Blog

  • Calcutta Highcourt: এসএসসি শিক্ষকদের বদলির নিয়ম ‘বদলের’ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

    Calcutta Highcourt: এসএসসি শিক্ষকদের বদলির নিয়ম ‘বদলের’ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recduitment Scam)  নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে রাজ্যে, তখন শিক্ষকদের বদলির নিয়ম (Teachers Transfer Law) পালটে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। 

    ১৯৯৭ সালের এসএসসির আইনের (SSC Law) ১০বি ধারা অনুযায়ী, ৫ বছরের কম চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে বদলির সুযোগ ছিল না। এমনকী, শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও নিয়মে বদলি আটকে যেত। সেই নিয়মের বদল ঘটালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহের মধ্যে বদলির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, ‘অসুস্থতা কি ডাকবিভাগে বলে আসে? যে কোনও সময় যে কেউ অসুস্থ হতে পারেন।’

    আরও পড়ুন: বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদল, ঘোষণা মমতার, কে বাদ যাবেন, কে ঠাঁই পাবেন?

    কোন আবেদনে আইন বদল?

    বর্ধমান আউশগ্রামের হাতকিরিনগর বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা পাস করে চাকরিতে যোগ দেন। ওই স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন হামিদা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে হামিদা খাতুনের বাড়ি৷ ফলে, যাতায়াত মিলিয়ে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় তাঁকে। স্ত্রী রোগ সংক্রান্ত বিশেষ সমস্যা রয়েছে তাঁর।  চিকিৎসকরা জানান, শারীরিক কারণে এত দীর্ঘ পথ যাতায়াত করা তাঁর পক্ষে একেবারেই উচিত নয়।  

    ২০২১-এর ২৪ অগাস্ট হামিদা খাতুন বদলির জন্য আবেদন করলে তা বাতিল করে দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসির বদলির এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন হামিদা, সুদেষ্ণা বেরা, মাফুজা খাতুন-সহ অনেকেই। এদিন মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, অসুস্থতা কি জানিয়ে আসে? যে কোনও সময় মানুষ অসুস্থ হতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

    এর আগেও, ২০১৭ সালেও এসএসসির বদলির নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন স্নিগ্ধা দত্ত নামে এক শিক্ষিকা। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্য করেছিলেন, ‘গোলি মারো রুলো কো।’  তারপরেও কিন্তু বদলির নিয়ম পাল্টায়নি।

  • Jhulan Purnima 2022: রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ঝুলন উৎসব, জানুন ঝুলনযাত্রার মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য

    Jhulan Purnima 2022: রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ঝুলন উৎসব, জানুন ঝুলনযাত্রার মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসে শুক্লা একাদশী থেকে পূর্ণিমা, এই পাঁচদিন ধরে অনুষ্ঠিত হয় বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব ঝুলন উৎসব। রাখি পূর্ণিমার মাধ্যমে ঝুলন যাত্রার সমাপ্তি ঘটে। মথুরা-বৃন্দাবনের মতোই বাংলার ঝুলন উৎসবের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। এটি দোল পূর্ণিমার পর বৈষ্ণবদের আর একটি বড় উৎসব। 

    ঝুলনযাত্রার মাহাত্ম্য

    শাস্ত্রমতে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সমস্ত ভক্ত নির্বিশেষে সকলকে অনুগ্রহ করবার জন্য গোলকধাম থেকে ভূলোকে এসে লীলা করেন। ঝুলন শব্দটির সঙ্গে ‘দোলনা’ শব্দটি রয়েছে। তাই এই সময় ভক্তরা রাধাকৃষ্ণকে (Radha – Krishna) সুন্দর করে সাজিয়ে দোলনাতে বসিয়ে পুজো করেন।

    বৃন্দাবন, মথুরা আর নবদ্বীপের ইসকন মন্দিরে এই উৎসব মহাসমারোহে পালন করা হয়। এই পবিত্র তিথিতে বাড়িতে নানারকমের শুভ কাজ করা যায়। পুরাণ মতে, ঝুলনযাত্রার দিন শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের পূর্ণ প্রকাশ ঘটে । তাই এই দিন বাড়িতে বিশেষ কিছু কাজের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করতে পারেন। তার ফলে আপনার মনের ইচ্ছেও পূর্ণ হবে।

    আরও পড়ুন: পুজোয় মঙ্গল ঘট কেন স্থাপন করা হয়, জানেন?

