Blog

  • Gyanvapi Mosque Update: শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    Gyanvapi Mosque Update: শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জ্ঞানবাপী মসজিদ(gyanvapi mosque) এলাকায় মিলল শেষনাগের দেখা! অন্তত এমনই দাবি আইনজীবি অজয় কুমার মিশ্রের(ajay kumar Mishra)। তাঁর দাবি, ফনা উঁচিয়ে শেষনাগ(sheshnag) রয়েছে, এমন একটি ভাস্কর্যের হদিশ মিলেছে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের আরও কয়েকটি দেবদেবীর মূর্তির সন্ধানও মসজিদ(mosjid) চত্বরে মিলেছে বলে দাবি ওই আইনজীবীর।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির(kashi Viswanath temple) ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের। বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভাঙা হয়েছিল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে। পরে রানি অহল্যাবাই মসজিদের অদূরে পুননির্মাণ করে বিশ্বনাথের মন্দির। যে মন্দির আজও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ যে মন্দির ভেঙেই নির্মাণ করা হয়েছিল, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠন। তার পরেই মসজিদ এলাকায় ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেয় বারাণসী জেলা আদালত। তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করে আদালত নিযুক্ত সংস্থা। ভিডিওগ্রাফির কাজ তদারকির জন্য নিয়োগ করা হয় অ্যাডভোকেট কমিশনার। অজয় কুমার মিশ্রকেই ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। যদিও সেই কারণ নয়, তথ্য ফাঁসের অভিযোগে পরে সরিয়ে দেওয়া হয় অজয় কুমারকে। দিন কয়েক আগে হিন্দু আবেদনকারী সোহন লাল আর্য দাবি করেছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদ এলাকার ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গের প্রমাণ মিলেছে। তার পরেই আদালতের তরফে জলাশয়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসককে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    সোহন লালের পর এবার অজয় কুমারের দাবি, মসজিদ চত্বরে শেষনাগের প্রতিমূর্তির সন্ধান মিলেছে। এই মর্মে আদালতে রিপোর্টও জমা দিয়েছেন অজয় কুমার। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ এলাকায় ব্যারিকেডের বাইরে মন্দিরের পুরানো ধ্বংসাবশেষ মিলেছে। ওই মন্দিরে হিন্দু দেবদেবীর ভাস্কর্য ও পদ্মের নিদর্শনও রয়েছে। রয়েছে শেষনাগের পাথরের ভাস্কর্যও। নাগফনার দেখাও মিলেছে। মন্দিরে কয়েকটি স্ল্যাবও দেখা গিয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট, এটি একটি ভবনের অংশ। সিঁদুর মাখানো চারটি মূর্তিও দেখা গিয়েছে। মন্দিরে নিত্য প্রদীপ জ্বালানো হত বলেও দাবি রিপোর্টে।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যার পর কাশী? জ্ঞানবাপী নীতি ঠিক করতে বৈঠকে ভিএইচপি

    ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি ওঠায় আদালতের নির্দেশে ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যাতে পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়তে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  

    আরও পড়ুন : কড়া নিরাপত্তায় ফের শুরু জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার কাজ

     

     

  • Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে (Teachers Recruitment scam) স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসেবে উল্লেখ করে রাজ্য সরকারের (Mamata govt) তীব্র সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী।

    বুধবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC scam) মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ডেকে পাঠায় সিবিআই। এই প্রেক্ষিতে রাজভবনের সামনে থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক।  তিনি বলেন, কত বড় দুর্নীতি হয়েছে, তা দিনের আলোর মতো এখন পরিস্কার। দুর্নীতির মূলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কার সুপারিশে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজার হাজার প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছেন, তা এবার তাঁকে জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    এদিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ের বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তোপ দাগেন শুভেন্দু। জানান, মেয়ের চাকরি-সহ তিন শর্তে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পরেশ অধিকারী যোগদানের সময়ে তিনটি শর্ত রেখেছিলেন। প্রথম, সমস্ত নিয়ম ভেঙে তাঁর মেয়েকে চাকরি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাঁকে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করতে হবে। তৃতীয়ত, চ্যাংড়াবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করতে হচ্ছে তাঁকে।’’

