Blog

  • Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমী (Mahanabami)। মন খারাপের দিন। কারণ এই দিনটি চলে গেলেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে (Kailash)। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী (Nabami) নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়।

    মহানবমীর আগে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট। এই সময়টা কেবলই মহামায়ার এক রূপ দেবী চামুণ্ডার পুজো হয়। অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশ্যে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি। তার পরে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Amit Malviya: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    Amit Malviya: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ককংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress President Polls) আসলে একটা প্রহসন। অভিমত বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্যর (Amit Malviya)। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত এ নিয়ে কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘রাজস্থানের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, মনোনয়ন দেওয়ার আগেই কংগ্রেস সভাপতি হয়ে গিয়েছেন অশোক গেহলট। না হলে তাড়াহুড়ো করে রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার কী প্রয়োজন? আসলে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন মূলত লোক দেখানো। অশোক গেহলটকেই যে কংগ্রেস সভাপতি করা হবে, সেটা আগে থেকেই ঠিক হয়ে গিয়েছে। তাই এই নির্বাচনের কোনও মূল্য নেই। কেউ হয়তো শশী থারুরের কথা। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেসের নতুন ‘রাজা’ গেহলেট, থারুরকে অহেতুক বলির পাঁঠা বানানো হল।’

    প্রসঙ্গত, ১৭ অক্টোবর হতে চলেছে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও শশী থারুরের (Shashi Tharoor) সঙ্গে। এই দু জনের মধ্যে যিনিই জয়ী হোন না কেন, দীর্ঘ দিন পরে তা হবে ইতিহাস। কারণ গান্ধী পরিবার বাইরের কারও হাতে যেতে চলেছে কংগ্রেস সভাপতির রাশ।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে ৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা! আজ কি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক অশোক, সচিনের?

    ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। তাঁর লড়াইটা হতে চলেছে মূলত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যিনি গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত। যদিও গেহলট এখনও মনোনয়ন জমা দেননি। তার আগেই রাজস্থান রাজনীতিতে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে এল। অনেকে ধরে নিচ্ছেন, অশোক গেহলটই হবেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি। আর সেই কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন। রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে গেহলট বনাম পাইলট শিবিরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য কড়া ভাষায় কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Light Combat Helicopter: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    Light Combat Helicopter: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আত্মনির্ভর ভারত ” (Atmanirbhar Bharat) প্রকল্পের নতুন চমক নিজস্ব প্রযুক্তি আর কারিগরিতে তৈরী ‘লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার'(Light combat helicopter) এর আনুষ্ঠানিক অভিষেক রাজস্থানের যোধপুরে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’ – এর হাত ধরে। এতে যোগ দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল ভি আর চৌধুরী।

    ভারতীয় বিমান বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র সহ নানা ধরনের অস্ত্র পরিবহনে সক্ষম এই নবনির্মিত দুই ইঞ্জিন (Engine) বিশিষ্ট ৫.৮ টনের  হেলিকপ্টারটি এবং এটি ৭০০ কেজি ওজনেরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা যাবে। আরও জানা গিয়েছে এরমধ্যে বেশ কয়েকটি অস্ত্র নিক্ষেপন পরীক্ষা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য 

    Light combat helicopter এর বিষয়ে কিছু তথ্য:

    ১) L.C.H কে পৃথিবীর সবচেয়ে আক্রমণকারী হেলিকপ্টার হিসেবে দাবি করা হয়েছে,  যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে এটি ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে আক্রমণে সক্ষম। যা পৃথিবীর অন্য কোনো হেলিকপ্টারের নেই।

    ২) L.C.H এর গতি প্রতি ঘন্টায় ২৬৮ কিমি এবং এর পরিসীমা ৫০০ কিমির বেশি।

    ৩) L.C.H একটানা তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে উড়তে পারে।

    ৪) L.C.H  এর সাহায্যে 20 মিমি কামান ছাড়াও অত্যাধুনিক বোমা এমনকি রকেটও (Rocket) একত্রিত করা যেতে পারে।

