Blog

  • Yogi Adityanath: যোগীর ট্যাটু বুকে নিয়ে ঘুরছেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিম যুবক, কেন জানেন?

    Yogi Adityanath: যোগীর ট্যাটু বুকে নিয়ে ঘুরছেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিম যুবক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিয় নায়ক কিংবা নায়িকার ছবি ট্যাটু (Tattoo) করতে দেখা যায় অনেককেই। তবে কোনও রাজনীতিবিদ বা মুখ্যমন্ত্রীর (CM) জন্মদিনে নিজের শরীরে ট্যাটু করানোর ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে এবার দেখা গেল। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ছবি বুকে ট্যাটু করিয়ে ঘুরছেন এক যুবক। শুনতে অবাক লাগলেও, এমন ঘটনাই ঘটেছে। হয়েছে ভাইরালও। জানা গিয়েছে, ছবিতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নাম ইয়ামিন সিদ্দিকী। বছর তেইশের ওই যুবক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই তাঁর আদর্শ বলে মনে করেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সরাই আগস্তে।  

    দিন দুয়েক আগেই দ্বিতীয় দফায় একশো দিন পেরল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। প্রথম দফার পরে দ্বিতীয় দফায়ও যোগী আদিত্যনাথের কাজের ধরন ও জনগণের জন্য তাঁর নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে মুগ্ধ ইয়ামিন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আবেগ এতটাই যে ৫ জুন যোগীর জন্মদিনে নিজের বুকে আদিত্যনাথের ট্যাটু করিয়েছেন তিনি।ইয়ামিন মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম অন্ধ ভক্ত। আদিত্যনাথের সঙ্গে এখনও দেখা হয়নি তাঁর। তবে তিনি চান, শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। দেখাতে চান বুকে আঁকা আদিত্যনাথের ছবি।

    আরও পড়ুন :যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    নিজের শরীরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ট্যাটু করানোর পরে কম গঞ্জনা সইতে হয়নি ইয়ামিনকে। তাঁর মুসলিম বন্ধুরা যখন বিষয়টি জেনেছিলেন, তখন তাঁরা ইয়ামিনের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। তাতে অবশ্য দমে যাননি ওই তরুণ। বলেন, উত্তর প্রদেশে যোগী সরকার গঠনের পর থেকেই বদলে গিয়েছে রাজ্যের ছবি। যোগী সরকারের বিভিন্ন স্কিম গরিবদের জন্যও। কেউ কখনও বৈষম্যের শিকার হননি। হিন্দু বা মুসলিম প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সবাই সমানভাবে।

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বক্তব্যের পরে পাথর ছোড়া ও রাজ্যে অশান্তি প্রসঙ্গে ইয়ামিন বলেন, যোগী আদিত্যনাথ ভাল সরকার চালাচ্ছেন। তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে পাথর ছোঁড়ে, তাণ্ডব চালায়।

    আরও পড়ুন : “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

  • Rain in Kolkata: সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শহরজুড়ে, জল জমল দক্ষিণ থেকে উত্তরে

    Rain in Kolkata: সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শহরজুড়ে, জল জমল দক্ষিণ থেকে উত্তরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে রোদের দেখা মিলেছিল। মুহূর্তে তিলোত্তমার আবহাওয়া পরিবর্তন। কলকাতায় (Kolkata) জুড়ে তুমুল বৃষ্টি (Rain in Kolkata)। ইতিমধ্য়েই, মহানগরীর একাধিক রাস্তায় জল জমে যাওয়ার খবর মিলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) অবস্থিত নিম্নচাপের জেরে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি জারি থাকবে। ঘূর্ণিঝড় অশনি (Cyclone Asani) আসার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। মনে করা হচ্ছে, প্রত্যক্ষ না হলেও সাইক্লোন অশনির পরোক্ষ প্রভাবেই বৃষ্টি শহর কলকাতায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে বলে খবর। সায়েন্স সিটি গামী রাস্তায় জল জমেছে। যার জেরে দিনের ব্যস্ত সময়ে যান চলাচল খানিকটা শ্লথ হয়েছে। অফিস টাইমে বৃষ্টিতে নাকাল হতে হয় শহরবাসীকে। আধঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পরে শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট। জলমগ্ন বিদ্যাসাগর সেতুতে শুরু হয়ে যায় যানজট। বৃষ্টিতে জলমগ্ন সেন্ট্রাল এভিনিউ, সেক্টর ফাইভের বেশ কিছু এলাকা।

