Blog

  • Kashmir: উপত্যকায় হিন্দু শিক্ষিকা রজনী বালার হত্যায় জড়িত জঙ্গি নিহত

    Kashmir: উপত্যকায় হিন্দু শিক্ষিকা রজনী বালার হত্যায় জড়িত জঙ্গি নিহত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলগামে (Kulgam) স্কুলে ঢুকে হিন্দু শিক্ষিকা রজনী বালা (Rajani Bala) হত্যার ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের খতম করল পুলিশ। টানা তিনদিন কুলগামে অভিযান চালিয়ে ওই দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে বলে জানান জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir) পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। তিনি জানান, এখনও দুই হিজবুল মুজাহিদিন (Hizbul) জঙ্গির খোঁজে অনন্তনাগে (Anantnag) অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

    মঙ্গলবারই শোপিয়ানে (Shopian) অভিযান চালিয়ে রাজস্থানের বাসিন্দা বিজয় কুমার (Vijay Kumar) নামে কুলগামের ব্যাংক ম্যানেজার খুনে অভিযুক্ত-সহ দুই লস্কর-ই-তৈবা (Laskar-e-Taiba) জঙ্গিকে খতম করেছিল পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী। এদিনের অভিযানেও সাফল্য পায় বাহিনী। জঙ্গিদের কাছ থেকে এদিন ১৫ কেজি আইইডি (IED) উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, জঙ্গিরা উপত্যকায় বড়সড় বিস্ফোরণের ছক কষছিল। বিস্ফোরক উদ্ধারে সেই ছক বানচাল করা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কুলগামে গোপন ডেরায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, এই খবর পেয়েই মিশিপুরা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ, সেনা ও আধা সেনার জওয়ানরা। অন্যদিকে, অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায়ও পুলিশ ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই হিজবুল জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে পুলিশ।  নিহত দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের মধ্যে এক জঙ্গির নাম জুনায়েদ বাসিত ভাট। ২০১৮ সাল থেকে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপে সক্রিয় ছিল জুনায়েদ। ২০২১ সালে উপত্যকায় খুন হন বিজেপির (BJP) গ্রাম প্রধান  জিএইচ রসুল দার ও তাঁর স্ত্রী। এই খুনের নেপথ্যে ছিল জুনায়েদ। অনন্তনাগের আর এক গ্রাম প্রধানকেও গুলি করে হত্যা করে এই জঙ্গি। তৃতীয় জঙ্গির খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুন: জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে জম্মুর ৩৬ বছর বয়সী মহিলা রজনী বালাকে কুলগাম জেলার গোয়ালপোরা এলাকায় সরকারি হাইস্কুলে ঢুকে  হত্যা করে জঙ্গিরা। তারপর থেকেই উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্ত ছেড়ে জম্মুতে ফিরে আসতে চান সরকারি কর্মীরা। সেই দাবি মেনে নিয়ে নিহত শিক্ষিকা রজনী বালার স্বামীকে কুলগামের স্কুল থেকে জম্মুতে বদলি করল সরকার। রজনীর স্বামী রাজকুমার লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাকে (Lt Governor Manoj Sinha) একথা জানান। এই বদলিকে স্বাগত জানিয়েছেন কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দু পণ্ডিত ও দলিত সরকারি কর্মীরা। একইসঙ্গে তাঁরা নিরাপত্তার খাতিরে সকলেরই বদলির জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন রাখেন।

  • World Heart Rhythm Week: জানুন , কেন পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’

    World Heart Rhythm Week: জানুন , কেন পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অ্যারিথমিয়া (Arrhythmia)সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও হৃদস্পন্দন (Heart beat) মানব শরীরে স্বাভাবিক আছে কিনা এই সতর্কবার্তা দিতে বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’ ৬ ই জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত পালন করা হয়।   কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে কী এই অ্যারিথমিয়া। নীচে এই বিষয়েই বিস্তারিত বলা হল-

    অ্যারিথমিয়া কী?

