Blog

  • Saranda Forest: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ও সেরা শাল অরণ্য সারান্ডা, মধ্যমণি কিরিবুরু আর মেঘাতাবুরু

    Saranda Forest: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ও সেরা শাল অরণ্য সারান্ডা, মধ্যমণি কিরিবুরু আর মেঘাতাবুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারান্ডা। এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ও সেরা শাল অরণ্য (Saranda Forest)। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এই সারান্ডা ফরেস্ট, যার মধ্যমণি হল কিরিবুরু আর মেঘাতাবুরু। এখান থেকে সামান্য দূরত্বে অবস্থিত শতাধিক বছরের প্রাচীন ‘মুর্গা মহাদেব’ মন্দির। স্থানীয় মানুষজন এই মন্দিরকে অত্যন্ত পবিত্র ও জাগ্রত বলে বিশ্বাস করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, এখানে মানত করে পুজো দিলে সকল মনোস্কামনা পূরণ হয়।

    উৎসবের আবহে সেজে ওঠে এই মন্দির (Saranda Forest)

    ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলা ও ওড়িশার প্রায় সীমান্ত অঞ্চল নোয়ামুন্ডি। এই শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় তিন ৪-৫ কিমি দূরে টিসকো টাউনশিপের কাছে মুর্গা পাহাড়ে অবস্থিত মন্দিরটির শিল্পশৈলী অনেকটাই ওড়িশার মন্দিরগুলির শিল্পশৈলীর মতো। মন্দিরের প্রবেশের যে তোড়ণদ্বার রয়েছে, তার শীর্ষদেশে রয়েছে নীলকন্ঠ মহাদেবের নীল রঙের মুখাবয়ব। মূল মন্দিরটির প্রবেশদ্বারের দুই পাশে দুটি সিংহ মূর্তি। মন্দির চত্বরে রয়েছে একটি ষাঁড়ের মূর্তি, যাকে অনেকে নন্দী বলেন। অনেকটাই লাল এবং গেরুয়া রঙের মন্দিরটির অভ্যন্তরে পূজিত হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান মহাদেব। প্রতিদিন এখানে অসংখ্য ভক্ত সমাগম হয় মহাদেবের কাছে পুজো দিয়ে মনোস্কামনা পূর্ণ করার অভিপ্রায় নিয়ে। শিবরাত্রি এবং দুর্গাপুজোর সময় এখানে প্রবল আড়ম্বরে এবং পবিত্রতার সঙ্গে পুজোপাঠের আয়োজন করা হয়। হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় তখন। রীতিমতো উৎসবের আবহে সেজে ওঠে এই মন্দির।

    প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় 

    মন্দিরের কাছেই রয়েছে একটি সুন্দর ছোট্ট ঝর্ণা। অনেকেই এই ঝর্ণাধারায় স্নান করে তারপর পুজো দেন এই মন্দিরে। সবুজের গালিচায় মোড়া পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত এই মন্দিরের আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অসাধারণ। এই মন্দিরের কাছাকাছি থাকার জায়গা তেমন নেই । সাধারণত পর্যটকরা এই মন্দির ঘুরে নেন খুব কাছের সারান্ডা অরণের কিরিবুরু মেঘাতাবুরু থেকেই। এবার আসা যাক কিরিবুরু মেঘাতাবুরু (Kiriburu and Meghahatuburu) থেকে। প্রকৃতপক্ষে কিরিবুরু আর মেঘাতাবুরু দুটি আলাদা আলাদা পাহাড় চূড়া। একটি পাহাড় থেকে অন্যটিতে পায়ে হেঁটেই ঘুরে আসা যায়। সারান্ডার গভীর অরণ্যের অভ্যন্তরে অবস্থিত এই কিরিবুরুকে (Saranda Forest) বলা হয় ৭০০ পাহাড়ের দেশ। এখান থেকে নাকি আশেপাশের অঞ্চলের ৭০০টি পাহাড়ের চূড়া দেখা যায়। তাই এই নাম। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭০০ ফুটের মতো উচ্চতায় অবস্থিত এই বনাঞ্চল এক সময় ছিল সিংভূমের রাজাদের শিকার করার স্থান। বর্তমানে এই অঞ্চল প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকদের কাছে এক অত্যন্ত প্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

    প্রাণভরে উপভোগ করা যায় অরণ্যের শিহরণ (Saranda Forest)

    শাল, মহুয়া, পলাশ, শিমুলের এই অরণ্যে দেখা মেলে বুনো শুকর, বন্য কুকুর, যাদের স্থানীয় ভাষায় বলে ঢোল, হাতি এবং জানা-অজানা হরেক রঙের, হরেক কিসিমের পাখির। এখানে এলে এক যাত্রায় দেখে নেওয়া পুন্ডিল ফলস, সান-সেট পয়েন্ট প্রভৃতি। আর প্রাণভরে উপভোগ করা যায় অরণ্যের শিহরণ। সঙ্গে এই মুর্গা মহাদেব মন্দির দর্শনের পুণ্য তো রইলই। তবে মনে রাখা দরকার, এখানে ঘোরাঘুরির জন্য সর্বদা সঙ্গে গাড়ি রাখা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সুবিধার এবং অপেক্ষাকৃত কম খরচ হয় প্যাকেজ ট্যুরে ঘুরে নিলে। সেক্ষেত্রে জঙ্গলে সাফারি, এবং অন্যান্য ঝক্কির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

    কীভাবে যাবেন?

