Blog

  • SIR: এসআইআর পরিচালনা সাংবিধানিক অধিকার, নির্দেশ দিতে পারেনা আদালত, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    SIR: এসআইআর পরিচালনা সাংবিধানিক অধিকার, নির্দেশ দিতে পারেনা আদালত, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করেছে। সেখানে তারা জানিয়েছে যে ভোটার তালিকায় চলমান বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) পরিচালনার সম্পূর্ণ অধিকার তাদেরই রয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের হলফনামায় উল্লেখ করেছে, দেশজুড়ে পর্যায়ক্রমে যে এসআইআর পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক অধিকার। তাই আদালত এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। যদি আদালত এই ধরনের নির্দেশ দেয়, তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতার উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।

    আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের জনস্বার্থ মামলা

    সম্প্রতি আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন, যাতে ভারতে যে কোনো নির্বাচনের আগে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার যুক্তি ছিল, দেশের রাজনীতি এবং নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এটি জরুরি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তারা চায় না শীর্ষ আদালত এই ধরনের নির্দেশ দিক। কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়েছে, সংবিধানের ধারা ৩২৪ অনুযায়ী ভোটার তালিকা তৈরি ও সংশোধনের একমাত্র কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন, এবং অন্য কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি এতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কমিশন আরও জানিয়েছে, ভোটার তালিকার যথাযথতা নিশ্চিত করতে এসআইআর অপরিহার্য, এবং তারা সর্বদা এই দায়িত্বের বিষয়ে সতর্ক ও দায়িত্বশীল। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা ভোটার তালিকাকে সঠিক রাখার বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন এবং এই কাজ নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করা হয় (SIR)।

    বিহারে বাদ ৬৫ লাখ নাম (SIR)

    প্রসঙ্গত, কয়েক মাস পর বিহারে ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। জানা গেছে, সেই রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআর-এর (SIR) মাধ্যমে প্রায় ৬৫ লাখ অবৈধ ভোটারের নাম বাদ গেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মৃত ভোটারের নাম, কিছু স্থায়ীভাবে অন্য রাজ্যে বসবাসকারী ভোটার, এবং এমন কিছু ভোটারও রয়েছে যাদের নাম একাধিক জায়গায় তালিকাভুক্ত ছিল।

  • Maharashtra: মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হল রানি অহল্যাবাঈয়ের নামে

    Maharashtra: মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হল রানি অহল্যাবাঈয়ের নামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) আহমেদনগর রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে অহল্যাবাঈ রেলস্টেশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনের পর একথা জানিয়েছে তারা। জেলার নামও ইতিমধ্যেই আহমেদনগর থেকে অহল্যাবাঈ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি করা হয়েছে হোলকার সাম্রাজ্যের রানি, পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাঈ (Ahalyabai) হোলকার-এর ৩০০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে, যিনি তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা এবং সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রসিদ্ধ।

    নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ (Maharashtra)

    এই নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবটি প্রথমে সামনে এনেছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তিনি জানিয়েছেন, এই নাম পরিবর্তন বহু বছর ধরে স্থানীয় জনগণের এবং ইতিহাসপ্রেমীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল। আমাদের প্রয়াসকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব অনুমোদন করেছেন। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নাম পরিবর্তনের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

    নামে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ও ধাপসমূহ

    নাম পরিবর্তনের পর রেলস্টেশনের সকল সাইনবোর্ড, ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থা, মানচিত্র এবং যাত্রীসেবা সংক্রান্ত ঘোষণা ধাপে ধাপে নতুন নাম অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে। সাধারণ যাত্রীরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নামের সঙ্গে পরিচিত হবেন।

