Blog

  • CM Mamata: মাথার ওপর বকেয়া ডিএ-র বোঝা, খয়রাতির টাকা আসবে কোথা থেকে? ভোটের আগে ঘুম উড়েছে মমতার!

    CM Mamata: মাথার ওপর বকেয়া ডিএ-র বোঝা, খয়রাতির টাকা আসবে কোথা থেকে? ভোটের আগে ঘুম উড়েছে মমতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। একদিকে বিজেপির উত্থান, অন্যদিকে ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়– জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় তৃণমূল নেত্রীর। এবার ব্যাখ্যা করা যাক কী কারণে তাঁর ঘুম উবে গিয়েছে (Nightmare)।

    ‘খয়রাতি’ বন্ধ করা যাবে না (CM Mamata)

    বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে ‘খয়রাতি’ বন্ধ করা যাবে না। বরং ‘অনুদান’ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। খয়রাতি বন্ধ করলে স্বখাত সলিলে ডুববেন তৃণমূল নেত্রী। অতএব, খয়রাতি বন্ধ করা যাবে না। অথচ, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বকেয়া ডিএ-ও শোধ করতে হবে। তাহলে উপায়? এই পথের খোঁজেই সপ্তাহ তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, অর্থ দফতরের শীর্ষকর্তারা এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহচর। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, গুরুত্বপূর্ণ কিছু সামাজিক প্রকল্প (পড়ুন খয়রাতি), বিশেষত, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বাংলার বাড়ি (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার রাজ্যের দেওয়া নাম) এবং অন্যান্য প্রকল্পে আরও নতুন উপভোক্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং কিছু প্রকল্পে অনুদান বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে নয়া রাস্তা নির্মাণ এবং পুরানো রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়নের কাজও শুরু করা হবে।

    খয়রাতির সলতে পাকানোর কাজ শুরু

    ফের ক্ষমতায় ফিরতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী যখন খয়রাতির সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন, ঠিক তখনই বজ্রাঘাতের মতো এল সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ। তাতে বলা হল, রাজ্য সরকারকে ১৩ লাখের বেশি রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীকে বকেয়া ডিএ-র অন্তত ২৫ শতাংশ মেটানোর নির্দেশ দেয়, যার জেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার জোগাড় তৃণমূল সুপ্রিমোর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে রাজ্য সরকারকে মধ্য-অগাস্টের মধ্যে কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের দিতে হবে ১০,৪২২.৭৩ কোটি টাকা। অর্থ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এই ২৫ শতাংশ বকেয়া দেওয়াটাই আমাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হবে। আমরা সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছি যদি অগাস্টে চূড়ান্ত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট পুরো টাকাটা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেটা রাজ্যের আর্থিক কাঠামোকে ভেঙে দেবে এবং বেশ কিছু চলমান প্রকল্প চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে।” তিনি বলেন, “পরবর্তী তিন মাসে আমরা এমনকি ডিএ-র ২৫ শতাংশ (CM Mamata) বকেয়া দেওয়াতেও বিরাট সমস্যায় পড়ব। আমাদের বিভিন্ন প্রকল্প ও যোজনায় বরাদ্দ পুনর্বিবেচনা করতে হবে।”  এক আমলা বলেন, “আমরা অনেক কষ্টে ১০,৪৪২.৭৩ কোটি টাকা শোধ করতে পারি। কিন্তু তার বেশি হলে বর্তমানে যেসব প্রকল্প চলছে সেগুলির জন্য বরাদ্দে ব্যাপক কাটছাঁট করতে হবে (Nightmare)।”

    তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য

    তবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা জানান, রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, যার আওতায় মাসে ওবিসি এবং অন্যান্য সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের ১,০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি/উপজাতি মহিলাদের ১,২০০ টাকা করে দেওয়া হয়, এই প্রকল্পে প্রায় দু’কোটি উপভোক্তা রয়েছেন। এটি থাকবে। তবে অন্যান্য প্রকল্পে ভর্তুকি কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫-২০২৬ অর্থবর্ষের বাজেট অনুযায়ী, শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পেই ২৬,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। চলতি অর্থবর্ষে মোট ৬৬,৩০০ কোটি টাকা বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী বছর শুরুর দিকে মাসিক অনুদান বৃদ্ধির এবং উপভোক্তার সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এখন সেই পরিকল্পনা স্থগিত রাখতে হতে পারে (CM Mamata)।

