Blog

  • Mallikarjun Kharge: ‘গেরুয়াধারীদের রাজনীতি ছাড়া উচিত’! খাড়্গের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সন্তসমাজের

    Mallikarjun Kharge: ‘গেরুয়াধারীদের রাজনীতি ছাড়া উচিত’! খাড়্গের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সন্তসমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) মন্তব্য করেছিলেন যে, গেরুয়া পরা লোকেদের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের এই কথার ইঙ্গিত ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দিকেই। কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় শুরু হয়। সাধু-সন্ত-সন্ন্যাসীরাও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতির এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। কংগ্রেসের সভাপতি খাড়্গের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা সন্ত আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম। তিনি খাড়্গের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে, সন্ন্যাসী জগৎ গুরু রামভদ্রাচার্যের প্রশ্ন, গেরুয়াধারীরা বাদ যাবে, তবে কি গুন্ডারা রাজনীতি করবে? একইসঙ্গে রামভদ্রাচার্য জানিয়েছেন, গেরুয়া হল আসলে ভগবানের রঙ।

    কোথায় লেখা আছে যে গেরুয়াধারীদের রাজনীতি করা যাবে না?

    জগৎ গুরু রামভদ্রাচার্য (Mallikarjun Kharge) সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাড়্গের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি (Spiritual Leaders) বলেন, ‘‘এটা কোথায় লেখা আছে যে গেরুয়াধারীরা রাজনীতি করতে পারবেন না? তবে কি গুন্ডাদের রাজনীতি করা উচিত? লোফারদের রাজনীতি করা উচিত? গেরুয়াধারীদের রাজনীতি করতে হবে কারণ গেরুয়া হল ভগবানের রঙ।’’  ইতিহাস থেকে শিবাজী মহারাজের উদাহরণ টেনে এনে তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজা শিবাজী গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেছিলেন এবং সমগ্র জাতি ও মহারাষ্ট্রকে একত্রিত করেছিলেন। তাই গেরুয়াধারীদের রাজনীতি করাই উচিত। স্যুট-বুটের পলিটিক্স ভারত থেকে বন্ধ হোক।’’

    কী বলেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)?

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করেছিলেন, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ অর্থাৎ বিভক্ত হলেই আমরা ধ্বংস হয়ে যাব। হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এমন কথা বলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এই স্লোগানের সমালোচনা করে মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) মুম্বইতে বলেছিলেন, ‘‘অনেক নেতাই সাধুদের ছদ্মবেশে বসবাস করে বর্তমানে রাজনীতিবিদ হয়েছেন। কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন। তাঁরা গেরুয়া পোশাক পরেন, তাঁদের মাথায় চুল নেই। আমি বিজেপিকে বলব হয় সাদা পোশাক পরুন নয়ত আপনি সন্ন্যাসী হয়ে গেরুয়া পোশাক পরলে রাজনীতি ছেড়ে দিন।’’

    ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগান যোগীর, সমর্থন জগৎগুরু রামভদ্রাচার্যের 

    জগৎ গুরু রামভদ্রাচার্য অবশ্য যোগী আদিত্যনাথের ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগানকে (Spiritual Leaders) সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছেন এবং বলেন, ‘‘সম্প্রদায় আলাদা আলাদা হলেও আমাদের সকল হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। আমরা এক হলে কেউ আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। এক একটি আঙুল এককভাবে দুর্বল কিন্তু একটি মুষ্টি শক্তিশালী।’’

    নিজের ধর্ম প্রকাশ করুন খাড়্গে

    অন্যদিকে, আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম মল্লিকার্জুন খাড়্গের ধর্ম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এবং তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও হিন্দুই অন্ততপক্ষে সাধু-সন্ত এবং মহাত্মাদের অপমান করতে পারেন না।’’ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রমোদ কৃষ্ণমের আরও দাবি, অবিলম্বে খাড়্গের উচিত, তাঁর নিজের ধর্ম কী? এনিয়ে সবাইকে জানানো। 

