Blog

  • Dawood Ibrahim: পাকিস্তানে বসেই ভাইবোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় দাউদ! দাবি ইডি-র

    Dawood Ibrahim: পাকিস্তানে বসেই ভাইবোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় দাউদ! দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) যে বহাল তবিয়তে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim), তা অনেক আগেই জানা ছিল। এবার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকেই এখনও ভারতে বসবাসকারী নিজের ভাই বোনদের প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায় এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন।

    আর্থিক তছরুপ কাণ্ডে অভিযুক্ত মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মন্ত্রী নবাব মালিকের (Nawab Malik) বিরুদ্ধে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই  মামলায়  বেশ কয়েকজন সাক্ষীকে জেরা করেছে তারা। কিছুদিন আগেই আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মালিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার এক সাক্ষী জেরায় স্বীকার করেছে যে, ইকবাল কাসকর (Iqbal Kaskar) একবার তাকে বলেছিল, তার দাদা দাউদ প্রতিমাসে তাদের বোন হাসিনাকে ১০ লক্ষ টাকা পাঠায়। 

    ইডি বলেছে, খলিদ উসমান শেখ নামে ওই সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী, পরিচিতদের মাধ্যমে দাউদ টাকা পাঠায়। কাসকরও প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পেত। বেশ কয়েকবার, দাউদের থেকে প্রাপ্ত টাকাও দেখিয়েছিল কাসকর। ইডি জানিয়েছে, খালিদের দাদা ছিল কাসকরের বাল্যবন্ধু। গ্যাং ওয়ারে মারা যায় সে। সেই দাদার সঙ্গে আবার দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের (Haseena Parkar) গাড়িচালক তথা দেহরক্ষী সলিম প্যাটেলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ইডি-র দাবি, জেরায় খালিদ জানিয়েছে, প্যাটেল তাকে জানিয়েছিল – সে আর হাসিনা দাউদের নামে টাকা আদায় করত, সম্পত্তি কব্জা করত। মুম্বইয়ের কুর্লাতে এমনই একটি সম্পত্তি কব্জা করেছিল পার্কার-প্যাটেল। পরে তা নবাব মালিককে বেচে দেওয়া হয়।

    মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

    এর আগেও, বিভিন্ন মামলায় একাধিক সাক্ষী স্বীকার করেছে যে, দাউদ রয়েছে পাকিস্তানেই। সেই তালিকায় যেমন কাসকর রয়েছে, তেমনই রয়েছে হাসিনা পার্কারের ছেলে আলিশাহ। কাসকর জানিয়েছিল, দাউদের স্ত্রীর নাম মেহজাবীন। পাঁচ সন্তান রয়েছে। এক ছেলে, নাম মঈন। চার মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আবার আলিশাহ জানিয়েছে, ইদ-দীপাবলির মতো উৎসবের সময় মেহজবীন তাদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করত। 

    আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের (1993 Bombay Blasts) পর থেকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে ভারত। অনেকবারই হাতের নাগালে এসেও ফসকে গিয়েছে এই আন্তর্জাতিক মাফিয়া। সম্প্রতি দাউদকে খুঁজতে আবার কোমর বেঁধেছে এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। ‘ডি কোম্পানি’-র বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। বেআইনি অর্থ পাচার মামলায় (Money Laundering Case) মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিককে আগেই গ্রেফতার করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।  

  • Palanquin ritual: পালকি-প্রথায় ইতি, ক্ষোভের আঁচ তামিলনাড়ুতে

    Palanquin ritual: পালকি-প্রথায় ইতি, ক্ষোভের আঁচ তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ধর্মীয় আচারে লাগল রাজনীতির রং!