    ৫) L.C.H এ প্রতিস্থাপন (Install) করা অত্যাধুনিক সেন্সরের সাহায্যে শত্রুপক্ষের যুদ্ধ বিমানসহ বিভিন্ন কার্যকলাপ থেকে সতর্কতা প্রদান করে।

    হ্যাল (Hindustan Aeronautics Limited) এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রথম পর্যায়ে, এইচএএল ১০টি এলসিএইচ প্রস্তুত করা হয়েছে,  পরবর্তী ২ বছরে আরও ১৫০টি হালকা কমব্যাট হেলিকপ্টার তৈরি করে,  ৯৫টি বিমান ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাতটি আলাদা ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জুলাই মাসে, ভারতীয় সেনাবাহিনী লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের প্রথম ইউনিটও তৈরি করা হয়েছে, যা শীঘ্রই চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হবে।একই ফ্রন্টে, ভারতীয় বায়ুসেনা হাশিমারায় রাফালের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনও মোতায়েন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী ব্রহ্মাস্ত্র মিসাইল (Brahmos Missile) বর্তমানে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।এতদিন ধরে উন্নত দেশগুলির কাছ থেকে অস্ত্রের নির্ভরতা কাটিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Team India New T20 Jersey: টি-২০ বিশ্বকাপের আগে প্রকাশ্যে টিম ইন্ডিয়ার  নতুন জার্সি

    Team India New T20 Jersey: টি-২০ বিশ্বকাপের আগে প্রকাশ্যে টিম ইন্ডিয়ার নতুন জার্সি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া জার্সির উদ্বোধন করল টিম ইন্ডিয়া। আসন্ন টি-টোয়েন্টির আগেই নতুন জার্সি আসার সম্ভাবনা ছিল। রবিবার সেই জার্সির উদ্বোধনে ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমারকে দেখা গেলেও, ছিলেন না বিরাট কোহলি। বিরাটের অনুপস্থিতির পর থেকেই ফের নয়া বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আসন্ন টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন জার্সি পরেই মাঠে নামবেন মেন ইন ব্লু। ভারতের ক্রিকেট সংস্থা বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে নতুন এই জার্সি উদ্বোধনের খবর জানানো হয়েছে। ভারতের ক্রিকেট দলের কিট স্পনসর এমপিএল একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে অধিনায়ক রোহিত শর্মা, অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া এবং স্ট্যান্ড বাই ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ারকে। এই স্বপ্নের জার্সির প্রচারে অংশ নেওয়ার আবেদন জানান তাঁরা। ভিডিও-র সঙ্গে সমর্থকদের উদ্দেশে লেখা হয়েছে, আপনাদের ছাড়া এই খেলায় আনন্দ নেই। আপনারাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আপনারাও সমর্থন করুন। আপনাদের সেরা মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিন। নতুন জার্সি সম্পর্কে খুব বেশি কিছু খোলসা করেনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের কিট স্পনসর।

    আরও পড়ুন: আজ মোহালিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি-২০, জেনে নিন কখন, কোথায় দেখতে পারবেন ম্যাচ

    নতুন এই জার্সি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় জোর আলোচনা হচ্ছে। কেউ এই নতুন জার্সি দেখে বাহবা দিচ্ছেন। কেউ আবার সমালোচনা করে বলেছেন, নতুন জার্সিতে কমলার ছোঁয়া থাকলে ভাল হতো।অনেক ক্রিকেটপ্রেমীর মতে, নতুন জার্সিতে ক্রিকেটারদের মানসিক পরিবর্তন ঘটবে। 

