Blog

  • Maharasthra Politics: শিন্ডে শিবিরকে স্বীকৃতি, লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ঠাকরের

    Maharasthra Politics: শিন্ডে শিবিরকে স্বীকৃতি, লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ঠাকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিন্ডে শিবিরকেই আসল শিবসেনার (Shiv Sena) স্বীকৃতি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র (Maharasthra) বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরবেকর। পরে উদ্ধব বিরোধী ওই শিবিরকে স্বীকৃতি দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও (Om Birla)। এবার সেই স্বীকৃতিকে দেশের শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) চ্যালেঞ্জ জানাল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) গোষ্ঠী।

    শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসকে নিয়ে গঠিত মহাবিকাশ আগাড়ি জোট ছেড়ে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাতে রাজি না হওয়ায় অনুগত বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটি উড়ে যান শিন্ডে। পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন তিনি। পতন হয় উদ্ধব ঠাকরে সরকারের।

    আরও পড়ুন : শিবসেনা কার? উদ্ধব, শিন্ডেকে তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    এর পরে পরেই শিন্ডে শিবিরকে আসল শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি দেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নরবেকর। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয় ১৮ জুলাই। অধিবেশনের প্রথম দিনই শিবসেনার ১২ জন সাংসদ শিন্ডে শিবিরের অংশ হিসেবে আসল শিবসেনার স্বীকৃতি পেতে আবেদন জানান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। লোকসভায় শিবসেনার সাংসদ সংখ্যা ১৮। তার সিংহভাগই শিন্ডে শিবিরে যোগ দেওয়ায় স্পিকার ওম বিড়লা তাঁদের স্বীকৃতি দেন। দক্ষিণ-মধ্য মুম্বই কেন্দ্রের সাংসদ রাহুল শেওয়ালেকে শিবসেনার লোকসভার নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন স্পিকার। রাহুল শিন্ডে শিবিরের নেতা। খারিজ হয়ে যায় উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা বিনায়ক রাউতের এ সংক্রান্ত আবেদন। উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা রাজন বিচারের বদলে শিন্ডে শিবিরের ভাবনা গাওলিকে শিবসেনার চিফ হুইপ হিসেবেও স্বীকৃতি দেন লোকসভার স্পিকার। স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিনায়ক ও রাজন। শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর দাবি, এটি অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং সংসদের রীতি বিরুদ্ধ। তাঁদের অভিযোগ, এটা করা হয়েছে স্রেফ শিবসেনার বিরোধী গোষ্ঠীকে মদত দিতে। তাঁরা বলেন, সংসদীয় দল একটি রাজনৈতিক দলের প্রোডাক্ট মাত্র। তাই শিন্ডে শিবিরকে মান্যতা দেওয়া ঠিক হয়নি।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা প্রমাণ করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন শিন্ডে?

  • Monkey Pox: ফের মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের হদিশ, বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Monkey Pox: ফের মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের হদিশ, বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পরে এবার দেশে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox)। আরও এক মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে কেরলে (Kerala)। আর তারপরেই দেশের সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিল কেন্দ্র সরকার। বিদেশ ফেরত সমস্ত যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের পর এবারে চোখ রাঙাচ্ছে টোম্যাটো ফ্লু! কী এর উপসর্গ, জানুন…

    সোমবার বিমান বন্দরের আধিকারিক (Airport Authority), স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে মাঙ্কি পক্স সংক্রান্ত ইস্যুতে জরুরি বৈঠক করেন স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ বিভাগের (Ministry of Health and Family Welfare) আঞ্চলিক দফতরের প্রধানরা। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বিদেশ থেকে দেশে ফিরলেই যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। এর ফলে দেশে মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমবে। মাঙ্কি পক্স নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। অভিবাসন দফতরকেও এই বিষয়ে সতর্ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের হদিস মিলল, ভয় কতটা?
      