    কিরিবুরু থেকে মুর্গা মহাদেব (Saranda Forest) যাওয়ার পথ হবে এই রকম। কিরিবুরু-বড়া জামদা-নোয়ামুন্ডি। আর কিরিবুরু যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে বড়া জামদা। কলকাতা থেকে আসছে হাওড়া-বরবিল জন শতাব্দী এক্সপ্রেস। বড়া জামদা থেকে গাড়ি বা ট্রেকারে সামান্য পথ কিরিবুরু। থাকার জন্য এখানে কিরিবুরুতে আছে সেইল (SAIL )-এর গেস্ট হাউজ। বুকিং-এর জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ০৯৮৩৬৪৬৮১৭৮ নম্বরে। আর গাড়ি বা প্যাকেজের প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ০৮৯৮১৬১২১০০ নম্বরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (Bharat) ক্রমশই রাম রাজ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে, নেতৃত্বে রয়েছেন মোদি, গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার এ কথা বলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে জাতীয় নেতৃত্বে তত্ত্বাবধানে গত ১০ বছরে। নিজের বক্তব্যে জগদীপ ধনখড় আরও বলেন, ‘‘অনেক নেতার নাম রয়েছে কিন্তু নর যুক্ত ইন্দ্র, নরেন্দ্র সমস্ত কিছুকেই সম্ভব করেছেন এদেশে।’’ মোদি সরকারের এমন ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা যায় উপরাষ্ট্রপতিকে নয়াদিল্লিতে।

    জাতীয় নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই দেশ এগিয়ে চলেছে (Jagdeep Dhankhar) 

    তিনি (Jagdeep Dhankhar) আরও বলেন, ‘‘বিগত ১০ বছরে দেশজুড়ে অসংখ্য পাকা বাড়ির দেশের দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে, গ্য়াস কানেকশন পেয়েছেন দরিদ্র মানুষরা, ঘরে ঘরে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বিদ্যুৎ। ১০ বছরে এমনই অগ্রগতির সাক্ষী রয়েছে দেশের মানুষ। তাঁরা বলছেন যে এবার সঠিক মানুষকেই পুরস্কৃত করা হয়েছে।’’ নিজের বক্তব্যে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, একমাত্র জাতীয় নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণেই দেশ এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, ‘‘এটা পরিষ্কার যে, দেশ রাম রাজ্যের পথে এগিয়ে চলেছে। সরকার যা কিছু ভাবে করে সেটাই সম্ভব হয়। দেশের মানুষের পক্ষে কল্যাণকর এত কাজ কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? এটা সম্ভব হচ্ছে এই দেশের সেই ব্যক্তিটার জন্যই যিনি দেশকে (Bharat) নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’’

    শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে

    প্রসঙ্গত বিগত বছরগুলিতে মোদি সরকারের অন্যতম প্রয়াস দেখা গিয়েছে যে সমাজের সমস্ত স্তর থেকে প্রতিভাবানরা যাতে সম্মান পায়। দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্ন প্রদানের ক্ষেত্রে বিগত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেশে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। শিক্ষা নিয়েও এদিন উল্লেখযোগ্য বিবৃতি দেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। শিক্ষাকে কেন্দ্র করেই বড় বড় পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। আমি সকলকে অনুরোধ করব যে আপনারা নিজেদের সন্তানদের শিক্ষাদান করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh: সুস্থ জীবনে ফেরার আশায় দান্তেওয়াড়ায় আত্মসমর্পণ মাওবাদীদের

    Chhattisgarh: সুস্থ জীবনে ফেরার আশায় দান্তেওয়াড়ায় আত্মসমর্পণ মাওবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দান্তেওয়াড়া জেলায় রবিবার ৪ জন মাওবাদী, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) করেছে। এদের নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ১৯৭ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করল। সুস্থ জীবনে ফেরার বাসনায় এরা সরকারি সাহায্য নিয়ে নিজেদের গ্রামে ফিরেছে। দান্তেওয়াড়া (Dantewada) পুলিশের প্রচার অভিযান, সরকারের সমর্থন এবং কেন্দ্রের মোদি সরকারের নানা নীতির জেরেই এই সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।

    কিসের ভিত্তিতে আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender)

    পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেছেন, রবিবার হুঙ্গা তমো ওরফে তমো সূর্য (৩৭) ও তার স্ত্রী আয়তি তাতি (৩৫) আত্মসমর্পণ করে। এদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। এরা ২০১৮ সালে ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা (Chhattisgarh) আন্তঃরাজ্য পামদে (বিজাপুর) জঙ্গলে নিরাপত্তা কর্মীদের উপর হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্য দুই মহিলা মাওবাদী দেব ওরফে ভিজে এবং মাদভির মাথার দাম যথাক্রমে ৩ লক্ষ এবং ১ লক্ষ টাকা। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের (Maoists Surrender) প্রত্যেককে পুনর্বাসনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। পুলিশের ‘লন ভারাটু’ প্রচার অভিযানের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে, বলে জানা যায়। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও মাওবাদীদের হিংসার পথ ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ জানান। 

    মাওবাদী দমনে নয়া নীতি

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই মাওবাদী দমন বিষয়ে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সমন্বয় বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই আভাস দেওয়া হয়, মাওবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য এর মধ্যেই নানা পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছে কেন্দ্র। বৈঠকে অমিত জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে নির্মূল হবে মাওবাদীরা। এর জন্য আগামী দু’মাসের মধ্যেই মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ (Maoists Surrender) নীতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) সরকার। সূত্রের খবর, মাওবাদী-অধ্যুষিত এলাকায় পুনর্বাসন এবং তিন বছরের দক্ষতা-উন্নয়ন প্রশিক্ষণ শিবিরেরও (স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স) ব্যবস্থা করতে পারে সরকার। নতুন আত্মসমর্পণ নীতিতে (Dantewada) মাওবাদী সংগঠনের রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা এবং নিম্ন পদের ক্যাডারদের (Maoists Surrender) এককালীন তিন লক্ষ টাকা অনুদানও দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 142: “শ্রীরাধার ভাবে গান গাইতে গাইতে ঠাকুর সমাধিস্থ…চক্ষের দুই কোণ দিয়া আনন্দাশ্রু”

