Blog

  • Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের  

    Jammu Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের (Jammu Kashmir delimitation) বিরুদ্ধে পাকিস্তানের (Pakistan) সংসদে পাশ হয়েছে প্রস্তাব। প্রস্তাবটি ‘প্রহসনমূলক’ (farcical resolution) বলে জানিয়ে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (ministry of external affairs)।  মঙ্গলবার মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকারই পাকিস্তানের নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) সহ সমগ্র জম্মু-কাশ্মীর (jammu & kashmir) এবং লাদাখ (Ladakh) ভারতের (India) অবিচ্ছেদ্য অংশ।

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয় নরেন্দ্র মোদির (modi) সরকার। ভূস্বর্গকে আক্ষরিক অর্থেই শান্তির স্বর্গে পরিণত করতে কোমর কষে নামে মোদি-অমিত শাহ (Amit Shah) জুটি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের কার্যত দুরমুশ করে দিয়ে ফের কেন্দ্রের কুর্সিতে ফেরে বিজেপি। তার পরেই কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। উপত্যকায় ফেরে শান্তি। জম্ম-কাশ্মীরকে সুশাসন দিতে সেখানে বিধানসভা ভোট করার প্রস্তুতি শুরু করে মোদি সরকার। শুরু হয় সীমানা পুর্নবিন্যাসের কাজ। সম্প্রতি শেষও হয়েছে কাজ। ডিলিমিটেশন কমিশনের জমা দেওয়া রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরে লোকসভা কেন্দ্র হয়েছে পাঁচটি। প্রত্যাশিতভাবেই আসন সংখ্যা বেড়েছে বিধানসভারও।

    ভারতের এই সীমানা পুনর্বিন্যাসের ঘটনায় ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিল ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন ওআইসি (OIC)। বিশ্বের ৫৭টি দেশ এই সংগঠনের সদস্য। তাদের অভিযোগ, কাশ্মীরিদের অধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত। সোমবার ইসলামিক দেশগুলির এই সংগঠনকেও কড়া জবাব দিয়েছিল ভারত। বিদেশ মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ওআইসির এই ধরনের ‘অযৌক্তিক মন্তব্য’ করা উচিত নয়।

    সীমানা পুনর্বিন্যাসের নিন্দা করে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে (Pakistan national assembly) একটি প্রস্তাব পাশ হয় গত সপ্তাহে। পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সংসদে প্রস্তাবটি পেশ করে বলেছিলেন, কৃত্রিমভাবে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী শক্তি বদলে দেওয়ার লক্ষ্যেই ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এদিন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিদেশ সচিব অরিন্দম বাগচি বলেন, অবৈধভাবে এবং জোর খাটিয়ে পাকিস্তানের দখল করা ভারতীয় ভূখণ্ড-সহ ভারতের কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য বা হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই। তিনি বলেন, ভারতীয় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাক সংসদে যে প্রহসনমূলক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, তা আমরা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিবৃতিতে এও বলা হয়, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের অনুশীলন একটি গণতান্ত্রিক অনুশীলন। যারা যারা এতে প্রভাবিত হবেন, তাদের সবার সঙ্গেই বিস্তারিত পরামর্শের পরেই এই কাজ করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক বিষয় যে, পাকিস্তানের নেতৃত্ব নিজেদের ঘর গোছানোর পরিবর্তে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছে এবং ভিত্তিহীন ও উস্কানিমূলক ভারত-বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

    ভারতের দাবি, পাকিস্তানকে অবিলম্বে ভারত বিরোধী আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে এবং ভেঙে দিতে হবে তার সন্ত্রাসবাদের পরিকাঠামো।

    আরও পড়ুন : ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

  • Taj Mahal: কী আছে তাজমহলের বন্ধ ঘরগুলিতে? ছবি প্রকাশ করল এএসআই 

    Taj Mahal: কী আছে তাজমহলের বন্ধ ঘরগুলিতে? ছবি প্রকাশ করল এএসআই 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহল নিয়ে গোটা বিশ্বের কৌতূহলের শেষ নেই। তাহমহলের খানিকটা অংশ জনসাধারণের দর্শনের জন্যে খোলা থাকলেও, বেশ খানিকটা অংশ এখনও রয়েছে সাধারণের চোখের আড়ালে। শোনা যায়, তাজমহলের (Taj Mahal) ২২টি ঘর নাকি আজও তালাবন্ধ। কী আছে দরজার (Closed Rooms) ওপারে? এনিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বার বার সেই ঘরগুলি খোলার দাবি তোলা হয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি। সম্প্রতি ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাজমহলের বন্ধ ঘরের বিতর্ক। এলাহাবাদ হাইকোর্টে ওই বন্ধ ঘর খোলার দাবিতে পিটিশনও দেন এক বিজেপি নেতা। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। 

