Blog

  • Durga Puja 2024: মা দুর্গার দশ হাতের দশটি অস্ত্রই নানা বার্তাবাহক! জেনে নিন তাদের তাৎপর্য

    Durga Puja 2024: মা দুর্গার দশ হাতের দশটি অস্ত্রই নানা বার্তাবাহক! জেনে নিন তাদের তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দুর্গার কোনও নির্দিষ্ট রূপ নেই। শক্তিরূপিণী মহামায়াকে কোনও এক রূপের আধারে ধরা যায় না বলেই মায়ের অনেক রূপ। তিনি মা দুর্গতিনাশিনী রূপে পূজিতা (Durga Puja 2024) হন। দেবী দুর্গার (Goddess Durga) আরও এক নাম দশভূজা। তাঁর দশ হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র বিদ্যমান থকে। নানা অস্ত্রে সজ্জিতা দেবী অশুভশক্তিকে সংহার করতে মর্তধামে আসেন। মানব-জাতির ওপর নেমে আসা অন্ধকার দূর করতে, অশুভশক্তির বিনাশ করতে অস্ত্র হাতে তুলে নেন। তিনি আবার সকল সৃষ্টি-স্থিতি-লয়কে একত্রে ধারণ করেন। দশভূজা দেবীর দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্যকথা কেমন জানেন? আসুন একবার মায়ের দশ অস্ত্রের উৎস এবং শক্তির প্রকার জেনে নিই।

    দেবীকে রণসাজে সাজালেন কারা?

    ত্রিশূল: দেবাদিদেব মহাদেব মা দুর্গাকে (Durga Puja 2024) ত্রিশূল দান করেছিলেন। ত্রিশূলের তিনটি ফলা আসলে ‘ত্রিগুণ’-এর প্রতীক। প্রত্যেক জীবের মধ্যেই বর্তমান থাকে সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ—এই ত্রিগুণ। সত্ত্ব হল ধর্ম জ্ঞান, রজঃ মানে অহঙ্কার এবং তমঃ মানে অন্ধকার। তিন গুণের ধারক-বাহক দেবী দুর্গা।

    সুদর্শন চক্র: ভগবান শ্রীবিষ্ণু দেবী দুর্গার সুদর্শন চক্রটি দিয়েছিলেন। এই চক্রের নির্দেশে বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হয়। দেবীর ব্রহ্মাণ্ড শক্তি আবর্তিত হয় সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে। অধর্মের মাত্রা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে মা চক্র দিয়ে সমূলে বিনাশ করেন।

    পদ্ম: দেবীকে পদ্ম দিয়েছিলেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাদেব। পদ্ম হল ব্রহ্মের প্রতীক বা জ্ঞানের প্রতীক। অর্ধস্ফুট পদ্ম মানব চেতনে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জাগরণকে নির্দেশ করে। পরিপূর্ণ জ্ঞণা বা প্রজ্ঞার আধার হল এই পদ্ম। পুজোতে তাই ১০৮টা পদ্ম নিবেদন করা হয়।

    তির এবং ধনুক: পবনদেব-সূর্যদেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন তির ও ধনুক। তির ও ধনুক হল প্রাণশক্তির প্রতীক। ধনুক যেখানে সম্ভাব্য ক্ষমতাকে নির্দেশ করে, তির নির্দেশ করে ওই ক্ষমতার গতিময়তাকে। একই সঙ্গে তির ও ধনুক দ্বারা বোঝানো হয় যে মা দুর্গা ব্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তির উৎস। শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে এই অস্ত্র।

    অসি: গণেশদেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন অসি। এই অস্ত্র জ্ঞান এবং ধীশক্তির প্রতীক। জ্ঞানের তীক্ষ্ণতা এবং দীপ্তি নির্দেশ করে বুদ্ধিকে পথ দেখায় অসি। অপশক্তিকে দমন করতে মহামায়ার শক্তি অপরিহার্য।