    মঠাধীশকে পালকিতে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথায় ইতি টানল একটি সরকারি নির্দেশিকা। যার জেরে তপ্ত হয়েছে তামিলনাডুর রাজনৈতিক আবহ। শাসক দলের সঙ্গে তুমুল অশান্তি বিরোধী দলগুলির।

    ফি বছর মঠাধ্যক্ষকে পালকিতে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। তামিলনাড়ুতে এই প্রথা পত্তিনম প্রবেশম নামে খ্যাত। প্রতি বছর মাইলাদুথুরাই জেলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্মপূরম অধিনাম নামের একটি মঠ কর্তৃপক্ষ। শৈবদের অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্র এটি। চলতি বছরে এই ধর্মীয় আচার পালনেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। অশান্তির সূত্রপাত তা নিয়েই।

    ২২ মে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। প্রথা অনুযায়ী, মঠাধ্যক্ষকে রূপোর সিংহাসনে বসিয়ে নগর পরিভ্রমণ করা হয়। প্রশাসনের যুক্ত, ধর্মপূরম মঠের এই প্রথা মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা এই প্রথা চলতে দেওয়া যায় না। প্রথা পালন করতে গিয়ে হতে পারে আইন-শৃঙ্খলার অবনতিও। সেটাও প্রথা রদের একটা কারণ বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।

    প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এম কে স্ট্যালিন সরকারের বিরুদ্ধে বিধানসভায়ই সরব হয়েছে বিরোধীরা। যার জেরে রাজ্যের মন্ত্রী পি কে সেকর বাবু বলেন, মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। এতেও অবশ্য প্রশমিত হয়নি বিরোধীদের ক্ষোভ।

    ডিএমকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে তিনি নিজেই মঠাধ্যক্ষের পালকি বহন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মপূরম মঠের পাশে দাঁড়িয়েছে মাদুরাই অধিনাম নামের একটি মঠ কর্তৃপক্ষও। এই মঠের মঠাধীশ বলেন, প্রাচীন এই মঠের ধর্মীয় প্রথাকে সম্মান জানানো উচিত। এর বিরোধিতা করা ঠিক হবে না। চলতি বছরেও যাতে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালিত হয়, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।  

     

  • Summer Health Tips: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    Summer Health Tips: বদহজমের সমস্যা? জেনে নিন ৫টি ঘরোয়া টোটকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্মকালে সবারই কোনও না কোনও সমস্যা দেখা যায়। একদিকে যেমন শারীরিক ক্লান্তি থেকে শুরু করে শক্তির অভাব, মাথা ব্যথা, স্ফীতভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তেমনি অ্যাসিডিটি বা বদহজম প্রায়ই অস্বস্তি তৈরি করে। গরমকালে খাবার হজম করা খুবই কঠিন, ফলে হজমের গোলমাল বেশিই দেখা যায়।

    ছোটবেলায় আপনার যখন হজমের সমস্যা দেখা যেত, মনে করে দেখুন তো, আপনার মা দ্রুত স্বস্তির জন্য কী কী করতেন। সাধারণত খাবারে দই-ভাত, খিচুড়ি খেতে দিতেন। আপেল, কলা কেন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, তা নিয়ে বলতেন। সম্ভবত ঠাকুরমা কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধ দিতেন। সেইসঙ্গে বাবাও ফাস্টফুড না খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।

    এবারে জেনে নেওয়া যাক আপনার খাদ্যতালিকায় কোন কোন খাবার থাকলে বদহজম থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হচ্ছে যা আপনার গ্যাসের সমস্যা, স্ফীতভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অ্য়াসিডিটি, বদহজম ইত্যাদি সবরকমের সমস্যা দূর করে সুস্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করবে।

    ১) যেসব ফলে কম পরিমাণ ফ্রুক্টোজ রয়েছে সেসব ফল খাওয়া উচিত। যেমন- আঙুর, আপেল, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। কারণ কম ফ্রুক্টোজ যুক্ত ফল গ্যাস, স্ফীতভাবের সমস্যার প্রবণতাকে কম করে। বেশি ফ্রুক্টোজ যুক্ত ফলগুলি হল- আম, তরমুজ, চেরি, কলা ইত্যাদি।

    ২) উপযুক্ত পরিমাণে শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে- দিনে তিনবার শস্যজাতীয় খাবার খেলে অল্প বয়সে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। 

