Blog

  • Covid 19 Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    Covid 19 Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয় ধরাচ্ছে দেশে করোনা (Covid 19) সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। সক্রিয় রোগীর (Active Cases) সংখ্যা পেরিয়েছে এক লক্ষের গণ্ডি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮,৮১৯ জন। ফের করোনা কপালে ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসা মহলের। ১৩০ দিন পরে আবার এক লাখের সীমা অতিক্রম করেছে সক্রিয় সংক্রমণ। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ জন। দেশে এযাবৎ করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫,২৫,১১৬। মৃত্যুর হার ১.২১ শতাংশ।

    [tw]


     [/tw]

    গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে পরাজিত করে সেরে উঠেছেন ১৩,৮২৭ জন। এই অবধি গোটা দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,২৮,২২,৪৯৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৫%। 

    আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

    এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,০৪,৫৫৫। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৪.১৬%। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৩.৭২%। এ পর্যন্ত মোট কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৬.২৩ কোটি জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪,৫২,৪৩০ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। টিকা দেওয়া হয়েছে মোট  ১৯৭.৬১ ডোজ।

    সংক্রমণের নিরিখে প্রথমেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু মহারাষ্ট্রেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯৫৭ জন। মৃত্যু হয়েছে সাত জনের।

    দেশে দেশে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ভাইরাস। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, অতিমারি পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও তা শেষ হয়ে যায়নি, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ১১০টি দেশে নতুন করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। 

    আরও পড়ুন: করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? ভালো থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্তে ফের বিধিনিষেধে কড়াকড়ি করেছে কেন্দ্র। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর ফের কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ২ শতাংশের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।   

     

  • Rath Yatra 2022: রথের দিন জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, জানেন কি এর মাহাত্ম্য?

    Rath Yatra 2022: রথের দিন জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, জানেন কি এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ মতে, যশোদা বালক কৃষ্ণকে আট প্রহর খেতে দিতেন। কিন্তু, একটা সময় ইন্দ্রের রোষে পড়ে মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় প্রাণীদের রক্ষা করতে নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পাহাড় তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাতদিন ওইভাবেই তিনি ছিলেন। খাবার ও জল কোনও কিছুই মুখে দেননি। প্রলয় বন্ধ হওয়ার পর সেই পাহাড় নামিয়ে রেখেছিলেন। এদিকে যে ছেলে দিনে আটবার খাবার খেত তাকে টানা সাতদিন অনাহারে থাকতে দেখে কেঁদে উঠেছিল যশোদার মন। তখন ব্রজবাসী-সহ যশোদা সাতদিন ও আট প্রহরের হিসেবে কৃষ্ণের জন্য ৫৬টি পদ পরিবেশন করেছিলেন। আর সেই থেকেই নারায়ণের ছাপ্পান্ন ভোগ চলে আসছে।

    এও কথিত আছে, ভগবান বিষ্ণু মর্ত্যলোকে এসে তাঁর চার ধামে যাত্রা করেন। এই চার ধাম হল- বদ্রীনাথ ধাম, দ্বারিকা ধাম, পুরী ধাম এবং রামেশ্বরম। প্রথমে হিমালয়ের শিখরে অবস্থিত বদ্রীনাথ ধামে স্নান করেন,তারপর গুজরাটের দ্বারিকা ধামে গিয়ে বস্ত্র পরিধান করেন, ওড়িশার পুরী ধামে ভোজন করেন আর সবশেষে রামেশ্বরমে গিয়ে বিশ্রাম নেন। আর পুরী ধামে যেখানে তিনি ভোজন করেন সেখানে ভোগের কোনও চমক থাকবে না এটা কখনও হয়। 

    আরও পড়ুন: রথযাত্রার আগে জেনে নিন জগন্নাথদেবের পুজো-বিধি ও তার তাৎপর্য

    পুরাণ মতে, ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত করা হয় জগন্নাথদেবকে। জগন্নাথের মধ্যে বিষ্ণুর সকল অবতারের চিহ্ন আছে। আর সেই কারণে তাঁকেও অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ। 

    কিন্তু, কী এই ছাপ্পান্ন ভোগ? কী কী পদ থাকে এই ছাপ্পান্ন ভোগে? জগন্নাথকে দেওয়া ৫৬ ভোগে রাখা হয়—