    ‘অশনি’ (Asani) সংকেতের মাঝেই কালো মেঘে ঢাকল কলকাতার আকাশ। শহরজুড়ে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় সোমবার সকাল থেকেই। পুরসভা (KMC) সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতার বালিগঞ্জে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বালিগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৫৭ মিমি। মোমিনপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৫৫ মিমি। সার্দার্ন অ্যাভিনিউতে বৃষ্টি হয়েছে ৫৩ মিমি।

    অশনির প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণায়  আজ, সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বাসিন্দাদের বলা হয়েছে নিরাপদ স্থানে থাকতে ৷ ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বুধ ও বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

     

  • Rujira Banerjee: অভিষেক-জায়া রুজিরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি দিল্লির আদালতের

    Rujira Banerjee: অভিষেক-জায়া রুজিরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি দিল্লির আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার (coal smuggling) কাণ্ডে নয়া মোড়। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ অভিষেক (Abhishek) বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার (Rujira Banerjee) বিরুদ্ধে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা (Arrest warrant) জারি করল দিল্লির একটি আদালত। এর আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দফায় দফায় সমন পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। প্রতিবারই নানা অজুহাতে, ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গেছেন রুজিরা। এরপরই জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। এবার জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে চাইলে পরে কঠোর ধারাও যুক্ত করা হতে পারে। ফলে এবার বিপাকে পড়লেন অভিষেক জায়া রুজিরা।

    এর আগে দু’দফার তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়লা কাণ্ডে জেরা করেছে ইডি। মার্চের ২১-২২ তারিখে দিল্লিতে অভিষেক ও তার স্ত্রী রুজিরাকে ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। ইডির সমনের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন অভিষেক। কিন্তু অভিষেকের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। তৃণমূল সাংসদ একাধিকবার দাবি করেন তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে নয় কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। না মঞ্জুর হয় সেই আবেদনও। এরপর টানা ৮ ঘণ্টা ইডির জেরার মুখোমুখি হতে হয় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। যদিও মার্চেও ইডির জেরা এড়িয়ে যান অভিষেক জায়া। এর আগেও দফায় দফায় ইডির সমন এড়িয়ে গেছেন রুজিরা। গতবছর সেপ্টেম্বরেও কয়লা পাচার কাণ্ডে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিল রুজিরাকে। তখন কোভিড অতিমারীর অজুহাতে জেরা এড়িয়ে গেছিলেন রুজিরা। যদিও সে সময় তিনি দিল্লিতেই ঘুরতে গেছিলেন।

    কয়লা পাচার কেস

    কয়লা-পাচার কাণ্ডে সিবিআই অনুপ মাঝি, ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড (ECL) ও ‘কয়েকজন অচেনা’ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) করে। অভিযোগ, দুর্গাপুর-আসানসোল বেল্ট, ঝাড়খণ্ডের কয়লা খনি থেকে অবৈধ কয়লা তোলা ও বিক্রি করার সঙ্গে এরা যুক্ত। অভিযোগ, কয়েক কোটি টাকার কয়লা এভাবে পাচার হয়ে গেছে। উঠে আসে, এর সঙ্গে সরকারি আধিকারিক ও রাজনৈতিক নেতারা যুক্ত ছিলেন। রাজস্ব বাবদ কোটি কোটি হারিয়েছে দেশের সরকার।

    ইডি তদন্ত

    তদন্তে ইডি দুটি কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে। যার একটির নাম লিপস এন্ড বাউন্ডস লিমিটেড। অন্যটি লিপস এন্ড বাউন্ড ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস এলএলপি। যে দুটি কোম্পানিরই ডিরেক্টর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। একজন তাঁর বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যজন তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি নির্মাণ সংস্থার পক্ষ থেকে ‘প্রোটেকশন ফান্ড’ বাবদ ৪.৩৭ কোটি টাকা এই দুই কোম্পানি পেয়েছে। এক ব্যবসায়িক সংস্থা থেকে দুই কোম্পানিই মোটা অঙ্কের অর্থ পায় স্থানীয় স্তরে সিন্ডিকেট সমস্যা সমাধানের জন্য। ইডির দাবি, ২০২০ মার্চে কয়লা পাচার চক্রের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝির নির্দেশেই পুলিশকর্তা অশোক মিশ্রর কাছে নিয়মিত বিপুল অঙ্কের টাকার যেত ট্রাঙ্কে করে। সেই বিশাল অঙ্কের টাকা দ্রুত চলে যেত অন্য কিছু অ্যাকাউন্টে। পুলিশকর্তা অশোক মিশ্রকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি।

