Blog

  • Sachin-Shoaib: করাচি টেস্টে সচিনকে ইচ্ছাকৃত আঘাত করতে চেয়েছিলেন! স্বীকারোক্তি শোয়েবের

    Sachin-Shoaib: করাচি টেস্টে সচিনকে ইচ্ছাকৃত আঘাত করতে চেয়েছিলেন! স্বীকারোক্তি শোয়েবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইশ গজে সচিন-শোয়েব ‘শত্রুতা’ বিশ্বক্রিকেটে একসময় অন্যতম ‘হটকেক’ ছিল। খেলার মাঠে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথের সূত্রপাত হয় ইডেন গার্ডেন্স থেকে। তারপর তা দীর্ঘায়িত হয় প্রায় একযুগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লড়াইয়ে শেষ হাসিটি হেসেছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’, (Sachin Tendulkar)।

    কিন্তু তাঁকে কুপোকাৎ করার কোনও সুযোগ ছাড়েননি ‘রাউলপিণ্ডি এক্সপ্রেস’ ওরফে শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar)। এমনকি একবার নাকি জেনেবুঝে শারীরিক আঘাতও করতে চেয়েছিলেন সচিনকে। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে প্রাক্তন পাক-পেসার।    

    আরও পড়ুন: নিজের স্বপ্নের একাদশ খোলসা করলেন শচীন, কারা রয়েছেন সেই দলে?
     
    ২০০৬ সালের ভারতের পাকিস্তান সফরের ঘটনা। শোয়েব এক সাক্ষাৎকারে জানান, “আমি বিষয়টা পরিষ্কার করে জানাতে চাই। ২০০৬ সালে করাচি টেস্টে আমি সচিনকে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করতে চেয়েছিলাম। যেভাবেই হোক সেই টেস্টে আমি সচিনকে আহত করতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। ইনজামাম বারবার উইকেট বরাবর বল করতে বলছিল। কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিল সচিনকে হিট করা। একবার আমার বল ওর হেলমেটে লাগে। ভেবেছিলাম বোধহয় মারা যাবে। কিন্তু পরে যখন ভিডিও দেখলাম, তখন দেখি সচিন নিজের মাথা বাঁচিয়ে নিয়েছে। এরপরও আমি ওকে আঘাত করার চেষ্টা করি। অন্যদিকে আসিফের বলে ব্যাট করতেও হিমশিম খাচ্ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। আসিফ দারুণ বল করেছিল।’ 

    সিরিজটি হাতছাড়া হয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের। তৃতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২৩ রানে আউট হন সচিন। এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রান করেন তিনি। এই টেস্টেই হ্যাটট্রিক করেন ইরফান পাঠান। প্রথম ইনিংসে চারটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট নিয়ে আসিফ বেশ চাপে ফেলেছিলেন ভারতীয় দলকে। ৩৪১ রানের ব্যবধানে জয়ী হয় পাকিস্তান। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ভারত।  

    আরও পড়ুন: বলিউডে পা রাখছেন সচিন-কন্যা সারা, জল্পনা বি-টাউনে

    এর আগে আসিফ একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিলেন যে, “করাচি টেস্টে (Karachi Test) শোয়েবের বলের মুখোমুখি হতে অনেক সময়ই নিজের চোখ বন্ধ করে নিচ্ছিলেন সচিন। এক্সপ্রেসের গতিতে বল করছিলেন শোয়েব।” 

    কেন এমন হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিলেন শোয়েব? উত্তরে পাক-পেসার জানিয়েছেন,  আগ্রাসী মেজাজ এই ভাবনার মূল কারণ। যেন-তেন-প্রকারে সচিনের ব্যাট সেই মুহূর্তে থামাতে চেয়েছিলেন তিনি। দলের জয়ের পথে সচিনকেই সবচেয়ে বড় কাঁটা বলে মনে করেছিলেন ওই ফাস্ট বোলার। যদিও অনেক চেষ্টার পরেও সচিনকে ওই টেস্টে আউট করতে পারেননি শোয়েব। 

