Blog

  • RSS Meet: আরএসএসের জয়পুর বৈঠকে আলোচনা হবে জ্ঞানবাপী নিয়ে?

    RSS Meet: আরএসএসের জয়পুর বৈঠকে আলোচনা হবে জ্ঞানবাপী নিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসে জয়পুরে (Jaipur) বৈঠকে বসতে চলেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) নেতারা। সেখানেই আলোচনা হবে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) বিতর্ক নিয়ে। বিজেপির (BJP) সাসপেনডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। আরএসএসের একটি সূত্রেই এ খবর মিলেছে। 

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশেই ওই মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল বলে দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের দিকেই রয়েছে নন্দীর মুখ। নন্দীর মুখ সর্বদা শিবের দিকেই থাকে। এ থেকে হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে নেপালের মহারানার উপহার দেওয়া যে নন্দী মূর্তিটি রয়েছে, তার মুখ রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদের দিকে। হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের দাবি, মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা হয়েছে। তাদের আরও দাবি, এখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির ছিল। আদালতের নির্দেশে মসজিদ চত্বরে যে ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছিল, হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তার ফুটেজেও দেখা গিয়েছে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে শিবলিঙ্গ। আরএসএসের জয়পুর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।

    আরও পড়ুন : হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    আরএসএস কর্তারা প্রথম থেকেই বলেছিলেন, জ্ঞানবাপী বিতর্ক হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরই এক টেবিলে বসে মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেও দেশজুড়ে অশান্তি হয়েছে। হয়েছে হিংসাত্মক আন্দোলনও। তার জেরে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে মৃত্যু হয়েছে দু জনের। যদিও নূপুরের ওই বিতর্কিত মন্তব্যের পরে পরেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। নূপুরের ওই মন্তব্য যে তাঁরই, সরকারের নয়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে সাউথ ব্লক। জয়পুর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।

    আরএসএসের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান এবং দেশজুড়ে কীভাবে সংগঠনের শাখা বিস্তার করা যায়, তা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। মুসলিম সহ সংখ্যালঘু বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টাও সংঘ করবে বলেও জানা গিয়েছে।

     

  • JIS group: দুধের ব্যবসায় ১৫০ কোটি বিনিয়োগ রাজ্যের সংস্থার, কাজ ৫৫০ জনের 

    JIS group: দুধের ব্যবসায় ১৫০ কোটি বিনিয়োগ রাজ্যের সংস্থার, কাজ ৫৫০ জনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের (Milk and Milk Product) খুচরো ব্যবসায় পা রাখল রাজ্যের জেআইএস গোষ্ঠী (JIS Group)। সংস্থার দাবি, এর জন্য প্রথম পর্যায়ে ১৫০ কোটি টাকা লগ্নি করছে তারা। তাদের ওই প্রকল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে প্রায় ৫৫০ জনের কর্মসংস্থান হবে। সরাসরি চাকরি পাবেন ১৫০ জন। গত ১৫ এপ্রিল তাদের ব্র্যান্ডের দুধ বাজারে এসেছে। জেআইএস গোষ্ঠী শিক্ষা পরিষেবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হিসেবে পরিচিত হলেও, ১৯৫৩ সাল থেকেই দুধের ব্যবসায় রয়েছে তারা। তবে এত দিন তারা খুচরো ব্যবসা সংস্থাগুলিকে দুধ সরবরাহ করত। এ বার নিজেরাই দুধের খুচরো ব্যবসা শুরু করল। শীঘ্রই পনির,দই-সহ বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য বাজারে আসবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
    সংস্থার ডিরেক্টর আনমোল সিংহ নেরুলার দাবি, ‘‘আমাদের গোষ্ঠীর আওতায় শিক্ষা পরিষেবা, টেলি যোগাযোগ, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পণ্য পরিবহণ, পরিকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু আমার পূর্ব পুরুষেরা পঞ্জাবের লুধিয়ানায় দুধের ব্যবসা দিয়েই ব্যবসার জগতে পা রেখেছিলেন। পরে তা হরিয়ানা এবং পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।’’ তিনি আরও জানান, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবসার জন্য হাওড়ায় একটি কারখানা তৈরি করেছেন তাঁরা। সেখান থেকেই বোতলবন্দি করে বাজারে দুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
    জেআইএস কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, তাঁদের ডানকুনির প্রকল্পে দিনে ৫০০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। তা এত দিন বিভিন্ন সংস্থাকে সরবরাহ করা হত। এ বার নিজেদের ব্র্যান্ডের নামে তা সরাসরি বাজারে বিক্রি করছেন তাঁরা। সংস্থার বিপণন বিভাগের দুই কর্তা চিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় এবং সুমিত দেব বলেন, ‘‘আপাতত কলকাতার মধ্যেই ব্যবসা সীমাবদ্ধ রাখা হবে। শহরের ৩৬০০টি দোকানে আমাদের পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতে ব্যবসা ছড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’

