Blog

  • DRDO: নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    DRDO: নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির পথে আরও এক ধাপ এগোল ভারত। নতুন একটি ‘লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল’-এর পরীক্ষা করল ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্ট্রিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (ITR) থেকে মোবাইল আর্টিকুলেটেড লঞ্চারের মাধ্যমে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হল। বিভিন্ন রেঞ্জ সেন্সরের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রটির পারফরমেন্সের ওপর নজরদারি চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘ওয়ে পয়েন্ট ন্যাভিগেশন’ ব্যবহার করে প্রত্যাশিত পথ অনুসরণ করে পরীক্ষায় সফল হয়। 

    সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ

    ডিআরডিও (DRDO) এবং বেঙ্গালুরুর অ্যারোনটিকাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট সম্মিলিতভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি, নির্মাণ এবং যাবতীয় পরীক্ষা করেছে। সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা। যার মধ্যে রয়েছে হায়দরাবাদের ভারত ডাইনামিকস লিমিটেড (বিডিএল) এবং বেঙ্গালুরুর ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বেল)। ডিআরডিও-র এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মিসাইলটির কর্মক্ষমতা মনিটর করার জন্য রেঞ্জ সেন্সর যেমন রাডার, ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম (EOTS) এবং টেলিমেট্রি ব্যবহৃত হয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন স্থান থেকে মিসাইলের উড়ান পথ সম্পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণ করেছে। মিসাইলটি প্রয়োজনীয় পথে চলেছে। এটি বিভিন্ন উচ্চতা ও গতিতে বিভিন্ন কৌশল সম্পাদন করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন ডিআরডিওর (DRDO) পদস্থ আধিকারিকরা। পরীক্ষার সময় ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বায়ুসেনার আধিকারিকরাও। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিও এবং সহযোগী সংস্থাগুলিকে সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই পরীক্ষাটি ভবিষ্যতে দেশীয় ক্রুজ মিসাইল উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।” তিনি আরও বলেন, “এটি ভারতীয় মিসাইল প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।” এই সফল পরীক্ষার ফলে ভবিষ্যতে আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: লটারি দুর্নীতিতে প্রভাবশালী যোগ! বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় হানা ইডির

    ED: লটারি দুর্নীতিতে প্রভাবশালী যোগ! বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় হানা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কিছুদিন ধরে একাধিক দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে বেশ সক্রিয় ইডি-সিবিআই। কিছুদিন আগে  নিয়োগ  দুর্নীতি ও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মানলায় একাধিক নেতা-মন্ত্রী, পুর আধিকারিকদের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল এই দুই কেন্দ্রীয় তদক্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সাত সকালে মধ্যমগ্রামের সুকান্তনগরে ডিয়ার লটারির কারখানায় হানা দেয় ইডি (ED)। ডিয়ার লটারির উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের প্রিন্টিং অফিসে পৌঁছে যায় ইডি। বিশাল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এদিন সকাল থেকেই সেখানে তল্লাশি অভিযান চলে।

    কেন হানা? (ED)

    দিল্লির সদর দফতর থেকে ইডি আধিকারিকরা শহরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তদন্তকারীরা বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে লটারি প্রতারণা মামলার যোগসূত্রের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ইডির আধিকারিকরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে লেকটাউন এবং উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তদন্তকারীদের অন্য একটি দল কলকাতার (Kolkata) লেক মার্কেটের চারুচন্দ্র কলেজের কাছে একটি আবাসনে তল্লাশি চালাচ্ছে। ইডি (ED) সূত্রে খবর, রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতার অ্যাকাউন্টে এই লটারি জয়ের পুরস্কারের টাকা ঢুকেছে। এই কোটি কোটি টাকা পাওয়ার পিছনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকরা। সন্দেহ করা হচ্ছে লটারির পুরস্কারের আর্থিক টাকার সঙ্গে এই কারখানার ছাপা লটারির কোনও না কোনও যোগসূত্র রয়েছে। সেই যোগসূত্র খুঁজতেই এদিন মধ‍্যমগ্রামের যশোর রোডের ধারে ডিয়ার লটারির এই গোডাউন এবং ছাপাখানায় হানা দিয়েছে ইডি। কারখানার গেট বন্ধ করে চলছে জোর তল্লাশি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    কালো টাকা সাদা করতে লটারি ব্যবহার!