    এবার তাজমহলের মধ্যে থাকা কয়েকটি বন্ধ ঘরের ছবিই প্রকাশ করল খোদ আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archaeological Survey of India)। বেসমেন্টে থাকা কয়েকটি ঘরের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে এএসআই-এর ওয়েবসাইটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে জায়গাগুলি ক্ষয়ে গিয়েছে, সেখানে আবার নতুন করে প্লাস্টার করা হয়েছে। মেরামতির আগে এবং পরের দুই ছবিই প্রকাশ করেছে এএসআই (ASI) কর্তৃপক্ষ। 

    এএসআই-এর দাবি, এই মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছিল ২০২১-এর ডিসেম্বরে এবং শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। এক এএসআই আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে এবিষয়ে বলেন, “ছবিগুলি ২০২২ সালের জানুয়ারির নিউজলেটারের অংশ হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে কেউ ওয়েবসাইটে গিয়ে তা দেখতে পারেন।”

    [tw]


    [/tw]

    অর্থাৎ এলাহাবাদ হাইকোর্টে পিটিশন দেওয়ার বেশ খানিকটা আগেই তাজমহল নিয়ে মানুষের কৌতূহল প্রশমন করার চেষ্টা করেছে ভারত সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। 

    এএসআই দাবি করে, ২০০৬-০৭ সালেও ঘরগুলির মেরামত করা হয়েছিল। এএসআই-এর ওয়েবসাইটে সেই ছবিও আপলোড করা হয়। এবারও যে বন্ধ ঘরগুলি মেরামতের জন্য খোলা হয়েছিল, সেই ছবিও আপলোড করা হয়েছে ওয়েবসাইটে।   

    কিছুদিন আগেই ২২টি বন্ধ ঘর খোলার দাবিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্টে করা পিটিশনে বলা হয়েছিল, তাজমহলের যে ২২টি ঘর বছরের পর বছর ধরে বন্ধ রয়েছে, তা খোলা হোক এবং সেখানে কী রয়েছে, তা নিয়ে এএসআইকে তদন্ত করার অনুমতি দেওয়া হোক। যদিও আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আর তারপরেই এএসআই- এর এই ছবি প্রকাশ। এএসআই- এর তরফে বলা হয়েছে, ওই বন্ধ ঘরগুলি নিয়ে কোনও গোপনীয়তা নেই। এগুলো শুধুই কাঠামোর অংশ। 

     

  • Reliance Jio:  ইস্তফা মুকেশ আম্বানির! রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদে পুত্র আকাশ

    Reliance Jio:  ইস্তফা মুকেশ আম্বানির! রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদে পুত্র আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিলায়েন্স জিও-এর দায়িত্বে নতুন মুখ। ছেলের হাতে ব্যাটন তুলে দিলেন বাবা। দেশের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio)-এর ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছে সংস্থার পরিচালন পর্ষদ। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন মুকেশ-পুত্র আকাশ আম্বানি (Akash Ambani)।

    সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৭ জুন রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মুকেশ আম্বানি। চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর ছেলে আকাশকে অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড। তাঁকে সংস্থার নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবেও নিয়োগ করা হয়েছে। সংস্থার তরফে মঙ্গলবার স্টক এক্সচেঞ্জে এই খবর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ২৭ জুন বাজার বন্ধ হওয়ার পর রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। আকাশ আম্বানিকে বোর্ডের (রিলায়েন্স জিও-এর) চেয়ারম্যানের পদে বসানো হচ্ছে। 

