Blog

  • R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি কখনো  ইসরোর(ISRO) বৈজ্ঞানিক নাম্বি নারায়নের (Nambi Narayan) নাম শুনেছেন, যাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল?‌ আপনি না জেনে থাকলেও এবার জানতে পারবেন কারণ বলিউড অভিনেতা আর মাধবন (R Madhavan) তাঁরই গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন। কারণ আর মাধবন ‘‌রকেট্রি:‌ দ্য নাম্বি এফেক্ট’ (Rocketry: The Nambi Effect) ‌-এর  মাধ্যমে নাম্বি নারায়নের জীবনকাহিনী তুলে ধরবেন। মাধবন এই ছবির মাধ্যমেই তাঁর পরিচালনার প্রথম কাজ শুরু করতে চলেছেন ও এই সিনেমায় প্রধান অভিনেতাও তিনি। পরিচালনা ও অভিনয় ছাড়াও তিনি সিনেমার গল্প ও গান লিখেছেন।

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে মুক্তি পেল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর ট্রেলার

    তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই সিনেমার জন্য মাধবন কী কী করেছেন। মাধবন এক সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে নাম্বি নারায়ণ  গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন। তিনি এই সিনেমায় নাম্বি নারায়ণের মত লুকস আনার জন্যে নিজের চোয়াল পর্যন্ত ভাঙতে রাজি হয়েছেন। মাধবনের দাঁতও যাতে  নাম্বি নারায়ণের মত দেখতে হয় তার জন্য তিনি এই কাজ করেছেন। তাঁর এটি করতে প্রায় এক থেকে দেড় বছর লেগেছে। তবে আর মাধবনের এটিই প্রথম ও শেষ পরিচালনা। কারণ তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে অভিনেতা হিসাবেই দেখতে চান। 

    আরও পড়ুন: বলিউড মাদক মামলায় এনসিবির খসড়া চার্জশিটে উঠল রিয়া, সৌভিকের নাম

    তিনি আরও জানিয়েছেন যে  এই সিনেমা পরিচালনার জন্য অন্য পরিচালক ছিল। কিন্তু সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার এক মাস আগে পরিচালক এই সিনেমা পরিচালনা করতে না পারায়, শেষপর্যন্ত তাঁকেই এই দায়িত্ব নিতে হয়। এবং এই সিনেমাটি করে তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী যে তিনি ছবিতে নাম্বির জীবনকাহিনী কে ঠিক পথেই তুলে ধরতে পেরেছেন। তিনি কখনোই নিজেকে পরিচালক পদের জন্য যোগ্য, এই বিষয়টি প্রমাণ করতে চাননি। প্রথম থেকেই তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নাম্বি নারায়ণের জীবনের গল্পকে ভারতবাসীর সামনে তুলে ধরা।

    প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে এই সিনেমাটি। হিন্দির পাশাপাশি তেলুগু, কন্নড় এবং মালায়ালম ভাষাতেও দেখা যাবে ছবিটি। 

  • PM Modi: বারাণসীতে মোদির ‘অক্ষয়পাত্র’, এক সঙ্গে ১ লক্ষ পড়ুয়াকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা

    PM Modi: বারাণসীতে মোদির ‘অক্ষয়পাত্র’, এক সঙ্গে ১ লক্ষ পড়ুয়াকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক হাজার স্কুল পড়ুয়ার জন্য করা যাবে রান্না। আজ, বৃহস্পতিবার যোগী রাজ্যের বারাণসীতে এমনই একটি বিশাল মিড-ডে মিল (Mid-Day Meal) কিচেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কিচেনের নাম দেওয়া হয়েছে অক্ষয় পাত্র মিড-ডি মিল কিচেন (Akshay Patra Mid Day Meal Kitchen)। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাণসীতে তৈরি এই রান্নাঘরে রয়েছে অত্যাধুনিক ও উন্নত মানের রান্নার সরঞ্জাম। এই অতিকায় রান্না ঘরে অন্তত ২৫ হাজার স্কুল পড়ুয়ার মিড-ডি মিল বানানো যাবে।