    Ramakrishna 142: “শ্রীরাধার ভাবে গান গাইতে গাইতে ঠাকুর সমাধিস্থ…চক্ষের দুই কোণ দিয়া আনন্দাশ্রু”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের শ্রীরাধার ভাব

    ঠাকুর দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় আসিয়া বসিয়াছেন। প্রাণকৃষ্ণাদি ভক্তগণও সঙ্গে সঙ্গে আসিয়াছেন। হাজরা মহাশয় বারান্দায় বসিয়া আছেন। ঠাকুর হাসিতে হাসিতে প্রাণকৃষ্ণকে বলিতেছেন—হাজরা একটি কম নয়। যদি এখানে বড় দরগা হয়, তবে হাজরা ছোট দরগা। (সকলের হাস্য)

    বারান্দার দরজায় নবকুমার আসিয়া দাঁড়াইয়াছেন। ভক্তদের দেখিয়াই চলিয়া গেলেন। ঠাকুর বলিতেছেন, অহংকারের মূর্তি।

    বেলা সাড়ে নয়টা হইয়াছে। প্রাণকৃষ্ণ প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন—কলিকাতার বাটীতে ফিরিয়া যাইবেন।

    একজন বৈরাগী গোপীযন্ত্রে ঠাকুরের ঘরে গান করিতেছেন:

       নিত্যানন্দের জাহাজ এসেছে।
       তোরা পারে যাবি তো ধর এসে ॥
    ছয় মানোয়ারি গোরা, তারা দেয় সদা পারা,
       বুক পিঠে তার ঢাল খাঁড়া ঘেরা।
    তারা সদর দুয়ার আলগা করে রত্নমাণিক বিলাচ্ছে।

    গান—এই বেলা নে ঘর ছেয়ে।
       এবারে বর্ষা ভারি, হও হুঁশিয়ারি, লাগো আদা জল খেয়ে।
            যখন আসবে শ্রবণা, দেখতে দেবে না।
            বাঁশ বাখারি পচে যাবে, ঘর ছাওয়া হবে না।
    যেমন আসবে ঝটকা, উড়বে মটকা, মটকা জাবে ফাঁক হয়ে।
            (তুমিও যাবে হাঁ হয়ে)।

    গান—কার ভাবে নদে এসে, কাঙাল বেশে, হরি হয়ে বলছি হরি।
      কার ভাবে ধরেছ ভাব, এমন স্বভাব, তাও তো কিছু বুঝতে নারি।

    ঠাকুর গান শুনিতেছেন, এমন সময় শ্রীযুক্ত কেদার চাটুজ্যে আসিয়া প্রণাম করিলেন। তিনি আফিসের বেশ পরিয়া আসিয়াছেন, চাপকান, ঘড়ি, ঘড়ির চেন। কিন্তু ঈশ্বরের কথা হইলেই তিনি চক্ষের জলে ভাসিয়া যান। অতি প্রেমিক লোক। অন্তরে গোপীর ভাব।

    কেদারকে দেখিয়া ঠাকুরের একেবারে শ্রীবৃন্দাবনলীলা উদ্দীপন হইয়া গেল। প্রেমে মাতোয়ারা হইয়া দণ্ডায়মান হইলেন ও কেদারকে সম্বোধন করিয়া গান গাহিতেছেন:

        সখি, সে বন কতদূর।
    (যথা আমার শ্যামসুন্দর) (আর চলিতে যে নারি)

    শ্রীরাধার ভাবে গান গাইতে গাইতে ঠাকুর সমাধিস্থ। চিত্রার্পিতের ন্যায় দণ্ডায়মান। কেবল চক্ষের দুই কোণ দিয়া আনন্দাশ্রু পড়িতেছে।

    কেদার ভূমিষ্ঠ। ঠাকুরের চরণ স্পর্শ করিয়া স্তব করিতেছেন:

    হৃদয়কমলমধ্যে নির্বিশেষং নিরীহম্‌।
    হরিহরবিধিবেদ্যং যোগিভির্ধ্যানগম্যম্‌ ॥
    জননমরণভীতিভ্রংশি সচ্চিৎ স্বরূপম্‌।
    সকল ভুবনবীজং ব্রহ্মচৈতন্যমীড়ে ॥

    কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ প্রকৃতিস্থ হইতেছেন। কেদার নিজ বাটী হালিসহর হইতে কলিকাতায় কর্মস্থলে যাইবেন। পথে দক্ষিণেশ্বর কালী-মন্দিরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করিয়া যাইতেছেন। একটু বিশ্রাম করিয়া কেদার বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    এইরূপে ভক্তসঙ্গে কথা কহিতে কহিতে বেলা প্রায় দু-প্রহর হইল। শ্রীযুক্ত রামলাল ঠাকুরের জন্য থালা করিয়া মা-কালীর প্রসাদ আনিয়া দিলেন। ঘরের মধ্যে ঠাকুর দক্ষিণাস্য হইয়া আসনে বসিলেন ও প্রসাদ পাইলেন। আহার বালকের ন্যায়—একটু একটু সব মুখে দিলেন।

    আহারান্তে ঠাকুর ছোট খাটটিতে একটু বিশ্রাম করিতেছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে মারোয়াড়ী ভক্তেরা আসিয়া উপস্থিত হইলেন।