    ১) উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি, ২) নাড়িয়া কোড়া অর্থাৎ নারকেল নাড়ু, ৩) খুয়া অর্থাৎ খোয়া ক্ষীর, ৪) দই, ৫) পাচিলা কদলি অর্থাৎ পাকা কলা, ৬) কণিকা অর্থাৎ সুগন্ধী ভাত, ৭) টাটা খিচুড়ি অর্থাৎ শুকনো খিচুড়ি, ৮) মেন্ধা মুণ্ডিয়া অর্থাৎ বিশেষ ধরণের কেক, ৯) বড়া কান্তি অর্থাৎ বড় কেক, ১০) মাথা পুলি অর্থাৎ পুলি পিঠে, ১১) হামসা কেলি অর্থাৎ মিষ্টি কেক, ১২) ঝিলি অর্থাৎ এক ধরণের প্যান কেক, ১৩) এন্ডুরি অর্থাৎ নারকেল দিয়ে তৈরি কেক, ১৪) আদাপচেদি অর্থাৎ আদা দিয়ে তৈরি চাটনি, ১৫) শাক ভাজা, ১৬) মরিচ লাড্ডু অর্থাৎ লঙ্কার লাড্ডু, ১৭) করলা ভাজা, ১৮) ছোট্ট পিঠে, ১৯) বরা অর্থাৎ দুধ তৈরি মিষ্টি, ২০) আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ২১) বুন্দিয়া অর্থাৎ বোঁদে, ২২) পাখাল অর্থাৎ পান্তা ভাত, ২৩) খিরি অর্থাৎ পায়েস, ২৪) কাদামবা অর্থাৎ বিশেষ মিষ্টি ২৫) পাত মনোহার মিষ্টি ২৬) তাকুয়া মিষ্টি, ২৭) ভাগ পিঠে, ২৮) গোটাই অর্থাৎ নিমকি

    আরও পড়ুন: পুরীর মন্দির ঘিরে রয়েছে এই অলৌকিক গল্পগুলি, জানতেন কি?

    ২৯) দলমা অর্থাৎ ভাত ও সবজি, ৩০) কাকারা মিষ্টি ৷ ৩১) লুনি খুরুমা অর্থাৎ নোনতা বিস্কুট, ৩২) আমালু অর্থাৎ মিষ্টি লুচি, ৩৩) বিড়ি পিঠে, ৩৪) চাড়াই নাডা মিষ্টি, ৩৫) খাস্তা পুরি, ৩৬) কদলি বরা, ৩৭) মাধু রুচি অর্থাৎ মিষ্টি চাটনি, ৩৮) সানা আরিশা অর্থাৎ রাইস কেক, ৩৯) পদ্ম পিঠে, ৪০) পিঠে, ৪১) কানজি অর্থাৎ চাল দিয়ে বিশেষ মিষ্টি. ৪২) দাহি পাখাল অর্থাৎ দই ভাত, ৪৩) বড় আরিশা, ৪৪) ত্রিপুরি, ৪৫) সাকারা অর্থাৎ সুগার ক্যান্ডি, ৪৬) সুজি ক্ষীর, ৪৭) মুগা সিজা, ৪৮) মনোহরা মিষ্টি, ৪৯) মাগাজা লাড্ডু, ৫০) পানা, ৫১) অন্ন, ৫২) ঘি ভাত, ৫৩) ডাল, ৫৪) বেসর অর্থাৎ সবজি বিশেষ, ৫৫) মাহুর অর্থাৎ লাবরা, ৫৬) সাগা নাড়িয়া অর্থাৎ নারকেলের দুধ দিয়ে মাখা ভাত।

  • Maharashtra Crisis: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?  