    এই অক্ষয়পাত্র কিচেনের উদ্বোধন ছাড়াও এদিন ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন মোদি।  অক্ষয়পাত্র কিচেনটি রয়েছে বারাণসীর আরদানি বাজার এলাকায়। বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির জন্য অত্যানুধিক সব মেশিন রয়েছে এই রান্নাঘরে। চাল-ডাল, সবজির পাশাপাশি চাপাটিও এক সঙ্গে তৈরি করা যাবে বিপুল পরিমাণে। ২৫ হাজার শিশুর রান্না করা তো যাবেই, প্রয়োজনে ১ লক্ষ বাচ্চার খাবারও প্রস্তুত করা যাবে অত্যাধুনিক এই রান্নাঘরে। বারাণসী জেলার ১৪৩টি প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চারা উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন  এই রান্নাঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবে। এদিন কয়েকজন বাচ্চার সঙ্গে দেখাও করেন প্রধানমন্ত্রী। রন্ধনকর্মীর পাশাপাশি বিপুল আয়তনের রান্নাঘর পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে কর্মীও।

    আরও পড়ুন : ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    এই রান্নাঘরের পাশাপাশি এদিন আরও প্রায় ৩১টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মোদি। বলেন, আমরা উন্নয়নের পথ দেখিয়েছি। কাজ করার সংকল্প ও কঠিন পরিশ্রম করতে পারলে উন্নয়ন করা যায়। দেশজুড়ে যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন মোদি। হাসপাতাল তৈরি, ইনস্যুরেন্স সহ নানা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন দেশবাসী। তিনি বলেন, উন্নয়ন মানে হল দরিদ্র, দলিত, মহিলা এবং পিছড়েবর্গদের ক্ষমতায়ন। তিনি বলেন, বারাণসীতে যে প্রজেক্টগুলো লঞ্চ করা হল, তার সুফল পারেন জেলাবাসী। উন্নত হবে তাঁদের জীবনযাপনের সূচক।

    আরও পড়ুন : শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

  • Blue Lobster: মৎস্যজীবীর জালে বিরল নীল গলদা চিংড়ি, মুহূর্তে ভাইরাল ছবি 

    Blue Lobster: মৎস্যজীবীর জালে বিরল নীল গলদা চিংড়ি, মুহূর্তে ভাইরাল ছবি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলদা চিংড়ি তো সবাই দেখেছেন। দেখে জিভে জলও এসেছে নিশ্চই। কিন্তু একেবারে নীল রঙের (Blue Lobster) চিংড়ি কি দেখেছেন কখনও? অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন চিংড়ি আবার নীল রঙের হয় নাকি! এমনই সুন্দর চিংড়ির হদিশ পেলেন এক মার্কিন মৎস্যজীবী (US Fisherman)। যুক্তরাষ্ট্রের লার্স-জোহান লারসন (Lars-Johan Larsson) নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি অত্যন্ত বিরল নীল গলদা চিংড়ি ধরেছিলেন। এই চিংড়ি এতটাই বিরল, যে ২০ লক্ষের মধ্যে মাত্র একটি এমন ধরনের চিংড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রবিবার চিংড়িটির একটি ছবি শেয়ার করে লারসন লিখেছেন, “এই নীল গলদা চিংড়িটি গতকাল পোর্টল্যান্ডের (Portland) উপকূলে ধরা পড়েছিল এবং পরে তাকে জলেই ফেরত পাঠানো হয়।” এমন উজ্জ্বল নীল রঙের চিংড়ির ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল (Viral) হয় নেট মাধ্যমে। ৫১৬,০০০ লাইক এবং ৪৩,০০০ বার রিট্যুইট করা হয় পোস্টটি। চিংড়ি যে এতটাও সুন্দর হতে পারে সেই ধারণা ছিল না অনেকেরই।   
     
    [tw]


    [/tw]

    স্বাভাবিকভাবেই তাজ্জব নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, “এত বছর বয়স হল, আজ প্রথম নীল গলদা চিংড়ি দেখছি।” অন্য আরেকজন লিখেছেন, “আমার সৌভাগ্য এমন বিরল প্রাণী দেখলাম। আশ্চর্য! লালের বদলে নীল রঙের।” আরও একজন আবার রসিকতা করে লিখেছেন, “সবসময় নীল রঙের বলেই ধরা পড়ে এবং নীল রঙের বলে ছাড়াও পেয়ে যায়।” 

    আরও পড়ুন: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল….