    আরও পড়ুনঃ “গঙ্গার যত নিকটে যাবে ততই শীতল বোধ হবে, স্নান করলে আরও শান্তি”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে’! চিকিৎসককে হুমকি প্রাক্তন কাউন্সিলরের

    RG Kar: ‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে’! চিকিৎসককে হুমকি প্রাক্তন কাউন্সিলরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে!’’ আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাসকে ঠিক এই ভাষায় হুমকি দিয়েছিলেন স্থানীয় এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। এমনই অভিযোগ ওই চিকিৎসকের। আরও জানান, নিজেকে নির্যাতিতার ‘কাকা’ পরিচয় দিয়ে ফোন করেন ওই কাউন্সিলর।

    পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে (RG Kar)

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar) ফের সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েঠিল চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে এবং সৌরভ পালকে। সেইসঙ্গে ডাকা হয়েছিল চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকেও। নির্যাতিতার ময়না তদন্ত যে-তিন চিকিৎসক করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন তিনি। ফরেন্সিক মেডিসিনের অধ্যাপক অপূর্ববাবু নির্যাতিতার ময়না তদন্ত করা নিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। জানালেন, তাঁর ওপর কীভাবে দ্রুত পোস্টমর্টেম করার জন্য চাপসৃষ্টি করা হয়েছিল। 

    সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, এক প্রাক্তন কাউন্সিলর সেদিন (৯ অগাস্ট) তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করতে চাপ দিয়েছিলেন। নিজেকে নির্যাতিতার (RG Kar) কাকা পরিচয় দেওয়া ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর সেখানে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ওইদিন দ্রুত পোস্টমর্টেম না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। তবে, তিনি রক্তের সম্পর্কের কেউ নন। বাইরের কেউ। বলেছিল ওই দিনই পোস্টমর্টেম করতে হবে। তিনি হলেন চিকিৎসকের বাড়ি যেখানে সেখানকার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর। এনিয়ে অভিযুক্ত সেই কাউন্সিলর সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘এবার আমি এফআইআর করব। পুরো সাজিয়ে বলা হচ্ছে।’’ এদিকে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর বলে তিনি কোনও উল্লেখ করেননি। তবে ওখানকার প্রাক্তন কাউন্সিলর বলতে ওই সিপিএম কাউন্সিলর রয়েছেন। তবে, তাঁর কথাই ওই চিকিৎসক বলছেন কি না তা নিশ্চিত নয়। কারণ, ওই চিকিৎসক সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    হুমকি কেন মানলেন চিকিৎসকরা, উঠছে প্রশ্ন

    এমনিতেই নির্যাতিতার ময়না তদন্ত নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। যে-বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোটও। এবার বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। কিন্তু, সেইসঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছে যে, কেউ এমন হুমকি দিলেও সেই দাবি কেন মেনে নিয়েছিলেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা। এদিকে রবিবার টালা থানার সাব ইনস্পেক্টর চিন্ময় বিশ্বাসকেও তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকেও। প্রসঙ্গত, আরজি করের (RG Kar) মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার থেকে তাঁর দেহ দাহ করা। গোটা প্রক্রিয়ায় একটা অস্বাভাবিক তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: নবরাত্রিতে দেবী দুর্গাকে নয়টি রূপে পুজো করা হয়, জানুন দেবীর রূপ-মহিমা

    Durga Puja 2024: নবরাত্রিতে দেবী দুর্গাকে নয়টি রূপে পুজো করা হয়, জানুন দেবীর রূপ-মহিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামায়ণে আছে ভগবান শ্রী রামচন্দ্র রাবণকে বধ করার জন্য দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) অকালবোধন করেছিলেন। এই নিয়ম মেনে আশ্বিন মাসে শারদীয়া দুর্গাপুজো করে থাকে গোটা বাঙালি সমাজ। কিন্তু দুর্গাপুজোর আসল সময় হল বসন্ত ঋতুতেই, যা দেবী বাসন্তীর পুজো হিসেবে পরিচিত। বাংলায় দুই পুজোই হয়ে থাকে, কিন্তু শরৎকালের পুজো হল প্রধান এবং বড় পুজো। নবরাত্রির সঙ্গে দেবী দশভূজার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তিথি-নক্ষত্র মিলিয়ে একই রীতিনীতির মধ্যেই পুজো করা হয়ে থাকে। বসন্ত ঋতুতে চৈত্র মাসে যে নবরাত্রি (Navratri) পালন করা হয়, তাতে দেবী দুর্গাকে (Goddess Durga) নয়টি অবতারে পুজো করা হয়। শরৎকালের পুজোও হয় একই ভাবে।

    কবে পালিত হয় (Durga Puja 2024)?

    চৈত্র নবরাত্রি (Navratri) পালিত হয় চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ তিথিতে। এই সময় মা দুর্গা  (Goddess Durga) নয় রকম অবতারে পূজিতা হন। এই পুজো পশ্চিমবঙ্গে যেমন বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত, ঠিক তেমনি মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণে চৈত্র নবরাত্রিকে গুড়ি পদওয়াও বলা হয়। আবার দক্ষিণ ভারতে নবরাত্রি উগাদি নামেও পরিচিত। নবরাত্রি (Durga Puja 2024) পালনের সঙ্গে বসন্তকালীন চৈতালি ফসল কাটার একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। এতে ভক্তের মনের বাসনা পূর্ণ হয় বলে যেমন বিশ্বাস করা হয়, সেই সঙ্গে ভক্তদের মনেও বিশেষ আস্থা থাকে।  