     

  • Howrah Violence: হাওড়ায় হিংসার জের, বদল শহর ও গ্রামীণের পুলিশপ্রধান

    Howrah Violence: হাওড়ায় হিংসার জের, বদল শহর ও গ্রামীণের পুলিশপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিন হলেও হাওড়ার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এখনও সামাল দিতে ব্যর্থ মমতা প্রশাসন। এই পরিস্থিতি প্রচণ্ড চাপের মুখে অবশেষে জেলা পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদলের সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। হাওড়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আজই নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী৷ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম৷ সেখানেই দুই পুলিশকর্তাকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওযা হয়।

    হাওড়া শহরের নতুন পুলিশ কমিশনার হচ্ছেন প্রবীণ ত্রিপাঠী। সেইসঙ্গে গ্রামীণ জেলার নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নিতে চলেছেন স্বাতি ভাঙ্গালিয়া। এই মুহূর্তে কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশানাল কমিশনার পদে কর্মরত আছেন প্রবীণ ত্রিপাঠী। স্বাতি ভাঙ্গালিয়া আছেন ডিসি সাউথ ওয়েস্ট পদে। হাওড়া জেলার বর্তমান পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর হচ্ছেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি এবং গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার সৌম্য রায় হচ্ছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ ওয়েস্ট।

    আরও পড়ুন: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    হজরত মহম্মদকে (Prophet) নিয়ে করা দিল্লিতে সদ্য দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার একটি মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে কার্যত উত্তপ্ত হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার ডোমজুড়ের অঙ্করহাটির কাছে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের পর শুক্রবার গোটা দিন ধরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ ছিল বহু এলাকায়। জেলার উলুবেড়িয়া, ডোমজুর সহ একাধিক এলাকায় গত কয়েকদিনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

    জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে টানা চলে অবরোধ। চেঙ্গাইল সহ একাধিক স্টেশনে হয় রেল অবরোধ। স্তব্ধ হয়ে যায় সড়ক ও রেল যোগাযোগ। পাঁচলায় অগ্নিসংযোগ এবং এটিএম ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। শনিবারও পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। 

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    সতর্কতা হিসেবে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১৩ জুন সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হাওড়ার বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে হাওড়ার পর এবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেলডাঙাতেও অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।  ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    SSC Scam ED raids: পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিতে (SSC Scam) রাঘববোয়ালদের ধরতে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) নাকতলার বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ৮-ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছে।  পাশাপাশি, পিংলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়ের বাড়িতেও ইডি অফিসাররা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইয়ের মামার বাড়িতে যান ইডির ৭ অফিসার। কৃষ্ণ প্রসাদ অধিকারীর খিরিন্দার বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। 

    একইসঙ্গে ইডি (ED) হানা দিয়েছে তৃণমূলেরই (TMC) মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারির (Paresh Adhikary) বাড়িতেও। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। পরেশ অধিকারীর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি অফিসাররা।

    এছাড়াও এসএসসির প্রাক্তন কর্তা শান্তি প্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) বাড়িতেও হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই তিন জায়গা ছাড়াও রাজ্যের আরও দশ জায়গায় এদিন হানা দেয় ইডি। এর মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, টেট দুর্নীতি মামলায় অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর যাদবপুরের বাড়ি এবং পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বাড়িতেও যান ইডি অফিসাররা। 

    আরও পড়ুন : এসএসসি-র বাজেয়াপ্ত কম্পিউটার থেকে গোছা গোছা ‘নকল’ নিয়োগপত্র, মাথা কে?

    রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনে (School Service Commission) ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের কেউ কেউ। তার পরেই এই দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছিল তা খুঁজে বের করাই প্রধান লক্ষ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তের গোড়ায় পৌঁছতে সিবিআই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করেছে। জেরা করা হয়েছে বাম দল থেকে তৃণমূলের আসা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারিকেও।

    এই মামলায় তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। তারা মূলত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এজন্য দুটি এফআইআর রুজুও করেছে ইডি। এ ব্যাপারে একাধিক আবেদনকারী ও সাক্ষীর বয়ানও রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এ থেকেই ইডির ধারণা, এই মামলায় লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে এল, গেলই বা কোথায়, লাভের অঙ্ক কার ঘরেই বা উঠল, ঘটনার নেপথ্যে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা এসবই খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। গত কয়েক দিনে এনিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। তার পরেই এদিন রাজ্যের ১৩টি জায়গায় হানা দেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন : এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডাকে ফের নিজাম প্যালেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    জানা গিয়েছে, এদিন এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে পার্থের নাকতলার বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। ইডিরই আর একটি দল গিয়ে হাজির হন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেখলিগঞ্জের বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ৯০ জন আধিকারিক দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে হানা দিয়েছেন রাজ্যের ১৩টি জায়গায়। শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বাড়িতেও এদিন হানা দেন তদন্তকারীরা। এদিন শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে যান এক মহিলা সহ ইডির সাতজন আধিকারিক। শান্তি প্রসাদের কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

     

  • JP Nadda: “দেশ বদলেছে, রাজ্যেও বদল আসবে”, বার্তা নাড্ডার

    JP Nadda: “দেশ বদলেছে, রাজ্যেও বদল আসবে”, বার্তা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বদল হয়েছে, এরাজ্যেও পরিবর্তন আসবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলামন্দিরে বিদ্বজ্জনদের সভায় এমনটাই জানালেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। 

    বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ্যের বর্তামান পরিস্থিতির সঙ্গে দেশে ২০১৪ সালের পূর্ববর্তী পরিস্থিতির তুলনা করেন। তিনি বলেন, “২০১৪’র আগে দেশের যেরকম পরিস্থিতি ছিল, আজ বাংলার পরিস্থিতিও একই রকম। লুঠপাট, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি সহ বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় দেশের নাম নেওয়া হতো। কিন্তু আজ দেশ বদলাচ্ছে না, বদলে গিয়েছে। সেজন্য বাংলা নিয়েও আমি হতাশ হই না। হয়তো একটু সময় লাগবে কিন্তু এখানেও পরিবর্তন আসবে।”

    পরিবারতন্ত্র নিয়ে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ফের একবার সুর চড়ান নাড্ডা। বলেন, “কাশ্মীর থেকে নীচ পর্যন্ত পরিবারতন্ত্র। এখানেও তো পিসি-ভাইপো। বাকিরা তো ল্যাম্পপোষ্ট। এখানে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে সিবিআই (CBI) তদন্ত চলে।” তিনি মনে করিয়ে দেন, যারা বাংলার গর্বকে ক্ষতি করতে চাইবে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।”

    কলামন্দিরে অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “মোদিজির শাসনের ৮ বছর পর আমরা বলতে পারি মোদি থাকলে সব সম্ভব। আজ আমাদের নীতি সংস্কার, সুশাসন, গতি, দক্ষতা। এখন পর্যন্ত, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের ২২ লক্ষ কোটি টাকা ডিজিটালভাবে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।” 

    নাড্ডা আরও বলেন, “আজ একটি বোতাম টিপেই ২৩ হাজার কোটি টাকা সরাসরি ১০ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে। আজ মোদি সরকারের অধীনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) আওতায় ২.৫ কোটি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। আজ ১২ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনার (PMJJBY) সুবিধা পাচ্ছেন, যার মধ্যে ৭৬ লক্ষ সুবিধাভোগী বাংলার মানুষ। ২৮ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার (PMSBY) সুবিধা পাচ্ছেন, যা নিজেই একটি রেকর্ড।”