    কেউ কেউ আবার এও বলেছেন তাঁরাও এই বিরল প্রাণীটিকে ধরেছেন। একজন লেখেন, “লং আইল্যান্ড সাউন্ডে ১৯৯৩ সালের গ্রীষ্মে একটি নীল গলদা চিংড়ি ধরা পড়েছিল৷ আমরা ওকে একটি অ্যাকোয়ারিয়ামে দিয়ে এসেছিলাম যাতে দীর্ঘকাল বাঁচতে পারে.. দেখতে খুব সুন্দর ছিল”। আরেকজন লেখেন, “আমরা ১৫ বছর আগে নর্থ হ্যাভেনে একটি নীল গলদা চিংড়ি ধরেছিলাম। আমরাও জলেই ছেড়ে দিই”।

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?   
     
    বেশিরভাগ গলদা চিংড়ি বাদামী বা লাল রঙের হয়। মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের লবস্টার ইনস্টিটিউটের মতে, নীল গলদা  চিংড়ি খুবই বিরল এবং ২০ লক্ষের মধ্যে মাত্র একটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জিনগত অস্বাভাবিকতার কারণেই গলদা চিংড়িগুলি এই রঙের হয়। অন্যদের তুলনায় একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন বেশি উৎপাদন করে এই চিংড়িগুলি।  

     

  • Kashmir Killings: আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ

    Kashmir Killings: আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) জেহাদিদের নিশানায় হিন্দুরা। বিশেষ করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) উপর ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra) আগে কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি খতিয় দেখতে শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডাকলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval), জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা  (L-G Manoj Sinha) ও পুলিশপ্রধান। থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির শীর্ষ আধিকারিকরাও।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, কাশ্মীরে কোনও অশান্তি কেন্দ্র মেনে নেবে না। উপত্যকায় বারবার সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বাড়ছে। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধ পরিকর মোদি (Modi) সরকার। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে জঙ্গিরা। এই পরিস্থিতি দূর করতে আলোচনায় বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: আবারও নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কুলগামে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি

    সম্প্রতি কাশ্মীরে (Kashmir) টার্গেট কিলিং শুরু করেছে জঙ্গিরা। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি মাসের শেষ থেকে শুরু হবে অমরনাথ যাত্রা। তার আগে ফের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) হত্যা করা হচ্ছে ভূস্বর্গে। গত মঙ্গলবার একটি স্কুলে ঢুকে এক হিন্দু শিক্ষিকাকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। মাসখানেক আগে সরকারি অফিসে ঢুকে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কাশ্মীর (Kashmir)। পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এবার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের শিক্ষাব্যবস্থায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে জঙ্গিরা। কাশ্মীরি পণ্ডিত শিশুরা যেন পড়াশোনা করতে না পারে, সেই কারণেই স্কুলে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। গত মাসে ঠিক  সোপিয়ানে এক দোকানদারের উপর হামলা চালিয়েছিল দু’জন বাইক আরোহী। ওই দোকানদারও ছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত।

    এই ঘটনার পর উপত্যকা জুড়ে নিরাপত্তা এবং বিচারের দাবিতে পথে নামেন হিন্দু পণ্ডিতরা। শ্রীনগরের কাশ্মীরি পণ্ডিতরা পথ অবরোধ করে শিক্ষিকা হত্যার প্রতিবাদ করেন। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, অবিলম্বে তাঁদের কাশ্মীর থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। আরও জানা গিয়েছে, একদিনের মধ্যেই কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। উপায় না থাকায় পায়ে হেঁটেই কাশ্মীর থেকে জম্মুর দিকে রওনা দিয়েছেন অনেকে। প্রায় চার হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের দ্রুত জম্মুতে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! কুলগামে নিহত স্কুল শিক্ষিকা

    জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা শিক্ষিকা হত্যার ঘটনার নিন্দা করে বলেন,”হামলাকারীদের এমন একটি শিক্ষা দেওয়া হবে যা তারা কখনই ভুলবে না।”সম্প্রতি জঙ্গি হামলায় নিহত টিভি অভিনেতা আমরীন ভাট (Amreen Bhatt) এবং পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল্লাহ কাদরির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মনোজ। তাঁদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। 