    ৩) বেশি করে সবুজ শাকসবজি যেমন- পালং শাক,বাঁধাকপি খাওয়া উচিত। এই ধরণের শাকে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে আছে যা খাবার হজমে সহায়তা করে ও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ভালো রাখতে উপকারি ব্যাকটেরিয়াকে সাহায্য করে। সুতরাং ব্যাকটেরিয়াগুলি কীভাবে কাজ করবে তা আমাদের খাবারের উপর নির্ভর করে।

    ৪) খাদ্যে প্রোবায়োটিক যা কার্যকরী খাদ্য নামে পরিচিত সেগুলি বৃহদান্ত্রের জন্য উপকারী। প্রোবায়োটিক খাবার যেমন- দই, চিজ ইত্যাদি। 

    দই- বাড়িতে তৈরি দই, বাটারমিল্ক খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

    কেফির – কেফিরে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি,অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল আছে যা স্বাস্থ্যের জন্যে উপকারী।
     
    চিজ-খাদ্যতালিকায় চিজ রাখা উচিত কারণ এর প্রোবায়োটিক শুধুমাত্র অন্ত্রের জন্য নয়, স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

    ৫) শেষে যার কথা না বললেই নয়, তা হল জল। জল ছাড়া সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলা কখনই সম্ভব নয়। জল শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দিতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতাকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।  তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন প্রায় ৬-৮ গ্লাস জল খাওয়া উচিত।

    এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমনো উচিত। পুষ্টিকর খাদ্য় খাওয়া উচিত। সঙ্গে ব্যায়ামও করা উচিত। আবার সময়মত ডাক্তারের পরামর্শও নেওয়া উচিত।

     

  • Bahmani fort:  বাহমানি দুর্গের ভিতরে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দির! সংস্কারের দাবিতে সরব হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

    Bahmani fort: বাহমানি দুর্গের ভিতরে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দির! সংস্কারের দাবিতে সরব হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi mosque) পর এবার খবরের শিরোনামে কর্নাটকের (Karnataka) বিখ্যাত বাহমানি দুর্গ (Bahmani fort)। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই দুর্গের ভিতরে মিলেছে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরের (Lord Somalingeshwara) হদিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতাদের দাবি, দুর্গের উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে ভগবান সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দির। মন্দিরটি পুনরুদ্ধারের দাবিও জানান তাঁরা।

    কর্নাটকের কালবুর্গি জেলায় রয়েছে বাহমানি দুর্গ। বাহমানি সালতানাতের শাসক হাসান গাঙ্গু শাহ ওই দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বাহমানি শাসকরা সোমলিঙ্গশ্বরের মন্দিরের ওপর দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ৭০ একরেরও বেশি জমি জুড়ে রয়েছে দুর্গের বিস্তার। এই দুর্গের ভিতরেই নির্মিত হয়েছিল জামিয়া মসজিদ।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের কর্মীরা বিশ্বাস করেন, সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরটি দ্বাদশ শতকে কল্যাণী চালুক্য রাজবংশের সময় নির্মিত হয়েছিল। পরে আক্রমণ করে বাহমানি সুলতান। তারাই ধ্বংস করেছিল সব। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির অভিযোগ, শতাব্দীর পুরনো ইতিহাস সম্বলিত সোমেশ্বর মন্দিরটি প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ দ্বারা অবহেলিত হয়েছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে মন্দিরটি সংস্কার করা। তাদের হুঁশিয়ারি, সরকার যদি আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে, তাহলে আমরা আন্দোলনে নামব।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। পরে রানি অহল্যবাই সেখানে ফের মন্দির গড়ে তোলেন। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shingar Gauri temple) ছিল বলেও দাবি। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন আদালতে।

    ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    এই আবহেই বাহমানি দুর্গের ভিতরে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরের হদিশ মেলার খবরে সরগরম কর্নাটক। প্রসঙ্গত, রবিবারই এই রাজ্যেরই ম্যাঙ্গালুরুর এক মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। ২৫ মে ওই মসজিদ চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় আচার পালনের পরিকল্পনা করছেন স্থানীয় হিন্দুরা। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা।

     

     