    এককথায় বলতে গেলে, অ্যারিথমিয়া হৃদস্পন্দনজনিত সমস্যা। অর্থাৎ নানা কারণে আমাদের হৃদস্পন্দর অনিয়মিত হয়। কখনও দ্রুত হৃদস্পন্দন চলে। কখনও আবার খুব ধীরে চলে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যাকেই অ্যারিথমিয়া বলা হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতি মিনিটে সাধারণ হৃদস্পন্দন ৬০-১০০ বিট। স্বাভাবিকের চেয়ে হৃদস্পন্দন বেশী হলে একে বলা হয় ট্যাচিকার্ডিয়া(Tachycardia) ও স্বাভাবিকের চেয়ে হৃদস্পন্দন কম হলে একে বলা হয় ব্যাডিকার্ডিয়া (Bradycardia)। তবে কখনও কখনও এই সমস্যা আমাদের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে না। আবার কখনও কখনও স্ট্রোক, ব্ল্যাকআউট কিংবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অ্যারিথমিয়া।

    আরও পড়ুন: কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা কী? কোন ব্যায়ামগুলি আপনার হার্টের পক্ষে ভালো?

    হৃদস্পন্দন অনিয়মতার কারণ কী?

    বুক ধড়ফড় করলে হৃদস্পন্দনে অনিয়মতা দেখা যায়। হৃদস্পন্দনে ব্যাঘাত ঘটলেই বুকে ধড়ফড়ানি শুরু হয় ও ফলে অ্যারিথমিয়া রোগটি দেখা যায়। এর ফলে অনেকসময় কার্ডিওভাসকুলার ডিসওর্ডার দেখা যায়।

    এটির প্রধান লক্ষ্মণগুলো কী কী?

    অ্যারিথমিয়ার প্রধান উপসর্গগুলো হল-

    • বুক ধড়ফড় করা
    • ক্লান্তিভাব
    • বুক ব্যথা
    • শ্বাসকষ্ট
    • মাথা ঘোরা

    এই রোগটি কীভাবে ধরা যায়?

    এই রোগ ইসিজি (electrocardiogram )-র মাধ্যমে বোঝা যায়। এটির মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির হৃদস্পন্দন সম্পর্কে জানা যায়।

    আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান? রোজ পাতে রাখুন এই খাবারগুলো

    হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে কী কী করণীয়?

    প্রথমেই যা করণীয় তা হল আপনার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা। মানসিক চাপ কমাতে ব্যায়াম করা, মদ, কফি সেবন না করা। এছাড়াও আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা মেনে চলা উচিত। নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো দরকার। আবার হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করাও দরকার। তবে যদি প্রায়শই এমন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

  • Asia Cup Hockey 2022: এশিয়া কাপ হকির আসরে আজ মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

    Asia Cup Hockey 2022: এশিয়া কাপ হকির আসরে আজ মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতায় (Jakarta) শুরু হতে চলেছে এশিয়া কাপ হকির (Asia Cup Hockey 2022) প্রতিযোগিতা। প্রথম দিনেই ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান (India vs Pakistan)। কার্যত টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। 

    জাকার্তার এশিয়ান গেমস ২০১৮ (Asian Games 2018) যেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই একই জায়গা, জিবিকে এরিনা-তেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এবছরের এশিয়া কাপ হকি। এশিয়ান গেমসের পুল এ-তে ভারতের (India) সঙ্গে রয়েছে জাপান, পাকিস্তান ও আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া। পুল বি-তে রয়েছে মালয়েশিয়া, ওমান, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া। 

    প্রতিযোগিতার প্রথম দিনেই মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে ওমানকে। আবার গ্রুপ বি-এর বাংলাদেশ-এর বিরুদ্ধে খেলবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ানস ট্রফির বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ান গেমস চ্যাম্পিয়ানস জয়ী জাপান খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের ঢাকায় কন্টিনেন্টাল টুর্নামেন্টে ভারত মালয়েশিয়াকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছিল। ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই টুর্নামেন্টে তিনবার জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া চারবারের বিজয়ী।