    এর আগে নিউটাউনের হোটেলে বিজেপির বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে তিনি জানান, করোনা না এলে এবারই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি (BJP Bengal) ক্ষমতায় চলে আসত। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি মনে করিয়ে দেন, চতুর্থ দফার ভোটের পর ঠিকমত প্রচারই করতে পারা যায়নি। করোনার জন্য প্রায় প্রচার ছাড়াই বিজেপিকে ভোটে লড়তে হয়েছে। না হলে যে গতিতে বিজেপি এগোচ্ছিল, তাতে এবারই নিশ্চিত ছিল।

    আরও পড়ুন: “শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন”, রাজ্যে এসে বার্তা নাড্ডার

  • Tapan Dutta: তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে সিবিআই হাইকোর্টের, ফাঁসতে পারেন কারা?

    Tapan Dutta: তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনে সিবিআই হাইকোর্টের, ফাঁসতে পারেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বালির তৃণমূল (tmc) নেতা তপন দত্ত (tapan dutta) খুনে সিবিআই (cbi) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta highcourt)। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, এরপর থেকে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে সিবিআই। তাঁর আরও নির্দেশ, যেখানে তদন্ত করা প্রয়োজন, সেখানে ফের তদন্ত করবে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ যারপরনাই খুশি নিহত তপনের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। তিনি বলেন, ১২ বছর পর সিবিআই পেলাম। আমার মনে হল এই প্রশাসনের মুখে থাপ্পড় মারতে পারলাম। 

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ করায় ২০১১ সালের ৬ মে খুন হন বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতাকর্মী সহ ১৩ জনের। ওই বছরই ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের তখতে এসেছে তৃণমূলের সরকার। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় নেতা খুনে শোরগোল গোটা রাজ্যে। প্রথমে বালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও, পরে তদন্তভার গিয়ে বর্তায় সিআইডির ওপর। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক যুগ। তার পরেও কিনারা হয়নি তপন খুনের। এদিন প্রতিমা বলেন, সিবিআইয়ের প্রতি আস্থা রয়েছে। ঘরে বন্দি থাকি। অপরাধীরা বাইরে ঘুরে বেড়ায়।

    আরও পড়ুন : একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    তপন খুনের সাত দিনের মাথায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট মামলার চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। চার্জশিটেও নাম ছিল হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার। ওই বছরেরই ২৬ সেপ্টেম্বর সিআইডি আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে। সেখানে কোনও কারণ না দেখিয়েই বাদ দেওয়া হয় ন’জনের নাম। এঁরা প্রত্যেকেই হাওড়ার তৃণমূল নেতা। ২০১৪-র ডিসেম্বরে তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে যান চার্জশিটে নাম থাকা বাকি পাঁচ অভিযুক্তও। প্রতিমার দাবি, খুনের ঘটনায় হাওড়ার তৃণমূল নেতা (তথা রাজ্যের মন্ত্রী) অরূপ রায়, কল্যাণ বসু, ষষ্ঠী গায়েন-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা ও বিধায়ক জড়িত রয়েছেন। প্রথম চার্জশিটে অরূপের নাম ছিল বলেও জানান তিনি। এদিন হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরে প্রতিমা বলেন, আশা করছি, এবার ন্যায়বিচার হবে। অপরাধীরা শাস্তি পাবে।

    প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন প্রতিমা। ওই দাবিতে মামলা নিম্ন আদালত, কলকাতা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ফের কলকাতা হাইকোর্টে আসে। এদিন বিচারপতি বলেন, হাওড়া আদালত নয়, এরপর থেকে এই মামলার শুনানি হবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সিআইডির কাছে মামলা সংক্রান্ত যেসব নথি, তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তা সিবিআইকে দিতে হবে। তদন্তে কোনও খামতি থাকলে তাও ফের করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