    ঝুলন পূর্ণিমাকে শ্রাবণী পূর্ণিমাও বলা হয়। ঝুলন যাত্রা সমাপন হয় রাখির দিন। তাই ঝুলন পূর্ণিমাকে রাখি পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। বৃন্দাবনে রাধা-কৃষ্ণর শৈশব-স্মৃতি, বিশেষতঃ সখা-সখীদের সঙ্গে দোলনায় দোলার প্রেমলীলাকে কেন্দ্র করে দ্বাপরযুগে এই ঝুলন উৎসবের সূচনা হয়েছিল। এর পর থেকে এখনও গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের এটা প্রিয় অনুষ্ঠান। এক এক অঞ্চলে দোল বা দুর্গোৎসবের মতো ঝুলন উৎসবের আকর্ষণও কিছু মাত্র কম নয়। ঝুলনেও দেখা যায় নানা আচার অনুষ্ঠান ও সাবেক প্রথা।

    ঝুলনযাত্রার সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য

    শুধুমাত্র রাধাকৃষ্ণের যুগলবিগ্রহ দোলনায় স্থাপন করে হরেক আচার অনুষ্ঠান নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য। এই উৎসব হয় মূলত বনেদি বাড়ি এবং মঠ-মন্দিরে। তবে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছোটদের ঝুলন সাজানোও এই উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ। 

    নানা ধরনের মাটির পুতুল, কাঠের দোলনা আর গাছপালা দিয়ে ঝুলন সাজানোর আকর্ষণ ছোটদের মধ্যেও রয়েছে। কোথাও কোথাও ঝুলন উপলক্ষে চলে নাম-সংকীর্তন। এই সময় প্রতি দিন ২৫-৩০ রকমের ফলের নৈবেদ্য, লুচি, সুজি নিবেদন করা হয়। বহু বাড়িতে ঝুলন পূর্ণিমার পবিত্র দিনে সত্যনারায়ণ পুজোও অনুষ্ঠিত হয়।

    শ্রীকৃষ্ণের দ্বাদশ যাত্রার কথা শাস্ত্রে উল্লেখ আছে, কিন্তু আমরা সবগুলো পালন করি না। কিছু কিছু বিশেষ উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবেই অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়, যেমন- রথযাত্রা, রাসযাত্রা, দোলযাত্রা, স্নানযাত্রা, ঝুলনযাত্রা ইত্যাদি। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা এসব যাত্রাগুলোকে বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত ও তত্ত্বসমৃদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন। অনাদি কাল থেকেই শ্রীকৃষ্ণ বিগ্রহ রূপে মন্দিরে, দেবালয়ে, ভক্তের গৃহে স্থায়ীভাবে পূজিত হয়ে আসছেন।

    আরও পড়ুন: বাড়িতে তুলসী মঞ্চ সঠিক নিয়মে রেখেছেন তো? নয়তো হতে পারে অমঙ্গল!

    ২০২২ সালের ঝুলনযাত্রা কবে?

    আগামী ২১ শ্রাবণ ১৪২৯, ইংরেজি ০৭ অগাস্ট ২০২২, রবিবার সন্ধে ৭টা ৩৪ মিনিটে ঝুলনযাত্রা আরম্ভ হচ্ছে। আর ২৫ শ্রাবণ, ১১ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা ১১ মিনিটে ঝুলনযাত্রার সমাপ্তি। সেই সঙ্গে শেষ হবে শ্রাবণী পূর্ণিমার উপবাস ও নিশিপালন।

     

  • Commonwealth Games: আদালতের হস্তক্ষেপে বার্মিংহাম যাত্রা! বাকিটা ইতিহাস, কমনওয়েলথে হাই জাম্পে প্রথম পদক, ব্রোঞ্জ তেজস্বীনের

    Commonwealth Games: আদালতের হস্তক্ষেপে বার্মিংহাম যাত্রা! বাকিটা ইতিহাস, কমনওয়েলথে হাই জাম্পে প্রথম পদক, ব্রোঞ্জ তেজস্বীনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার্মিংহাম যাওয়াই হচ্ছিল না। শেষ সময়ে আদালতের হস্তক্ষেপে কমনওয়েলথের ছাড়পত্র মেলে। আর সেখান থেকেই ইতিহাস। অ্যাথলেটিক্সে ভারতের হয়ে খাতা খুললেন তেজস্বীন শঙ্কর (Tejashwin Shankar)। পুরুষদের হাই জাম্পে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন জাতীয় রেকর্ডধারী এই অ্যাথলিট। এই প্রথমবার হাই জাম্পে পদক জিতল ভারত।ভারতের কোনও অ্যাথলিট কোনওদিন যা পারেননি, তাই করে দেখালেন তেজস্বীন। ২.২২ মিটার লাফিয়ে ব্রোঞ্জ পান তিনি। শঙ্কর অবশ্য রুপো জয়েরও চেষ্টা করেছিলেন। তৃতীয় তথা শেষ প্রচেষ্টায় তিনি ২.২৮ মিটার লাফানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ভারতীয় অ্যাথলিটকে। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)।

