Blog

  • Ramakrishna 379: বালক সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ কোনও গুণের বশ নয়

    Ramakrishna 379: বালক সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ কোনও গুণের বশ নয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- জীবকোটি ও ঈশ্বরকোটি। জীবকোটির ভক্তি বৈধভক্তি। এত উপাচারে পূজা করতে হবে। এত উপাচারে জপ করতে হবে। এত পুরশ্চরণ করতে হবে। এই বৈধ ভক্তির পর জ্ঞান। তারপর লয় ফেরেনা। ঈশ্বরকোটির আলাদা পথ। যেমন অনুলোম বোলুম। নেতি নেতি করে ছাদে পৌঁছে যখন দেখি, ছাদও যে জিনিসে তৈরি, ইঁট, চুন, সুরকি সেই জিনিসে তৈরি। তখন কখন ছাদেও থাকতে পারে, আবার উঠানামাও করতে পারে।

    শুকদেব সমাধিস্থ ছিলেন (Kathamrita)। নির্বিকল্প সমাধি। জড়সমাধি। ঠাকুর নারদকে পাঠিয়ে দিলেন, পরীক্ষিতকে (Ramakrishna) ভাগবত শোনাতে হবে। নারদ দেখলেন জড়ের ন্যায় শুকদেব বাহ্যশূন্য হয়ে বসে আছেন। তখন বীণার সঙ্গে হরির রূপ চার শ্লোকে বর্ণনা করতে লাগলেন। প্রথম শ্লোক বলতে বলতে শুকদেবের রোমাঞ্চ হল। ক্রমে অশ্রু অন্তরে হৃদয় মধ্যে চিন্ময় রূপ দর্শন করতে লাগলেন। জড় সমাধির (Kathamrita) পর আবার রূপ দর্শন হল। শুকদেব ঈশ্বর কোটি।

    হনুমান সাকার-নিরাকার সাক্ষাৎকার করে রাম মূর্তিতে নিষ্ঠা করে থাকল। চিদঘন আনন্দের মূর্তি সেই রাম মূর্তি (Ramakrishna)।

    প্রহ্লাদ কখন দেখতেন সোহম (Ramakrishna), আবার কখন দাস ভাব থাকতেন। ভক্তি না নিলে কি নিয়ে থাকে? তাই সেব্য সেবক ভাব আশ্রয় করতে হয়। তুমি প্রভু আমি দাস। হরি রস আস্বাদন করবার জন্য।। রস রসিকে ভাব। হে ঈশ্বর তুমি রস আমি রসিক।

    ভক্তির আমি। বিদ্যার আমি। বালকের আমি। এতে দোষ নাই। শঙ্করাচার্য বিদ্যার আমি রেখেছিলেন, লোক শিক্ষা (Ramakrishna) দেবার জন্য। বালকের আমির আঁট নাই। বালক গুণাতীত। কোনও গুণের বস নয়। এই রাগ করলে আবার কোথাও কিছু নাই। এই খেলাঘর করলে, আবার ভুলে গেলে। এই খেলুড়েদেরদের ভালোবাসছে, আবার কিছুদিন তাদের না দেখলে তো সব ভুলে গেল। বালক সত্ত্ব রজঃ তমঃ কোনও গুণের বশ নয়।

  • Daily Horoscope 14 June 2025: সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 14 June 2025: সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়িতে অতিথি আগমন হতে পারে।

    ২) পরিবারে ব্যস্ততা বাড়বে।

    ৩) ছোট বাচ্চারা হইহুল্লোড়ে ব্যস্ত থাকবেন।

    বৃষ

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ বাবার পরামর্শে বিবাদের সমাধান হবে।

    ২) বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা নতুন কিছু করতে চাইবেন।

    মিথুন

    ১) ছাত্রছাত্রীরা নতুন কিছু শিখতে পারবেন।

    ২) অনাবশ্যক ব্যয় এড়িয়ে যেতে হবে।

    ৩) সুসংবাদ পাবেন।

    কর্কট

    ১) সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।

    ২) মা-বাবার আশীর্বাদ পাবেন।

    ৩) ভাই-বোনকে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন।

    সিংহ

    ১) রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দিন কাটাবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ আপনার অনুকূলে থাকবে।

    ৩) বিরোধী প্রবল হবে।

    কন্যা

    ১) অতীত সমস্যার সমাধান হবে।

    ২) শত্রুতা ও বিবাদের সমাধান হবে।

    ৩) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    তুলা

    ১) আত্মীয়দের কাছ থেকে সুসংবাদ পাবেন।

    ২) ব্যবসায়ীদের ধনলাভ হবে আজ।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) বহুদিন ধরে দেখা করতে চান এমন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ হতে পারে।

    ২) কাছের বা দূরের যাত্রা করতে পারেন।

    ৩) খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ধনু

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সুখ ও সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) আত্মবিশ্বাস চরমে থাকবে।

    ৩) সন্ধ্যা ও রাতে কোনও বিশেষ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।

    মকর

    ১) আর্থিক লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

    ২) ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন না।

    ৩) কারও ওপর ভরসা করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি আইনি কাজের জন্য ফলদায়ী।

    ২) আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা নিজের কথা অন্যের সামনে রাখতে পারবেন।

    মীন

    ১) ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে।

    ২) পরিবারে পুজোর আয়োজন করতে পারেন।

    ৩) আজকের দিনটি আপনাদের জন্য ভালো।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।..