  • gyanvapi mosque case: ফের পিছল জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি

    gyanvapi mosque case: ফের পিছল জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ফের পিছিয়ে গেল বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি। ২৬ মে, বৃহস্পতিবার এই মামলায় মসজিদ কমিটির আবেদন শুনবে বলে জানিয়েছে বারাণসী জেলা আদলত। আদালত উভয় পক্ষকেই কমিশনের প্রতিবেদনে আপত্তি জানাতে ও এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।  

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath Temple) চত্বরেই রয়েছে জ্ঞাপবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)। হিন্দুদের দাবি, মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে, ষোড়শ শতকে। মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) নির্দেশে। পরে বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন রানি অহল্যাবাই। ১৮০০ শতকে মন্দির কর্তৃপক্ষকে নন্দীর একটি মূর্তি উপহার দেন নেপালের রানা। সেই মূর্তি এখনও রয়েছে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    এই জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের মা শৃঙ্গার গৌরীর পুজোর অধিকার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন পাঁচ মহিলা। সেই আবেদনের শুনানির পরে সোমবার পর্যন্ত নির্দেশ সংরক্ষিত রেখেছিলেন জেলা বিচারক এ কে বিশ্বাস। এর আগে দেশের শীর্ষ আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা শুনানির জন্য পাঠিয়েছিল বারাণসী জেলা আদালতে।

    মসজিদ পরিচালনা করে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (anjuman intezamia masjid committee)। এই কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতেই বারাণসী দায়রা আদালত থেকে ওই স্পর্শকাতর মামলা সরানো হয়। সোমবার মসজিদ কমিটির তরফে মসজিদ চত্বর রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত আবেদনটির শুনানি আগে করার আবেদন জানানো হয় বারাণসী জেলা আদালতে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি

    তারও আগে মসজিদে শুরু হয় ভিডিওগ্রাফির কাজ। ভিডিওগ্রাফির পর্বে নজরদারি করার জন্য আইনজীবী অজয় কুমার মিশ্রকে নিয়োগ করা হয় অ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে। মসজিদে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির (Videography survey) রিপোর্ট ফাঁস হওয়ায় সরানো হয়েছিল অজয় কুমারকে। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হয়েছিল মসজিদ কমিটি।

    সোমবার দুপুরে বিচারক বিশ্বাসের এজলাসে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে জ্ঞানবাপী মামলার শুনানি। তার আগেই অবশ্য আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের (ISI) বিশেষজ্ঞ দলের সমীক্ষা এবং ভিডিওগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আদালত ওজুখানা ও তহ্খানা সিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায় বহাল রাখলেও, মসজিদে কোনও অবস্থায়ই নমাজ পাঠ বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

    সোমের পর মঙ্গলবারও ফের হয় শুনানি। হিন্দুদের তরফে আইনজীবী বিষ্ণু জৈন বলেন, আদালত দু পক্ষকেই কমিশনের রিপোর্টের ওপর অবজেকশন ফাইল করতে বলেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

  • Gyanvapi mosque: জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    Gyanvapi mosque: জ্ঞানবাপীর ৫ মামলাকারী লক্ষ্মী, সীতা, রেখা, মঞ্জু আর রাখিকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) চত্বরে মা শৃঙ্গার গৌরীর নিত্য উপাসনার অধিকার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। সংবাদমাধ্যমের দৌলতে তাঁরা এখন খবরের শিরোনামে। এঁদের মধ্যে চারজনের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এই মহিলাদের পরিচয়।

    বিয়ের আগে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন লক্ষ্মী দেবী। বিয়ের পরে চলে আসেন বারাণসীতে। তাঁর স্বামী সোহনলাল আর্য। বারাণসী প্রান্তের ভিএইচপির সহ-সভাপতি। তিনিই প্রথম দাবি করেছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার ভিতরে পাওয়া কালো পাথরের কাঠামোটি আদতে একটি শিবলিঙ্গ। ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন লক্ষ্মীদেবী। বলেন, আইনি লড়াইয়ে যোগ দিতে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম স্বামীর কাছে। বছর ছেষট্টির এই মহিলা বলেন, আমি ও বারাণসীর অন্য মহিলারা নিয়মিত মা শৃঙ্গার গৌরীর পুজো করতে পারছিলাম না। বিশ্বেশ্বরের বাহন নন্দীর মূর্তি দেখে খুব খারাপ লেগেছিল। প্রসঙ্গত, ১৮০০ সাল নাগাদ নেপালের রানা বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকে নন্দীর এই মূর্তিটি উপহার দিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র