    আরও পড়ুন: আইপিএলে সাফল্যের পুরস্কার! দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে উমরান, অর্শদীপ

    কব্জির চোটের জেরে গোটা টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যেতে হয় দলের অধিনায়ক রুপিন্দর পাল সিংকে। তাঁর জায়গায় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন বীরেন্দ্র লাকরা। লাকরাকে প্রাথমিকভাবে দলের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছিল। তিনি অধিনায়ক হওয়ায়, সহ-অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হল এসভি সুনীলকে।

    টোকিও অলিম্পিক্সে অসাধারণ খেলা সিমরানজিৎ সিং দীর্ঘ অসুস্থতার পর ফিরে এসেছেন তাঁর দলে। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে নির্বাচিত করা হয় দ্বিতীয়বারের জন্য অলিম্পিক্স বিজয়ী ও প্রাক্তন অধিনায়ক সর্দার সিং।
    সুনীল বলেন “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলায় সবসময়ই চাপ থাকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কোনও প্রতিযোগিতাই চিত্তাকর্ষক। একজন প্রবীণ খেলেয়াড় হওয়ায় কখনওই আমরা বেশি উত্তেজিত হতে পারি না, নয়তো নবীন খেলেয়াড়রাও চাপের মধ্যে খেলবে। সুতরাং আমাদের এটিকে সাধারণ খেলার মতই নেওয়া উচিত।”

    লাকরা বলেন, “দুটো দলই নবীন। আমাদের ম্যাচ অনুযায়ী খেলা উচিত। যদি পারফরমেন্স ভালো হয়, তবে তার ফলও ভাল হবে। যদি আমরা ভাল খেলি, কনফিডেন্সও বেড়ে যাবে। সুনীল আরও বলেন, “কোনও দলকেই হাল্কাভাবে নেওয়া যাবে না। প্রত্যেকটি দল এখানে পরের বছরের ওয়ার্ল্ড কাপে জায়গা করতে এসেছে, তাই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রধান বিষয় হল আমাদের খেলাকে উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।”

    ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ম্যাচ কত তারিখে খেলা হবে?

    সোমবার, ২৩ মে।

    ম্যাচটি কোথায় হবে?

    ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গেলোরা বুং কার্নো স্পোর্টস কমপ্লেক্সে।

    খেলা শুরু কখন?

    খেলা শুরু ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা।

    কোন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করবে?

    ভারতে সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস

    লাইভ স্ট্রিমিং কোথায় হবে?

    ডিজনি+হটস্টার অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে

  • Cattle Smuggling Case: নিশুতি রাতে পাচার হত পাল পাল গরু, কীভাবে চলত অপারেশন?

    Cattle Smuggling Case: নিশুতি রাতে পাচার হত পাল পাল গরু, কীভাবে চলত অপারেশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা সূয্যি ডোবার। তার পরেই অন্ধকার হয়ে যেত বীরভূম (Birbhum)-মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিস্তীর্ণ অংশ। অন্ধকার ফুঁড়ে ছড়ি হাতে বের হত গরু পাচারকারীরা। নিশুতি রাতে কেবল শোনা যেত গরুর খুরের ঠক ঠক শব্দ। আর মাঝে মধ্যে পাচারকারীর হ্যাট, হ্যাট আওয়াজ। এভাবেই দিনের পর দিন পাচার হয়ে যেত পাল পাল গরু। দেশের সীমান্ত পেরিয়ে সেই গরু চলে যেত বিভুঁইয়ে, বাংলাদেশে (Bangladesh)। তারপর ভায়া কষাইখানা হয়ে সটান খানদানিদের টেবিলে টেবিলে। এই গরু পাচার চক্রেই নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandol)। বিএসএফের (BSF) এক শীর্ষ কর্তা সহ আরও কয়েকজনের। 