    ‘বাংলার বাড়ি’

    ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বর্তমানে ১২ লাখ উপভোক্তাকে প্রতিটি পাকা ঘর তৈরির জন্য ১.২ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থ দফতরের এক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পে আরও ৪ লাখ উপভোক্তাকে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু এজন্য খরচ হবে অতিরিক্ত ৪,৮০০ কোটি টাকা, যা রাজ্যের পক্ষে বর্তমানে বহন করা সম্ভব নয়।” তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মতে, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪ লাখ উপভোক্তাকে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হলেও, নতুন উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হতে পারে। একই পরিস্থিতি হবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পেও। আর্থিক সংকটের জেরে ধাক্কা খেতে পারে পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিও। বর্ষা-পরবর্তী সময়ে রাজ্য ও গ্রামীণ সড়কগুলির স্বাভাবিক মেরামতের কাজ ব্যাহত হবে। অন্যান্য পরিকাঠামোগত প্রকল্পের বরাদ্দও কমবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক মন্ত্রী বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো মুখ্য প্রকল্পগুলি চালু রাখাই এখন মূল লক্ষ্য। বাকি প্রকল্পগুলি মার খাবে।” তিনি জানান, যে প্রকল্পগুলির বরাদ্দ কমানো হতে পারে ও টাকা দিতে দেরি হতে পারে (CM Mamata), সেগুলির মধ্যে রয়েছে, কৃষক বন্ধু, ছাত্র ঋণ কার্ড, ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড, বিধবা, তফশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের পেনশন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, শিক্ষাশ্রী, মেধাশ্রী, বাংলা শস্য বিমা, তরুণের স্বপ্ন, সবুজ সাথী, চা সুন্দরী প্রকল্প এবং জল স্বপ্ন। তিনি বলেন, “কল্যাণমূলক প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বরাদ্দে কোনও রকম কাটছাঁট বা দেরি হলে বিরোধীরা নিশ্চিতভাবেই তার সুযোগ নেবে এবং আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে। এর রাজনৈতিক প্রভাব গুরুতর হবে। অনুদান বৃদ্ধি করার বদলে কমানো বা টাকা দিতে দেরি করা হলে আমরা জনসমর্থন হারাব (Nightmare)।”

    মাথায় বিশাল রাজস্ব ঘাটতি

    অর্থনীতিবিদদের মতে, একটি রাজ্যের মোট রাজ্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন চলতি অর্থবর্ষে যেখানে ধরা হয়েছে ২০,৩১,৮০৫ কোটি টাকা, সেখানে ১০,৪২২ কোটির অতিরিক্ত ব্যয় রাজ্যের আর্থিক ভারসাম্যকে খুব একটা নাড়িয়ে দেওয়ার কথা নয়। ঋণ পরিশোধ বাদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩,৪১,৪৬২ কোটি টাকা। এর সঙ্গে যদি আনুমানিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৪৭,৭৩২ কোটি টাকা ধরা হয়, তাহলে মোট বার্ষিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩,৮৯,১৯৪ কোটি টাকা। কিন্তু রাজ্যের মোট রাজস্ব আদায় হতে পারে ২,৬৮,২৮৪ কোটি টাকা। যার ফলে একটি বিশাল রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিগত বছরগুলিতে এই রাজস্ব ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করেছে — চলতি অর্থবর্ষে এটি মোট জিএসডিপির ১.৭ শতাংশ বলে অনুমান করা হয়েছে, যেখানে গত অর্থবর্ষে ছিল ২.৪ শতাংশ। তবে এই ঘাটতি থেকে বেরোতে রাজ্যকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে এবং ব্যয়, বিশেষত অনুদানমূলক ব্যয় কমাতে হবে (CM Mamata)।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য