    সোমবার সকালেই দেশে মাঙ্কি পক্সে দ্বিতীয় আক্রান্তের হদিশ মেলে। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ৩১ বছরের ওই ব্যক্তি এই মুহূর্তে কন্নুরের পারিয়ারাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত সপ্তাহে আরব আমিরশাহি ফেরত আরও এক ব্যক্তির শরীরেও মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস পাওয়া যায়। 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে মাঙ্কি পক্স মূলতে পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে। স্মল পক্সের মতোই লক্ষণ এই রোগের। যদিও স্মল পক্সের থেকে কম ক্ষতিকারক এই রোগ। সম্প্রতি মাঙ্কি পক্সকে অতিমারী ঘোষণা করেছে হু। 

    ইতিমধ্যেই ৫৮টি দেশে ৩৪১৭ টি মাঙ্কিপক্সের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের প্রভাব ক্রমশ একাধিক দেশে বেড়েই চলেছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কোনো পদক্ষেপ তৎক্ষণাৎ না নিলে মাঙ্কিপক্সের প্রভাব কমানো সম্ভব নয়। যদিও এই মুহূর্তে স্মল পক্সের তুলনায় মাঙ্কিপক্সের মৃত্যুর হার কম। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এই মুহূর্তে এই রোগের মোকাবিলার চেষ্টা চলছে সর্বত্র। এরই মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ফলে এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্স অতিমারি ছাড়া আর কিছু নয় জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক।

    ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক থেকে জানানো হয়েছে যে, মাঙ্কিপক্সকে অতিমারি ঘোষণা করার প্রধান উদ্দেশ্য হল যাতে অধিকাংশ দেশগুলি এই ভাইরাসের প্রতি বিশেষ নজর রাখে ও এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলেই এই ভাইরাসের ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবে গোটা বিশ্ব। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলি নিয়েও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার প্রচার করার কথাও বলেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক। 

     

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে আজ সর্বদল বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে আজ সর্বদল বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে (Sri Lanka Crisis) সর্বদলীয় বৈঠকে (All-Party Meeting) ডাক দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, মঙ্গলবার, হতে চলেছে সেই বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। 

    অর্থনৈতিক মন্দায় ডুবে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের স্বার্থে শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে ভারতের হস্তক্ষেপের দাবি করেছে তামিলনাড়ুর প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডিএমকে (DMK) এবং এআইএডিএমকে (AIADMK)।

    আরও পড়ুন: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?  

    সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে এক বৈঠকে, ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে সরকারের সামনে শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গ তুলেছিল। সেখানে বসবাসকারী তামিল জনজাতির পরিস্থিতির উন্নতিতে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে। ডিএমকে নেতা টিআর বালু এবং এআইএডিএমকে নেতা এম থাম্বিদুরাই তাঁদের দাবি সংবাদমাধ্যমকেও জানান।

    আরও পড়ুন: মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?       

    এর আগেই দ্বীপ রাষ্ট্রের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার পড়ন্ত অর্থনীতির কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই সে দেশকে ৩৮০ কোটি  মার্কিন ডলার দিয়ে সাহায্য করেছে মোদি সরকার। এছাড়াও জ্বালানি, খাবার, জামাকাপড়ের মতো ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়েছে।    

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ বিষয়ে বলেন, “কোনও দেশের উন্নতি, শান্তি বজায় রাখতে, সবার আগে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা প্রয়োজন। আমরা শ্রীলঙ্কার গণতন্ত্র বজায় রাখার লড়াইয়ে তাদের পাশে আছি।”  

    তিনি আরও বলেন, “আমরা শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে খুব সুক্ষ্মতার সঙ্গে নজর রাখছি। আমাদের শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সুসম্পর্ক ইতিহাস প্রাচীন। আমরা তা বজায় রাখব। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, আমরা এখন সেটাই দেখছি।”

    শ্রীলঙ্কার আন্দোলন রবিবার শততম দিন পার করেছে। কিন্তু অবস্থার কোনও রকম উন্নতি হয়নি। গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের দখল নেয়। তারপরেই প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ পালান রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর পৌঁছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি সামলাতে কার্যকরী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।  এই আর্থিক সংকটের জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। আর্থিক মন্দার কারণে গত বছর থেকে দ্বীপ রাষ্ট্রের ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছেন।   

        

  • Presidential Election: আদিবাসী সাজে বিজেপি বিধায়কেরা! ভোটের লাইনে ইন্দ্রনীল, অগ্নিমিত্রা, শুভেন্দু, মহুয়ারা

