Blog

  • Tapan Kumar Deka: দুঁদে আইপিএসদের টপকে তপন ডেকা কী করে পৌঁছলেন আইবি প্রধানের সিংহাসনে?

    Tapan Kumar Deka: দুঁদে আইপিএসদের টপকে তপন ডেকা কী করে পৌঁছলেন আইবি প্রধানের সিংহাসনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (Intelligence Bureau) প্রধানের  পদে শুক্রবার আইপিএস অফিসার তপন কুমার ডেকাকে (Tapan Kumar Deka) নিযুক্ত করেছে কেন্দ্র। এর আগে এই পদের দায়িত্বে ছিলেন, অরবিন্দ কুমার। জুনের ৩০ তারিখ তাঁর পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তপন ডেকা এর আগে আইবি-র (IB) অপারেশন ডেস্কের প্রধানের পদ সামলেছেন। এবার তিনি প্রধানের ভূমিকায়। কিন্তু কেন তপন কুমার ডেকাকেই পছন্দ হল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের? 

    এই পদের দৌড়ে ছিলেন আরও তিনজন সিনিয়র আইপিএস। কিন্তু এই বর্ষীয়ান আইপিএসদের টপকে প্রধানের মুকুট পরেছেন তপন কুমার ডেকা। কারণ অমিত শাহের মন্ত্রক অভিজ্ঞতার থেকে মেধাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তাই শেষ হাসি হেসেছেন তপন কুমার ডেকা। আগামী ৩০ জুন থেকে দুবছরের জন্য তিনি ওই পদে থাকবেন।

    আরও পড়ুন: আইবি প্রধানের পদে আইপিএস তপন কুমার ডেকাকে নিয়োগ কেন্দ্রের

    ডেকা হিমাচল প্রদেশ ক্যাডারের ১৯৮৮ সালের ব্যাচ। এর আগে তিনি আইবির স্পেশাল ডিরেক্টর ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তিনি আইবির অপারেশন উইংকে পরিচালনা করেছেন।   

    ১৯৬৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আসামে জন্ম হয় তপন কুমার ডেকার। পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করার পর তিনি আইপিএস হন। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান এই আইপিএস। পুলিশ সার্ভিসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি গোয়েন্দা বিভাগের পদস্থ কর্তার দায়িত্ব সামলেছেন। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি আইবিতে রয়েছেন।  

    ২৬/১১ হামলার তদন্তেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০১৩ সালে মুজাহিদিনের বাড়বাড়ন্ত হয়। তারপর ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন এই দুঁদে গোয়েন্দা কর্তা। জঙ্গি মোকাবিলায় তিনি বার বার সাফল্য পেয়েছেন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা CIA-র শীর্ষ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দ মুলচন্দানি

    ইসলাম বিচ্ছিন্নতাবাদের যখন বাড়বাড়ন্ত দেশে, তখন এই আইপিএসের ওপরেই ভরসা রাখছে প্রতিরক্ষা দফতর। কারন ২০ বছর খুব কাছ থেকে এই বিষয়টিকে দেখেছেন তিনি। বহু আতঙ্কবাদী নিকেশ হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে।  

    কথা কম, কাজ বেশি। এই আদর্শে বিশ্বাসী তপন কুমার ডেকা। শুধু পর্যালোচনাতেই সীমাবদ্ধ নন, প্রতিক্রিয়ামূলক তদন্তই তাঁর কাজের ধরন। তাই তাঁর নেতৃত্বে ভরসা রাখছে পুরো ডিপার্ট্মেন্ট। 

     

  • Twitter: ক্ষমতা হস্তান্তর হলেই পরাগকে ট্যুইটার সিইও-র পদ থেকে সরাবেন ইলন মাস্ক, দাবি

    Twitter: ক্ষমতা হস্তান্তর হলেই পরাগকে ট্যুইটার সিইও-র পদ থেকে সরাবেন ইলন মাস্ক, দাবি