  • Air India Crash: বোয়িং বিমান দুর্ঘটনা! বারবার সতর্ক করেছিলেন হুইসেল ব্লোয়ার জন বার্নেট, শোনা হয়নি তাঁর কথা

    Air India Crash: বোয়িং বিমান দুর্ঘটনা! বারবার সতর্ক করেছিলেন হুইসেল ব্লোয়ার জন বার্নেট, শোনা হয়নি তাঁর কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন দুর্ঘটনার শিকার হল এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171? কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য (Air India Crash)। জানা যাচ্ছে, বোয়িং সংস্থার প্রাক্তন কোয়ালিটি ম্যানেজার জন বার্নেট আগেই এই বিপদের আশঙ্কা করেছিলেন। তিনি ২০১০ সালে আমেরিকার সাউথ ক্যারোলিনার নর্থ চার্লসটনে অবস্থিত বোয়িং কারখানায় যোগ দেন, যেখানে ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের উৎপাদন হত। এই মডেলই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

    বিস্ফোরক অভিযোগ (Air India Crash)

    ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে বার্নেট বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি ছিল, বোয়িং সংস্থা গুণমানের তোয়াক্কা না করে কর্মীদের নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে বাধ্য করত। হুইসেল ব্লোয়ারের মতো কাজ করেন বার্নেট। এরকম একাধিক বিষয় সামনে আনেন। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ৬২ বছর বয়সে বার্নেটের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, বিমানে ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবস্থায় মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে। তাঁর বক্তব্য ছিল, জরুরি অবস্থায় চারটি মাস্কের মধ্যে একটি কাজই করে না। অতিরিক্ত উচ্চতায় এমনটা হলে ২০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের মধ্যে যাত্রীরা অজ্ঞান মৃত্যুমুখেও পড়তে পারেন (Air India Crash)।

    উপেক্ষিত নিরাপত্তা

    দক্ষিণ ক্যারোলিনায় কাজ শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই বার্নেট দেখেন, উৎপাদনের নির্ধারিত সময়সীমা পূরণ করতে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই উপেক্ষা করা হচ্ছে। সেসময় তিনি (John Barnett) জানিয়েছিলেন, স্ক্র্যাপ বিন থেকে তুলে নেওয়া নিম্নমানের যন্ত্রাংশ পর্যন্ত বিমানে লাগানো হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাঁর অভিযোগ ছিল।বার্নেট আরও দাবি করেন, বোয়িং ইঞ্জিনিয়ারদের অনেক সময় সমস্যা রিপোর্ট না করার জন্য চাপ দেওয়া হত, যাতে নির্ধারিত সময়ে বিমান হস্তান্তর সম্ভব হয়।

    বার্নেটের পরিবারের অভিযোগ (Air India Crash)

    এই অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বার্নেট অবসর নেন। এরপর তিনি বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, সংস্থার সঙ্গে বিরোধের জেরে তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বারবার। এরফলে তাঁর পেশাগত জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২১ সালে তিনি বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বার্নেটের মৃত্যু ঘটে ২০২৪ সালে। পরবর্তীতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, বোয়িংয়ের মানসিক চাপ ও হেনস্থার ফলেই বার্নেটের মৃত্যু ঘটেছে। এ নিয়ে নতুন মামলাও দায়ের করা হয়।

  • Indian social security: ২০১৫ সালে ছিল ১৯%, ২০২৫ সালে ৬৪%! সামাজিক সুরক্ষায় ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল ভারত

    Indian social security: ২০১৫ সালে ছিল ১৯%, ২০২৫ সালে ৬৪%! সামাজিক সুরক্ষায় ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর আদর্শে চালিত হয়ে ভারত সামাজিক সুরক্ষায় (Indian social security) ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল। সারা বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সম্প্রসারণ উল্লেখযোগ্য। ইন্টার ন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (ILO)-এর আইএলওস্ট্যাটের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী ভারতের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় থাকা জনসংখ্যা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) প্রকাশিত ‘বিশ্ব সামাজিক সুরক্ষা প্রতিবেদন’-এ উঠে এসেছে যে, ভারত সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে এক বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে যেখানে মাত্র ১৯% জনসংখ্যা এই সুরক্ষার আওতায় ছিল, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩ শতাংশে। অর্থাৎ, বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৪ কোটি মানুষ কোনো না কোনো সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন।