    শুভেন্দুর মতে, কোনও আদর্শগত কারণে তিনি তৃণমূলে যোগ দেননি। দেওয়া-নেওয়ার শর্তের ভিত্তিতে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া। তাঁর আরও দাবি, ‘‘বিনিময়ের ভিত্তিতে পরেশের এই যোগদান তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ ছাড়া হয়নি। নিয়মের বাইরে গিয়ে পরেশের মেয়েকে নিয়োগ মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হয়েছে। সেতুবন্ধনের কাজটি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

     

  • Gyanvapi Masjid: অ্যাডভোকেট কমিশনারের অপসারণের দাবি তুলল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি

    Gyanvapi Masjid: অ্যাডভোকেট কমিশনারের অপসারণের দাবি তুলল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আদালত নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনারকে (Advocate Commissioner) সরনোর দাবি তুলল কাশীর আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid committee)। শনিবার এ ব্যাপারে আদালতে আবেদনও জানিয়েছে তারা। আদালত অজয়কুমার মিশ্রকে অ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে মসজিদ কমিটির তরফে।

    বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Masjid)। এখানে প্রতিদিন পাঁচবার নমাজ পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। ১৯৯১ সালে বারাণসীর দায়রা আদালতে মসজিদ নিয়ে কয়েকটি আবেদন করা হয়েছিল। একটি আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মসজিদটি যে জায়গায় রয়েছে, সেখানে আগে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ছিলন(mosque in Varanasi)। পুজো করা হত শৃঙ্গার গৌরীর। মুঘল শাসকরা মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করে।

    তাই জ্ঞানবাপী মসজিদটি খালি করে তা হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপী-শৃঙ্গার গৌরী কমপ্লেক্সে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির কাজ। এই কাজ তদারকির জন্য আদালত অজয়কুমার মিশ্রকে অ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন মসজিদ কমিটির লোকজন।

    মসজিদ কমিটির অভিযোগ, সমীক্ষা চালানোর সময় মসজিদের বাইরে দুটি আবছা কিন্তু সুস্পষ্ট স্বস্তিক চিহ্ন তাঁরা দেখতে পেয়েছিলেন বলে কমিশনারের দলের ভিডিওগ্রাফাররা দাবি করেন। সমীক্ষক দলের মতে, স্বস্তিক চিহ্নগুলি সম্ভবত প্রাচীনকালে তৈরি হয়েছিল।

    এই দাবির পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে সমীক্ষার কাজ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। মসজিদ কমিটির দাবি, আদালত কমিশনার পক্ষপাতিত্ব করছেন। কমিটির তরফে জানানো হয়, আমরা কোর্ট কমিশনারকে সরানোর দাবি আদালতে জানিয়েছি। তিনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। কোর্টে শুনানির পর যে রায় হবে, আমরা সেই মতো চলব।

     

  • Hyderabad Killing: স্ত্রী সুলতানাকে ইদের উপহার কিনে দিতে সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন নাগারাজু

    Hyderabad Killing: স্ত্রী সুলতানাকে ইদের উপহার কিনে দিতে সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন নাগারাজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীকে ইদের উপহার কিনে দিতে নিজের গলার সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন তেলাঙ্গানার খুন হওয়া হিন্দু যুবক। উপহার কেনার আগেই অবশ্য স্ত্রীর ভাইয়ের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন ওই যুবক। কৃষ্ণবেশে স্বামীর একটা ছবিই আপাতত বুকে জড়িয়ে ধরে লাগাতার কেঁদে চলেছেন আসরিন সুলতানা ওরফে পল্লবী। এতদিন পতিগৃহে যাত্রা করতে না পারলেও, এখন পেরেছেন। যতদিন বাঁচবেন স্বামীর ভিটে ছেড়ে কোথাও নড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বছর পঁচিশের ওই তরুণী।