    পরবর্তী প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে মুকেশের এই সিদ্ধান্ত বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি তাঁর পরবর্তী প্রজন্মকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন মুকেশ। তিনি বলেছিলেন, যেভাবে তাঁর বাবা ধীরুভাই আম্বানি তাঁদের তৈরি করেছিলেন, সেভাবেই নিজের সন্তানদের তৈরি করতে চান তিনি। প্রসঙ্গত, ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক আকাশ। ২০১৪ সালে রিলায়েন্স জিও-র বোর্ডে যোগ দেন তিনি। জিও-৪জি (Jio 4G) সফল হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। উল্লেখ্য, এমন সময় আকাশ দায়িত্ব নিলেন, যখন দেশে কয়েক মাসের মধ্যেই ৫-জি (5G) পরিষেবা শুরু হতে পারে। আকাশ কার্যত বড় ধরনের এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেন। রিলায়্যান্সের (Reliance) সম্পত্তি বৃদ্ধির দিকেও যেমন তাঁকে নজর দিতে হবে, নজর রাখতে হবে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির দিকেও।

    আরও পড়ুন: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছে পঙ্কজ মোহন পাওয়ারকে। ২৭ জুন থেকে আগামী পাঁচ বছর এই পদে থাকবেন তিনি। ওই দিন জিও’র বোর্ড অব ডিরেক্টরদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাধীন ডিরেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামিন্দর সিং গুজরাল এবং কে ভি চৌধুরীকে।

  • Rahul Gandhi: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    Rahul Gandhi: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চর্চায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল রাহুল গান্ধীর প্রতিবেশী দেশের নাইট ক্লাবে (Night Club) পার্টি করার ভিডিও। ভিডিওয় ক্লাবের আলো আধারিতে হঠাৎই মুখ ভেসে ওঠে কংগ্রেস সাংসদের। নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডুর (Kathmandu) একটি নাইট ক্লাবে বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতিকে। মঙ্গলবার ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল (viral video) হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।     

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) প্রথম টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেন। টুইটে তিনি লেখেন, “গোটা মুম্বই যখন অবরুদ্ধ তখন  রাহুল গান্ধী ছিলেন নাইট ক্লাবে। তাঁর দলে যখন একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে, তখন তাঁকে উল্লাসে মাততে দেখা গেল।” 

    [tw]


    [/tw]

    যদিও এখনও পর্যন্ত ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায় নি। তবে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ভিডিওটি কাঠমান্ডুর একটি নাইট ক্লাবের। সোমবার এক সাংবাদিক বন্ধু সুমনিমা দাসের বিয়েতে গিয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের এই সদস্য। বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল ম্যারিয়ট (Mariott) হোটেলে।  

    এদিন রাহুল (Rahul) গান্ধীর ভিডিও সামনে আসতেই আক্রমণ শানায় ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) জার্মানি, ডেনমার্ক, ফ্রান্স সফরকেও রেয়াত করেনি হাত শিবির। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, “দেশে যখন একটা সঙ্কটময় পরিস্থিতি চলছে, তখন সাহেব বিদেশ ভ্রমণে ব্যস্ত।” এরপরই রাহুল গান্ধীর নাইট ক্লাবের ভিডিও প্রকাশ্যে এলে কংগ্রেসকে (Congress) খোঁচা মারতে এক মূহূর্তও দেরি করেনি বিজেপি।

     

     

  • Haridwar: হয় নাতি-নাতনির মুখ দেখাও না হলে ৫ কোটি টাকা দাও! ছেলে-বৌমাকে প্রৌঢ় দম্পতি

    Haridwar: হয় নাতি-নাতনির মুখ দেখাও না হলে ৫ কোটি টাকা দাও! ছেলে-বৌমাকে প্রৌঢ় দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে আসলের থেকে সুদের দাম বেশি। দাদু-দিদাদের কাছে নাতি-নাতনিদের আদর সব সময় বেশি। নাতি বা নাতনিদের যাবতীয় আব্দার মেটান দাদু-দিদারাই। বাবা-মার শাসন করলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দাদু-দিদার কোলে চলে যায় ছোট শিশু। তাঁদের প্রশয়ে বাড়ির মাথা হয়ে যায় ছোট-ছেলে বা মেয়েটি। কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়ির বড়দের কাছেই ছোট শিশুকে রেখে কাজের জগতে বেড়িয়ে পড়ে বাবা-মা। অবসর জীবনে দাদু-দিদারও সঙ্গী হয়ে যায় নাতি-নাতনি। শিশুর হাঁটা-চলা না থাকলে বাড়ি ফাঁকা লাগে এমনটাই ভাবেন দাদু-দিদারা। তাই নাতি-নাতনি না থাকলে হতাশ হন দাদু-দিদারা। কিন্তু দাদু-দিদা না হতে পারার জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে পুত্র এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করার ঘটনা বিরল। এই  অবাক ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে।