  • iPhone 14: আইফোন ১৪ ফোনে থাকছে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি? পড়ুন বিস্তারিত

    iPhone 14: আইফোন ১৪ ফোনে থাকছে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি? পড়ুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকটা মাসের, তারপরই iPhone 14 সিরিজের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে দেবে Apple। ফলে, স্পষ্টতই প্রত্যেক টেকপ্রেমী অধীর আগ্রহে বসে আছেন ১৪তম প্রজন্মের আইফোন দেখার জন্য। তবে, লঞ্চের সময় যত ঘনীভূত হচ্ছে,ততই এই নতুন মডেলের আইফোন সিরিজ সম্পর্কে নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে। যেমন,সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, iPhone 14 সিরিজের ফোনে অ্যাডভান্সড স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি (Advanced Satellite connectivity) অপশন থাকতে পারে, যা জরুরি পরিস্থিতিতে শর্ট টেক্সট (short text) বা সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করবে। 

    সম্প্রতি অ্যাপল, তাদের ওয়্যারেবল ডিভাইসের জন্য অনুরূপ স্যাটেলাইট ফিচারের উপর কাজ করছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। এক্ষেত্রে, সংস্থাটি যদি সত্যি আইফোন ও ওয়াচে স্যাটেলাইট সিস্টেম যোগ করে থাকে, তাহলে তা ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই ফিচার আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ইউনিটের সঙ্গে উপগ্রহ-যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠানোর অনুমতি দেবে। এর জন্য, এই সিস্টেমে ৪জি বা ৫জি সেলুলার কভারেজ উপলব্ধ নেই এমন এলাকা থেকে মেসেজ পাঠানোর জন্য “এমার্জেন্সি মেসেজ ভায়া কন্টাক্টস” (Emergency Message via Contacts) অপশন অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

    যাইহোক, গত বছর আইফোন ১৩ সিরিজ আত্মপ্রকাশ করার সময়েও এতে LEO বা লোয়ার আর্থ অরবিট (Lower Earth orbit) স্যাটেলাইটের কমিউনিকেশন প্রযুক্তি (satellite communication technology) ব্যবহারের গুজব উঠেছিল। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে দেখা যায় অ্যাপল তাদের ২০২১ সালের আইফোনগুলিতে এই ফিচার অন্তর্ভুক্ত করেনি। ফলে আইফোন ১৪ লাইনআপের ক্ষেত্রে সেলুলার কানেক্টিভিটি ফিচার দেখতে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে।

     

  • Sukanya Mondal: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

    Sukanya Mondal: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরেশ (Paresh Adhikary)-কন্যার অঙ্কিতার (Ankita Adhikary) পর এবার অনুব্রত (Anubrata Mondal)-কন্যার বিরুদ্ধেও উঠল টেট পরীক্ষায় (Primary TET) পাশ না করে স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। আর এই অভিযোগ বিস্ফোরক ঘিরে জোর আলোড়ন। ২৪-ঘণ্টার মধ্যে স্কুলের রেজিস্টার আদালতে পেশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt)। 

    আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ তো ছিলই, এবার কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) বিরুদ্ধে উঠল টেট অনুত্তীর্ণ হয়েও চাকরি নেওয়ার অভিযোগ। বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী সৌমেন নন্দী অভিযোগ করেন, অনৈতিক ভাবে, টেট পাশ না করেই স্কুলের চাকরি পেয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চে ওঠা মামলায় বুধবার অভিযোগ করা হয়েছে, সুকন্যা নাকি স্কুলেও যেতেন না। অথচ, অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে যেত হাজিরার রেজিস্ট্রার। 

    আরও পড়ুন: স্কুলে চাকরি করেই কয়েক’শ কোটির সম্পত্তি সুকন্যার! কী করে? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    মামলাকারীর আরও অভিযোগ, শুধু সুকন্যাই নয়, চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর আরও ৫ আত্মীয়। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেন, সুকন্যার মতো স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর আপ্ত সহায়ক অর্ক দত্তও। চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর ভাই, ভাইপো, ছাড়াও ২ ঘনিষ্ঠ। শুনানির শেষে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ৩ টার মধ্যে সুকন্যা সহ ৬ জনকে টেট সার্টিফিকেট নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে, কালকের মধ্যে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে রেজিস্টার নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাজিরা না দিলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশ যাতে কার্যকর করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে আদালতের রায় জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    এমনিতেই স্কুল শিক্ষিকা হয়ে কী করে কয়েক’শ কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন সুকন্যা, তার উৎস খুঁজতে তৎপর হয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, গরুপাচারের টাকা দিয়েই এই বিপুল সম্পত্তি কেনা হয়ে থাকতে পারে। যে উত্তর খুঁজতে এদিন সকালে, বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়িতে সুকন্যাকে জেরা করতে পৌঁছ গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, সুকন্যার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মা বেঁচে নেই, বাবা হেফাজতে। তিনি বাড়িতে একা রয়েছেন। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই এমতাবস্থায় তিনি কথা বলতে চান না। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

  • China Ban on India: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    China Ban on India: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) অতিমারির জেরে বন্ধ করা হয়েছিল কোভিড (Covid-19) ভিসা। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে জারি ছিল এই নিষেধাজ্ঞা। ২ বছর পর তা তুলে নেওয়া হল। চিনা (China) সরকার সে দেশে কর্মরত ভারতীয় (Indian) ও তাঁদের পরিবারকে ফের ভিসা (Visa) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে চিনে কর্মরত ভারতীয়রা যোগ দিতে পারছিলেন না কর্মক্ষেত্রে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এবার পারবেন।

    সোমবার ভারতে চিনা দূতাবাসের (Chinese Embassy) তরফে জারি করা এক বিবৃতিতেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির আগে চিনে পড়াশোনা করতেন প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রী। চাকরি সূত্রেও বাস করতেন অনেকে। করোনা অতিমারির জেরে এঁরা ফিরে এসেছিলেন ভারতে। ফের চিনে পুরানো জায়গায় ফিরতে চাইছেন তাঁরা। এনিয়ে তাঁরা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। চিনে গিয়ে ফের পড়াশোনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন তাঁরা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি এবং আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ড্রাগনের দেশ।

    আরও পড়ুন : পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত?

    সম্প্রতি চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, স্থায়ীভাবে চিনে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশিদের পরিবার এবার থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কর্মসূত্রে চিনে গিয়ে সেখানকার মহিলাদের বিয়ে করেছিলেন অনেক ভারতীয়। করোনা পরিস্থিতির জেরে ভারতীয়দের ফিরতে হয়েছিল দেশে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এবার এই ভারতীয়রাও ফিরতে পারবেন চিনে। চিনের প্রচুর নাগরিকও কর্মসূত্রে ভারতে এসেছিলেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছিলেন তাঁরাও। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এবার তাঁরাও ফিরতে পারবেন স্বদেশে। চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটন ভিসা (Tourist visa) এখনই দেওয়া হচ্ছে না।