    সনাতন ধর্মের যাঁরা বিরুদ্ধে, তাঁরা আসলে ভারত-বিরোধী

    আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণমের মতে, যে ধরনের বিবৃতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে দিয়েছেন, তা সন্ন্যাসীদের পক্ষে খুবই অপমানজনক। এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম বলেন, ‘‘তাঁর নাম দেখে মনে হচ্ছে তিনি হিন্দু। কিন্তু তাঁর কাজ দেখে কখনও মনে হচ্ছে না, তিনি হিন্দু। তাঁর প্রথমে উচিত যে সবার সামনে প্রকাশ করা নিজের পরিচয়। তিনি হিন্দু বটেন কিনা!’’ মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিরুদ্ধে আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম আরও বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের যাঁরা বিরুদ্ধে, তাঁরা আসলে ভারত-বিরোধী।’’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘ভারতবর্ষ ঋষি প্রধান দেশ এবং সেই দেশে এ ধরনের মন্তব্য মানায় না।’’

    সনাতন ধর্মকে অপমান করছেন খাড়্গে

    প্রমোদ কৃষ্ণমের মতে, ‘‘নিঃসন্দেহে তিনি (খাড়গে) একজন সিনিয়র নেতা কিন্তু তিনি হিন্দু সন্ন্যাসীদের অপমান করছেন। সনাতন ধর্মকে অপমান করছেন। গেরুয়া রঙকে অপমান করছেন। এ ধরনের ব্যবহার তাঁর করা উচিত নয়। কোনও হিন্দুরই উচিত নয়, হিন্দু সন্ন্যাসীদের অপমান করা। যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা কখনও উচিত হয়নি মল্লিকার্জুন খাড়্গের।’’ প্রসঙ্গত, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগানটি যোগী আদিত্যনাথ প্রথম ব্যবহার করেন। হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এই স্লোগান দিয়ে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারও করেন তিনি। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বলেন, ‘‘আমরা এক থাকলেই নিরাপদ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Exam 2025: মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে গেলে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, কবে শুরু প্রক্রিয়া?

    Madhyamik Exam 2025: মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে গেলে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে, কবে শুরু প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের মাধ্যমিক (Madhyamik Exam 2025) পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ফিলাপ সম্পূর্ণ অনলাইনে (Online Form Fill up) হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে। ২ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ফর্ম ফিলাপ শুরু হবে। চলবে ১৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। অনলাইন ফর্ম ফিলাপ কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলকেই। পর্ষদের তরফে একটি ওয়েবসাইট (www.wbbsedata.com) দেওয়া হয়েছে। সকল মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীর তথ্য পর্ষদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে স্কুলগুলিকে।

    রাইটার নিতেও অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ (Madhyamik Exam 2025)

    এর আগে, পর্ষদের আঞ্চলিক অফিসে জমা পড়ত পূরণ করা ফর্ম। কিন্তু এবার থেকে তা হবে না। বড়সড় বদল নিয়ে আসা হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। এবার থেকে প্রতিটি স্কুলে একদম সরাসরি পর্ষদের দেওয়া ওয়েবসাইটেই সকল তথ্য আপডেট করবে। আপলোডে দেরি হলে কঠোর পদক্ষেপ। বিজ্ঞপ্তি জারি করে হুঁশিয়ারি পর্ষদের। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে পর্ষদ অফলাইনে ফর্ম জমা (Online Form Fill up) নেবে বলে সূত্রের খবর। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Madhyamik Exam 2025) এক আধিকারিক জানান, এত দিন পর্যন্ত ফর্ম স্কুলের কাছে পাঠানো হত। স্কুলগুলি তা ছাত্রদের দিয়ে পূরণ করিয়ে বোর্ডের কাছে পাঠাত। এ বার সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে করা হবে। শুধু তাই নয়, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়ারাও তাদের রাইটার বা অনান্য সুবিধা নেওয়ার আবেদন এই অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ (Online Form Fill up) সময় করতে হবে। পড়ুয়াদের শংসাপত্র দেওয়া হবে অনলাইনের মাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের নেতা কী বললেন?

