Blog

  • PAN Aadhaar: বার্ষিক ২০ লক্ষের বেশি টাকার লেনদেন করছেন? এখন থেকে নতুন নিয়ম মানতে হবে

    PAN Aadhaar: বার্ষিক ২০ লক্ষের বেশি টাকার লেনদেন করছেন? এখন থেকে নতুন নিয়ম মানতে হবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নগদ টাকার লেনদেনে রাশ টানতে নতুন পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। সব অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে বছরে ২০ লক্ষের বেশি টাকার লেনদেনে প্যান কার্ড বা আধার কার্ডের তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হল। নতুন এই নিয়ম লাগু হবে ২৬ মে থেকে। সিবিডিটির (CBDT) পক্ষ থেকে আয়কর আইনের অধীনে এই নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছে।

    রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক হোক বা সমবায় কিংবা পোস্ট অফিস, সব জায়গাতেই এক বা একাধিক অ্যাকাউন্টে ২০ লক্ষ টাকা নগদ জমা বা নগদ টাকা তোলার ক্ষেত্রে প্যান (PAN Card) বা আধারের (Aadhaar Card) তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি সব ধরনের ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও প্যান কার্ডের তথ্য দেওয়ার বাধ্যতামূলক নিয়ম করা হয়েছে।   

    এতদিন পর্যন্ত একটি অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণের বেশি লেনদেন করলে প্যান বা আধারের তথ্য দিতে হত। সব অ্যাকাউন্টে একসঙ্গে নজরদারি চালানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এবার সেই উপায় নিয়েই হাজির মোদি সরকার। একসঙ্গে ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করলে তথ্য চাওয়া হত। বার্ষিক লেনদেনে কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। এবার বার্ষিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও এল নতুন নিয়ম। 

    দীর্ঘদিন ধরেই করদাতাদের কারচুপিতে নাজেহাল কেন্দ্র। যাদের রোজগার বেশি, তাও কেন তাঁরা আয়করের (Income Tax) আওতায় নেই তা খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্র। সেকারণেই ২০ লক্ষ টাকার বেশি সমস্ত লেনদেনের ওপর নজরদারি চালাতে চাইছে তারা।

    তাছাড়া, ২০ লক্ষের বেশি লেনদেনে প্যান-আধার বাধ্যতামূলক করা হলে, নগদে লেনদেনের প্রবণতা কমতে পারে বলেও মনে করছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে ভারতকে ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’ (Cashless Economy) করার যে উদ্যোগ নিয়েছিল মোদি (Modi) সরকার সেই পথেও কিছুটা অগ্রসর হওয়া যাবে বলে আশাবাদী সরকারি আধিকারিকরা।

    নিয়ম অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির প্যান তথ্য সরবরাহ করতে হয়, কিন্তু তাঁর কাছে সেই মুহূর্তে প্যান কার্ড না থাকে, তবে তিনি আধারের বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণ দিতে পারেন। 

     

  • Pooja Singhal: আর্থিক অনিয়ম আমলার! ৫ দিনের ইডি হেফাজতে আইএএস পূজা সিঙ্ঘল

    Pooja Singhal: আর্থিক অনিয়ম আমলার! ৫ দিনের ইডি হেফাজতে আইএএস পূজা সিঙ্ঘল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) খনিজ দফতরের সচিব তথা আইএএস (IAS) পূজা সিঙ্ঘলকে (Pooja Singhal) গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কেন্দ্রের মনরেগা (MGNREGA) তহবিলের টাকা তছরুপের অভিযোগ ছিল ঝাড়খণ্ডের খনিসচিব পূজার বিরুদ্ধে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিল ইডি। বুধবার দীর্ঘক্ষণ জেরার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আপাতত পাঁচ দিন ইডি-র হেফাজতে থাকবেন তিনি।

    মনরেগা প্রকল্পের তহবিলে আর্থিক অনিয়মের এই মামলায় পূজা ছাড়াও অভিযুক্ত তাঁর স্বামী অভিষেক ঝা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সুমন কুমার। গত শুক্রবারই সুমনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বুধবার গ্রেফতার হল পূজাও।  