    এক অর্থনীতিবিদ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা, ছোট ট্যাক্স ভিত্তি, খুবই সীমিত রাজস্ব আদায়, সম্পদ আহরণে অক্ষমতা, আর্থিক বিশৃঙ্খলা ও অযৌক্তিক খরচের কারণে রাজ্য একটি খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “কোনও অপ্রত্যাশিত ব্যয়, যেমন ডিএ-এর বকেয়া মেটানো, রাজ্যের অর্থনীতিতে ধ্বংস নামিয়ে আনে এবং কঠোর বাজেটের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এই শোচনীয় পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণভাবে আর্থিক অপশাসনই দায়ী।” অধ্যাপক দীপঙ্কর বাগ বলেন, “বর্তমান সরকারের অপচয় এবং এমন বড় বিনিয়োগের অভাব যা রাজ্যের রাজস্ব বাড়াতে পারত, কৃষি থেকে ক্রমহ্রাসমান আয় এবং মূলত জীবনধারণমূলক অর্থনীতির কারণে রাজ্যের সামনে এক গুরুতর আর্থিক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।”

    প্রসঙ্গত, নীতি আয়োগ আর্থিক স্বাস্থ্য সূচকে পশ্চিমবঙ্গকে ১৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৬তম স্থানে রেখেছে এবং রাজ্যকে মূলধনী ব্যয়ে অগ্রাধিকার দিতে ও ভালো কর আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে (Nightmare)। নীতি আয়োগ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা কার্যকর করা জরুরি।

    ক্ষমতায় টিকে থাকতে মমতার (CM Mamata) সরকার কি তা করবে?

  • BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    BRICS: চাপ বাড়ল পাকিস্তানের! পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করল ‘বন্ধু’ চিন, ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তানের মুখোশ বিশ্বের দরবারে খুলে দিতে ঘুরছে ভারতের প্রতিনিধি দল (BRICS)। এই আবহে বিশ্বমঞ্চে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল পাকিস্তান। ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত ১০টি দেশেরই সংসদীয় ফোরাম পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করল। একইসঙ্গে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতিতে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর কথাও বলা হল। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ১০ দেশের এই সংসদীয় ফোরামে পাকিস্তানের বন্ধু দেশ চিন ও ইরানও রয়েছে।

    কোন কোন দেশ রয়েছে (BRICS)?

    প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের (BRICS) ব্রাসিলিয়ায় ৪ ও ৫ জুন ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বার্ষিক সংসদীয় ফোরামের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যোগ দেয় ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। সম্মেলনের প্রতিনিধিরা ২ দিন ধরে নানা ইস্যুতে আলোচনা করেন। ভারতের তরফে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নেতৃত্বে একটি সংসদীয় দল এই সম্মেলনে যোগদান করে। ব্রিকসের এই সম্মেলনে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

    নিজের বক্তব্যে কী বললেন ওম বিড়লা

    ওম বিড়লা তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ আজ একটি বিশ্বব্যাপী সঙ্কটে পরিণত হয়েছে, যা কেবল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে।’’ সন্ত্রাস ইস্যুতে তিনি চারটি বড় পদক্ষেপের কথা বলেছেন নিজের বক্তব্যে। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অর্থায়ন বন্ধ করা, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও মসৃণ করা, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা বাড়ানো (BRICS)।

    ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন

    সম্মেলনের একেবারে শেষে ১০ দেশের সংসদের প্রতিনিধিরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানেই পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়। লোকসভা সচিবালয় এনিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় ভারতের পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং ব্রিকসভুক্ত সব দেশের সংসদগুলিও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে (Pahalgam Terror Attack)। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিশ্ব বাণিজ্য, আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

  • Ram Mandir: ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক’’, বললেন চম্পত রাই

    Ram Mandir: ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক’’, বললেন চম্পত রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জুন অযোধ্যায় রাম দরবারের আটটি মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এই আবহে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সহ-সভাপতি শ্রী চম্পত রাই অর্গানাইজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাম মন্দিরের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় তাৎপর্য তুলে ধরেন (Ram Mandir)। তাঁর মতে, ‘‘রামমন্দির হল সভ্যতার ধ্বনি ও জাতীয় গৌরবের প্রতীক।’’