    স্কুলের (Madhyamik Exam 2025) ওপরে সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “ক্রমাগত বিদ্যালয়ের ওপর একটার পর একটা কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিকাশ ভবন থেকে যেসব কাজ করা হত, সে কাজগুলি বিদ্যালয়গুলির ওপর চাপানো হচ্ছে। এই সমস্ত কাজ এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়, স্বাভাবিক ভাবে শিক্ষকদের এই কাজে ব্যত থাকতে হয়। বহু বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে পঠন পাঠন ব্যাহত হয়। তার সঙ্গে রয়েছে বহু ধরনের প্রকল্পের কাজ।”

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কী বললেন

    জানা গিয়েছে, অনলাইন পদ্ধতিতে ফর্ম পূরণের (Online Form Fill up) পরে তা ডাউনলোড করে দু’কপি প্রিন্ট আউট নিতে হবে। একটি কপি স্কুল নিজের কাছে রাখবে এবং অন্যটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কাজে গতি আনতে এবং নির্ভুল প্রক্রিয়াকরণ করতে ডিজিটাইজেশনের পথে ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। এতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যে বিপুল পরিমাণ কাজের চাপ তা অনেকটাই কমবে।”প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2025) শুরু হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রথম ভাষার পরীক্ষা, ১৫ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ভাষা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস পরীক্ষা, ১৮ ফেব্রুয়ারি হবে ভূগোল, ১৯ ফেব্রুয়ারি জীবন বিজ্ঞান, ২০ ফেব্রুয়ারি ভৌতবিজ্ঞান, ২২ ফেব্রুয়ারি অঙ্ক ও ২৪ ফেব্রুয়ারি ঐচ্ছিক বিষয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sunita Williams: দিনে দিনে কমছে ওজন! মহাকাশে সুনীতার ছবি দেখে উদ্বিগ্ন বিশ্ববাসী, সতর্ক নাসা

    Sunita Williams: দিনে দিনে কমছে ওজন! মহাকাশে সুনীতার ছবি দেখে উদ্বিগ্ন বিশ্ববাসী, সতর্ক নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দিন ধরে মহাকাশে আটকে থাকায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও বুচ উইলমোরের। সম্প্রতি নাসার পক্ষ থেকে সুনীতার যে ক’টি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচরের স্বাস্থ্যের অবনতি লক্ষ করার মতো। এই পাঁচ মাসে তাঁর ওজন এতটাই হ্রাস পেয়েছে যে সুনীতাকে অত্যন্ত শীর্ণকায় লাগছে। তাঁর এতটাই ওজন হ্রাস পেয়েছে, যা চিন্তা বাড়িয়েছে নাসারও।

    শীর্ণকায় সুনীতা

    গত পাঁচ মাস ধরে মহাকাশযানের ছোট্ট গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) দুনিয়া। এক দিন এক দিন করে মহাকাশে ১৫০ দিন পার করে ফেলেছেন সুনীতা ও তাঁর সঙ্গী বুচ। মহাকাশকে নিজের ‘হ্যাপি প্লেস’ বলে বর্ণনা করেছেন সুনীতা উইলিয়ামস। বোয়িং স্টারলাইনারের যান্ত্রিক ত্রুটি সত্ত্বেও কখনও পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েননি। তবে তাঁর ওজন মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় চিন্তিত নাসা। এই মিশনের সঙ্গে জড়িত নাসার এক কর্মীর কথায়, ‘ওঁর চামড়া ঝুলে গিয়েছে এবং হাড় ক্ষয়েছে। বর্তমানে শরীরের ওজন স্থিতিশীল করা সর্বাপেক্ষা জরুরি।’ ওই কর্মীর সংযোজন, ‘সুনীতার সর্বশেষ ছবি দেখে আমি আঁতকে উঠেছিলাম। যা দেখলাম তাতে উদ্বেগ হওয়া খুব স্বাভাবিক। বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’ সুনীতার ওজন দ্রুত স্থিতিশীল করা দরকার এবং এই মুহূর্তে তাঁদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন নাসার ওই কর্তা।

    সুনীতার স্বাস্থ্যে নজর

    সুনীতার স্বাস্থ্যের উপর কড়া নজর রাখছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মহাকাশ যাত্রা শুরুর সময় গত ৫ জুন সুনীতার (Sunita Williams) ওজন ছিল ৬৩ কেজি। দিন যতই গড়িয়েছে ওজন ক্রমেই কমেছে সুনীতার। মহাকাশে ওজন স্থিতিশীল রাখতে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয় মহাকাশচারীদের। শুধুমাত্র ওজন বজায় রাখার জন্য মহাকাশ সফরের সময় প্রতি দিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ক্যালোরির খাবার খেতে হয় নভোচরদের। সেই পরিমাণ খাবার শরীরকে না দিলে শরীর ভাঙতে শুরু করে ও দ্রুত ওজন কমতে থাকে।