  • Qutub Minar: কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য! দাবি প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিক আধিকারিকের

    Qutub Minar: কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য! দাবি প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিক আধিকারিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন স্মৃতি সৌধগুলি নিয়ে বিতর্ক দিন দিন বাড়ছে। অনেকেরই দাবি ভারতের ইতিহাসে সব সত্যি কথা বলা নেই। তাজমহল (Taj Mahal) বিতর্ক তো ছিলই এবার কুতুব মিনারকে (Qutub Minar) নিয়েও নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হল। কুতুবুদ্দিন আইবক নন, সূর্যের দিক নির্ণয়ের জন্য রাজা বিক্রমাদিত্য বানিয়েছিলেন কুতুব মিনার। কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন নয়, এমন দাবি করলেন খোদ ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের (ASI) প্রাক্তন আধিকারিক ধর্মবীর শর্মা। তাঁর কথায়, “এটি আদেও কুতুবমিনার নয়, বরং সূর্যের স্তম্ভ। পঞ্চম শতাব্দীতে রাজা বিক্রমাদিত্য এটি নির্মাণ করেছিলেন। কুতুবুদ্দিন আইবক করেননি। আমার কাছে এই সংক্রান্ত অনেক প্রমাণ আছে।’ প্রসঙ্গত, এই প্রাক্তন আধিকারিক বেশ কয়েকবার কুতুব মিনার নিয়ে কাজও করেছেন। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দিল্লি শাখার আঞ্চলিক প্রধান ছিলেন ধর্মবীর শর্মা। ফলে তাঁর যুক্তিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হবে তা বলাই বাহুল্য।    

    আরও পড়ুনঃ জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত
     
    এবিষয়ে ধর্মবীর শর্মা বলেন, “কুতুব মিনারের মাথাটি ২৫ ইঞ্চি হেলে রয়েছে। কারণ এটি সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তাই, ২১ জুন অয়নকালের সময় সূর্যের অবস্থানে বিশেষ পরিবর্তন হয়। আধ ঘণ্টা সেখানে ছায়া পড়ে না। পুরো বিষয়টিই বিজ্ঞান ও প্রত্নতাত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল।” 

    প্রাক্তন সরকারি আধিকারিক আরও বলেন “তাই এখন যাকে কুতুব মিনার বলা হয় সেটি একটি স্বাধীন পরিকাঠামো। এর সঙ্গে মসজিদের কোনও সম্পর্ক নেই। রাতে ধ্রুবতারা যাতে দেখা যায় সেজন্যে কুতুব মিনারের দরজাও উত্তরমুখী।”

    সম্প্রতি হিন্দু সংগঠন মহাকাল মানব সেবার বেশ কয়েকজন সদস্য কুতুব মিনারের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ তাঁদের দাবি কুতুব মিনারের  নাম পরিবর্তন করে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ রাখতে হবে। তাঁদের যুক্তি, এটি হিন্দু রাজাদের হাতেই নির্মিত! ধর্মবীর শর্মার দাবিতে সেই যুক্তি আরও জোড়ালো হল।   

    এই বিতর্কের মাঝেই এক নয়া তথ্য সামনে এসেছে। পুরোনো হিন্দু মূর্তি পাওয়া গিয়েছে কুতুব মিনার চত্বরে। ধর্মবীর শর্মা মূর্তিটিকে সনাক্ত করেন এবং জানান মূর্তিটি নরসিংহ দেবের। কুয়াত-উল-ইসলাম মসজিতে পাওয়া গিয়েছে মূর্তিটি। এই মসজিতটি কুতুব মিনার চত্বরে অবস্থিত। তথ্যটি সামনে আসতেই প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিকের দাবিটি আরও জোড়ালো হয়।    

    দাবি করা হচ্ছে মূর্তিটি ১২০০ বছরের পুরোনো এবং প্রতিহারার রাজা অনঙ্গপালের সময়ের।  ধর্মবীর শর্মা জানান, মূর্তিটি অষ্টম বা নবম শতাব্দীতে তৈরি। ওই সময়কালেই রাজত্ব করতেন অনঙ্গপাল। মূর্তিটির ছবি এই মুহূর্তে দায়িত্বে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিকদের পাঠানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    সম্প্রতি বেনারসের জ্ঞানবাপী মসজিতে শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবি করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। তাহমহলের বিষয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নাম পরিবর্তনের দাবিও উঠেছে। এরই মাঝে বিতর্কে জড়িয়ে গেল কুতুব মিনারের নাম।  

