Blog

  • Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    Maharashtra political crisis: দল বাঁচাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছাড়ার ইঙ্গিত উদ্ধবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একনাথ শিন্ডের সঙ্গে সমঝোতার বার্তা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhab Thackrey)। শিবসেনার (Shibsena) মুখপাত্র প্রবীণ নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) জানান, মহা বিকাশ আগাড়ি অর্থাত্‍ শিবসেনা কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট (Alliance) ত্যাগ করতে প্রস্তুত। তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে বিধায়কদের মুম্বই (Mumbai) ফিরে আসতে হবে।

    মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রধান দাবিই হল, কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে উদ্ধবকে। তাঁরা চান উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী থাকুন। ফিরুক পুরনো জোটে। অর্থাত্‍ বিজেপির সমর্থনে সরকার চালান উদ্ধব। সম্পর্ক ছিন্ন করুন কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সঙ্গে। তবে, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার আশ্বাসে তাঁর ভরসা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিবসেনার বিদ্রোহী শিবিরের নেতা একনাথ শিন্ডে। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির হোটেল থেকে তিনি জানিয়েছেন, আগে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে উদ্ধবকে। তার পরেই সমঝোতার প্রশ্ন।

    [tw]


    [/tw]

    এরপরই শিবসেনার তরফে সঞ্জয় রাউত জানান, একনাথকে শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের মুম্বই ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। জানিয়েছেন আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিদ্রোহীরা মুম্বই ফিরে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসুক। জোট ছাড়তে উদ্ধব বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না। কিন্তু গুয়াহাটি (Guwahati) বসে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। আলোচনা করতে হলে মুম্বই এসে করতে হবে, বলে দাবি উদ্ধবের।

    তবে এর পাল্টা হিসেবে শিন্ডে জানিয়ে দেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে  সমস্ত ধরনের সমঝোতার দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিন্ডে বলেন, “৪০ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে আছেন। কে বলছে আমরা ফিরে যাব? আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। গাড়ি অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। আমরা সবকিছুই চেষ্টা করেছি কিন্তু কিছুই হয়নি। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়। সবার মতামত চাওয়া হবে তারপর আমরা এগোব। এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, সবার সিদ্ধান্ত।”

    আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    শিবসেনার জোট ছাড়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, “অনৈতিক ও অসাংবিধানিক ভাবে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি। রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য বিজেপি দায়ী। তারা পিছন থেকে এই কাজ করাচ্ছে। এভাবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও করাবে বিজেপি।” এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাতিল বলেন,”শিবসেনার তরফে সরকারিভাবে এমন কোনও কথা এখনও জানানো হয়নি। তারা সরকারিভাবে কিছু জানালে তবেই ভাবনা-চিন্তা করা হবে।” এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল বলেন,”যে কোনও দল নিজেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে জোট ছাড়লে শিবসেনা তা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে জানাত। এখনও সেরকম কোনও খবর নেই।”

  • Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক মামলায় (Narcotics Related Case) কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা অভিযুক্তের কাছ থেকে বেআইনি কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি (Videography) করে রাখতে হবে। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এই নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।  

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    আদালত সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানায় মাদক সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় অভিযুক্তের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ভিন্ন। তাঁরা বলছেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে আদৌ কোনও বেআইনি সামগ্রী উদ্ধার হয়নি। পরে পুলিশ জোর করে ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্টে সই করিয়েছে অভিযুক্তকে দিয়ে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জাল নথিপত্র পেশের অভিযোগও উঠেছে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে মামলাটি। মামলাকারীদের বক্তব্য জানার পর বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আজকাল সব পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকের কাছে স্মার্ট ফোন থাকে। তাই মাদক মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং বা ভিডিওগ্রাফি করে রাখতে হবে পুলিশ আধিকারিকদের। কোনও পরিস্থিতিতেই এই নির্দেশ অমান্য করা চলবে না। আদালতের এই নির্দেশের বিষয়ে যাতে দ্রুত রাজ্যের সব থানাকে ওয়াকিবহাল করা হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। বলা হয়েছে, অবিলম্বে রাজ্যের প্রত্যেক পুলিশ সুপারের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিতে হবে। সকলে আদালতের নির্দেশ মানছেন কিনা, পুলিশ সুপারদের সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    যে মামলা ঘিরে এই রায় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ, লালগোলা থানা এলাকার সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম কবীর শেখ। তাঁর দাবি, মিথ্যা মাদক মামলায় পুলিশ ফাঁসিয়েছে তাঁকে। ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্ট তৈরি করে জোর করে তাঁকে তাতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিনা ‘দোষে’ তাঁকে কারাবাসও করতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রমাণের অভাবে ইতিমধ্যেই কবীরের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