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ৪৪০ কোটি মার্কিন ডলারে জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট ট্যুইটার (Twitter) কিনেছেন টেসলা এবং স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই ট্যুইটারের বর্তমান মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (CEO) পরাগ আগরওয়ালকে (Parag Agarwal) সরিয়ে দেওয়া হবে তাঁর পদ থেকে। এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যম। সেই পদে আনা হবে নতুন কাউকে।  যদিও কাকে সেই পদে আনা হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।  তবে, সূত্রের খবর, পদে কাকে বসানো হবে, তা ইতিমধ্য়েই বাছাই করে ফেলেছেন টেসলা-কর্তা।

    ট্যুইটারের কর্ণধার ব্রেট ট্রেলরকে (Bret Taylor) গতমাসে মাস্ক বলেছিলেন যে, সংস্থার বর্তমান ব্যবস্থাপনার প্রতি আস্থা নেই তাঁর। ট্যুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডোরসে পদত্যাগ করায় গত নভেম্বরেই সিইও-র পদে বসেন পরাগ আগরওয়াল। ট্যুইটারের বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে। এক আন্তর্জাতিক রিসার্চ ফার্মের মতে, ক্ষমতা হস্তান্তরের ১২ মাসের মধ্যে পরাগকে পদচ্যুত করা হলে তিনি কোম্পানির তরফ থেকে ৪.২ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন।   
     
    যদিও কোম্পানিতে নিজের অবস্থানের বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী পরাগ আগরওয়াল। 

    [tw]


    [/tw]

     

    [tw]


    [/tw]

    কীভাবে এই বিশাল কোম্পানির ক্ষমতা হস্তান্তর হবে, শুক্রবার একটি বৈঠকে এই বিষয়ে চিন্তিত কর্মচারীরা ক্ষোভপ্রকাশ করলে তা প্রশমিত করার চেষ্টা করেন বর্তমান সিইও। মাস্ক বারবার ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের নীতি নির্ধারণের শিথিলতার দিকে আঙুল তোলায় কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ভবিষ্যতেও একইভাবে কর্মচারীদের সুবিধা-অসুবিধার খেয়াল রাখবে কোম্পানি। কিন্তু  একইসঙ্গে এত কর্মচারীর হস্তান্তর কীভাবে হবে সে বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, সম্পূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে কর্মী ছাটাইয়ের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না ইলন মাস্ক। 

    পরাগকে এক কর্মচারী জিজ্ঞেস করেন, “ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বহু মানুষ কাজ হারাবেন। এ বিষয়ে আপনি কী ভাবছেন?” পরাগের উত্তর, এর আগেও টুইটার তার কর্মচারীদের খেয়াল রেখেছে, ভবিষ্যতেও রাখবে। তিনি আরও বলেন, “আমার কথা ভাবার প্রয়োজন নেই। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও ট্যুইটার সংস্থা বিশ্ব এবং গ্রাহকদের প্রতি আগের মতোই যত্নশীল থাকবে।”

    মিটিং চলাকালীন পরাগ কর্মীদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের নিয়মে আনা বদলগুলি মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বিগত বছরগুলিতে ট্যুইটার চাইলে আরও ভাল কাজ করতে পারত সে কথাও মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময় ভাবি। চাইলেই আমরা আরও অন্যরকম এবং উন্নত মানের কাজ করতে পারতাম।”

     

  • Hanskhali: ছেলের কুকীর্তির কথা জানতেন সমরেন্দ্র! হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতে তৃণমূল নেতা

    Hanskhali: ছেলের কুকীর্তির কথা জানতেন সমরেন্দ্র! হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতে তৃণমূল নেতা

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে (Hanskhali Rape) সিবিআই হেফাজতে (CBI custody) মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালির বাবা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালি। একইসঙ্গে সিবিআই হেফাজতে করা হয় তৃণমূল নেতার বন্ধু তাঁর পীযূষ ভক্ত। 

    মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সমরেন্দ্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। সকাল ১১টা থেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায় সমরেন্দ্র গয়ালিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সঙ্গে গ্রেফাতর করা হয় সমরেন্দ্রর বন্ধু পীযূষ ভক্তকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন, যড়যন্ত্র ও নাবালিকার পরিবারকে হুমকি-সহ বিভিন্ন অভিযোগে আনা হয়।  