    আরও পড়ুন: নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    সুনীতার সমস্যা

    মহাকাশ ভ্রমণের সময় বিপাকের পরিবর্তনের কারণে পুরুষ নভোচরদের তুলনায় দ্রুত পেশি ক্ষয় অনুভব করেন মহিলা মহাকাশচারীরা। শরীরের ওপর অভিকর্ষের নিরবচ্ছিন্ন টান না থাকায় মহাকাশে মানবদেহের পেশি ও হাড়ের ঘনত্ব দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। দুই সপ্তাহ পরেই পেশির ঘনত্ব ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ছয় মাস থাকলে তা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। খুব বেশি দিন মহাকাশে থাকলে দ্রুত হারে কমতে থাকে লাল রক্তকণিকার পরিমাণ। সে ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতার মতো শারীরিক সমস্যাও। গবেষণা বলছে, মহাকাশে থাককালীন প্রতি সেকেন্ডে ২ লক্ষের বদলে ৩ লক্ষ লোহিত কণিকা ধ্বংস হয়ে যায় নভোচরদের। পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে আইএসএসে রয়েছেন সুনীতারা। সেখানে বসেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তিনি। নিজের শারীরিক সমস্যা নিয়েও চিন্তিত নন সুনীতা। মহাকাশেই ঘর বানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে ৪০ কোটি ভক্ত-সমাগমের সম্ভাবনা, কর্মসংস্থান হতে পারে ১.২৫ লক্ষ মহিলার

    Maha Kumbh 2025: মহাকুম্ভে ৪০ কোটি ভক্ত-সমাগমের সম্ভাবনা, কর্মসংস্থান হতে পারে ১.২৫ লক্ষ মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু ধর্মের মহামিলন দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025)। এই মেলাকে ঘিরে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভীষণভাবে তৎপর। গত ২ বছর ধরে এই মেলার প্রস্তুতি চলছে। ত্রিবেণী সঙ্গমে সুবিশাল নগর বসানো হবে। দেশ-বিদেশ থেকে আনুমানিক ৪০ কোটি ভক্তদের সমাগম হবে মেলায়। একই ভাবে মেলার আয়োজন এবং প্রাচুর্যকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোট ৭ রাজ্য থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার মহিলা কাজের (Employment) সুযোগ পাবেন।

    ১৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজ (Maha Kumbh 2025)

    ১২ বছর অন্তর বসে পূর্ণ কুম্ভমেলা। ১২টি পূর্ণকুম্ভ হলে একটি মহাকুম্ভ হয়। অর্থাৎ, প্রতি ১৪৪ বছরে একবার মহাকুম্ভের আয়োজন হয়। এই মহাযোগে ত্রিবেণীর ঘাটে স্নান করলে মেলে পুণ্য। আবার শাস্ত্র মতে, মানব জীবনের মুক্তির বাসনাও পূর্ণ হয় এই মহাকুম্ভে। জানা গিয়েছে, মেলার আয়োজনে পাতার প্লেট, কুলহার, পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ, মাটির কাপ তৈরির বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সহ মোট ২৮টি জেলার মহিলাদের। উৎপাদিত পণ্য এই রাজ্যগুলির মোট ৮৬টি জেলার গ্রুপ দ্বারা প্রস্তুত করার কাজ করানো হয়েছে। মোট ১৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজে ১ লক্ষ ২৫ হাজার মহিলা প্রস্তুতির কাজে (Employment) নিযুক্ত হয়েছেন। এই বিরাট পরিমাণ কাজের ব্যবস্থা সত্যিই অভাবনীয় বলে অনেকে মনে করছেন।

    ৬০ কোটির বেশি প্লেট ও বাটি প্রস্তুত হবে

    জানা গিয়েছে, এই মহাকুম্ভ মেলায় (Maha Kumbh 2025) ৪০ কোটি সনাতনী দেশি-বিদেশি ভক্তদের সমাগম হবে। তাই ৬০ কোটির বেশি প্লেট এবং বাটি প্রস্তুত করার কাজ চলছে। জোর কদমে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মেলা কমিটিও। কাজ তদারকি করার জন্য দুই আইএএস অফিসার এবং ছয় পিসিএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। এই মহাকুম্ভের স্পেশাল এক্সিকিউটিভ অফিসার আকাঙ্ক্ষা রানা এবং সিডিও গৌরব কুমারকে নোডাল অফিসার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ বেসরকারি সংস্থা, সরানো হোক ‘বোর্ড’ শব্দ, দাবি বিজেপি নেতার