  • Achinta Sheuli: মায়ের ছেঁড়া শাড়িতেই নিরাপদ সোনাজয়ীর পদক! জানেন অচিন্ত্যকে কী বললেন মা

    Achinta Sheuli: মায়ের ছেঁড়া শাড়িতেই নিরাপদ সোনাজয়ীর পদক! জানেন অচিন্ত্যকে কী বললেন মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) ৭৩ কেজি ভারোত্তলন (Weaight Lifting) বিভাগে সোনার পদক (gold) জিতেছেন বাংলার ভারোত্তোলক অচিন্ত্য শিউলি (Achinta Sheuli)। তাঁকে নিয়ে সারা দেশে চর্চা চলছে। দারিদ্র্যকেদূরে ঠেলে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। আজ প্রচারের লাইমলাইটে হাওড়ার দেউলপুরের ছেলে। ছেলের সাফল্য মায়ের আনন্দ। কিন্তু গ্রামের ভাঙা বাড়িতে ছেলের অর্জিত পদক ও ট্রফি রাখার ভাল জায়গা নেই। তাই নিজের ছেঁড়া শাড়িতেই ছেলের মহামূল্যবান পদক ও ট্রফিগুলি রেখেছেন অচিন্ত্য শিউলির মা পূর্ণিমা শিউলি। বাড়িতে আলমারি নেই, ট্রফি সাজানোর মতো জায়গাও নেই। তাই মা ছেলেকে একটি আলমারি কিনতে বলেছেন। সেখানে তিনি ছেলের পদক ও ট্রফিগুলি রাখবেন। অচিন্ত্যর  বাড়ি কলকাতা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। অচিন্ত্যর মা জানান, বাড়িতে খাটের নিচে শাড়িতে জড়িয়ে অচিন্ত্যর ট্রফি ও মেডেলগুলি রাখা আছে। সেখানেই ওগুলো সব থেকে বেশি নিরাপদ বলেও জানান তিনি। 

    আরও পড়ুন: ঘরে ফিরলেন সোনার ছেলে! জানেন বাড়ি এসে কী করলেন অচিন্ত্য

    এখনও বাড়িতে ট্রফি রাখার আলাদা জায়গা করতে পারেননি সোনার ছেলে অচিন্ত্য। তবে ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই করবেন। কমনওয়েলথ গেমসে (CWG 2022) সোনা জয়ের পর সেনাবাহিনীতেও এবার পদোন্নতির পথে বাংলার ভারোত্তোলক। সম্প্রতি দিল্লিতে সেনাবাহিনীতে কর্মরত পদকজয়ীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। বাহিনীতে কর্মরত কমনওয়েলথে পদকজয়ীদের হাতে স্মারক ও নগদ পুরস্কারমূল্য তুলে দেন সেনাপ্রধান। সেখানে ছিলেন অচিন্ত্যও। কমনওয়েলথ গেমসে প্রত্যেকের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধান। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, সেনাবাহিনীর প্রথা মেনে সকলেরই পদোন্নতি হবে। তাই আপাতত দিনবদলের আশায় বাংলার ভারোত্তোলক। 

    আরও পড়ুন: জরিশিল্পীর কমনওয়েলথ সোনা উৎসর্গ দাদা ও কোচকে

    তবে যতদিন না পর্যন্ত ছেলে নিজের ঘর নতুন করে সাজাতে পারছে ততদিন তাঁর মা পূর্ণিমা শিউলি ছেলের মূল্যবান জিনিসগুলিকে রেখেছেন নিজের জিম্মায়। পূর্ণিমা বলেছেন, “আমি জানতাম অচিন্ত্য যখন আসবে তখন সবাই বাড়িতে ভিড় করবে। সেই জন্য আমি এই মেডেল-ট্রফিগুলো একটা টুলের ওপর সাজিয়ে রাখি, যাতে সবাই বুঝতে পারে আমার ছেলে কতটা প্রতিভাবান। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি ও দেশের জন্য  সোনার পদক জিতবে। ও স্বপ্ন পূরণ করেছে।”
  • Adnan Sami: ‘অলবিদা’ লিখে ইনস্টাগ্রামে সব পোস্ট ডিলিট করলেন আদনান সামি! রহস্য কী?