    প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারতীয় দল শেষবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল। তারপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও টি-টোয়েন্টি কাপ ভারতের ঘরে আর আসেনি। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ পারফম্যান্স করেছিল টিম ইন্ডিয়া। আমির শাহিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ গ্রুপ পর্বেই ছিটকে গিয়েছিল ভারত। স্বভাবতই ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা ভালোভাবেই এ বছর সেই বিষয়টি বুঝতে পারছে। তাই রোহিত শর্মা ও বিরাটের উপর বাড়তি দায়িত্ব থাকছে। এশিয়া কাপে খারাপ ফর্ম থাকায় টিম ইন্ডিয়া যথেষ্ট চাপের মধ্যে রয়েছে।

    অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট ও বাউন্সি পিচে স্কোর যে করা সহজ হবে না তা টিম ইন্ডিয়া ভালো মতোই জানে। চোট সারিয়ে যশপ্রীত বুমরা মাঠে ফেরায় ভারতীয় দল কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue In West Bengal: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই

    Dengue In West Bengal: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Corona) পাশাপাশি এবারে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। ডেঙ্গিতে আক্রান্তের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পুজোর আগেই নতুন করে রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ১০০০-এর গণ্ডিও পার করে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) সূত্রে খবর, গতকাল ৯৬৫ জন নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে এক দিনে এত বেশি সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি। জেলাগুলির মধ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Pargana)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার, সল্টলেক (Saltlake), বারাসাত (Barasat), টিটাগড় (Titagarh), দেগঙ্গা (Deganga), বারাসাত, স্বরূপনগরে ডেঙ্গি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গতকাল স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বিভিন্ন পুরসভা ও বিডিও-দের সঙ্গে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। এরপরেই এই খবর সামনে এসেছে।  

    আরও পড়ুন: মেয়রের ওয়ার্ড সর্বাধিক ডেঙ্গি প্রবণ, মারাত্মক আকার নিলেও ডেঙ্গি তথ্য নিয়ে সরকারের লুকোচুরি অব্যহত!

    উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিঙেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই সাত জেলায় চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬০৪ জন রোগী এখনও সরকারি হাসপাতালে (hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    আবার ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। রিপোর্ট অনুসারে, এখনও রাজ্যে ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে ৩ জন শিলিগুড়ির বাসিন্দা। গতকালই শিলিগুড়িতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সাড়ে ৩ বছরের শিশুর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশু বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। এরপর টেস্ট করানোর পর জানা যায়, সে ডেঙ্গি আক্রান্ত। তারপরও কিছুদিন বাড়িতে রেখেই শিশুর চিকিত্‍সা করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সোমবার আনা হয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি। গতকাল সকালেই তার মৃত্যু হয়।

    রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে চিন্তায় প্রশাসন। ফলে জেলা প্রশাসনের তরফে পুরসভাগুলিকে ডেঙ্গি রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

  • Durga Puja: সন্ধি পুজো করলে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে যাবে আপনার জীবন! আর কী কী ফল পাবেন?

    Durga Puja: সন্ধি পুজো করলে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে যাবে আপনার জীবন! আর কী কী ফল পাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির সবচেয়ে বড় উত্‍সব হল দুর্গা পূজা (Durga Puja 2022)। পুজোর পাঁচটি দিনের জন্য সারাবছর মানুষ অপেক্ষায় বসে থাকেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী, শারদীয়া দুর্গোত্‍সবের এই পাঁচটি দিনে মেতে ওঠেন ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে আপামর বাঙালি। আর এই দুর্গাপুজো- কে ঘিরেই রয়েছে একাধিক রীতি-নিয়ম। কোন রীতির কী কারণ তার ফলে কী হয়, এমন অনেক কিছুই জানেন না অনেকেই। যেমন- সন্ধি পুজোর কথা সবাই জানেন, তবে জানেন কী এই পুজো করলে কী কী ফল পাওয়া যায়? তবে আজ সন্ধি পূজা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