    আরও পড়ুন : এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দীর্ঘ আলোচনার পর চিনা সরকার ফাইনাল ইয়ারের বেশ কিছু ভারতীয় ছাত্রছাত্রীকে চিনে ফেরার অনুমতি দিয়েছিল। সেই সময়ই ভারতীয় দূতাবাসকে চিনে ফিরতে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের তথ্য সংগ্রহের কথা বলেছিল। সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষেই উঠল নিষেধাজ্ঞা।

    প্রসঙ্গত, একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছাত্রছাত্রী চিনে পড়াশোনা করেন। এঁদের সিংহভাগই সে দেশের বিভিন্ন কলেজে পড়াশোনা করেন চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে। অতিমারি পরিস্থিতিতে দেশে ফেরেন তাঁরা। পঠনপাঠন চলছিল অনলাইনে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবার তাঁরাই চিনে গিয়ে ক্লাস করতে পারবেন অফলাইনে।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’, মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ায় ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’, মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ায় ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত’। ঠিক এই ভাষাতেই  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। বললেন, “চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছালে এই ছড়া কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়।”

    নিরলস কাব্য সাধনার জন্য চলতি বছর বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (bangla academy prize) দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। পুরস্কারদাতাদের ‘চাটুকারিতা’য় বিস্মিত রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। অনেকে অপমানিত হয়ে যেমন রাজ্যের তরফে পাওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তেমনই অনেকে আবার বাংলা আকাদেমির গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন। 

    তৃণমূলনেত্রীকে বাংলা আকাদেমি পুরস্কৃত করার ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক ট্যুইট করে পরোক্ষে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে খুশি করতে গিয়ে রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন বাংলা সাহিত্যকে কার্যত অপমান করেছেন বাংলা আকাদেমি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরই প্রথম পুরস্কার দিতে শুরু করে বাংলা আকাদেমি। প্রথম বছরেই পুরস্কার দেওয়া হয় তৃণমূল নেত্রীকে।

    মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মঞ্চে বসা মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমির পক্ষে পুরস্কার দেন তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। পুরস্কার গ্রহণ করেছেন পুরস্কারের ঘোষক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৯৪৬টি কবিতার (Mamata poem) সংকলন ‘কবিতা বিতান’ (Kabita Bitan) কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রাজ্যজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

    একটি ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, শিল্পকলা সংস্কৃতিতে মুনশিয়ানাই তো আমাদের পরিচয় বিশ্বের কাছে। সেই অহংবোধ কিনা রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিনে ধূলিসাৎ হল। বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত। ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত। চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছলে এই ছড়া/কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়।

    [tw]


    [/tw]

    মমতাকে সাহিত্য সাধনার পুরস্কার দেওয়ায় ক্ষুণ্ণ হয়েছে বাংলা সাহিত্যের মর্যাদা। অন্তত রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিমত তাই। অন্য একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ আমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকলে হয়তো লিখতেন, বাংলার সাহিত্য সমাজ, তুমি চেতনা হারাইয়াছ? পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির পুরস্কার বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে তাঁর কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্য।

    এই ‘চাটুকারিতা’র আয়ু যে দীর্ঘস্থায়ী নয়, তাও মনে করেন শুভেন্দু। কোনও মানুষের কীর্তির মূল্যায়ন করে ইতিহাস। তাই অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, ইতিহাস যখন একটি সভ্যতার বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করে কয়েক শতাব্দী পরে, তখন তাতে উল্লেখ থাকে না কোন ব্যবসায়ী, কেরানি কত বড় অবদান রেখেছিলেন। আতস কাচের তলায় দেখা হয় কবি, সাহিত্যিক, ভাস্কর, চিত্রকর, শিল্পীদের কাজ। বাঙালি তো এই জায়গায় শ্রেষ্ঠ।