  • Lucknow: লখনউ- এর নাম বদলে লক্ষ্মণপুরী? যোগীর ট্যুইটে নয়া জল্পনা 

    Lucknow: লখনউ- এর নাম বদলে লক্ষ্মণপুরী? যোগীর ট্যুইটে নয়া জল্পনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারে আসার প্রথম পাঁচ বছরেই উত্তরপ্রদেশবাসীর বহুদিনের দাবি ফৈজাবাদ এবং এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi)। ফৈজাবাদের নাম বদলে করা হয়েছে অযোধ্যা এবং এলাহাবাদের নতুন নাম প্রয়াগরাজ। উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয়বারের জন্যে ক্ষমতায় এসেছেন যোগী। তাহলে এবার কী নাম পরিবর্তনের পালা লখনউ- এর? যোগীর সাম্প্রতিক ট্যুইট ঘিরে এমনই বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) লখনউতে স্বাগত জানিয়ে একটি ট্যুইট করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ”শেষ অবতার ভগবান লক্ষ্মণের পবিত্র নগরীতে আপনাকে স্বাগত জানাই।” লখনউকে (Lucknow) ‘লক্ষ্মণের নগরী’ (Laxmanpuri) বলে ট্যুইটে উল্লেখ করাতেই জল্পনা শুরু হয়। তবে কী এবার লখনউয়ের নাম বদল করে ‘লক্ষ্মণপুরী’ করতে চলেছেন যোগী?     

    [tw]


    [/tw]

    জনশ্রুতি রয়েছে, লক্ষ্মণ থেকে বিকৃত হয়ে লখনউ নামটি এসেছে। ধর্মীয় বিশ্বাস, রামের ভাই লক্ষ্মণের নামেই রাখা হয়েছিল শহরটির নাম। পরবর্তীতে তা উচ্চারণ বিকৃতিতে বদলে যায়। বহুদিন ধরেই তাই বিজেপির দাবি লখনউ-এর নাম বদলে ‘লক্ষ্মণপুরী’ করা হোক। যোগীর ট্যুইটের পরেই সেই জল্পনার পালে আবার হাওয়া লেগেছে।  

    লখনউ- এর মেয়র সংযুক্তা ভাটিয়া এর আগে জানিয়েছিলেন, ”লক্ষ্মণের ১৫১ ফুট উঁচু মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে লখনউতে। তার জন্যে ১৫ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করেছে সরকার। শহরের কোন জায়গায় বসানো হবে মূর্তিটা সেই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”  ভাটিয়া আরও জানান, মূর্তিটি জাদুঘরের আদলে তৈরি করা হবে। সেখানে লক্ষ্মণপুরীর ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে। 

    প্রথমবার যোগী মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার পরেই বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এবং রাজস্থানের বর্তমান রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্র লখনউ- এর নাম বদলে লক্ষ্মণপুরী করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য এর ফলে মানুষ ভারতীয় সংস্কৃতিকে বুঝতে পারবে। 

    এর আগেও বেশ কিছু জায়গার নাম পরিবর্তন করেছেন যোগী। সুলতানপুর, মির্জাপুর, আলিগড়, ফিরোজাবাদেরও নাম বদল করার প্রস্তাব দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। প্রস্তাব গৃহীত হলে সুলতানপুরের নাম হবে কুশ ভবনপুর, মেইনপুর হবে মায়া নগরী, আলিগড় হবে হরিগড়, ফিরোজাবাদ হবে চন্দ্রানগর এবং মির্জাপুর হবে বিন্ধধাম। সেকারণেই যোগীর এই নয়া ট্যুইটে লখনউ-এর নাম বদল নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে। 

     

  • Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হল ত্রিপুরার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Tripura bypoll) নির্ঘণ্ট। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুন চার আগরতলা, বরদোয়ালি, যুবরাজনগর আর সুরমা কেন্দ্রে উপনির্বাচবন হবে। ২৬ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

    কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩০ মে, উপনির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৬ জুন । মনোনয়ন স্ক্রুটিনী হবে ৭ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ৯ জুন। ২৩ তারিখ হবে ভোটগ্রহণ এবং ২৬ জুন হবে ফল ঘোষণা। কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গোটা প্রক্রিয়াটি ২৮ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওই চার কেন্দ্রে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। 