    গণধর্ষণের রাত থেকেই বেপাত্তা ছিলেন তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গয়ালি ৷  অবশেষে তাঁর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। নদীয়ার বগুলায় গা ঢাকা দিয়ে বসেছিলেন তিনি। সিবিআই আধিকারিকরা তলব করে সমরেন্দ্রকে। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্রর ছেলে ব্রজগোপাল ও তার বন্ধু প্রভাকর পোদ্দার। ব্রজগোপাল ও প্রভাকর আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছে।

    তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্য়েই জানতে পেরেছে, ধর্ষণ করার আগে হাঁসখালির নাবালিকাকে মাদক খাওয়ানো হয়েছিল। এমনকি গাঁজাও খাওয়ানো হয়েছিল মেয়েটিকে। মাদকাসক্ত অবস্থাতেই তাকে নির্যাতন চালায় ব্রজ এবং তার বন্ধুরা। শনিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হলে তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই। তাঁদের সেই আবেদন মেনে সমরেন্দ্র গয়ালিকে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজত দেন বিচারক। 

    এদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, ছেলের কীর্তির কথা সব জানতেন সমরবাবু। নির্যাতিতার পরিবারকে ধমকানোর জন্য লোক জোগাড় করেছিলেন তিনিই। শুনানিতে সিবিআই আইনজীবী বলেন, ৪ মার্চ রাতে বাড়িতে কী হয়েছে তা সব জানতেন মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালি। ফোনে তিনি ছেলেকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকী নির্যাতিতার পরিবারকে ধমকানোর জন্য লোক জোগাড় করেছিলেন তিনিই। মৃত্যুর পর নির্যাতিতার দেহ দ্রুত সৎকারের ব্যবস্থাও হয়েছিল তাঁরই উদ্যোগে। এমনকী সেজন্য নিজের রাজনৈতিক প্রভাবও ব্যবহার করেছিলেন সমরেন্দ্র গয়ালি।

    সিবিআইয়ের দাবি, সমরেন্দ্র গয়ালি এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর ভয়েই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেনি তার পরিবার। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে সেগুলিও ধামাচাপা দিয়েছেন তিনি।

     

  • Bengal Weather Update: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী? অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    Bengal Weather Update: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী? অবশেষে স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তবে সপ্তাহান্তে স্বস্তির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। আগামী ১ তারিখ অর্থাৎ রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শনিবার উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।

    গত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলছে। উত্তরবঙ্গ ভিজলেও গোটা এপ্রিল মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হয়নি। উল্টে তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল হয়েছে সাধারণ মানুষ। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপমাত্রা পেরিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। বেড়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। 

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রাজ্যে ইতিমধ্যেই দখিনা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ফলে সমুদ্র থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। এই জলীয়বাষ্প ঝাড়খণ্ড, বিহারের ছোটনাগপুর এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করছে। আর তার প্রভাবেই বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার রাজ্যে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। কিন্তু, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। তবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।  সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তাতে অস্বস্তি কমবে।
     
    রবিবার থেকে রাজ্যে হতে পারে কালবৈশাখী। আর তা চলতে পারে মঙ্গলবার পর্যন্ত। রবি থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও। হাওয়া অফিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ওই ক’দিন তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমবে। কমবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।  

    পাশাপাশি, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে।  দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুত্‍ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা ও দুই দিনাজপুরেও।