    দুর্নীতি ইস্যুতে বারংবার লটারি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তদন্তে উঠে আসে একাধিকবার একাধিক সময়ে বিভিন্ন তৃণমূল নেতার অ‍্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢুকেছে। আবার কারও কারও অ‍্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার নির্দিষ্ট কোম্পানির লটারির টাকা ঢোকে। সব ক্ষেত্রেই প্রথম পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে ওই নেতাদের অ‍্যাকাউন্টে। পাচার এবং চাকরি নিলামের কালো টাকা সাদা করতে এই লটারিকে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। লটারির পুরস্কার প্রাপক বা টিকিট বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য হাতে পায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই তথ্যের সূত্র ধরেই ইডি (ED) হানা দিয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Union Government: মোদি সরকার ৫০ থেকে ৭০ হাজার কোটির সুদমুক্ত ঋণ দেবে রাজ্যগুলিকে

    Union Government: মোদি সরকার ৫০ থেকে ৭০ হাজার কোটির সুদমুক্ত ঋণ দেবে রাজ্যগুলিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার (Union Government) ২০২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) প্রতিটি রাজ্যকে মূলধন বিনিয়োগের জন্য বিশেষ ফান্ড দেবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ফান্ড ৫০ হাজার কোটি থেকে ৭০ হাজার কোটি পর্যন্ত হতে পর্যন্ত হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এমন বরাদ্দ বৃদ্ধির লক্ষ্য হল, রাজ্যের প্রকল্পগুলিকে আরও জোরদার করা। কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ফান্ডিং পুরোটাই সুদ মুক্ত হতে চলেছে এবং ২০২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে এই ফান্ডিং (Infrastructure Growth) রাজ্যগুলিকে করা হবে।

    বিহার, গুজরাত, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ সমেত ১৬টি রাজ্য এসেছে প্রকল্পের আওতায়

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ অর্থবর্ষে (Union Government) বিহার, গুজরাট, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ সমেত ১৬টি রাজ্য সুদ মুক্ত এই ঋণের প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এই স্কিমের আওতায় সুদ মুক্ত ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মেয়াদ হবে ৫০ বছর। চলতি বছরের জুলাই মাসে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৫ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে সাহায্য প্রদানের (Infrastructure Growth) জন্য এই স্কিমের বরাদ্দ বাড়ানো হবে।

    করোনা পরবর্তীতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই চালু হয় এই প্রকল্প

    জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের (Union Government) মধ্যে ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ আনুমানিক ৮৮ হাজার কোটি টাকা- আবাসন, নগর পরিকল্পনা, যুব সমাজের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরি, পুরনো সরকারি যানবাহন বাতিল এবং সংস্কার এই সমস্ত কিছুর কাজ করা হবে। প্রসঙ্গত, সুদ ছাড়া ঋণ প্রকল্প চালু করা হয়েছিল ২০২১ সালেই। সে সময়তে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্যই এমন কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার।

    ‘‘কোনও রাজ্যের সঙ্গেই সৎ মায়ের মতো আচরণ করা হচ্ছে না’’

    অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় (Union Government) অর্থমন্ত্রী হাজির ছিলেন ম্যাঙ্গালুরুর একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি জানান, কোনও রাজ্যের সঙ্গেই সৎ মায়ের মত আচরণ করা হয়নি। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সরকারের ১০ বছরের শাসনের সময় রাজ্যগুলিকে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হত এবং মোদি জমানায় যতটা বরাদ্দ করা হয়, তার পরিসংখ্যান তিনি তুলে ধরেন। তিনি জানান, ভারত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় উৎপাদক ও রফতানিকারক হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি মোবাইল, আধা-পরিবাহী, পুনর্নবীকরণ শক্তির সরঞ্জামসহ অন্যান্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সীতারামন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs South Africa: আন্তর্জাতিক স্তরে তিলকের প্রথম শতরান, প্রোটিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ভারত