    ভালবেসে মুসলিম সহপাঠীকে বিয়ে করেছিলেন তেলাঙ্গানার সারুরনগর এলাকার হিন্দু যুবক বছর ছাব্বিশের বিল্লাপুরাম নাগরাজু। বিয়ের পরে পরেই গা ঢাকা দেন নবদম্পতি। পাছে হিন্দু স্বামীর কোনও ক্ষতি তাঁর আত্মীয়রা যাতে না করতে পারেন, তাই নাম বদলে সুলতানা হয়ে যান পল্লবী। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে কাজে যোগ দেন নাগরাজু। এর পরেই রাতের অন্ধকারে বাইকে চড়ে এসে তাঁকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে খুন করে সুলতানার এক ভাই ও তার বন্ধু। সেদিনের সেই নৃশংসতার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুলতানার। তিনি বলেন, কয়েকটা মুহূর্তের মধ্যেই অন্তত ৩০-৩৫ বার লোহার রড দিয়ে আমার ভাই ও তার এক বন্ধু নাগরাজুর মাথায় আঘাত করছিল। সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমে গিয়েছিল। সাহায্যের জন্য অনুনয়-বিনয় করলাম। সবাই খুনের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করতেই ব্যস্ত। কেউ সাহায্য করল না আমাকে। চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মারা গেল আমার স্বামী।

    আরও পড়ুন : ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    নাগরাজুর মৃত্যুর পরে স্বামীর ভিটেয় ফিরে এসেছেন সুলতানা। স্বামীর পরিবার তাঁদের বিয়ে মেনে না নেওয়াতেই তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এদিক-সেদিক। নাগরাজুর মৃত্যুর পরে তাঁর শোকে কাতর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতেই ভিটেয় ফিরেছেন সুলতানা। স্বামীর একটি ছবি বুকে নিয়ে কেঁদে চলেছেন অনর্গল। স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করলেও, তিনি যে স্বামীর ভিটে ছেড়ে কোত্থাও যাবেন না, কান্নাভেজা গলায় তা জানিয়ে দিয়েছেন ভিন ধর্মের ওই তরুণী।

    নাগরাজু যে তাঁকে কত ভালবাসতেন, কাঁদতে কাঁদতে বারবার সেকথাই বলছিলেন সুলতানা। তিনি জানান, তাঁকে ইদের উপহার কিনে দিতে চারমিনারে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন নাগরাজু। সেজন্য গলার দামি সোনার চেনটা মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিক্রিও করে দিয়েছিলেন। সেই টাকা এনে তাঁর হাতে দিয়েওছিলেন স্বামী। তারপর…। হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন সদ্য বিধবা তরুণী। ওড়নার আঁচল দিয়ে কান্না রোধের নিষ্ফল চেষ্টাও করতে দেখা যায় তাঁকে।    

  • Covid -19: আবার ফিরে আসতে পারে ডেল্টা, দাবি ইজরায়েলের গবেষকদের

    Covid -19: আবার ফিরে আসতে পারে ডেল্টা, দাবি ইজরায়েলের গবেষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি গরমেই ফের এক বার গোটা বিশ্ব করোনার ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইজরায়েলের (Israel) বেন-গুরিয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Ben-Gurion University) গবেষকেরা। সম্প্রতি ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ (Science of The Total Environment) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি। তাতে বেন-গুরিয়েনের ভাইরোলজির (Virology) একদল গবেষক বলেছেন, সাধারণত ভাইরাসের কোনও প্রজাতি যখন সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন তা পূর্ববর্তী প্রজাতিকে ধ্বংস করেই নিজের বিস্তার ঘটায়। ডেল্টার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছিল। কিন্তু বছরের শুরুতে ইজরায়েলের বির-শিবা শহরের নিকাশির জলে পাওয়া করোনাভাইরাসের নমুনায় দেখা গিয়েছে, সেখানে ওমিক্রনের পাশাপাশি রয়েছে ডেল্টা প্রজাতিও। নিজেদের মডেল অনুযায়ী গবেষকদের অনুমান, ওমিক্রনের উপস্থিতি কমতে কমতে শেষ পর্যন্ত মুছে যাবে। কিন্তু তখনও ডেল্টা প্রজাতি নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখবে। সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে ডেল্টার হানায় নতুন করে বড় মাপের সংক্রমণের শিকার হতে পারে অনেক দেশই।