    বিজেপির দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস সাহা দলত্যাগ করায় যথাক্রমে ফাঁকা হয়ে পড়ে রয়েছে আগরতলা ও বরদোয়ালি আসন দুটি। সুরমার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। অন্য়দিকে, প্রবীণ সিপিএম বিধায়ক তথা ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ মারা যাওয়ায় যুবরাজনগর আসনে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বিপ্লব দেব, দায়িত্বে এলেন মানিক সাহা

    উপনির্বাচনের প্রস্তুতি জোরকদমে নিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি৷  বিজেপির ত্রিপুরা ইনচার্জ তথা সাংসদ বিনোদ সোনকর ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক সেরেছেন। আগামী বছর দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, এই উপনির্বাচনকে সেমি-ফাইনাল হিসেবে দেখতে চাইছে গেরুয়া-শিবির। 

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন ত্রিপুরার নব-নিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Tripura CM Manik Saha)। সম্প্রতি, বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) পরিবর্তে তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই উপনির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে, ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা আসন তাঁকে জিতে আসতে হবে। 

    নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূলও। সম্প্রতি, ত্রিপুরা পুরভোটে পর্যুদস্ত হয়েছে দল। ত্রিপুরার মানুষ খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। তা সত্ত্বেও, উপনির্বাচনে যে তৃণমূল লড়াই করতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। সাংসদ তথা উত্তর পূর্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, ‘উপনির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি৷ ত্রিপুরায় আমাদের রাজ্য দফতর খোলা হবে৷’ তৃণমূল সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে লড়াই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আলোচনাও চলছে৷

    ত্রিপুরার (Tripura) চার কেন্দ্রের পাশাপাশি পঞ্জাবের সাঙ্গরুর, উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ওইদিন। এছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের আত্মাকুর, দিল্লির রাজিন্দর নগর এবং ঝাড়খণ্ডের মাদার বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। এই তিন আসনের ভোটগ্রহণও হবে ২৩ তারিখেই।

  • China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ,  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    China Border: জোর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ড্রাগনের দেশ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ৬ ডিভিশন সেনা স্থানান্তর ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন টানাপোড়েন অব্যহত। তার মাঝেই ভারতীয় সেনা জানাল, অরুণাচল সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে চিন। 

    অরুণাচলের সীমান্তের ঠিক ওপারেই চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA)-র নির্মাণ কাজ চালানোর খবর বিগত এক বছর ধরেই সামনে আসছিল। সোমবার ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা বলেন, ‘‘এলএসির ওপারে প্রতিবেশী দেশ ক্রমাগত তাদের সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে নির্মাণ চালাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য, যে কোনও পরিস্থিতি উপস্থিত হলে সেনাদের দ্রুত সীমান্তে নিয়ে আসা।’’   

    সেনা কর্তা আরও জানান, “আমরা বিষয়টির ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছি। পরিকাঠামোগত উন্নতিতেও নজর দেওয়া হয়েছে। যেকোনও রকম পরিস্থিতির জন্যে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।” কিছুদিন আগেই লোকসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতিরক্ষা খাতে পরিকাঠামোগত ২০২০-২১ সালে যেখানে অর্থ বরাদ্দ ছিল ৩৫৫.১২ কোটি, এখন ২০২১-২২ সালে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০২.৩০ কোটি টাকা।

    পাকিস্তানের থেকেও এই মুহূর্তে চিনকে বেশি ক্ষতিকারক মনে করছে ভারতীয় সেনা। সেই কথা মাথায় রেখে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ভারতীয় সেনার ডিভিশন সরিয়ে আনা হয়েছে চিন সীমান্তে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনীর ৬টি ডিভিশনকে চিন সীমান্তে স্থানান্তর করেছে। সেনাবাহিনী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আজকের নয়, বিগত দুবছর ধরেই চলছে এই কাজ।   

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্থানান্তরিত হওয়া সেনা ডিভিসনের মধ্যে একটি পাক সীমান্তে সন্ত্রাস দমনের কাজে মোতায়েন ছিল। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি ডিভিশনকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরিয়ে লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ডিভিশন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে মোতায়েন রয়েছে। একইভাবে, তেজপুরস্থিত গজরাজ কোরের অধীনে আসামের ডিভিশনকে সরিয়ে নিয়ে উত্তর-পূর্বের অরুণাচলে চিনা সীমান্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দুই সেনা ডিভিশনকেও লাদাখ সীমান্তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড থেকে এক সেনা ডিভিশনকে চিন সীমান্তে সরানো হয়েছে। এছারা লাদাখ সেক্টর থেকে একটি সেনা ডিভিশন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পাঠানো হয়েছে। 