     

  • Presidential Election: দিল্লি পৌঁছলেন দ্রৌপদী, শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন

    Presidential Election: দিল্লি পৌঁছলেন দ্রৌপদী, শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা এনডিএ-র (NDA) রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বর থেকে রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছেন। তাঁকে দিল্লি (Delhi) বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বিজেপি নেতারা। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা (File Nomination) দেবেন তিনি। তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)  এবং বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। থাকবেন  বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন ভুবনেশ্বরের এমসিএল গেস্ট হাউস থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন দ্রৌপদী। এই প্রথম কোনও দলিত আদিবাসী মহিলা দেশের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হলেন। ফলে তাঁকে নিয়ে দেশের আদিবাসী সমাজ রীতিমতো উল্লসিত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে দ্রৌপদীর নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়। এখবর শুনে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি দ্রৌপদী এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাই বুধবার সকালেই দ্রৌপদী চলে যান গ্রামের মন্দিরে। নিজের হাতে ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করলেন ঠাকুরদালান। তারপর মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম। সেখান থেকেই শুরু রাইসিনা হিলের দৌড়।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পদে এগিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু! ‘ঘরের মেয়ে’ কে সমর্থন নবীনের

    বছর চৌষট্টির দ্রৌপদী মুর্মু দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক জীবন অন্তত আড়াই দশকের। দল থেকে আইনসভা, সর্বত্র বিভিন্ন পদে নানা দায়িত্ব সামলেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০০০ ও ২০০৪ সালে ওড়িশার রাইরংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হন দ্রৌপদী মুর্মু। ওড়িশার বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ অবধি ওড়িশার সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। তারপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ অবধি ছিলেন সাম্মানিক সহকারী শিক্ষক।১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হন দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সঙ্গে রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও পান তিনি।  দ্রৌপদী মুর্মু ২০১৫ থেকে ২০২১ অবধি ঝাড়খণ্ডের  রাজ্যপাল ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করলেই তিনি হয়ে যাবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি।

  • Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    Coal Smuggling: কোলে ২ বছরের ছেলে, ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির রুজিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচারকাণ্ডে (Coal smuggling case) তলব পেয়ে শিশুসন্তানকে নিয়েই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) সামনে হাজিরা দিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার,  অভিষেকে-পত্নীকে তলব করেছিল ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ১১টা নাগাদ কোলে ২ বছরের শিশুকে নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজির হলেন তিনি।  

    কয়লাপাচার-কাণ্ডে এর আগে একাধিক বার অভিষেক (Abhishek Banerjee) এবং রুজিরাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। অভিষেক দু’বার হাজিরাও দিয়েছিলেন ইডি দফতরে গিয়ে। কিন্তু রুজিরা যাননি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর দু’বছরের পুত্র সন্তানকে কলকাতায় রেখে দিল্লি যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তদন্তকারী অফিসাররা যদি কলকাতায় ডাকেন তাহলে তাঁর হাজিরার মুখোমুখি হতে কোনও অসুবিধা নেই।

    কিন্তু, ইডি তাদের দাবিতে অনড় থাকায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রুজিরা। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, কলকাতায় এসে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। সেইমতো, অভিষেক-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের, করা হল কোন প্রশ্ন?

