Blog

  • Daily Horoscope 16 September 2025: সবাই প্রশংসা করবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 16 September 2025: সবাই প্রশংসা করবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বিদেশযাত্রার জন্য আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • ITR Filing: আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধির খবর ভুয়ো, সাফ জানাল আয়কর দফতর

    ITR Filing: আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধির খবর ভুয়ো, সাফ জানাল আয়কর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। ৩০ সেপ্টেম্বর আয়কর রিটার্ন ফাইলের (ITR Filing) সময়সীমা বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুলল আয়কর বিভাগ (Income Tax)। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ আর্থিকবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ আজ ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সালের পরে আর বাড়ানো হবে না। ওই রিপোর্টকে জাল বলেও অস্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, আইটিআর দাখিলের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আয়কর দফতর জানিয়েছে, এই ভুয়ো খবরগুলিতে বিশ্বাস করবেন না, আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলের ওপর বিশ্বাস রাখুন।

    আইটিআর ফাইল করতে হবে (ITR Filing)

    অডিট না করা করদাতাদের জরিমানা এড়াতে তাঁদের আইটিআর ফাইল করতে হবে। তবে যেসব করদাতার অ্যাকাউন্ট অডিট করা প্রয়োজন, যেমন, কোম্পানি, মালিকানা এবং কোনও ফার্মে কর্মরত অংশীদার, তাদের ২০২৫-২৬ মূল্যায়ন বর্ষের জন্য ৩১ অক্টোবর, ২০২৫-এর আইটিআর দাখিল করতে হবে। এর আগে তাদের অডিট রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে। অডিট না করা করদাতাদের জন্য আইটিআর দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর মিস করলেও, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ তাদের স্বস্তি দিতে আয়কর বিভাগ ই-ফাইলিং পোর্টালে দেরি হওয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি রেখেছে।

    ছাড় পাবেন কারা

    যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিংবা পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু হয়েছে অথবা অন্য কোনও গুরুতর কারণে জরুরি পরিস্থিতিতে সময় মতো রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি, তখন তাঁদের কোনও জরিমানা বা জরিমানা ছাড়াই দেরিতে রিটার্ন দাখিল করার বিকল্প দেওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে প্রথমে দেরির জন্য ক্ষমা চাওয়ার আবেদন করতে হবে। অনুরোধ গৃহীত হলে কোনও জরিমানা দিতে হবে না। এ ক্ষেত্রে অবশ্য পর্যাপ্ত প্রমাণপত্রও জমা দিতে হবে (ITR Filing)। প্রসঙ্গত, কর আইন অনুসারে যাঁরা ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখটি মিস করবেন, তাঁদের দিতে হবে লেট ফি। বার্ষিক (Income Tax) আয় ৫ লাখ হলে জরিমানা দিতে হবে হাজার টাকা, এর ওপর হলে গুণতে হবে ৫ হাজার টাকা (ITR Filing)।

  • Utkarsh Entrepreneurship: “উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যেই রয়েছে ভারতের গ্লোবাল লিডার হওয়ার যাত্রার চাবিকাঠি”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    Utkarsh Entrepreneurship: “উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যেই রয়েছে ভারতের গ্লোবাল লিডার হওয়ার যাত্রার চাবিকাঠি”, বললেন সঞ্জীব সান্যাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উদ্যোক্তা হওয়ার মধ্যেই রয়েছে ভারতের অর্থনৈতিক উত্থান এবং গ্লোবাল লিডার হওয়ার যাত্রার চাবিকাঠি।” কথাগুলি বললেন সঞ্জীব সান্যাল, ভারত সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। ১৩ সেপ্টেম্বর উৎকর্ষ এন্টারপ্রেনারশিপ কনক্লেভ ২০২৫-এর উদ্বোধনী সেশনে ভাষণ দেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা (Swadeshi Path) হয়েছিল ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ, লঘু উদ্যোগ ভারতী এবং অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের সহযোগিতায় হয়েছে অনুষ্ঠান (Utkarsh Entrepreneurship)। স্বাবলম্বী ভারত অভিযানের অধীনে আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের।

    বেকার সমস্যার সমাধান (Utkarsh Entrepreneurship)

    পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ৪০০-এরও বেশি উদ্যোক্তাদের এই সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় সান্যাল ভারতীয় যুব সমাজের মধ্যে বেকার সমস্যার সমাধান এবং টেকসই জাতীয় উন্নয়ন চালানোর ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “যদি এমন কোনও হাতিয়ার থাকে যা দেশের অর্থনীতির উন্নতি করতে পারে এবং ভারতকে একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তবে তা হল উদ্যোক্তাবৃত্তি।” তিনি বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংস্থাগুলিকেও এই ইকোসিস্টেমকে আরও মজবুত করতে কাজ করে যেতে হবে।” স্বাবলম্বী ভারত অভিযান (দক্ষিণ বঙ্গ প্রদেশ)-এর সমন্বয়ক বটেশ্বর জানা উদ্যোগটির বিস্তারিত দিকটি তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ চার বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উদ্যোগপ্রণোদনা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সম্মেলনে ১৮০-এরও বেশি উদ্যোক্তাকে তাঁদের অবদান ও সাফল্যের জন্য সম্মানিত করা হয়।

    উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নির্দেশ

    উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ডঃ ধনপত রাম আগরওয়াল (সারা ভারত সহ-সমন্বয়ক, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ), প্রফেসর সুমন চক্রবর্তী (পরিচালক, আইআইটি খড়গপুর), ডঃ অরবিন্দ চৌবে (পরিচালক, এনআইটি দুর্গাপুর)। উপস্থিত ছিলেন এমএসএমই এবং এনএসআইসির প্রতিনিধিরা। তাঁরা উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যত বৃদ্ধির সুযোগ নির্ধারণ বিষয়ে নির্দেশ দেন। প্রযুক্তিগত অধিবেশনে এমএসএমই, এনএসআইসি, সিডবিআই, এসবিআই, পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাংক, ব্যাংক অফ মহারাষ্ট্র, সেন্ট্রাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং কানাড়া ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যেগুলি উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শের মাধ্যমে সাহায্য করতে প্রস্তুত (Utkarsh Entrepreneurship)।

    মূল অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সতীশ কুমার (সমগ্র ভারত সংগঠক, স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ) বলেন, “বিশ্ব এখন ভারতকে ‘তৃতীয় পথ’ হিসেবে দেখছে, যা শান্তি ও টেকসইয়ের ভিত্তিতে নির্মিত। স্বদেশি জিনিসপত্র ব্যবহার ভারতের উত্থানের পথ প্রশস্ত করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। যদি ভারতীয়রা দেশীয় পণ্য ব্যবহার শুরু করেন এবং বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনেন, তাহলে ভারত (Swadeshi Path) একটি গ্লোবাল অর্থনৈতিক মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, এটা দূর ভবিষ্যতের কথা নয়।” তিনি বলেন, “বিশ্বায়ন যখন শক্তি হারাচ্ছে, তখন আত্মনির্ভরতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা নতুন বিশ্বব্যবস্থার সংজ্ঞা নির্ধারণ করবে (Utkarsh Entrepreneurship)।”

  • India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়। এশিয়া কাপে রবিবার পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি। যা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। সোমবার এ নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করে বিসিসিআই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে (PTI) দেওয়া এক বিবৃতিতে এক সিনিয়র বিসিসিআই (BCCI) কর্তা বলেন, “আইসিসি-র নিয়মবিধিতে কোথাও বলা নেই যে ম্যাচ শেষে করমর্দন বাধ্যতামূলক। এটি নিছকই এক সৌজন্যমূলক রীতি। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বাস্তবতায় খেলোয়াড়দের এমন সৌজন্য প্রকাশে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।”

    কোনও অভিযোগ এখনও আসেনি

    পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগ, তৃতীয় কোনও পক্ষের নির্দেশেই নাকি ভারত এই কাজ করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে যে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি দলের সঙ্গে করমর্দন (হাত মেলানো) করতে অস্বীকার করেছেন। পিটিআইয়ের সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনার পর পিসিবি বিষয়টি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। তবে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই (BCCI) জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি। বিসিসিআইয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, “করমর্দন না করা কিংবা ডোর ক্লোজ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিসিসিআই-এর কাছে এসিসি থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আসেনি।”

    গম্ভীর ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দল ও কোচিং স্টাফরা একটি আলোচনায় বসেন। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। তিনি নাকি প্লেয়ারদের বলেছিলেন, “সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকো। বাইরের চিৎকারে কান দিও না। তোমাদের কাজ ভারতের হয়ে খেলা। পহেলগাঁওয়ে কী হয়েছে ভুলে যেও না। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলাবে না, বাড়তি গুরুত্ব দেবে না। শুধু যাও, নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাও।” এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি বরং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা হয়। গম্ভীর আগেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছিলেন, “যতদিন না সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছে, ততদিন কোনও ধরনের ক্রীড়া সম্পর্ক নয় পাকিস্তানের সঙ্গে।”

    হেরে গিয়ে বিচিত্র অভিযোগ পাকিস্তানের

    এশিয়া কাপে ম্যাচ হেরেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের অপসারণ দাবি করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইতিমধ্যে জয় শাহর আইসিসি- কাছে চিঠি দিয়েছে পিসিবি। ভারতীয় দলকে এই ম্যাচে পাইক্রফ্ট টেনে খেলিয়েছেন বলে দাবি করল পিসিবি। আম্পায়ারকে এশিয়া কাপের দায়িত্ব থেকে এখনই সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে পিসিবির তরফে। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে সলমান আগার দল। মাঠের লড়াই পারেনি। ফলে ম্যাচের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটারদের হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু করেছে। এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