    সন্ধি পুজো (Sandhi Puja) হল অষ্টমী (Ashtami) ও নবমী (Nabami) তিথির মিলনের সময়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির শুরুর ২৪ মিনিট, মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় এই সন্ধি পুজো। পুরাণ মতে, মহিষাসুরের সঙ্গে ভয়ঙ্কর যুদ্ধে ব্যস্ত থাকাকালীন অসুরের দুই বন্ধু চন্ড ও মুন্ড পিছন থেকে দেবীকে আক্রমণ করেন। ফলে তিনি রেগে গিয়ে দেবী ত্রিনয়নী চামুন্ডা রূপ ধারন করেন। এই চামুন্ডা রূপেই মা দুর্গা চন্ড ও মুন্ডের মাথা কেটে নেন। দেবীর এই চামুন্ডা রূপেরই আরাধনা করা হয় সন্ধি পুজোর মাধ্যমে। এই  ঘটনাটিকে স্মরণ করার জন্যই প্রতি বছর অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে এই সন্ধি পুজো করা হয়।

    তবে সন্ধি পূজার সময়ে দুটি জিনিস নিবেদন করতে হয়, নয়তো এই পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেটি হল ১০৮ টি পদ্মফুল ও ১০৮ টি প্রদীপ। ফলে মা দুর্গার সন্ধি পুজোয় ১০৮টি পদ্মফুল এবং ১০৮টি প্রদীপ উৎসর্গ করা এই পুজোর প্রধান নিয়ম। আর এই সন্ধি পুজো যদি নিষ্ঠাভরে, ভালোভাবে করা যায়, তা হলে জীবনে নানা ভালো ফল পাওয়া যায়। সেগুলি হল-

    • সন্ধি পুজোর পরই মাকে প্রণাম করে যদি কোনও কাজ শুরু করা হয়, তা হলে সেই কাজে আপনি কখনও অসফল হবেন না।  
    • এই পুজোর সময় যদি এক মনে দুর্গা মন্ত্র জপ করা হয়, তা হলে মা খুব খশি হন এর ফলে মনের জোর বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক অবসাদও কমে যায়।
    • সন্ধি পুজোর সময় একমনে মায়ের আরাধনা করলে শুধুমাত্র মা নন, তাঁর সন্তানরাও খুশি হন।
    • ১০৮টি পদ্ম ফুল দিয়ে মায়ের পুজো করলে সংসারে ঝগড়া বিবাদ কমে যায়। জীবন সুখ-শান্তিতে ভরে যায়।
    • সন্ধি পুজো করলে গ্রহ দোষ কেটে যায় এবং খারাপ স্বপ্ন দেখার আশঙ্কাও কমে যায়।
    • মনে করা হয়, এই পুজোর মাধ্যমে মনের ছোট থেকে বড়, সকল ইচ্ছা পূরণ হয়।
    • সন্ধি পুজোর সন্ধিক্ষণ মুহূর্তে মায়ের নাম নিতে থাকলে রোগ ব্যাধি আপনার ধারের কাছেও আসতে পারবে না।
  • PFI Ban: পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের

    PFI Ban: পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিজজ ডেস্ক: পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India), সংক্ষেপে পিএফআইকে (PFI)। নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআইয়ের সহযোগী সংস্থাগুলিকেও। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। কেবল বিজেপি নয়, সুফি (Sufi) এবং বারেলভি (Barelvi) ধর্মগুরুরাও বুধবার স্বাগত জানিয়েছে মোদি (PM Modi) সরকারের এই সিদ্ধান্তকে। অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাসিন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবৃতি জারি করে জানান জঙ্গিবাদ দমনে ব্যবস্থা নেওয়া হলে প্রত্যেকের ধৈর্য ধরা উচিত।

    ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাসিন কাউন্সিল বিশ্বাস করে আইনের স্বার্থে যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে প্রত্যেকের ধৈর্য ধরে কাজ করা উচিত। সরকার ও তদন্তকারী সংস্থাগুলির পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো উচিত।