    Presidential Election: আদিবাসী সাজে বিজেপি বিধায়কেরা! ভোটের লাইনে ইন্দ্রনীল, অগ্নিমিত্রা, শুভেন্দু, মহুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) প্রক্রিয়া। সোমবার দুই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) বনাম যশবন্ত সিন্‌হার (Yashwant Sinha)  লড়াইয়ে দেশের প্রায় ৪,৮০০ জন সাংসদ ও বিধায়ক ভোট দেবেন। দ্রৌপদী এনডিএ-র প্রতিনিধি। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের হিসাব অনুযায়ী, তিনি মোট ভোটের অন্তত ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন। 

    বিধানসভায়  আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।  শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংসদ ও বিধায়ক মিলে মোট ভোটার ২৫৪। জেলাওয়াড়ি কয়েকটি ভাগ করে বিধায়কদের ভোট-পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কয়েক জন মন্ত্রীকে। লোকসভার সাংসদদের ক্ষেত্রে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভায় সুখেন্দু শেখর রায়কে দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। 

    বিরোধী দল বিজেপির হাতে রয়েছে ৭০ জন বিধায়ক এবং কার্যত ১৬ জন সাংসদ। বিজেপির তরফে রবিবারই তাঁদের নিউটাউনের একটি হোটেলে রাখা হয়। সেখান থেকেই এদিন সকালে বাসে করে বিধানসভায় আসেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদরা। তাঁদের প্রত্যেকের গলাতেই ছিল হলুদ রঙের উত্তরীয়। জানা গেল এগুলি আদিবাসী সংস্কৃতির প্রতীক। যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির প্রার্থী দ্রৌপদী জনজাতির প্রতিনিধি। তাঁকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে আদিবাসীদের ব্যবহৃত কাপড়ের উত্তরীয় গলায় পড়ে বিধানসভায় এসেছেন বিজেপির বিধায়কেরা। তাঁদের দাবি, আদিবাসী রীতি-নীতিকে সম্মান জানিয়ে তাঁরা এই পোশাক পরে এসেছেন। তাঁদের কথায়,  দেশ প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি পেতে চলেছে। তাই এই সাজ। বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু ৭০ শতাংশ ভোট পেয়ে জিততে চলেছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।

    আরও পড়ুন: শুরু হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    বিধানসভার বাইরে ভোটের লম্বা লাইনে হাজির তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদরাও। ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, শশী পাঁজা, মহুয়া মৈত্ররা। কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, ক্রস ভোটিং হবে বাংলায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির অনেকেই বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিন্‌হা ভোট দেবেন। ফিরহাদের ক্রস ভোটিং মন্তব্যের জবাব দেন বিজেপি নেত্রী এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা যা-ই বলুন আমরা আমাদের ভোট দ্রৌপদী মুর্মুকেই দেব।’’ অগ্নিমিত্রার মতে,তৃণমূলের অনেকে বরং দ্রৌপদীকেই ভোট দিতে ইচ্ছুক। শেষ হাসি কে হাসবেন, তা জনাতে অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।

  • Population Growth Row: দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বদলে যাচ্ছে ভারতের ধর্মীয় মানচিত্র?

    Population Growth Row: দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বদলে যাচ্ছে ভারতের ধর্মীয় মানচিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম (Muslims) জনসংখ্যা। ২০১১ সালের জনগণনা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের (Religious Group) চেয়ে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। সেই তুলনায় জন্মহার কম হিন্দু (Hindus), শিখ (Sikhs), জৈন (Jains) এবং বৌদ্ধদের (Buddhists)।  সম্প্রতি এনিয়ে সমীক্ষা করেন জেকে বাজাজ নামে এক ব্যক্তি। ‘সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ’-এর পক্ষে সমীক্ষাটি করেন তিনি। তাতেই দেখা যায়, ভারতে দ্রুত বদলে যাচ্ছে ধর্মীয় মানচিত্র। মুসলিমদের বাড়বাড়ন্তের পাশাপাশি কমছে শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের জন্মহার। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাজাজ জানান, এটা একটা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এর সমাজতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক পরিণতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