    ছেলে বৌমার বিয়ে হয়েছে ২০১৬ সালে, তারপর কেটে গিয়েছে ৫ বছর। এখনও তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। সন্তান হোক, সেটাও চান না তাঁরা। বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি ছেলের মা। তাই শেষ পর্যন্ত কোর্টের দ্বারস্থ হলেন শাশুড়ি। শুধু তাই নয়, পুত্র  ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মামলা করেছেন তিনি।  প্রৌঢ় এস আর প্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রীকে এই যন্ত্রণা নিয়ে গিয়েছে আদালতের দরজা পর্যন্ত।

    আদালতে এস আর প্রসাদ ছেলের কাছে দাবি করেছেন, “হয় তোমরা নাতি-নাতনি দাও, না হলে ৫ কোটি টাকা দাও।” বৃদ্ধ ওই দম্পতি জানিয়েছেন যে, ছেলের পড়াশোনার পেছনে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছেন তাঁরা। বিদেশে পড়িয়েছেন। ছেলেকে একজন সফল পাইলট বানিয়েছেন। ২০১৬ সালে ছেলের বিয়ে দেন তাঁরা। সেই বিয়েতেও বিশাল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছিল। মা, বাবা নিজেদের টাকা খরচ করে নব দম্পতিকে তাইল্যান্ডে মধুচন্দ্রিমায় পাঠিয়েছিলেন।

    কিন্তু সমস্যার শুরু তারপর থেকেই। শাশুড়ি জানিয়েছেন, বিয়ের পরই পুত্রবধূ তাঁর ছেলেকে হায়দরাবাদে গিয়ে থাকতে বাধ্য করে। তারপর থেকে বাবা মায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে ছেলের। ওই দম্পতির কথায়, নাতি বা নাতিনি  যা-ই হোক তাতেই তাঁরা খুশি। তাই কোর্টে গিয়ে মামলা করেছেন তাঁরা। মামলায় বলা হয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে যদি পুত্র  ও পুত্রবধূর সন্তান না হয়, তাহলে বাবা ও মা’কে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

     

  • Whatsapp Blocking: কী করে বুঝবেন কেউ আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করেছে কি না?

    Whatsapp Blocking: কী করে বুঝবেন কেউ আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করেছে কি না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp Block)। সে কোনও অফিসিয়াল কাজেই হোক বা স্রেফ আড্ডা, এই অ্যাপটি যেন গোটা বিশ্বের মানুষকে টেলিফোনের স্ক্রিনে এনে হাজির করেছে। কিছু কিছু সময় দেখা যায় আমরা নির্দিষ্ট কাউকে হোয়াটসঅ্যাপে কল বা মেসেজ করতে পারছি না। আপনার পাঠানো মেসেজটিতে একটি মাত্র টিক দেখাচ্ছে। অথবা সেই ব্যক্তির প্রোফাইল ছবিটিও দেখতে পাচ্ছেন না। এ থেকে ধরে নেওয়া যেতেই পারে সেই ব্যক্তি আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করেছেন। কিন্তু অনেক সময় এটা সঠিকভাবে বোঝা যায় না আপনাকে ব্লক (Block) করা হয়েছে কি না। তখন কী করবেন? 

    কিছু বিষয় খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন আপনি ব্লকড কি না।

    ১। প্রথমেই দেখুন যে  ব্লক করেছে বলে সন্দেহ করছেন তাঁর লাস্ট সিন দেখতে পাচ্ছেন কি না। ব্লক করা হলে লাস্ট সিন দেখা যায় না।  

    ২। যদি দেখেন সেই ব্যক্তির প্রোফাইল পিকচার দেখা যাচ্ছে না তাহলে অনেকটাই নিশ্চিত হতে পারেন যে সেই ব্যক্তি আপনাকে ব্লক করেছে। কিন্তু অনেক সময় তা নাও হতে পারে। সেই ব্যক্তির প্রোফাইলে কোন ছবি না থাকলে বা আপনার নম্বর তাঁর ফোনে সেভ করা না থাকলেও এমনটা হতে পারে। 