    এই মডেলিং স্টাডিতে বলা হয়েছে যে গরমের কারণে ওমিক্রনের (Omicron) সমস্যা হয়তো কমতে পারে। কিন্তু ডেল্টা বা অন্যান্য নতুন কোনও স্ট্রেন এক্ষেত্রে তৈরি করে দিতে পারে সমস্যা। এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে, একটা নতুন স্ট্রেন আসলে পুরনো স্ট্রেন ধ্বংস হয়ে যায়। ডেল্টার (Delta) ক্ষেত্রে প্রথমে তাই হয়েছিল মনে হলেও পরে দেখা যায় তা সত্যি নয়। এমনকী ওমিক্রন ও তার উপপ্রজাতি আসার পরও ঘটনা ঘটেছে অন্যরকম। এই গবেষণায় বিভিন্ন দিক দেখা হয়েছে। এমনকী মডেলিং-এর মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে যে সমস্যা হতে পারে ঠিক কোন ভাইরাসের জন্য। এবার সেই গবেষণায় বলা হচ্ছে, যখন ডেল্টা এসেছিল, তখন আগের সমস্ত ভ্যারিয়েন্টের পাঠ চুকে যায়। অপরদিকে ওমিক্রন (Omicron) কিন্তু ডেল্টার দিকে এই কাজটা করতে পারেনি। তাই এবার গরমেও ডেল্টার বাড়াবাড়ি হতেই পারে।

    তাই এখনই করোনার প্রকোপ কনতে পারে বা এটি স্বাভাবিক জ্বর-সর্দি-কাশির রূপ নেবে ভাবলে ভুল করবে সাধারণ মানুষ, এমনই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। দেশেও প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ তাই সকলকে সতর্ক থাকার আবেদন জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সরকারের তরফে কোভিড-বিধি মেনে চলার আর্জি জানানো হয়েছে।

    কোভিশিল্ড টিকার নির্মাতা সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা মনে করছেন, করোনা নিয়ে ভীতি অনেকটা কমে যাওয়ার জন্য বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারও মেনে নিয়েছে যে, প্রথম দু’টি ডোজের টিকা নিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ দেখা গিয়েছিল, সতর্কতামূলক (বুস্টার) ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে তা অনুপস্থিত। এই প্রসঙ্গে পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে এত দ্রুত আত্মতুষ্টিতে ভোগা উচিত নয়। মাথায় রাখতে হবে, অতিমারি এখনও শেষ হয়নি। তাই বছরে অন্তত একটি বুস্টার নেওয়া উচিত প্রত্যেকের।’’ পুনাওয়ালার দাবি, দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দেওয়ার প্রশ্নে বুস্টার ডোজ অনেক বেশি কার্যকর।

  • Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ভিসা মামলায় বিপাকে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) ছেলে তথা তামিলনাড়ুর সাংসদ কার্তি চিদম্বরম (Karti Chidambaram)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। টাকার বিনিময়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে কার্তিকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সিবিআই সদর দফতরে ঢোকার সময় কার্তি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিটি মামলাই ভুয়ো। তার মধ্যে এটি সবচেয়ে ভুয়ো।’’

    সিবিআই সূত্রের খবর, চিদম্বরম এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, চিদম্বরম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১১ সালে পঞ্জাবে বেদান্ত গোষ্ঠীর একটি প্রকল্পে কাজের জন্য ২৬৩ জন চিনা নাগরিককে টাকার বিনিময়ে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে কার্তি।