    আরও পড়ুন : হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বাজাজ দেখিয়েছেন, মুসলিম এবং ভারতের বাকি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্মহারের ফারাক বিস্তর। ১৯৫১ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত সময়ে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ০.২৪ শতাংশ। ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সেটা বেড়ে হয়েছে ০.৮০ শতাংশ। ১৯৫১ সালে ভারতে ৩.৪৭ কোটি মুসলিম ছিলেন। ২০১১ সালে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.১১ কোটিতে। অর্থাৎ, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে বৃদ্ধি হয়েছে ৪.৬ গুণ। তুলনায় অন্যান্য ধর্ম বেড়েছে ৩.২ গুণ। যা থেকে প্রমাণ হয় ভারতে ধর্মীয় ভারসাম্যহীনতা ক্রমশ বাড়বে। তিনি জানান, মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্মহারের ফারাক ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত খানিকটা কমলেও পরের দশকে ফের বেড়েছে এক লপ্তে অনেকটাই।

    সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির জনসংখ্যা ২০০১ সালে ছিল ৮৪.২১ শতাংশ। পরের দশকে সেটাই কমে হয়েছে ৮৩.৪৮ শতাংশ। অথচ মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সমীক্ষার ফলেই স্পষ্ট, ভবিষ্যতে এর প্রভাব হবে মারাত্মক। সমীক্ষায় এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, যেসব মায়েরা কম সন্তান ধারণ করেন, তাঁরা সুশিক্ষিত। অন্যদিকে, যাঁরা বেশিবার গর্ভধারণ করেন, তাঁদের মধ্যে শিক্ষার হার কম। তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারীও নন। সীমান্ত এলাকায় যে নিরন্তর ধর্মান্তকরণ চলছে, তারও প্রমাণ মিলেছে ওই সমীক্ষায়। দেখা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় তফশিলি উপজাতির মানুষ দ্রুত খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছেন। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ওই রাজ্যে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ১৯ শতাংশের কম থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি।

  • Katrina’s Birthday: বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন, সেলিব্রেট করতে ক্যাটকে নিয়ে মালদ্বীপ উড়ে গেলেন ভিকি

    Katrina’s Birthday: বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন, সেলিব্রেট করতে ক্যাটকে নিয়ে মালদ্বীপ উড়ে গেলেন ভিকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডে (Bollywood) গসিপের কোনও কমতি নেই। বিগত কয়েকদিন ধরেই ক্যাটরিনার মা হওয়া নিয়ে অনেক গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছিল। আলিয়ার মা হওয়ার খবরের ঝড় না থামতেই গুঞ্জন রটেছিল যে এ বার বলিউডে বাবা-মার তালিকায় নাম আসতে চলেছে ভিকি-ক্যাটের। ফলে ক্যাটরিনার (Katrina) মা হওয়া নিয়ে অনুরাগীদের মনে অনেক কৌতুহল। তবে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি ভিকি-ক্যাট। এই গুঞ্জনে কান না দিয়ে তাঁরা এখন ক্যাটরিনার জন্মদিন পালনে মজেছে। গতকাল অর্থাৎ ১৬ জুলাই ৩৯ বছরে পা রাখলেন ক্যাটরিনা কাইফ (Katrina Kaif)। এবারের জন্মদিনটা ‘ক্যাট’-এর জন্য একটু বেশিই স্পেশাল। কারণ ভিকি কৌশলের (Vicky Kaushal) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর এটাই ক্যাটরিনার প্রথম জন্মদিন (Birthday)। তাই এবারের জন্মদিনকে স্পেশাল বানাতে ভিকি তাঁর স্ত্রী কে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন মালদ্বীপে (Maldives)। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দেখা গিয়েছে ভিকি-ক্যাটের মালদ্বীপ ঘোরার ছবি।

    আরও পড়ুন: “কোনও বিয়ে নয়, কোনও আংটি নয়”, বিয়ে জল্পনায় নীরবতা ভাঙলেন সুস্মিতা