    Adnan Sami: ‘অলবিদা’ লিখে ইনস্টাগ্রামে সব পোস্ট ডিলিট করলেন আদনান সামি! রহস্য কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলবিদা! সবাইকে চমকে দিয়ে বিখ্যাত গায়ক আদনান সামি (Adnan Sami) এ কী পোস্ট করলেন ইনস্টাগ্রামে? মঙ্গলবার থেকেই তিনি ফের খবরের শিরোনামে। গতকাল তিনি হঠাৎ ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে শুধুমাত্র লেখা আছে ‘অলবিদা’। এরপর থেকেই তাঁর অনুরাগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগেই মালদ্বীপে ছুটি কাটানোর মুহূর্ত শেয়ার করছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখন তাঁর চেহারার অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। তাঁর শরীরের এমন পরিবর্তন দেখে নেটিজেনরা অবাক হয়ে পড়েছিলেন। এখন আবার এমন রহস্যজনক পোস্টে কৌতুহলী হয়ে পড়েছে তাঁর অনুরাগীরা।

    [insta]https://www.instagram.com/tv/CgLwzDxLwMj/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রখ্যাত গজল শিল্পী ভূপিন্দর সিং, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ইনস্টাগ্রামে (Instagram) এই ভিডিও পোস্ট করে তিনি তাঁর সব ছবিও ডিলিট করে দিয়েছেন। কিন্তু অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও কিছু ডিলিট করেননি। তাঁর ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার আছে ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার। এই পোস্টের পর থেকেই তাঁর ভিডিয়োতে ঝড়ের বেগে আসতে থাকে অসংখ্য কমেন্ট। নেটিজেনদের মধ্যে কেউ লিখেছেন, “কী হল আপনার স্যার? আশা করি এটা নতুন কিছু শুরুর ইঙ্গিত। আপনার নতুন গান বা অন্যকিছু।“  অপর এক জন লিখেছেন, “আপনি ঠিক আছেন?”  আরেকজন বলেছে, হয়তো এটি প্রয়াত ভূপিন্দর সিং-এর জন্য। আবার অনেকে মনে করেছেন, এটি হয়তো তাঁর কোনও নতুন গানের অ্যালবামের প্রচারের জন্য। অনেকে আবার এটাও ভেবেছেন যে এটা তাঁর সঙ্গীত জগত থেকে অবসরের ঘোষণা হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: চোখের জলে শেষ বিদায়, মুম্বাইয়ের ভারসোভায় পঞ্চভূতে বিলীন কেকে

    প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই আদনান সামির ওজন কমানোর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছিল। মালদ্বীপে কাটানো বিভিন্ন ছবি শেয়ার করলে সেখানে তাঁকে খুশীই দেখাচ্ছিল। আদনান তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে তার সন্তানের সঙ্গে সুইমিং পুলে উপভোগ করার একটি ছবিও শেয়ার করেন। এরপর সব জায়গায় শুধু তাঁর দেহের পরিবর্তন নিয়েই চর্চা করা হচ্ছিল। আদনান সামি প্রায় ১৫৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন। ফলে তাঁর ওজন কমানো সবাইকে এক অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কিন্তু এর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি এমন কাজ করায় তাঁকে নিয়ে জল্পনা করা শুরু হয়েছে। তবে যে যাই বলুক, তিনি এমন কেন করলেন বা এর পেছনের আসল রহস্য কী, তা একমাত্র আদনান সামি নিজেই বলতে পারবেন।

  • Jammu & Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) খতম হল ২ লস্কর জঙ্গি। মঙ্গলবার ভোরে কুপওয়ারায়  (Kupwara) নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে দুই সন্ত্রাসবাদীকে গুলি করে নিকেশ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মৃতরা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) সদস্য।

    কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে বলা হয়, জেলার চাকতারাস কান্দি (Chaktaras Kandi) এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম তুফায়েল (Tufail)। সে পাকিস্তানের নাগরিক। কাশ্মীর জোন পুলিশ (Kashmir Zone Police) ট্যুইটে করে বলেছে, “তুফায়েল নামে একজন পাকিস্তানি জঙ্গি সহ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে৷  এখনও তল্লাশি চলছে।”

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: পরপর হিন্দু-হত্যা কাশ্মীরে! সেনাপ্রধান, এনএসএ-র সঙ্গে বৈঠক শাহের 

    একদিন আগেই, বারামুল্লা (Baramulla) জেলার সোপোর (Sopore) শহরে একটি এনকাউন্টারে আরেক লস্কর (LeT) জঙ্গি নিহত হয়েছিল। নিহতের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, তার নাম হানজাল্লা (Hanzalla) এবং সে লাহোরের (Lahore) বাসিন্দা। তার আগে শনিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ (Anantnag ) জেলায় সেনা অভিযানে হিজবুল মুজাহিদিনের ( Hizbul Mujahideen) এক ‘কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল।

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার (Terrorists Agttacks) বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দুদের, বিশেষ করে পণ্ডিত সম্প্রদায়ের (Kashmiri Pandits) মানুষকে বেছে বেছে টার্গেট করছে জঙ্গিরা। গত সপ্তাহে, জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম (Kulgam) জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে খুন হতে হয়। এর আগে, কুলগামেই রজনী ভাল্লা (Rajini Bhalla) নামে একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আবার বদগামের চাদুরা (Chadoora) এলাকায় কাশ্মীরি টিভি অভিনেত্রী আমরিন ভাটও ( Amreen Bhatt) সন্ত্রাসবাদীদের কবলে পড়ে নিহত হন, এবং তার ১০ বছর বয়সী ভাইপোও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়।

    আরও পড়ুন: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    রবিবার, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা (L-G Manoj Sinha) বলেছেন যে, “সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে উস্কে দেওয়ার জন্য নিরীহ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করছে৷” তিনি আরও বলেন যে, “আমাদের বাহিনী সন্ত্রাসবাদকে শেষ করার জন্য দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করতে থাকবে।”

  • Jagdeep Dhankhar: “বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে”, রাজস্থানে ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: “বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে”, রাজস্থানে ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত পৌঁছল রাজস্থানে! 

    রাজস্থানে (Rajasthan) একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Mamata government) বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ বাংলার রাজ্যপাল। সোমবার রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) গিয়ে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) অভিযোগ করেন, বাংলায় আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। 

    রাজ্যপাল (West Bengal Governor) জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‌রাজ্যপাল হিসেবে শোচনীয় পরিস্থিতির সাক্ষী হতে হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বাংলায় শাসনব্যবস্থা চিন্তার বিষয়। বাংলায় আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। ভোটের পর যে হিংসা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোট দেওয়ার পরিণামে মৃত্যু দেখেছি।’‌ তিনি যোগ করেন, রাজ্যপালের কাজ সংবিধান রক্ষা করা। বাংলায় রাজ্যপালকে কাজ করতে বাঁধা দেওয়া হয়।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    রাজ্যের সঙ্গে বিবাদ প্রথম থেকেই রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। সম্প্রতি হলদিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বিচারপতিদের একাংশ তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেন। এই ইস্যুতে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।