    কিন্তু কীভাবে চালানো হত গোটা অপারেশন? আসুন জেনে নেওয়া যাক, সেই গল্পই। সিবিআই সূত্রে খবর, যেসব গরু পাচার হত, তার সিংহভাগই আসত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থান থেকে। যেসব গরুর প্রজনন ক্ষমতা নেই, বয়সের কারণে বাতিল হয়ে যাওয়া বলদই মূলত ঝাড়খণ্ড সীমান্ত হয়ে পাচারকারীদের হাত ধরে পৌঁছাত বীরভূমে। এই বীরভূমের ইলামবাজারে বসে বিরাট গরুর হাট। হাট চালাত গরু ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ। ব্যবসার খাতিরেই লতিফ সম্পর্ক রেখে চলত জেলার সর্বেসর্বা অনুব্রতর সঙ্গে। হাট থেকে ফের গরু চলে যেত পাচারকারীদের হাতে। ট্রাকে করে সেই গরু বীরভূমের ফুটিসাঁকো বা বাদশাহি রোড ধরে সটান চলে যেত মুর্শিদাবাদে। 

    সেখানেই গরু নিয়ে পাচারকারীরা অপেক্ষা করত সূয্যি ডোবার। কেবল সূর্য অস্ত গেলেই হবে না। পাচারকারীদের অপেক্ষা করতে হত বিএসএফ এবং কাস্টমসের একাংশের সবুজ সংকেতেরও। তারাই পাচারকারীদের জানিয়ে দিত, কোন দিন কখন লাইন খোলা হবে। নির্দিষ্ট দিনে এক কিংবা দু ঘণ্টার জন্য চোখে ঠুলি পরে বসে থাকত বিএসএফ। তার পর কখনও স্থলপথে কখনও বা জলপথে হাত বদল হয়ে যেত গরুর পাল। বাংলাদেশের পাচারকারীদের হাতে গরু তুলে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। মিলবে মোটা অঙ্কের টাকা। পাঁচ হাজার টাকার গরুই হাত ফের হয়ে বিক্রি হয় আট থেকে দশগুণ বেশি দামে।
    আরও পড়ুন : গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে
    লাভের কড়ি মোটা হলেও, সে টাকার সবটা ভোগে লাগত না পাচারকারীদের। টাকার বখরা দিতে হত পুরো চ্যানেলে থাকা লোকজনকে। যেসব থানার ওপর দিয়ে আসত গরুর পাল, সেখানকার থানার কর্তা এবং শাসকদলের নেতাদের দিতে হত নজরানা। যিনি যেমন মাপের নেতা, তাঁর পকেটে ঢুকবে তেমন পরিমাণ টাকা। শুধু নেতাদের নজরানা দিলেই যে সব কিছু মসৃণ গতিতে চলবে, তা তো নয়! তাই বখরার একটা অংশ দিতে হত বিএসএফ কর্তাদের একাংশকেও। কারণ তাঁরাই ‘গোপন’ সীমান্ত  নির্দিষ্ট সময়ে ‘ওপেন’ করে দেন। তাই গরু-পাচারের টাকার ভাগ পেতেন বিএসএফের কমান্ডান্ট পর্যায়ের আধিকারিক, ডিআইজি কিংবা আইজি স্তরের একাংশও। এঁদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ। গ্রেফতার হয়েছেন বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার, জেডি ম্যাথু। গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। গ্রেফতার হয়েছে তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত এনামূল হক। তবে এখনও অধরা হাটের মালিক লতিফ।

    আরও পড়ুন : গ্রেফতার হতে না হতেই কেষ্টকে ঝেড়ে ফেলল তৃণমূল!

    এখনও নিয়মিত বসে ইলামবাজারের হাট। বিক্রি হয় গরুও। তবে অনুব্রতরা গ্রেফতার হওয়ার পর ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে পাচারকারীরা। তাই বিক্রি কমেছে গরুর। কমেছে দামও। কাজলকালো চোখে জল নিয়ে নতুন মালিকের অপেক্ষায় হা পিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকে হাটের গরু। 

     

  • Kuwait: বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিলের পথে কুয়েত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা? 