    দেবীর নয় অবতার

    দেবী বাসন্তীর ন’টি অবতার হল, দেবী শৈলপুত্রী, দেবী ব্রহ্মচারিণী, দেবী চন্দ্রঘণ্টা, দেবী কুস্মাণ্ডা, দেবী স্কন্ধমাতা, দেবী কাত্যায়নী, দেবী কালরাত্রি, দেবী মহাগৌরী, দেবী সিদ্ধিদাত্রী। তিথি মেনে টানা নয় দিন ধরে পুজো করে মায়ের কাছে বর চেয়ে অশুভ শক্তির পরাজয় এবং শুভ শক্তির জাগরণের জন্য কামনা করা হয়। সংসারের শ্রীবৃদ্ধি, অর্থধন লাভ, সন্তানদের সাফল্য, পারবারিক সুখ সমৃদ্ধি এবং নারী শক্তির জাগরণের আশায় ভক্তরা এই নবরূপে দেবী বাসন্তী মায়ের পুজো করা হয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে, দেবী দুর্গা (Durga Puja 2024) মা নৌকাতে করে পরিবারের সঙ্গে মর্ত্যে বাপের বাড়িতে আসেন। নবরাত্রির পর আবার কৈলাসে পাড়ি দেন মা দুর্গা।

    দেবী শৈলপুত্রী

    দেবী শৈলপুত্রী হলেন হিমালয়ের কন্যা। তাঁর স্বামী হলেন ভগবান শিব। তাঁর দুই সন্তান কার্তিক এবং গণেশ। দক্ষরাজের কন্যা হলেন সতী। সতীর অপর নাম শৈলপুত্রী। এই দেবীর (Durga Puja 2024) পুজো করা হয় নবরাত্রির (Chaitra Navratri 2023) প্রথম দিনে।

    দেবী ব্রহ্মচারিণী

    দেবী ব্রহ্মচারিণী হলেন মা দুর্গার (Goddess Durga) দ্বিতীয় অবতার। তাঁর পুজো করা হয় নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে। দেবী দুর্গার তপস্যার প্রতীক হলেন দেবী ব্রহ্মচারিণী। তিনি ভগবান ব্রহ্মার মার্গের পথে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করে ছিলেন। এই দেবীর সাধানায় পরিবারে মঙ্গলকামনা এবং বিদ্যা-বুদ্ধির প্রাপ্তি হয়।

    দেবী চন্দ্রঘণ্টা

    দেবী চন্দ্রঘণ্টা হলেন দেবী দুর্গার (Goddess Durga) তৃতীয় রূপ। বাঘের উপর উপবিষ্ট থাকেন স্বয়ং দেবী। অসুর বিনাশিনী দেবী। তাঁর দশ হাতে পদ্ম, গদা, ত্রিশূল, তলোয়ার, তীরধনুক ইত্যাদি দশ অস্ত্রে সুসজ্জিত থাকে। দেবীর মস্তকে অর্ধচন্দ্র অবস্থান করে। তাই দেবীকে চন্দ্রঘণ্টা নামে ডাকা হয়। এই দেবী অভয়ার প্রতীক।

    দেবী কুস্মাণ্ডা

    দেবী কুস্মাণ্ডা হলেন চতুর্থ অবতার। এই দেবী (Durga Puja 2024) স্বয়ং ব্রহ্মাণ্ডকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর অনাহত চক্রে মানুষকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করেন। এই দেবীর আরাধনায় পারিবার সুস্থ এবং রোগমুক্ত থাকে।

    দেবী স্কন্দমাতা

    দেবী স্কন্ধ হলেন পঞ্চম অবতার। তিনি ভক্তের কাছে মুক্তি এবং শক্তির প্রতীক। তিনি এই রূপে সিংহবাহনা। ত্রিনয়নী এবং চারটি মস্তকে সজ্জিত। স্কন্দের জননী হওয়ায় তাঁকে স্কন্দমাতা বলা হয়। এই দেবীর পুজোতে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়।

    দেবী কাত্যায়নী

    দেবী কাত্যায়নী হলেন মহিষাসুরমর্দিনী (Durga Puja 2024)। তিনি হলেন মায়ের ষষ্ঠ অবতার। সকল অশুভ শক্তিকে পরাজয় করে অসুরদের বিনাশ করে থাকেন। বৈদিক যুগে কাত্যায়ন নামে এক ঋষি ছিলেন। সেই সূত্রেই এই নামকরণ হয়েছে কাত্যায়নী।

    দেবী কালরাত্রি

    দেবী কালরাত্রি হলেন দুর্গার (Goddess Durga) সপ্তম অবতার। সব রকম রাক্ষস এবং ভূতেদের বিনাশ করে থাকেন এই দেবী। অসুর বিনাশিনী উগ্ররূপিণী রূপ অশুভ শক্তিকে স্বমূলে উৎখাত করেন।

    দেবী মহাগৌরী

    মহাগৌরী হলেন দেবীর অষ্টম অবতার। তিনি হলেন ভক্তের সমৃদ্ধি এবং সুখ প্রদানের দেবী। অর্থ সমৃদ্ধি এবং কল্যাণময় বার্তা আসে।

    দেবী সিদ্ধিদাত্রী

    সিদ্ধিদাত্রী (Durga Puja 2024) দেবী হলেন মহাসিদ্ধি প্রদানের দেবী। নবরাত্রিতে (Navratri) দেবী দুর্গার নবম অবতার এবং ভগবান শিবের পত্নী। তাঁকে সিদ্ধিদাত্রীকে বলা হয় শিবের অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA: আরজি কর কাণ্ডে কেন নিষ্ক্রিয় আইএমএ-র কলকাতা শাখা? প্রশ্ন তুলে ইস্তফা সহ-সভাপতির