    সাম্প্রতিক সময়ে চিন একতরফা ভাবে ভারতে আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছে। যেকোনওদিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এই আশঙ্কাতেই প্রস্তুত থাকতে চাইছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাই সেনা স্থানান্তরিত করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা নির্মাণ এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকেও নজর দিয়েছে তারা। 

     

  • Paresh Adhikary: নির্ধারিত সময়ে সিবিআই হাজিরা দিলেন না, কলকাতা রওনা দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ

    Paresh Adhikary: নির্ধারিত সময়ে সিবিআই হাজিরা দিলেন না, কলকাতা রওনা দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মুখ পুড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission)। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের (CBI probe) নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁকে মন্ত্রী পদ সরানোর জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালত অনুরোধ করেছে। একইসঙ্গে তদন্তের খাতিরে মামলার সঙ্গে জড়িত যে কোনও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের স্বাধীনতা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

    রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment) মামলায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। 

    এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।  এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার জেরেই পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হবে পরেশ অধিকারীকে। 

    কিন্তু, সেই হাজিরা দেননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এদিন আদালত যখন রায় দিচ্ছে, তখন মেখলিগঞ্জে ছিলেন পরেশ। সূত্রের খবর, নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ে অঙ্কিতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। ফলে, ৮টার মধ্যে তিনি যে কলকাতায় হাজির হচ্ছেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। 
    তবে, এদিনই জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত পৌনে ৮টার পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। 

    তার আগে, আদালতের রায় নিয়ে পরেশকে প্রশ্ন করা হলে, রায় সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। পরেশ বলেন, ‘‘এ প্রসঙ্গে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয়নি। যে হেতু কোর্টের বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে কোনও উত্তর দিতে পারছি না। কোর্টের কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছি না। যা কিছু বলা হচ্ছে, সে তো একতরফা ভাবে বলা হচ্ছে। কোর্টের কাগজ হাতে পাওয়ার পরে নিশ্চয়ই জবাব দেব।’’

    এদিকে, নিজাম প্যালেস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পরেশকে ফোন করা হলেও সে সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর ফোন বন্ধ করা ছিল বলে দাবি। এর পর সিবিআই আধিকারিকরা মন্ত্রীকে মেসেজ করেন। তাতে জানতে চাওয়া হয়, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো তিনি কখন কলকাতায় সিবিআই দফতরে আসছেন? ওই সূত্র মারফত খবর, পরেশের জন্য রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

    পরেশ অধিকারীর মেয়ের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জালিয়াতির মামলা কোন দিকে এগোয়, এখন দেখার সেটাই।

  • Udaaipur Tailor Murder: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    Udaaipur Tailor Murder: দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে, উদয়পুরকাণ্ডে সচিন পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের (Udaaipur Tailor Murder) সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। উদয়পুর দর্জি খুন নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেস নেতা এবং রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট (Sachin Pilot)। বৃহস্পতিবার সচিন বলেন, “এরা মানবতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। খুনের নৃশংসতায় সবাই হতবাক। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তাদের বিচার হবে এবং খুব শীঘ্রই শাস্তি দেওয়া হবে। বিষয়টি গোটা দেশের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকবে।” 

    আরও পড়ুন: “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে 

    জয়পুরে সর্বদলীয় বৈঠকের পরেই এমন মন্তব্য করেছেন সচিন পাইলট। উদয়পুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বুধবারই সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এদিন সচিন জানান, রাজস্থান পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ চালাচ্ছে। ঘটনায় পাকিস্তানের কোনও যোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  দর্জি খুনের ঘটনায় পাকিস্তান যোগ রয়েছে, এই দাবি আগেই করেছেন রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজেন্দ্র যাদব ৷ 

    সচিন পাইলট এদিন আরও বলেন, “পাঞ্জাব, কাশ্মীরের মতো রাজস্থানও সীমান্ত রাজ্য। এই ঘটনায় সীমান্তের ওপারের যদি কোনও যোগ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা বিষয়টির শেষ অবধি যাব। অন্য কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদেরও রেয়াত করা হবে না।” 

    আরও পড়ুন: উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    তিনি আরও বলেন, “আমরা মৃতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এই বিষয়ে কোনও রকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে বর্ষীয়ান আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

    নুপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় মঙ্গলবার রাজস্থানের উদয়পুরে  কানহাইয়া লাল সাহু নামের এক দর্জিকে দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করে দুষ্কৃতিরা। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও- ও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ।  