    India vs South Africa: আন্তর্জাতিক স্তরে তিলকের প্রথম শতরান, প্রোটিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলকের শতরান ও অর্শদীপের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিপক্ষে শুক্রবার সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামবে ভারত। বুধবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শতরান পেলেন তিলক ভার্মা (Tilak Verma)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন তরুণ হায়দরাবাদী। তাঁর ব্যাটে ভর করেই এদিন জয়ের তিলক পড়ল সূর্যদের ললাটে। ভারতীয় ক্রিকেটে হায়দরাবাদের ব্যাটারদের আলাদা কদর রয়েছে। মহম্মদ আজহারউদ্দিন, ভিভিএস লক্ষ্ণণদের সেই ধারাই বয়ে নিয়ে চলেছেন তিলক।

    রেকর্ড-বুকে তিলক

    একটা সময় ক্রিকেট শিখতে যাওয়ার টাকাও ছিল না তিলক ভার্মার কাছে। বাবা নাম্বুরি নাগারাজু ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। মা গায়ত্রী দেবী গৃহবধূ। টানাটানির সংসারে কষ্ট করে ছেলেকে ক্রিকেটার তৈরি করেছেন তাঁরা। তাঁদের সেই কষ্টের প্রতিদান দিচ্ছে তিলকের ব্যাট। গত কয়েক বছর ধরে দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম সারিতে জায়গা করে নেওয়া তিলকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০২৩ সালের ৩ অগাস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে শুরু। সেই ২০ ওভারের ক্রিকেটেই প্রথম শতরান পেলেন তিলক। বুধবার একটি রেকর্ডও গড়েছেন তিলক। সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসাবে টি-টোয়েন্টির ক্রমতালিকায় প্রথম ১০-এ থাকা কোনও দলের বিরুদ্ধে শতরান করেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২২ বছর ৫ দিন বয়সে তিনি এই কীর্তি করেছেন। আগে এই রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদের। ২০১৪ সালে ২২ বছর ১২৭ দিন বয়সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন তিনি। সেই রেকর্ড ভাঙলেন তিলক।

    প্রশ্ন তুলল ভারতের ব্যাটিং

    বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরের দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ভারতীয় দলের ইনিংস যত দূর পৌঁছবে বলে মনে হচ্ছিল, তার বেশ কিছুটা আগেই থেমে গেল। শেষ ওভারে উঠল মাত্র ৪ রান। এদিন তিলক ভার্মার শতরান ও অভিষেক শর্মার অর্ধশতরান ছাড়া বড়ই বেহাল ভারতের ব্যাটিং। তিলক ৮টি চার এবং ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেললেন। এ ছাড়া অভিষেকের ২৫ বলে ৫০ রান এবং অতিরিক্ত হিসাবে পাওয়া ১৯ রান বাদ দিলে বাকি ভারতীয় ব্যাটারদের সম্মিলিত অবদান ৪৩। সূর্যকুমারের দলের ব্যাটিং দুর্বলতা ঢেকে দিচ্ছেন বোলারেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা স্পিন বলের বিরুদ্ধে কোনও দিনই তেমন দক্ষ নন। সেটাই কাজে লাগাচ্ছেন সূর্যকুমাররা। এদিন অর্শদীপের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং রবি বিষ্ণোই ও বরুণ চক্রবর্তীর স্পিন আক্রমণই শেষ পর্যন্ত ভারতকে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ১১ রানে জয় এনে দেয়। ভারতীয় দলের ইনিংস শেষ হওয়ার পর তিলক বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তটার জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করেছি। চোট সারিয়ে ফেরার পর শতরান করতে পেরে দারুণ লাগছে। শুরুতে পিচ একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। পিচে দু’রকম গতি ছিল। পরে অবশ্য কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছে। বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করিনি। লক্ষ্যে স্থির থাকার চেষ্টা করেছি। আমি এবং অভিষেক শর্মা দু’জনেই চাপে ছিলাম একটা সময় পর্যন্ত। অভিষেকও খুব ভাল ব্যাট করেছে। আমার চাপ কমিয়ে দিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না, ইউনূসদের কড়া হুঁশিয়ারি আমেরিকার