    ৩। যদি কেউ আপনাকে ব্লক করে তাহলে আপনি তাঁকে কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করতে পারবেন না। সেটাও একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। 

    ৪। সেই ব্যক্তিকে কল করে দেখুন। চারটি পরীক্ষাতেই যদি নেতিবাচক ফল পান তাহলেই নিশ্চিত হয়ে যান যে আপনার নম্বরটি ব্লক করা হয়েছে। 

     

  • Modi in Germany: জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মিউনিখে মোদি

    Modi in Germany: জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মিউনিখে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি-৭ সম্মেলনে (G-7 Summit) যোগ দিতে দু দিনের সফরে জার্মানি (Germany) পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার সকালে মিউনিখ বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এই সফরে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে জি-৭ গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। সম্মেলন শেষে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও যাওয়ার কথা তাঁর।
    জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি হল, জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।  ভারতের পাশাপাশি এবারের জি-৭ সম্মেলনে আর্জন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অতিথি দেশ হিসেবে। এই সম্মেলনে শক্তি, খাদ্য সুরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ দমন, পরিবেশ এবং গণতন্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ
    এদিন জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানাতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক ট্যুইটবার্তায় বলেন, জলবায়ু, শক্তি, খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ এবং অন্য বিষয়গুলি নিয়ে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন মোদি। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের জি-৭ বৈঠকে ইউক্রেন সংকট নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের।
    চলতি বছরেরই মে মাসে জার্মানি সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-জার্মানি ইন্টার গভর্নমেন্টাল কনসালটেশনের ষষ্ঠ দফার বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। জি-৭ সম্মেলেন যোগ দিতে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত-জার্মানি ইন্টার গভর্নমেন্টাল কনসালটেশনের পর এবার আবার স্কোলেসের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আনন্দিত হব। জানিয়েছিলেন, জার্মানিতে ইউরোপে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করতেও উদগ্রীব তিনি। 
    এদিকে, জি-৭ সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী যাবেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ২৮ জুন সেখানে প্রাক্তন শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়াবনের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করবেন তিনি। 

    আরও পড়ুন : ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে দ্রৌপদীর উপলব্ধি অসাধারণ: মোদি
    এদিকে ২৬ জুন তাঁর মন কি বাত কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন জরুরি অবস্থা জারির ৪৭তম বর্ষপূর্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,গণতন্ত্রকে পিষে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। দেশের মানুষ জরুরি অবস্থাকে দূরে সরিয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। গণতন্ত্রের কাছে স্বৈরতন্ত্র হেরেছিল। মোদি বলেন, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে মহাকাশ খাতে অনেক বড় কাজ হয়েছে। দেশের এই সাফল্যগুলির মধ্যে একটি হল ইন-স্পেস নামের একটি সংস্থা তৈরি করা। 

  • Sukanta Attacks Mamata: “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Attacks Mamata: “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের কাঁধে বন্দুক রেখে ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রল-ডিজেলের দাম (petrol diesel price) হ্রাস সম্পর্কে এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumdar)। তাঁর দাবি, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমিয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেও, বাস্তবে তা হয়নি।

    রবিবার পেট্রলে লিটারপ্রতি ৮ টাকা এবং ডিজেলে ৬ টাকা করে শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠক করে পেট্রোলের ওপর ২ টাকা ৮০ পয়সা এবং ডিজেলের ওপর ২ টাকা ৩ পয়সা ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করুন।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও, আদৌ কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। হিসেব কষে বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “কেন্দ্র ছাড় দেওয়ার পর ২২ তারিখ রাজ্যে পেট্রলের দাম ছিল ১০৬ টাকা ৩০ পয়সা। রাজ্য ২ টাকা ৮০ পয়সা ছাড়ের কথা ঘোষণা করে ২৩ তারিখ। তাহলে ২৪ তারিখ পেট্রোলের দাম হওয়ার কথা ১০৩ টাকা ২৩ পয়সা। সুকান্তের দাবি, যদিও বাস্তবে তা হয়নি। ২২ তারিখ এবং তার পরের দিন পেট্রোলের দাম একই ছিল।”