    এটি ভারতবর্ষের আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের প্রতীক

    চম্পত রাই বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের তাৎপর্য শুধুমাত্র ধর্মীয় দিকেই নেই এটি একটি সভ্যতার প্রতীক। ভারতের জাতীয় গৌরবের পুনরুত্থান সম্ভব হয়েছে এই মন্দির নির্মাণের মাধ্যমে। এপ্রসঙ্গে তিনি ইতিহাসও টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘‘১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে রাম মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল এবং আজ আমরা তা পুনরায় স্থাপন করেছি। এটি ভারতবর্ষের আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের প্রতীক।’’ তিনি (Champat Rai) বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের পুনরুত্থান লক্ষ লক্ষ ভক্তের বিশ্বাস ও মর্যাদার এক জীবন্ত দলিল। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে মন্দির পরিচালনা করছে। ভক্তদের সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, নির্মাণ পরিকাঠামোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, শৃঙ্খলা, ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, ভক্তদের বিশ্রামাগার ইত্য়াদি সবই রয়েছে।

    স্থানীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি (Ram Mandir)

    রাম মন্দিরকে (Ram Mandir) কেন্দ্র করে অযোধ্যার স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলেও তিনি জানান। চম্পত রাইয়ের (Champat Rai) মতে, ২০১৯ সালের আগে প্রতিদিন ২০০০ থেকে ৪০০০ মানুষ অযোধ্যায় আসতেন। কিন্তু ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর প্রতিদিন প্রায় চার লক্ষ তীর্থযাত্রী মন্দির পরিদর্শনে আসতে শুরু করেন সেই সময়টাতে। এর ফলে অযোধ্যায় ব্যাপক অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে বলেও জানান তিনি।

    বেড়েছে দিন মজুরদের রোজগার

    তাঁর মতে, রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পর থেকেই অযোধ্যার স্থানীয় শ্রমিকদের রোজগার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাঁরা দিনমজুরের কাজ করেন, তাঁরা এখন প্রতিদিন প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছেন। এ থেকেই বোঝা যায়, রাম মন্দির নির্মাণের ফলে অযোধ্যায় কতটা অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘রাম মন্দিরকে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ভুল হবে এটি ভারতের জাতীয় গৌরবের প্রতীক।’’

  • Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন যে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Election) অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে বাংলাদেশের বিএনপি সহ প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবি করেছিল। তবে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের দাবিকে উপেক্ষা করলেন ইউনূস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে আসলে এভাবেই সময় কিনতে চাইছেন ইউনূস। একারণেই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের পরিবর্তে, ২০২৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

    শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দলের সমর্থন ইউনূসের সিদ্ধান্তকে

    বাংলাদেশের অন্যতম সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি) ইউনূসের ২০২৬ এপ্রিলের নির্বাচনের ঘোষণাকে সমর্থন করেছে। তারা জানিয়েছে, জুলাই মাসের ঘোষণা ও অন্যান্য সংস্কারমূলক কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে এপ্রিলেই নির্বাচন হলে অসুবিধা নেই।

    ইউনূসের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন ঢাকার শিক্ষাবিদ (Bangladesh Election)

    তবে ইউনূস (Md Yunus) যখন এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন, তিনি কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি। এনিয়েই ঢাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রেজাউল রহমান লেনিন এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অচলাবস্থা এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী আইন রয়েছে। এ কারণে মনে হয় না ইউনূস সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন (Bangladesh Election) পরিচালনা করতে পারবে।”

    বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশেই ৮ মাস দেশ শাসন ইউনূসের

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হয়। জামাতদের ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। দেশ ছাড়েন হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। এর পর মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন (Bangladesh Election)। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সরকারকে ঘিরে নানা বিতর্ক দেখা গেছে। দেশে বেড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেকারত্ব এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচারের কারণে মুখ পুড়েছে ইউনূস সরকারের। প্রায় ৮ মাস এই বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশের মধ্যেই ইউনূস সরকার দেশ শাসন করছে।

    সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ছাত্ররা

    ইউনূসের ঘোষণার আগে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জানিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্রদের দল এনসিপি দাবি তুলেছে, নির্বাচন কমিশনকে যেন বিএনপির প্রভাব মুক্ত হয়। তারা সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে। এরপরে নির্বাচন করাতে চায় ছাত্ররা। অন্যদিকে, বিএনপি সমেত প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চায়।

    বিএনপির তাড়াহুড়োর কারণ (Bangladesh Election)

    বিএনপির এত তাড়া কিসের? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ এখন দুর্বল অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশে। একটা সময়ে আওয়ামি লিগের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিএনপি। এই সুযোগ নিয়ে বিএনপি মসনদ দখল করতে চাইছে বাংলাদেশে। বিএনপির আশঙ্কা, সময় যত পেরিয়ে যাবে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে।

    সেনাপ্রধান কী বলেছিলেন?