    Bangladesh: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা চলবে না, ইউনূসদের কড়া হুঁশিয়ারি আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (United state) বিপুল জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে বুধবার আমেরিকার বিদেশ দফতর বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, কোনও পরিস্থিতিতেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং অধিকারে হস্তক্ষেপ করা চলবে না। প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সেদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তিন দফায় বাংলাদেশের ১৬৭ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডও বাতিল করেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার, এমনটাই অভিযোগ। এনিয়ে আমেরকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘‘আমরা চাই সব সাংবাদিকের স্বাধীনতা ও অধিকারকে যথাযথভাবে সম্মান দেখানো হোক।’’

    বাইডেন সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইউনূস সরকার

    জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট সরকার (United state) ইউনূসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতার পালাবদল হয়, জামাত-বিএনপির সহায়তায় ক্ষমতার মসনদে বসেন ইউনূস। এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছিল আমেরিকার বিদেশ দফতর। কিন্তু ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বেই বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এডিটর কাউন্সিলও এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং এনিয়ে তারা প্রেস বিবৃতি জারি করেছে। ঢাকা ট্রাইবুনাল নিউজ পেপার এই ঘটনায় প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ১৬৭ জন সাংবাদিককে প্রেস কার্ড বাতিল করেছে ইউনূস সরকার। এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অনভিপ্রেত এবং অগণতান্ত্রিক।

    কী বলছেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র? 

    বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সরকার বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্পর্কে কেমন অবস্থান নিতে চলেছে, তা বিদায়ী সরকারের বিদেশ নীতিতেই পরিষ্কার। সেই দিশানির্দেশ দেখিয়ে দিয়েছে বুধবার। শুধু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সওয়াল নয়, ইউনূস সরকারকে বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। ১০ নভেম্বর আওয়ামি লিগের রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ধরপাকড়-হামলার প্রসঙ্গ তুলে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের মন্তব্য— ‘‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ভিন্নমত পোষণ করতে পারার অধিকারকে সমর্থন করি। আমেরিকা মনে করে, কোনও গণতন্ত্রিক পরিবেশের জন্য এগুলি অপরিহার্য।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vivek Ramaswamy: মার্কিন ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন বিবেক রামস্বামী, কেন তাঁকে বাছলেন ট্রাম্প?

    Vivek Ramaswamy: মার্কিন ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন বিবেক রামস্বামী, কেন তাঁকে বাছলেন ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিম ট্রাম্পে (Donald Trump) জায়গা পাচ্ছেন ‘গর্বিত হিন্দু’ বিবেক রামস্বামী (Vivek Ramaswamy)। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। তাঁর মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাবেন, তা ঠিক করতে শুরু করে দিয়েছেন রিপাবলিকান এই নেতা। শপথ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    টিম ট্রাম্পে জায়গা (Vivek Ramaswamy)

    তখনই জানা গিয়েছে, টিম ট্রাম্পে জায়গা পেয়েছেন ‘গর্বিত হিন্দু’ বিবেক রামস্বামী। প্রথমে রিপাবলিকান পার্টিতে প্রেসিডন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন রামস্বামী। পরে সরে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেন ট্রাম্পকে (Donald Trump)। তার পর থেকে সময় যত গড়িয়েছে ট্রাম্পের সঙ্গে রামস্বামীর সম্পর্কের গাঁটছড়া ততই মজবুত হয়েছে। রামস্বামীকে (Vivek Ramaswamy) দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতো তিনিও বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাবেন। তিনি বলেছিলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের প্রতি কোনও ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আমরা এই অবৈধ বসবাসকারীদের এ দেশে থাকতে দেব না। তাদের সন্তানদের মার্কিন নাগরিকত্বও বাতিল করব।”

    ‘গর্বিত হিন্দু’

    নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক ভোটার রামস্বামীর (Vivek Ramaswamy) ধর্মীয় পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন। রামস্বামীর স্পষ্ট জবাব, “আমি হিন্দু। হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমি গর্বিত। নিজের ধর্মীয় পরিচয় লুকোতে রাজি নই। আমার মতে, এতে ধর্মীয় স্বাধীনতার লড়াইয়ে আমি আরও বেশি করে তৎপর হতে পারব। কেরিয়ারের জন্য মিথ্যে কথা বলব না।” হার্ভার্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক রামস্বামীর বয়স মাত্রই ৩৯। এই অল্প বয়সেই তিনি বিলিয়নেয়ার। তিনি ট্রাম্পের (Donald Trump) অন্যতম প্রধান সমর্থক। মনেপ্রাণে কট্টর পুঁজিবাদী। ভারতীয় অভিবাসী পিতামাতার সন্তান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন রামস্বামী। তিনি তাঁর বায়োটেক কোম্পানি রোভ্যান্ট সায়েন্সেসের মাধ্যমে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন। প্রযুক্তি, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন। ‘এক্সেলেন্স ক্যাপিটালিজম’ শব্দটিকে জনপ্রিয় করেছেন তিনি। এই ধারণা সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলির চেয়ে ব্যবসায়িক অগ্রাধিকারকে উৎসাহিত করে।

    আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের আওয়ামি লিগের

    রামস্বামীর বায়োটেক থেকে রাজনীতিতে স্থানান্তর শুরু হয় ২০২১ সালে। এ বছরই প্রকাশিত হয় তাঁর বই— ওক, ইঙ্ক (ইনকর্পোরেশন)। এই বইতে তিনি কর্পোরেট আমেরিকার সামাজিক ইস্যুতে মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতার সমালোচনা করেন। কট্টর পুঁজিবাদের সমর্থক হলেও রামস্বামী (Vivek Ramaswamy) যাপন করেন অতি সাধারণ মানের জীবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিম বাংলার বিশেষ কোনও ফারাক আছে বলে মনে করেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশের মতো পশ্চিম বাংলার হিন্দুরাও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর সময় শ্যামপুর থানা এলাকার একটি দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সে সময় ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। বুধবার শ্যামপুরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে সভার আযোজন করা হয়েছিল। সেখানেই হিন্দুদের ওপর আক্রমণের অভিযোগে সরব হন বিরোধী দলনেতা। মমতাকে তুলোধনা করেন।

    ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক (Suvendu Adhikari)

    বুধবার হাওড়ার শ্যামপুরে দলীয় এক সভা থেকে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তুলনা টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মতো বাংলাতেও হিন্দুরা আক্রান্ত হলেও কিছু বলা যাবে না। কারণ, প্রতিবাদ জানালেই আপনার গায়ে সাম্প্রদায়িক তকমা সাঁটিয়ে দেবে। হিন্দু আক্রান্ত হলে, দুর্গাঠাকুর ভাঙলে বলা যাবে না। বললেই আপনি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাবেন। ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই-ই এক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সুবোধ সরকার, বিকাশ ভট্টাচার্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গোমাতা ভক্ষণ করলে সেকুলার হয়ে যাবেন। এটা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আসল অবস্থা।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে সরব

    শাসকদল তৃণমূল ও পুলিশকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘বিজয়দশমীর দিন চারিদিক থেকে সন্ত্রাসবাদী, গুন্ডাদের জড়ো করে একাধিক দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। হিন্দু সমাজকে আতঙ্কে রাখা হয়েছে পাঁচদিন। ১৬৩ ধারা জারি করে ইন্টারনেট বন্ধ করে আপনাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। শ্যামপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গুন্ডাদের জড়ো করে তাণ্ডব করা হয়েছে। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাঁচদিন ধরে ঢোকার চেষ্টা করেছি। আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ১৯ তারিখের পরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে ছিলাম বলে আসতে পারিনি। ২০ তারিখ এসে যে সমস্ত মণ্ডপ ভেঙেছে, যে সমস্ত হিন্দু দোকানদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলি পরিদর্শন করেছি। আমরা কোন রাজ্যে আছি,কেন আমাদের এই অত্যাচার সহ্য করতে হবে’’?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • EPFO Wage Limit: সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বেড়ে হচ্ছে ২১,০০০! ইপিএফও-র নিয়মেও বদল আনছে কেন্দ্র

    EPFO Wage Limit: সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বেড়ে হচ্ছে ২১,০০০! ইপিএফও-র নিয়মেও বদল আনছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন (Basic Salary) বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতদের ন্যূনতম মজুরি (Minimum Wage) বর্তমান ১৫০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১০০০ টাকা করতে পারে কেন্দ্র (EPFO Wage Limit)। পাশাপাশি, কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ইপিএফও-তে যোগদানের মাপকাঠিতেও করা হতে পারে বদল। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে পরিকল্পনা করছে।