    Maharashtra Crisis: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। আর প্রয়োজন নেই আস্থা ভোটের। তাই এবার সরকার গড়তে কোমর কষে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে জরুরি বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন নিয়ে বিতর্কের কারণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের।তার পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটে উড়ে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে তাঁরা চলে যান আসামের গুয়াহাটির হোটেলে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। সরকার ধরে রাখা যে যাবে না, তা আগেভাগেই আঁচ করতে পেরেই সরকারি বাংলো বর্ষা ছেলে পৈত্রিক ভিটে মাতোশ্রীতে গিয়ে আশ্রয় নেন উদ্ধব। পরে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেন ইস্তফাপত্র। তার পরেই সরকার গড়তে জোর কদমে উদ্যোগী হন বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন : আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব এবার দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনের দাবি করতে চলেছেন। শিবসেনার একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর ৩৯ জন বিধায়কই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার তৈরি হলে তাঁকে সমর্থন করবে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে  ফড়নবিশের নেতৃত্বে নয়া সরকার গঠিত হলে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন শিন্ডে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬। শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৫ জন। এর মধ্যে শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন ৩৯ জন। স্বাভাবিকভাবেই সরকার হবে বিজেপির নেতৃত্বে। আনুপাতিক হারে মন্ত্রিত্ব পাবেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। সূত্রের খবর, ঠাকরে মন্ত্রিসভায় যাঁরা মন্ত্রী ছিলেন, তাঁরা ফের মন্ত্রী হতে পারেন। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যেই সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তাঁরা।

     

  • Udaipur Killing: বাইকের নম্বর হবে ২৬/১১! বেশি টাকা দেয় উদয়পুরের হত্যাকারীরা  

    Udaipur Killing: বাইকের নম্বর হবে ২৬/১১! বেশি টাকা দেয় উদয়পুরের হত্যাকারীরা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর (Udaipur) হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তের বাইকের নাম্বার ২৬/১১। এনআইএ (NIA)-এর তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রয়েছে কি জঙ্গী যোগ? এনিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (BJP Leader Nupur Sharma) সমর্থনে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করায় উদয়পুরে এক দর্জিকে তাঁর দোকানের ভিতরে ঢুকে খুন করে দুজন। এখানেই শেষ নয়, নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পালানোর সময় তাড়া করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজের বাইকের নাম্বার প্লেটের নাম্বারই চমকে দিল সবাইকে। অভিযুক্তের বাইকে নাম্বার হল ২৬/১১। যা দেখলেই মনে পড়ে যায় মুম্বই হামলার কথা।

    [tw]


    [/tw]

    সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজের বাইকের নাম্বার প্লেটের নাম্বার RJ 27 AS 26 11। এই নাম্বার দেখলেই টাটকা হয়ে ওঠে মুম্বই হামলার ১৪ বছর আগের স্মৃতি। তবে যে এই নাম্বার ক্রমান্বয়ে মহম্মদ রিয়াজ পেয়েছে তাও নয়, এই নাম্বার প্লেটের জন্য রীতিমতো টাকা খরচ করতে হয়েছে তাকে। নাম্বারটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য দুই অভিযুক্ত রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন এনআইএ তদন্তকারীরা৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট বাইকের রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় নথি শীঘ্র্রই খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বিচার নয়, ফাঁসি চাই! উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি নয় আইনজীবীরা

    কেন এমন নাম্বার প্লেট বসাল রিয়াজ, প্রশ্ন উঠছে সকলের মনেই। তাহলে কি এর সঙ্গে মুম্বই হামলার কোনও যোগাযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সামনে এসেছে, ২০১৩ সালে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে বাইকটি কিনেছিল ওই অভিযুক্ত। তদন্ত আরও গভীর হলে প্রকাশ্যে আসবে উদয়পুরের ঘটনায় দুই অভিযুক্তের সঙ্গে আদৌ মুম্বই-হামলার যোগ রয়েছে কি না ৷

  • Jasprit Bumrah: নেতা হিসেবে ধোনিই জীবনের আদর্শ! চাপমুক্ত হয়ে খেলতে চান বুমরাহ

    Jasprit Bumrah: নেতা হিসেবে ধোনিই জীবনের আদর্শ! চাপমুক্ত হয়ে খেলতে চান বুমরাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ৩৬তম অধিনায়ক হচ্ছেন যশপ্রীত বুমরাহ। কপিল দেবের পর তিনিই প্রথম ভারতীয় পেসার, যিনি এই দায়িত্ব পেলেন। হঠাৎ করে নেতৃত্ব পাওয়া, তাও আবার ইংল্যান্ডর (England) বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ টেস্টে। যশপ্রীত বুমরাহকে (Jasprit Bumrah) নিয়ে অনেকেই দ্বন্দে ভুগছেন। ভারতীয় সমর্থকদের কারও কারও মনে এই প্রশ্নটা উঁকি দিচ্ছে যে, বুমরাহ কি পারবেন প্রত্যাশা পূরণ করতে?

    রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) অবর্তমানে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হয়ে বেশ রোমাঞ্চিত বুমরাহ। চাপ নয়, বরং তিনি এই দায়িত্ব উপভোগ করতে চান। বুমরাহ একই সঙ্গে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আদর্শ করেই তিনি এগিয়ে যেতে চান। ভাতের নবনিযুক্ত অধিনায়কের (captain of India) কথায়, ‘কোনও দায়িত্ব সহজ নয়। চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেই এগিয়ে যেতে চাই। তবে ভারতের অধিনায়ক হওয়ার জন্য আমার উপর বাড়তি কোনও চাপ নেই। বরং এই দায়িত্ব আমি উপভোগ করতে চাই। চাপ কাটিয়ে যে সাফল্য আসে, তার আনন্দ অনেক বেশি। আমি কখনও দায়িত্ব এড়িয়ে যায়নি। একজন ক্রিকেটারের সামনে প্রতিটি মুহূর্ত চ্যালেঞ্জে ভরা থাকে। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই এভাবেই এগিয়ে গিয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির (Dhoni) সঙ্গে গল্প করতে করতেই জেনেছিলাম মাহিভাই কখনওই ক্যাপ্টেনই হয়নি ভারতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়ার আগে। কিন্তু তিনিই কিনা বিশ্বের সফলতম অধিনায়ক। তাই অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি না। দলকে কীভাবে সহায্য করতে পারি, সেটাই মনে মনে ভাবছি।’

    আরও পড়ুন: বুমরাহর মুকুটে নতুন পালক! দেখে নিন আর কোন বোলাররা ভারতকে নেতৃত্ব দেন

    ২০১৮ সালে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল যশপ্রীত বুমরাহর। চার বছরের মধ্যেই তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন। শুধু তাই নয়, ১৯৮৭ সালে কপিল দেবের পর কোনও পেস বোলার হিসেবে টেস্টে অধিনায়ক হওয়ার নজির গড়লেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বুমরাহ বলেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখতাম দেশের হয়ে টেস্ট খেলার। সুযোগ পেয়েছি এই ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়ার। এটা আমার ক্রিকেট জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি।’

  • Maharashtra Crisis: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    Maharashtra Crisis: নিজের লোকই বিশ্বাসঘতক! লড়াই চালিয়ে যাবেন জানালেন উদ্ধব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভয় পেয়ে তিনি পিছিয়ে যাবেন না। লড়াইও চালিয়ে যাবেন। আপনজনেরাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অভিমান বালসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধবের। বৃহস্পতিবার আস্থাভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই  বুধবার মহারাষ্ট্রের ( Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়লেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ফেসবুক লাইভে এসে একথা ঘোষণা করেন তিনি। এদিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ FB Live -এ এসে ‘ওয়াকওভার’ দেওয়ার কথা জানান ঠাকরে।

    লাইভে এসে উদ্ধব বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আমি ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাওয়ার মানুষ নই। কিন্তু, রাস্তাঘাটে শিব সৈনিকদের (Shivsena) রক্ত ঝরুক সেটা আমি চাই না। সেই কারণেই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    নাম না নিয়ে বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেকে  (Eknath Shinde) কটাক্ষ করে উদ্ধব বলেন, “যারা অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি চালাত, আমরা তাঁদের সাংসদ, বিধায়ক বানিয়েছি। আমি যাদের সবকিছু দিয়েছি, তাঁরাই এমন করেছে।”  তাঁর কথায়, শিবসেনা যাঁদের তুলে এনে কাউন্সিলর এবং মন্ত্রী করেছে, তাঁরাই বিশ্বাসঘাতকতা করছে। 

    এদিন আবেগঘন বক্তৃতায় উদ্ধব জানান, তিনি চিরতরে চলে যাচ্ছেন না।  সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে  উদ্ধব বলেন, “আমি যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কাউকে আঘাত করে থাকি তবে আমিও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি এখানে থাকব আবার শিবসেনা ভবনে বসব। আমি আমার সমস্ত মানুষকে একত্র করব।”

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?