    Kuwait: বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিলের পথে কুয়েত, ভারতের পাশে থাকার বার্তা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়গম্বর বিতর্কে (Prophet Controversy) উত্তাল ইসলামিক দেশগুলি। প্রাক্তন বিজেপিনেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গোটা বিশ্বের সামনে অস্বস্থিতে পড়তে হয়েছে ভারতকে। ইসলামিক দেশগুলি ক্ষমা চাইতে বলেছিল ভারতকে। মুসলিম দেশগুলি ভারতীয় পণ্যও বয়কট করেছিল। এই প্রতিবাদে সামিল হওয়া অন্যতম দেশ ছিল কুয়েত (Kuwait)। সমস্ত সুপারমার্কেটের তাক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত ভারতীয় পণ্য। কুয়েতজুড়ে বিক্ষোভও হয়েছিল বিস্তর। 

    অবশেষে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসছে কুয়েত। ভারত নয়, কুয়েত এবার ব্যবস্থা নিচ্ছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধেই। প্রবাসী বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিল করার পথে কুয়েত সরকার। এরমধ্যে রয়েছে ভারতীয়, পাকিস্তানিও। এমনকি চিরতরে ওই বিক্ষোভকারীদের ব্ল্যাকলিস্টও করতে পারে কুয়েত সরকার।   

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    গত ১০ই জুন কুয়েতে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে ৪০-৫০ জন মুসলিম প্রবাসী একটি বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়। এই বিক্ষোভ চলাকালীন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি পয়গম্বর মহম্মদের সমর্থনে স্লোগান পর্যন্ত দেয় তারা। এরপর তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়।   

    কুয়েত সরকারের আইন অনুযায়ী দেশের মধ্যে প্রবাসীদের বিক্ষোভ কিংবা আন্দোলন করাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয় এবং সেই কারণেই  বিক্ষোভকারীদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়। গত শুক্রবার ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা পয়গম্বর ইস্যুতে নূপুর শর্মার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানোর জন্য কুয়েতের পাহাহিল এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি না থাকায় শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় আন্দোলকারীদের।   

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত নয়, নূপুরের পাশে দাঁড়ান”, পরামর্শ ডাচ নেতার

    সূত্রের খবর, বর্তমানে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাদের ভিসাও বাতিল করতে চলেছে সরকার এবং তাদের নির্বাসন কেন্দ্রে পর্যন্ত পাঠানো হতে চলেছে। এমনকি, বিক্ষোভকারীদের আজীবন নির্বাসিত করতে পারে কুয়েত।     

    কুয়েতের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। বিশেষত কুয়েতের রাজ পরিবারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। গত বছর  বিজেপি সরকারের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কুয়েতে গিয়ে সেখানকার নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন, নরেন্দ্র মোদির বার্তা দেন এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও কী করে ভালো করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন। কোভিডের সময়ও ভারতকে প্রচুর অক্সিজেনের যোগান দিয়েছে কুয়েত। অনেক ভারতীয় কুয়েতে পরিচারকের কাজ নিয়ে যান। তাদের আইনি সুরক্ষা প্রদানের জন্যে একটি মৌ সাক্ষর করে কুয়েত সরকার।  

    তাই সাময়িকভাবে নিন্দা করলেও ভারতের বিরুদ্ধাচরণ যে করবে না কুয়েতের সরকার বিক্ষোভকারীদের ভিসা বাতিল করায় তা আরও একবার স্পষ্ট হল। 

     

  • Sonia Gandhi: ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    Sonia Gandhi: ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার করোনা সংক্রমিত সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। রয়েছেন নিভৃতবাসে (Home Isolation)। বৃহস্পতিবার এই খবর জানান কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীব সিং সুরজওয়ালা (Randeep Singh Surjewala)। ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী ও দলের সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) তলব করেছে  এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তার আগেই কোভিড পজিটিভ সোনিয়ার।