    কাশী বিশ্বনাথ-জ্ঞানবাপী মামলার আরও এক ‘পার্টি’ হলেন সীতা সাহু। বছর চল্লিশের সীতা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর মা প্রভাবতী দেবী এক সময় উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে বিজেপির টিকিটে পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর স্বামী বালগোপাল সাহু একটি জেনারেল স্টোরের মালিক। বিজেপির স্থানীয় মহানগর ইউনিটের সদস্য। তিনি বলেন, সীতা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বিয়ের আগে যোগ দিয়েছিলেন আরএসএসের প্রশিক্ষণ শিবিরে। সীতা বলেন, নবরাত্রির সময় শৃঙ্গার গৌরী চত্বরে যাওয়ার সময় আমরা প্রতিদিন প্রার্থনা করতে পারতাম না। আমরা কেবল চত্বরটা দেখতে পেতাম।

    আরও পড়ুন : মুসলমানরা আগে হিন্দু ছিলেন! আরএসএসের অনুষ্ঠানে দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    রেখা পাঠকের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পুরোটাই বারাণসীতে। তিনি বারাণসীর অতিপরিচিত লাট ভৈরব মন্দিরের মহন্ত দয়াশঙ্কর ত্রিপাঠীর মেয়ে। তিনি বলেন, দেবতার প্রতি ভালবাসা আমার রক্তে রয়েছে। দয়াশঙ্কর বলেন, আমরা শুধু সম্মান চাই। হিন্দুত্বের জন্য মরতেও প্রস্তুত আমরা। নবরাত্রির সময় পুজো করতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে রেখার। বলেন, সব মন্দিরে নবরাত্রির সময় যেভাবে পুজো করা হয়, শৃঙ্গার গৌরীর মন্দিরেও সেইভাবেই করা উচিত।

    ছোট্ট একটি বিউটি পার্লারের মালিক মঞ্জু ব্যাস। স্বামী বিক্রম ব্যাসকে নিয়ে ছোট্ট সংসার তাঁর। কিরোশী মেয়ে বারাণসী শহরের বাইরে পড়াশোনা করে। মঞ্জু বলেন, অনেকেই আমাদের সম্পর্কে জানতে চায়। আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।

    পিটিশন দাখিল করেছিলেন রাখি সিংহও। তবে তিনি ঠিক কে, তা জানা যায়নি। দিল্লিতে থাকলেও, তিনি কখনও বাকিদের সঙ্গে দেখা করেননি। রেখা বলেন, দয়া করে ওঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না। আমরা এখন চারজন। 

     

  • Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনে (money laundering case) জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার তরফেই এ খবর জানানো হয়েছে।

    ইডি-র (ED) তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুলকে ২ জুন আর সোনিয়াকে ৮ জুন ইডি-র দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের দুই হেভিওয়েট নেতাকে যে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা স্বীকারও করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সোনিয়া গান্ধীকে ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ইডি। তবে তাঁরা যে এতে ভয় পাচ্ছেন না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাত শিবিরের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, আমরা এই নোটিসে ভয় পাই না। মাথা নতও করব না।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এটি বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলার এক অদ্ভুত নোটিস, যার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি পুরোপুরি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করব। সিংভি বলেন, সোনিয়া, রাহুল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। রাহুল আপাতত বিদেশে রয়েছেন। ফিরে এলে তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন। অন্যথায় ইডির কাছে আরও সময় চাওয়া হবে।

    তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রণদীপ বলেন, পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পোষা সংস্থা ইডি। মোদি (Modi) সরকার প্রতিশোধের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইডির নোটিসকে নয়া কাপুরুষোচিত কাজ বলে তোপ দাগেন তিনি। রণদীপ জানান, ন্যাশনাল হেরাল্ড ১৯৪২ সালের একটি সংবাদপত্র। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তা দমনের কাজ করেছিল। এখন মোদি সরকার ইডিকে হাতিয়ার করে এসব করছে।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি (BJP) তুলেছিল মনমোহন সিং (Manmohan Singh)-এর জমানায়ই। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