    এনসিপি (NCP) এবং কংগ্রেসকে (Congress)  ধন্যবাদ জানিয়ে উদ্ধব বলেন,“আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুশোচনা করছি না। আমার কোনও দুঃখ বা আক্ষেপ নেই। আমি এনসিপি এবং কংগ্রেসের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই যে তাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন। যাঁদের নিজে হাতে গড়লাম, তাঁরাই ক্ষমতা পেয়ে অতীত ভুলে গেল। আমি হঠাতই ক্ষমতায় এসেছিলাম আবার একইভাবে ক্ষমতা থেকে সরে যাচ্ছি। তবে শিবসেনা একটা পরিবার, একে আমি ভাঙতে দেব না। আমি কোথাও যাচ্ছি না। সমস্ত সমর্থকদের একজোট করে আমরা আবার ক্ষমতা দখল করব।”

  • Reliance Story: বাবার মতো ভুল করতে চান না মুকেশ আম্বানি! দায়িত্ব দিচ্ছেন সন্তানদের হাতে

    Reliance Story: বাবার মতো ভুল করতে চান না মুকেশ আম্বানি! দায়িত্ব দিচ্ছেন সন্তানদের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে ভুল বাবা করেছিলেন সে ভুল করতে নারাজ ছেলে। ২০০২ সালে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পরই তিক্ত হতে শুরু করে তাঁর দুই ছেলে মুকেশ ও অনিলের সম্পর্ক। সম্পত্তির বিবাদ নিয়ে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। একসময়ে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর ব্যবসার দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন মুকেশ ও অনিল আম্বানি। অনিল আম্বানি বিদ্যুৎ ও টেলিকম ব্যবসা সামলানোর দায়িত্ব নেন। তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার দায়িত্ব নেন মুকেশ আম্বানি। ২০১০ সালের মে মাসে তাঁদের মা কোকিলাবেন আম্বানি দুইজনের মধ্যেকার দ্বন্দ্বে শান্তি ফেরাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। পরে অবশ্য ২০১৯ সালে ভাইয়ের বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ান মুকেশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রিলায়েন্সের সহযোগী সংস্থা এরিকসনের বকেয়া টাকা না মেটাতে পারলে জেলে যেতে হত অনিল আম্বানিকে। এক-দু’ লাখ নয়, বকেয়ার অঙ্ক ছিল ৫৫০ কোটি। সেই বিপুল আর্থিক বকেয়ার পুরোটাই ভাইকে দেন মুকেশ আম্বানি। ভাই অনিলও দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে ত্রুটি রাখেন না। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিক্ততা দূর হয়। নিজের সন্তানদের মধ্যে সেই সমস্যার বীজ বপন করতে চান না মুকেশ, এমনই অভিমত শিল্প-বাণিজ্য মহলে। তাই নিজে দায়িত্ব নিয়েই পরবর্তী  প্রজন্মের হাতে ধীরে ধীরে রিলায়েন্স গ্রুপের ব্যাটন তুলে দিচ্ছেন মুকেশ অম্বানি। বড় ছেলে আকাশ আম্বানির হাতে রিলায়েন্স জিওর দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। সূত্রের খবর, এবার কোম্পানির খুচরো ব্যবসা রিলায়েন্স রিটেইলের (Reliance Retail) দায়িত্ব যেতে পারে মুকেশের কন্যা ইশা আম্বানির হাতে।

    আরও পড়ুন: আকাশের পর ইশা! রিলায়েন্স রিটেইলের দায়িত্ব পেতে চলেছেন মুকেশ-কন্যা? 

    মুকেশ আম্বানির তিন সন্তান। যমজ আকাশ এবং ইশা এবং অপর একজন অনন্ত। ইতিমধ্যেই রিলায়েন্সের বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে সামলাচ্ছেন তাঁরা। কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে মুকেশ বলেন, “আমাদের উচিত ওদের গাইড করা, আরও ক্ষমতা দেওয়া এবং উৎসাহিত করা। ওরা আমাদের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করলে ওদের পিছনে বসে সাধুবাদ জানাতে হবে, আর ভুল হলে তা শুধরে দিতে হবে।” সেই মতোই দেশের অন্যতম বৃহত্তম কর্পোরেট হাউস রিলায়েন্স গ্রুপে বড়সড় বদল ঘটান মুকেশ। গত মঙ্গলবার থেকেই আকাশ আম্বানি হয়েছেন রিলায়েন্স জিও-র বোর্ডের চেয়ারম্যান। সোমবার রিলায়েন্স জিও-র বোর্ড কমিটির বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পদ ছাড়েন মুকেশ আম্বানি, তাঁর স্থানে বসেন পুত্র আকাশ আম্বানি।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা মুকেশ আম্বানির! রিলায়েন্স জিও-এর ডিরেক্টর পদে পুত্র আকাশ