    [tw]<bloc


    kquote class=”twitter-tweet”>

    শিল্প কলা সংস্কৃতিতে মুনশিয়ানাই তো আমাদের পরিচয় বিশ্বের কাছে। সেই অহংবোধ কিনা রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে ধূলিসাৎ হলো। বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত !
    ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত।
    চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছালে এই ছড়া/কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয়: pic.twitter.com/HYsM2ctZ9r

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 10, 2022

    [/tw]

     

     

     

  • Jammu-Kashmir: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    Jammu-Kashmir: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশকর্মী গুলাম হাসান দার ও সইফুল্লা কাদরি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত লস্কর জঙ্গি (LeT terrorist)আদিল প্যারারকে খতম করল পুলিশ। গান্ডেরবালের ক্রিসবাল পালপোরা সঙ্গম এলাকায় রবিবার পুলিশের একটি ‘ছোট’দলের সঙ্গে ‘আচমকাই’ সংঘর্ষ হয় আদিলের। সংঘর্ষে নিহত হয় সে। পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরে অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলার ছক কষছিল আদিল। উপত্যকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল সে। সইফুল্লার উপরে আদিলদের হামলার সময়ে তাঁর ৯ বছরের মেয়েও আহত হয়। 

    শ্রীনগরের কাছে  ক্রিসবাল পালপোরা অঞ্চলে জঙ্গিগতিবিধির খবর পেয়েই রবিবার ভোর রাত থেকে অভিযান চালায় পুলিশ। কাশ্মীর জোন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত জঙ্গির সংখ্যা দাঁড়াল এ পর্যন্ত ৫ জন। ওই পাঁচ জনই পুলিশকর্মী ও ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের হত্যায় জড়িত বলে দাবি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কাশ্মীরে নিহত হয়েছে ১০০ জন জঙ্গি।

    আরও পড়ুন: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    কাশ্মীরের দুই প্রান্তে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এদিন নিহত হয় অন্য চার লস্কর জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার ড্রাবগামে জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে শনিবার অভিযানে নামে বাহিনী। জঙ্গিরা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে তিন স্থানীয় লস্কর জঙ্গি নিহত হয়। পুলিশের দাবি, নিহতদের মধ্যে জুনেইদ আহমেদ শিরগোজরি পুলওয়ামার গাডুরা, ফজ়িল নাজ়ির বাট ড্রাবগাম ও ইরফান আহমেদ মালিকপুলওয়ামার আরাবল নিকাসের বাসিন্দা। তিন জনের বিরুদ্ধেই বাহিনীর উপরে হামলা-সহ বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। ১৩ মে পুলিশকর্মী রেয়াজ় আহমেদ বাটকে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশের দাবি, জুনেইদ শিরগোজরি ও তার সঙ্গী আবিদ হাসান শাহই রেয়াজ়কে খুন করেছিল। ৩০ মে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় আবিদ হাসান শাহ। পুলিশের আরও দাবি, ২ জুন চাদুরায় ভিন্‌ রাজ্যের শ্রমিকদের উপরে হামলাতেও জড়িত ছিল জুনেইদ। ওই হামলায় এক শ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরও কয়েক জন। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে দু’টি এ কে-৪৭ রাইফেল ও একটি পিস্তল ও গোলাবারুদউদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়িয়ে সফল অভিযানের জন্য বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার।