    মালদ্বীপে যাওয়ার আগেই তাঁদের মুম্বাই বিমানবন্দরে একসঙ্গে দেখা যায় এবং সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। জন্মদিনের দিন বউয়ের জন্য বিশেষ পোস্ট লিখতেও ভোলেননি ভিকি। ফিল্মি কায়দায় ভিকি লেখেন, ‘বার বার দিন ইয়ে আয়ে…বার বার দিল ইয়ে গায়ে… হ্যাপি বার্থ ডে মাই লাভ।’

    [insta]https://www.instagram.com/p/CgEvr2mvLyr/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    শুধুমাত্র ভিকি নয়, জন্মদিনে ক্যাটকে তাঁর পরিবার, প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটাতে দেখা যায় আর সেই ঝলকই উঠে এসেছে ক্যাটরিনার ইনস্টাগ্রামে। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে আনন্দে মেতেছেন ক্যাটরিনা। এদিন তাঁর পরিবারের মধ্যে তাঁর বোন ইসাবেল কাইফ (Isabelle Kaif), ভিকির ভাই সানি কৌশলকে (Sunny Kaushal) দেখা যায়। এছাড়াও অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজ (Ileana D’Cruz), অঙ্গিরা ধর(Angira Dhar) , সানির গার্লফ্রেন্ড শর্বরী ওয়াঘ (Sharvari Wagh) কে দেখা যায়।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CgEuTjVP1IL/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    আরও পড়ুন: মা হতে চলেছেন আলিয়া! নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন সুখবর..

    [insta]https://www.instagram.com/p/CgE2FYgvUYP/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    আবার ক্যাটের জন্মদিনে বি-টাউনের তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছাতে ভরিয়ে দেয়। কারিনা কাপুর (Kareena Kapoor), অনুষ্কা শর্মা (Anushka Sharma), সোনম কাপুর (Sonam Kapoor), সিদ্ধার্থ মালহোত্রা (Sidharth Malhotra), নেহা ধুপিয়া (Neha Dhupia), অভিষেক কাপুর (Abhishek kapoor), প্রীতি জিনটা (Preity Zinta) প্রমুখ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

  • Vice President Polls: উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা, মমতাকে ফোনে পেলেন না পাওয়ার

    Vice President Polls: উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা, মমতাকে ফোনে পেলেন না পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)-বিরোধী জোট। ওই পদে কংগ্রেস (Congress) নেত্রী মার্গারেট আলভার (Margaret Alva) নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির তুরুপের তাস পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর বিরুদ্ধেই লড়বেন আলভা। রবিবার এ কথা জানান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার স্বয়ং।

    উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী ঠিক করতে এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ পাওয়ারের দিল্লির বাড়িতে বৈঠকে বসেন বিজেপি-বিরোধী ১৭টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আশ্চর্যজনকভাবে ওই বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। ছিলেন না আম আদমি পার্টির কেউও। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কেউ যোগ দিতে পারেননি ওই বৈঠকে।

    তবে এদিন পাওয়ারের বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে প্রাক্তন রাজ্যপাল মার্গারেট আলভার নামেই শিলমোহর পড়ে। বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার জানান, আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কনফারেন্সে ব্যস্ত থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আমরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তিনিও শীঘ্রই মার্গারেট আলভাকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করবেন।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    ১৯৬৯ সালে আলভা প্রথম পা রাখেন রাজনীতির জগতে। যুক্ত ছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গে। ১৯৭৪ সালের পর থেকে দীর্ঘ সময় তিনি ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য। কেন্দ্রে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে হয়েছিলেন লোকসভার সদস্য। সামলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদও। এর পর আলভা অলঙ্কৃত করেন উত্তরাখণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যপালের পদও। সেই আলভাকেই উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে বিজেপিকে মাত দিতে চাইছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা উপরাষ্ট্রপতি পদে তাঁর নাম ঘোষণা করায় তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্গারেট। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, আমি সম্মানিত।   তবে রাষ্ট্রপতি পদের মতো উপরাষ্ট্রপতি পদেও জয়ী হতে চলেছেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। কারণ লোকসভা ও রাজ্যসভা সংসদের উভয় কক্ষেই বিজেপি সাংসদের সংখ্যা বেশি। সব মিলিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে মোট সদস্য সংখ্যা ৭৮০। এর মধ্যে বিজেপিরই রয়েছে ৩৯৪। অথচ ম্যাজিক ফিগার ৩৯১। যা রয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