    এই অভিযোগের জেরে গত সপ্তাহে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে চিদম্বরমের বাড়ি ও কার্যালয়ে জোরদার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। শুধু তাই নয়, কার্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহযোগী এস ভাস্করমণকে ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, ভাস্করমণকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কার্তিকে তলব করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।

    যদিও কংগ্রেস (Congress) সাংসদের সাফ কথা, এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময় তিনি স্পষ্ট বলে দেন, “আমি জীবনে একজন চিনা নাগরিককেও ভিসা পাইয়ে দিতে সাহায্য করিনি।” কার্তির অভিযোগ, শুধুমাত্র রাজনৈতিক দিক থেকে বিরোধী বলেই কেন্দ্র সরকার তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্তা করছে।

    আরও পড়ুন: গমের পর চিনি রফতানিতে রাশ টানল সরকার

    প্রসঙ্গত, এর আগে আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের। ২০১৯ সালে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। তার আগে ২০১৭ সালে সিবিআই ওই মামলায় কার্তিকেও গ্রেফতার করেছিল।

  • Yasin Malik: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    Yasin Malik: কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন, কী কী অভিযোগ ছিল?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে (Yasin Malik) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালতের তরফে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life term) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার (Act of war) অভিযোগ এনে ইয়াসিন মালিকের ফাঁসির দাবি করেছিল এনআইএ। ফাঁসি না হলেও ওই অভিযোগে ন্যূনতম শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বুধবার প্রাক্তন জেকেএলএফ (JKLF) নেতা ইয়াসিন মালিক আদালতে বলেন, ‘কাশ্মীরে বুরহান ওয়ানির হত্যার ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ী আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলেন। তার জোরেই আমি যে কোনও মন্তব্য করতে পারি। আমি কোনও ক্রিমিনাল নই।’ 

    আরও পড়ুন: জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত, দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক

    ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, সেই তালিকায় রয়েছে– কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়ন। ভারতীয় বায়ুসেনার কয়েকজন অফিসারকে হত্য়া। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকালপে মদত। জঙ্গিদের আর্থিক মদত। হুরিয়ত কন্ফারেন্স, হিজবুল মুজাহিদিন, দুক্তার-ই-মিল্লাত এর মতো সংগঠন উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য টাকা তুলেছিল। তার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল ইয়াসিনের।

    এনআইএ-র দাবি, হুরিয়ত (Hurriyat) নেতাদের সঙ্গে মালিক তৈরি করেছিল জয়েন্ট রেজিস্টান্স নামে একটি সংগঠন। তারাই কাশ্মীরে বন‍্‍ধ, প্রতিবাদ সভা, রাস্তা রোখার মতো কার্যকলাপ করত। নিয়ন্ত্রণ রেখায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই টাকা ইয়াসিন বিলি করত পাথর নিক্ষেপকারীদের মধ্যে। এনআইএর চার্জশিটে নাম রাখা হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ ও হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিন। 

    আরও পড়ুন: “কাশ্মীরে নাশকতা কার্যকলাপে জড়িত”, আদালতে স্বীকারোক্তি ইয়াসিন মালিকের

    আদালতে ইয়াসিন মালিক দাবি করেন, ১৯৮৪ সালের পর অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তার পর থেকে তিনি অহিংস রাজনীতির পথেই রয়েছেন। দেশের ৭ প্রধানমন্ত্রীর সময়ে তিনি রাজনীতি করেছেন। তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে অস্ত্রত্যাগের পর থেকে মহাত্মা গান্ধীর নীতি মেনে, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করেই এগিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “কাশ্মীরে অহিংস রাজনীতিরই অংশ আমি। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা প্রমাণ করুক কোনও হিংসার বা জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে আমি জড়িত কিনা! রাজনীতি থেকে অবসর নেব, মৃত্যুদণ্ডও মাথা পেতে নেব।”