    আদর্শ রানি লোকমাতা অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    নারী ক্ষমতায়নের দিক থেকে তিনি একটি আদর্শ উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি। পাশ্চাত্যের সঙ্গে যদি ভারতীয় সভ্যতার তুলনা টানা হয় মধ্যযুগের নারী সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে, সেখানে লোকমাতা অহল্যা বাঈ নয়া অধ্যায় লিখতে পেরেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার জন্মগ্রহণ করেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক অখ্যাত গ্রাম নাম চন্ডীতে। জন্মের পরেই পারিবারিকভাবে তিনি ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করেননি। বর্তমান দিনের পাশ্চাত্যের যে আধুনিক ফেমিনিজম, সেটিকে দূরে সরিয়ে, বিপরীতে হেঁটে রানি পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন অহল্যা বাঈ। প্রাচীন ভারতে এবং মধ্যযুগে নারীদের নাকি কোনও ক্ষমতাই ছিল না এবং তাঁদেরকে নাকি পর্দা প্রথার মধ্যে থাকতে হত। প্রচলিত এই মিথ-কে একেবারেই ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণ মূলক কাজ, মন্দির প্রতিষ্ঠা- এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন যে মধ্যযুগেও এই ভারতবর্ষের নারী শক্তি কতটা এগিয়েছিল। একজন বিধবা নারী যাঁকে হয়তো ঘরের ভিতরেই থাকতে হত। কিন্তু তাঁর ভাগ্য, তাঁর জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করেছিল। তাঁর শ্বশুর ছিলেন অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মালহার হোলকার। তিনি ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের একজন অগ্রণী সেনা নায়ক। অহল্যা বাঈ তাঁর কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সুশাসনের এবং কূটনীতির।

  • Zakir Naik: এইডস আক্রান্ত জাকির নায়েক? ভর্তি মালয়েশিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে

    Zakir Naik: এইডস আক্রান্ত জাকির নায়েক? ভর্তি মালয়েশিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা (Islamic Preacher) জাকির নায়েক (Zakir Naik) গুরুতর ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সমাজ মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে, তিনি এইডস আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা জটিল হলেও তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি পেটালিং জায়ার সানওয়ে মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি আছেন।

    মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত জাকির নায়েক, খবর হাসপাতাল সূত্রে

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির নায়েক (Zakir Naik) যে অসুখে ভুগছেন তা একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। তবে রোগের প্রকৃত ধরন প্রকাশ করা হয়নি। কেন রোগ সম্পর্কে বলা হচ্ছে না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। সানওয়ে মেডিকেল সেন্টার মালয়েশিয়ার অন্যতম উন্নত হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে সংক্রামক রোগ, ক্যান্সার, হৃদরোগ, এইচআইভি চিকিৎসা ও জটিল বিপাকীয় রোগের জন্য এই হাসপাতাল আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে। এছাড়া ভিআইপি পর্যায়ের চিকিৎসা দেওয়ার জন্যও এটি সুপরিচিত।

    সমাজ মাধ্যমে খবর

    এদিকে, সমাজ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে জাকির নায়েক নাকি এইচআইভি পজিটিভ (Zakir Naik)। একটি কথিত ডায়াগনস্টিক রিপোর্টও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে একজন রোগীর নাম লেখা আছে “জাকির আবদুল করিম নায়েক”। রিপোর্টটি কুয়ালালামপুরের পান্তাই হাসপাতালের। তাতে দেখা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট রোগীর এইচআইভি টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তবে ওই রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করা যায়নি, আর সেটি সত্যিই জাকির নায়েকের কিনা তাও নিশ্চিত নয়। এই গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে জাকির নায়েকের আইনজীবী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এইডসে আক্রান্ত হওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি ভুয়া সংবাদ, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ছড়ানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, রোগ সম্পর্কিত আসল তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে চিকিৎসক ও পরিবারের অনুরোধে, তবে যে রিপোর্ট ঘুরছে তা একেবারেই বানানো।

    ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায়তে জাকির নায়েক (Zakir Naik)