    ৮ জুন ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। রাহুল রয়েছেন বিদেশে। তাঁরও হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ইডি দফতরে। তবে কোভিড-১৯ (Covid-19) পজিটিভ হওয়ায় সোনিয়া আদৌ ওই দিন ইডি দফতরে হাজির হতে পারবেন কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    দিনকয়েক আগে রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া। সেখান থেকে ফেরার পর একের পর এক কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। বুধবার সন্ধেয় হালকা জ্বর অনুভব করেন। অন্যান্য উপসর্গও ছিল। কংগ্রেস নেত্রীকে পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, করোনা সংক্রমিত (Corona positive) হয়েছেন সোনিয়া। এর পরেই চলে যান হোম আইশোলেশনে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    সুরজওয়ালা জানান, সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা কংগ্রেস নেতাদের আরও অনেকেই করোনা সংক্রমিত। তবে দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন কংগ্রেস নেত্রী। কংগ্রেসের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, নির্ধারিত দিনেই ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন কংগ্রেস সভানেত্রী। সোনিয়া ৮ তারিখে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেও, বিদেশে থাকায় রাহুল আপাতত উপস্থিত হতে পারবেন না বলে কংগ্রেসে সূত্রে খবর। তাই তিনি কিছুটা সময় চেয়েছেন।

    এদিকে, তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুরজওয়ালা বলেন, পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পোষা সংস্থা ইডি। মোদি সরকার প্রতিশোধের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি তুলেছিল মনমোহন সিংয়ের জমানায়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

     

  • Supreme Court on Covid Vaccine: “কাউকে নিতে জোর করা যাবে না, তবে কেন্দ্রের নীতি অযৌক্তিক নয়”, করোনা টিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court on Covid Vaccine: “কাউকে নিতে জোর করা যাবে না, তবে কেন্দ্রের নীতি অযৌক্তিক নয়”, করোনা টিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: করোনা টিকা (covid-19 vaccine) নিতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না। এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যদিও, শীর্ষ আদালত এ-ও জানিয়েছে, কেন্দ্রের বর্তমান টিকাকরণ নীতি (vaccination policy) অযৌক্তিক নয়। 

    করোনা অতিমারীর সময়ে কেন্দ্রের তরফে এক সময় টিকা নেওয়াকে বাধ্যতামূলক করা হয়। যার জেরে জনগণের ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল কোথাও কোথাও। টিকা না নেওয়ার কারণে অনেক জায়গায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। কেন্দ্রের এই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা শুনানি চলছিল।

    এদিন আদালত জানায়, সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, শারীরিক অখণ্ডতা হল মৌলিক অধিকারের একটি অংশ। এমনকী, ভ্যাকসিন না নিলেও কোন ব্যক্তির ওপর কোনও বিধি নিষেধ আরোপ করা যাবে না। এমন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে তা প্রত্যাহার করতে হবে।  

    তবে, সুপ্রিম কোর্ট এ-ও জানিয়েছে, অতিমারীর (corona pandemic) ফলে অসুস্থতার গুরুতরতা, অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস, মৃত্যুর হার এবং বিশেষজ্ঞের মতামত বিবেচনা করে কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতিকেও অযৌক্তিকও বলা যাবে না। পাশাপাশি, কোভিড টিকাকরণ সংক্রান্ত নীতি খতিয়ে দেখতে কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ নিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

    সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে, জনসাধারণ এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে টিকা নেওয়ার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে বা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার (vaccine side effects) ঘটনা ঘটেছে, এমন তথ্য নথিবদ্ধ করতে হবে। সেই তথ্য জনসাধারণ যাতে পায়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে। তবে কোনও ব্যক্তির তথ্যের সঙ্গে যাতে কোনও আপস না করা হয়, তা-ও নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

     

  • India Russia: পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ যোগান, ভারত থেকে পণ্য কিনতে চেয়ে আবেদন রাশিয়ার

    India Russia: পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ যোগান, ভারত থেকে পণ্য কিনতে চেয়ে আবেদন রাশিয়ার

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধের ফলে রাশিয়া (Russia) থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পাশ্চাত্য দেশগুলি। রাশিয়ার ওপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা (sanctions)। ইউরোপীয় (EU) ও মার্কিন (US) বহুজাতিক পণ্য সংস্থাগুলি রাশিয়ায় খাদ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। 