  • Hindu School Teacher Killed: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! কুলগামে নিহত স্কুল শিক্ষিকা

    Hindu School Teacher Killed: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! কুলগামে নিহত স্কুল শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সাধারণের রক্তে রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। আবারও কাশ্মীরে জঙ্গি নিশানায় হিন্দু।

    মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম (Kulgam) জেলার গোপালপোড়া (Gopalpora) এলাকায় জঙ্গিদের (Terrorists) গুলিতে আহত হন এক কাশ্মীরি স্কুল শিক্ষিকা (Kashmiri School Teacher)। আজ সকাল ১০ টা নাগাদ শিক্ষিকার মাথায় গুলি করে জঙ্গিরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে তাঁর মৃত্যু হয়। গোপালপোড়ার স্কুলটিতে হামলার জায়গায় দ্রুত সুরক্ষা বাহিনী গিয়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কিছুদিন আগেই বদগামে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন কাশ্মীরের স্থানীয় অভিনেত্রী আমরীন ভাট। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের জঙ্গি হামলার খবর পাওয়া গেল উপত্যকায়। এবারও, এক হিন্দুকে নিশানা করেছে জঙ্গিরা। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: জ্যাক, জন, আলফা, এই সাক্ষীদের গোপন বয়ানেই দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক, কারা এই সাক্ষী?

    মৃত শিক্ষিকার নাম রজনী বালা (Rajni Bala)। ৩৬ বছরের রজনী জম্মুর সাম্বার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষিকা ছিলেন কাশ্মীরের সংখ্যালঘু হিন্দু পণ্ডিত (Kashmiri Pandit) গোষ্ঠীর একজন। এই নিয়ে, চলতি মাসে জঙ্গি হামলায় সাত জনের মৃত্য়ু হল কাশ্মীরে। এদের মধ্যে চারজন ছিলেন পুলিশকর্মী। বাকিরা সাধারণ নাগরিক। 

    আরও পড়ুন: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি

    ঘটনাতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। ১২ মে কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট অফিসে কর্মরত অবস্থায় জঙ্গিদের হাতে খুন হন। একের পর এক এমন ঘটনায় উপত্যকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ফুঁসে উঠেছেন। তাঁদের বক্তব্য ফের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে।   

    সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত রাহুল ভাটের বাবা এদিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “কোনও একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করে খুন করা হচ্ছে।” নিহত স্কুল শিক্ষিকার এক আত্মীয় বলেন, “আমরা বিচার চাই। সরকার কড়া পদক্ষেপ নিক। বাইরে থেকে আসা কর্মচারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক সরকার।”

    জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করেছেন। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, “কাশ্মীরে স্কুল শিক্ষিকার ওপর জঙ্গি হামলা ন্যক্কারজনক ঘটনা। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যা তারা কখনও ভুলবে না।” 

     

     

  • Anurag Thakur: ভারতে শুটিং করতে এলে বড় ছাড় পাবে বিদেশি সিনেমাগুলি, ঘোষণা অনুরাগ ঠাকুরের

    Anurag Thakur: ভারতে শুটিং করতে এলে বড় ছাড় পাবে বিদেশি সিনেমাগুলি, ঘোষণা অনুরাগ ঠাকুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে শুটিং করতে আসা বিদেশি ছবিগুলির জন্যে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা করলেন ভারতের তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রী (Ministry of Information and Broadcasting)অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। মঙ্গলবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘দ্য ইন্ডিয়ান প্যাভিলিয়ন’-এর উদ্বোধন করেন অনুরাগ ঠাকুর। মন্ত্রী ছাড়াও এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সংগীত পরিচালক এআর রহমান, পরিচালক শেখর কাপুর, সিবিএফসি প্রধান প্রসূন যোশি। হাজির ছিলেন অভিনেতা আর মাধবন এবং নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিও। সেখানেই মন্ত্রী ঘোষণা করেন, বিদেশ থেকে ভারতে সিনেমার শুটিং এলে ৩০% ছাড় (Incentive) দেওয়া হবে। ছাড়ের সর্বোচ্চ পরিমাণ হবে ২,৬০,০০০ মার্কিন ডলার।  