    ভারতের মাটিতে উগ্রপন্থী বক্তব্য ও মানি লন্ডারিং মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন জাকির নায়েক। ভারত সরকার তাঁকে প্রত্যর্পণ করার চেষ্টা চালালেও মালয়েশিয়া এখনও সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি।এই প্রেক্ষাপটে তাঁর অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার ঝড় উঠেছে।

  • The Bengal Files: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রদর্শিত হল ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’

    The Bengal Files: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রদর্শিত হল ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হল পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) বিশেষ প্রদর্শনী। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রদর্শনী ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ও টানটান উত্তেজনা। আয়োজকদের দাবি, ছবিটি পশ্চিমবঙ্গে কার্যত এক অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার মুখে, তাই প্রদর্শনীর দিন সকাল থেকেই লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয় সিআরপিএফ।

    শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভাষা ভবন অডিটোরিয়ামে হয় প্রদর্শনী

    প্রদর্শনীটি হয় ন্যাশনাল লাইব্রেরি চত্বরে অবস্থিত ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভাষা ভবন অডিটোরিয়ামে। বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান ছিল শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের (The Bengal Files) জন্য। প্রায় ৫০০ জন দর্শক আমন্ত্রণপত্র দেখিয়ে প্রবেশ করেন। প্রবেশের আগে প্রত্যেকের ব্যাগ ও পরিচয়পত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

    কী বললেন স্বপন দাশগুপ্ত?

    সাংস্কৃতিক সংগঠন খোলা হাওয়া এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত এনিয়ে বলেন, বাংলার মানুষ এই ছবি দেখার অধিকার রাখে (The Bengal Files)। এই ছবির প্রদর্শনী আটকানো গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী। আমরা চাই মানুষ নিজেরাই ছবিটি দেখে মতামত তৈরি করুন।

    কী বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)

    প্রদর্শনীর শেষে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন (The Bengal Files)। তিনি বলেন, “বাংলায় ছবিটি নিষিদ্ধ করে সরকার প্রমাণ করেছে এখানে দুটি সংবিধান চলছে—একটি ভারতের সংবিধান, আরেকটি অঘোষিত সংবিধান, যা ছবিটিকে আটকে রেখেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আজকের প্রদর্শনী একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। পরিবেশটা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাংলার ত্যাগ ও ১৯৪৬ সালের ইতিহাস আজ সারা দেশ জানল।” বিবেক অগ্নিহোত্রী আরও দাবি করেন, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ শুধু একটি ছবি নয়, এটি বাংলার মানুষের আত্মত্যাগ ও ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-র ঘটনার সত্য তুলে ধরেছে

    ছবিকে ঘিরে বিতর্ক

    ছবিটি ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-র দাঙ্গা নিয়ে তৈরি, যেখানে কলকাতায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। গোপাল মুখার্জি ওরফে ‘গোপাল পাঁঠা’র ভূমিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি। খোলা হাওয়া সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা, যার মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও আছেন। তাদের বক্তব্য, ছবিটি আটকে দেওয়া গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ। এটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উদ্যোগ।

    বাংলায় কার্যত নিষিদ্ধ

    ছবিটিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার ও পল্লবী যোশী। দেশজুড়ে ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেলেও পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি কার্যত অনিশ্চিত। ছবির প্রচারের জন্য কলকাতায় পরিকল্পিত কিছু অনুষ্ঠানও বাতিল হয়েছে বলে অভিযোগ। অগ্নিহোত্রী জানিয়েছেন, ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান পুলিশ আটকে দেয়, এমনকি প্রদর্শনীর সরঞ্জামও (The Bengal Files) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

  • London News: অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন, সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে

    London News: অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন, সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার লন্ডনে (London News) টমি রবিনসনের নেতৃত্বে (Tommy Robinsons) আয়োজিত “ইউনাইট দ্য কিংডম” শীর্ষক বিক্ষোভে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেন। অভিবাসন বিরোধী এই বিক্ষোভ শুরুতে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে উত্তেজনা ছড়ায়। রবিনসনের কিছু সমর্থক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের উপর বোতল ছোড়া হয়, কয়েকজন অফিসারকে ঘুষি ও লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে ২৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হন, এর মধ্যে চারজন গুরুতরভাবে আহত—কারও দাঁত ভেঙে যায়, কারও মাথায় আঘাত লাগে, আবার কারও নাক ও মেরুদণ্ডে চোট পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পাল্টা বিক্ষোভ (London News)

    একই সময়ে বামপন্থী সংগঠন “স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম” আয়োজিত “মার্চ এগেইনস্ট ফ্যাসিজম” শীর্ষক পাল্টা বিক্ষোভে প্রায় ৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। তাঁরা হাতে প্ল্যাকার্ডে লিখেছিলেন—“শরণার্থীরা স্বাগতম”, “ফ্যাসিবাদ ভাঙো”। অন্যদিকে রবিনসনের সমর্থকরা স্লোগান দেন—“আমরা আমাদের দেশ ফেরত চাই”, “স্টপ দ্য বোটস”, “ওদের ফেরত পাঠাও”। দুই পক্ষের বিক্ষোভ একই দিনে হওয়ায় রাজধানীজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিকেল গড়াতে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বারবার তীব্র বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেট্রোপলিটন পুলিশকে একাধিকবার হস্তক্ষেপ করতে হয়।

    ভিডিও বার্তা দেন ইলন মাস্ক

    সভায় ভিডিও বার্তায় যোগ দেন টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, অভিবাসনের কারণে ব্রিটেন ধ্বংসের পথে (London News)। সভায় বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সের ডানপন্থী রাজনীতিক এরিক জেমুরও, যিনি ইউরোপে মুসলিম অভিবাসনের সমালোচনা করেন। রবিনসন নিজেও অভিযোগ করেন, অভিবাসীরা এখন আদালতে ব্রিটিশ নাগরিকদের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। সভায় নিহত মার্কিন রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ককে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিক্ষোভে ইংল্যান্ডের সেন্ট জর্জ পতাকা ও যুক্তরাজ্যের ইউনিয়ন জ্যাক উড়তে দেখা যায়। নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ জোর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

  • India: গত ১০ বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে ভারতের  কৃষি রাসায়নিক রফতানি

    India: গত ১০ বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে ভারতের  কৃষি রাসায়নিক রফতানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১০ বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে ভারতের (India) কৃষি রাসায়নিক রফতানি। ২০২৫ অর্থবর্ষে এই রফতানি পৌঁছেছে ৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০১৪-’১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এভাবে ভারত চিন ও আমেরিকার পর কৃষি রাসায়নিক রফতানিতে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে ভারতের এগ্রো-কেমিক্যালস ফেডারেশন (ACFI) ও ডেলয়েটের তৈরি একটি রিপোর্টে (Agrochemical Exporter)।

    সরকারকে প্রস্তাব (India)

    এই প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এসিএফআই সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে একটি প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিম তৈরি করতে। এই খাতের জন্য কর ছাড় ঘোষণা করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির দাবি, এই পদক্ষেপগুলি গুরুত্বপূর্ণ মলিকিউল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাবে এবং ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি রাসায়নিক উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এর ফলে বৃদ্ধি পাবে দেশীয় উৎপাদন। ভারতের প্রধান কৃষি রাসায়নিক কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিত্বকারী এই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, গবেষণা ও উন্নয়নে আরও বেশি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। বাড়াতে হবে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (MSMEs)-এর সক্ষমতা।