    এশিয়া কাপ থেকে সরবে পাকিস্তান

    সূত্রের খবর, ভারতের আচরণে এতই অপমানিত পাক দল, যে সূর্যকুমারদের বিরুদ্ধ পদক্ষেপ না করলে চলতি এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারে পাকিস্তান। এই বিষয়ে তারা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (ACC) ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে বলে খবর সামনে এসেছে। রবিবার ছিল এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) মঞ্চে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মহাযুদ্ধ। মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান (IND vs PAK)। সমগ্র ম্যাচ জুড়েই ছিল একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত। তবে ক্রিকেটের লড়াইয়ে প্রথম থেকে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) দল এগিয়ে ছিল। ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে জায়গা কার্যত পাকা করে নিয়েছে ব্লু ব্রিগেডরা। কোনো সময়েই সালমান আলী আগার (Salman Ali Agha) দল ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ পাইনি। অন্যদিকে ম্যাচে কোনভাবেই সৌজন্য দেখায়নি ব্লু ব্রিগেডরা। মাঠের বাইরে গ্যালারিতেও চলছে লড়াই। সেখানেও এগিয়ে ভারত। খেলা যত গড়াচ্ছে তত ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে গ্যালারি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই লড়াই ভারতীয় ক্রিকেটার ও সমর্থকদের কাছে যুদ্ধের থেকে কম নয়।

    ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা

    উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনা এবং আবেগে ভরপুর থাকে। পহেলগাঁও হামলার পর রবিবারের ম্যাচে সেই উত্তেজনা স্পষ্ট ছিল। এমনকি দলের স্কোয়াড তালিকাও দুই অধিনায়কের মধ্যে সরাসরি বিনিময় না করে সরাসরি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজার নাভেদ চীমা পরে দাবি করেন, ভারতীয় দলের করমর্দনে অনীহার কথা মাথায় রেখেই রেফারি স্বয়ং পাকিস্তানের খেলোয়াড় সালমান আলি আগাহ-কে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে করমর্দন করতে বারণ করেন। আগামী অক্টোবরে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। তার আগে এশিয়া কাপেও সুপার ফোরে ফের ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে। এখন সেই ম্যাচগুলোতে কী হয় তার দিকেই নজর। তবে আপাতত, পাকিস্তান ম্যাচে ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা। ব্যাটে-বলে বদলাও নিয়েছেন বাইশ গজে।

  • Mohan Bhagwat: “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি, কিন্তু কোনও দেশ জয় করিনি”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি, কিন্তু কোনও দেশ জয় করিনি”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমরা কোনও দেশ জয় করিনি, কারও ব্যবসার ক্ষতি করিনি, কাউকে পরিবর্তন করিনি, কাউকে ধর্মান্তরিতও করিনি। যেখানে যেখানে আমরা গিয়েছি, সভ্যতা, জ্ঞান ছড়িয়ে দিয়েছি, শাস্ত্র শিখেছি, জীবন উন্নত করেছি।” রবিবার কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রহ্লাদ প্যাটেল রচিত ‘নর্মদা পরিক্রমা’ গ্রন্থের আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ (India) দিয়ে তিনি বলেন, “ভারত প্রায় ৩ হাজার বছর আগে বিশ্বের নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু কোনও দেশ জয় করেনি, বা কারও ব্যবসা নষ্ট করেনি। সেই সময় পৃথিবীতে কোনও বিবাদ ছিল না। উচ্চ প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সত্ত্বেও পরিবেশেরও অবনতি হয়নি।”

    প্রতিটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ছিল (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস প্রধান বলেন, “সেই সময় প্রতিটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ছিল। সব কিছু ছিল। তাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগও ছিল। আজকাল তা আর নেই।” তিনি ভারতকে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবেও উল্লেখ করেন। বলেন, “সচেতনতা এবং পবিত্রতার অনুভূতির মাধ্যমে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। সেই সময় ভারত ছিল শ্রেষ্ঠ দেশ। পৃথিবীতে গত ৩ হাজার বছরে কোনও সংঘাত ছিল না। প্রযুক্তিগত অগ্রগতিও খুবই উন্নত ছিল। যদিও পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয়নি। মানবজীবন ছিল সুখী ও সংস্কৃতিপূর্ণ।”

    ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ

    শুক্রবারই এক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “ভয় থেকে ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “বিশ্ব শক্তিগুলি ভারতের এই উত্থিত শক্তি নিয়েই চিন্তিত।” আরএসএস প্রধান এই মন্তব্য করেছিলেন নাগপুরে ব্রহ্মাকুমারিজ বিশ্ব শান্তি সারোভারের ৭ম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে। সেখানেও তিনি বিশ্বে ভারতের ভূমিকা এবং সমষ্টিগত চিন্তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। সেদিন কোনও দেশের নাম না নিয়েই ভাগবত বলেছিলেন, “মানুষ ভয় পায় যদি অন্য কেউ বড় হয়ে যায়। যদি ভারত বড় হয়, তারা কোথায় থাকবে? এজন্য তারা শুল্ক আরোপ করেছে।” তাঁর যুক্তি, শুল্ক আরোপ ভারতের দোষ নয়, বরং এটি করা হয়েছে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের বিস্তৃত অবস্থান নিয়ে ভয় থেকেই। আরএসএস প্রধান বলেন, “আমরা কিছুই বলিনি। তারা তাকে তুষ্ট করছে, যারা সবটা করেছে। কারণ যদি এটি তাদের হাতে থাকে, তবে তারা ভারতের (India) ওপর সামান্য চাপ প্রয়োগ করতে পারে।” তিনি বলেন, “এমন পদক্ষেপগুলি স্বার্থকেন্দ্রিক মানসিকতার ফল।”

    চার্চিলের প্রসঙ্গও টানেন ভাগবত

    বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের প্রসঙ্গও টানেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “চার্চিল বলেছিলেন স্বাধীন ভারত টিকে থাকবে না, বিভক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু আজ ভারত সেই সব ভবিষ্যদ্বাণীকে ভুল প্রমাণ করছে। ব্রিটিশ শাসনের পরেও ঐক্যবদ্ধ থেকে ভারত বদলে দিয়েছে ইতিহাসের ধারাকে।” তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল ভারত সেই সব পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণ করছে, যারা এই দেশকে দুর্বল ও ভাগ হতে দেখে মন গড়া মন্তব্য করেছিল।” ইংল্যান্ডের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভাগবত বলেন, “এখন ইংল্যান্ড নিজেই বিভাজনের পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ভারত বিভক্ত হবে না। আমরা একবার বিভক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা একে আবারও ঐক্যবদ্ধ করব (India)।” তাঁর মতে, ভারতের উন্নয়ন ও ঐক্য তার নাগরিকদের আস্থা এবং কর্মপরায়ণতার ওপর নির্ভরশীল (Mohan Bhagwat)।

    সংঘচালকের বক্তব্য

    সংঘচালক বলেন, “৩ হাজার বছর ধরে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল ভারত। তখন পৃথিবী ছিল সংঘর্ষমুক্ত। ব্যক্তিগত স্বার্থ ও অহংকারই পৃথিবীর সব সমস্যা ও সংঘর্ষের মূল কারণ।” তিনি বলেন, “ভারত সব সময় কর্ম, যুক্তি এবং আস্থার সমন্বয় সাধন করে। তাই আজও তামাম বিশ্ব একে অন্য চোখে দেখে। আজও এর একটা আলাদা পরিচয় আছে।” জীবনকে নাটকের সঙ্গে তুলনা করে ভাগবত বলেন, “আমরা সবাই এই জীবনরূপী নাটকের অভিনেতা। আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভূমিকা পালন করি। নাটক শেষ হলেই আমাদের আসল স্বরূপ প্রকাশ পায়।” তিনি বলেন, “ভারতের ভবিষ্যৎও এই ভারসাম্য ও কর্মপরায়ণতার ওপর নির্ভরশীল।” তাঁর সাফ কথা, “ভারতের পরিচয় শুধু ক্ষমতা কিংবা শক্তিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কর্ম, যুক্তি ও আস্থার সঙ্গে জড়িত।” ওযাকিবহাল মহলের মতে, এদিনের (India) বক্তব্যে কারও নাম না নিলেও, ভাগবত স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারত অন্যান্য বিশ্বশক্তির চেয়ে একেবারেই আলাদা (Mohan Bhagwat)।

  • Calcutta High Court: খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে নতুন একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। এই বোর্ডকে এসএসকেএম হাসপাতালের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে পাওয়া আঘাতগুলির ব্যাখ্যা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    ১২ জুলাই রহস্যমৃত্যু হয়

    গত ১২ জুলাই খেজুরির এক মেলায় সুজিত দাস ও সুজিত পাইক নামে দুই বিজেপি কর্মীর (BJP Workers) মৃত্যু হয়। প্রথমে তমলুক মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁদের খুন করা হয়েছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়ে—একজনের শরীরে ২৪টি এবং অন্যজনের শরীরে একাধিক আঘাতের দাগ পাওয়া যায়। সেই থেকেই খুনের অভিযোগ ফের জোরদার হয়।

    ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে

    সোমবার আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছে, নতুন মেডিক্যাল বোর্ডকে জানাতে হবে, ওই আঘাতগুলির মধ্যে কোনটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সেইসঙ্গে পুরো রিপোর্ট নিয়ে স্পষ্ট মতামতও জমা দিতে হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে (Calcutta High Court) সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এর আগেও এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট তদন্তকারী অফিসার, প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, থানার ওসি ও মেলা কমিটির সদস্যদের মোবাইল কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি আদালতকে জানায়, প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক তদন্তকারী অফিসারকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন। এ নিয়ে বিচারপতি বসাক প্রশ্ন তুলেছিলেন—“তদন্তকারী আধিকারিক কেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করবেন?” প্রসঙ্গত, এসএসকেএমের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল—মৃত্যুর কারণ শুধু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া নয়, শরীরে আঘাতের (BJP Workers) চিহ্নও রয়েছে। সেই কারণেই ফের নতুন মেডিক্যাল বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে আদালত।

  • Maoist Leader: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এনকাউন্টারে খতম সহদেব-সহ ৩ মাওবাদী

    Maoist Leader: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এনকাউন্টারে খতম সহদেব-সহ ৩ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই তেলঙ্গানা পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন প্রয়াত মাওবাদী কিষেনজির স্ত্রী সুজাতা। তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। কয়েক দশক ধরে নিখোঁজ থাকার পর শেষমেশ আত্মসমর্পণ করেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির ওই নেত্রী (Maoist Leader)। সুজাতা আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তবে সোমবার এনকাউন্টারে খতম হল তিন মাওবাদী। এদের মধ্যে একজনের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। তিনিও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর নাম সহদেব সোরেন (Sahadev Soren)।

    ঝাড়খণ্ডেও মাওবাদী দমন অভিযান (Maoist Leader)

    সোমবার ছত্তিশগড়ের পর ঝাড়খণ্ডেও মাওবাদী দমন অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সহদেবের মাথার দাম ছিল কোটি টাকা। অনেক দিন ধরেই তাঁকে খুঁজছিল যৌথবাহিনী। শেষমেশ ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে তাঁর হদিশ পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তার পরেই শুরু হয় অভিযান। এদিন সকাল ৬টায় জঙ্গলে ঢুকে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয় দু’পক্ষে গুলির লড়াই। তাতেই নিকেশ হয় সহদেব। শীর্ষ এই মাওবাদী নেতা ছাড়াও এদিন নিকেশ করা হয়েছে আরও দুই মাওবাদীকে। এদের একজনের নাম রঘুনাথ হেমব্রম ওরফে চঞ্চল, আর অন্যজন হলেন বীরসেন গানঝু ওরফে রামকেলাওয়ান। রঘুনাথ ছিলেন বিহার-ঝাড়খণ্ড বিশেষ এরিয়া কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। বীরসেন ছিলেন ওই এলাকারই জোনাল কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা (Maoist Leader)।

    খতম সনাতন-সহ তিন মাওবাদী

    ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ সনাতন ওই এলাকায় রয়েছে শুনেই অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। কোবরা ব্যাটেলিয়ান, গিরিডি থানা ও হাজারিবাগ থানার পুলিশ। তারা সটান চলে যায় সীমানা ঘেঁষা কারান্ডি গ্রামে। সেখানেই চলে অভিযান। শুরু হয় গুলির লড়াই। খতম হন সনাতন-সহ তিন মাওবাদী। এনকাউন্টার শেষে নিরাপত্তাবাহিনী গভীর জঙ্গল থেকে খতম হওয়া তিন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করেছে। সূত্রের খবর, ওই এলাকার গভীর জঙ্গলে এখনও চলছে তল্লাশি অভিযান।

    প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদীমুক্ত ভারত (Sahadev Soren) গড়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পরেই গত চার মাসে মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির তিন সদস্যকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তাবাহিনী (Maoist Leader)।

  • PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সামরিক নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরের সম্মেলন শুরু হল কলকাতায়। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম দেশের তিন বাহিনী যৌথ সেনা কমান্ডাররা সম্মেলনে অংশ নিলেন। ‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi at Fort William)। সোমবার ফোর্ট উইলিয়ামে (বর্তমান নাম বিজয় দুর্গ) তিনদিনব্যাপী সেনা সম্মেলনে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে সেনা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। বক্তব্য-বৈঠক শেষে দুপুর ২ টো নাগাদ কলকাতা থেকে আকাশপথে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন নরেন্দ্র মোদি।

    বিজয় দুর্গে বিশেষ বৈঠকে মোদি

    কলকাতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিজয় দুর্গে (সাবেক ফোর্ট উইলিয়াম) তিন দিনের এই কনফারেন্সের উদ্বোধন করেছেন মোদি (PM Modi at Fort William)। আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে। থাকবেন ভারতের তিন সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান, সেনার উচ্চপদস্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্তারা। রবিবার সন্ধ্যা প্রায় ৭টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি কলকাতা পৌঁছোন। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওনা দেন রাজভবনে। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কোনও কর্মসূচি না থাকলেও মোদিকে দেখতে ভিড় ছিল বিজেপি সমর্থকদের। ভিড় দেখে গাড়ি থামিয়ে হাত নেড়ে জনসংযোগ সারেন মোদি। সেখান থেকে তাঁর ২৪ গাড়ির কনভয় পৌঁছয় রাজভবনে। সেখানেই রাত্রিবাস করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজনাথ সিংও। তিনি রাত কাটান ফোর্ট উইলিয়ামে।

    যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধনে মোদি

    সকালে রাজভবন থেকেই যোগ দেন সম্মেলনে। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বেরোন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi at Fort William)। সাড়ে ৯টায় ঢোকেন বিজয় দুর্গে। সেখানে যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা মোদি বিজয় দুর্গেই ছিলেন। চলতি সম্মেলনের বিষয়বস্তু ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর সংস্কার, রূপান্তর এবং পরিবর্তন। আগামী তিন দিন ধরে সেখানে ভারতীয় সেনার লক্ষ্য এবং কর্মপন্থা নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই সম্মেলনে এদিন ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) অনিল চৌহান, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সচিব-সহ আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের সচিবেরা।

    মোদির এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    উল্লেখ্য, বিজয় দুর্গে মোদির (PM Modi at Fort William) এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। একদিকে অশান্ত বাংলাদেশ। অন্যদিকে চিন সীমান্ত। তার মধ্যে আবার নেপালে পালাবদল। পরিবর্ত পরিস্থিতিতে ‘তিন ফ্রন্টে’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনার স্ট্র্যাটেজি কী হবে, কতটা প্রস্তুত বাহিনী, তা এদিন খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সুপারস্পাই’ অজিত ডোভালের এই বৈঠকে থাকাও ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে সমর বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিরক্ষা আধিকারিকের কথায়, এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য সামরিক কাঠামোয় গভীর সংস্কার, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ এবং বহু-মাত্রিক যুদ্ধ প্রস্তুতির ওপর জোর দেওয়া। জানা যাচ্ছে, সেনার আধুনিকীকরণ এবং পরিকাঠামোগত সরলীকরণ নিয়েও এদিন আলোচনা হয়।

    সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সম্মেলন সেনার তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ চিন্তাভাবনামূলক ফোরাম, যা দেশের শীর্ষ অসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বকে ধারণাগত ও কৌশলগত স্তরে মতামত বিনিময়ের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ৷ অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে, এই বছরের সম্মেলন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ এবারের সম্মেলনে সংস্কার, রূপান্তর, পরিবর্তন এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “তিনদিনের এই সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে ৷ যা ক্রমবর্ধমান জটিল ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় ৷” শেষ সম্মলিত সেনা সম্মলেন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে ভোপালে।

    চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    চলতি বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুজোর আগে ভোটমুখী বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে এলেও তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। দলের কর্মী-সমর্থকদের এই উৎসাহ দেখে গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান মোদিও। কয়েকদিন আগেই মেট্রোর নতুন রুটের উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ফের শহরে মোদি। সোমবারই তিনি কলকাতা থেকে বিহারে যান। সেখানে তিনি ₹৩৬,০০০ কোটিরও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করেন এবং জনসভায় ভাষণ দেন। পাশাপাশি, উত্তর বিহারের বহুপ্রতীক্ষিত বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালেরও উদ্বোধন করেন।

  • Supreme Court: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের ( Waqf Amendment Act 2025) বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, পুরো ওয়াকফ আইন স্থগিত রাখার কোনও যুক্তি নেই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই আইনের কয়েকটি ধারাকে স্থগিত রাখা গেলেও গোটা আইনকে স্থগিত রাখা যায় না। গত ২২ মে ওই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিতে তৈরি হয় সংশোধিত ওয়াকফ আইন, ২০২৫। তারপর দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এই আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আপত্তি তুলে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিজেপি বিরোধী দলগুলি। আদালতে দায়ের হয় মামলা।

    কোন কোন ধারা স্থগিত হল (Supreme Court)

    আইন অনুযায়ী, কেউ ওয়াকফ তৈরি করতে চাইলে অন্তত পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম অনুশীলনকারী হতে হবে—এই ধারা স্থগিত রাখা হয়েছে। আদালত বলেছে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্ধারণের স্পষ্ট নিয়ম হয়নি।

    জেলা কালেক্টর বা প্রশাসক যাতে ওয়াকফ সম্পত্তি সরকারি জমি কি না তা নির্ধারণ করতে পারেন—এই ক্ষমতাও আপাতত বাতিল করা হল। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই স্পষ্ট মন্তব্য করেন, “কালেক্টররা ব্যক্তিগত নাগরিকদের অধিকার নির্ধারণ করতে পারবেন না। এটি ক্ষমতার বিভাজন নীতির পরিপন্থী।”