    IMA: আরজি কর কাণ্ডে কেন নিষ্ক্রিয় আইএমএ-র কলকাতা শাখা? প্রশ্ন তুলে ইস্তফা সহ-সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যখন তোলপাড় হয় সারা দেশ, তখনও নিষ্ক্রিয় ছিল চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-এর (IMA) কলকাতা শাখা। ঠিক এই অভিযোগে সংগঠনের সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কৌশিক বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, ইমেল মারফত তিনি এই ইস্তফাপত্র আইএমএ-এর কলকাতা শাখার সভাপতিকে পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর, রবিবারই সংগঠনের কলকাতা শাখার বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আরজি কর (RG Kar Issue) ইস্যুতে। সেখানে দু’‌পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসাও হয়েছিল। কেন আইএমএ (IMA) কলকাতা নিষ্ক্রিয় ছিল, এই প্রশ্ন বারবার উঠতে থাকে।

    কী বললেন কৌশিক?

    পদত্যাগের পর সংবাদমাধ্যমে কৌশিক বলেন, ‘‘আমি আইএমএ-র (IMA) কলকাতা শাখার সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। সেই মর্মে একটি ইমেল সংগঠনের সভাপতিকে পাঠিয়েছি। রাজ্য কমিটিকেও সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছি।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আরজি করে (RG Kar Issue) যা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএ-র কলকাতা শাখার ভূমিকা খুবই হতাশাজনক ছিল। সেটাই আমার এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ। গত দেড় মাসে আইএমএ-র কলকাতা শাখা তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমি এটা মেনে নিতে পারছিলাম না। সহ-সভাপতি হিসাবে এই নিষ্ক্রিয়তার দায় আমি এড়াতে পারি না। তাই ইস্তফা দিলাম।’’ কৌশিকের আরও অভিযোগ, ‘‘বর্তমানে আইএমএ-র কলকাতা শাখা যে বা যাঁরা চালান, তাঁরা যে বিশেষ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, তাদের সঙ্গে আমি কাজ করতে পারছি না।’’

    স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কোনও পদক্ষেপ (IMA) সন্দীপের বিরুদ্ধে করা হয়নি

    সংগঠনের কলকাতা শাখার তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কোনও পদক্ষেপ সন্দীপের বিরুদ্ধে করা হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন কৌশিক। দিল্লির নির্দেশেই তাঁকে (সন্দীপ ঘোষ) পদ থেকে সরানো হয়েছিল। কৌশিক বলেন, ‘‘আমার মত ছিল, দিল্লির নির্দেশ আসার আগেই সন্দীপকে সরানো হোক। তা মানা হয়নি। পরে দিল্লি আইএমএ থেকে নির্দেশ আসে এবং তা কার্যকর করা হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Bangladesh: ‘পাকিস্তান ভেবেছ নাকি?’ ভারত জিততেই বাংলাদেশকে নিয়ে মিমের বন্যা

    India vs Bangladesh: ‘পাকিস্তান ভেবেছ নাকি?’ ভারত জিততেই বাংলাদেশকে নিয়ে মিমের বন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরকে দুই টেস্ট-এর সিরিজে দুরমুশ করে বিরাট স্বপ্নের আশা বুনছিল বাংলাদেশ (India vs Bangladesh)। টাইগাররা হুমকি দিয়েছিল, ভারতেও তারা পাকিস্তানে জয়ের পুনরাবৃত্তি করবে। তবে ফল হল উল্টো, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ভারত। ২৮০ রানের ব্যবধানে হারের পর যথারীতি তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হল বাংলাদেশকে। নেটিজেনরা তো টাইগারদের সোজাসুজি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, ‘পাকিস্তান ভেবেছ নাকি?’ 

    বড় ব্যবধানে জয়

    ভারতের (India vs Bangladesh) মাটিতে ভারতকে দুই টেস্ট-এ হারিয়ে সিরিজ জিতে নেবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ভারত হুমকি হালকাভাবে নেয়নি। যেকোনও মূল্যে জয়ের পথ থেকে সরতে নারাজ রোহিত ব্রিগেড। রবিবার চেন্নাইয়ে ভারত বাংলাদেশকে ২৮০ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে লিড নিয়েছে।

    চতুর্থ দিনের সকালে বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামান রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। ঘরের মাঠে অশ্বিন ভেলকি দেখালেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট নেন তিনি। জাদেজা নেন তিনটি।

    এই টেস্ট জয়েই অবশ্য আত্মতুষ্ট হতে নারাজ টিম ইন্ডিয়া। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। সেই টেস্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চেন্নাই টেস্ট-এর স্কোয়াড অপরিবর্তিত রেখেছে। 

    নেটিজেনদের কটাক্ষ

    উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ভারতের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে টেস্ট জয়ের নজিরই বাংলাদেশ তৈরি করতে পারেনি। সেই ধারা অটুট রেখে চেন্নাইয়ের মাটি রবিবার স্পষ্ট করে দিল, বাংলাদেশ যে হুমকি দিয়েছিল, সেটা তাদের স্বপ্ন। আর, সেই স্বপ্ন সম্পূর্ণ বাস্তববর্জিত।

    প্রথম টেস্টই তার পরিচয়। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ভারতের জয়ের পরই নেটিজেনরা বাংলাদেশকে কটাক্ষে ভরিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের আনন্দ নিজেরাই কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুললেন। দেখা যায় নাগিন নাচের মিমও।

    দ্বিতীয় টেস্টে দল

    প্রথম টেস্ট জয়ের পরই কানপুর (India vs Bangladesh) টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করে দেয় বিসিসিআই। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবে ভারত।  মনে করা হয়েছিল আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কথা মাথায় রেখে কানপুরের ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে বুমরাকে।

    কিন্তু অজিত আগারকারের নেতৃত্বে সিনিয়র নির্বাচক কমিটি ফাস্ট বোলার জসপ্রিত বুমরাকে বিশ্রাম দেয়নি। পেসার যশ দয়াল এবং আকাশ দীপ তাঁদের জায়গা ধরে রেখেছেন স্কোয়াডে। সরফরাজ খান এবং ব্যাক-আপ উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলও দলের সঙ্গে ভ্রমণ করবেন বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে থাকা বাহনগুলির পৌরাণিক তাৎপর্য কি জানেন?