    [tw]


    [/tw]

    অনুরাগ ঠাকুর তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “আমাদের ভারতে শুধু যে ফিল্ম ইন্ডাস্টি আছে তাই নয়, আমাদের আছে সিনেমা (‘মা’ শব্দে জোর দিয়ে বলেন মাতৃতন্ত্র বোঝাতে।) বিগত ২০ বছর ধরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে (Cannes International Film Festival) বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন ভারতীয় সিনেমার সাথে যুক্ত মানুষরা। এর আগে বিদ্যা বালান, শর্মিলা ঠাকুর, ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন, শেখর কাপুররা। এবার ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করছেন দীপিকা পাড়ুকোন। এটা আমাদের জন্যে অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”   

    মন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বের সব থেকে বড় সিনেমা সংরক্ষণ প্রকল্পটিও তৈরি হচ্ছে ভারতে। ২,২০০ সিনেমাকে সংরক্ষণ করা হবে। প্রকল্পটিতে খরচ হবে ৩৬৩ কোটি টাকা।” 

    এবছর কান চলচ্চিত্র উৎসব ভারতের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘কান্ট্রি অফ অনার’ সম্মান দেওয়া হয়েছে ভারতকে। ভারতই প্রথম দেশে যারা এই সম্মান পেল। জুরিদের দলে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। উৎসবের প্রথমদিন বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় তারকারা আলো করেছেন লাল গালিচা। উৎসবে অংশ নিয়েছেন এ আর রহমান, কমল হাসান, আর মাধবন, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, ঐশ্বর্য্য রাই, তামান্না ভাটিয়া, ঊর্বশী রাউতেলাসহ আরও অনেকে। সঙ্গীত পরিচালক  এ.আর রহমানের পরিচালিত প্রথম ছবি দেখানো হবে এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে। দক্ষিণের আর এক তারকা আর মাধবনের প্রথম পরিচালিত ছবিও দেখানো হবে উৎসবে। এছাড়া দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসানের ছবি ‘বিক্রম’-এর ট্রেলার লঞ্চ হবে। এক কথায় ফ্রান্সে এবার ভারতীয়দেরই জয়জয়াকার। তারই খুশিতেই মন্ত্রীর এই ঘোষণা বলে মনে করছেন অনেকেই।   

     

  • Madhyamik Passed Mother: স্বপ্ন পূরণ, দুই মেয়ের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করলেন মা 

    Madhyamik Passed Mother: স্বপ্ন পূরণ, দুই মেয়ের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করলেন মা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স যে শুধুই সংখ্যা তার প্রমাণ রেখে গিয়েছে অনেকেই। সেই খাতায় নাম লেখালেন ত্রিপুরার (Tripura) এক বাসিন্দা। স্বপ্ন পূরণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যদি জুড়ে যায় অদম্য জেদ তাহলে কোনও বাধাই যেন দমিয়ে রাখতে পারে না। আজ সেটাই করে দেখালেন পঞ্চাশোর্ধ শিলা রানি দাস (Shila Rani Das)। শৈশবের অধরা স্বপ্নকে পূরণ করলেন তিনি। জীবন পাঠশালার পাট চুকিয়ে দিলেও তাতে রাজি ছিলেন না শিলা দেবী। তাই নিজের দুই মেয়েকে পাশে নিয়ে করলেন মাধ্যমিক পাশ (secondary examination)। সঙ্গে দুই মেয়ে পেরোলেন উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary) গণ্ডি।

    আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে যোগীরাজ্যে গেরুয়া ঝড়, ত্রিপুরায় কুপোকাত তৃণমূল

    মাধ্যমিক পাশ করে উচ্ছ্বসিত শিলা রানি দাস জানান, “কিশোরী অবস্থায় একাধিকবার পরীক্ষায় বসার চেষ্টা করেছি। শেষবার স্বামীর মৃত্যু সবকিছু ওলটপালট করে দেয়। জেদ ছাড়িনি। তাই, আজ মাধ্যমিক পাশ করার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস      
     