    মনরেগা প্রকল্পের অর্থ তছরুপ মামলায় গত ২০১২ সাল থেকেই তদন্ত চলছে। তবে পূজার সঙ্গে এই মামলার যোগ সম্প্রতিই প্রকাশ্যে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন পূজার ১৫০কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির সন্ধান পায় ইডি। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি-সহ দেশের ১৮টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয় পূজা, তাঁর স্বামী এবং তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যোন্ট সুমনের বাড়ি থেকে। শুধু সুমনের বাড়ি এবং অফিসে থেকেই ১৭ কোটি ৭৯ লক্ষ নগদ টাকা পায় ইডি। ইডি জানিয়েছে, বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকের পদে থাকাকালীন পূজা এবং তাঁর স্বামী অভিষেকের অ্যাকাউন্টে বেতন ছাড়াও প্রায় ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা জমা পড়ে। 
      
    খুঁটি জেলায় মনরেগা প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে ২০২০ সালে ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রাক্তন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রামবিনোদ প্রসাদ সিন্‌হার গ্রেফতারি দিয়ে মামলাটি শুরু হয়। পরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার হওয়ার পরে রামবিনোদ জানান, নয়ছয় হওয়া টাকার পাঁচ শতাংশ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে কমিশন হিসেবে দিতে হয়েছিল তাঁকে। পুলিশ পুরনো রেকর্ড দেখে জানতে পারে, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন খুঁটির ডেপুটি কমিশনার ছিলেন পূজা। এর পরই গোয়েন্দা সংস্থাটি পূজার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।

     

  • Sri Lanka: অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    Sri Lanka: অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচে উত্তপ্ত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri lanka)। ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে পরিস্থিতি। প্রেসিডেন্ট গোতবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) ও সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের (Mahinda Rajapaksa) পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরাল বিক্ষোভকারীরা। আগুন শাসকদলের আরও এক সাংসদ এবং এক প্রাক্তন এক মন্ত্রীর বাড়িতেও। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ ও তাঁর সহকারীদের সুরক্ষায় নামানো হল সেনা। মাহিন্দার সরকারি আবাসন থেকে গুলিবর্ষণ করা হয় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে। এরপরেই খেপে যান বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রথমে মূল ফটক ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস।

    মাসকয়েক ধরে অর্থনৈতিক সঙ্কটে (economic crisis) ভুগছে শ্রীলঙ্কা। দেশের বিদেশি মুদ্রার হাল তলানিতে। বিদেশি দেনার দায়ে বন্ধ নিউজপ্রিন্ট আমদানি। কাগজের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজের পরীক্ষা। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দর লাগামছাড়া। নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। ভিটেমাটি ছেড়ে দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে দলে দলে লোকজন ঠাঁই নিচ্ছেন পড়শি দেশের শরণার্থী শিবিরে। এমতাবস্থায় ক্রমেই চড়ছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের আঁচ। প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধীরা। বিক্ষোভ সামাল দিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাতেও অবশ্য দমানো যায়নি বিক্ষোভকারীদের।

    আরও পড়ুন :প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    শনিবার রাতে মাহিন্দার পৈতৃক বাড়মেদামুলানা ওয়ালাওয়াতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের। উত্তেজিত জনতা মেদামুলানাতে ডিএ রাজাপক্ষে সৌধেও আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয় মোরাতুয়া মেয়র শামন ফার্নান্দো, কুরুনেগালা মেয়র থুসারা শানজিওয়া এবং পার্লামেন্ট সদস্য সনৎ নিশান্থা, রমেশ পথিরানা, মহীপালা হেরাথ, থিসা কুট্টিয়ার্চি এবং নিমল লাঞ্জার বাড়িতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ ও তাঁর সহকারীদের সুরক্ষায় নামানো হয়েছে সেনা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে মাহিন্দার সরকারি আবাসন থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। কমবেশি জখম হন অন্তত ১৩০ জন। ক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে মূল ফটক ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেন। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জল কামান। তার পরেও পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আসেনি। তার জেরেই বিক্ষোভকারীদের কড়া হাতে দমন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনাকে। কলম্বোয় জারি করা হয়েছে কার্ফু। 

     

  • Modi in Gujarat: “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    Modi in Gujarat: “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত আট বছরে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi), সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Ballavbhai Patel) স্বপ্ন পূরণে কাজ করেছে সরকার। গুজরাতে (Gujarat) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, “বাপু চাইতেন গরিব, দলিত, মহিলা, আদিবাসীদের ক্ষমতায়ন। যেখানে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া তাঁদের অধিকার। আমরা মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছি। সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি।” জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং করোনা অতিমারীর সময় বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশের সেবা করার জন্য কোনও প্রচেষ্টাই আমি ছাড়িনি। এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়।”