    ফলে, বড় সমস্যায় পড়েছে পুতিনের দেশ। রাশিয়ার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও সুপারমার্কেটে থাকা পণ্যের স্টক প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। পশ্চিম থেকে আসছে না যোগান। তরতরিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। এই পরিস্থিতিতে বন্ধু ভারতের (India) মুখাপেক্ষি হয়েছে রাশিয়া। এদেশের বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে পণ্য-বাণিজ্য চুক্তি করতে চেয়ে নয়াদিল্লিকে (New delhi) অনুরোধ করেছে মস্কো (Moscow)।

    এই তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার প্রথম সারির ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ওজোন (Ozon) এবং ইয়ান্ডেক্স (Yandex) মার্কেট । এছাড়া, রয়েছে ফুড সাপ্লিমেন্ট সংস্থা ফার্মাস্ট্যান্ডার্ড, ডেন্টাল প্রোডাক্টের বিক্রেতা সিমকোডেন্ট, রাশিয়ার সর্ববৃহৎ ফুড রিটেল চেন এক্স৫ রিটেল (X5 Retail) গ্রুপ এবং কনফেকশনারি সংস্থা ইউনিকন্ফ (UNICONF)। 

    যেমন ভারত থেকে জামাকাপড় থেকে শুরু করে বাচ্চাদের খেলনা, চাদর, লিনেন, ঘর সাজানোর সামগ্রী, টেক্সটাইল-ফ্যাব্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, রান্নার সামগ্রী, চা ও চামড়ার জিনিস পেতে আগ্রহী ইয়ান্ডেক্স। আবার, আরেক রিটেল সংস্থা এক্স৫ এদেশ থেকে ড্রিঙ্ক, সামুদ্রিক খাবার, চা, কফি, বাসমতি চাল, টিনজাত খাবার, রান্নার সামগ্রী, আঙুরের দাবি করেছে। এছাড়া, তালিকায় রয়েছে মারমালেড, জ্যাম, পাস্তা, ওট্স, প্যানকেক, স্প্যাগেটি, কর্নফ্লেক্স, কেচাপ।

    শুধু তাই নয়। ভারত থেকে মেডিক্যাল সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়ার অন্তত ৫টি সংস্থা। সেই তালিকায় রয়েছে গ্লাভ্স থেকে এমআরআই মেশিন। যদিও, পেমেন্ট ঘিরে দু’তরফেই রয়েছে একটি অস্বস্তি। বর্তমানে, সুইফ্ট পেমেন্ট সিস্টেম থেকে রুশ ব্যাঙ্কগুলিকে নিষিদ্ধ করেছে পাশ্চাত্য দেশগুলি। ফলে, এখন বাধ্য হয়ে রুবলে অর্থের আদান-প্রদান করছে রাশিয়া। 

     

  • I-T returns deadline: সময়সীমা বাড়ছে না! ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হবে আয়কর

    I-T returns deadline: সময়সীমা বাড়ছে না! ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হবে আয়কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থবর্ষ ২০২১-২২-এ যাঁরা আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন, তাঁদের হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। কারণ চলতি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। কোনওভাবেই আয়কর দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে আয়কর দফতর। সময় পেরিয়ে গেলে দিতে হতে পারে জরিমানা। 

    একটি নির্দিষ্ট সীমার বেশি আয় করলেই আয়কর দিতে হয়। প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়, তারমধ্যেই আয়কর জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যদি কেউ ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর জমা না দেন, তবে অতিরিক্ত জরিমানা লাগু করা হয়। এবারও আয়কর জমা দেওয়ার শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে ৩১ জুলাই। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, আগে বেশ কয়েকবার আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমার মেয়াদ বাড়ানো হলেও, এবার আর তা করা হবে না। 

    আরও পড়ুন: প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বেসরকারিকরণ নয়, জানালেন রেলমন্ত্রী