    বজ্র: দেবরাজ ইন্দ্রদেব মা দুর্গাকে দেন বজ্র অস্ত্রটি। বজ্র হল আত্মশক্তির প্রতীক। সামান্য মেঘের ঘর্ষণ থেকে যেভাবে অমিত বজ্রশক্তি উৎপন্ন হয়, তেমনই আত্মশক্তি তৈরি হয় কর্ম থেকেই। এই শক্তি দিয়ে অসুর দমন করা যায়।  

    বর্শা:  এই অস্ত্র পবিত্রতা এবং ভুল-ঠিকের প্রতীক। অগ্নিদেব বর্শা প্রদান করেছিলেন মা দুর্গাকে। যুদ্ধ করতে গেলে ধর্ম এবং অধর্মের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে হয়। এই বর্শা হল সত্য-মিথ্যার নির্ণায়ক মাপকাঠি।

    সর্প: মা দুর্গাকে (Durga Puja 2024), মহাদেব অস্ত্র হিসেবে সাপ প্রদান করেছিলেন। এই সর্প হল চেতনা ও শক্তির প্রতীক। দেবীর হাতে সাপ হল—চেতনার নিম্নস্তর থেকেও সাধনাকে উচ্চতরে পৌঁছানোর প্রতীকী আধার।

    কুঠার: বিশ্বকর্মা কুঠার প্রদান করেছিলেন দেবীকে। অশুভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হল কুঠার। একই সঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতিতে ভীত না হওয়ার প্রতীকও হল কুঠার। ভয়কে জয় করতে অভয়রূপ শক্তির (Goddess Durga) আধার হল কুঠার।

    শঙ্খ: জলদেবতা বরুণদেব মহামায়াকে (Durga Puja 2024) দিয়েছিলেন শঙ্খ। যার ধ্বনি মঙ্গলময় এবং সংকেতবহ। শঙ্খের আওয়াজে স্বর্গ, মর্ত্য ও নরক জুড়ে থাকা সব অশুভ শক্তি ভীত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। যুদ্ধের প্রধান প্রারম্ভিক অস্ত্র হিসেবও ব্যবহার হয় শঙ্খ।

    তলোয়ার: তলোয়ার হল বুদ্ধির প্রতীক। যুদ্ধের ক্ষেত্রে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা অনেক বেশি প্রয়োজন থাকে। দেবী দুর্গাকে এই অস্ত্র দান করেন গণেশ। এই অস্ত্র দিয়ে বিনাশ বা অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করা হয়। অসুরদের বিনাশ করে জগত জননী কল্যাণ সাধন করে থাকেন এই অস্ত্রের মাধ্যমে।

    গদা: যমরাজ নিজে দেবী দুর্গাকে গদা দান করছেন। এই গদা হল অস্ত্রের প্রতি আনুগত্য এবং রক্ষার প্রতীক। এই গদা হল কালদণ্ডের প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    CBI: আরজি করকাণ্ডে দুর্নীতি! ফের সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চালাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা। কখনও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, কখনও সিবিআই, যাতায়াত লেগেই আছে তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতার বাড়ি, নার্সিংহোম, বাংলোয়। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ নাগাদ সিঁথিতে সুদীপ্ত রায়ের (Sudipta Roy) বাড়িতে হাজির হয় তদন্তকারীদের একটি দল। রাত ১১টা নাগাদ বেরিয়ে যায় তারা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (CBI)

    সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে লিখিত অভিযোগও জমা পড়ে সুদীপ্ত রায়ের নামে। সেন্ট্রাল ল্যাব, কার্ডিওলজির মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, নার্স নিয়োগে সুদীপ্ত রায় প্রভাব খাটাতেন বলে অভিযোগ করা হয়। সুদীপ্তর সিঁথির নার্সিংহোম তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। সিবিআই-ইডি ও স্টেট ভিজিল্যান্স কমিটিতে জমা হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, জমা পড়ে, চিকিৎসক সুদীপ্ত রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। শাসকদলের বিধায়ক হওয়ার কারণে তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে নিজের নার্সিংহোমে সরকারি নানা সরঞ্জাম নিয়ে যেতেন। তথ্যপ্রমাণও রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে জানানো হয়। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর সুদীপ্ত রায়কে বারবারই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই (CBI) তদন্ত শেষে সুদীপ্ত দাবি করেছিলেন, তিনি তদন্তকারী আধিকারিকদের সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতা জারি রাখবেন। এদিকে উত্তরবঙ্গ লবির দুই নেতা অভীক ও বিরূপাক্ষ সম্পর্কে কিছু বলতে অস্বীকার করেছিলেন। গত ৯ অগাস্ট সকালে ফোনে কথা সন্দীপের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল বলে মেনে নিয়েছেন সুদীপ্ত রায়।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    এর আগে ইডিও হানা দিয়েছিল

    সম্প্রতি আরজি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেবার আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এছাড়া উত্তর কলকাতায় তাঁর নার্সিংহোমেও তল্লাশি চলে। পাশাপাশি হুগলির দাদপুরের দাঁড়পুর গ্রামে সুদীপ্ত রায়ের বাংলোতেও ইডি অভিযান চালায়। এছাড়াও বালিগঞ্জে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। সেই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ জৈন।  সেদিন প্রায় ২০ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সেও ডাকা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েই সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁর মেয়েকেও জেরা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, আখতার আলির অভিযোগের ভিত্তিতে আরজি কর দুর্নীতি নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। তবে, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডিও তদন্তে নামে। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের পরই একাধিক প্রভাবশালীর নাম হাতে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chess Olympiad 2024: প্রজ্ঞা-তানিয়াদের দাপট! দাবা অলিম্পিয়াডে প্রথম বার জোড়া সোনা ভারতের

    Chess Olympiad 2024: প্রজ্ঞা-তানিয়াদের দাপট! দাবা অলিম্পিয়াডে প্রথম বার জোড়া সোনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট-বিশ্বে শীর্ষে ভারত। ফুটবলের জন্যও পাগল। হকি-কাবাডিতেও সেরা। এবার দাবা-ক্ষেত্রেও (Chess Olympiad 2024) সোনালি ইতিহাস রচনা করল ভারত। হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে দাবার ৪৫তম অলিম্পিয়াডে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন ভারতের দাবার তারকারা। রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ ও ডি গুকেশদের পাশাপাশি দিব্যা দেশমুখ ও তানিয়া সচদেবরাও দুরন্ত দাবা খেলে জিতে নিলেন সোনা। ভারতীয় দাবাড়ুদের এই সাফল্য নজর কেড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও।

    দুরন্ত প্রজ্ঞানন্দ-গুকেশরা

    প্রথম বার ওপেন বিভাগে ছেলে ও মেয়েরা সোনা জিতল। শেষ রাউন্ডে স্লোভেনিয়াকে হারিয়েছেন ডি গুকেশ, রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ, অর্জুন এরিগাইসি, বিদিত গুজরাটি, পেন্টালা হরিকৃষ্ণ এবং শ্রীনাথ নারায়ণন (ক্যাপ্টেন)রা। স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে শেষ রাউন্ডের আগে ভারতের পয়েন্ট ছিল ১০ রাউন্ডে ১৯। দ্বিতীয় স্থানে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ছিল চিন। শেষ রাউন্ডে আমেরিকার বিরুদ্ধে দু’টি খেলায় পয়েন্ট নষ্ট করে চিন। তখনই ভারতের সোনা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অন্য দলের খেলার উপর নির্ভর করেনি ভারত। ভারতের গুকেশ, অর্জুন এরিগাইসি ও প্রজ্ঞানন্দ নিজেদের ম্যাচ জেতেন। স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে শুরুটা করেছিলেন বিশ্বের তিন নম্বর গুকেশ। ভ্লাদিমির ফেদোসিভের বিরুদ্ধে কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেন তিনি। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি তাঁর। ভ্লাদিমির লড়াই করেও ভারতের ১৮ বছর বয়সি গুকেশকে হারাতে পারেননি। সামনেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (Chess Olympiad 2024) হওয়ার জন্য চিনের ডিং লিরেনের বিরুদ্ধে নামবেন গুকেশ। তার আগে দাবা অলিম্পিয়াডে সোনা গুকেশের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াবে। দ্বিতীয় ম্যাচে নামেন অর্জুন। তিনিও কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলেন। স্লোভেনিয়ার ইয়ান সুবেলিকে হারান তিনি। এই দুই জয়ের পরে ভারতের সোনা নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু প্রজ্ঞানন্দ নিজের ম্যাচ হাল্কা ভাবে নেননি। তিনি অ্যান্টন ডেমচেঙ্কোকে হারান। 