    আরও পড়ুন : গণতন্ত্র রক্ষায় মোদির অবদান, প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন

    ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আট বছর পূর্ণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন গুজরাতের রাজকোট জেলার আটকোট শহরে ২০০ শয্যার একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সভায়ই তাঁর আট বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বে কী কী কাজ করেছেন, তার ফিরিস্তি দেন। বলেন, “গত আট বছরে তিন কোটির বেশি পরিবারকে পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। ১০ কোটি পরিবারকে শৌচাগার দেওয়া হয়েছে। ৯ কোটি নারীকে এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আড়াই কোটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ছয় কোটি পরিবারকে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত যোজনা বিমা প্রকল্পে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ।”

    মোদি বলেন, “এগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি দেশের দরিদ্রদের মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ।” তাঁর দাবি, গত আট বছরে তাঁর সরকার দরিদ্রদের উন্নতির জন্য কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অর সব কা প্রার্থনা’ মন্ত্র দিয়ে আমরা দেশের উন্নয়নে নতুন দিক নির্দেশনা করেছি।” প্রত্যেক ভারতীয়কে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পূরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    ডবল ইঞ্জিন সরকারের (Double engine government) স্বপক্ষেও এদিন ফের সাফাই গেয়েছন মোদি। বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের কারণে গুজরাত উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ’১৪ সালের আগে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। আমরা যদি কেন্দ্রে (ইউপিএ সরকারের কাছে) উন্নয়ন প্রকল্পের কোনও ফাইল পাঠাতাম, তাহলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করত। এখন আর তা হয় না। আমাদের যে জীবনধারা বদলের প্রয়োজন রয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। বলেন, কারও অসুস্থ হওয়া উচিত নয়। আমাদের এমন একটা জীবনধারা তৈরি করতে হবে, যাতে আমরা অসুস্থ না হয়ে পড়ি।

     

  • Vladimir Putin: অস্ত্রোপচার পুতিনের! কেমন আছেন রুশ নেতা?

    Vladimir Putin: অস্ত্রোপচার পুতিনের! কেমন আছেন রুশ নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা চলছিলই,  এবার এল অস্ত্রোপচারের খবর। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President) ভ্লাদিমির পুতিনের(Vladimir Putin) তলপেটে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। কোনওরকম জটিলতা ছাড়াই পুতিনের তলপেটে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, বলে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের খবর। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিনের তলপেটে অস্ত্রোপচার করে ফ্লুইড বের করা হয়। অস্ত্রোপচারটি হয় ১২ ও ১৩ মে’র রাতে। তবে এর সঙ্গে ক্যান্সারের কোনও সম্পর্ক নেই।

    রাশিয়ার ফরেন ইনটেলিজেন্স (Foreign Intelligence Service) সার্ভিসের সঙ্গে টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘জেনারেল এসভিআর’র কথোপকথন থেকেই এই খবর জানা যায়। এই অস্ত্রোপচারের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠকেও অংশ নিতে পারেননি রুশ নেতা। নেতাদের উদ্দেশে পুতিনের বক্তব্য আগে থেকে রেকর্ড করা ছিল। তাই বৈঠকে দেখানো হয়।

    ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের তরফে  টেলিগ্রাম বার্তারও কিছু অংশ প্রকাশ করা হয়। যেখানে রুশ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, পুতিনের যে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল তা এখনও হয়নি। এটা চিকিৎসার একটি ধাপ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের অস্ত্রোপচার এবং তার সাময়িকভাবে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়াটি, পরের দিন ‘ডিপফেইক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেখানো হয়। যদিও এই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।  

    আরও পড়ুন: পুতিনের অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    এর আগেও পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রাক্তন ব্রিটিশ গুপ্তচর ক্রিস্টোফার স্টেলি জানান, পুতিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। তা নিরাময় যোগ্য কিনা সে সম্পর্কেও কিছু নিশ্চিত করে বলেননি স্টেলি। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান দাবি করেছিলেন, পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে তিনজন করে চিকিৎসক থাকছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন একজন ক্যানসার স্পেশালিস্টও। পুতিনের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে মুখ খোলেন রাশিয়ার এক ধনকুবেরও। তবে ক্রেমলিন কখনওই রুশ নেতা পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে কিছু খবর প্রকাশ্যে আনেনি।  