     

  • PV Sindhu: চিনা প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে জয় ছিনিয়ে সিঙ্গাপুর ওপেনে চ্যাম্পিয়ন পিভি সিন্ধু

    PV Sindhu: চিনা প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে জয় ছিনিয়ে সিঙ্গাপুর ওপেনে চ্যাম্পিয়ন পিভি সিন্ধু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় তারকা শাটলার পিভি সিন্ধুর (PV Sindhu) মুকুটে যোগ হলো আরো একটি নয়া পালক। চিনা প্রতিযোগিকে হারিয়ে সিঙ্গাপুর ওপেন (Singapore Open) চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। ভারতের মুখ আবারও বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করল ভারতীয় খেলোয়াড়। চিনা প্রতিপক্ষ ওয়াং ঝি ই-কে (Wang Zhi Yi) হারিয়ে ট্রফি জিতলেন তিনি। দুই প্রতিযাগিদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হাসলেন পি ভি সিন্ধু। ২১-৯, ১১-২১, ২১-১৫ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি।

    এটি চলতি বছরে সিন্ধুর তৃতীয় খেতাব। কেরিয়ারের প্রথম সিঙ্গাপুর ওপেন খেতাব জিতলেন তিনি। এদিন চিনা শাটলার গেমের শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন। দুই পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও সিন্ধু তারপর টানা ১৩ পয়েন্ট করেন। সেখান থেকে আর প্রথম গেমে ফিরতে পারেননি চিনা শাটলার। সিন্ধু ১৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অবস্থায় ওয়াং কয়েকটি পয়েন্ট জিতলেও পরে জয় সিন্ধুরই হয়। ২১-৯ ব্যবধানে প্রথম গেম জিতে যান ভারতীয় শাটলার।

    এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে চিনা শাটলার কে এক অন্যরূপেই দেখা যায়। এই ম্যাচে তিনি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। প্রথমেই এগিয়ে যান ৬-০ পয়েন্ট নিয়ে। দ্বিতীয় গেমের বিরতিতে ৩-১১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকেন সিন্ধু। সেখান থেকে কয়েকটি পয়েন্ট জিতলেও কোনও লাভ হয়নি কারণ পরে ১১-২১ পয়েন্টে দ্বিতীয় গেমে জয়লাভ করেন ওয়াং ঝি ই।

    এরপর তৃতীয় ম্যাচে আবার সিন্ধু তাঁর নিজের ছন্দে ফিরে আসেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দু’জনের মধ্যে। টানা পয়েন্ট জিততে থাকেন দুই শাটলার। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নেন সিন্ধু। ২১-১৫ পয়েন্টে গেম জেতেন তিনি। দু-বারের অলিম্পিক্স পদকজয়ী এই শাটলার শেষপর্যন্ত চিনা প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে জয় ছিনিয়ে নেন। আগামী ২৮ জুলাই থেকে বার্মিংহ্যামে কমনওয়েলথ গেমস শুরু হতে চলেছে। এবার সিন্ধুর নজর কমনওয়েলথ গেমস এর দিকে। সোনার পদক জেতাই এখন তাঁর প্রধান লক্ষ্য।

    তাঁর এই জয়লাভে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ট্যুইটারে পি ভি সিন্ধুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

     

     

     

  • Teesta Setalvad: আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশেই মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিস্তা! দাবি সিটের

    Teesta Setalvad: আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশেই মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিস্তা! দাবি সিটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের মোদি (Modi) সরকারকে বিপদে ফেলতেই প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশে ষড়যন্ত্র করেছিলেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad)। আমেদাবাদের দায়রা আদালতে এমনটাই জানাল গুজরাট দাঙ্গার স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)। আদালতের কাছে জামিনের আর্জি জানান তিস্তা শেতলবাদ। আর সেই আর্জির বিরোধীতা করেই আদালতে হলফনামা পেশ করে সিট।  

    সিটের অভিযোগ, সমাজকর্মী তিস্তা অনেক বড় ষড়যন্ত্রের অংশ ৷ ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার (2002 Gujarat Riots) পর প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল (Congress leader Ahmed Patel) বিজেপি সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন৷ তাঁর হয়ে কাজ করতেন তিস্তা। 