    আরও পড়ুন: “ভারত বললে বিশ্ব শোনে, প্রবাসীরাই প্রধান রাষ্ট্রদূত”, নিউ ইয়র্কে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    সাফল্য মেয়েদেরও

    পুরুষদের পরে ভারতের মহিলা দলও সোনা জিতেছে (Chess Olympiad 2024) অলিম্পিয়াডে। ১০ নম্বর রাউন্ডে চিনকে হারিয়ে সোনার সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন আর বৈশালীরা। শেষ রাউন্ডে ভারতের সামনে ছিল আজারবাইজান। তাদের বিরুদ্ধে ৩.৫-০.৫ জয়ের সুবাদে সোনা জিতেছেন। ডি হারিকা ছিলেন সেরা ফর্মে। দলের হয়ে দারুণ খেললেন। তাঁর কৌশল ছিল দেখার মতো। অন্যদিকে, দিব্যা দেশমুখ আবারও তৃতীয় বোর্ডেই তাঁর ব্যক্তিগত স্বর্ণপদক নিশ্চিত করে ফেলেন। আর বৈশালী ড্র করার পর, ভান্তিকা আগরওয়ালের দুর্দান্ত জয়ের মাধ্যমে সোনা নিশ্চিত করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tirupati Laddu: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    Tirupati Laddu: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের  লাড্ডু (Tirupati laddu) প্রসাদ বিতর্কে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu)। উচ্চপর্যায়ের এই সিট এবার তদন্ত করবে লাড্ডু তৈরি করতে যে ঘি ব্যবহার করা হত, তা কীভাবে তৈরি হত? জানা গিয়েছে, তদন্তের কারণে মন্দির থেকে লাড্ডুর নমুনাও সংগ্রহ করবে তারা।

    সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা চন্দ্রবাবুর (Tirupati laddu)

    সিট গঠনের কথা জানাতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu) এবং সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করছি। আইজিপি এবং তার ঊর্ধ্ব পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররা থাকবেন এই দলে। বিশেষ তদন্তকারী দল সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে এই বিষয়ে (Tirupati laddu)। তারপরেই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’

    কী বলছে মন্দির কমিটি?

    প্রসঙ্গত, লাড্ডু বিতর্ক সামনে আসতেই টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু অভিযোগ তোলেন জগন্মোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন পূর্বতন ওয়াইএসআরসিপি সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেন যে, পশুর চর্বি ব্যবহার করা হয়েছে তিরুপতির লাড্ডু তৈরিতে। এ বিষয়ে চন্দ্রবাবু নাইডু হাতিয়ার করেন গুজরাটের ল্যাবের একটি রিপোর্টকে। অন্যদিকে, চন্দ্রবাবু নাইডুর দাবিতেই সিলমোহর দিতে দেখা গিয়েছে তিরুপতি মন্দির পরিচালন সমিতিকে, যার পোশাকি নাম ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’। তারাও গত শুক্রবার জানিয়েছে, লাড্ডু (Tirupati laddu) তৈরিতে যে ঘি ব্যবহার করা হয় সেখানে শুয়োরের চর্বি পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, মন্দির কমিটির অন্যতম পদাধিকারী  জে শ্যামলা রাও জানিয়েছেন, গুজরাটের ল্যাব পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে এসেছে, সেখানেই প্রমাণ মিলেছে যে ঘি তৈরিতে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হত।