  • Father-Daughter: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

    Father-Daughter: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবাকে আদর্শ করে তাঁর দেখানো পথে হাঁটতে পৃথিবীর সব মেয়েই চান। আবার বাবার পেশাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখে থাকেন। তবে এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে খুব সংখ্যক কেই দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে সেই বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করে ভারতীয় বায়ুসেনায় একইসঙ্গে যুদ্ধবিমান ওড়ালেন বাবা-মেয়ে। আকাশে বিমান ওড়ানোর এই ঘটনাটি বর্তমানে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আর বাবা-মেয়ের যুগলবন্দীতে বিমান ওড়ানোর মুহূর্তটি ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। একই ফাইটার জেট আকাশে ওড়ালেন বাবা-মেয়ের জুটি। প্রথমবার এমন নজির দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force)।

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    ভারতীয় বায়ুসেনায় আধিকারিক পদে রয়েছেন সঞ্জয় শর্মা (Sanjay Sharma)। আর মেয়ে অনন্যা শর্মা (Ananya Sharma) ফাইটার পাইলট হিসেবে ২০২১ সালে বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। এবার অনন্যা শর্মা ও তাঁর বাবা ভারতীয় বিমান বাহিনীতে এক ইতিহাস তৈরি করেছেন। বাবা এবং ছেলের একসঙ্গে যুদ্ধবিমান ওড়ানোর দৃশ্য আগে অনেকবার দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায়। কিন্তু বাবা আর মেয়ের জুটি এর আগে কখনও দেখা যায়নি৷ আর এবার সেই শূন্যতাই পূরণ করলেন বায়ুসেনা আধিকারিক সঞ্জয় শর্মা এবং ফ্লাইং অফিসার অনন্যা শর্মা।

    ছোট থেকেই তিনি তাঁর বাবাকে দেখেছেন ভারতীয় বায়ুসেনায় বিমান চালাতে। আর সেই থেকেই তাঁর মনেও একইরকম হওয়ার ইচ্ছে ছিল। এমনকি এই পেশা ছাড়া অন্য কোনও পেশার কথা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি। এমনটিই জানিয়েছেন অনন্যা। কিন্তু তাঁর এই পথ এতটাও সহজ ছিল না। কারণ আগে মেয়েদের জন্য বিমান ওড়ানোর অনুমতি ছিল না। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রথম মেয়েদের ফাইটার পাইলট হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরেই ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশনে অনন্যা বি টেক সম্পন্ন করে আইএএফ-এর ফ্লাইং শাখার প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন। এরপরেই তিনি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একজন ফাইটার পাইলট হিসেবে নিযুক্ত হন। অন্যদিকে ১৯৮৯ থেকে ভারতীয় বায়ুসেনাতে কর্মরত আছেন তাঁর বাবা সঞ্জয় শর্মা ।  

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    চলতি বছরের ৩০মে এই পিতা-কন্যার যুগলবন্দীতে যুদ্ধ বিমান চালানোর ঘটনাটি ঘটে। এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছেন এই জুটি।

     

  • Matchmaking to employees: বিয়ে করলে বাড়ে বেতন এবার কর্মীদের জীবনসঙ্গীও খুঁজে দেবে সংস্থা

    Matchmaking to employees: বিয়ে করলে বাড়ে বেতন এবার কর্মীদের জীবনসঙ্গীও খুঁজে দেবে সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্থার স্বার্থে কর্মীরা যাতে মন দিয়ে কাজ করেন এবং অল্পদিনেই কাজ ছেড়ে চলে না যান , তাই  অভিনব উদ্যোগ নিল তামিলনাড়ুর এক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা। বিয়ে হলে কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার রীতি আগে থেকেই ছিল  মাদুরাই ভিত্তিক শ্রী মুকাম্বিকা ইনফোসলিউশনসে। এবার পছন্দমতো জীবনসঙ্গী খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব নিল সংস্থা। একই সঙ্গে  ছয় মাস অন্তর কর্মীদের বেতনও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার এই সিদ্ধান্তে খুশি কর্মীদের একাংশ।