    অমুসলিমরাও ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ড বা কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্য মনোনয়নের বিধান বহাল থাকছে। তবে আদালতের মত, বোর্ডের ( Waqf Amendment Act 2025) বেশিরভাগ সদস্য যেন মুসলিম সম্প্রদায়ের হন, সেই দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। আদালত স্পষ্ট করেছে, অমুসলিমরাও ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন, কিন্তু নেতৃত্বের দায়িত্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কারও হাতে দেওয়াই উচিত। নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে চারজনের বেশি অমুসলিম সদস্য রাখা যাবে না এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডে অন্য ধর্মীয় সদস্যের সংখ্যা তিনজনের বেশি হওয়া চলবে না। আদালত জানিয়েছে, ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার না হওয়া পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের অধিকার সৃষ্টি করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো তাই স্থগিত থাকবে।

    মামলাকারী আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া

    মামলাকারী আইনজীবী আনাস তানভির বলেন, আদালত প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে কিছু ধারায় সমস্যা আছে। পুরো আইন নয়, শুধু বিতর্কিত অংশই স্থগিত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম চর্চার শর্ত বাতিল হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান

    কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে যুক্তি দিয়েছিল, সংসদে গৃহীত কোনও আইনের ধারা স্থগিত করা উচিত নয়। সংশোধনী মূলত ওয়াকফ সম্পত্তির ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের জন্য, ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর এর কোনও প্রভাব নেই। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ২০১৩ সালের সংশোধনীর আগেই অ-মুসলিমরা ওয়াকফ তৈরি করতে পারতেন না; অতীতে এ নিয়ে প্রতারণার আশঙ্কাও ছিল।

    ওয়াকফ বোর্ডের কার্যপ্রণালীতে স্বচ্ছতা আনতেই এই আইন

    লোকসভায় ২৮৮ জন সাংসদ সমর্থন জানিয়ে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের পক্ষে ভোট দেন, অন্যদিকে ২৩২ জন সাংসদ এর বিরোধিতা করেন। রাজ্যসভায়ও একই চিত্র—সেখানে ১২৮ জন সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেন এবং ৯৫ জন সদস্য বিপক্ষে থাকেন। ভোটাভুটির পর একাধিক রাজনৈতিক দল, মুসলিম সংগঠন এবং এনজিও আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধনের উদ্দেশ্যে এই নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংসদে পাস করানো হয়েছিল। বিজেপির দাবি, সংশোধিত আইন মূলত ওয়াকফ বোর্ডের কার্যপ্রণালীতে স্বচ্ছতা আনতে এবং বোর্ডগুলিতে মহিলাদের বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতেই আনা হয়েছে।

    ১.২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে

    ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে রয়েছে প্রায় ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তি এবং ৯.৪ লক্ষ একর জমি। এই বিপুল সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। ফলে জমির পরিমাণের বিচারে ওয়াকফ বোর্ড ভারতীয় রেলওয়ে ও সশস্ত্র বাহিনীর পর দেশের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিকানা ধরে রেখেছে। বর্তমানে সারা দেশে মোট ৩০টি ওয়াকফ বোর্ড কার্যকর রয়েছে। অতীতে একাধিকবার এনিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। দুর্নীতিমুক্ত ওয়াকফ বোর্ড গড়তেই বিজেপি সরকার এই আইন পাশ করায়।

  • Yusuf Pathan: শেখ শাহজাহান হোক বা ইউসূফ পাঠান, তৃণমূল আর জবরদখল যেন সমার্থক!

    Yusuf Pathan: শেখ শাহজাহান হোক বা ইউসূফ পাঠান, তৃণমূল আর জবরদখল যেন সমার্থক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনি গেরোয় তৃণমূলের (TMC) সাংসদ ইউসূফ পাঠান (Yusuf Pathan)। প্রাক্তন এই ক্রিকেট তারকাকে ‘দখলদার’ তকমা দিল গুজরাট হাইকোর্ট। আদালতের সাফ কথা, বরোদা পুরসভার জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন ইউসূফ। তাই ওই জমি তাঁকে খালি করে দিতে হবে। প্রয়োজনে পুরসভা বুলডোজার চালিয়ে ওই জমি খালি করাতে পারবে। তৃণমূলের আরও এক নেতা সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধেও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মাথায় শাসক দলের আশীর্বাদী হাত থাকায় তিনিও গিলে ফেলেছেন বিঘের পর বিঘে জমি।

    তৃণমূলের সাংসদ ইউসূফ (Yusuf Pathan)