    এদিকে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী গত ৫ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিলম্ব করার অভিযোগ আনেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বিএনপি নয়, দেশের প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চাইছে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানও ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, একটি নির্বাচিত সরকারই নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম।

    শীতকালে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    সম্প্রতি মহম্মদ ইউনূস তাঁর উপদেষ্টা পরিষদকে জানিয়েছিলেন যে তিনি পদত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়। তবে পরে তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হওয়া প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশে শীতকালই নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরীক্ষা চলে, ফলে শিক্ষকরাও ব্যস্ত থাকেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলিতেও লাগাম টানা হয়। তা সত্ত্বেও ইউনূস সরকার সরাসরি ঘোষণা করেছে যে নির্বাচন এপ্রিল মাসেই অনুষ্ঠিত হবে।

  • African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    African Swine Fever: করোনা আবহে ভারতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার হানা! কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে আতঙ্ক! কয়েক বছর আগের স্মৃতি এখনো তাজা! আর তার মধ্যেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ আবার বাড়ছে। তাই বাড়ছে আতঙ্ক! কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। আর তার মধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে নতুন রোগ। আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) দেশে ছড়িয়েছে। আর তার জেরেই বাড়তি উদ্বেগ।

    আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার কী?

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (ASF Alert in India) একটি সংক্রামক রোগ। জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দির মতো সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বরের উপসর্গ এই রোগে প্রথমে জানান দেয়। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন ফুসফুস, লিভার এবং হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে।

    ভারতের কোথায় এই সংক্রমণ হয়েছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের এক গ্রামে এই রোগের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ওই গ্রামে মূলত পশু পালন করেই অধিকাংশ মানুষ জীবন নির্বাহ করেন। দিন কয়েক আগেই কয়েকজন এই আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। গোটা গ্রামে ‘প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে গ্রামবাসীদের গ্রামের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েক দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) মূলত পশুবাহিত রোগ। অর্থাৎ, পশুর দেহেই এই রোগ ছড়ায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মূলত শুয়োরের দেহ থেকে এই রোগের ভাইরাস মানুষের দেহে পৌঁছয়। আর সেখান থেকেই সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অসমের যে গ্রামে এই রোগে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও শুয়োর থেকেই মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

    কতখানি বিপজ্জনক এই রোগ?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) যথেষ্ট বিপজ্জনক। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়লে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সংক্রমণ রুখতে সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশেষ করে করোনা আবহে আরও বাড়তি সতর্কতা জরুরি (ASF Alert in India) বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে ফেরার পথে অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষত, যারা পশু পালনের কাজ করেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার হাত পরিষ্কার রাখা এবং কাজের শেষে ঘরম জলে ভালোভাবে স্নান করা দরকার। যাতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ভিড় এলাকায় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা জরুরি। কারণ নাক ও মুখের মাধ্যমেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। তাই করোনা হোক বা আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার, যেকোনও সংক্রামক রোগ রুখতে মাস্ক সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    খাবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) পশুর শরীর থেকেই মানুষের শরীরে পৌঁছয়। তাই যেখানে-সেখানে মাংসের তৈরি পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে পোর্কের পদ খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। যাতে স্বাস্থ্যের বাড়তি জটিলতা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রেখেই খাওয়া-দাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

  • Elon Musk: ভারতে ছাড়পত্র পেল ইলন মাস্কের সংস্থা, কবে থেকে মিলবে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা?