  • Sri Aurobindo: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক শ্রী অরবিন্দর জীবনদর্শন!  আজ তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    Sri Aurobindo: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাসঙ্গিক শ্রী অরবিন্দর জীবনদর্শন! আজ তাঁর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তাঁর হয়ে আলিপুর বোমা মামলা লড়ার সময়ে সওয়াল-জবাবের সূত্রে আদালতে দাঁড়িয়ে শ্রী অরবিন্দকে ‘জাতীয়তাবাদের দ্রষ্টা এবং দেশপ্রেমের কবি’ (prophet of nationalism and poet of patriotism) বলে চিহ্নিত করেছিলেন! সত্যই শ্রী অরবিন্দ ভারতীয় সংস্কৃতির এক উজ্জ্বলতম নাম। আজ থেকে ১৫০ বছর আগে ১৮৭২ সালের ১৫ অগাস্ট কলকাতায় তাঁর জন্ম হয়। মা স্বর্ণলতাদেবী রাজনারায়ণ বসুর কন্যা। বাবা কৃষ্ণধন ঘোষ তৎকালীন বাংলার রংপুর জেলার জেলা সার্জন। বাবা সন্তানদের ভারতীয় প্রভাবমুক্ত এক সম্পূর্ণ ইংরেজি ধরনে শিক্ষাদানের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই মতো ১৮৭৭ সালে দুই অগ্রজ মনমোহন এবং বিনয়ভূষণ-সহ অরবিন্দকে দার্জিলিংয়ের লোরেটো কনভেন্টে পাঠান। পরে ইংল্যান্ড। কিন্তু কৈশোর-উত্তীর্ণ অরবিন্দের মনে তখন ভারতমাতার আহ্বান। ১৮৯৩ সালের ফেব্রুয়ারি, ভারতে ফিরে বারোদায় স্টেস সার্ভিসে যোগ দিলেন অরবিন্দ। এখানেই তিনি ভারত-সংস্কৃতির উপর গভীর অধ্যয়ন শুরু করেন। শেখেন সংস্কৃত, হিন্দি, বাংলা। বরোদাতেই তাঁর সাহিত্য-প্রতিভারও উন্মেষ। বারোদা থেকেই তাঁর প্রথম কাব্য সঙ্কলন প্রকাশিত হয়।

    ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হলে বরোদার চাকরি ছেড়ে তিনি বাংলায় আসেন। তৎকালীন ভারতে সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদী মতবাদের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ভারতীয় যুব সমাজকে নিজের লেখা, বক্তব্যের মাধ্যমে বিপ্লবী মতাদর্শে দীক্ষিত করার কাজ  শুরু করেন অরবিন্দ। দেশমাতৃকার মুক্তিই তখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। অরবিন্দ জাতীয়তাবাদকে ধর্মের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।  দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি ততদিনে বিপ্লবী গুপ্ত সংগঠনগুলির নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। গীতার নিষ্কাম কর্মের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি তরুণ সমাজকে দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।  ১৯০৮-এ আলিপুর বোমা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। ১৯০৯ সালে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান অরবিন্দ। কিন্তু জেলে থাকার সময়ই তাঁর রাজনৈতিক ভাবাদর্শে আধ্যাত্মিকার সংস্পর্শ ঘটে। নিভৃত কারাবাসেই তিনি নারায়ণের দর্শন পান। তাঁর জীবনে পরিবর্তন শুরু হয়। আধ্যাত্মিকতার টানেই তিনি ১৯১০-এ রাজনীতি ত্যাগ করে পুদুচেরি চলে যান। বিপ্লবী অরবিন্দ পরিণত হন ‘ঋষি অরবিন্দে’।

    আরও পড়ুন: ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, চিনে নিন ‘ভারতীয় বিজ্ঞানের মহাত্মা গান্ধী’কে

    পুদুচেরিতেই আশ্রম স্থাপন করে যোগসাধনার মাধ্যমে জীবনদর্শন পরিবর্তনের পথ বেছে নেন তিনি। পুদুচেরিতে এক নতুন শিক্ষাপদ্ধতির সূচনা করেন ঋষি অরবিন্দ। সমাজদর্শন নিয়ে তাঁর অভিমত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও খুব প্রাসঙ্গিক। শ্রী অরবিন্দ তাঁর সময়ের প্রচলিত শিক্ষার বিরুদ্ধা-চরণ করেন। তিনি  শিশুদের মানসিক বিকাশ ঘটিয়ে, সমাজের চাহিদা মিটিয়ে  আধ্যাত্মিকতার পথে নিয়ে যাওার কথা বলেন। তাঁর মতে শিক্ষার প্রথম উদ্দেশ্য একটি শিশুর সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটান। শ্রী অরবিন্দ বলেন যে নৈতিক এবং মানসিক বিকাশ ছাড়া মানসিক উন্নয়ন মানব অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকারক হবে। তাঁর লেখা থেকে আমরা তাঁর জীবন দর্শন ও শিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারি। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল: Essays on the Gita, The Foundations of Indian Culture, The Life Divine (১৯৩৯), Savitri (১৯৫০), Mother India, The Significance of Indian Art, Lights on Yoga, A System of National Education, The Renaissance in India!