    আমূলের নামে গুজব, বিবৃতি দিল সংস্থা

    প্রসঙ্গত এ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি এই ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন। একইভাবে তদন্ত চেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিজা সিং-ও। লাড্ডু বিতর্কের আবহে সমাজ মাধ্যমের পাতায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু তৈরিতে ঘি সরবরাহ করে আমূল। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছে আমূল কোম্পানি এবং তারা জানিয়েছে, সকলের বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার যে তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati laddu) ঘি কোনওভাবেই আমূল সরবরাহ করে না। আপাতত, তিরুমালা মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু তৈরি করার জন্য কর্নাটক স্টেট কো-অপারেটিভ ডেয়ারির তৈরি নন্দিনী ঘি ব্যবহার করার সুপারিশ করেছে অন্ধ্র সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারত বললে বিশ্ব শোনে, প্রবাসীরাই প্রধান রাষ্ট্রদূত”, নিউ ইয়র্কে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “ভারত বললে বিশ্ব শোনে, প্রবাসীরাই প্রধান রাষ্ট্রদূত”, নিউ ইয়র্কে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রদূত বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রাই। নিউ ইয়র্কে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিন দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তিনি। রবিবার নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়েরা তাঁকে সংবর্ধনা জানান। সেখানেই আগামী দিনে ভারতের অবস্থান, পরিকল্পনা সম্বন্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন মোদি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত কিছু বললে এখন সারা বিশ্ব সে কথা শোনে। 

    দেশপ্রেমের বার্তা মোদির

    নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তাঁর কথায়, “প্রবাসীদের গুরুত্ব, ক্ষমতার বিষয়ে আমি শুরু থেকেই শ্রদ্ধাশীল। আপনারা সকলে আমার কাছে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রদূত।” দেশপ্রেমের বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, “ভারতীয়দের হৃদয়ে গাঁথা আছে দেশাত্মবোধ। এটাই আমাদের শান্তিপূর্ণ, আইন অনুসরণকারী, দায়িত্ববান বৈশ্বিক নাগরিক তৈরি করে। দেশ তাঁর সন্তানদের প্রতি গর্ববোধ করে। একইসঙ্গে বিশ্বকেও বোঝায় যে ভারত হল বিশ্ব-বন্ধু। আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধই আমাদের অনন্য করেছে।”

    মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী

    “মোদি অ্যান্ড ইউএস” অনুষ্ঠানে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “যখন স্বাধীনতা সংগ্রাম চলছিল, তখন হাজার হাজার মানুষ জীবনের বলিদান করেছিলেন। আমি স্বরাজের জন্য জীবন দিতে পারিনি, কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমার জীবন সু-রাজ (সুশাসন) ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য অর্পণ করব। প্রথম দিন থেকেই এটিই মিশন ছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি কোনওদিন ভাবিনি যে মুখ্যমন্ত্রী হব। কিন্তু যখন হলাম, তখন গুজরাটের সবথেকে বেশি মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী হলাম। তারপর জনগণ আমায় প্রোমোশন দিল, আমায় প্রধামন্ত্রী করল। দেশ ভ্রমণ করে আমি যে শিক্ষা নিয়েছিলাম, তাই-ই আমার সুশাসন মডেলকে আরও শক্তিশালী করেছিল। এই তৃতীয় দফায় আমি আরও তিনগুণ দায়িত্ব নিয়ে এগোচ্ছি।”