    ইপিএফও-তে যোগদানের নিয়ম বদল

    একই সঙ্গে, ইপিএফও-তে (EPFO) যোগদানের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে একটি কোম্পানিতে ন্যূনতম কর্মী সংখ্যা ২০ হওয়া জরুরি। সেই সংখ্যা কমিয়ে এবার ১০ থেকে ১৫ হতে পারে। এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক সংস্থাকে ইপিএফও-র (EPFO Wage Limit) পরিধির আওতায় আনা সম্ভব হবে। ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টির বৈঠকে ন্যূনতম মজুরি সীমা বা মিনিমাম ওয়েজ (Minimum Wage) বাড়ানোর দাবি বেশ কয়েকবার করা হয়েছে। কর্মীদের দাবি মেনে এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে মোদি সরকার।

    আরও পড়ুন: আয়ুষ্মান কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন ৫ লাখেরও বেশি সত্তরোর্ধ্ব নাগরিক

    শেষ কবে সীমা পরিবর্তন

    ২০১৪ সালে শেষবার মিনিমাম ওয়েজের (Minimum Wage) বিষয়টি সংশোধন করা হয়েছিল। সেই সময় ৬৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫,০০০ টাকা করা হয় ওয়েজ লিমিট (EPFO Wage Limit)। গত ১০ বছরে এই সীমার আর কোনও পরিবর্তন হয়নি। এবার শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বিষয়গুলি পর্যালোচনা করে এই সীমা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তবে বেতনের সীমা (Basic Salary) বাড়ানো হলে কর্মী এবং নিয়োগকর্তা বা সংস্থাগুলির অবদানও বাড়াতে হবে ইপিএফও-তে। নিয়ম অনুযায়ী, কর্মীর মূল বেতনের ১২ শতাংশ যায় পিএফ অ্যাকাউন্টে। সম অঙ্কের টাকা জমা করে সংস্থাও। তবে, নিয়োগকর্তার ১২ শতাংশের মধ্যে কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে (ইপিএফও) যায় ৩.৬৭ শতাংশ। আর বাকি ৮.৩৩ শতাংশ যায় কর্মীর পেনশন প্রকল্পে (ইপিএস)। মিনিমাম ওয়েজ লিমিট (EPFO Wage Limit) বাড়লে এই অবদানগুলিও বাড়বে। বর্তমান, ১৫ হাজারের বেশি বেসিক স্যালারি হলে এতদিন পিএফ-এ সঞ্চয় করা যেত না। এবার বেতনের ঊর্ধ্বসীমা ২১ হাজার টাকা করা হলে কর্মী ও নিয়োগকর্তার উভয়ের বিনিয়োগই বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tulsi Gabbard: ট্রাম্প প্রশাসনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান হচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড, চেনেন তাঁকে?

    Tulsi Gabbard: ট্রাম্প প্রশাসনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান হচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি হিন্দু নন। ভারতের সঙ্গে তাঁর নাড়ির যোগটুকুও নেই। তবে নাম শুনলে মনে হতে পারে তিনি ভারতীয়। সেই তিনিই প্রকাশ্যে ভারতকে ভালোবাসার কথা বলেন। তাঁর মতে, হিন্দু ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম, গীতা শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ। এই তিনি হলেন তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)।

    তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গীতা উপহার দিয়ে এক সময় খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন তিনি। ফের এলেন এতদিন পর। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি গলা ফাটিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) হয়ে। বুধবার তুলসীকে তাঁর প্রশাসনে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর জাতীয় গোয়েন্দা প্রধানের পদে নিয়োগ করেছেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (এখনও অবশ্য শপথ নেননি ট্রাম্প)। তাঁর অধীনে ১৮টি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করবে। এক সময় ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন তুলসি। ট্রাম্প তাঁকে ‘গর্বিত রিপাবলিকান’ অভিধায় ভূষিত করেছেন। ট্রাম্পের মতে, গোয়েন্দা সম্প্রদায়ে তিনি ‘নির্ভীক চেতনা’ নিয়ে আসতে পারবেন।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    সম্প্রতি জারি করা এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “ডেমেক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে, একজন প্রাক্তন প্রার্থী হিসেবে তাঁর উভয় দলের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে – তিনি এখন গর্বিত রিপাবলিকান।” ট্রাম্প বলেন, “আমি জানি তুলসী তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে যে নির্ভীক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা আমাদের গোয়েন্দা টিমেও বয়ে আনবেন। তিনি আমাদের সাংবিধানিক অধিকারগুলির পক্ষে কথা বলবেন এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করবেন। তুলসী আমাদের সকলকে গর্বিত করবেন!”