    দেশ স্বাধীন হওয়ার তিন বছর পর, তাঁর বয়স তখন প্রায় আটাত্তর। ১৯৫০ এর ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে হঠাৎ করে চলে গেলেন যোগী অরবিন্দ। পাঁঁচ দিন পর তার দেহ সমাধিস্থ করা হয় পুদুচেরিতে তাঁর আশ্রমের এক গাছতলায়। যে গাছের ফুল আজও ঝরে পড়ে তার সমাধির ওপর। আর এক পুরাতন বটগাছ যেভাবে তার শাখা-প্রশাখা দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই অরবিন্দের লেখনি, তাঁর আদর্শ , তাঁর চিন্তাধারা ভারতের আগামী প্রজন্মের ধারক ও বাহক হয়ে ওঠে। 

  • CATTLE AND POLICE: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

    CATTLE AND POLICE: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

     

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি ও গরু পাচার চক্রের তদন্তে নেমে রাজ্যে ৪২ ঘাটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। উত্তরবঙ্গের হিলি থেকে উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন সংলগ্ন ৪২টি ঘাট দিয়ে নিয়মিত গরু পাচারে মদত দিয়েছেন অন্তত ৬২ জন পুলিশ অফিসার। সীমান্তবর্তী এলাকায় ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টর থাকা নীচুতলার পুলিশ অফিসাররা ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত গরু পাচারে অতি সক্রিয় ছিলেন। তাঁদের মদত করতেন আটটি জেলার পুলিস কর্তারা। কয়লা কাণ্ডের মতো এবার গরু পাচারের ৪২ ঘাটের এলাকা সামলানো সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের সিবিআই-ইডির আতস কাচের নীচে আসতে হবে।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, কোনও কোনও থানা এলাকায় আট-দশটি পাচার ঘাট ছিল। সেই সব থানায় ওসির পোস্টিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বীরভূম, বর্ধমান জেলার কয়েকটি থানার ওসি আসার গরু পাচারের রুটের প্রোটেকশন দিতেন। ফলে পাচার ঘাটের চেয়েও গরুর হাট থেকে সীমান্ত পর্যন্ত গরু নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতেন যে সব নীচু তলার পুলিশ কর্তা, তাঁদেরও নজরে রাখছে সিবিআই।

    সিবিআই-ইডি জেনেছে, পশ্চিমবঙ্গে যে ৪২টি ঘাট দিয়ে গরু পাচার হত সেগুলি হল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, দার্জিলিংয়ের ফাঁসিদেওয়া, মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকার খাদুয়া, মদনঘাট, টিকলি চর, ভাগিরথী, নিমতিয়া, ধুলিয়ান ঘাট, কাহারপাড়া, রাজাপুর, মোহনগঞ্জ, বামনাবাদ, চর কামারি, কাতলামারি, চর বিনপুর, চর লবনগোলা, সবদলপুর-কানাপাড়া, রাজারামপুর, দিয়ার মানিকচক, আসারিয়াদহ, রামনগর, রেনু, বাহারা ঘাট, নিমতিতা, ফিরোজপুর। মালদহ জেলার ঘাটগুলির মধ্যে উল্লেখ্য হল, বৈষ্ণবনগরের সাহাপুর, শিবপুর ঘাট, কুম্ভীরা, দৌলতপুর, কালিয়াচক, হবিবপুরের কেদারিপাড়া, আগ্রা এবং আর কে ওয়াধা ঘাট। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, হেমনগর, স্বরূপনগর, গাইঘাটা, বনগাঁও, বাগদার বাঁশঘাটা, মালিদা, গাঙ্গুলিয়া এবং আংরাইল ঘাট দিয়ে নিয়মিত গরু পাচার হয়েছে। এছাড়া বীরভূমের মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন থানার ওসিরা এবং বর্ধমানের ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে মুর্শিদাবাদ আসার পথের যে সব থানা রয়েছে সেগুলির ওসিরাও সিবিআই-ইডির নজরে রয়েছে।