    ভারতীয় কৃষি রাসায়নিক বাজারের মূল্য

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় কৃষি রাসায়নিক বাজারের মূল্য ২০২৪ অর্থবর্ষে প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকা অনুমান করা হয়েছে। এর মধ্যে রফতানি অংশীদারিত্ব ৫১ শতাংশ এবং দেশীয় ফর্মুলেশন ৪৯ শতাংশ (India)। এটি মূলত একটি মাল্টিসোর্স জেনেরিক্স বাজার, যার অংশীদারিত্ব প্রায় ৮০ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী আরও বেশি পণ্য পেটেন্ট মুক্ত হওয়ায় জেনেরিক্সের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই অনুমান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ’২৪ অর্থবর্ষে ভারতীয় কৃষি রসায়ন বাজারে কীটনাশকের অবদান ৪১ শতাংশ, আর আগাছানাশকের অবদান ২২ শতাংশ। বাকিদের অবদান যথাক্রমে ছত্রাকনাশকের ২১ শতাংশ, উদ্ভিদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রকের ৬ শতাংশ, বায়োস্টিমুল্যান্টের ৮ শতাংশ এবং বীজ চিকিৎসা পণ্যের ২ শতাংশ।

    অর্থবর্ষ ’২১ থেকে অর্থবর্ষ ’২৪ পর্যন্ত কীটনাশক সেগমেন্টটির বার্ষিক যৌগিক বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ, ছত্রাকনাশক ৮ শতাংশ এবং আগাছানাশক ১০ শতাংশ। যার ফলে আগাছানাশক হয়ে উঠেছে কৃষি রাসায়নিকের (Agrochemical Exporter) মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল সেগমেন্ট। জানা গিয়েছে, কৃষি রাসায়নিক বাজারে ধান, তুলো, গম, সোয়াবিন, মরিচ, আঙুর, দারুচিনি এবং ছোলার অবদান প্রায় ৬৫ শতাংশ (India)।

  • Daily Horoscope 14 September 2025: পড়াশোনা ও আধ্যাত্মিকতায় রুচি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 14 September 2025: পড়াশোনা ও আধ্যাত্মিকতায় রুচি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) নিজের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    ২) আজ ভাগ্যোন্নতি হবে।

    ৩) আর্থিক সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।

    বৃষ

    ১) কোনও শুভ অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের পরামর্শ নেবেন।

    ২) সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে অতিথি আগমন হবে।

    ৩) জীবনযাপন প্রণালী উন্নত করার চেষ্টা করবেন।

    মিথুন

    ১) নিজের উন্নতি স্থায়ী করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

    ২) অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে দূরে থাকুন।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় বন্ধুদের সহযোগিতা পাবেন।

    কর্কট

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা পাবেন।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতির কারণে চিন্তিত হতে পারেন।

    ৩) ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসার কারণে বিশেষ ভাবে চিন্তিত থাকবেন।

    ২) পারিবারিক কারণে অস্থির থাকবেন।

    ৩) বাবা ও বয়স্কদের পরামর্শে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন।

    কন্যা

    ১) উৎসাহের সঙ্গে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করবেন।

    ২) স্বস্তি পাবেন নিজের কর্মক্ষেত্রে।

    ৩) সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সঙ্গে ধর্মীয় স্থানে যেতে পারেন।

    তুলা

    ১) শত্রুদের পরাজিত করতে পারবেন।

    ২) নিজের দুর্বলতা ত্যাগ করুন।

    ৩) বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায়িক কারণে অবসাদের শিকার হতে পারেন।

    ২) দিনটি প্রতিকূল।

    ৩) কোনও পরিকল্পনা নতুনভাবে সাজান।

    ধনু

    ১) জিনিস কেনাকাটায় সময় কাটাবেন।

    ২) আজ অধিক পরিমাণে অর্থ ব্যয় হবে।

    ৩) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম বাড়বে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হবে।

    ২) কোনও সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় ও কৌতুকে সময় কাটাবেন।

    কুম্ভ

    ১) আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মে রুচি বাড়বে।

    ২) ধর্মীয় স্থানে যেতে পারেন।

    ৩) সময়ের সদ্ব্যবহার করুন।

    মীন

    ১) পড়াশোনা ও আধ্যাত্মিকতায় রুচি বাড়বে।

    ২) শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    ৩) পারিবারিক বিবাদ হতে পারে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 466: কালি ঘরে কাজ করার সময় মাকে বললাম, “মা, হৃদে বলছে কিছু সিদ্ধাই চাই