    কিছুদিন আগে, এই কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে তাঁকে বাড়িতে গিয়ে জেরা করে এসেছিল সিবিআই (CBI)। তখনই এই টাকা লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে। তাই এবার রুজিরাকে জেরা করতে চায় ইডি। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে বিদেশি লেনদেনের বিষয় নিয়ে তাঁকে জেরা করা হতে পারে। 

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে ব্যাঙ্ককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র দাবি, কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার টাকা বিভিন্ন হাত ঘুরে ব্যাংককের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। সেখানে জমা পড়েছে কয়লা পাচারের টাকা।

    ইডি সূত্রে দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা জানতে পারে, বিদেশি ব্যাঙ্কে ওই অ্যাকাউন্টের মালিক রুজিরা নরুলা। ইডি-র দাবি, রুজিরা নরুলাই হলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে দাবি, প্রাথমিকভাবে ওই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রুজিরা।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

     

  • Covid-19 India Updates: দৈনিক করোনা সংক্রমণ পার ১৩ হাজার, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৮

    Covid-19 India Updates: দৈনিক করোনা সংক্রমণ পার ১৩ হাজার, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দেশে বাড়ল দৈনিক করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare) থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৩১৩ জন। এক লাফে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৮৩,৯৯০ জন।

    বুধবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২,২৪৯। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৩৮ জন। সুতরাং মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। গত চার মাসের মধ্যে আজই দৈনিক সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশী। করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০,৯৭২ জন।

    ফলে দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪,২৭,৩৬,০২৭ জন। দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ০.১৯ শতাংশ বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২.০৩ শতাংশ ও সপ্তাহে পজিটিভিটি রেট ২.৮১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫,২৪,৯৪১।

    আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    অন্যদিকে করোনার বাড়তে থাকা সংক্রমণের দিকে নজর রেখেই সম্ভবত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। এতদিনে মোট করোনা টেস্ট করা হয়েছিল ৮৫.৯৪ কোটি জনের এবং গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা টেস্ট করা হয়েছে ৬,৫৬,৪১০ জনের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক অনুসারে, ভারত সরকার দ্বারা এতদিনে মোট ১৯৬.৬২ কোটি ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    দেশজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে কোভিডের (Covid-19) বিভিন্ন নিয়ম মানার নির্দেশ জারি করেছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan) সমস্ত রাজ্যের জন্যে চিঠিতে লিখেছেন আরটিপিসিআর (RT-PCR) টেস্টের পরিমাণ বাড়াতে হবে, এছাড়াও ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট, কোভিড নিয়ম ইত্যাদির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তিনি সরকারকে পাঁচ দফা নীতি (five-fold Strategy) মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন।

    অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মাণ্ডবিয় (Mansukh Mandaviya) আজই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসবেন। আবার তিনিও ফাইভ ফোল্ড স্ট্যাটেজি অর্থাৎ পরীক্ষা (Test), ট্র্যাক (Track), চিকিৎসা (Treatment), টিকাপ্রদান (Vaccination) ও সচেতনতা (Adherence) মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

  • Medical Student: ইউক্রেন, চিনে যাওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ারা এদেশে পেতে পারে প্র্যাকটিসের সুযোগ?

    Medical Student: ইউক্রেন, চিনে যাওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ারা এদেশে পেতে পারে প্র্যাকটিসের সুযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) এবং ইউক্রেনের (Ukraine) শেষ বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ারা যাঁরা করোনা অতিমারি (Corona pandemic) বা যুদ্ধের (Ukraine war) কারণে তাঁদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ শেষ করতে পারেননি তাঁদের বিদেশি মেডিক্যাল স্নাতক পরীক্ষায় (Foreign Medical Graduate Exam) বসতে দেওয়া হতে পারে। এমনই একটি প্রস্তাব দিয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)। কমিশনের তরফে জানানো হয়, এটি একটি স্ক্রিনিং পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে যে পড়ুয়ারা বিদেশে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন তাঁরা দেশে অনুশীলন করতে পারবেন। 

    এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের দেশে অনুশীলন করার জন্য দুই বছরের ইন্টার্নশিপও শেষ করতে হবে, বলে জানিয়েছে কমিশন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (NMC) প্রস্তাব অনুসারে, একটা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে, বিদেশি মেডিক্যাল স্নাতকদের ভারতে FMGE পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাঁদের নথিভুক্ত করা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত এক বছরের ইন্টার্নশিপ করতে হবে। তারপর স্থায়ীভাবে রেজিস্ট্রেশন পেতে ভারতে এক বছরের ইন্টার্নশিপ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে জয়েন্ট মেইনের হল টিকিট, কী করে ডাউনলোড করবেন?