    ব্যবসায়িক মহলে জল্পনা, ইশা অম্বানিকে রিলায়েন্স রিটেলের চেয়ারপার্সন করা হতে পারে। রিলায়েন্স রিটেলের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। রিলায়েন্স গ্রুপের খুচরো ব্যবসা ইশা আম্বানির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কোম্পানি ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, উত্তরসূরিদের জন্য একটি নীলনকশা তৈরি করেছেন মুকেশ আম্বানি। সেই কারণেই কোম্পানির ডিরেক্টর পদ থেকে সরে গিয়েছেন তিনি।

    দাদার মতোই মুকেশের ছোট পুত্র অনন্ত আম্বানিও পড়াশোনা করেছেন, আমেরিকার ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে। Reliance New Energy, Reliance New Solar Energy, Reliance O2C, Jio প্ল্যাটফর্মের বোর্ডে রয়েছেন তিনিও। তাঁর জন্যও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে বাবা মুকেশ আম্বানির। নিজের ছেলেমেয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক ধরে রাখতেই কী এই সিদ্ধান্ত অভিজ্ঞ মুকেশের, জল্পনা চলছে ব্যবসায়িক মহলে।

  • Domestic Crude Oil: দেশে উত্তোলন হওয়া অপরিশোধিত তেল বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ তুলল কেন্দ্র

    Domestic Crude Oil: দেশে উত্তোলন হওয়া অপরিশোধিত তেল বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ তুলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে দেশের তেল উত্তোলক এবং উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি কোনও শর্ত ছাড়াই দেশের মধ্যে অপরিশোধিত তেল (Crude oil) বিক্রি করতে পারবে। বুধবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union cabinet)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রক্রিয়ার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।

    কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে দেশে তৈরি অপরিশোধিত তেল বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। এর ফলে তেল উত্তোলক এবং উৎপাদক সংস্থাগুলির দেশে তেল বিক্রি করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না। এর আগে এই সংস্থাগুলির ওপরে যেসব নিষেধাজ্ঞা চাপানো ছিল তা ১ অক্টোবর থেকে আর কার্যকর হবে না। তবে আগের মতোই বাইরের দেশে তেল রফতানির অনুমতি থাকবে না এই সংস্থাগুলির।

    আরও পড়ুন: দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত

    মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। এর ফলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আশাবাদী তিনি। মন্ত্রী এদিন বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে। কেন্দ্র ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন সংস্কারমূলক উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর ফলে ব্যবসা করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। শিল্পের বিষয়ে নানা সিদ্ধান্তও সহজে নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।”

    আরও পড়ুন: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া? 

    চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড ছুঁয়েছে। ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনতে ১২২ ডলার দিতে হচ্ছে ভারতকে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯ হাজার ৫৩৩ টাকার কাছাকাছি। কেন্দ্রের এই নীতি পরিবর্তনে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

  • Cities Renamed in Maharashtra: শেষবেলায় দুই শহরের নাম বদল, হিন্দুত্ববাদ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা উদ্ধবের!

    Cities Renamed in Maharashtra: শেষবেলায় দুই শহরের নাম বদল, হিন্দুত্ববাদ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা উদ্ধবের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুসপ্তাহের টানাপোড়েন। অবশেষে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে পা রেখেছিলেন নির্বাচনী রাজনীতিতে। শেষ মুহূর্তে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে ‘মহা বিকাশ আঘাডি’ জোটের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মসনদে বসেছিলেন উদ্ধব। কিন্তু এত ঘটা করে সিংহাসনে বসেও শেষ রক্ষা হল না। মাত্র আড়াই বছরেই ভেঙে গেল উদ্ধব রাজত্ব। ছাড়লেন বিধান পরিষদের সদস্য পদও। ইস্তফা দিয়েই বলেছেন কোনও আফসোস নেই। সত্যিই কী শুরু থেকেই পদের প্রতি এতটা নির্মোহ ছিলেন উদ্ধব?