    এদিকে ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পরে কাশ্মীরে বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কোথাও যাতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি না হয় সেকারণে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উপত্যকায়।  ইতিমধ্য়েই কাশ্মীরের কিছু এলাকায় বিক্ষোভ দানা বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, অশান্তির আশঙ্কায় জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

     

  • SSC Recruitment Scam: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    SSC Recruitment Scam: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত করবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল থাকল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়। মান্যতা দেওয়া হল অবসরপ্রাপ্ত রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে।

    এসএসসি-র নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ ও গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। এদিন সেই নির্দেশকেই সিলমোহর দিল ডিভিশন বেঞ্চ৷ অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সাতটি মামলাতেই সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্ত এবং অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাই বহাল রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

    এদিন এসএসসি-কে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই। এখনও পর্যন্ত যে তথ্যপ্রমাণ এসেছে তার কোনটাই এসএসসির পক্ষে যায়নি। এদিন রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতি পর্যবেক্ষণে বলেন, সরকারি নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে৷ এই অবস্থায় সিঙ্গল বেঞ্চের বিচার প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া থেকে কেউ বঞ্চিত হয়নি বলেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ৷ এমনকি, বিতর্কিত ভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের বেতন বন্ধ করা বা ফেরত দিতে বলার সিদ্ধান্তেও কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

     

  • Udaipur Killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন

    Udaipur Killing: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur Case) ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোড়ন পড়েছে গোটা দেশ জুড়ে। রাজস্থান পুলিশের পাশাপাশি উদয়পুর হত্যাকান্ড নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। মঙ্গলবার দুপুরে উদয়পুর শহরের ধানমান্ডি এলাকায় দোকানে ঢোকে কুপিয়ে খুন করা হয় কানহাইয়া লাল তেলিকে ৷ গোটা ঘটনা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন কানহাইয়া ৷ এই খুনের দায়ে ধৃত মহম্মদ গাউসের সঙ্গে যোগ ছিল পাকিস্তানের চরমপন্থী সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামের। 

    ১৯৮১ সালে পাকিস্তানের করাচিতে দাওয়াত-ই-ইসলামির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মওলানা ইলিয়াস আত্তারি। সুন্নি মুসলিমদের এই সংগঠন নিজেদের নবী মহম্মদের বাণী প্রচারকারী একটি অলাভজনক সংস্থা বলে দাবি করে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৯৪টি দেশে এই সংগঠন ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নামের সঙ্গে আত্তারি যোগ করেন। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজও তার নামের সঙ্গে আত্তারি ব্যবহার করেন।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক

    ১৯৮৯ সালে পাকিস্তান থেকে এই সংগঠনের প্রতিনিধি দল ভারতে প্রবেশ করে। আলোচনার মাধ্যমে ভারতে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে মুম্বই ও দিল্লিতে এই সংগঠনের দফতর ছিল। সংগঠনের শীর্ষ নেতা সৈয়দ আরিফ আলি আত্তারি ভারতে প্রভাব বিস্তারের জন্য চেষ্টা করছে। দাওয়াত-ই- ইসলামির মতাদর্শ প্রচারের জন্য একটি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। মাদানি নামের এই টেলিভিশন চ্যানেলে উর্দুর পাশাপাশি ইংরেজি ও বাংলাতে অনুষ্ঠান প্রচার করে। নবীর জন্মদিনে এই সংগঠনটি মুসলিম প্রধান অঞ্চলে মিছিল বের করে।