    সুফিরা আবার প্রতিষ্ঠান এবং তার মতবাদের চেয়ে জাতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্য অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানসিন কাউন্সিল দেশের ঐক্য, সার্বভৌমিকতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সচেষ্ট। ভবিষ্যতেও দেশ বিরোধী যে কোনও শক্তি মাথাচাড়া দিলে আমরা সুর চড়াব। অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতের প্রেসিডেন্ট মওলানা সাহাবউদ্দিন রাজভি বারেলভি এক ভিডিও বার্তায় জানান জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিক।

    আরও পড়ুন : ‘‘মোদি-জমানার ভারত…’’, পিএফআই নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে ব্যান করার দাবি অনেক আগেই জানিয়েছিল বারেলভি উলেমা। মওলানা সাহাবউদ্দিন রাজভি স্বাগত জানিয়েছিলেন দেশজুড়ে পিএফআই সদস্যদের ধরতে চালানো অভিযানকে। তিনি বলেছিলেন, এতেই পরিষ্কার এই সংগঠন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত। মওলানা রাজভি বলেন, এই জাতীয় সংগঠনকে ব্যান করা দরকার। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতি রয়েছে আমাদের পূর্ণ সমর্থন। আজমেঢ় দরগার প্রধান জইনুল আবেদন আলিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।

    তিনি বলেন, যদি দেশ নিরাপদ থাকে, তবে আমরাও নিরাপদে থাকব। দেশ যে কোনও প্রতিষ্ঠান কিংবা মতবাদের চেয়ে বড়। কেউ যদি দেশকে ভাঙতে চায়, দেশের ঐক্য বিনষ্ট করতে চায়, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করতে চায়, দেশের শান্তি নষ্ট হবে এমন কথা বলতে চায়, তাদের এদেশে থাকার কোনও অধিকারই নেই। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সুফি সেন্ট খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দেওয়ানও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI on RSS: টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    PFI on RSS: টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখতে প্রাণপাত করছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) নেতারা। উন্নততর ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন তাঁরাও। সেই তাঁদেরই ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI) নামে একটি মুসলিম সংগঠনের গুপ্তচররা। বৃহস্পতিবার দিনভর দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালান গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় প্রায় দুশো পিআইএফ নেতাকর্মীকে। ধৃতদের জেরা করেন গোয়েন্দারা। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় পিএফআই। ২০০৬ সালে কেরলে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী কালে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ তিনটি সংগঠন মিলিত হয়ে তৈরি হয় পিএফআই। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার এনআইএ এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, আসাম, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। গ্রেফতার করা হয় ১৯৬ জনকে। এদের মধ্যে ৪৫ জন নেতাও রয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, আরএসএস নেতাদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিএফআইয়ের গুপ্তচর শাখা তাহলিলকে। তারাই আরএসএসের নেতা, বাড়ির লোকজন, গাড়ির চালক মায় পরিচারকদের গতিবিধির ওপরও নজরদারি চালাত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরএসএসের যত শাখা রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কেও বিস্তারিত খোঁজখবর রাখত তাহলিল।  

    আরও পড়ুন : খুন, বিস্ফোরক রাখা, সন্ত্রাসবাদে মদত— কী কী অভিযোগ পিএফআই-এর বিরুদ্ধে?

    সূত্রের খবর, আরএসএসের নেতাদের অফিস ও বাড়িতে রেকিও করেছে পিআইএফের গোয়েন্দারা। এই তাহলিলের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈইবার যোগাযোগ ছিল। আরএসএস নেতাদের সম্পর্কে অনেক তথ্যই তাহলিল দিয়েছে লস্কর-ই-তৈইবাকে। পিএফআইয়ের মতে, আরএসএস নেতাদের সম্পর্কে জোগাড় করা তথ্য ফাইনাল রোডম্যাপের ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কেবল তাই নয়, তাহলিলের আরও একটি কাজ হল সমাজে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে কৌশলে বিভেদ ঘটানো। যাতে করে জনমানসে আরএসএস সম্পর্কে নঞর্থক ধারণা তৈরি হয়।

    সম্প্রতি দিল্লিতে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তার পরের দিনই তাঁকে রাষ্ট্রপিতা অভিধায় ভূষিত করেছে ভারতীয় ইমাম সংগঠন। জাতি গঠনে এই আরএসএস প্রধানের ভূমিকাও স্বীকার করেছে তারা। এহেন আবহে পিএফআইয়ের এমন তথ্য সামনে আসায় শঙ্কিত দেশবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: খুন, বিস্ফোরক রাখা, সন্ত্রাসবাদে মদত— কী কী অভিযোগ পিএফআই-এর বিরুদ্ধে?