    গোয়েন্দা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নির্দিষ্ট কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তবে তুলসি (Tulsi Gabbard) সেনাবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ সদস্য। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন তিনি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হাওয়াইয়ের দ্বিতীয় জেলার কংগ্রেসওম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে কাজ করার সুবাদে ইরাক ও কুয়েতে মোতায়েন ছিলেন তুলসী। দু’বছর ধরে হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতেও কাজ করেছেন।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    নাম শুনলেই তাঁকে ভারতীয় বলে মনে হতে পারে। তবে তিনি ভারতীয় নন। তাঁর মা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সন্তানদের হিন্দু নাম দিয়েছিলেন। তুলসি নিজেও (Donald Trump) হিন্দু হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। যদিও তিনি আমেরিকান সামোয়ান বংশোদ্ভূত। তবুও শপথ নেওয়ার সময় তুলসীর (Tulsi Gabbard) হাতে ছিল ভগবদ্গীতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Rash Purnima 2024: আজ রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসব! এর তাৎপর্য কী? জেনে নিন, কখন থেকে পূর্ণিমা শুরু

    Rash Purnima 2024: আজ রাধাকৃষ্ণের রাস উৎসব! এর তাৎপর্য কী? জেনে নিন, কখন থেকে পূর্ণিমা শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসযাত্রা (Rash Purnima 2024) মূলত বৈষ্ণবদের উৎসব। জয়দেবের ‘গীতগবিন্দম্‌, চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’, মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যে রাসের কথা বলা হয়েছে। বৃন্দাবন রাস, বসন্ত রাস খুব উল্লেযোগ্য। এই বৈষ্ণব ভাবনায় শ্রীকৃষ্ণপ্রেম এবং প্রকৃতিস্বরূপ রাধা (Radha-Krishna) সাধনাই হল রাস। এই উৎসবের কথা বিভিন্ন পুরাণেও রয়েছে। শারদ রাস এবং বসন্ত রাস-দুটিই বৈষ্ণবদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

    শুক্রবার রাসযাত্রা। এই রাস পূর্ণিমা বাংলার আপামার বাঙালির কাছে একটি বিশেষ উৎসবের দিন। বাংলায় শ্রীচৈতন্যদেবের রাস উৎসব পালনের কথা জানা যায়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সময়ের পরবর্তী সময়ে রাস পূর্ণিমা আরও জাঁকজমক ভাবে পালন করা হয়।

    রাসের তাৎপর্য কী (Rash Purnima 2024)?

    প্রেমভাব বৈষ্ণব ভাবনার একটি প্রধান ভাব। রাস শব্দ এসেছে রস থেকে। রসের বিরাট ব্যাপ্তি। আনন্দ আস্বাদনই মূল কথা রাসের। বৈষ্ণব রসশাস্ত্রে পঞ্চম রস, শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য মধুর রস সম্পর্কে বিস্তৃত ভাবে বলা হয়েছে। বৃন্দাবনদাসের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত’ এবং কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’-কাব্যে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে রস বা লীলা সম্পর্কে। রাস মানেই মিলন (Rash Purnima 2024)। কৃষ্ণ (Radha-Krishna) প্রেমের ক্ষুদ্র আত্মা পরমাত্মায় মিলনের বাসনাই রাসের মূল ভরকেন্দ্র। পূর্ণ অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মহাভাবের একমাত্র অধিকারিণী শ্রীরাধারানি। কৃষ্ণ হলেন জগতের আসল পুরুষ, বাকি মানবসামজ প্রকৃতিতুল্য। তাই সকল গোপিনী এবং নরনারী রাধাভাব বা মঞ্জরী ভাবনায় ভাবিত হন। এই পরম জ্ঞানের কথা জানানোর জন্যই কৃষ্ণের বৃহৎ লীলা বা রাসের প্রকাশ।