    বুধবার ত্রিপুরার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বড়দোয়ালি মিলন সংঘ এলাকার বাসিন্দা শিলা রানি দাস(৫৩) এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। আপাতত তিনি পুরনিগমে কর্মরত। শিলা দেবী জানান, “১৯৯৪ সালে পরীক্ষায় বসার আবেদনপত্র জমা দিয়েও, পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। এরপর আরও দুবার চেষ্টা করেছি। স্বামী যেবার মারা গেলেন সেবারও পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। সবটা ওলটপালট হয়ে গেল। স্বামীর মৃত্যুর পর আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।” তাঁর কথায়, “মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার স্বপ্ন মনের মধ্যেই পুষে রেখেছিলাম। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

    নজরুল বিদ্যা মন্দির থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন শিলা রানি দাস। তাঁর দুই মেয়ে বাণী বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মা ও দুই মেয়ের সফলতায় খুশি পরিবারের সক্কলে।


     
    ছোট মেয়ে বলেন, “মা আজ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। ঠাকুরের অশেষ কৃপায় তা সম্ভব হয়েছে।” বড় মেয়ের কথায়, “শ্বশুর বাড়িতে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি। তাই মাকে বিশেষ সাহায্য করে উঠতে পারিনি। কিন্ত আজ ফলাফলে ভীষণ খুশি হয়েছি।” শিলা রাণী দাস বলেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দুই মেয়ে সাহস যুগিয়েছে। তাই আজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছি।” আগামীদিনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছেও রয়েছে বলে জানিছেন শিলা দেবী।

      

  • Covid Vaccine: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র

    Covid Vaccine: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস (Covid Vaccine) টিকার দ্বিতীয় (Second Dose) এবং বুস্টার ডোজের (Booster Dose) মধ্যে ব্যবধান কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ অনুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস বা ২৬ সপ্তাহ পরেই নেওয়া যাবে বুস্টার ডোজ। এত দিন সেই সময়সীমা ছিল ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে , ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন’ (NTAGI)- এর প্রস্তাব অনুযায়ী কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কমানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের
     
    দেশে কোভিড পরিস্থিতির ফের অবনতি হচ্ছে। মহামারীর মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে টিকাকরণে জোর দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিঠিতে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই নিতে পারবেন কোভিডের বুস্টার ডোজ। ১৮ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সীরা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরেই বেসরকারি কোভিড টিকা কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে পাবেন বুস্টার ডোজ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির কর্মীরা সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ পাবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রে। কোউইন পোর্টালের মাধ্যমেই টিকা নেওয়ার নতুন সময় দেখতে পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু

    দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভয় ধরাচ্ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। সংক্রমণ পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না যেতে পারে, সে জন্য টিকাকরণে জোর দিতে চাইছে সরকার। আরও দ্রুত বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়ে সুরক্ষিত করতে চাইছে কেন্দ্র। সে জন্যই দুই ডোজের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কমানো হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের মতে, দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতা। এর জেরে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা সহজতর হবে। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়ার বিষয়ে প্রচার চালানোর জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)।       

     

  • Consumer Protection Authority: কড়া পদক্ষেপে ক্রেতা সুরক্ষা, কমবে অ্যাপ ক্যাব যন্ত্রণা?

    Consumer Protection Authority: কড়া পদক্ষেপে ক্রেতা সুরক্ষা, কমবে অ্যাপ ক্যাব যন্ত্রণা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপ ক্যাব বুক করেছেন। দেখাচ্ছে দশ মিনিটের অপেক্ষা কিন্তু সময় গড়াচ্ছে ঘড়িতে। বিশ-পঁচিশ মিনিট কেটে গেলেও গাড়ির টিকি নেই। এমন অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বার যে ঘটনা ঘটেছে তা হল, অ্যাপ ক্যাব ড্রাইভার ফোন করে জানতে চাইলেন কোথায় যাবেন? গন্তব্য শোনার পর ফোনটা স্রেফ কেটে দিলেন। সঙ্গে কেটে দিলেন বুকিং লিঙ্কটাও। সেই পুরানো ট্যাক্সি রিফিউজালের মত। আপনি স্তম্ভিত। কিন্তু পালাবার পথ নেই। কারণ ততক্ষণে আপনি অ্যাপ ক্যাব জালে বন্দি। কারণ অ্যাপ তখন ফের গাড়ি খুঁজছে। আপনার ডেস্টিনেশনে। আবার সেই  দীর্ঘতর অপেক্ষা এবং রিফিউজাল (Refusal) অথবা দেরি করে গাড়ি আসা। অ্যাপের ঘড়ি তখন আপনার ঘড়ির থেকে বহু ধীরে ঘুরছে।  