    Ramakrishna 466: কালি ঘরে কাজ করার সময় মাকে বললাম, “মা, হৃদে বলছে কিছু সিদ্ধাই চাই

    গভীর ধ্যানে ইন্দ্রিয়ের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মন বহির্মুখী থাকে না—যেন বার-বাড়িতে কপাট পড়ল। ইন্দ্রিয়ের পাঁচটি বিষয়: রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ—বাহিরে পড়ে থাকে।

    “ধ্যানের সময় প্রথম প্রথম ইন্দ্রিয়ের বিষয় সকল সামনে আসে—গভীর ধ্যানে সে সকল আর আসে না—বাহিরে পড়ে থাকে। ধ্যান করতে করতে আমাদের কত কি দর্শন হয়। প্রত্যক্ষ দেখলাম—সামনে টাকায় কাঠি, শাল, একখানা সুন্দর টালি—তাদের মধ্যে কি সুন্দর জ্যোৎস্নার আভা—সব বাহিরের বস্তু।

    সমস্ত জিনিস বার থেকে দেখা যায়! তাদের ভিতরে দেখলাম— নাড়ীভূড়ি, রক্ত, মল, কফ, নাল, প্রস্রাব এই সব।

    [ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ — গুরুগিরি ও বেশ্যাবৃত্তি]

    শ্রীযুক্ত গিরিশ ঠাকুরের নাম করিয়া ব্যারাম ভাল করিব — এই কথা মাঝে মাঝে বলিতেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশ প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি) — যাহারা ঈশ্বরবুদ্ধি তাঁরা সিঁড়াই চায়। ব্যারাম ভাল করা, মোক্ষম লাভ, জিতানো, জলে হেঁটেই চলে যাওয়া — এই সব। যাহারা শুদ্ধভক্ত তাঁরা ঈশ্বরের পাদপদ্ম ছাড়া কিছুই চায় না। হৃদয়ে একদিন বললেম, ‘মা! মার কাছে কিছু শক্তি চাই, কিছু সিঁড়াই চাই।’ আমার বালকের স্বভাব। — কালীঘাটে জপ করিবার সময় মাকে বলিলাম, মা বলছে কিছু সিঁড়াই চাইতে। অমনি দেখিতে দিলেন সামনে এসে পেঁচাটে ফিকে উড়ু হয়ে বসলো—

    কালি ঘরে কাজ করার সময় মাকে বললাম, “মা, হৃদে বলছে কিছু সিদ্ধাই চাই।” হঠাৎ সামনে একজন বুড়ো বেশ্যা এসে উবু হয়ে বসে পড়ল। তার বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। ধামা পোঁদ, কালো পেড়ে কাপড় পরা, এবং পড়পড় করে হাগছে। যাদের একটু সিদ্ধাই থাকে, তাদের জন্য এই পরিস্থিতি অবাক করা। অনেকের ইচ্ছা হয় গুরুগিরি করা; পাঁচজনে একসাথে মানে শীর্ষ সেবক হিসেবে আচরণ করছে। মানুষ বলে, “গুরুচরণের ভাইয়েরা আজকাল বেশ কিছু লোক আসছে-যাচ্ছে।” শীষ্য সেবক অনেক হয়েছে, ঘরে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

  • Kishenjis Wife: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এবার আত্মসমর্পণ কিষেনজির বউয়ের