    PFI: খুন, বিস্ফোরক রাখা, সন্ত্রাসবাদে মদত— কী কী অভিযোগ পিএফআই-এর বিরুদ্ধে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক বছরে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে হিংসাত্বক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

    কী কী অভিযোগ রয়েছে পিএফআই-এর বিরুদ্ধে—

    • অধ্যাপকের হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই চরমপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে। 
    • অন্য ধর্মের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের খুন করার অভিযোগ রয়েছে। 
    • অস্ত্র এবং বিস্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। 
    • নাগরিকদের ভয় দেখানো থেকে সরকারি সম্পত্তির ধ্বংস এই ইসলামিক সংগঠনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। 
    • সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্য করা, সন্ত্রাসবাদীদের জন্য ট্রেনিং ক্যাম্পের আয়োজন করা এবং সাধারণ মানুষদের এই সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য মগজ ধোলাই করার মতো অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: এনআইএ হানার প্রতিবাদ, কেরলে পাথর- পেট্রল বোমা ছুড়ে প্রতিবাদ পিএফআই সমর্থকদের

    বৃহস্পতিবার এনআইএ (NIA) এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, অসম, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। এখনও পর্যন্ত ১৯৬ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। ৫টি মামলায় মোট ১০৬ জন পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪৫ জন নেতা। তল্লাশিতে প্রচুর টাকা, অস্ত্র এবং বিপুল ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।

    এনআইএ-এর অভিযানের প্রতিবাদে কেরল এবং কর্নাটকের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পিএফআই সদস্যরা। শুক্রবার কেরলে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাকও দিয়েছিল সংগঠন। দেশজুড়ে এই ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জোড়াল হচ্ছে। বিভিন্ন অসামাজিক ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ২০০৬ সালে গঠিত, এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে পিএফআই। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই দলটিকে বেআইনি ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে, বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক    

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে এই সংগঠন তৈরি করা হয়। ২০০৬ সালে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী সময়ে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ একাধিক সংগঠন মিলিত হয়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া তৈরি করে। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Durga Puja: নবপত্রিকা স্নান থেকে কুমারী পুজো, জানুন এই রীতিগুলোর মাহাত্ম্য

    Durga Puja: নবপত্রিকা স্নান থেকে কুমারী পুজো, জানুন এই রীতিগুলোর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপূজার বিশেষ উল্লেখযোগ্য দুটি রীতি হল নবপত্রিকা স্নান ও কুমারী পুজো। দুটো রীতিরই আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। অনেকের আবার এই দুই রীতির কী কী মাহাত্ম্য রয়েছে, তা স্পষ্টও নয়। যেমন দুর্গাপূজার সময়ে মন্ডপে ঠাকুর দেখতে গিয়ে গণেশের পাশে কলাবউ-কে দেখতে পেয়ে অনেকেই মনে করেন যে, কলাবউ গণেশের স্ত্রী, কিন্তু আসলে তা সত্যি নয়। ফলে এমনই ভুল ধারণা রয়েছে অনেকেরই, তাই আজ এই রীতিরগুলোর পেছনের কী কী কারণ রয়েছে এবং কী এর মাহাত্ম্য, তা নিয়ে আলোচনা করা হল।

    মহাসপ্তমীর ‘নবপত্রিকা স্নান’