    ২৫০টি দোকান খোলা হবে মেলায়

    তবে এবার মহাকুম্ভ মেলার (Maha Kumbh 2025) আখড়া, ভান্ডার এবং খাবারের এলাকায় কোনও রকম প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসের ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই সমস্ত জায়গায় ন্যায্য মূল্যে পাতার প্লেট এবং কুলহার (মাটির ভাঁড়) সরবরাহ করা হবে। এ জন্য প্রত্যকে ক্ষেত্রে ১০টি করে দোকান খোলা হবে। মোট ২৫টি এলাকায় ২৫০টি দোকান খোলা হবে। সেই সঙ্গে স্পেশাল দোকানের সংখ্যা হবে ৫০টি। মেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জায়গায় গাড়িতে করে এই উপকরণগুলি পাঠানো হবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 13 November 2024: ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 13 November 2024: ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদ অনেক দূর গড়াতে পারে।

    ২) প্রবাসী কারও আসার খবরে আনন্দ লাভ।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    বৃষ

    ১) মেরুদণ্ডের রোগের জন্য কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে হঠাৎ করে প্রচুর অতিথির আগমনে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) ধর্ম বিষয়ক আলোচনা থেকে মানসিক পরিবর্তন হতে পারে।

    ২) অযথা ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) নতুন সম্পর্ক গড়ার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।

    ২) সারা দিন বহু দিক থেকে আয়ের সুযোগ আসতে পারে। 

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) কর্মস্থানে একটু সাবধানে কাজ করুন, আঘাত লাগতে পারে।

    ২) আধ্যাত্মিক কাজে কিছু দান করতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) অপরের কথায় চললে অশান্তি বাধতে পারে।

    ২) পুরনো কোনও আশা পূরণের চেষ্টা।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের কথায় চললে আপনার খুব ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ায় উপকার পাবেন।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) চাকরিজীবীদের জন্য খুব খরচের সময়।

    ২) কাউকে বেশি আপন ভাবলে কষ্ট পেতে হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) সকালের দিকে অতিরিক্ত রাগের কারণে কারও সঙ্গে হাতাহাতি ও রক্তপাতের সম্ভাবনা।

    ২) ব্যবসায় সুখবর প্রাপ্তিতে আনন্দ লাভ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুখবর আসার পথে বাধা পড়তে পারে।

    ২) শত্রুর চক্রান্তে একটু বিভ্রান্ত হবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) বাড়িতে কোনও দামি জিনিস নষ্ট হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) অসৎ সঙ্গ ত্যাগ না করলে সম্মানহানির যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: টার্গেট ২০৪০, শুধুমাত্র চন্দ্রাভিযানের জন্য পৃথক চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন গড়বে ইসরো

    ISRO: টার্গেট ২০৪০, শুধুমাত্র চন্দ্রাভিযানের জন্য পৃথক চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন গড়বে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪০ সালের মধ্যে চন্দ্র অভিযানের জন্য একটি চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন (Lunar Space Station) স্থাপন করবে ইসরো। ভারতের জন্য এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ হতে চলেছে, যা মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।

    ক্রুড চন্দ্র মিশন রোডম্যাপ ভারতে

    ইসরো (ISRO) সূত্রে খবর, ভবিষ্যতের এই চন্দ্র মহাকাশ স্টেশনটি ভারতের মানব চন্দ্র মিশন (Manned Lunar Mission) রোডম্যাপের তৃতীয় পর্যায় হিসেবে স্থির করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে ভারতের মতো দেশের জন্য মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাফল্যের পরই ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযানের জন্য পৃথক নিবেদিত চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন (Lunar Space Station) তৈরির উদ্যোগ পরিকল্পনার মধ্যে আসে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করার কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারত। শুধু তাই নয়, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার অনন্য নজির স্থাপন করেছে ভারত।

    চন্দ্র অন্বেষণ কর্মসূচিতে তিন-পর্যায়

    সম্প্রতি, ভারতের ভবিষ্যতের চন্দ্র অন্বেষণ কর্মসূচির তিন-পর্যায়ের রূপরেখা নির্ধারণ করেছে ইসরো (ISRO)। রোডম্যাপের ধাপগুলি হল—

