Blog

  • Twiter Updates: টুইটার অধিপতি মার্কিন ধনকুবের মাস্ক,সরতে হতে পারে সিইও পরাগকে

    Twiter Updates: টুইটার অধিপতি মার্কিন ধনকুবের মাস্ক,সরতে হতে পারে সিইও পরাগকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দর কষাকষি শেষে টুইটার (Twiter) কিনেই নিলেন আমেরিকার (America)ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের পুরো শেয়ার কিনতে তাঁকে দিতে হল ৪,৪০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩,৩৬,৯৪১ কোটি ২২ লাখ টাকা। শেয়ার কেনার জন্য পুরো টাকাটাই মাস্ক নগদে দিচ্ছেন।

    কয়েক দিন আগেই প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট (Micro blogging sight) টুইটারের ৯.২ শতাংশ মালিকানা কিনেছিলেন ইলন। এ বার পুরো মালিকানাই হল তাঁর। এর ফলে অনেকের মালিকাধীন সংস্থা থেকে একক মালিকাধীন সংস্থা হয়ে উঠল টুইটার। 

    টুইটার কিনে নেওয়ার পর ইলন মাস্ক নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে বলেন, ‘বাক্‌স্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্থর। আর টুইটার এমন একটি ডিজিটাল ক্ষেত্র যেখানে ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত তর্ক-বিতর্ক হয়। আমি টুইটারকে আগের থেকে ভাল এবং যুগোপযোগী করে তুলতে চাই, যেখানে অনেক নতুন নতুন সুবিধা যোগ করা হবে। এর ফলে আদপে মানুষ উপকৃতই হবেন। টুইটার খুবই সম্ভাবনাময়। আমি এই সংস্থার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’’মাস্কের দাবি, তিনি টুইটারের অংশীদার হওয়ার সময়ে ভেবেছিলেন টুইটার বিশ্ব জুড়ে বাক্‌স্বাধীনতার মূল মাধ্যম হয়ে উঠবে। কিন্তু বিনিয়োগ করার পরেই নাকি তিনি উপলব্ধি করেন যে,অনেকের মালিকানাধীন থাকলে টুইটারের আধুনিকীকরণ সম্ভব নয়। তাই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থা হিসেবে এখন টুইটারের রূপ পরিবর্তনই মাস্কের লক্ষ্য।

    ইলন মাস্কের হাতে চলে যাওয়ায় টুইটারের আগাম পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই বলে সংশ্লিষ্ট মহলে জানান টুইটার সিইও পরাগ আগরওয়াল। টুইটারের ভবিষ্যৎ এখন ‘অন্ধকার’ এমনই মনে করেন পরাগ। সোমবার টুইটারের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় নাকি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন টুইটার সিইও পরাগ অগ্রবাল (Parag Agrawal)। টুইটারের ভবিষ্যতের কার্যপ্রণালী ব্যাহত হবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

     জল্পনা উঠেছে মাইক্রোব্লগিং সাইটের মালিকানা বদলের পরে সিইও পদ থেকে সরতে হতে পারে পরাগকে। তবে চুক্তি অনুযায়ী, ১২ মাসের মধ্যে তাঁকে পদ থেকে সরালে ৪২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩২১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা) পাবেন টুইটারের সিইও পরাগ। যদিও, টুইটারের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

     

  • Jk forest fire: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    Jk forest fire: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবানলের(forest fire) আগুনের আঁচ ল্যান্ডমাইনে (landmine)। প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ(poonch) এলাকা। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের জেরেই এলাকা কেঁপেছে। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসা দাবানলের আগুনেই ঘটেছে বিস্ফোরণ। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত বরাবর যে ল্যান্ডমাইন পোঁতা হয়েছিল, তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলেই সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।

    জানা গিয়েছে, সীমান্তরেখা বরাবর ভারতের দিকের মেনধর জেলায় ওপার থেকে দাবানল চলে এসেছিল গত সোমবার। তিন দিন ধরে বনকর্মী ও ভারতীয় সেনা জওয়ানরা প্রাণপাত করে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন। মঙ্গলবার রাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। বুধবার ভোরে ফের দারামশাল ব্লকে আগুন লাগে। প্রবল বাতাসে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফরেস্টার কানার হুসেন শাহ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গত তিন দিন ধরে বনে আগুন জ্বলছে। আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে আগুন নেভাচ্ছি।

    জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত বরাবর পোঁতা হয়েছিল ল্যান্ডমাইন। আগুনের প্রবল তাপে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে সেগুলিতে। বুধবার বিকেলে প্রায় ছটি মাইন বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা।  

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের

    বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।আগুন ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেনা বাহিনীর সাহায্যে সেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

    এদিকে, রাজৌরি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সুন্দরবান্দিতেও একটি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গম্ভীর, নিক্কা, পাঞ্জগ্রায়ে, ব্রাহামানা, মোঘলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বনাঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালাকোটের কালার, রনথাল, চিঙ্গি বনাঞ্চলেও আগুন লেগেছে। জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেও আগুন লাগার খবর মিলেছে। বন দফতরের কর্তাদের দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, আগুনটি সীমান্তের ওপার থেকে এসেছিল এবং উচ্চ কাংদি, ডক বানিয়াদের এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। তিনি জানান, কোনও মানবিক ক্ষতি ছাড়াই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন :কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন জঙ্গলে দাবানলের প্রকোপ দেখা যায়। ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৩৬ শতাংশ জঙ্গলে ঘন ঘন দাবানলের ঝুঁকি রয়েছে। শীতের শেষে এবং গ্রীষ্মের মরশুমে বনাঞ্চলে জমা হয় শুকনো গাছপালা, ঘাস-পাতার মতো জৈব জ্বালানি। তার জেরেই শুখা মরশুমে দাবানলের মতো ঘটনা বেশি ঘটে।  

     

LinkedIn
Share