    নবপত্রিকার আক্ষরিক অর্থ হল নয়টি পাতা। কিন্তু এখানে নয়টি উদ্ভিদ দিয়ে নবপত্রিকা গঠন করা হয়। এই নয়টি উদ্ভিদ মা দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক। এই নয়টি উদ্ভিদ হল কদলী বা রম্ভা (কলাগাছ), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব(বেল), দাড়িম্ব(ডালিম), অশোক, মান ও ধান। এরপর একজোড়া বেল-সহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পুজো করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম কলাবউ। তারপর তাতে সিঁদূর দিয়ে দুর্গা ও গণেশের দেবীর ডানপাশে রাখা হয়। আর এই কলাবউ গণেশের স্ত্রী নয়।

    এটি দুর্গা অর্থাৎ গণেশের জননী। গণেশের স্ত্রীদের নাম রিদ্ধি ও সিদ্ধি। এই ৯টি গাছের পাতা শক্তির ৯টি রূপকে তুলে ধরে- ব্রহ্মাণী (কলা), কালিকা (কচু), দুর্গা (হলুদ), কার্ত্তিকী (জয়ন্তী), শিব (কদবেল), রক্তদন্তিকা (বেদানা), শোকরহিতা (অশোক), চামুণ্ডা (ঘটকচু), লক্ষ্মী (ধান)। মহাসপ্তমীর দিন সকালে পুরোহিত নিজের কাঁধে করে কাছের কোনও নদী বা জলাশয়ে নবপত্রিকা নিয়ে যান। তাঁর পিছন পিছন ঢাকীরা ঢাক বাজাতে বাজাতে এবং মহিলারা শঙ্খ ও উলুধ্বনি করতে করতে যান। এরপর নবপত্রিকাকে স্নান করানোর পর নতুন শাড়ি পরানো হয়। তারপর পূজা মণ্ডপে নিয়ে এসে নবপত্রিকাকে দেবীর ডান দিকে একটি কাষ্ঠসিংহাসনে স্থাপন করা হয়। এরপর এই চারদিন দেবদেবীদের সঙ্গে এটিও পুজো করা হয়। তবে অনেকে মনে করেন, নবপত্রিকার পূজার মাধ্যমে শস্যদেবীর পূজা করা হয়। এই শস্যবধূকেই দেবীর প্রতীক রূপে গ্রহণ করে প্রথমে পূজা করতে হয়। কারণ মনে করা হয়, শারদীয়া পূজার মূলে রয়েছে শস্য-দেবীর পূজা।

    মহাঅষ্টমীর ‘কুমারী পুজো’

    অষ্টমীর দিন সাধারণত কুমারী পুজো করা হয়। এদিন বাচ্চা মেয়েদের দুর্গার মর্যাদা দিয়ে, দুর্গারূপে তাদের পুজো করা হয়। আগেকার দিনের মুনি-ঋষিরা প্রকৃতিকে নারীর সমান মনে করতেন। তাই কুমারী পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পূজা করতেন তাঁরা। তাঁরা মনে করতেন মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বর। বিশেষ করে যাদের মন সৎ, যারা নিষ্পাপ তাদের মধ্যেই ভগবানের প্রকট সবথেকে বেশি। আর এই গুণ কেবলমাত্র কুমারীদের মধ্যে থাকতে পারে, এই ভেবেই অষ্টমী তিথিতে তাদের দেবীরূপে পুজো করা হয়।

    শাস্ত্র অনুসারে সাধারণত ১ বছর থেকে ১৬ বছরের ঋতুস্রাব না হওয়া বালিকাদের কুমারী রূপে পূজা করা হয়। তাদের নতুন বস্ত্র, ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে সিঁদুরের টিপ ও তিলক পরিয়ে সাজিয়ে তাদের পুজো করা হয়।

    শাস্ত্র মতে, কোলাসুর-কে বধ করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় কুমারী পুজোর। গল্পে আছে, কোলাসুর যখন স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করেন, তখন কোলাসুর-এর থেকে মুক্তি পেতে দেবতাগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবতাগণের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবী কুমারীরূপে কোলাসুর-কে বধ করেন। এর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন শুরু হয়।

LinkedIn
Share