    মুক্তির পথ দেখান কৃষ্ণস্বরূপ জ্ঞান

    কৃষ্ণপ্রেমে মুগ্ধ হয়ে গোপিনীরা সংসার ত্যাগ করে বৃন্দাবনে চলে যান। সেখানে গিয়ে সকলে কৃষ্ণপ্রেমে সমবেত হন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের সংসারে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু গোপিনীরা মানতে অস্বীকার করেন। শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের এই ভাবনায় মনে অহংকার ভাব এলে রাধাকে নিয়ে চলে যান। পরে গোপিনীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। অহংকার ভুলে গিয়ে কৃষ্ণপ্রেমে স্তব পাঠ শুরু করেন। এদিকে তাঁদের স্তবে কৃষ্ণ সন্তুষ্ট হলে কৃষ্ণ ফিরে আসেন। এরপর গোপিনীদের জীবন সম্পর্কে গভীর তত্ত্বকথার উপদেশ দেন। প্রত্যক গোপিনীর মনোবাঞ্ছা পূরণ করে জাগতিক দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির পথ দর্শান। এই কৃষ্ণ (Rash Purnima 2024) হলেন প্রকৃত জ্ঞানের আধার। আর জগতস্বরূপ জ্ঞান হলেন স্বয়ং রাধা। সকল গোপিনীরা হলেন রাধা (Radha-Krishna) শক্তির প্রকাশ মাত্র।

    নাম-সংকীর্তন এবং নগর পরিক্রমা

    এই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস (Rash Purnima 2024) বাংলা, মথুরা, বৃন্দাবন, ওড়িশা, অসম, মণিপুর, পূর্ববঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। তবে মূল আরাধ্য রাধাকৃষ্ণ হলেও অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো করতে দেখা যায়। যেমন-কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে রাস হয় এবং এক মাস মেলা বসে এখানে। এই মেলা বিরাট বিখ্যাত। এখানে রাসে দুর্গাপুজো, কালীপুজোও করতে দেখা যায়। আবার নবদ্বীপ, শান্তিপুর, ফুলিয়া, বর্ধমানের বেশ কিছু বৈষ্ণবপাট বাড়ি, সমাজবাড়ি এবং আখড়ায় মাটির মূর্তিতে রাধাকৃষ্ণের পুজো হয়। গৌর-নিতাই, পঞ্চতত্ত্বের নামে চলে নাম-সংকীর্তন এবং নগর পরিক্রমা। শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি বিজড়িত জায়াগায় পালন হয় বিশেষ পুজো। কীর্তন, পদাবলী, পালাগান এবং রাসের সখীদের অষ্টকলা প্রদর্শন মূল আকর্ষণ থাকে।

    আরও পড়ুনঃ “দেখ ঈশ্বরকে কতভাবে সম্ভোগ করে! শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য, মধুর—নানাভাবে”

    পঞ্জিকা মতে রাসপূর্ণিমার তিথি কখন?

    আজ শুক্রবার ১৫ নভেম্বর, বাংলায় ২৯ কার্তিক শ্রীরাধা-শ্রীকৃষ্ণের প্রেম উৎসব রাসযাত্রা (Rash Purnima 2024)। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারে তিথি হল, বাংলা–২৯ কার্তিক, শুক্রবার পূর্ণিমা শুরু সময় সকাল ৬টা ২১ মিনিট। পূর্ণিমা তিথি শেষ বাংলা ২৯ কার্তিক, শুক্রবার রাত ২ টো ৫৯ মিনিট। পূর্ণিমায় ব্রতোপবাস চলে। একই ভাবে আবার গুপ্ত পঞ্জিকা মতে, পূর্ণিমা শুরু বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ভোর ৫টা ১৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ড। আর শেষ হবে ২৯ কার্তিক শুক্রবার, রাত ৩টে ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে।

    এই পূর্ণিমাকে অনেকে কার্তিক পূর্ণিমা বলে থাকেন। এই সময়ে সূর্য ওঠার আগে স্নান করলে শুভকর্ম ফল হয়। অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পুণ্যলাভ হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে এই রাস পূর্ণিমায় ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই পূর্ণিমা ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও অনেক জায়গায় পরিচিত। ভগবান শ্রীবিষ্ণু (Radha-Krishna) এই দিনে মৎস্য অবতার ধারণ করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share