    তাঁর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

     

  • Life in Venus: শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই, নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা 

    Life in Venus: শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই, নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্র গ্রহের (Venus) মেঘের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে সেখানে প্রাণের (Life) অস্তিত্ব না থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Cambridge) একটি গবেষণায় (Research) জানা গিয়েছে শুক্র গ্রহে সম্ভবত প্রাণের অস্তিত্ব নেই। গবেষণাটি একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে প্রাণের অস্বিত্ব থাকার মতো কোনও প্রমাণ মেলেনি গবেষণায়। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে শুক্র গ্রহের মেঘের অদ্ভুত রাসায়নিক গঠন ব্যাখ্যা করা যাবে না সাধারণ তত্ত্ব দিয়ে।  

    বিজ্ঞানীরা শুক্রে উপস্থিত ঘন সালফার-সমৃদ্ধ মেঘের জৈব রসায়ন বিশ্লেষণ করেছেন। তিনজন গবেষকের দল: শন জর্ডন, অলিভার শর্টল এবং পল বি. রিমার “আঙ্গুলের ছাপ” খুঁজেছেন প্রাণের অস্বিত্বের প্রমাণ স্বরূপ। এমনকি তাঁরা কোনও খাওয়ার বা মলত্যাগের কোনও প্রমাণও খুঁজে পান নি।

    গবেষকরা শুক্র গ্রহের সালফার ডাই অক্সাইড-সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রত্যাশিত মডেল তৈরি করেছেন। দেখা গিয়েছে গ্রহের পৃষ্ঠের কাছাকাছি মেঘে সালফার ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব বেশি। তবে উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গে তা হ্রাস পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন মেঘে বসবাসকারী জীবাণুগুলির কারণে সালফার ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমেছে। যাইহোক মডেলগুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে সেই সম্ভবনা নেই। 

    এক বিজ্ঞানী এ বিষয়ে বলেন, “শুক্রের বায়ুমণ্ডলে যেসব সালফার সমৃদ্ধ ‘খাবার’ রয়েছে সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। যদি এই ‘খাবার’ কোনো জীব গ্রহণ করে তবে নির্দিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব। প্রাণের অস্তিত্ব থাকলে সেখানে যে পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ নির্গমন হওয়ার কথা তা হয়নি।”  

    তিনি আরও বলেন, “আমরা শুক্রের মেঘে যে আলাদা ধরণের সালফার রসায়ন দেখি তা দুবছর ধরে ব্যাখ্যা করার চেষ্ঠা করেছি। কিন্তু প্রাণের সন্ধান মেলেনি।”  

    আরও পড়ুন: শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই, নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা   

    ২০২০ সালে একদল বিজ্ঞানী দাবি করেন, শুক্র গ্রহের মেঘে ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। এ থেকে এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে জল্পনা কল্পনা আরও জোরালো হয়। 

    এর আগে ষাটের দশকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সাগান ও জীবপদার্থ বিজ্ঞানী হ্যারল্ড মরোইটজ শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

    আরও পড়ুন: সফলভাবে সিঙ্গাপুরের তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করল পিএসএলভি-সি৫৩

    শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে সংঘটিত জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সেখানে পৃথিবীর অনুরুপ সালফার-বেজড অনুজীবের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ ও রসায়নবিদ পল রিমার বলেন, “শুক্র গ্রহের মেঘের মধ্যে যে অদ্ভুত রাসায়নিক প্রক্রিয়া ঘটে তা থেকে আমরা সেখানে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করেছি। প্রাণের সন্ধান মেলেনি”। 

     

  • UK Government: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    UK Government: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে একে পদত্যাগ করেছেন ৪০ মন্ত্রী। তাঁর উপর আস্থা রাখতে পারছেন না তাঁরই অনুগতরা। প্রবল চাপের মুখে ব্রিটিশ  প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি হলেন বরিস জনসন (Boris Johnson)।  বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। দলের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের চাপে ইস্তফা দেওয়ার পথেই হাঁটতে বাধ্য হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ ভাষণ দিলেন জনসন। জানালেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ব্রিটিশ কূটনীতিক!