  • R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি কখনো  ইসরোর(ISRO) বৈজ্ঞানিক নাম্বি নারায়নের (Nambi Narayan) নাম শুনেছেন, যাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল?‌ আপনি না জেনে থাকলেও এবার জানতে পারবেন কারণ বলিউড অভিনেতা আর মাধবন (R Madhavan) তাঁরই গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন। কারণ আর মাধবন ‘‌রকেট্রি:‌ দ্য নাম্বি এফেক্ট’ (Rocketry: The Nambi Effect) ‌-এর  মাধ্যমে নাম্বি নারায়নের জীবনকাহিনী তুলে ধরবেন। মাধবন এই ছবির মাধ্যমেই তাঁর পরিচালনার প্রথম কাজ শুরু করতে চলেছেন ও এই সিনেমায় প্রধান অভিনেতাও তিনি। পরিচালনা ও অভিনয় ছাড়াও তিনি সিনেমার গল্প ও গান লিখেছেন।

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে মুক্তি পেল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর ট্রেলার

    তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই সিনেমার জন্য মাধবন কী কী করেছেন। মাধবন এক সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে নাম্বি নারায়ণ  গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন। তিনি এই সিনেমায় নাম্বি নারায়ণের মত লুকস আনার জন্যে নিজের চোয়াল পর্যন্ত ভাঙতে রাজি হয়েছেন। মাধবনের দাঁতও যাতে  নাম্বি নারায়ণের মত দেখতে হয় তার জন্য তিনি এই কাজ করেছেন। তাঁর এটি করতে প্রায় এক থেকে দেড় বছর লেগেছে। তবে আর মাধবনের এটিই প্রথম ও শেষ পরিচালনা। কারণ তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে অভিনেতা হিসাবেই দেখতে চান। 

    আরও পড়ুন: বলিউড মাদক মামলায় এনসিবির খসড়া চার্জশিটে উঠল রিয়া, সৌভিকের নাম

    তিনি আরও জানিয়েছেন যে  এই সিনেমা পরিচালনার জন্য অন্য পরিচালক ছিল। কিন্তু সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার এক মাস আগে পরিচালক এই সিনেমা পরিচালনা করতে না পারায়, শেষপর্যন্ত তাঁকেই এই দায়িত্ব নিতে হয়। এবং এই সিনেমাটি করে তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী যে তিনি ছবিতে নাম্বির জীবনকাহিনী কে ঠিক পথেই তুলে ধরতে পেরেছেন। তিনি কখনোই নিজেকে পরিচালক পদের জন্য যোগ্য, এই বিষয়টি প্রমাণ করতে চাননি। প্রথম থেকেই তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নাম্বি নারায়ণের জীবনের গল্পকে ভারতবাসীর সামনে তুলে ধরা।

    প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে এই সিনেমাটি। হিন্দির পাশাপাশি তেলুগু, কন্নড় এবং মালায়ালম ভাষাতেও দেখা যাবে ছবিটি। 

  • PM Modi: বারাণসীতে মোদির ‘অক্ষয়পাত্র’, এক সঙ্গে ১ লক্ষ পড়ুয়াকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা

    PM Modi: বারাণসীতে মোদির ‘অক্ষয়পাত্র’, এক সঙ্গে ১ লক্ষ পড়ুয়াকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক হাজার স্কুল পড়ুয়ার জন্য করা যাবে রান্না। আজ, বৃহস্পতিবার যোগী রাজ্যের বারাণসীতে এমনই একটি বিশাল মিড-ডে মিল (Mid-Day Meal) কিচেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কিচেনের নাম দেওয়া হয়েছে অক্ষয় পাত্র মিড-ডি মিল কিচেন (Akshay Patra Mid Day Meal Kitchen)। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাণসীতে তৈরি এই রান্নাঘরে রয়েছে অত্যাধুনিক ও উন্নত মানের রান্নার সরঞ্জাম। এই অতিকায় রান্না ঘরে অন্তত ২৫ হাজার স্কুল পড়ুয়ার মিড-ডি মিল বানানো যাবে।