    ওই সংস্থায় কর্মীদের স্থায়িত্ব খুব বেশিদিনের হয় না। পাঁচ বছরের কম সময় চাকরি করেই ছেড়ে দেন অনেকে। কাজ শিখে যাওয়ার পরই উচ্চ বেতনের আশায় অন্য জায়গায় চলে যান কর্মীরা। তাই কর্মীদের আনুগত্য ধরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে অনুমান। ওই সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যা ৭৫০জন। এর মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ কর্মী পাঁচ বছরের বেশি সময় ওখানে কাজ করেছেন।

    শিবকাশিতে ২০০৬ সালে সংস্থার কাজ শুরু হয়। পরে মাদুরাইতে সরে যায় অফিস। এখন ওই সংস্থার মাসিক আয় ১০০কোটি টাকা। বিয়ে করলে কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার রীতি আগেই ছিল এই সংস্থায় তবে এবার সঙ্গীও খুঁজে দেওয়া হবে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও এমপি সেলভাগনেশ জানিয়েছেন, কর্মীদের তিনি নিজের ভাই-বোনের মতো দেখেন।  অনেক কর্মীই গ্রাম থেকে এসেছেন। কারও বাবা-মায়ের অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে, সন্তানের জন্য পাত্র-পাত্রী খোঁজার মতো অবস্থা নয়। তাই সংস্থার পক্ষ থেকে অ্যালায়েন্স মেকার নামে একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাত্র-পাত্রী খুঁজে দেওয়া হবে।

     

  • Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) । কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী। পরেশ অধিকারীর মামলা শুনবে না বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা থেকে অব্যাহতি চাইল বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    গতকাল, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার জেরেই পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: আজই হয় হাজিরা সিবিআইয়ে নয়তো হেফাজত, গ্রেফতারি এড়াতে ডিভিশন বেঞ্চে মন্ত্রী পার্থ

    নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান পরেশ অধিকারী। সিবিআই-জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি টন্ডনের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মামলা থেকে অব্যাহতি চান বিচারপতি টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হবে পরেশ অধিকারীকে। কিন্তু, কলকাতায় না থাকায় সেই হাজিরা দেননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।

    এদিকে, পরেশের কলকাতায় আসা নিয়েও তৈরি হয় ধোঁয়াশা। গতকাল আদালত যখন রায় দিচ্ছিল, সেই সময় মেখলিগঞ্জে ছিলেন পরেশ। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ে অঙ্কিতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত পৌনে ৮টার পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। কিন্তু, বুধবার সকালে দেখা যায়, পদাতিক এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে কলকাতায় পৌঁছলেও, তাতে নেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা। আজ সকাল ৬টা ৪৫-এ শিয়ালদা স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছয় পদাতিক এক্সপ্রেস। ট্রেন অ্যাটেন্ড্যান্ট জানান, এইচ-১ কামরার নম্বর সি কুপে ছিলেন পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।

    ট্রেনের অ্যাটেন্ড্যান্ট দাবি করেন, মাঝপথেই  ট্রেন থেকে নেমে যান মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা। পরে, জানা জায়, বর্ধমান স্টেশনে নেমে যান তাঁরা। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। জানা গিয়েছে, ভোর ৪: ৫২ মিনিটে বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে থামে পদাতিক এক্সপ্রেস৷ মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর সঙ্গে ভোর ৪: ৫৬ মিনিট নাগাদ দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷ এরপর ভোর ৫:০৪ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশন চত্বর থেকে একটি সাদা স্করপিও গাড়িতে করে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷

    আরও পড়ুন: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

  • Chennai: এটিএমের বিনে ১৫ লক্ষ টাকার সোনা ফেললেন মহিলা, কেন?

    Chennai: এটিএমের বিনে ১৫ লক্ষ টাকার সোনা ফেললেন মহিলা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহিলা এবং সোনার যেন জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক। সোনা-গয়না পছন্দ করেন না এমন মহিলার সংখ্যা এদেশে প্রায় অমিল। একজন মহিলা গয়নার জন্যে কত দূর যেতে পারেন ‘মণিহার’ গল্পে দেখিয়ে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই সব মোহমায়া ত্যাগ করে এক মহিলা নাকি ১৫ লক্ষ টাকার সোনা (Gold Worth 15 Lakh) ফেলে এলেন এটিএমে রেখে দেওয়া পাত্রে (ATM Bin)। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ে (Chennai)।

    আরও পড়ুন: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল….       