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন এই প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের মেডিক্যাল ছাত্ররা, যাঁরা ২০২১ সালের নভেম্বরের পরে তাঁদের কলেজে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ভারতীয় কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থীরা, তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মতো, ইউরোপের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন না, তাই তাঁদেরকে এই সুযোগ দেওয়া হবে। 

    বিদেশি মেডিক্যাল স্নাতকদের জন্য ২০২১ সালে একটি নতুন নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়। তাতে বলা হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ এবং ইন্টার্নশিপ সম্পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু করোনার কারণে চিনে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েছেন। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন ভারতীয় ছাত্ররা। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। 

  • Afghanistan earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, মৃত্যু হাজার পার

    Afghanistan earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, মৃত্যু হাজার পার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বুধবার সকালে আফগানিস্তানের পূর্বে আঘাত হানে ভয়াল ভূমিকম্প (Earthquake)। আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের ধাক্কা লেগেছে পড়শি দেশ পাকিস্তানেও (Pakistan)। ভূমিকম্পের ধাক্কায় শুধু আফগানিস্তানেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০০ জনের। জখম হয়েছেন পনেরশোরও বেশি মানুষ। বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন :রাস্তায় খাবার বিক্রি করছেন সাংবাদিক! তালিবান শাসনের অভিশাপের ছবি আফগানিস্তানে

    আমেরিকার ভূ-সর্বেক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে প্রথম অনুভূত হয় কম্পন। কম্পনের উৎস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ওই এলাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০০ জনের। জখম হয়েছেন ১৫০০রও বেশি মানুষ।

    বর্তমানে আফগানিস্তানের রাশ রয়েছে তালিবান প্রশাসনের হাতে। তালিবান প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান মহম্মদ নাসিম হক্কানি জানান, আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে সিংহভাগ মানুষের। সেখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। আহতের সংখ্যা তিনশোর কাছাকাছি। নানগড়হার ও খোস্ত এলাকায়ও ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা।

    আরও পড়ুন : তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে কোনও কিছু বোঝার আগেই কাঁপতে থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বসত বাড়ি। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নেন বহু মানুষ। চোখের সামনে ঘর ভেঙে পড়তে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনেকে। প্রিয়জনদের অনেককেই ভাঙা বাড়ির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেও হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। কম্পন থামতেই শুরু হয় প্রিয়জনদের বাঁচানোর চেষ্টা। ততক্ষণে অনেক জায়গায় চলে এসেছেন বিপর্যয় বাহিনীর লোকজন। শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য।

    এদিকে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান প্রতিবেশী দুই দেশেই ভূমিকম্প আঘাত হানলেও, যেহেতু ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানে, তাই আফগানিস্তানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সব চেয়ে বেশি। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের লাহোর, মূলতান সহ একাধিক জায়গায় ভূমিকম্প হয়েছে বলেও পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

     

  • Indian Railways New Rules: রেলে একজনের টিকিটে যেতে পারেন অন্যজনও! জানেন সেই নিয়ম?

    Indian Railways New Rules: রেলে একজনের টিকিটে যেতে পারেন অন্যজনও! জানেন সেই নিয়ম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেন (Train) যাত্রীদের জন্য এক সুখবর নিয়ে এসেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে অন্যের কমফার্ম টিকিটেই যেতে পারবে অন্যজন। তবে জানতে হবে কিছু নিয়ম। অনেক সময় নানা কারণে এমন হতে পারে, যে লোক টিকিট কেটেছে, তিনি কোনও কারণে সেখানে যেতে পারবেন না, কিন্তু সেই টিকিটে তাঁর পরিবারের অন্য কেউ যেতে পারবেন, সেই টিকিটের নাম পরিবর্তন করে।

    রেলের নতুন নিয়মে তাই বলা হয়েছে যে, কোনও ব্যক্তির নামে কনফার্ম টিকিট থাকলে, সেই টিকিটে তাঁর পরিবারের অন্য সদস্য ভ্রমণ করতে পারবেন। যদিও এই নিয়মটি দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকলেও সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। তবে এই নাম পরিবর্তনের জন্য কিছু পদ্ধতি আছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক—

    আরও পড়ুন: পুণ্যার্থীদের জন্য সূচনা ভারত গৌরব যাত্রা ট্রেনের, যাওয়া যাবে কোথায়?

    শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের জন্য

    আপনার কনফার্ম টিকিটটি আপনি অন্যের নামে করাতে পারবেন তবে সেই ব্যক্তিকে আপনার পরিবারের একজন সদস্য হতে হবে। এক্ষেত্রে যাঁর নামে টিকিট ছিল ও যাঁর নামে টিকিটটি করা হবে তাঁদের দুজনেরই সচিত্র পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক।

    ২৪ ঘণ্টা আগে আবেদন করতে হবে

    রেলের নিয়ম অনুযায়ী, নিজের টিকিট অন্য কারও নামে পরিবর্তন করতে হলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে আবেদন করতে হবে। যদি কোনও সরকারি কর্মচারী সরকারি কাজের জন্য আবেদন করেন,  তার ক্ষেত্রেও ২৪ ঘণ্টা আগে আবেদন করা যেতে পারে। কিন্তু যদি বিয়ের কাজের জন্য আবেদন করা হয়, তবে ৪৮ ঘণ্টা আগে আবেদন করতে হবে।

    আরও পড়ুন: ৫৫ মিনিটেই দিল্লি থেকে মিরাট, কেমন দেখতে ভারতের দ্রুততম আঞ্চলিক ট্রেন!

    একবারের জন্যই নাম পরিবর্তন সম্ভব

    রেলের নিয়ম অনুসারে, কোনও ব্যক্তি তাঁর ট্রেনের টিকিটের নাম ট্রান্সফার একবারের জন্যই করতে পারবেন। অপর ব্যক্তিটি দ্বিতীয়বারের জন্য অন্য কারও নামে ট্রান্সফার করতে পারবেন না।

    ট্রেনের টিকিটের নাম ট্রান্সফারের পদ্ধতি

    কোনও টিকিটের নামের বদল করতে প্রথমে সেই টিকিটের একটি প্রিন্ট আউট নিয়ে নিকটবর্তী রেলস্টেশনে যেতে হবে। যে ব্যক্তির নামে টিকিট কনফার্ম ও যে ব্যক্তির নামে টিকিট করা হবে, দুজনেরই আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড থাকতে হবে। এই ভাবেই স্টেশনের সংরক্ষণ কাউন্টারে গিয়ে টিকিট ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করলে, সহজেই অন্য ব্যক্তির নামে টিকিট ট্রান্সফার হয়ে যায়। 

     

  • Pakistan: অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    Pakistan: অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চূড়ান্ত অর্থসংকটে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (IMF) সাহায্যের। সেই সাহায্য পেতে গেলে পাকিস্তানকে বাজেট পেশ করতে হবে আইএমএফ-এর শর্ত মেনেই। তা না হলে মিলবে না অর্থ সাহায্য।

    পাহাড় প্রমাণ অর্থসংকট। পাকিস্তান জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের হাহাকার। মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। দেশবাসীর একটা বিরাট অংশ দুবেলা খেতে পান না পেট ভরে। দেশের এই সংকট মোকাবিলায় একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ করছে সে দেশের সরকার। তার পরেও মেটেনি সমস্যা।

    আরও পড়ুন :ঋণ মেটাতে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনকে সমর্পণ করতে পারে পাকিস্তান?

    শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখে শঙ্কিত অর্থসংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। দ্বীপরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য চেষ্টার কসুর করছে না শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার। উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে দেশের তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে দেশটির প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ ঋণের। পাকিস্তানকে এই মোটা অঙ্কের ঋণ দিতে পারে কেবল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার।

    এই ঋণ নিশ্চিত করতে ন্যূনতম গ্যারান্টির অর্থ জমা রাখতে হবে পাকিস্তানকে। উন্নতি ঘটাতে হবে সে দেশের আর্থিক অবস্থার। এটা করতে গিয়েই একের পর জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এর মধ্যে রয়েছে অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে জ্বালানিতে ভর্তুকি ছাঁটাই। আরও কিছু কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে বলে দিন কয়েক আগেই পাক সংসদে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

    আরও পড়ুন : ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    সম্ভাব্য ঋণখেলাপি (loan default) এড়াতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এই ঋণ পেতেই গ্রহণ করতে হবে কড়া পদক্ষেপ। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তান একটি “মেমরান্ডাম অফ ইকনমিক অ্যান্ড ফিসক্যাল পলিসি” পেয়েছে। সম্প্রতি সংসদে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপরে বেতন পান যাঁরা, তাঁদের প্রদত্ত ট্যাক্স ছাড়াও আয়ের ওপর আরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ “সুপার ট্যাক্স” বা সারচার্জ দিতে হবে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    বছর কয়েক আগে প্রায় একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল গ্রিস। তীব্র অর্থসংকট কাটাতে সেবারও গুচ্ছ জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে দেশের সরকার। এবারও প্রায় একই পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। এখন দেখার, দেশকে দেউলিয়া হওয়ার পথ থেকে বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপ করে শেহবাজ শরিফের সরকার।

  • Bangladesh Hindu Teachers: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে

    Bangladesh Hindu Teachers: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু শিক্ষক (Hindu Teacher) নিগ্রহের ঘটনা বাংলাদেশে (Bangladesh)। বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের (Swapan Kumar Biswas) গলায় জুতোর মালা পরানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রশাসন। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাশকতা ও শিক্ষককে হেনস্থা করার অভিযোগে দায়ের হয়েছে মামলা। এদিকে, এই ঘটনারই দিন কয়েক আগে সাভার এলাকায় উৎপল কুমার সরকার নামে এক হিন্দু শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এক ছাত্র।

    আরও পড়ুন : পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলল বাংলাদেশ, কী বলল প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা।পরে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। এই নূপুরের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া বাংলাদেশের হিন্দু ছাত্র রাহুল দেব রায়কে বাঁচানোর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জুতোর মালা পরানো হয় মির্জাপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন বিশ্বাসকে। ওই ঘটনার ছবি ভাইরালও করা হয় ফেসবুকে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় সৈয়দ রিমন আলি, শাওন খান এবং মনিরুল ইসলাম নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শিক্ষককে হেনস্থার প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় বাংলাদেশজুড়ে। পুলিশের সামনে কীভাবে একজন শিক্ষককে এভাবে অপমান করা হল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। নাট্যকর্মী থেকে নেট নাগরিক, সবারই বক্তব্য কেবল হিন্দু হওয়ার অপরাধেই এমন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে মির্জাপুর কলেজের ওই শিক্ষককে।

    আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু বাংলাদেশ-চিনের যৌথ প্রকল্প? বেজিংয়ের দাবি ওড়াল ঢাকা

    এদিকে, এই ঘটনারই দিন কয়েক আগে সাভার এলাকায় উৎপল কুমার সরকার নামে এক হিন্দু শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এক ছাত্র। হাজি ইউনুস আলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রের এই কাজেও ঘৃণা উগরে দিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ। এই ঘটনার উদ্দেশ্য নিয়ে পুলিশ ধন্দে রইলেও, অনুমান ওই ছাত্র স্কুলের ছাত্রীদের উত্যক্ত করত। ঘটনার প্রতিবাদ করায় উইকেট দিয়ে পিটিয়ে ফেলা হয়। ওই শিক্ষক হিন্দু হওয়ায়ই এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের একাংশের।

    টিপ পরায় বাংলাদেশের রাজধানীয় ঢাকায় পুলিশ কর্মীর হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই মিথ্যা ধর্ম অবমাননার দায়ে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয়েছিল মুন্সিগঞ্জের একটি স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে। ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ স্কুলের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তাকেও  জনসমক্ষে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছিল। সেই ঘটনায়ও নিন্দার ঝড় উঠেছিল বাংলাদেশ জুড়ে।

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের সেই ধারা আজও অব্যাহত!

     

LinkedIn
Share