    আরও পড়ুন : “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গতকাল নিজের মুখে প্রেস কনফারেন্সে স্বীকার করেছেন, কেন্দ্র পেট্রলের ওপর লিটার প্রতি ৮ টাকা ছাড় দেওয়ায় রাজ্যের লোকসান হচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, এটা সুস্পষ্ট করে মাননীয়া নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কেন্দ্র পেট্রল-ডিজেল থেকে যা টাকা প্রাপ্ত করে সেখান থেকে একটা অংশ রাজ্যকে ফেরত দেয়।”

    অঙ্কের হিসেব কষে সুকান্ত বলেন, “দিদির অঙ্কের ভাষায় কেন্দ্রের ছাড় দেওয়া ৮ টাকা থেকে রাজ্য ফেরত পেত ১ টাকা ৮০ পয়সা। ডিজেলের ক্ষেত্রে ৬ টাকা থেকে রাজ্য ফেরত পেত ১ টাকা ৩ পয়সা। সুকান্তের দাবি, ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকার পেট্রল-ডিজেলের ওপর ১ টাকা ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিল। ওই ১ টাকা ছাড় এবং কেন্দ্রের বর্তমান ৮ টাকা ছাড়ের মধ্যে রাজ্যের ফেরত পাওয়া ১ টাকা ৮০ পয়সা যোগ করে ২ টাকা ৮০ পয়সা রাজ্যের ছাড় বলে চালিয়ে দিলেন!”

    সুকান্ত বলেন, “মমতা (mamata) যে আদৌ কোনও ছাড় দেননি, তা পেট্রল পাম্পে গিয়ে বুঝতে পারছেন সাধারণ মানুষ। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর ২ টাকা ৮০ পয়সা ছাড়ের পরেও পেট্রল-ডিজেলের দাম কমেনি।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “কেন্দ্রের কাঁধে বন্দুকটা রেখে আবার বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর

    পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়লে যে আদতে রাজ্যেরই লাভ হয়, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “অবশ্য সব চালাকির মধ্যেও একটা ভাল জিনিস স্বীকার করেছেন যে, পেট্রল-ডিজেলের ওপর কেন্দ্রের প্রাপ্ত টাকা থেকে রাজ্য টাকা ফেরত পায়। অর্থাৎ পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়লে পক্ষান্তরে রাজ্যের কোষাগারেরই লাভ হয়। আর উনি দোষ দেন কেন্দ্রকে।” সুকান্তের প্রশ্ন, এভাবে আর কতদিন মানুষকে বোকা বানাবেন মাননীয়া?  

    এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাকে গুজরাত হতে দেবেন না। অথচ গুজরাতে পেট্রলের দাম ৯৬ টাকার আশেপাশে। অথচ বাংলায় ১১০ টাকারও বেশি।

     

  • Amarnath Yatra 2022: অপেক্ষার আর মাত্র তিনদিন! অমরনাথ যাত্রা ঘিরে নিরাপত্তা তুঙ্গে

    Amarnath Yatra 2022: অপেক্ষার আর মাত্র তিনদিন! অমরনাথ যাত্রা ঘিরে নিরাপত্তা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র তিন দিনের অপেক্ষা। দীর্ঘ দু বছর পর শুরু হতে চলছে বার্ষিক অমনাথ যাত্রা ( Amarnath Yatra)। এই তীর্থযাত্রায় কোনও রকম নাশকতামূলক কাজ রুখতে সচেষ্ট কেন্দ্র। সে কারণে সমগ্র জম্মু-কাশ্মীরকে (Kashmir) নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে বলে জানালেন এক নিরাপত্তা আধিকারিক।

    সেনা সূত্রে খবর, অমরনাথ যাত্রার তীর্থযাত্রীদের উপর হামলা রুখতে ও সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালানো হয়েছে। সীমান্তে কোনও সুড়ঙ্গ রয়েছে কিনা তা সনাক্ত করতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ (CRPF) এবং বিএসএফ (BSF) যৌথভাবে সাম্বা, কাঠুয়া এবং জম্মু জেলার সামনের গ্রামে অনুসন্ধান অভিযান চালিয়েছে। 