    অপেক্ষা আর প্রত্যাখ্যান তো আছেই। এমন আরও অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে নিত্য অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারকারীদের। যেমন, যখন তখন বাড়তি ভাড়া বা সার্জ-প্রাইসিং (surge pricing)। যাত্রী হতবাক। পিক আওয়ার নয় তবু অ্যাপ ক্যাবের চার্জ পিকে কেন? প্রশ্ন করলে উত্তর নেই! কিন্তু গন্তব্যে যাওয়ার বাধ্যতা আছে। এরই মধ্যে আবদার আছে, “একটু বাড়তি (Extra Fare) দিয়ে দেবেন। বোঝেনই তো তেলের দাম…” এমন হাবভাব যেন আপনি নিজেই তেলের দাম বাড়িয়েছেন! সে কারণেই বুঝি খয়রাতির দায়ও আপনার!

    অনেকের আবদার ‘তেল কম এসি চলবে না’। আপনিও মেনে নেন। আগে তো সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাই। ঠান্ডা হাওয়া পরে খেলেও চলবে। এসির তাড়নায় তেল আরও কমে গেলে মাঝরাস্তায় বিপদ!  এমন আবদারও শুনেছেন নিশ্চিত, ড্রাইভার যাত্রীকে বলছে, আপনি বুকিং ক্যানসেল (ride cancel) করে দিন। আমি করব না। আপনি ক্যানসেলও করলেন না আবার গাড়িও এল না। অন্য গাড়ি বুকিং-ও হল না।

    এমন হাজারো অভিযোগ আসছিলই। এবার নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট অথরিটি জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর (CCPA)। ওলা (Ola), উবার (Uber) সহ সব অ্যাপ ক্যাবের প্রত্যাখান (refusal) বাড়তি ভাড়া নেওয়া (surge pricing) ঘোষিত পরিষেবা না দেওয়া নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলছে কেন্দ্রীয় কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট অথরিটি (The Central Consumer Protection Authority) বা সিসিপিএ (CCPA)।

    মঙ্গলবার চিফ কমিশনার নিধি খারে বিভিন্ন অ্যাপ ক্যাব কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠান। পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের ব্যাখ্যা চায়। জানা গেছে প্রায় অভিযোগের ৭১% বুকিং প্রত্যাখান নিয়ে। আর ৪৫% শতাংশের অভিযোগ প্রায় দেড় থেকে দুগুণ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন ড্রাইভাররা। ৩৮%-এর অভিযোগ যাত্রীকে ক্যানসেল করতে বাধ্য করা হচ্ছে। জানা গেছে, অ্যাপ-ক্যাব কর্তৃপক্ষকে সার্জ প্রাইসিং ও রাইড বাতিল করা নিয়ে নতুন নির্দেশিকাও দিচ্ছে জাতীয় উপভোক্তা নিগম, যা মেনে চলতে হবে সব পক্ষকেই। অন্যথায় কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে উবার-ওলাকে।  

    সিসিপিএ (CCPA) ওলা-উবার পরিচালকদের কাছে ৩০ দিন সময় দিয়েছে। তারমধ্যেই রাইড বাতিল, বাড়তি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক হতে বলেছে। নিজেদের ডেটাবেস থেকে কত রাইড বাতিল হয়েছে কি কারণে বাতিল সব তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী তিরিশ দিনের মধ্যে যাত্রী হেনস্থার সমস্যার সমাধান না হলে উবার-ওলার ভারতীয় নিয়ন্ত্রকদের বড়সড় জরিমানার মুখে পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা নিগম।

     

LinkedIn
Share