    এটিএম কিয়ক্সটির নিরাপত্তারক্ষী এটিএমের ভেতরে একটি চামড়ার ব্যাগ খুঁজে পাওয়ার পরই বিষয়টি সকলের নজরে আসে। ব্যাগটি খুলে দেখা যায়, রয়েছে লক্ষ-লক্ষ টাকার গয়না। প্রথমে ওই নিরাপত্তারক্ষী ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে কুন্দ্রাথুরের (Kundrathur) পুলিশকে জানানো হয়। 

    পুলিশের কাছেও ওইদিনই ৩৫ বছরের এক মহিলার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন এক দম্পতি। সেদিন ভোর ৪টে থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁদের মেয়ে। পরে দম্পতি জানান, তাঁদের মেয়ে সকাল সাতটাতেই ফিরে এসেছেন। পুলিশের বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায়, ওই এটিএম এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ওই দম্পতিকে দেখানো হয়। ভিডিও দেখে দম্পতি নিশ্চিত করেন ওই ভিডিওতে তাঁদের মেয়েই রয়েছেন, যার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বাইকের বদলে ঘোড়া! জলমগ্ন মুম্বইয়ে খাবার পৌঁছে দিতে একি করলেন সুইগি বয় 

    দম্পতি পুলিশকে জানান, তাঁদের সন্তান হতাশার শিকার এবং তাঁর ঘুমের ঘোরে হাঁটার (Sleep Walking) অভ্যেস রয়েছে। চিকিৎসাও চলছে তাঁর। 

    আরও পড়ুন: পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয় গেলেন ছাত্রী, বেরোলেন সদ্যোজাত কোলে নিয়ে!

    কুন্দ্রাথুর থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর চন্দ্রু জানান, “নিরাপত্তারক্ষী ঠিক সময় খবর না দিলে ওই গয়না উদ্ধার করা সম্ভব হত না।” পরে পুলিশ ওই দম্পতির হাতে সোনা তুলে দেয় এবং নিরাপত্তারক্ষী এবং ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তাঁদের সাহায্যের জন্যে  ধন্যবাদ জানায়। 

     

  • Modi: “বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি…”, আঞ্চলিক ভাষা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য মোদির

    Modi: “বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি…”, আঞ্চলিক ভাষা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ভারতের (India) গর্ব। ভাষা-বৈচিত্র্যও তার ব্যতিক্রম নয়। নানা-ভাষার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভারতের সংস্কৃতি। প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষাই দেশের কাছে গর্বের বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। জয়পুরে বিজেপির (BJP) দলীয় সম্মেলনে শুক্রবার মোদি বলেন, “ভাষা নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।” 

    দলের দু’দিনের সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা (Regional languages) সম্পর্কে শুক্রবার মোদি বলেন,”অতীতে দেখা গিয়েছে, ভাষার ওপর ভিত্তি করে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। বিজেপি জানে, দেশের সংস্কৃতি বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়। প্রত্যেকটি আঞ্চলিক ভাষাই সমানভাবে পূজনীয়। বিজেপি দেশের প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষার প্রতিই শ্রদ্ধাশীল। ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ভাষার ভূমিকাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।”‌ প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে জানান, দেশে যে জাতীয় শিক্ষা নীতি তৈরি হচ্ছে, তাতে আঞ্চলিক ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভাষাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনওরকম অশান্তি না হয়, সেজন্য দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সম্প্রতি হিন্দিকে সরকারি ভাষা করা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, মোদির  এই বক্তব্য তাকে প্রশমিত করবে বলেই আশা রাজনৈতিক মহলের।

    [tw]


    [/tw]

    গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সংসদীয় সরকারি ভাষা কমিটির সদস্যদের জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের যে কর্মসূচি তৈরি হয়, তার ৭০ শতাংশই হিন্দিতেই হয়। সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির থেকে হিন্দিই বেশি গ্রহণযোগ্য। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা ইংরেজির বিকল্প হতে পারে না। শাহের এই ধরনের মন্তব্যে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিরোধীরা সরব হয়ে ওঠেন। তাঁদের দাবি ছিল, শাহ হিন্দিকে দেশের সরকারি ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ভারত যেখানে বহু ভাষাভাষীর দেশ, সেখানে এভাবে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এই প্রসঙ্গে মোদি এদিন বলেন, “বিরোধীরা যে কোনও ছোট ছোট বিষয় নিয়েই বিতর্ক তৈরি করে যা দেশবাসীর স্বার্থে কাম্য নয়।”

LinkedIn
Share