    Kishenjis Wife: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা, এবার আত্মসমর্পণ কিষেনজির বউয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১১ সালে এনকাউন্টারে খতম হয়েছিলেন মাওবাদী (Maoist) কমান্ডার কিষেনজি। তার পর তাঁর ঘাড়েই বর্তেছিল সংগঠনের দায়। তিনি কিষেনজির স্ত্রী (Kishenjis Wife) তথা সংগঠনের শীর্ষ নেত্রী পোথুলা পদ্মাবতী। তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। সেই তিনিই এবার আত্মসমর্পণ করলেন তেলঙ্গনা পুলিশের কাছে। বছর বাষট্টির পদ্মাবতী কল্পনা ওরফে সুজাতা নামেও পরিচিত। ১৯৮২ সাল থেকে পুলিশ খুঁজছিল তাঁকে। গোপন আস্তানা থেকেই চালাচ্ছিলেন সংগঠনের যাবতীয় কাজকর্ম। সংগঠনের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। সামলেছেন দক্ষিণ উপ-জোনাল ব্যুরো সেক্রেটারির দায়িত্ব। দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটিতে জনতান্ত্রিক সরকারের প্রধানও ছিলেন তিনি। নিষিদ্ধ সংগঠন মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও ছিলেন পদ্মাবতী। শনিবার হায়দরাবাদে তেলঙ্গনা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

    কৃষক পরিবারে জন্ম সুজাতার (Kishenjis Wife)

    তেলঙ্গনার জোগুলাম্বা গাদওয়াল জেলার এক কৃষক পরিবারে জন্মেছিলেন পদ্মাবতী। ১৯৮৪ সালে তিনি মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেনজিকে বিয়ে করেন। কিষেনজি ছিলেন মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সেক্রেটারি। ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া এলাকার বুড়িশোলের জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হন কিষেনজি। জানা গিয়েছে, তুতো ভাই প্যাটেল সুধাকর রেড্ডির হাতেই বিপ্লবে হাতেখড়ি কল্পনা ওরফে সুজাতার। ২০০৯ সালে মারা যান সুধাকর। সুজাতাকেই ধরা হয় মাওবাদীদের প্রথম প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধি। তিনি ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গনা এবং ওড়িশা দাপিয়ে বেড়াতেন। তাঁর খোঁজ দিতে পারলে ১ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয় (Maoist)। সেই সুজাতাই তাঁর তিন মহিলা সঙ্গীকে নিয়ে এদিন করেন আত্মসমর্পণ। বিভিন্ন রাজ্যে সুজাতার বিরুদ্ধে মোট ১০৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি সব সময় ঘুরতেন একে-৪৭ নিয়ে (Kishenjis Wife)।

    কেন আত্মসমর্পণ

    হঠাৎ কেন আত্মসমর্পণ করলেন কিষেনজির পত্নী? পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি। ডিজিপি জানিয়েছেন, পদ্মাবতী ২০২৫ সালে মে মাসে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সংগঠন ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। সে কথা দলের বাকিদের তিনি জানিয়েওছিলেন। এদিন নিজেই ধরা দিলেন পুলিশের হাতে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪০৪ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি মাওবাদীদের প্রতি আবেদন জানিয়ে তেলঙ্গনা পুলিশের ডিজি জিতেন্দ্র বলেন, “অস্ত্র জমা দিন, আপনারা গ্রামে ফিরে যান এবং তেলঙ্গনার উন্নয়নে যোগ দিন।”

    উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই মহারাষ্ট্রে আত্মসমর্পণ করেন কিষেনজির ভাইবউ। তাঁর স্বামী (Maoist) মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (Kishenjis Wife)।

  • PM Modi in Manipur: ‘সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে শান্তির পথে এগোতে হবে’, মণিপুরবাসীকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi in Manipur: ‘সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে শান্তির পথে এগোতে হবে’, মণিপুরবাসীকে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিই উন্নয়নের মূল ভিত্তি। মণিপুর মানেই সাহস ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক। শনিবার হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরে পা রেখে এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মণিপুর সফরে গিয়ে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদি। মণিপুরের মানুষের অদম্য মনোবলকে সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মণিপুরের এই পাহাড়সমৃদ্ধ ভূমি প্রকৃতির অমূল্য উপহার। একই সঙ্গে এটি আপনার পরিশ্রমের প্রতীক। আমি মণিপুরের মানুষের মনোবলের প্রতি স্যালুট জানাই।” এদিন মণিপুরে ঘরছাড়া মানুষদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী। শুনলেন তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা। বিগত দুই বছরে কী কী হয়েছে মণিপুরে, তা তাদের কাছ থেকেই জানলেন। ২ বছর ধরে হিংসার আগুনে জ্বলেছে মণিপুর। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। রাষ্ট্রপতির শাসন চলছে মণিপুরে।

    ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    ২০২৩ সালের ৩ মে হিংসার আগুন জ্বলেছিল মণিপুরে। কুকি ও মেতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, তা মাসের পর মাস, বছর পার করেও চলে। মণিপুরের হিংসায় এখনও পর্যন্ত ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া ৬০ হাজার মানুষ। শনিবার মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে নেমেই দুর্যোগের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ভারী বৃষ্টির মধ্যেই সেখান থেকে সড়কপথে ৬৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে চুড়াচন্দপুরের পিস গ্রাউন্ডের ত্রাণ শিবিরে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা। হিংসার মূলকেন্দ্র চুড়াচন্দপুরে ঘরছাড়া বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি, তাদের হাতে আঁকা ছবি ও ফুলের তোড়া নেন। উপহার দেওয়া পালকের টুপিও পরেন প্রধানমন্ত্রী। চুড়াচন্দপুরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মহিলাদের হস্টেল সহ ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর জন্য খরচ হবে ৭৩০০ কোটি টাকা।

    মণিপুরের নামেই ‘মণি’

    মণিপুরের নামেই ‘মণি’ রয়েছে, যা আগামী দিনে পুরো উত্তরের আভা বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, কেন্দ্র সরকার মণিপুরের রেল ও সড়ক সংযোগ প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে এগোচ্ছে, এবং আমাদের লক্ষ্য যে উন্নয়নের সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছক।” তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৪ সাল থেকে মণিপুরে সংযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, মোট ৪,৭৪৬ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যপরিষেবা, শিক্ষা এবং ডিজিটাল উন্নয়ন।

    শান্তি বজায় রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সকল সম্প্রদায়ের কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনার সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে শান্তির পথে এগোতে হবে। মণিপুরের এই অঞ্চলে হিংসার প্রভাব পড়েছিল, কিন্তু এখন সকল সম্প্রদায় শান্তির পথে এগোচ্ছে। আমি সকল সংগঠন এবং গোষ্ঠীকে সামাজিক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার সাথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাই। ভারত সরকার মণিপুরের জনগণের পাশে আছে।”

    রেলপথে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে জুড়ল আইজল

    এদিন রেলপথে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে জুড়ে গেল আইজল। ৮০৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বৈরাবি-সায়রাং রেললাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর মিজোরামের বৈরাবি রেলপথ অসমের শিলচরের সঙ্গে যুক্ত। এই রেলপথ ধরে প্রথম বারের জন্য ট্রেনের চাকা গড়াতে চলেছে মিজোরামে। এই রেলপ্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদি বলেন, “আজ থেকে মিজোরামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটল।” শনিবার আইজলে মোট ৯০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। পাহাড়ি পথে বৈরাবি-সায়রাং রেললাইন তৈরি করতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। নিজের বক্তৃতায় বৈরাবি-সায়রাং রেললাইন তৈরির জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের ধন্যবাদ জানান মোদি। তিনি বলেন, “পাহাড়ি রাস্তায় বহু প্রতিকূলতার সঙ্গে মোকাবিলা করে আজ এই রেললাইনের উদ্বোধন হল। আমাদের ইঞ্জিনিয়র এবং কর্মীদের মনোবলের জন্যই এটা সম্ভব হল।” বিরোধীদের নিশানা করে মোদি বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে কিছু রাজনৈতিক দল ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে এসেছে। কেবল ভোট আর আসন নিয়েই তারা ভেবে এসেছ‌ে। গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত, মিজোরামের মতো রাজ্য এই মনোভাবের জন্য এত কাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

LinkedIn
Share