    Elon Musk: ভারতে ছাড়পত্র পেল ইলন মাস্কের সংস্থা, কবে থেকে মিলবে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পরিষেবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ইলন মাস্কের (Elon Musk) সংস্থা স্টারলিঙ্ককে ছাড়পত্র দিল ভারত সরকার। ভারতে ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স পেয়ে গেল স্টারলিঙ্ক (Starlink)। ২০২২ সাল থেকে এই লাইসেন্সের জন্যই অপেক্ষা করছিল সংস্থাটি। শুক্রবারই জানা গিয়েছে, ভারতের টেলিকম মন্ত্রক স্টারলিঙ্ককে লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা মাস্কের সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট

    স্টারলিঙ্ক হল একটি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই সংস্থা দূরদুরান্তে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বাজারে তারা প্রবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবং আরও কিছু কারণে বার বার স্টারলিঙ্কের সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া পিছিয়ে গিয়েছে। শেষমেশ মিলল ছাড়পত্র। তবে এখনও অ্যামাজনের কুপিয়েরকে লাইসেন্স দেয়নি কেন্দ্র।

    লো আর্থ অরবিট

    স্টারলিঙ্কের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, লো আর্থ অরবিট-এ অবস্থিত ছোট ছোট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দেয় মাস্কের এই সংস্থা। প্রসঙ্গত, ভূপৃষ্ঠের ১৬০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে কক্ষপথগুলিকে লো আর্থ অরবিট বলা হয়। নিচু অবস্থানের কারণে এই স্যাটেলাইট থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া যায়। ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্ক (Starlink) ব্যবসা শুরু করলে ইন্টারনেট পরিষেবা আরও জোরদার হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে স্টারলিঙ্কের অধীনে রয়েছে ৬ হাজার ৭৫০টি স্যাটেলাইট। তামাম বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ স্টারলিঙ্কের (Elon Musk) এই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

    প্রসঙ্গত, ভারতের অন্যতম প্রধান দুই টেলিকম তথা ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থা এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিওর সঙ্গে ইতিমধ্যেই স্টারলিঙ্কের চুক্তি হয়েছে। ভারতের বাজারে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট আনার জন্য গত মার্চে মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছিল এয়ারটেল। পরে মুকেশ আম্বানিরাও একই চুক্তি করেন। তবে উভয়ক্ষেত্রেই চুক্তি ছিল শর্তাধীন। বলা হয়েছিল, ভারত সরকারের ছাড়পত্র পেলে তবেই স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট এ দেশে ব্যবহার করবে এয়ারটেল বা জিও। শেষমেশ (Starlink) মিলল সেই কাঙ্খিত ছাড়পত্র (Elon Musk)।

  • Ramakrishna 373: অভ্যাসযোগ! রোজ তাঁকে ডাকা অভ্যাস করতে হয়

    Ramakrishna 373: অভ্যাসযোগ! রোজ তাঁকে ডাকা অভ্যাস করতে হয়

    ঠাকুর এখন ভাবাবস্থায় আছেন। কাছে গ্লাস করা জল ছিল, পান করিলেন। তিনি আপনা আপনি বলিতেছেন, ওইভাবে তো জল খেয়ে নিলুম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- শ্রীযুক্ত অতুল- ব্যাকুলতা

    এখনও সন্ধ্যা হয় নাই। ঠাকুর গিরিশের (Kathamrita) ভ্রাতা শ্রীযুক্ত অতুলের সহিত কথা কহিতেছেন। অতুল ভক্ত সঙ্গের সম্মুখেই বসিয়া আছেন। একজন ব্রাহ্মণ প্রতিবেশীও বসিয়া আছেন। অতুল হাইকোর্টের উকিল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (অতুলের প্রতি)- আপনাদের এই বলা, আপনারা দুই করবে সংসারও করবে, ভক্তি যাতে হয় তাও করবে।

    (ব্রাহ্মণ প্রতিবেশী)- ব্রাহ্মণ না হলে কি সিদ্ধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- কেন কলিতে শূদ্রের ভক্তির কথা আছে। শবরী, রুইদাস, গুহক চন্ডাল এসব আছে।

    নারায়ণ (সহাস্যে)- ব্রাহ্মণ শূদ্র সব এক।

    ব্রাহ্মণ- এক জন্মে কি হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তাঁর দয়া হলে কিনা হয়। হাজার বছরের অন্ধকার ঘরে আলো আনলে কি, একটু একটু করে অন্ধকার চলে যায়, একেবারে আলো হয়।