    একটা সময় বার্মিংহাম যাওয়াই ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন নির্ধারিত যোগ্যতামান পেরলেও তাঁকে কমনওয়েলথের দলে রাখা হয়নি। শেষ পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে নড়েচড়ে বসেন ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার কর্তারা। ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা আদালতে জানায় যে, ৪ X ৪০০ মিটার রিলে দলের আরোকিয়া রাজীবের পরিবর্তে শঙ্করকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপরই ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা কমনওয়েলথ গেমস উদ্যোক্তাদের আবেদন জানায়। কিন্তু দেরিতে আবেদন করায় শঙ্করকে প্রথমে অংশগ্রহণের অনুমতি দেননি উদ্যোক্তারা। পরে কমনওয়েলথ গেমস উদ্যোক্তারা ডেলিগেট রেজিস্ট্রেশন মিটিংয়ের পর জানিয়ে দেন, শঙ্করের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ২২ জুলাই কমনওয়েলথে নামার অনুমতি পান শঙ্কর। 

    আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমসে এখনও পর্যন্ত ১৮ টি পদক! জেনে নিন আজ কার খেলা কখন

    এদিকে ভারত্তোলনে পুরুষ বিভাগে গুরদীপ সিং ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।  ১০৯ কেজি বিভাগে তিনি মোট ওজন তোলেন ৩৯০ কেজি। ভারোত্তোলনে ভারতের ঘরে এটি দশম পদক। তারমধ্যে সোনা ও রুপো রয়েছে তিনটে করে। এর আগে জুডোতে রুপোর পদক এনেছেন তুলিকা মান। মেয়েদের বক্সিংয়ে নিখাত জারিন কোয়ার্টার ফাইনালে একপ্রকার উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়েলসের হেলেন জোনসকে। ৫-০ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন নিখাত (Nikhat Zarin)। তারমানে ভারতের ঘরে আরও একটা পদক আসা নিশ্চিত হয়ে গেল। এদিন ভারতকে বক্সিংয়ে আরও দু’টি পদক নিশ্চিত হয়েছে। হুসামুদ্দিন ৫৪-৫৭ কেজি বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে দেন নামিবিয়ার তিয়াগেন মর্ণিংকে। ৪৫-৪৮ কেজি বিভাগে নীতু সেমিফাইনালে উঠেছেন।

    আরও পড়ুন: স্কোয়াশে ইতিহাস সৌরভের! কমনওয়েলথে ব্রোঞ্জ পদক বাংলার ছেলের

    এদিকে ক্রিকেটে অখ্যাত বার্বাডোজকে ১০০ রানে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের মেয়েরা। বুধবার রাতে বার্বাডোজের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে ১৬৬ রান করে ভারত। জবাবে বার্বাডোজ মাত্র ৬২ রানে আটকে যায়। এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালে উঠে গিয়েছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। এছাড়াও ভারতীয় মহিলা হকি দল কানাডাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে, ভারতের পুরুষ হকি দলও পুল বি-তে কানাডাকে ৮-০ গোলে হারিয়েছে। তবে এদিন খানিকটা হতাশ করেছেন বক্সার লভলিনা বরগোঁহাই। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে পদক জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার।

  • Afghan chess players: চেন্নাইয়ে দাবা অলিম্পিয়াডে যোগ দিয়ে তালিবান পতাকা হাতে ছবি পোস্ট আফগান প্রতিযোগীর

    Afghan chess players: চেন্নাইয়ে দাবা অলিম্পিয়াডে যোগ দিয়ে তালিবান পতাকা হাতে ছবি পোস্ট আফগান প্রতিযোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চেন্নাইতে (Chennai) ৪৪ তম দাবা অলিম্পিয়াডে (Chess Olympiad) অংশগ্রহণকারী এক আফগান খেলোয়াড়ের (Afghan chess players) হাতে তালেবানের সাদা পতাকা (hold Taliban flag) দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই খেলোয়ারের ছবি ভাইরাল। আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্র সরকারের প্রাক্তন তেরঙা পতাকা নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টে খেলছে আফগান খেলোয়াড়রা। কিন্তু তার মধ্যেও ওই ছবি সামনে আসায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
     