    উন্নত ভারতের দিকে এক ধাপ

    ভারতের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, “বিশ্বের মধ্যে ভারতই সামাজিক সুরক্ষার (Indian social security) ক্ষেত্রে সবচেয়ে দ্রুত অগ্রগতি করেছে।” তিনি জানান, দেশে কোটি কোটি মানুষ আজ বিভিন্ন খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করছেন, যা সরকারের প্রতিশ্রুতি ও অন্তর্ভুক্তিকরণের উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে। মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের ১১৩তম অধিবেশনে আইএলও-র ডিজি গিলবার্ট এফ. হৌংবো-র সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে মোদি সরকার দরিদ্রদের জন্য একাধিক কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাতীয় স্তরে সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়েও আইএলও-র ডিজিকে অবহিত করেন। আইএলও-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার এই তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছে আইএলও?

    রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে কর্মরত এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রম অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর কাজ করে। তারা ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ মূল্যায়ন করে থাকে — যার মধ্যে রয়েছে বেকার ভাতা, পরিবার ও শিশু সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বার্ধক্য ভাতা, কর্মসংস্থানকালীন দুর্ঘটনা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, অসুস্থতা ভাতা এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য সুবিধা। আইএলও (ILO)-র স্বীকৃতি পেতে হলে, কোনো দেশের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পকে আইনি স্বীকৃতি, কার্যকর বাস্তবায়ন এবং গত তিন বছরের রিপোর্ট পেশ করতে হয়। এইসব প্রয়াসের উল্লেখ করে আইএলও ভারতের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং নিজের ড্যাশবোর্ডে সরকারিভাবে জানিয়েছে যে, ভারতের জনসংখ্যার ৬৪.৩% অর্থাৎ ৯৪ কোটির বেশি মানুষ বর্তমানে অন্তত একটি সামাজিক সুরক্ষা সুবিধার আওতায় আছে। ২০১৫-য় এই হার ছিল মাত্র ১৯%। সুবিধাপ্রাপকের হিসাব অনুসারে ভারত এখন বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে। প্রায় ৯৪ কোটি নাগরিক সামাজিক সুরক্ষার (Indian social security) আওতায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গরীব এবং শ্রমিক শ্রেণীর জন্য কল্যাণকর নীতির ওপর ভারতের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন আইএলও-র ডিজি।

    ভারতের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

    ভারত সরকার ‘আয়ুষ্মান ভারত’, ‘ই-শ্রম পোর্টাল’, ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা’, ‘অটল পেনশন যোজনা’সহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রকল্প দেশের গরিব ও প্রান্তিক জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আইএলও (ILO) প্রাথমিকভাবে ৪৮.৮% কভারেজ মূল্যায়ন করেছে। তারা জানিয়েছে, এটি এখনো অসম্পূর্ণ। এখনো দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ বাকি রয়েছে। যখন তা সম্পূর্ণ হবে, তখন ভারতের সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ ১০০ কোটিরও বেশি নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    ডিজিটাল শক্তি ও স্বচ্ছতার দিকেও জোর

    ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক ভারতের সামাজিক সুরক্ষা তথ্য সংকলনের প্রথম পর্যায় চালু করে। এই পর্যায়ে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক ও গুজরাট রাজ্যের কেন্দ্রীয় ও নারী-কেন্দ্রিক প্রকল্পভুক্ত উপভোক্তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্ত্রী মাণ্ডব্য বলেন, “ভারত ২০২৫ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা তাদের সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ ডিজিটাল মাধ্যমে নথিভুক্ত করেছে। এটি ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তি এবং কল্যাণমূলক প্রকল্পে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রতিফলন।” এই উল্লেখযোগ্য সাফল্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সামাজিক সুরক্ষা পরিমণ্ডল তৈরি করতে সরকারের লাগাতার প্রয়াসের প্রমাণ, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

     

     

  • Plane Crash: বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ সিরিজের সব বিমান গ্রাউন্ড করার পথে কেন্দ্র?