    এই অক্ষয়পাত্র কিচেনের উদ্বোধন ছাড়াও এদিন ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন মোদি।  অক্ষয়পাত্র কিচেনটি রয়েছে বারাণসীর আরদানি বাজার এলাকায়। বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরির জন্য অত্যানুধিক সব মেশিন রয়েছে এই রান্নাঘরে। চাল-ডাল, সবজির পাশাপাশি চাপাটিও এক সঙ্গে তৈরি করা যাবে বিপুল পরিমাণে। ২৫ হাজার শিশুর রান্না করা তো যাবেই, প্রয়োজনে ১ লক্ষ বাচ্চার খাবারও প্রস্তুত করা যাবে অত্যাধুনিক এই রান্নাঘরে। বারাণসী জেলার ১৪৩টি প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চারা উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন  এই রান্নাঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবে। এদিন কয়েকজন বাচ্চার সঙ্গে দেখাও করেন প্রধানমন্ত্রী। রন্ধনকর্মীর পাশাপাশি বিপুল আয়তনের রান্নাঘর পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে কর্মীও।

    আরও পড়ুন : ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    এই রান্নাঘরের পাশাপাশি এদিন আরও প্রায় ৩১টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মোদি। বলেন, আমরা উন্নয়নের পথ দেখিয়েছি। কাজ করার সংকল্প ও কঠিন পরিশ্রম করতে পারলে উন্নয়ন করা যায়। দেশজুড়ে যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন মোদি। হাসপাতাল তৈরি, ইনস্যুরেন্স সহ নানা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন দেশবাসী। তিনি বলেন, উন্নয়ন মানে হল দরিদ্র, দলিত, মহিলা এবং পিছড়েবর্গদের ক্ষমতায়ন। তিনি বলেন, বারাণসীতে যে প্রজেক্টগুলো লঞ্চ করা হল, তার সুফল পারেন জেলাবাসী। উন্নত হবে তাঁদের জীবনযাপনের সূচক।

    আরও পড়ুন : শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

  • Blue Lobster: মৎস্যজীবীর জালে বিরল নীল গলদা চিংড়ি, মুহূর্তে ভাইরাল ছবি 

    Blue Lobster: মৎস্যজীবীর জালে বিরল নীল গলদা চিংড়ি, মুহূর্তে ভাইরাল ছবি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলদা চিংড়ি তো সবাই দেখেছেন। দেখে জিভে জলও এসেছে নিশ্চই। কিন্তু একেবারে নীল রঙের (Blue Lobster) চিংড়ি কি দেখেছেন কখনও? অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন চিংড়ি আবার নীল রঙের হয় নাকি! এমনই সুন্দর চিংড়ির হদিশ পেলেন এক মার্কিন মৎস্যজীবী (US Fisherman)। যুক্তরাষ্ট্রের লার্স-জোহান লারসন (Lars-Johan Larsson) নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি অত্যন্ত বিরল নীল গলদা চিংড়ি ধরেছিলেন। এই চিংড়ি এতটাই বিরল, যে ২০ লক্ষের মধ্যে মাত্র একটি এমন ধরনের চিংড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রবিবার চিংড়িটির একটি ছবি শেয়ার করে লারসন লিখেছেন, “এই নীল গলদা চিংড়িটি গতকাল পোর্টল্যান্ডের (Portland) উপকূলে ধরা পড়েছিল এবং পরে তাকে জলেই ফেরত পাঠানো হয়।” এমন উজ্জ্বল নীল রঙের চিংড়ির ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল (Viral) হয় নেট মাধ্যমে। ৫১৬,০০০ লাইক এবং ৪৩,০০০ বার রিট্যুইট করা হয় পোস্টটি। চিংড়ি যে এতটাও সুন্দর হতে পারে সেই ধারণা ছিল না অনেকেরই।   
     
    [tw]


    [/tw]

    স্বাভাবিকভাবেই তাজ্জব নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, “এত বছর বয়স হল, আজ প্রথম নীল গলদা চিংড়ি দেখছি।” অন্য আরেকজন লিখেছেন, “আমার সৌভাগ্য এমন বিরল প্রাণী দেখলাম। আশ্চর্য! লালের বদলে নীল রঙের।” আরও একজন আবার রসিকতা করে লিখেছেন, “সবসময় নীল রঙের বলেই ধরা পড়ে এবং নীল রঙের বলে ছাড়াও পেয়ে যায়।” 

    আরও পড়ুন: সাগরে সাঁতার কাটতে গিয়ে হাঙরের আক্রমণে দুই মহিলা, এরপর কী হল….