    ঘটনাকে জঙ্গি আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও (Ashok Gehlot)। তিনি জানিয়েছেন, “এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগঠন জড়িত ৷ দোষীদের অবশ্যই সাজা দেওয়া হবে এবং সে বিষয়ে কোনও দেরি করা হবে না।”

     

  • Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    Presidencial election: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে বিজেপির বাজি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসে এবার আদিবাসী কোনও মহিলাকে বসিয়ে চমক দিতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার ফের কোনও মহিলা রাষ্ট্রপতি পেতে পারে দেশ।

    ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হবে রামনাথ কোবিন্দের। তাই শাসক তো বটেই বিরোধী শিবিরেও শুরু হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তৎপরতা। রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপিকে সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নয় বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানোর কাজ। সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে উজিয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আইআইটির প্রাক্তনী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা সম্মিলতিভাবে যাতে প্রার্থী দেয়, সেই জন্যই ওই তৎপরতা।

    বিরোধীরা যে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তা টের পেয়েছে দেশের শাসক দলও। হাত গুটিয়ে বসে নেই তারাও। একটি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে বেশ কয়েকদফা আলোচনা শেষে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর নামের একটি তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। এই তালিকার সবার ওপরে রয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তিনি ওড়িষার বিজেপি নেত্রী। এক সময় ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা দ্রৌপদীকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে এক ঢিলে একাধিক পাখি মারার চেষ্টা করছেন পদ্ম নেতৃত্ব।

    দ্রৌপদীকে প্রার্থী করা হলে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করা বিরোধীদের পক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ সেক্ষেত্রে বিরোধীদের আদিবাসী-বিরূপতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেবে বিজেপি। তাছাড়া, চলতি বছরেই রয়েছে গুজরাত সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। দ্রৌপদীকে রাইসিনা হিলসে পাঠানো গেলে ওই রাজ্যগুলির আদিবাসী ভোট এসে পড়বে গেরুয়া ঝুলিতে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে যার সুফলও ফলবে বলে দাবি শাসক শিবিরের।

    দ্রৌপদী ছাড়া আরও একজন রয়েছেন রাইসিনা হিলসের দৌড়ে। তিনি গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দী বেন প্যাটেল। বর্তমানে তিনি যোগীরাজ্যের রাজ্যপাল পদে রয়েছেন। তবে চব্বিশের মহারণের আগে দ্রৌপদীকেই রাইসিনা হিলসে পাঠিয়ে বিরোধীদের মাত দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।

     

  • Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অফিসে পুলিশি হানা কেন? বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই পুলিশ কেন হানা দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নন্দীগ্রামের (Nandigram) অফিসে? সোমবারই তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্তও সেই রিপোর্ট জমা পড়েনি। এবার সেই একই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) মামলা দায়ের করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। বিনা নোটিসে তাঁর অফিসে কেন পুলিশি হানা? প্রশ্ন তুলে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বৃহস্পতিবার হবে এই মামলার শুনানি।

    শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ কেন? রাজ্যের রিপোর্ট চাইলেন ধনকড়

    পদমর্যাদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। তাঁর অফিসে হানা দিতে গেলে আগাম নোটিশ জারি প্রয়োজন। অথচ রবিবার সন্ধে নাগাদ আচমকাই নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা। কার্যালয়ে থাকা লোকজন বাধা দিলেও, পুলিশ তল্লাশি চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। ট্যুইটে তাঁর অভিযোগ, আগাম নোটিস, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

    [tw]


    [/tw]

    সূত্রের খবর, শুভেন্দুর নির্বাচনী এজেন্ট মেঘনাদ পালের বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় পুলিশ। তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ ওঠায় পুলিশ হানা দেয়। সেখানে তাঁকে না পেয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায় শুভেন্দুর নন্দীগ্রামের কার্যালয়ে। ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। বিহিত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি বাজি ধরে শুভেন্দুকে। একদা বিশ্বস্ত সৈনিক শুভেন্দুর কাছে হাজার দুয়েক ভোটে ‘হেরে’ যান মমতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, তার পর থেকেই নানাভাবে তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার(opposition leader) দাবি, নন্দীগ্রামে তাঁর কার্যালয়ে হানা দেওয়া তৃণমূল নেত্রীরই ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। সেই কারণেই সার্চ ওয়ারেন্ট এবং আগাম কোনও নোটিস ছাড়াই হানা দেওয়া হয়েছে তাঁর কার্যালয়ে।

    আরও পড়ুন : ‘১০০ দিনের কাজের টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে’, তোপ সুকান্তর

     

     

LinkedIn
Share