    Plane Crash: বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ সিরিজের সব বিমান গ্রাউন্ড করার পথে কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে বোয়িং ড্রিমলাইনার ঠিক কতটা নিরাপদ (Plane Crash)? আমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার চার মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, যা ছিল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার মডেল ছিল। এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় সরকার ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৭৮৮ সিরিজের বিমানগুলিকে গ্রাউন্ড করার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    তদন্ত হতে পারে এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও (Plane Crash)

    সূত্রের খবর, সেফটি রিভিউয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এই ইস্যুতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনা চলছে। আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে রক্ষণাবেক্ষণে (Central Government) কোনও গাফিলতি থাকলে টাটা গোষ্ঠী পরিচালিত এই বিমান সংস্থার (Plane Crash) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

    বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সাধারণত ৩০ বছর পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সাধারণত ৩০ বছর পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে এবং প্রায় ৪৪,০০০ বার ওড়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। দুর্ঘটনার ঠিক আগে ‘মেডে’ সংকেত পাঠান পাইলট, তবে তার আগে কোনও কার্যকর সহায়তা পৌঁছনোর আগেই বিমানটি ধ্বংস হয়। বিমানটির একটি ডানা বিজে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলের উপর আছড়ে পড়ে (Central Government)। এই দুর্ঘটনার পর বোয়িং এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ফ্লাইট ১৭১-এর বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত (Plane Crash)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • WTC Final 2025: বিমান দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নীরবতা পালন ক্রিকেটারদের

    WTC Final 2025: বিমান দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নীরবতা পালন ক্রিকেটারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের (WTC Final 2025) তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে দুই দেশের ক্রিকেটাররা আমেদাবাদ (Ahmedabad Plane Crash) বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করলেন। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা – উভয় দলের ক্রিকেটাররাই কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামেন। বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। উড়ানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ ক্রীড়া মহলও। শুক্রবার, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে টিম ইন্ডিয়া নেমেছিল ইন্টার-স্কোয়াড অনুশীলন ম্যাচে। সেখানেও নীরবতা পালন করা হয়। ক্রিকেটাররা কালো আর্মব্যান্ড পরেন।

    শোকজ্ঞাপন ২২ গজেও

    আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। মোট ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এবার শোকজ্ঞাপন ২২ গজেও। ইংল্য়ান্ডে খেলতে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল, আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে দু দেশের পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ। আজ থেকে ভারত ও ভারতীয় এ দল ইন্ট্রা স্কোয়াড ম্য়াচ খেলতে নামবে। আবার ইংল্যান্ডেই লর্ডসে এই মুহূর্তে চলছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। দিনের খেলা শুরুর আগেই দুটো ম্য়াচেই প্লেয়ারদের দেখা গেল কালো আর্মব্য়ান্ড পরে মাঠে নামতে। বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হওয়া যাত্রীদের ও মেডিক্যাল কলেজের প্রয়াত স্টুডেন্টদের আত্মার শান্তি কামনায় কিছুক্ষণ মৌনব্রত পালন করার পরই খেলা শুরু হয়।

    ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা

    বৃহস্পতিবার সব মিলিয়ে ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে অজিরা। নবম উইকেট পেতে দেরি হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। রাবাডা ফেরান নাথান লিয়ঁকে। মাত্র ২ রানে সাজঘরে ফেরেন এই অফ স্পিনার। তবে, উইকেটের অন্যপ্রান্তে থিতু হয়ে লড়াই জারি রাখেন মিচেল স্টার্ক। হ্যাজেলউডও স্টার্ককে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়া ২১২ রানের বেশি তুলতে পারেনি। মনে করা হচ্ছিল প্রোটিয়ারা দারুণ জায়গায় রয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছয় ৪ উইকেটে ৪৩ রানে। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয়। ম্যাচে ফিরতে গেলে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল প্রোটিয়াদের। সেই লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিলেন বাভুমা এবং বেডিংহ্যাম। তাঁদের জুটিতে উঠল ৬৪ রান। এরপর এক প্রকার সেট হয়েই সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ৩৬ রানের মাথায় তাঁকে ফেরান প্যাট কামিন্স।

  • Sunjay Kapur: একটা মৌমাছি কেড়ে নিল প্রাণ! পোলো খেলতে খেলতেই মৃত্যু করিশ্মা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের?

    Sunjay Kapur: একটা মৌমাছি কেড়ে নিল প্রাণ! পোলো খেলতে খেলতেই মৃত্যু করিশ্মা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোলো খেলতে যাওয়াই কাল হল। মাঠেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন করিশ্মা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী শিল্পপতি সঞ্জয় কাপূর। বৃহস্পতিবার সকালেও টের পাননি যে তাঁর শিয়রে মৃত্যু এসেছে। এই দিন বেলায় লন্ডনের এক ক্লাবে পোলো খেলতে যান সেখানেই ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ একটা মৌমাছি গলায় ঢুকে যায় সঞ্জয়ের। চেষ্টা করে সেটা বার করতে না পারায় ঘাবড়ে যান, বিচলিত হয়ে যান। চিকিৎসা করার কোনও সুযোগ দেননি সঞ্জয়। ৭ ঘণ্টা আগে আমেদাবাদে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে টুইট করেছিলেন তিনি। সমবেদনা জানিয়েছিলেন সেই সব পরিবারকে।