    আরও পড়ুন: তিস্তাদের বিরুদ্ধে সিট! ছয় সদস্যের বিশেষ দল গঠন গুজরাট সরকারের  

    গত ২৪ জুন গুজরাট হিংসা মামলায় নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দেয় দেশের শীর্ষ আদালত৷ পরদিনই গ্রেফতার হন মামলাকারী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) পক্ষে থাকা সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ৷ পাশাপাশি দুই প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক আর বি শ্রীকুমার এবং সঞ্জীব ভাটকেও গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে গুজরাট হিংসা মামলার প্রমাণ বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে৷ এই তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৮ (জালিয়াতি) এবং ১৯৪ (ভুয়ো তথ্য দেওয়া) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    সিট হলফনামায় এক প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী উদ্ধৃত করে বলেছে, “তিস্তা শেতলবাদ আহমেদ প্যাটেলের হয়ে কাজ করতেন৷ তিনি কংগ্রেস নেতার থেকে গোধরা কাণ্ডের পর ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন।” সিটের আরও দাবি, “সেই সময় দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকা প্রভাবশালী জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করতেন তিস্তা৷ সেই বৈঠকে গুজরাট হিংসা মামলায় বিজেপি নেতাদের ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হত।” 

    আরেকজন সাক্ষীর দাবি অনুযায়ী সিট জানায়, ২০০৬ সালে শেতলবাদ এক কংগ্রেস নেতাকে প্রশ্ন করেন, কেন শুধু শাবানা আর জাভেদকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? তাঁকে কেন রাজ্যসভার সদস্য করা হচ্ছে না? সিটের দাবি, এই পরিস্থিতিতে তাঁকে জামিন দিলে, তদন্তে ব্যঘাত ঘটতে পারে। তিনি প্রমাণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। 
     

  • Sri Lanka Crisis: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া? 

    Sri Lanka Crisis: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে পড়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। মালদ্বীপ থেকে আশ্রয়ের আশায় তিনি উড়ে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে (Singapore)। সেখান থেকে আশ্রয় চেয়েছিলেন ভারতে (India)। তবে বছর তিয়াত্তরের এই রাজনীতিবিদকে সটান না বলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাই গোতাবায়ার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়, তা জানা যায়নি।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে দেখা দেয় আকাল। তার পরেই আছড়ে পড়ে জনরোষ। ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ পালান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। সেখান থেকে উড়ে যান সিঙ্গাপুরে। তবে সেখানে তাঁর স্থায়ী ঠাঁই জোটেনি। সিঙ্গাপুরের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সে দেশে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে গোতাবায়াকে। তবে তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত সফরের জন্য সে দেশে গোতাবায়াকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় চাওয়ার জন্য কোনও আর্জি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকেও করা হয়নি। সিঙ্গাপুরের তরফে তাঁকে আশ্রয় দেওয়াও হয়নি।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?

    স্ত্রী এবং দুজন মিলিটারি সিকিউরিটি অফিসারকে নিয়ে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া। ভায়া মালদ্বীপ হয়ে তিনি আপাতত রয়েছেন সিঙ্গাপুরে। সূত্রের খবর, সিঙ্গাপুরে গোতাবায়ার এক পক্ষকাল থাকার অনুমতি মিলেছে। সিঙ্গাপুর সরকার আর তা বাড়াতে চাইছেন না। ওই সূত্রেই জানা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন ভারত সরকারের কাছেও। তবে তাঁকে মুখের ওপর না বলে দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কাবাসীর বিপক্ষে যাক এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না সাউথ ব্লক। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    এদিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া দেশ না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ আদালত। প্রাক্তন তিন আধিকারিক, যাঁদের মধ্যে দুজন প্রাক্তন সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর, তাঁদেরও আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    চলতি মাসের ২০ তারিখে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা দ্বীপরাষ্ট্রে। তিনিই রাজাপক্ষের কার্যকালের  মেয়াদ শেষ করবেন। এই সময়সীমার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংহে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনিই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারেন। সেই প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্য সাংসদদের দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

     

LinkedIn
Share