    কেউ কেউ আবার এও বলেছেন তাঁরাও এই বিরল প্রাণীটিকে ধরেছেন। একজন লেখেন, “লং আইল্যান্ড সাউন্ডে ১৯৯৩ সালের গ্রীষ্মে একটি নীল গলদা চিংড়ি ধরা পড়েছিল৷ আমরা ওকে একটি অ্যাকোয়ারিয়ামে দিয়ে এসেছিলাম যাতে দীর্ঘকাল বাঁচতে পারে.. দেখতে খুব সুন্দর ছিল”। আরেকজন লেখেন, “আমরা ১৫ বছর আগে নর্থ হ্যাভেনে একটি নীল গলদা চিংড়ি ধরেছিলাম। আমরাও জলেই ছেড়ে দিই”।

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?   
     
    বেশিরভাগ গলদা চিংড়ি বাদামী বা লাল রঙের হয়। মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের লবস্টার ইনস্টিটিউটের মতে, নীল গলদা  চিংড়ি খুবই বিরল এবং ২০ লক্ষের মধ্যে মাত্র একটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জিনগত অস্বাভাবিকতার কারণেই গলদা চিংড়িগুলি এই রঙের হয়। অন্যদের তুলনায় একটি নির্দিষ্ট প্রোটিন বেশি উৎপাদন করে এই চিংড়িগুলি।  

     

  • Kashmir Killings: আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ

    Kashmir Killings: আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) জেহাদিদের নিশানায় হিন্দুরা। বিশেষ করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) উপর ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra) আগে কাশ্মীরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি খতিয় দেখতে শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডাকলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval), জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা  (L-G Manoj Sinha) ও পুলিশপ্রধান। থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির শীর্ষ আধিকারিকরাও।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, কাশ্মীরে কোনও অশান্তি কেন্দ্র মেনে নেবে না। উপত্যকায় বারবার সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বাড়ছে। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধ পরিকর মোদি (Modi) সরকার। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা করে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে জঙ্গিরা। এই পরিস্থিতি দূর করতে আলোচনায় বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: আবারও নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কুলগামে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি

    সম্প্রতি কাশ্মীরে (Kashmir) টার্গেট কিলিং শুরু করেছে জঙ্গিরা। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি মাসের শেষ থেকে শুরু হবে অমরনাথ যাত্রা। তার আগে ফের কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit) হত্যা করা হচ্ছে ভূস্বর্গে। গত মঙ্গলবার একটি স্কুলে ঢুকে এক হিন্দু শিক্ষিকাকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। মাসখানেক আগে সরকারি অফিসে ঢুকে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। সেই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কাশ্মীর (Kashmir)। পর্যবেক্ষকদের অনুমান, এবার কাশ্মীরি পণ্ডিতদের শিক্ষাব্যবস্থায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে জঙ্গিরা। কাশ্মীরি পণ্ডিত শিশুরা যেন পড়াশোনা করতে না পারে, সেই কারণেই স্কুলে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। গত মাসে ঠিক  সোপিয়ানে এক দোকানদারের উপর হামলা চালিয়েছিল দু’জন বাইক আরোহী। ওই দোকানদারও ছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত।

    এই ঘটনার পর উপত্যকা জুড়ে নিরাপত্তা এবং বিচারের দাবিতে পথে নামেন হিন্দু পণ্ডিতরা। শ্রীনগরের কাশ্মীরি পণ্ডিতরা পথ অবরোধ করে শিক্ষিকা হত্যার প্রতিবাদ করেন। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, অবিলম্বে তাঁদের কাশ্মীর থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। আরও জানা গিয়েছে, একদিনের মধ্যেই কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। উপায় না থাকায় পায়ে হেঁটেই কাশ্মীর থেকে জম্মুর দিকে রওনা দিয়েছেন অনেকে। প্রায় চার হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের দ্রুত জম্মুতে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! কুলগামে নিহত স্কুল শিক্ষিকা

    জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা শিক্ষিকা হত্যার ঘটনার নিন্দা করে বলেন,”হামলাকারীদের এমন একটি শিক্ষা দেওয়া হবে যা তারা কখনই ভুলবে না।”সম্প্রতি জঙ্গি হামলায় নিহত টিভি অভিনেতা আমরীন ভাট (Amreen Bhatt) এবং পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল্লাহ কাদরির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মনোজ। তাঁদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। 

  • Qutub Minar: কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য! দাবি প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিক আধিকারিকের

    Qutub Minar: কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য! দাবি প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিক আধিকারিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন স্মৃতি সৌধগুলি নিয়ে বিতর্ক দিন দিন বাড়ছে। অনেকেরই দাবি ভারতের ইতিহাসে সব সত্যি কথা বলা নেই। তাজমহল (Taj Mahal) বিতর্ক তো ছিলই এবার কুতুব মিনারকে (Qutub Minar) নিয়েও নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হল। কুতুবুদ্দিন আইবক নন, সূর্যের দিক নির্ণয়ের জন্য রাজা বিক্রমাদিত্য বানিয়েছিলেন কুতুব মিনার। কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন নয়, এমন দাবি করলেন খোদ ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের (ASI) প্রাক্তন আধিকারিক ধর্মবীর শর্মা। তাঁর কথায়, “এটি আদেও কুতুবমিনার নয়, বরং সূর্যের স্তম্ভ। পঞ্চম শতাব্দীতে রাজা বিক্রমাদিত্য এটি নির্মাণ করেছিলেন। কুতুবুদ্দিন আইবক করেননি। আমার কাছে এই সংক্রান্ত অনেক প্রমাণ আছে।’ প্রসঙ্গত, এই প্রাক্তন আধিকারিক বেশ কয়েকবার কুতুব মিনার নিয়ে কাজও করেছেন। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দিল্লি শাখার আঞ্চলিক প্রধান ছিলেন ধর্মবীর শর্মা। ফলে তাঁর যুক্তিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হবে তা বলাই বাহুল্য।    

    আরও পড়ুনঃ জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত
     
    এবিষয়ে ধর্মবীর শর্মা বলেন, “কুতুব মিনারের মাথাটি ২৫ ইঞ্চি হেলে রয়েছে। কারণ এটি সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তাই, ২১ জুন অয়নকালের সময় সূর্যের অবস্থানে বিশেষ পরিবর্তন হয়। আধ ঘণ্টা সেখানে ছায়া পড়ে না। পুরো বিষয়টিই বিজ্ঞান ও প্রত্নতাত্ত্বের ওপর নির্ভরশীল।” 

    প্রাক্তন সরকারি আধিকারিক আরও বলেন “তাই এখন যাকে কুতুব মিনার বলা হয় সেটি একটি স্বাধীন পরিকাঠামো। এর সঙ্গে মসজিদের কোনও সম্পর্ক নেই। রাতে ধ্রুবতারা যাতে দেখা যায় সেজন্যে কুতুব মিনারের দরজাও উত্তরমুখী।”

    সম্প্রতি হিন্দু সংগঠন মহাকাল মানব সেবার বেশ কয়েকজন সদস্য কুতুব মিনারের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷ তাঁদের দাবি কুতুব মিনারের  নাম পরিবর্তন করে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ রাখতে হবে। তাঁদের যুক্তি, এটি হিন্দু রাজাদের হাতেই নির্মিত! ধর্মবীর শর্মার দাবিতে সেই যুক্তি আরও জোড়ালো হল।   

    এই বিতর্কের মাঝেই এক নয়া তথ্য সামনে এসেছে। পুরোনো হিন্দু মূর্তি পাওয়া গিয়েছে কুতুব মিনার চত্বরে। ধর্মবীর শর্মা মূর্তিটিকে সনাক্ত করেন এবং জানান মূর্তিটি নরসিংহ দেবের। কুয়াত-উল-ইসলাম মসজিতে পাওয়া গিয়েছে মূর্তিটি। এই মসজিতটি কুতুব মিনার চত্বরে অবস্থিত। তথ্যটি সামনে আসতেই প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিকের দাবিটি আরও জোড়ালো হয়।    