    করিশ্মার বাড়ির সামনে ভিড়

    ২০০৩ সালে শিল্পপতি সঞ্জয় কপূরকে বিয়ে করেন করিশ্মা কাপূর। দুই সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। সামাইরা ও কিয়ান। প্রায় ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল করিশ্মা-সঞ্জয়ের। কিন্তু সঞ্জয়ের সঙ্গে সুখী ছিলেন না অভিনেত্রী। বিয়ের পর থেকে নাকি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হয় করিশ্মাকে। সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে সঞ্জয়। সোনা কমস্টারের চেয়ারম্যান। মূলত গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা তাঁর। ভারতীয় মুদ্রায় ১০,৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে সঞ্জয়ের। বিশ্বের অন্যতম ধনকুবেরদের তালিকায় তিনি রয়েছে ২৭০৩ নম্বরে। ২০১৬ সালে করিশ্মা ও সঞ্জয়ের বিচ্ছেদ হয়। তার পর মডেল প্রিয়া সচদেবকে বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই করিশ্মার বাড়ির সামনে ছবিশিকারিদের ভিড়। কাঁদো কাঁদো মুখে গাড়ি থেকে নেমে সোজা ঢুকে গেলেন করিনা কপূর। থমথমে মুখ নিয়ে করিশ্মার বাড়িতে ঢোকেন মালাইকা আরোরা, সইফ আলি খানেরা।তারকাদের ভিড় সামলাতে এ দিন রাত থেকেই করিশ্মার বাড়ির সামনে পুলিশি প্রহরা। অবাঞ্ছিত ঘটনা রুখতে বেশ কিছু পুলিশকর্মীকে এ দিন রাতে পাহারা দিতে দেখা যায়। যদিও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেননি করিশ্মা, এমনকি কোনও বিবৃতিও দেননি।

    সংবাদমাধ্যমের চর্চার বিষয় ছিল সঞ্জয়

    সঞ্জয় কাপূর পোলো খেলাকে শুধু খেলা নয়, জীবনের একটা বড় অংশ হিসেবে দেখতেন। ঘোড়া ও খেলার প্রতি গভীর ভালবাসার জন্যই তাঁর এই খেলায় প্রবেশ এবং পরবর্তী সময়ে একটি নিজস্ব পোলো টিম ‘ওরাস’ গঠন। সেদিন তিনি খেলছিলেন হোটেল ব্যবসায়ী জয়সল সিং-এর দল ‘সুজন’-এর বিরুদ্ধে। খেলাই হয়ে উঠল জীবনের শেষ অধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই সংবাদমাধ্যমের চর্চার বিষয় ছিল সঞ্জয়। তিনবার বিয়ে করেছিলেন তিনি। প্রথম বিয়ে হয় মুম্বইয়ের ডিজাইনার নন্দিতা মহতানির সঙ্গে, সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০০০ সালে। ২০০৩-এ বিয়ে করলেন বলিউড ডিভা করিশ্মা কাপুরকে। তাঁদের দুই সন্তান — সামাইরা ও কিয়ান। ২০১৬-তে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও, সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন দুই অভিভাবক মিলেই।

  • PM Modi: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন মোদির, গেলেন হাসপাতালেও

    PM Modi: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন মোদির, গেলেন হাসপাতালেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতা নিজের চোখে দেখতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার যেখানে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ে, শুক্রবার সকালে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছেই সরাসরি সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ২০ মিনিট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এরপরেই প্রধানমন্ত্রী রওনা হন আমেদাবাদের কমান্ড হাসপাতালে, এখানেই বিমান দুর্ঘটনায় আহত ২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যেই রয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার ওই অভিশপ্ত বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী। শুক্রবারই সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় আমরা সকলে বিপর্যস্ত। এই ভাবে হঠাৎ এত মানুষের প্রাণহানি হৃদয়বিদারক এবং ভাষায় প্রকাশের মতো নয়।”

    সিভিল হাসপাতালে আহতদের দেখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছান আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশও সেখানেই চিকিৎসাধীন (Ahmedabad Plane Crash Site)। শুক্রবারই আমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনই দুর্ঘটনায় মৃত গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী নিজে পোস্ট করে জানান, প্রিয়জনকে হারানোর কষ্ট এবং এই অপূরণীয় ক্ষতি বহু বছর ধরে তাঁরা অনুভব করবে সে কথা বুঝতে পারছি।

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পরিদর্শন

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরেই আমেদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। শুক্রবার সকালেই আমেদাবাদ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিমানবন্দরে তাঁকে আনতে যান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিআর পাতিল এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী উদ্ধার ও ত্রাণ পরিস্থিতির বিষয়েও বিশদে খোঁজ খবর নেন (Ahmedabad Plane Crash Site)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Sukhoi Su-57: খেলা ঘুরিয়ে দিল ‘সোর্স কোড’! অ্যামকা হাতে পেতে আরও ১০ বছর, বন্ধু পুতিনের সু-৫৭ প্রস্তাবেই ‘হ্যাঁ’ ভারতের?