    (অতুলের প্রতি)- তীব্র বৈরাগ্য চাই। (Ramakrishna) যেন খাপ খোলা তরোয়াল। সে বৈরাগ্য হলে আত্মীয় কালসাপ মনে হয়, গৃহ পাতুকুয়া মনে হয়।

    আর আন্তরিক ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকতে হয়। আন্তরিক ডাক তিনি শুনবেনই শুনবেন।

    সকলে চুপ করিয়া আছেন। ঠাকুর যাহা বলিলেন এক মনে শুনিয়া সেই সকল চিন্তা করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (অতুলের প্রতি)- কেন এমন আঁট বুঝি হয় না, ব্যাকুলতা।

    অতুল- মন কই থাকে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- অভ্যাসযোগ! রোজ তাঁকে ডাকা অভ্যাস করতে হয়।  একদিনে হয় না (Kathamrita), রোজ ডাকতে ডাকতে ব্যাকুলতা আসে।

  • Daily Horoscope 07 June 2025: দাম্পত্য জীবন আনন্দে কাটবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 07 June 2025: দাম্পত্য জীবন আনন্দে কাটবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রেম জীবনে কিছু অবসাদ থাকবে।

    ২) দান-পুণ্যের কাজে অর্থ ব্যয় করবেন।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষককে নিজের কথা বোঝানোর সুযোগ পাবেন।

    বৃষ

    ১) পরিজনদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ কোনও সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) সন্তান বা ভাই-বোনের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত সংবাদ হতে পারে এটি।

    মিথুন

    ১) ছাত্রছাত্রীরা কেরিয়ার গড়ে তোলার চেষ্টা করলে সফল হবেন।

    ২) অনাবশ্যক ব্যয় বাড়বে।

    ৩) ব্যস্ততা সত্ত্বেও দাম্পত্য জীবনের জন্য সময় বের করবেন।

    কর্কট

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    ২) অসহায়দের যথাসম্ভব সাহায্য করবেন।

    ৩) মানসিক শান্তি পাবেন।

    সিংহ

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    ২) খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়বে, আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

    কন্যা

    ১) পারিবারিক জীবনে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা সমস্যা সমাপ্ত হবে।

    ২) সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করবেন।

    ৩) সপরিস্থিতির কারণে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে আয়ের নতুন উৎস তৈরি হবে।

    ২) সমাজে বিশেষ সম্মান পাবেন।

    ৩) বন্ধুর সংখ্যা বৃদ্ধি হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ধন, সম্মান ও যশ বৃদ্ধি হবে।

    ২) সন্তানের ভবিষ্যতের কারণে অর্থ ব্যয় করতে পারেন।

    ৩) বিদেশ যাত্রার সুযোগ পাবেন।

    ধনু

    ১) পারিবারিক কারণে অর্থ ব্যয় করবেন।

    ২) আর্থিক লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) আদালতে আনাগোনা বাড়তে পারে।

    মকর

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    ২) ধর্মীয় কাজে সময় কাটাবেন।

    ৩) ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি কষ্টজনক।

    ২) শরীরের কোনও অংশে ব্যথা হবে।

    ৩) অর্থ ব্যয় হবে।

    মীন

    ১) দাম্পত্য জীবন আনন্দে কাটবে।

    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারেন।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।..

  • PM Modi: জি৭ সামিটে কানাডায় আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    PM Modi: জি৭ সামিটে কানাডায় আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ জি৭ (G7 Summit ) সামিটে আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কানাডায় হবে এই সম্মেলন। এই সম্মেলনেই যোগ দিতে মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। এই বৈঠকে ভারতের যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। শেষমেশ কানাডা থেকে এল আমন্ত্রণ। এবং সে খবর জানালেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। শুধু তাই নয়, খালিস্তানি কাঁটায় দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, এই বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন তিনি।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে কার্নির ফোন পেয়ে খুশি হলাম। কানাডার সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। চলতি মাসের শেষে কানানাস্কিসে আয়োজিত হচ্ছে জি৭ বৈঠক সেখানে আমায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ভিত্তিতে আবদ্ধ দুই গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ও কানাডা। এক অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন উদ্যমে হাতে হাত রেখে কাজ করতে প্রস্তুত দুই দেশ। এই সম্মেলনে আমাদের সাক্ষাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