    গুজরাটের বাসিন্দা ইউসূফ। মুসলিম তাস খেলতে গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল। তার জেরে গোহারা হেরে যান ওই কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূলের এহেন নেতার গায়েই লাগল দখলদারের তকমা। গুজরাট আদালতের পর্যবেক্ষণ, “ইউসূফ একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি সেলিব্রিটিও। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের প্রভাব পড়ে সমাজের ওপর। তাই তাঁর আইন মেনে চলা উচিত। উল্টে তিনিই বেআইনি কাজ করছেন।” গুজরাট হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তৃণমূল সাংসদকে আর নোটিশ পাঠাবে না পুরসভা। এর পর জমি খালি না করলে পুরসভা প্রয়োজনে বুলডোজার চালাতে পারবে।

    জমি দখলের অভিযোগ

    বরোদা পুরসভার অধিকৃত ৯৭৮ স্কোয়ার মিটার জমি নিয়েছিলেন পাঠান। পুরসভার অভিযোগ, ওই জমিতে দেওয়াল তুলে জায়গাটি নিজের সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছিলেন তৃণমূলের এই সাংসদ। কাজটি বেআইনি। উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালে পাঠানকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন বরোদা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা তাঁকে জমিটি কিনে নিতে বলেছিলেন। সেজন্য নিলাম করা হবে না। প্রতি বর্গমিটারে ৫৭ হাজার ২৭০ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে পুরসভার ওই অনুমোদন বাতিল করে দেয় গুজরাট সরকার। পাঠান বেআইনিভাবে জমিটি দখল করে রেখেছেন, এই মর্মে তৎকালীন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরেও এত বছর ধরে জমিটি ব্যবহার করে চলেছেন তৃণমূলের এই সাংসদ।

    জমি দখলের অভিযোগ প্রমাণিত

    আদালতে পাঠান (Yusuf Pathan) জানান, বর্তমান বাজারদরে তিনি জমিটি কিনে নিতে ইচ্ছুক (TMC)। এবার আপত্তি জানায় পুরসভা। তাদের দাবি, বিখ্যাত ক্রিকেটার সাংসদ হলেও, জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর জ্ঞান নেই। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে পাঠানের দখল করা জমি পুররুদ্ধারের জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি মউনা ভট্ট। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, “প্রাক্তন ক্রিকেটার যে ওই জমি দখল করে রেখেছেন, তা প্রমাণিত। তাই আইনত পুরসভা তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে।”

    আদালতের নির্দেশ

    পুরসভার তরফেও জমি জবরদখলের জন্য পাঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল একাধিকবার। প্রতিবারই তাঁকে খালি করতে বলা হয় জমিটি। তার পরেও তিনি ছাড়েননি জমির দখলদারি। উল্টে পুরসভার নোটিশের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পাঠান। আদালতের নির্দেশ, পাঠানকে আর কোনও নোটিশ পাঠানো হবে না। তিনি যদি নিজেই জমিটি খালি না করেন, তবে পুরসভা নিজে থেকেই ব্যবস্থা নেবে। অথচ জমিটি (Yusuf Pathan) পেতে কীই না করেছেন তৃণমূলের (TMC) এই সাংসদ। আস্তাবল করতে ওই প্লটটি কিনে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে তিনি আবেদন করেছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। দাবির স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, তিনি ও তাঁর ভাই ইরফান পাঠান দু’জনেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। তবে তার পরেও যে চিঁড়ে ভেজেনি, এদিন গুজরাট হাইকোর্টের রায়েই তা স্পষ্ট।

    পশ্চিমবঙ্গের ছবি

    গুজরাট থেকে এবার চোখ ফেরানো যাক খোদ তৃণমূল-শাসিত পশ্চিমবঙ্গে। এখানেও জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের আরও এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, তিনিও মুসলিম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৃণমূল জমানায় তিনি ও তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিন গায়ের জোরে ফসলের খেত দখল করে বদলে দিয়েছেন জমির চরিত্র। যে জমি এক সময় সবুজ সবজিতে ভরে উঠত, সেই জমির চরিত্র বদলেই বানানো হয়েছে মাছের ভেড়ি। শোনা যায়, ঘনিষ্ঠ (Yusuf Pathan) মহলে শাহজাহান প্রায়ই বলতেন ‘নোনা জলে সোনা ফলে’। সেই ‘সোনা’ ফলাতে গিয়েই তৃণমূলের (TMC) এই নেতা গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছেন স্থানীয়দের জমি-জিরেত। রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডের জেরে শাহজাহান গারদে যেতেই মুখ খুলতে শুরু করেন স্থানীয়দের অনেকেই। বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমি হালদার সেই সময় বলেছিলেন, “আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। শ্বশুরমশাইকে মেরেছে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক বিঘে কৃষিজমি লিখিয়ে নিয়েছে। বাচ্চা দুটোর প্রাণের আশায় আমি কিছু বলিনি।”

    পাঠানকাণ্ডের গুজরাট (Yusuf Pathan) হাইকোর্টের রায়ের পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূল (TMC) আর জবরদখল যেন সমার্থক!

LinkedIn
Share