    Sukhoi Su-57: খেলা ঘুরিয়ে দিল ‘সোর্স কোড’! অ্যামকা হাতে পেতে আরও ১০ বছর, বন্ধু পুতিনের সু-৫৭ প্রস্তাবেই ‘হ্যাঁ’ ভারতের?

    সুশান্ত দাস

    দেশীয় ‘অ্যামকা’ (AMCA) প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার বিষয়ে জোরকদমে এগনোর সিদ্ধান্ত নিলেও পাশাপাশি আপৎকালীন ভিত্তিতে কম সংখ্যায় বিদেশ থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (FGFA) কেনার ব্যাপারে অত্যন্ত গভীর ভাবনাচিন্তা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর এই ক্ষেত্রেও ‘বন্ধু’ রাশিয়াকেই ভরসা ভারতের। যে কারণে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এফ-৩৫ প্রস্তাব ফিরিয়ে রাশিয়ার তৈরি সুখোই ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) স্টেলথ যুদ্ধবিমানকেই বাছতে চলেছে ভারত। অন্তত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্দরে এমন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।

    অ্যামকা হাতে পেতে আরও এক দশক!

    মোদি জমানায় আত্মনির্ভর ভারত যে ‘অ্যামকা’ (FGFA) তৈরি করছে, এটা নিশ্চিত। সরকার সবুজ সঙ্কেত দিতেই দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে জোরকদমে এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। তবে, একটা বিষয় পরিষ্কার। আপাতভাবে ২০৩৫ সালের আগে ‘অ্যামকা’ হাতে পাচ্ছে না বায়ুসেনা। কারণ, মাত্র গত বছরই ‘অ্যামকা’-য় সম্মতি জানিয়েছে কেন্দ্র। আর এটা কারও অজানা নয় যে, যে কোনও যুদ্ধবিমান তৈরি করতে অন্ততপক্ষে ১০-১৫ বছর লাগেই। ফলে, ভারতকে আরও দশটা বছর অপেক্ষা করতেই হবে স্বদেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য।

    পাকিস্তানকে পঞ্চম প্রজন্মের ‘জে-৩৫এ’ দিচ্ছে চিন

    কিন্তু, এই দশ বছরে বদলে যাবে অনেক কিছুই। ভারতীয় বায়ুসেনার বর্তমানে মাত্র ৩১টা স্কোয়াড্রন রয়েছে। যেখানে থাকার কথা ৪২। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমবে। কারণ, মিগ-২১বি, জাগুয়ার, মিরাজ-২০০০ সহ বহু যুদ্ধবিমান অবসর নেবে। অবিলম্বে এই শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে ভারতকে। এমআরএফএ-র আওতায় ১১৪টি  যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টিও চূড়ান্ত রূপ নেয়নি। আবার, তেজসের কাজও অনেক বিলম্ব হচ্ছে। ইঞ্জিন আমদানি সমস্যায় জেরবার নির্মাণকারী সংস্থা হ্যাল। যে কারণে, ডেডলাইনের অনেক পেছনে চলছে মার্ক-১এ এবং মার্ক-২ সংস্করণের কাজ। অন্যদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) জোর ধাক্কা খাওয়ার পর ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। আর এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় সহায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ সেই চিন, যারা পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু। ইতিমধ্যেই, ইসলামাবাদকে নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের ‘জে-৩৫এ’ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, তাও আবার অর্ধেক দামে! ফলে, এটা ভারতের কাছে বড় সমস্যা হতে পারে, যদি ভারতের কাছেও পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (FGFA) না থাকে। সব মিলিয়ে, ভারতের হাতে সময় বেশি নেই।

    ভারতের পাশে দাঁড়াল বন্ধু রাশিয়া

    এই সময়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধু রাশিয়া। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে ভারতকে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫এ’ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় সেই একই সময়ে ভারতকে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের ‘সু-৫৭ই’ (সু-৫৭-এর এক্সপোর্ট ভেরিয়েন্ট) যুদ্ধবিমানের প্রস্তাব দেয় রাশিয়াও। মস্কোর প্রস্তাব আরও ভালো ছিল, কারণ তারা ভারতকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর করতেও রাজি হয়। মস্কো জানায়, চাইলে ভারত নিজেদের দেশেই যৌথভাবে এই বিমান তৈরি করতে পারে। এমনকি, ভারতের কাবেরি ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তিগত সহায়তা করতেও রাজি বলে জানায় মস্কো।  এখানেই শেষ নয়। চলতি মাসের গোড়ায় নিজেদের প্রস্তাবকে আরও আকর্ষণীয় করে রাশিয়া। পুতিনের দেশ জানিয়ে দেয়, তারা ভারতকে ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) ফাইটার জেটের বহুমূল্য সোর্স কোড দিতেও রাজি।

    রাশিয়ার অভাবনীয় প্রস্তাবে ঘুরেছে খেলা!