    ১) প্রথম ধাপে আসন্ন চন্দ্রযান-৪ মিশনে চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফেরা সহ প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং রোবোটিক মিশনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।

    ২)দ্বিতীয় ধাপের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব অবতরণ অর্জন করতে হবে।

    ৩) তৃতীয় পর্যায়ে চন্দ্র মহাকাশ স্টেশন (Lunar Space Station) স্থাপনে সমাপ্ত করা। এতে ভারতকে মহাকাশ অনুসন্ধানের শীর্ষ স্থানে অবস্থান করবে।

    আরও পড়ুনঃ নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    স্টেশনে চাঁদের ভূতত্ত্ব অধ্যয়ন হবে (Lunar Space Station)

    ইসরোর (ISRO) চন্দ্র মহাকাশ স্টেশনের  ফলে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সম্পদের ব্যবহার এবং ভবিষ্যতে গভীর মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি সোপান হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই চন্দ্র স্টেশনটি (Lunar Space Station) চাঁদের ভূতত্ত্ব অধ্যয়ন, নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা এবং পৃথিবীর কক্ষপথে গবেষণার নানা প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পৃথিবীর কক্ষপথে ভারতের প্রথম মহাকাশ স্টেশন ২০৩৫ সালের মধ্যে স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পৃথিবীর-কক্ষপথে স্টেশনটি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং সিস্টেমগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্টবেড হিসাবে কাজ করবে।

    নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকেল-এর লক্ষ্য

    ইসরোর (ISRO) এই পরিকল্পনা চাঁদ নিয়ে গবেষণার নানা দিককে উন্মোচন করবে। গোটা বিশ্ব এই মিশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলিও চাঁদের অভিযানের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। ইসরো নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকল (এনজিএলভি) এবং উন্নত জীবন ব্যবস্থা সহ মূল প্রযুক্তিগুলিকে বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এই গবেষণাগুলি শুধুমাত্র চাঁদের জন্যই নয়, ভারতের বৃহত্তর মহাকাশ অনুসন্ধানের (Lunar Space Station) ক্ষেত্রেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Canada: খালিস্তানি হামলার আশঙ্কা, কানাডার মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠান বাতিল

    Canada: খালিস্তানি হামলার আশঙ্কা, কানাডার মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠান বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) ব্রাম্পটনের মন্দিরে সম্প্রতি হামলা হয়েছে। এই আবহে সেখানকার ত্রিবেণী মন্দিরে ভারতীয় দূতাবাস (Indian Consulate) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান বাতিল করা হল। আশঙ্কা করা হচ্ছে ফের একবার সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে পারে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি। এছাড়া সেখানে ছড়াতে পারে হিংসাও। সমাজ মাধ্যমে এনিয়ে অনেকেই সরব হয়েছেন কানাডার  (Canada) আইন-শৃঙ্খলার এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে।

    ৩ নভেম্বর হামলা হয় কানাডার (Canada) ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে 

    প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর উগ্র খালিস্তানি সমর্থকরা কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দির চত্বরে ঢুকে পড়ে। সেখানে উপস্থিত জনতার ওপর মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে এর পরের কনস্যুলেট (Indian Consulate) শিবিরগুলির আয়োজন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই করা হবে। তাঁরাই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবেন। এরপর গত সপ্তাহে ভারতের হাইকমিশন (India in Canada) কনস্যুলেট প্রোগ্রামগুলিকে বাতিল করে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, কানাডার (Canada) নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ওই অনুষ্ঠানগুলিতে ন্যূনতম নিরাপত্তাও দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে।

    ১৭ নভেম্বরের অনুষ্ঠান বাতিল 

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ নভেম্বর ত্রিবেণী মন্দিরে ভারতীয় কনস্যুলেটের (Indian Consulate) লাইফ সার্টিফিকেটের ওপর একটি অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু সেখানকার স্থানীয় গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে হামলা হতে পারে। এরপরে মন্দির কমিটি এই অনুষ্ঠান করতে না পারার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ওই মন্দির কমিটির তরফ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে, হিন্দুরা এখন সেই দেশের মন্দিরে (Canada) আসতেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এজন্য মন্দির কমিটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: অনুপ্রবেশের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন! বাংলা-ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা

    ED: অনুপ্রবেশের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে লেনদেন! বাংলা-ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) (ED)। অনুপ্রবেশের সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপের তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় মঙ্গলবার তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ, বারাকপুর-সহ আরও একাধিক জেলায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। বুধবার, ১৩ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফায় নির্বাচন হবে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেদিনই। এই আবহে ভোটের একদিন আগে এই তল্লাশি অভিযান বেশ উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (ED)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক মহিলার বাড়িতে সকাল থেকে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা (ED)। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েক জন মহিলাকে কাজের টোপ দিয়ে এ দেশে নিয়ে এসেছিলেন ওই মহিলা। চোরাপথেই তাঁদের আনা হয়েছিল ভারতে। কাজের প্রলোভন দিয়ে এ দেশে আনলেও শেষে তাঁদের বিভিন্ন অসাধু কাজে যুক্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে ওই চক্রের থেকে কয়েক জন পালিয়ে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের একটি থানায় অভিযোগ জানান। মামলা দায়ের হয় পড়শি রাজ্যে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। সূত্রের খবর, এই রাজ্যে কলকাতা লাগোয়া আটটি জায়গা-সহ রাজ্যের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চলছে। ঝাড়খণ্ডে দায়ের হওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইডি তদন্তে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনের বিষয়টি। পরে, সেই কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে সাদা করার চেষ্টা হয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন: ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ শূন্য! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র

    অনুপ্রবেশ-হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেন!

    অনুপ্রবেশ ঘিরে কালো টাকার লেনদেনের তদন্তে একটি ক্যাব ব্যবসার তথ্যও ইডির (ED) হাতে উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই অনুপ্রবেশ ও হাওয়ালার (Hawala) মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সঙ্গে ক্যাব ব্যবসার কী ধরনের যোগ রয়েছে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশ থেকে মহিলাদের পাচার করে ঝাড়খণ্ডে নিয়ে আসা হচ্ছিল। জানা যায়, এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই অভিযোগকারী নিজে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার করে বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। পরে, তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে স্থানীয় এক রিসর্টে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। পরে, সেই অভিযোগকারী অনুপ্রেশকারী ৫-৬ জন মহিলাদের নামও বলে দেন তদন্তকারীদের। তাঁদের কাছ থেকে আবার একটি ভুয়ো আধার কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।  

    অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব মোদি-শাহ

    এর আগে ঝড়খণ্ডে এক নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য জুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে সরকারপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘তোষণার রাজনীতিকে চরমে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্যে এদের গোটা রাজ্যে বসবাসের জন্যে জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল। পরিস্থিতি এখানে এমন হয়ে গিয়েছে যে সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে বিপদ কতটা বড়। যখন অনুপ্রবেশের মামলা আদালতে যায়, কিন্তু প্রশাসন সেটা অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গিয়েছে।’’ একই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন অমিত শাহ-ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ। আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে হবে মেলা। যেহেতু মহাকুম্ভের এই যোগ আসবে ফের ১৪৪ বছর পরে, তাই এবার রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেলও (Indian Railways)। 

    মহাকুম্ভ স্নান শুরু (Mahakumbh 2025)

    প্রয়াগরাজ-সহ মোট ১০টি রেল স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছে রেল। রেলের আশা, এবার প্রায় ১০ কোটি মানুষ ট্রেনে চড়ে প্রয়াগরাজে পৌঁছবেন। প্রয়াগরাজ স্টেশনটি উত্তর-মধ্য রেলওয়ে অঞ্চলের আওতায়। মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) স্নান শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা দিতে এবং আপগ্রেড করতে ৯৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল (Indian Railways)।

    রেলের বিশেষ ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে রেলমন্ত্রক এবার ৯৯২টি বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল। এই ট্রেনগুলি প্রয়াগরাজ জংশন, সুবেদারগঞ্জ, নৈনি, চেয়োকি, প্রয়াগরাজ রামবাগ, ঝাঁসি, প্রয়াগরাজ সঙ্গম, প্রয়াগ এবং ফাফামাউ স্টেশন থেকে চলাচল করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে সিসিটিভির পাশাপাশি ফেস রিকগনিশন (এফআর) ক্যামেরা বসাচ্ছে রেল (Indian Railways)। এই এফআর ক্যামেরাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সূত্রের খবর, প্রয়াগরাজের রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে প্রায় ৬৫০টি সিসিটিভি এবং ১০০টি ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা বসানো হবে (Mahakumbh 2025)।