    আরও পড়ুন: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির 

    মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অবস্থা যখন টালমাটাল তখন রাজ্যবাসীর মন পেতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি উদ্ধব। শেষবেলায় ফের হিন্দুত্বের পথেও হেঁটেছেন তিনি। গতকালই ঔরঙ্গাবাদের (Aurangabad) নাম পরিবর্তন করে সম্ভাজিনগর করার অনুমোদন দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা!  মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নামে নয় এবার ছত্রপতি শিবাজির ছেলে শম্ভাজির ( Sambhajinagar) নামে শম্ভাজিনগর হতে চলেছে ওই এলাকার নাম। ওসমানাবাদেরও (Osmanabad) নাম পাল্টে হচ্ছে ধারাশিব (Dharashiv)। হায়দ্রাবাদের শেষ নবাব মীর ওসমান আলি খানের নামে ছিল এই শহরের নাম। এই দুই শহরের নাম বদলের দাবি বহুদিনের। মারাঠা ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারকে প্রমাণ করে  ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ চেষ্টাটি করেছিলেন উদ্ধব।    

    এই সিদ্ধান্ত যে নিজের হিন্দুত্ববাদ প্রমানের মরিয়া চেষ্টার ফসল তা সহজেই বোঝা যায়। অর্থাৎ ইস্তফার কয়েক ঘণ্টা আগেও আশা ছাড়েননি উদ্ধব। কিন্তু তরী ডোবা আটকানো যায়নি।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?   

    সুত্রের খবর, এই প্রস্তাবে একেবারেই রাজী ছিল না শিবসেনার জোটসঙ্গী এনসিপি। তবে এদিনের বৈঠকের শেষ তিন মিনিটে আবেগপ্রবণ ঠাকরে কংগ্রেস ও এনসিপিকে ধন্যবাদ জানায় পাশে থাকার জন্য। এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানান উদ্ধব ঠাকরে। 

    উদ্ধবের এমন পরিণতিতে বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন বক্তব্য সামনে আসছে। অনেকেই মনে করছেন, বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি থেকে সরে এসে ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে ঝোঁকার মতো সিদ্ধান্ত উদ্ধবের বিপক্ষে গিয়েছে। অনেকে আবার ছায়াসঙ্গী তথা দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকেও উদ্ধবের পতনের জন্য দায়ী করেছেন।

     

  • Uddhav Thackeray: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    Uddhav Thackeray: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন যে, দু’বার তিনি পদত্যাগ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, জোটসঙ্গী তথা প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) কথায় পিছু হঠেন। তবে, তৃতীয়বার আর পিছোলেন না। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ  (Floor Test) করার আগের রাতে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ফলে, নতুন মোড় নিল মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট (Maharashtra Crisis)।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির (Bhagat Singh Koshyari) কাছে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)। এর পরই বুধবার, উদ্ধবকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। সেই আস্থাভোট আজ বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল অর্থাৎ বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হয় উদ্ধব-শিবির। 

    কিন্তু, শীর্ষ আদালত তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, নির্ধারিত সময়ই হবে আস্থাভোট। এই পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে যে এখন মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা মুশকিল, তা বিলক্ষণ জানতেন উদ্ধব। যে কারণে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধব। একইসঙ্গে ছেড়ে দেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। এদিকে, উদ্ধব পদত্যাগ করার ফলে, নিযুক্ত সরকার রইল না। ফলে এমতাবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট, সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব শিবির

    এদিকে, বিশাল নিরাপত্তার বেষ্টনীতে বুধবার সন্ধ্যায় আসাম থেকে গোয়ায় পৌঁছেছে একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী শিবির। গুয়াহাটি থেকে বিশেষ বিমানে করে বিধায়করা ডাবোলিমে এসে পৌঁছন। আজ বৃহস্পতিবার, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মহারাষ্টে পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে একনাথ শিন্ডের বলে জানা গিয়েছে।

    ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া ফড়নবীশও। মহারাষ্ট্রের মসনদে প্রত্যাবর্তনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে কোশিয়ারির কাছে যেতে তিনি প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে একনাথ শিন্ডেকে। সব ঠিক থাকলে ২ জুলাই শপথ নিতে পারেন তাঁরা।

    বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধব ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই উৎসব শুরু হয়ে যায় বিজেপি শিবিরে। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিলের সঙ্গে সেই সময় পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন ফড়নবীশ। বিজেপি-র অন্য নেতারাও সেখানে ছিলেন। প্রায় ধরেবেঁধে সকলে মিলে ফড়নবীশকে মিষ্টিমুখ করান।

    আরও পড়ুন: দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

LinkedIn
Share