    রবিবার দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে, ফের অভিষেকের বিরুদ্ধে সরব হন ধনখড়। রাজ্যপাল বলেন, ‘‌সংবিধানের মৌলিক পরিকাঠামোর একটি অঙ্গ হল বিচারব্যবস্থা। গণতন্ত্রের জন্য বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা থাকা ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু যেভাবে বিচারপতিদের নিশানা করা হচ্ছে, তাতে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমি চিন্তিত। যদি কোনও বিচারপতিকে নিশানা করা হয়, তাহলে তা বিচারব্যবস্থার উপর আক্রমণের সব থেকে নিকৃষ্ট উদাহরণ। বিচারপতিরা যে মামলাগুলি দেখছেন, তার জন্য যদি তাঁদের নিশানা করা হয়, তবে বিষয়টি অত্যন্ত দুশ্চিন্তার। মানুষের কাছে যেন বার্তা দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা বিচারব্যবস্থার তোয়াক্কা করেন না।’‌

    শর্ত সাপেক্ষে অভিষেককে দুবাই যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের

    শুধু ধনখড় নন, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় (UP Assembly) বাংলা শাসনব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi) আদিত্যনাথ। তারও কিছুদিন আগে সংসদে বক্তব্য রাখার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বাংলার আইন-ব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। 

  • Pakistan defence:  প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান!

    Pakistan defence:  প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা (defence) খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান (pakistan) সরকার। আগামী অর্থবর্ষে সেনাবাহিনীর জন্য ১.৪৫৩ ট্রিলিয়ন রুপি বরাদ্দ রাখতে যাচ্ছে শেহবাজ সরকার। গত অর্থবর্ষে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১.৩৭ ট্রিলিয়ন রুপি। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই এ খবর মিলেছে।

    রবিবার পাকিস্তানের একটি সংবাদ প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ যে বাড়তে চলেছে, তা জানানো হয়েছে। মাস কয়েক আগেই ইমরান খানের সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে শেহবাজ শরিফ (Shahbaz shariff )। ইমরানের অভিযোগ, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। যদিও এই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাক সরকার।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    সূত্রের খবর, শেহবাজ ক্ষমতায় এসেই নজর দেন প্রতিরক্ষা খাতের দিকে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াবে শেহবাজের সরকার। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী অর্থবর্ষে সেনাবাহিনীর জন্য ১.৪৫৩ ট্রিলিয়ন রুপি বরাদ্দ রাখা হবে। গত অর্থবর্ষে ছিল ১.৩৭ ট্রিলিয়ন রূপি। অর্থাৎ নয়া অর্থবর্ষে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ছে প্রায় ৮৩০০ কোটি রুপি। গত অর্থবর্ষের তুলনায় যা শতকরা ৬ ভাগ বেশি। সেনাবাহিনীর দাবি, মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় বরাদ্দের যে পরিমাণ প্রয়োজন, এই অর্থ তার চেয়ে প্রায় ৫৩০০ কোটি রুপি কম। প্রতিবেদনে দাবি, বর্ধিত পরিমাণ বরাদ্দের বেশিরভাগটাই খরচ হবে সেনা কর্মীদের বেতন ও ভাতা দিতে। বরাদ্দের বাকি টাকা খরচ হবে সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনায়। কর্মীদের রেশন, ট্রান্সপোর্ট, ট্রেনিং এবং চিকিৎসাখাতেও ব্যয় করা হবে ওই বরাদ্দ।  

    আরও পড়ুন : অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    চলতি বছরের এপ্রিলেই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী ইমরান খানকে। আইএসআই গুপ্তচর সংস্থার প্রধানের নিয়োগে সিলমোহর দিতে অস্বীকার করায় সেনাবাহিনীর রোষানলে পড়েন তিনি। তার জেরেই গদি হারাতে হয় এই ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদকে।

    সূত্রের খবর, ফি বছর পাকিস্তানের একজন সৈনিকের জন্য খরচ হয় ২.৬৫ বিলিয়ন রুপি। ভারত যা ব্যয় করে তার এক তৃতীয়াংশও নয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১.৩ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির জেরে এই বরাদ্দ প্রত্যাশিতই ছিল।

     

     

LinkedIn
Share