ জন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, বিহার, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো কিছু রাজ্যে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যায় ব্যবধান ছিল সবথেকে বেশি।  সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই রাজ্যগুলিতে করোনার কারণেই এই বাড়তি মৃত্যুগুলি হয়েছে।   

    ২০২০ সালে জন্মের নিবন্ধীকরণের সংখ্যাও, বিহার, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ছাড়া প্রায় সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই হ্রাস পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২০ সালে জন্ম নিবন্ধীকরণ সংখ্যা ২.৪% হ্রাস পেয়েছে।   

    ১১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মৃত্যুর ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমার মধ্যে ৯০%- এর বেশি নিবন্ধীকরণ হয়েছে। সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৮০%- এর কিছু বেশি কিন্তু ৯০%- এর সমান বা কম, সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%-৮০%। বাকি নয় রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর নীচে।     

    ১৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জন্মের ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমায় জন্ম নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৯০% -এর বেশি।  আরও দুটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সেই সংখ্যা ৮০%- এর বেশি কিন্তু ৯০%- এর কম বা সমান। ৯ রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর বেশি কিন্তু ৮০%- এর সমান বা কম। বাকি সাত রাজ্যে প্রদত্ত সময়সীমা, জন্মের ২১ দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৫০%- এরও কম।   

  • Gyanvapi Mosque Update: জ্ঞানবাপী মামলার রায়দান স্থগিত মঙ্গলবার পর্যন্ত

    Gyanvapi Mosque Update: জ্ঞানবাপী মামলার রায়দান স্থগিত মঙ্গলবার পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদিনের মতো শুনানি শেষ হল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (kashi viswanath temple)- জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) মামলার। আগামিকাল পর্যন্ত রায়দান মুলতুবি রেখেছে বারাণসী জেলা আদালত (Varanasi district court)। আদালতে মোট ৩টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যার ওপর এদিন হয় শুনানি। শুনানি হয় জেলা বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেশার এজলাসে। শুনানি চলে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে।

    মুসলিমদের তরফে আবেদন করেছে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। আর হিন্দুদের পক্ষ থেকে আবেদন করেছেন লক্ষ্মীদেবী, রাখি সিং, সীতা সাহু, মঞ্জু ব্যাস এবং রেখা পাঠক।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    সোমবার শুনানির সময় ১৯ জন আইনজীবী এবং ৪ জন আবেদনকারী সহ মোট ২৩ জনকে আদালত কক্ষে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছিল। অশান্তির আশঙ্কায় আদালত চত্বরে ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার। বারাণসী আদালতে উভয় পক্ষের তরফে মোট ৭টি দাবি পেশ করা হয়েছে। হিন্দুদের দাবি পাঁচটি। আর মুসলমানদের তরফে দাবি করা হয়েছে দুটি। হিন্দুদের দাবি, শৃঙ্গার গৌরীতে (Shringar Gauri) নিত্যদিন পুজোর অনুমতি দিতে হবে। ওজুখানার জলাধারে পাওয়া শিবলিঙ্গের (shivling) পুজোর অনুমতি দিতে হবে। বিকল্প ওজুখানার (Wazukhana) ব্যবস্থা করতে হবে। নন্দীর সামনের দেওয়াল ভেঙে ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে হবে। এবং শিবলিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত জরিপ করতে হবে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    এদিকে, একটি পিটিশন দাখিল করে মুসলিম পক্ষ দাবি করেছে দুটি। তারা ওজুখানা সিল করার বিরোধিতা করেছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, জ্ঞানবাপী জরিপ (Gyanvapi survey) ও ১৯৯১ সালের প্রার্থনাস্থল  আইনে (Places of Worship Act, 1991) মামলা নিয়ে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বারাণসী আদালতকে শুনানির জন্য চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে শুনানি শেষ করতে বলেছে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞাপবাপী মসজিদ। হিন্দুদের দাবি, মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে, ষোড়শ শতকে। পরে বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন রানি অহল্যাবাই। আর মুসলিম পক্ষের দাবি হল, ভারতীয় সংবিধানে উপাসনা স্থান সংক্রান্ত বিশেষ বিধান। এই আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্টের আগে তৈরি হওয়া উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। সেই কারণেই জ্ঞানবাপী মসজিদে হস্তক্ষেপে বাধা দিচ্ছে মুসলিম পক্ষ।

     

  • Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Letter to Modi: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করছে রাজ্য! প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Mamata government) জারি করা নির্দেশিকায় কেন্দ্রের প্রকল্পের (central projects) নাম বদল করে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের নামে। শাসকদলের (TMC) ‘নির্দেশে’ এই কাজ করছেন খোদ জেলাশাসক (District Magistrate)। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। 

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, কেন্দ্রের অন্তত ৩টি প্রকল্পের নাম রাজ্যের নামে বদল করেছেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) জেলাশাসক তথা কালেক্টর অরবিন্দ কুমার মীনা (Arvind Kumar Mina)। শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশেই এই কাজ করছেন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের আধিকারিক। 

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, এই আমলার কাজ একজন আইএএস অফিসারের কর্তব্যের পরিপন্থী। চিঠিতে শুভেন্দু উল্লেখ করেন, কীভাবে কেন্দ্রের তিন প্রকল্প — প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা ও স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের নাম বদল করে যথাক্রমে বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও মিশন নির্মল বাংলা রাখা হয়েছে।

    রাজ্য সরকারের যে নির্দেশিকায় এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, টুইটারে (Twitter) তার ছবি প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি লেখেন, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের এই নির্দেশিকা দেখে আমি বিস্মিত। কার কথায় তিনি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করলেন? না কি তিনি নিজের ইচ্ছেতে এই কাজ করেছেন? একজন কেন্দ্রীয় ক্যাডারের অফিসারের থেকে এটা আশা করা যায় না। 

    পরে, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির সঙ্গেও সরকারি নির্দেশিকার একটি কপিও পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে মোদিকে পাঠানো চিঠির প্রতিলিপিও সামাজিক মাধ্য়মে (social media) প্রকাশ করেন শুভেন্দু। সেখানেও তিনি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তোলেন। ওই আমলার (IAS) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

     

LinkedIn
Share