    Durga Puja 2024: দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে থাকা বাহনগুলির পৌরাণিক তাৎপর্য কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরৎকালে প্রতি বছর মা দুর্গা (Durga Puja 2024) কৈলাস থেকে মর্তে বাপের বাড়িতে আসেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে। মা দুর্গা এবং তাঁর সন্তানদের সঙ্গে আসেন বাহনগুলিও। ইঁদুর আসে গণেশের সঙ্গে, হাঁস আসে মা সরস্বতীর সঙ্গে, পেঁচা আসে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে, ময়ূর আসে কার্তিকের সঙ্গে এবং স্বয়ং মা দুর্গা আসেন সিংহের পিঠে চড়ে। বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনিতে যাওয়ার আগে বলা দরকার, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রকৃতি পুজোর রীতি বৈদিক যুগ থেকেই ছিল। মাটি, অগ্নি, বায়ু, নদী, গাছ সবকিছুই পুজো করা হত ওই যুগে। একটি মন্ত্রে আছে-

    গঙ্গেচযমুনেচৈব
    গোদাবরীসরস্বতী।
    নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলস্মিনসন্নিদ্ধিম কুরু।।

    অর্থাৎ ভারতীয় সভ্যতায় গাছপালা, নদনদীর সঙ্গে সঙ্গে জীবজন্তুও মানুষের দৈনন্দিন কাজে উপকারী বলেই গণ্য হয়। এই ধারণা থেকেই বাহন হিসেবে হয়তো তারাও পূজিত হয়। এবার আসা যাক পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে।

    মা দুর্গার বাহন সিংহ (Durga Puja 2024)

    পুরাণ অনুযায়ী (Mythological Significance)-দেবী পার্বতী (Durga Puja 2024) হাজার বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন শিবকে তাঁর স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য। তপস্যার কারণে দেবী অন্ধকারে মিশে যান। বিয়ের পর পার্বতীকে মহাদেব কালী বলে সম্বোধন করলে দেবী তৎক্ষণাৎ কৈলাস ত্যাগ করে ফের তপস্যায় মগ্ন হয়ে যান। তপস্যা রত দেবীকে শিকার করার ইচ্ছায় এক ক্ষুধার্ত সিংহ তাঁর দিকে আসতে শুরু করে। কিন্তু দেবীকে দেখে সেখানেই চুপ করে বসে যায় সে। সেই সময় বসে বসে সিংহ চিন্তা করতে থাকে, দেবী তপস্যা থেকে যখন উঠবেন, তখন তিনি খাবার হিসেবে গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে বহু বছর কেটে যায়, কিন্তু সিংহ তার নিজের জায়গা থেকে নড়ে না। এদিকে দেবী পার্বতীর তপস্যা সম্পন্ন হওয়ার পর মহাদেব আবির্ভূত হলে পার্বতীকে গৌরবর্ণ বলে বর্ণনা করেন। যে সিংহটি দেবীকে শিকার করতে এসেছিল, তাকেই বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন দেবী। কারণ দেবীর জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছিল সিংহ। এরপর পার্বতীর বাহনকে সিংহ বলে মনে করা হয়। আবার কালিকাপুরাণ অনুযায়ী, শ্রীহরি দেবীকে বহন করছেন। এই হরি শব্দের এক অর্থ সিংহ। আবার শ্রীশ্রীচণ্ডীতে উল্লেখ আছে গিরিরাজ হিমালয় দেবীকে সিংহ দান করেন। শিবপুরাণ বলে, ব্রহ্মা দুর্গাকে বাহনরূপে সিংহ দান করেছেন। সিংহ হলো শৌর্য, পরাক্রম, শক্তির প্রতীক। অসুরদের বিনাশকারী বাহন সিংহ।

    গণেশের বাহন ইঁদুর

    স্বর্গে দেবলোকের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। একদিন বামদেব নামে এক ঋষি এসে উপস্থিত হন সেই সভায়। তিনি গান করতে থাকেন। সেই গান শুনে নিজের হাসি চাপতে পারেননি গন্ধর্ব ক্রঞ্চ। সেই হাসি দেখে ফেলেন বামদেব। সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ে তিনি ক্রঞ্চকে অভিশাপ দেন। অভিশাপের ফলে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। ঋষি অভিশাপ দেন, কোনও দিন আর গান গাইতে পারবেন না ক্রঞ্চ। ক্রঞ্চ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতে বিশেষ ফল হয়নি। তিনি ইঁদুর হয়ে যান এবং মর্ত্যে নেমে আসেন। তবে মুনি বলেছিলেন কোনও দিন যদি গণেশ তাঁকে বাহন করেন তা হলে মুক্তি মিলবে। মর্তলোকে তিনি যেখানে নেমেছিলেন, কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। ইঁদুর ক্রঞ্চ সেখানেই নিজের খাদ্যের সন্ধানে যেতে শুরু করেন। এদিকে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন কুটিরবাসীরা। অপর দিকে একদিন গণেশ সেই মুনির কুটিরে পৌঁছন। সেখানে জানতে পারেন ইঁদুরের কুকীর্তির কথা। তখন তাকে ধরতে উদ্যত হন গণেশ। অবশেষে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ক্রঞ্চ নিজের পরিচয় দিয়ে সব কথা বলেন গণেশকে। বলেন, বামদেব বলেছিলেন যে স্বয়ং দুর্গা (Durga Puja 2024) পুত্র গণপতি যদি তাকে তাঁর বাহন করেন, তবেই ঘুচবে তাঁর দুঃখ। এ কথা শুনে ইঁদুরকেই তিনি নিজের বাহন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