    দাবি করা হচ্ছে মূর্তিটি ১২০০ বছরের পুরোনো এবং প্রতিহারার রাজা অনঙ্গপালের সময়ের।  ধর্মবীর শর্মা জানান, মূর্তিটি অষ্টম বা নবম শতাব্দীতে তৈরি। ওই সময়কালেই রাজত্ব করতেন অনঙ্গপাল। মূর্তিটির ছবি এই মুহূর্তে দায়িত্বে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিকদের পাঠানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    সম্প্রতি বেনারসের জ্ঞানবাপী মসজিতে শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবি করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। তাহমহলের বিষয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নাম পরিবর্তনের দাবিও উঠেছে। এরই মাঝে বিতর্কে জড়িয়ে গেল কুতুব মিনারের নাম।  

  • Hindu School Teacher Killed: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! কুলগামে নিহত স্কুল শিক্ষিকা

    Hindu School Teacher Killed: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! কুলগামে নিহত স্কুল শিক্ষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সাধারণের রক্তে রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। আবারও কাশ্মীরে জঙ্গি নিশানায় হিন্দু।

    মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম (Kulgam) জেলার গোপালপোড়া (Gopalpora) এলাকায় জঙ্গিদের (Terrorists) গুলিতে আহত হন এক কাশ্মীরি স্কুল শিক্ষিকা (Kashmiri School Teacher)। আজ সকাল ১০ টা নাগাদ শিক্ষিকার মাথায় গুলি করে জঙ্গিরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে তাঁর মৃত্যু হয়। গোপালপোড়ার স্কুলটিতে হামলার জায়গায় দ্রুত সুরক্ষা বাহিনী গিয়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কিছুদিন আগেই বদগামে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন কাশ্মীরের স্থানীয় অভিনেত্রী আমরীন ভাট। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের জঙ্গি হামলার খবর পাওয়া গেল উপত্যকায়। এবারও, এক হিন্দুকে নিশানা করেছে জঙ্গিরা। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: জ্যাক, জন, আলফা, এই সাক্ষীদের গোপন বয়ানেই দোষী সাব্যস্ত ইয়াসিন মালিক, কারা এই সাক্ষী?

    মৃত শিক্ষিকার নাম রজনী বালা (Rajni Bala)। ৩৬ বছরের রজনী জম্মুর সাম্বার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষিকা ছিলেন কাশ্মীরের সংখ্যালঘু হিন্দু পণ্ডিত (Kashmiri Pandit) গোষ্ঠীর একজন। এই নিয়ে, চলতি মাসে জঙ্গি হামলায় সাত জনের মৃত্য়ু হল কাশ্মীরে। এদের মধ্যে চারজন ছিলেন পুলিশকর্মী। বাকিরা সাধারণ নাগরিক। 

    আরও পড়ুন: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি

    ঘটনাতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কাশ্মীর উপত্যকায়। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। ১২ মে কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট অফিসে কর্মরত অবস্থায় জঙ্গিদের হাতে খুন হন। একের পর এক এমন ঘটনায় উপত্যকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ফুঁসে উঠেছেন। তাঁদের বক্তব্য ফের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে।   

    সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিহত রাহুল ভাটের বাবা এদিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, “কোনও একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করে খুন করা হচ্ছে।” নিহত স্কুল শিক্ষিকার এক আত্মীয় বলেন, “আমরা বিচার চাই। সরকার কড়া পদক্ষেপ নিক। বাইরে থেকে আসা কর্মচারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক সরকার।”

    জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করেছেন। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, “কাশ্মীরে স্কুল শিক্ষিকার ওপর জঙ্গি হামলা ন্যক্কারজনক ঘটনা। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যা তারা কখনও ভুলবে না।” 

     

     

LinkedIn
Share