    অমরনাথ যাত্রীদের ( Amarnath Yatra) যাত্রা সুরক্ষিত রাখার জন্য সীমান্ত ও হাইওয়ে গ্রিড শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত চেকপোস্টও স্থাপন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৪৩ দিনের যাত্রাটি দুটি পাহাড়ি রুট থেকে শুরু হওয়ার কথা। একটি হল দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের পহেলগামের (Pahalgam) নুনওয়ান থেকে গুহা মন্দির পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার পথ এবং দ্বিতীয়টি হল মধ্য কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলার বালতাল (Baltal) থেকে ১৪ কিলোমিটার ছোট পথ। দুই বছরের ব্যবধান কাটিয়ে আগামী ৩০ জুন থেকে অমরনাথ যাত্রা শুরু হবে। শেষ হবে রাখী পূর্ণিমার দিন ১১ আগস্ট।

    অমরনাথ যাত্রা উপলক্ষে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মী, বিশেষ করে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সকে হাই-টেক গ্যাজেটে দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে এই বিশেষ গ্যাজেটের নাম গোপন রাখা হয়েছে। তাছাড়াও তীর্থযাত্রায় নজরদারির জন্য ড্রোনের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর। ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি এবং ড্রোনের নজরদারি চলবে। ১১ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রার জন্য নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া। ১৩ বছরের নীচে, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী এবং কোনও গর্ভবতী মহিলাকে যাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যাত্রার জন্য মেডিক্যাল ফিট সার্টিফিকেট এবং আধার কার্ড অবশ্যই লাগবে।

  • Punjab: চরম আর্থিক সংকটের মুখে পাঞ্জাব? দাবি আপের শ্বেতপত্রে

    Punjab: চরম আর্থিক সংকটের মুখে পাঞ্জাব? দাবি আপের শ্বেতপত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের (Punjab) অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে এগোচ্ছে। শনিবার পাঞ্জাব বিধানসভায় (Punjab State Assembly) রাজ্যের আর্থিক বিষয়ক শ্বেতপত্র (White Paper) পেশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, বর্তমানে আর্থিক মন্দা এবং ঋণের ফাঁদে রয়েছে পাঞ্জাব। অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা (Harpal Singh Cheema) এদিন এটি পেশ করেন ও আর্থিক বিশৃঙ্খলার জন্য আগের সরকারকে দায়ী করেছেন তিনি।

    পঞ্জাবের বাজেট পেশের সময় রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, “পাঞ্জাব আর্থিক সংকটের মুখে। সেখানে ঋণের পরিমাণও অনেক বেড়ে গিয়েছে। আগের সরকারগুলি পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টে যথেচ্ছ ব্যয়, খয়রাতি এবং অযোগ্য ভর্তুকি করার ফলে রাজস্বে বিপুল ঘাটতি হয়। বর্তমানে পাঞ্জাবের ঋণ বাকি রয়েছে ২.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা, যা রাজ্যের জিডিপির ৪৫.৮৮ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: দেশের পাঁচটি রাজ্যে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি কয়েকটি জায়গায়

    শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, অর্থ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি করা হবে আগের কংগ্রেস শাসিত সরকার একথা বললেও রাজ্য ঋণ পরিশোধ করেনি। তারপর সরকার বদল হলে, ২৪,৩৫১.২৯ কোটি টাকার দায়ভার পাঞ্জাবের নতুন সরকারকে হস্তান্তর করে দেয়, যেটি আগামী বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

    গত পাঁচ বছরে, রাজ্যের ঋণ ৪৪.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা বছরে ৭.৬০ শতাংশের হারে বেড়েছে। শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যের বকেয়া ঋণ ১৯৮০-৮১ সালে ১০০৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০১১-১২ সালে ৮৩,০৯৯ কোটি টাকা এবং ২০২১-২২ সালে আরও বেড়ে ২,৬৩,২৬৫ কোটি টাকা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তানও?

    যে পাঞ্জাব দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে মাথাপিছু আয়ে (Per Capita Income) এক নম্বরে ছিল, এটি এখন অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকে পিছিয়ে রয়েছে এবং শীর্ষ থেকে ১১ তম অবস্থানে নেমে গিয়েছে। পাঞ্জাবকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে  আনতে ও আর্থিক পরিস্থিতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে, সরাসরি রাজস্ব বৃদ্ধির ব্যবস্থা সহ ব্যয়ের প্রতিশ্রুতিগুলিকে গুরুত্ব সহকারে পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে শ্বেতপত্রে।

LinkedIn
Share