    আঞ্চলিক রেলওয়ে (Indian Railways) স্টেশনগুলিতে বহু ভাষায় ঘোষণার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ তাঁদের নিজস্ব ভাষায় ট্রেন সংক্রান্ত তথ্যবলী সহজেই পেতে পারবেন। হিন্দি এবং ইংরেজির পাশাপাশি ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় ঘোষণা করা হবে। এই ভাষাগুলি হল— গুজরাটি, মারাঠি, তামিল, তেলুগু, মালায়ালাম, কন্নড়, বাংলা, অসমিয়া, ওড়িয়া এবং পঞ্জাবি।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    যেহেতু এবার ব্যাপক ভিড় হবে মহাকুম্ভ মেলায়, তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত ১৬০০-এরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন। এজন্য রেলওয়ে বোর্ড (Indian Railways) অন্য অঞ্চলগুলিকে বুকিং ক্লার্ক, বাণিজ্যিক-কাম-টিকিট ক্লার্ক, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শক এবং সহকারী বাণিজ্যিক ম্যানেজার-সহ অতিরিক্ত কর্মী পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে। মহাকুম্ভ মেলার সময় অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যেই এই কর্মীদের চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতি ১২ বছর অন্তর একবার করে হয় কুম্ভ। ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এই কুম্ভ এবং মহাকুম্ভ হয় প্রয়াগরাজে (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • DRDO: নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    DRDO: নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চিনকে টক্কর দিতে সব সময় প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারত। কোনওভাবেই দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত যাতে না হয় তার দিকে সজাগ দৃষ্টি সরকারের। সীমান্ত সুরক্ষার্থে সদা প্রস্তুত ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনা। সমুদ্র সীমান্তে প্রতিরক্ষার শক্তি বাড়াতে প্রথম থেকেই নজর দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। সেই পথে হেঁটেই নতুন একটি দূরপাল্লার অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (Anti-Ship Ballistic Missile) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ভারত (DRDO)।

    নয়া মিসাইলের ক্ষমতা

    এএনআই সূত্রের খবর, ওই দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হতে চলেছে ১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হাজার কিলোমিটার বা তারও বেশি দূরে থাকা এক জায়গায় ভাসমান বা চলন্ত কোনও যুদ্ধজাহাজ বা এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারকে আঘাত হানতে সক্ষম। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)-এর তরফে ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে। এই অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক মিসাইল যুদ্ধজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে, উপকূল থেকেও ছোড়া যাবে। দেশের পূর্ব উপকূলে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হবে।

    আরও পড়ুন: ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার আশা, বন্ধু রামগুলামকে জয়ের জন্য অভিনন্দন মোদির

    ব্যালিস্টিক মিসাইলের সংখ্যা বৃদ্ধি

    ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা হয়েছে এই মিসাইল সিস্টেম। দূর পাল্লা থেকে শত্রুদের যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার ক্ষমতা যাতে বাহিনীর হাতে থাকে, সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ। ভারতের তিনদিকে রয়েছে জলসীমান্ত, সেই কারণেই নৌ প্রতিরক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।  পাকিস্তান ও চিনের কাছে ইতিমধ্যেই এই অস্ত্র রয়েছে। চিনেও এর বড় স্টোরেজ রয়েছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তান তাদের দেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও করেছে। এই পরীক্ষার তথ্য দিয়ে পাকিস্তানি নৌবাহিনী বলেছিল যে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩৫০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এবং স্থল ও সমুদ্র উভয় দিক থেকেই এটি উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। তারই পাল্টা ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র। ভাঁড়ারে ব্যালিস্টিক মিসাইলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে ভারতের সব প্রতিরক্ষা বাহিনীই। ইতিমধ্যেই প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অর্ডার করেছে ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় বিমানবাহিনী। দীর্ঘমেয়াদের যুদ্ধের দিকে তাকিয়ে তিন বাহিনীতেই ধীরে ধীরে ছোট ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ভাঁড়ার তৈরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share