    সরকারি সূত্রে খবর, আয়কর জমা দেওয়ার মেয়াদ আর না বাড়ানো নিয়ে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব তরুণ বাজাজ জানান, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই বকেয়া আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে যাবে বলে আশাবাদী সরকার। সেই কারণেই এবার আর আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ বাড়ানো হচ্ছে না। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ২.৩ কোটি টাকারও বেশি আয়কর জমা পড়েছে। আগামী কয়েকদিনে এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে।

    আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি! বন্দুক কাছে রাখার আর্জি বজরঙ্গি ভাইজানের

    মেয়াদ না বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আয়করদাতাদের মধ্যে একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে যে তারা মনে করেন রিটার্নের মেয়াদ তো বাড়ানো হবেই, সেই কারণে তারা আয়কর জমা দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করেন। তবে বর্তমানে প্রতিদিনই ১৫ থেকে ১৮ লাখ আয়কর জমা পড়েছে। আগামী কয়েকদিনে তা বেড়ে ২৫ থেকে ৩০ লাখে পৌঁছবে।” নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আয়কর জমা না দিলে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।

  • IPL 2022: ১৫ তলা থেকে আমাকে নীচে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, মুখ খুললেন যুযবেন্দ্র চাহাল 

    IPL 2022: ১৫ তলা থেকে আমাকে নীচে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, মুখ খুললেন যুযবেন্দ্র চাহাল 

     নয়াদিল্লি: আমাকে একটি বহুতলের ১৫ তলা থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আমার এক সতীর্থ(teammate)। অন্তত এমনই অভিযোগ জানালেন ক্রিকেটার(cricketer) যুযবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra chahal)। চলতি মরশুমে তিনি রাজস্থান রয়্যালসের(rajasthan royals) হয়ে আইপিএল(ipl) খেলছেন। এর আগে ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স(mumbai indians) এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্সে। সম্প্রতি তাঁর এক টিমমেটের মাদকাসক্তি নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর এক এমন অভিজ্ঞতার কথাই জানান চাহাল।
    ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই নিয়মিত মদ্যপান করেন। একবার তেমনিই এক ক্রিকেটারের পাল্লায় পড়েছিলেন চাহাল। তাঁর সেই সতীর্থই তাঁকে ১৫ তলার ব্যালকনি থেকে ফেলে দেবেন বলে ভয় দেখাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। 
    সেদিনের সেই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে আজও শিউরে ওঠেন চাহাল। ঘটনাটি ২০১৩ সালের। তখন তিনি ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ানসে। তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুতে একবার ম্যাচ শেষে গেট-টুগেদার হচ্ছিল। আমাদের কয়েকজন টিমমেট মদ্যপান করেছিলেন। তাঁদেরই একজন অনেকক্ষণ ধরে আমাকে নিরীক্ষণ করছিলেন। হঠাৎই তিনি আমাকে ডাকেন। উৎসবের আবহে আমিও সাতপাঁচ না ভেবে তাঁর কাছে চলে যাই। এর পর যা হল, তা ভাবলে আজও ঘুমের মধ্যে আমি চমকে উঠি। চাহাল বলেন, মদের নেশায় চুর আমার ওই সতীর্থ আমাকে কোলে তুলে নিয়ে ব্যালকনিতে চলে যান। তারপর একেবারে ধারে নিয়ে গিয়ে দোলাতে থাকেন। আমি যে তাঁকে জাপটে ধরব, সে রকম কোনও সুযোগ ছিল না। ভয়ে আমার প্রাণপাখি উড়ে যাওয়ার জোগাড়। ১৫ তলা উঁচু জায়গা থেকে পড়লে আমার কী হবে, তা ভেবে শিউরে উঠছিলাম আমি। সেই সময় কয়েকজন এসে আমার ওই মত্ত সতীর্থের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে। রাজস্থান রয়েলসের এই বোলার বলেন, এতদিন এই ঘটনার কথা আমি কাউকে বলিনি। এবার বললাম। সবাই জানল। তবে দয়া করে আমাকে কেউ আমার ওই সতীর্থের নাম জিজ্ঞেস করবেন না।  

LinkedIn
Share