    ব্রিটেনের (Britain) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এদিকে কনজারভেটিভ দলের পরবর্তী পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত জনসন প্রধানমন্ত্রী দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন কিনা, তা-ও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আপাতত কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন বরিসই। যদিও টোরিদের তাতে সম্মতি নেই। লন্ডনের হাওয়ায় ভাসছে একাধিক নাম। তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম ব্রিটেনের সদ্য পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনকের। বরিসের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসার দৌড়ে আছেন প্রাক্তন লেভেলিং আপ সেক্রেটারি মাইকেল গোভ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মোরডন্ট, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রুস, ফরেন অ্যাফেয়ার্স চেয়ার টম টুগেনঢাট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাধিম জাহাউয়ি। সূত্রের খবর, বরিসের অনুপস্থিতিতে অনুমান, জাস্টিস সেক্রেটারি তথা ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ডমিনিক রাবই সাময়িক মসনদে বসতে পারেন। তিনিই ‘ডিফল্ট চয়েস’ বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    সম্প্রতি ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের অন্দরেই বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বরিস। গত কয়েক দিন ধরেই বরিস মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে সরে গিয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ইস্তফা দেন। তার পর প্রধানমন্ত্রী ২০১৯-এর ভোটের ফল দেখিয়ে বলেছিলেন, মানুষ তাঁকেই নেতা নির্বাচিত করেছে। তাই সরে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। ঘটনাচক্রে তার পরেই একে একে ইস্তফা দেন আরও পাঁচ মন্ত্রী। তার মধ্যে এক জন বরিস-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এক দিনের মধ্যে মন্ত্রিসভার সাত জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী-সহ ৪০ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার পর সুর বদলে যায় বরিসের। উল্লেখ্য, ঋষির পদত্যাগের পর ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হন নাধিম জাহাউয়ি। তিনিও বরিসকে সরে যেতে আবেদন করেন।

  • Population Control Bill: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল?

    Population Control Bill: সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন (Law for population control) আনবে কেন্দ্র। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মোদি সরকারের দুই মন্ত্রী।

    এদিন রায়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে গরিব কল্যাণ সম্মেলনে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল (Prahlad singh patel)। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করবে মোদি সরকার। তিনি বলেন, চিন্তা করবেন না, শীঘ্রই আইন আনা হবে। অন্য বড় সিদ্ধান্তগুলি যখন নেওয়া হয়েছে, তখন এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সেবা, সুশাসন এবং দরিদ্রদের কল্যাণ কেন্দ্রীয় সরকারের মূল মন্ত্র।

    আরও পড়ুন : জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    এদিন ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ শানান পটেল। কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার অধিকাংশ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। উদাহরণ দিয়ে প্যাটেল বলেন, জল জীবন মিশনে রাজ্যে ২৩ শতাংশ কাজ হয়েছে। সেখানে জাতীয় পর্যায়ে ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যে জলের উৎসের অভাব নেই। কিন্তু প্রকল্পের সঠিক দেখভাল হচ্ছে না বলেই লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে না।

    শুধু প্যাটেল নন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রনয়ণ করার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদি মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য যুগল ঠাকুর। তিনি এও জানিয়ে দেন, সম্ভবত সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই বিল। এদিন প্যাটেল জানিয়ে দিলেন, শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনবে কেন্দ্র। তাঁর মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা বিপরীতভাবে সমানুপাতিক।

    আরও পড়ুন : ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    ক’দিন আগেই মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) অবিলম্বে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।  প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পরে এ ব্যাপারে সরব হন মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার অনুরোধও জানান।

    পুণের একটি জনসভায় রাজ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনুন। এই সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনও আনা হোক। ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলের দাবিও তুলেছে মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান। বলেন, ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলে হোক শম্ভাজিনগর।

     

LinkedIn
Share