    জি৭ কী

    জি৭ হল বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির একটি গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলি হল ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, জাপান, আমেরিকা এবং কানাডা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়ে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের সময় এগিয়ে এলেও, ভারত ডাক না পাওয়ায় জল্পনা ছড়িয়েছিল। তাই ভারত ওই সম্মেলনে যোগ দেবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ এল আমন্ত্রণ (PM Modi)। এই বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও রাষ্ট্রসংঘ।

    কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় গত কয়েক বছর ধরে ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল খালিস্তান ইস্যুতে। কানাডার মাটিতে খালিস্তানি নিজ্জর খুনে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন (PM Modi) ট্রুডো। যদিও ভারত তা অস্বীকার করে। তার জেরে ভারত- কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ঘরে-বাইরে সমালোচনার জেরে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে এসে মার্ক কার্নি যে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান, মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোই তার প্রমাণ (G7 Summit )।

  • PM Modi: ‘‘পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো’’, ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো’’, ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Incident) মানবতা ও কাশ্মীরিয়তের ওপর আঘাত হেনেছে পাকিস্তান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে দাঙ্গা লাগানো এবং পরিশ্রমী কাশ্মীরিদের জীবিকা ব্যাহত করা। সেই কারণেই তারা পর্যটকদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে আদিলের কথা (PM Modi)

    শুক্রবার ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয় স্থানীয় সহিস আদিল হুসেনের। এদিন কাশ্মীরের জনসভায় সেই আদিলের প্রসঙ্গও টানলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কেউ ঘোড়া চালান, কেউ আবার গাইড – সকলকে শেষ করার ষড়যন্ত্র ছিল পাকিস্তানের। সন্ত্রাসবাদীদের সামনে রুখে দাঁড়ানো আদিলও তো ওখানে রোজগারের আশায় গিয়েছিল। পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করত। সেই আদিলকেও মেরে দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান কাশ্মীরের পর্যটনের ওপর হামলা করেছে। এই পর্যটন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের গরিব মানুষদের সংসার চলে, সেই পর্যটনকে নিশানা করেছে পাকিস্তান।” তিনি বলেন, “পর্যটন থেকে রোজগার বাড়ে। পর্যটন মানুষকে জোড়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যে পড়শি দেশ মানবতাবিরোধী এবং পর্যটনবিরোধী। পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল যা হয়েছে, এটা তার উদাহরণ।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান পহেলগাঁওয়ে মানবতার ওপর আঘাত করেছে।”

    মোকাবিলা করবে মোদি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের যুব সমাজ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের কারণে এখানকার মানুষ স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদকেই নিজেদের ভাগ্য বলে মেনে নিতে শুরু করেছিল। তবে আমরা সেটা পাল্টে দিতে পেরেছি। এখন জম্মু-কাশ্মীরের যুব সমাজ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। শুধু তা-ই নয়, তা পূরণও করছে।” তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের বিকাশ বন্ধ হবে না। এখানকার যুব সমাজের স্বপ্নপূরণে যদি কোনও বাধা আসে, তবে সেই বাধার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করবে মোদি।”

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে প্রত্যাশিতভাবেই উঠে আসে (PM Modi) অপারেশন সিঁদুরের কথা। তিনি বলেন, “৬ মে রাতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের ওপর হামলা চলে। এখন পাকিস্তান যখনই অপারেশন সিঁদুরের নাম শুনবে, তখন তাদের সর্বনাশের কথা মনে পড়বে। পাকিস্তানি ফৌজ এবং সন্ত্রাসবাদীরা ভাবতে পারেনি পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে এভাবে হামলা চালাবে ভারত। ওরা যে সন্ত্রাসবাদের ইমারত তৈরি করেছিল, কয়েক মিনিটের মধ্যে তা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। গোটা বিশ্ব দেখেছে, পাকিস্তান কীভাবে (Pahalgam Incident) জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে (PM Modi)।”

LinkedIn
Share