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পুলিশ কর্তা থেকে নীচু তলার পুলিশ কর্মীদের যোগসাজশেই বরাবর গরু পাচার হয়ে এসেছে। রাজনৈতিক নেতাদের ধরা শুরু হয়েছে, কয়লা কাণ্ডে যোগ থাকা পুলিশ কর্তাদের নোটিস দিয়েছে ইডি, একই পথে গরু পাচারে যুক্ত পুলিশ কর্তা এবং থানার ওসিদের এক এক করে ডাকা হবে।     

    গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকের বিভিন্ন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে অন্তত রাজ্যের ৬২টি থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি)-র নাম পাওয়া গিয়েছে।প্রতি মাসে গরু পাচার চক্র থেকে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আট-ন’টি জেলার কর্মরত ওই ওসি-রা ‘মাসোহারা’ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূ্ত্রের দাবি, এনামুলের খাতায় নাম থাকা সব ওসি’দেরই ধীরে ধীরে আয়কর ও সিবিআই তদন্তের সামনে আসতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি এবং আট আইপিএস অফিসারকে ইডির তলবের পর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নীচুতলার বহু পুলিশ অফিসার সিবিআইকে তথ্য দেওয়াও শুরু করেছেন। নিজে থেকেই তাঁরা সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোপনে গরু-কয়লা পাচারে যুক্ত অফিসারদের বেআইনি সম্পত্তি ও কারবারের তথ্য তুলে দিচ্ছেন বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর।  

     

  • India Bangladesh: প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ

    India Bangladesh: প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে বসল ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)। ১০ অগাস্ট, বুধবার দিল্লিতে (New Delhi) ওই বৈঠক বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের নৌ, স্থল ও আকাশ তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। প্রতিরক্ষা (Defence) সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা আরও উন্নত করতেই হয়েছে বৈঠক। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ ব্রিগেডিয়ার বিবেক নারাং ও ব্রিগেডিয়ার হুসেন মহম্মদ রেহমানের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে। 

    ভারতের পড়শি দেশ বাংলাদেশ। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় নয়াদিল্লির। সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ চিন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন বলেই মনে করে ভারত। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দুটি চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের সেনা অংশ নেবে যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণে। তাছাড়া ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এক্সপার্ট ট্রেনিং ও সরঞ্জাম জোগাবে বাংলাদেশকে। সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশই পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। উত্তর পূর্ব সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধেও সহযোগিতা করবে দুই দেশ। এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশ সরকার এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কেউ বাংলাদেশের মাটিকে সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ নির্মূলীকরণ এবং সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে দুই দেশই নিয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি।

    আরও পড়ুন : দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    এদিনের বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশ মউ (MOU) স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর হয়েছে দুটি চুক্তি। একটি হল ভারতের ডিএসএসসি এবং ঢাকা ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ডের এবং অন্যটি দুই দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর। দুটি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরিতে লগ্নি করতে বাংলাদেশি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এই করিডর দুটির একটি হবে উত্তর প্রদেশে, অন্যটি তামিলনাড়ুতে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে উন্নতির সুযোগও রয়েছে। ভারত মর্টার, মিসাইল, অস্ত্র এবং রাডার দিয়েও বাংলাদেশকে সামরিক সহযোগিতা করে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আমদানিকৃত অস্ত্রের ৭৪ শতাংশই আসে চিন থেকে। হাসিনার দেশে একটি নৌঘাঁটি তৈরি করেছে, যেখানে প্রয়োজনের সময় চিনা সাবমেরিন নোঙর করতে পারে। ২০০২ সালে বাংলাদেশ ও চিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছিল।

     

LinkedIn
Share