    গত তিন দশকে দাওয়াত-ই-ইসালামির বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই সংগঠন শরিয়া প্রচারের জন্য ৩২টি ইসলামিক কোর্স চালু করেছে। এই কোর্সগুলো অনলাইনেও করা যায়। অভিযোগ, এই কোর্সের মাধ্যমে দাওয়াত-ই-ইসলামি ধর্মান্তরিত করার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়। কট্টর মুসলিম তৈরি করার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত এই সংগঠনের উগ্র প্রচারক ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। খুনের পর দুই অভিযুক্ত আজমির শরিফ যাচ্ছিল বলে সন্ত্রাস দমন শাখার পুলিশ জানিয়েছে।

  • Modi in Germany: “আর চলছে-চলবে নয়, করতে হবে-তে বিশ্বাস রাখে ভারত”, মিউনিখে মোদি

    Modi in Germany: “আর চলছে-চলবে নয়, করতে হবে-তে বিশ্বাস রাখে ভারত”, মিউনিখে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি-৭ বৈঠকে (G7 summit) যোগ দিয়ে পশ্চিমের দেশগুলিকে ভারতের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বার্তা, গত শতাব্দীতে জার্মানি (Germany) এবং অন্য দেশগুলি শিল্প বিপ্লব থেকে উপকৃত হয়েছিল। ভারত তখন পরাধীন ছিল। সেই কারণে সুবিধা আদায় করতে পারেনি। কিন্তু এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে (4th Industrial revolution) পিছিয়ে থাকবে না ভারত। তারাই এখন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। জি-৭ বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার সকালে জার্মানি পৌঁছেছেন মোদি (Modi in Germany)। এ বারের বৈঠকের জন্য জার্মানিতে দু’দিন কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গেও মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে।

    রবিবার, মিউনিখে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে জরুরি অবস্থার  প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী কংগ্রেসকে (Congress) আবার কোণঠাসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি এদিন বলেন, “ভারতীয়দের ডিএনএতে রয়েছে গণতন্ত্র। কিন্তু ৪৭ বছর আগে জরুরি অবস্থা (1975 Emergency) জারি করা ছিল স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন।” তাঁর কথায়, “আজকের ভারত হল উন্নয়নের ভারত।” মোদি বলেন, “ভারত এখন প্রস্তুত, প্রস্তুত এবং অধৈর্য। ভারত অধৈর্য, ​​উন্নতির জন্য, উন্নয়নের জন্য। আজকের ভারত ‘চলছে-চলবে’ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছে। আজকের ভারত করছি-করতে হবেতে বিশ্বাস রাখে।” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মিউনিখে মোদি

    প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের প্রায় সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক কোভিডের (COVID-19) ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ভারতের ভ্যাকসিন (Indian vaccine) গোটা পৃথিবীকে দিশা দেখিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।এছাড়াও ডিজিটাল টেকনলজিতে দেশের অগ্রগতির প্রসঙ্গেও কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। এইসঙ্গে জানান, গত ২ বছর ধরে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে সরকার। দেশের গ্রামগুলিতে শৌচালয়ের বন্দোবস্ত হওয়ায় খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মোদি বলেন, “আজ ভারতের প্রায় প্রতিটি গ্রাম সড়কপথে সংযুক্ত। আজ ভারতের ৯৯ শতাংশেরও বেশি মানুষের কাছে রান্নার জন্য গ্যাস সংযোগ রয়েছে। আজ ভারতের প্রতিটি পরিবার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত। ” এদিন ধর্মনিরপেক্ষ, বৈচিত্রময় ভারতের বার্তা দেন তিনি। খাদ্য, পোশাক, সঙ্গীত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করেন। এইসঙ্গে উন্নয়নের খতিয়ান দেন।

    জলবায়ু, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসাম্য এবং গণতন্ত্র-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতি বছর জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৈঠক  হয়। ভারত এই গোষ্ঠীর দেশ নয়। অন্য কয়েক বছরের মতো, এ বছরও পর্যবেক্ষক বা আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে অংশ নিয়েছে ভারত। এ বছর প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ ( German Chancellor Olaf Scholz)। সোমবার তাঁর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা মোদির। মঙ্গলবার জার্মানি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

LinkedIn
Share