    মা লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা

    পৌরাণিক (Mythological Significance) গল্প অনুযায়ী, যখন দেব-দেবীরা প্রাণীজগতের সৃষ্টি করেছিলেন তখন তাঁরা পৃথিবী ভ্রমণে আসেন। সেই সময় পশু ও পাখিরা  দেবতাদের ধন্যবাদ জানায়। পশু ও পাখিরা বলতে থাকে, আপনারা যেহেতু আমাদের তৈরি করেছেন তাই আপনাদের বাহন হয়ে আমরা পৃথিবীতে থাকব। সেই সময় দেবতারা নিজেদের বাহন পছন্দ করে নেন। যখন দুর্গা কন্যা (Durga Puja 2024) লক্ষ্মীর নিজের বাহন বেছে নেওয়ার সময় আসে, তখন তিনি বলেন আমি যেহেতু রাতে পৃথিবীতে আসি তাই রাতে যে প্রাণী দেখতে পায় সেই হবে আমার বাহন। এরপর পেঁচা হয়ে ওঠে দেবী লক্ষ্মীর বাহন।

    কার্তিকের বাহন ময়ূর

    তারকাসুরকে বধ করেছিলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। পৌরাণিক কাহিনী মতে, মৃত্যুর আগে তারকাসুর কার্তিকের বাহন হিসেবে থাকতে চেয়েছিল। ময়ূরের ছদ্মবেশে কার্তিককে আক্রমণও করেছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে তারকাসুর। কথিত আছে ওই ময়ূরটিই হল দুর্গা (Durga Puja 2024) পুত্র কার্তিকের বাহন।

    সরস্বতীর বাহন হাঁস

    হাঁস নাকি জল, স্থল, অন্তরীক্ষে থাকতে পারে। জ্ঞান ও বিদ্যার দেবীকেও এই তিনটি জায়গায় থাকতে হয় জ্ঞান ও বিদ্যাদানের জন্য। তাই বাহন হিসেবে হাঁসকেই বেছে নিয়েছেন দেবী দুর্গার (Durga Puja 2024) কন্যা সরস্বতী। একই ভাবে হংস শব্দের ‘হং’ এবং ‘স’ এই দুটি শব্দের মধ্যে জাগতিক শক্তি এবং শাক্তির আধারের মহাজ্ঞান গ্রন্থিত হয়ে রয়েছে। তাই হংস বিদ্যাদেবীর বাহন হয়ে মহাপ্রজ্ঞার প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: শিশুদের যৌনতার ভিডিও দেখলে বা রাখলেও সাজা পকসো আইনে, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: শিশুদের যৌনতার ভিডিও দেখলে বা রাখলেও সাজা পকসো আইনে, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশুদের নিয়ে তৈরি পর্নোগ্রাফি দেখা কিংবা তা ডাউনলোড করাও এবার থেকে পকসো (POCSO) আইনে অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে। সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায় খারিজ করে এমনই বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  সুপ্রিম কোর্টের তরফে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘‘বর্তমান সময়ে পর্নোগ্রাফি দেখার মতো ভয়ঙ্কর সমস্যা নিয়ে লড়ছে শিশুরা। সমাজকে এতটা পরিণত হতে হবে যে শাস্তির বদলে শিক্ষা দেওয়া যায়।’’ এর আগে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাদের এক রায়ে জানিয়েছিল, শিশুদের নিয়ে নীলছবি দেখা কিংবা তার ক্লিপ ডাউনলোড করা শাস্তিযোগ্য নয়। এদিন মাদ্রাজ হাইকোর্টের সেই নির্দেশকেই খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

    চেন্নাইয়ের এক ২৮ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বাতিল করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ বলে, মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায় দিতে গিয়ে গুরুতর ত্রুটি করে ফেলেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি মাদ্রাজ হাইকোর্ট চেন্নাইয়ের এক ২৮ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বাতিল করে দিয়েছিল। ওই যুবকের বিরুদ্ধে শিশু-পর্ন দেখা এবং ভিডিও ডাউনলোড (POCSO) করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের বিষয়ের ছবি দেখা পকসো আইনের এক্তিয়ারে পড়ে না।

    ‘চাইল্ড পর্ন’ শব্দটিও সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

    এদিন এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট ওই যুবকের বিরুদ্ধে ওঠা ফৌজদারি মামলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) এও জানিয়েছে, শিশুদের নিয়ে যৌন ছবি তৈরি করা, দেখা এবং ডাউনলোড করা ছাড়াও তা প্রকাশ করা এবং শেয়ার করা সবই অপরাধ। এদিনের নির্দেশে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘চাইল্ড পর্ন’ শব্দটিও সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছে এবং এর বদলে ‘শিশু যৌন নির্যাতন এবং শোষণমূলক বিষয়’- শব্দ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আইন সংশোধন করতে বলেছে। এর পাশাপাশি দেশের সব আদালতকে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছে যে, এখন থেকে যেন ‘শিশু পর্নোগ্রাফি’  শব্দটি কোনও মামলায় ব্যবহার না করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share