    বিশ্ববন্ধু ভারত

    আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে এদিন মোদি (PM Modi) বলেন, “গত কয়েক বছরে বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের গুরুত্ব বেড়েছে। এখন ভারত কিছু বললে সারা বিশ্ব তা শোনে। কিছু দিন আগে আমি যখন বলেছিলাম, এটা যুদ্ধের সময় নয়, সকলে সে কথার গুরুত্ব বুঝেছিল। বিশ্বের কোনও প্রান্তে যখনই কোনও সঙ্কট দেখা দেয়, প্রথম সাড়া দেয় ভারত। বিশ্বের উপর চাপ বৃদ্ধি করা ভারতের উদ্দেশ্য বা অগ্রাধিকার নয়। আমরা চাপ বৃদ্ধি নয়, ভারতের প্রভাব বিস্তার করতে চাই। বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় না ভারত। চায় বিশ্বের উন্নতিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে।”

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা, বললেন রাজনাথ

    ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে ব্যবসা

    আগামী দিনে ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজন করা নিয়ে মোদি (PM Modi) জানান, ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্স আয়োজন করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। শীঘ্রই সে বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা আসতে চলেছে। ভারতের ৫জি বাজার আমেরিকার চেয়েও বড়, বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৯ (Modi in New York)। তিনি বলেছেন, “এখন ভারতের ৫জি বাজার আমেরিকার চেয়েও বড় এবং বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে। তা হয়েছে গত দু’বছরের মধ্যে। এখন ভারতে তৈরি ৬জি পরিষেবার জন্য কাজ চলছে। আগামী দিনে ভারত নিজস্ব চিপ তৈরি করতে চলেছে। ভারতে এখন প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা এখন আর সুযোগের জন্য অপেক্ষা করি না। আমরাই সুযোগ তৈরি করি। গত ১০ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: পেঁয়াজের কালোবাজারি! মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    BJP: পেঁয়াজের কালোবাজারি! মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যার অজুহাত দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করছে মমতা সরকার। এমনই অভিযোগে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিজেপি (BJP) সাংসদ। পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীকে। পুরুলিয়ার সাংসদ সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। সাংসদের দাবি, প্রশাসনের মদতে কালোবাজারের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম (Onion Price) অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘এটি মমতার পেয়াঁজ দুর্নীতি। তদন্ত করা উচিত।’’

    দাম স্বাভাবিক করতে মজুত পেঁয়াজ বাজারে আনার দাবি (BJP)

    সাংসদের আরও অভিযোগ, বন্যার অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে অন্যায়ভাবে পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছে মমতা সরকার। এই পেঁয়াজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে তদন্ত করারও আবেদন জানিয়েছেন পুরুলিয়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ। একইসঙ্গে দাম স্বাভাবিক করতে মজুত পেঁয়াজ বাজারে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সাংসদ।

    আরও পড়ুন: আন্দোলনের চাপে দিশাহারা মমতা সরকার, পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

    ইচ্ছাকৃত ভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছেন তৃণমূল নেতারা

    প্রসঙ্গত, কলকাতার বাজারগুলিতে পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা। ১৫ দিনের আগেও পেয়াঁজের দাম (Onion Price) খুবই কম ছিল। বিজেপির সাংসদের বক্তব্য, ‘‘ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত বন্ধ থাকার সুবিধা নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা পণ্য মজুত রেখেছিলেন। এখন সীমান্ত পুনরায় খোলার পরে আমদানিকৃত জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মধ্যে পেয়াঁজও রয়েছে।’’ জ্যোতির্ময় জানান, পেয়াঁজের দাম ছিল ৪৫ টাকা, বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির ফলে এটা হচ্ছে না। এর মূল কারণ ব্যবসায়ীদের কালোবাজারি। এর জন্য তৃণমূলকে দায়ী করছেন বিজেপি (BJP) সাংসদ। তাঁর মতে, ‘‘হিমঘর, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী জোগান এই পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করেন তৃণমূল নেতারা। তাঁরাই ইচ্ছাকৃত ভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করেছেন। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা, বললেন রাজনাথ