    দাবার জন্ম ভারতে। ফলে জন্মস্থানে এবারই প্রথম হচ্ছে চেস অলিম্পিয়াড। চেন্নাইয়ের কাছে মামল্লপুরম বা মহাবলীপুরমে। তামিলনাড়ু সরকার এই ঐতিহ্যশালী প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে অল্প সময়ের মধ্যে যে বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরি করেছে তার প্রশংসা করছেন বিদেশিরাও। এই টুর্নামেন্টকে জনপ্রিয় করতে নেওয়া হয়েছে অভিনব উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন নিজেও অত্যন্ত উৎসাহী। তিনি নিজে ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখে সন্তুষ্ট। কিন্তু হঠাতই যেন প্রতিযোগিতা স্থলে তালিবান পতাকা দেখে তাল কেটেছে। প্রসঙ্গত, ভারত তালেবান অন্তর্বর্তী সরকার বা আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না এবং তাই সাদা পতাকা ব্যবহার করার অনুমতি দেয় না। এমনকি নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তান দূতাবাসও পুরনো পতাকাই ব্যবহার করে। 
     
     
    আফগানিস্তান সহ ১৯৯ টি দেশের খেলোয়াড়রা ভারতে আয়োজিত দাবা অলিম্পিয়াডে যোগ দিয়েছে। আফগানিস্তান জাতীয় দাবা ফেডারেশনের সভাপতি কুরাইশি ওবায়দুল্লাহ এ প্রসঙ্গে জানান, “আমরা উভয় পতাকা ব্যবহার করছি। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতরে আমরা পুরনো পতাকা ব্যবহার করলেও মূল অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে সাদা পতাকা ব্যবহার করতে পারি। আমরা খেলোয়াড়, রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।” তিনি আরও বলেন, যদিও প্রাথমিকভাবে কেউ তাদের তালেবান পতাকার সাথে পোজ দিতে বাধা দেয়নি, এবং এটি মূল অনুষ্ঠানস্থলের বাইরের পোস্টারের মধ্যেই ছিল। তিনি জানান,  “আমার দল ভালো পারফর্ম করছে এবং আমি আশা করি আমরা ফাইনাল রাউন্ডে উঠতে পারব।”

     

     
     
  • Niti Aayog Meet: নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    Niti Aayog Meet: নীতি আয়োগের বৈঠকে হাজির মমতা, কিছু না বলেই ধরলেন কলকাতার উড়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে হয়ে গেল নীতি আয়োগের সপ্তম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক (Niti Aayog Meet)। রবিবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি (Rastrahpati) ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হয় এই বৈঠক। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে করোনা অতিমারির (Covid-19) পর এই প্রথম সশরীরে বৈঠক হল নীতি আয়োগের পরিচালন সমিতির।

    দেশের আর্থিক যোজনা সমূহের প্রতি লক্ষ্য রেখে ও রাজ্যের আয়ের উপায় খুঁজতে গঠন করা হয় এই আয়োগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং এই আয়োগ পরিচালনা করেন। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি নীতি আয়োগ গঠিত হয়। প্রথম বৈঠক হয় ওই বছরেরই ৮ ফেব্রুয়ারি। আয়োগের আধিকারিকরা সর্বজনীনভাবে প্রকাশ করেন নীতি আয়োগের যোজনা সমূহ।

    করোনা অতিমারির পর এই প্রথম সশরীরে বৈঠক হলেও, এদিন হাজির ছিলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। নীতি আয়োগের এই বৈঠকে যে যোগ দেবেন না, তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বিষয়ে একটি চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। চন্দ্রশেখর রাওয়ের সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেয় নীতি আয়োগ। বিবৃতি জারি করে তারা জানায়, ৭ অগাস্ট নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলরের বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক।

    আরও পড়ুন : কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রশেখর রাও বৈঠকে যোগ না দিলেও, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সহ অন্যরা। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়গুলি ছিল শস্য বৈচিত্র্য, তৈলবীজ, ডাল এবং কৃষিক্ষেত্রে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন, জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন এবং নগর প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আর কী কী করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয় এদিন।