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাশিয়ার এই প্রস্তাব এক কথায় বৈপ্লবিক, অভাবনীয়। কারণ, যে কোনও যুদ্ধবিমানের কেন্দ্রে থাকে ‘সোর্স কোড’। অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য। এক কথায়, যুদ্ধবিমানের মাথার ঘিলু। রাফাল যুদ্ধবিমানের সোর্স কোড নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে খিটমিট লেগেছে ভারতের। কেউই নিজেদের যুদ্ধবিমানের সোর্স কোড (Source Code) হস্তান্তর করতে দিতে চায় না। এদিকে, সোর্স কোড না পাওয়ায় রাফাল যুদ্ধবিমানে ব্রহ্মস সহ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ইন্টিগ্রেট বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছে না ভারত। কারণ, ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধবিমানের মেলবন্ধন ঘটাতে সোর্স কোড খুলে তাতে মডিফাই করতে হয়। অন্যদিকে, আমেরিকা ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তি দেওয়া তো দূরের কথা, পূর্ণ কর্তৃত্বও দিতে রাজি নয়। অর্থাৎ, বিমানের নিয়ন্ত্রণ থাকবে পেন্টাগনের হাতে। ভারত শুধু ওড়াবে। সেখানে ভারতকে তাদের স্টেলথ পঞ্চম প্রজন্মের সু-৫৭ (Sukhoi Su-57)  ফাইটার জেটের সোর্স কোড সমেত গোটা প্রযুক্তি দিতে রাজি রাশিয়া।

    প্লেটে ‘সোর্স কোড’ সাজিয়ে পেশ ভারতকে

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের (FGFA) সোর্স কোড দিতে রাজি হওয়াটা কোনও ভাবেই ছোট বিষয় নয়। মনে করিয়ে দেওয়া যাক, ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন ‘সু-৫৭’ (Sukhoi Su-57) দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান ‘সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। সেই থেকে ব্রহ্মপুত্র ও মস্কোভা নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। এবার এত বছর পর, সেই পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেটের সোর্স কোড প্লেটে সাজিয়ে ভারতকে প্রস্তাব দিচ্ছে ক্রেমলিন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, সোর্স কোড পেলে রুশ যুদ্ধবিমানে ‘অস্ত্র’, ‘রুদ্রম’ সহ বিভিন্ন দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র অতি সহজেই অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে ভারত। অন্তর্ভুক্ত করা যাবে দেশীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গ্যালিয়াম নাইট্রাইড-বেসড্ আয়েসা রেডার  (GaN-based AESA radar) — পোশাকী নাম বীরূপাক্ষ ও সর্বাধুনিক এভিয়োনিক্সও। ফলে, এটিও হয়ে উঠবে সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের মতো সু-৫৭ আই। অর্থাৎ, ভারতীয় সংস্করণ, যা বিশ্বে আর কারও কাছে থাকবে না।

    মার্কিন ‘এফ-৩৫’! নৈব নৈব চ…

    রাশিয়ার থেকে সোর্স কোড সহ অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের (FGFA) প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাব পাওয়ার পর থেকে সুখোই সু-৫৭ (Sukhoi Su-57) কেনা নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে নয়াদিল্লি। বলা বাহুল্য, রাশিয়া তাদের স্পর্শকাতর প্রযুক্তি ভারতের সঙ্গে ভাগ করতে রাজি হওয়ার পর থেকেই বরাতের লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ, আমেরিকা কখনই তাদের এফ-৩৫ বিমানের সোর্স কোড ভাগ করা তো দূরে থাক, অন্য প্রযুক্তিও ভাগ করবে না। উপরন্তু, আমেরিকা থেকে কেনা একাধিক সামরিক সরঞ্জাম হাতে পেতে দেরি হচ্ছে ভারতের। মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার ২ বছর পরেও, ভারত এখনও তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানের জন্য জেনারেল ইলেক্ট্রিকের থেকে এফ৪১৪ জেট ইঞ্জিন হাতে পায়নি। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি শুরু হওয়ার কথা ছিল বোয়িংয়ের অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টার। একটাও এখনও হাতে আসেনি ভারতের। কেন্দ্রীয় কর্তাদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে ঢিলেমি করছে মার্কিন প্রশাসন। এই সব নিয়ে আমেরিকার ওপর ক্ষুব্ধ ভারত। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই ভারত যে ‘এফ-৩৫’ নেবে না, তা বলাই বাহুল্য। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত এক প্রকার ‘এফ-৩৫’-কে ইতিমধ্যই খারিজ করে দিয়েছে। এখন শুধু সরকারি ঘোষণার অপেক্ষা।

  • Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    Vijay Rupani: রাজনৈতিক যাত্রা শুরু এবিভিপি থেকে! বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রূপানির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (Vijay Rupani)। দলের নেতার প্রয়াণে বিজেপি নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু। প্রসঙ্গত, বিজয় রূপানি হলেন গুজরাটের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) নিহত হলেন। এর আগে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন বলবন্ত রায় মেহতা বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।

    রাষ্ট্রপতির শোকবার্তা

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও শোক প্রকাশ করে বলেন, “ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাই। বিমান দুর্ঘটনায় দেশ হারাল গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিজিকে (Vijay Rupani)। তিনি সারা জীবন জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। এমনদিনে তাঁর পরিবারকে জানাই সমবেদনা।”

    রাজনাথ সিংয়ের শোকবার্তা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) শোকবার্তায় লেখেন, “বিজয় রূপানিকে (Vijay Rupani) সর্বদা স্মরণ করা হবে। তিনি একজন ভূমিস্তরের নেতা হিসেবে সারা জীবন রাজ্যের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজ করেছেন।”

    কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন রূপানির মৃত্যুর খবর

    প্রসঙ্গত, গতকালই কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী রামমোহন নাইডু নিশ্চিত করেন যে দুর্ঘটনার সময় বিমানে বিজয় রূপানী (Vijay Rupani) উপস্থিত ছিলেন। গতকালই তিনি বলেন, “ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। কতজন নিহত হয়েছেন তার তদন্ত চলছে। গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিজেপি নেতা বিজয় রূপানিও ওই বিমানে ছিলেন।”

    পুরীর সাংসদ সম্বিত পাত্রের শোকবার্তা

    বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র লেখেন, “গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যু শুধু রাজ্যের নয়, গোটা ভারতীয় রাজনীতিতে (Ahmedabad Plane Crash) এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি করল। মহাপ্রভু জগন্নাথ তাঁর বিদেহী আত্মাকে শান্তি দিন এবং পরিবারের সবাইকে এই শোক সহ্য করা শক্তি দিন।”

    বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের শোকবার্তা

    লুধিয়ানা বিজেপির পক্ষ থেকেও রূপানীর (Vijay Rupani) প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিল্লির মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সিরসা সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানান। বিজেপি নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং লেখেন, “বিজয় রূপানিকে তাঁর জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য চিরকাল মনে রাখা হবে।” উল্লেখ্য, তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং পাঞ্জাব বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

    এবিভিপি থেকে শুরু হয় সাংগঠনিক যাত্রা

    বিজয় রূপানির সাংগঠনিক যাত্রা শুরু হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মাধ্যমে। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন প্রচারক হন। পরে তিনি জনসংঘের সদস্য হন এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম দিন থেকেই সদস্যতা গ্রহণ করেন।

    পেশাগত জীবনে আইনজীবী, জরুরি অবস্থায় কারারুদ্ধ

    ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় তিনি কারারুদ্ধ হন বলে জানা যায়। পেশাগত জীবনে বিজয় রূপানি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ছিলেন এবং পরবর্তীকালে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। জীবনে প্রথম তিনি রাজকোট পুরসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    জন্ম হয় মায়ানমারে, ছিলেন মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ

    বিজয় রূপানির জন্ম একটি জৈন ব্যবসায়িক পরিবারে, মায়ানমারে। ১৯৬০ সালে তাঁর পরিবার ভারতে ফিরে আসে। এরপর থেকেই তিনি জনসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিজয় রূপানি দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে কাজ করেন। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন প্রথমবার রাজকোট থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তখন বিজয় রূপানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তৎকালীম মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জেতাতে।

    ২০১৬ সালে হন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী

    পরবর্তীকালে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি রাজ্যের পর্যটন দফতরের চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজ্য বিজেপিতে তিনি নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেন। পরে তাকে দিল্লিতে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবেও পাঠানো হয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় আনন্দীবেন প্যাটেলকে। ঠিক দুই বছর পরে, ২০১৬ সালে বিজয় রূপানি আনন্দীবেন প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই তার নাম প্রস্তাব করে।

    ২০১৭ সালের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি

    ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই জয় পায় বিজেপি। পুনরায় গুজরাটে সরকার গঠন করে গেরুয়া শিবার। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে, অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share