    এদিকে, এদিন এই বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য না করেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যের পাওনা গন্ডা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। পরের দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপন কমিটির বৈঠকে দেন মমতা। এদিন যোগ দেন নীতি আয়োগের বৈঠকে। তার পরেই ধরেন কলকাতার উড়ান।

  • China US Conflict: ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    China US Conflict: ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ান (Taiwan) সফর করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি (Nancy Pelosi)। তার পরেই চিনের (China) সঙ্গে আমেরিকার (America) সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে আক্ষরিক অর্থেই তলানিতে। ঘটনার জেরে তাইওয়ানের গা ঘেঁষে সামরিক মহড়া (Military Drill ) চালায় চিন। এবার আমেরিকার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, মাদক বিরোধী প্রচেষ্টা, সামরিক আলোচনা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা স্থগিত করার কথা ঘোষণা করল চিন। পেলোসির তাইওয়ান সফর আমেরিকা ও চিন দু দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।   

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসেন এশিয়া সফরে। সেই সূত্রেই তাঁরা আসেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার ঠিকই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি যান জাপানে। তার আগেই সামরিক মহড়া শুরু করে দেয় চিন। তাইওয়ান প্রণালী বন্ধ করে সামরির মহড়া চালাতে শুরু করেছে শি জিন পিংয়ের সরকার। চিনের সাবমেরিন তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে জানানো হয়েছে তাইওয়ানের তরফে। চিনের শতাধিক যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় সামরিক মহড়া চালায়। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সামরিক মহড়ায় চিন মোট নটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে চারটি গিয়েছে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে। চিন চারদিনের সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই মহড়াগুলি চলবে তাইওয়ানের নির্দিষ্ট ছটি জোনে। পেলোসির তাইপেই সফরের প্রতিক্রিয়ায় এই মহড়া বলেই জানিয়ে শি জিন পিংয়ের দেশ। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুর পর্যন্ত এই সামরিক মহড়া চলবে। প্রসঙ্গত, চিনের দাবি, তাইওয়ান তাদের। যদিও তাইপেই মনে করে তাইওয়ান স্বাধীন রাষ্ট্র। তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

     

  • Nirmala Sitharamam: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    Nirmala Sitharamam: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের (Derek O’ Brien) দাবি রাজ্যসভায় তৃণমূলের তোলা সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharamam)। সরাসরি কিছু না বলে ট্যুইটারে তার জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী।  ট্যুইটবার্তায় তিনি জানিয়ে দেন, জিএসটি (GST) এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তিনি যখন কথা বলতে গিয়েছিলেন, তখন ওয়াক আউট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। ট্যুইট বার্তায় সীতারামণ লেখেন, এমনকী আপনাদের অনুপস্থিতিতে আমি সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সেস, এলপিজি, জিএসটি এবং বিশেষত ভারতীয় মুদ্রার বিষয়ে। সংসদ টিভির একটি লিংক এমবেড করে অর্থমন্ত্রী লেখেন, দয়া করে এটা দেখে নিন।

    এর আগে মাইক্রোব্লগ সাইটে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ করে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেখানে দেখান কীভাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ উচ্চ কক্ষে মূল্যবৃদ্ধি ও জিএসটি বিতর্কে উত্তর দিয়েছেন। একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, আমরা নির্দিষ্ট ছটি প্রশ্ন তুলেছিলাম। তিনি সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। সংসদে তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই। হতে পারে ট্যুইটারে আমার ভাগ্য সহায় হয়েছে।

    আরও পড়ুন : তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ১৮ জুলাই। তার পর থেকেই মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি সহ নানা ইস্যুতে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে বারবার ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজ। সংসদে অসংসদীয় আচরণের কারণে রাজ্যসভার ২০ জন ও লোকসভার চারজন সদস্যকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলেরও কয়েকজন ছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদে বিরোধীরা সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৫০ ঘণ্টার জন্য ধর্নায়ও বসেছিলেন।

    আরও পড়ুন : ৫০ ঘণ্টার ধর্নায় সাসপেন্ডেড সাংসদরা, বিরোধী বৈঠকে গরহাজির আপ, তৃণমূল

     

  • Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বার নির্বাচনের আগে ভোটারদের নিখরচায় নানা সুবিধা (Freebies) দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলি (Political Parties)। তাদের এহেন ঘোষণায় আদতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি, বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়টি বিশদে বিবেচনা করার জন্য প্রয়োজন কমিটি গঠন করার। রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank), নীতি আয়োগ, অর্থ কমিশন ছাড়াও সরকার এবং বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে গঠন করতে হবে ওই কমিটি। তারাই খতিয়ে দেখবে বিষয়টি। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। তাঁকেও পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, বিনামূল্যে সুবিধা প্রদানের কথা বলে আদতে লাভবান হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়েছিল, নির্বাচনের আগে ভোটারদের সমর্থন পেতে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের দেওয়া সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির জেরে প্রভাবিত হন ভোটাররা। ক্ষমতার আসার পর প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে নেমে আসে আর্থিক বিপর্যয়। এ ব্যাপারে সরকার কিছু করতে পারে না। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।

    আরও পড়ুন : ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট

    এই মামলায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এভাবে (বিনামূল্যে সামগ্রী বিতরণ) আমরা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এসব জনপ্রিয় প্রতিশ্রুতি ভোটারদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    সরকারের এই বক্তব্যের পরে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, ভারতের সব করদাতা মনে করেন উন্নয়নূলক কাজে ব্যয় করার জন্য তাঁরা সরকারকে কর দেন। কিন্তু তাঁদের মতামত প্রকাশ করা এবং আলোচনা করার জন্য একটি ফোরাম তৈরি করা প্রয়োজন। এর পরেই তিনি বলেন, মানুষকে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার কথা বলে আসলে লাভবান হয় রাজনৈতিক দলগুলি।

    আরও পড়ুন : পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশে গিয়ে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের রায় প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকেই সমর্থন করছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

  • Bengal Cabinet Reshuffle: দফতর বণ্টনও সম্পন্ন, পার্থর হাতে থাকা তিন দফতরের দায়িত্বে এবার তিনজন

    Bengal Cabinet Reshuffle: দফতর বণ্টনও সম্পন্ন, পার্থর হাতে থাকা তিন দফতরের দায়িত্বে এবার তিনজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল (Bengal Cabinet Reshuffle) করলেন মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব ঘোষণামতো, এদিন শপথগ্রহণ হয়ে গিয়েছিল বিকেলেই। সন্ধ্যায় হয়ে গেল দফতর বণ্টনও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় বুধবার যাঁরা শপথ নিলেন, তাঁরা কে কোন দফতর পেলেন দেখে নেওয়া যাক—

    পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee)। এর আগে এই দফতর সামলাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নারী শিশুকল্যাণের সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী হলেন শশী পাঁজা (Sashi Panja)। শিল্প-বাণিজ্য দফতর ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) অধীনে। 

    এছাড়া, রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন মন্ত্রী হলেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তথ্যপ্রযুক্তির দফতরও সামলাতেন পার্থ। পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী হলেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হলেন প্রদীপ মজুমদার। এই দফতর ছিল প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। সেচ ও জলপথ মন্ত্রী হলেন পার্থ ভৌমিক।

    আরও পড়ুন: খরচের ক্ষমতা মাত্র দেড় কোটি, মমতার মন্ত্রীদের প্রাপ্য শুধু পাইলট আর নীলবাতি

    স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হলেন সত্যজিৎ বর্মন। এই দায়িত্বে ছিলেন এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) জড়িত পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary)। অন্যদিকে, বন দফতরের সঙ্গে স্বনির্ভর-স্বনিযুক্তি গোষ্ঠীর প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ রাজভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল লা গণেশন। এদিন যে নজন শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আটজনই নতুন। আর প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দফতরের দায়িত্ব পেলেন বীরবাহা হাঁসদা। এদিন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদার। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা এবং বিপ্লব রায়চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সত্যজিৎ বর্মন এবং তাজমুল হোসেন।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রদবদল, শপথ নিলেন বাবুল, উদয়ন সহ ৯

    এদিকে, রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীদের আমরা ল্যাম্পপোস্ট মন্ত্রী বলতে পারি। বঙ্গের মন্ত্রীদের অধিকার, মর্যাদা, কাজ করার সুযোগ, ক্ষমতা ইত্যাদি কতটা, তা আমার থেকে ভাল কেউ জানে না। এখানে সবটাই একজন করেন, অন্য কারও কোনও ভূমিকা থাকে না। অন্তত আমার সাড়ে ৪ বছরের অভিজ্ঞতায় বাস্তব তাই দেখেছি।’ 

     

LinkedIn
Share