    Rajnath Singh: সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা, বললেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একমাত্র সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো বন্ধ করলেই পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। পাকিস্তান-সহ পড়শি দেশগুলির সঙ্গে ভারত যে সুসম্পর্ক বজায় (Jammu Kashmir Polls) রাখতে চায়, এদিন তাও জানিয়ে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করলেই আলাপ-আলোচনা শুরু হতে পারে।”

    রাজনাথের বার্তা (Rajnath Singh)

    পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী, এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। মানবতা, গণতন্ত্র ও কাশ্মীরিয়তের ওপরও ফোকাস করেছিলেন তিনি।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীজি মানবতা, গণতন্ত্র এবং কাশ্মীরিয়তের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তবে এখানকার রাজনৈতিক দলগুলো শুধুমাত্র রাজনীতি, রাজনীতি এবং রাজনীতিতেই গুরুত্ব দিয়েছে।”

    ‘শান্তিতে থাকতে চাই’

    তিনি বলেন, “আমাদের একটা নীতি আছে: যদি আমরা শান্তিতে থাকতে চাই, আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। আমরা আমাদের সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই, এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গেও।” রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “তারা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছে। তারা যদি সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটানোর গ্যারান্টি দেয় যে ভারতের মাটিতে তারা আর সন্ত্রাসবাদ চালাবে না, তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।”

    আরও পড়ুন: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের প্রসঙ্গও তোলেন রাজনাথ। বলেন, “কংগ্রেস ও তার সহযোগী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার পক্ষে। পাকিস্তানও একই জিনিস চায়। প্রশ্ন হল, কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স কি পাকিস্তানের প্রক্সি হিসেবে কাজ করছে? কেন কংগ্রেস ও ভেঙে পড়া ইন্ডি জোট বারবার সেই একই বিষয়গুলো উত্থাপন করে, যেগুলো পাকিস্তান থেকে আসে?” রাজনাথ বলেন, “এরা সেই লোক যারা পুলওয়ামা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছিল। এ সবই স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে পাকিস্তানের এজেন্ডা চালানোর চেষ্টা চলছে। তবে পাকিস্তানের (Jammu Kashmir Polls) এই কু-এজেন্ডা জম্মু-কাশ্মীরে সফল হতে দেব না (Rajnath Singh )।”


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 23 September 2024: মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 September 2024: মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আপনার কর্মদক্ষতার কারণে জীবিকার স্থানে শত্রু বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বদনাম থেকে সবাই খুব সতর্ক থাকুন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন। 

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

    ৩) দিনটিতে বিবাদে জড়াবেন না।

    মিথুন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে বেশি।

    কন্যা

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    তুলা

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) সংযমী হতে হবে।

    মকর

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    কুম্ভ

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মীন

    ১) আপনার ব্যবহারের কারণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA West Bengal: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    IMA West Bengal: আইএমএ-র বৈঠকে ধুন্ধুমার, বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA West Bengal) বৈঠকে ধুন্ধুমার। তার জেরে বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হল তিন চিকিৎসককে। সামনেই আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখার নির্বাচন (Doctors Expelled)। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল রবিবার। অভিযোগ, সেখানেই চিকিৎসকদের দুই লবির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তার পরেই ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। একটি লবির তিন চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকজন। শেষমেশ ওই চিকিৎসকদের বৈঠক থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

    ঝামেলার সূত্রপাত (IMA West Bengal)

    জানা গিয়েছে, যে তিন চিকিৎসককে নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত, তাঁরা হলেন চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী, জয়া মজুমদার এবং প্রিয়ঙ্কা রানা। এই চিকিৎসকরা উত্তরবঙ্গ লবির ঘনিষ্ঠ। তাঁদের দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন অন্য চিকিৎসকরা। এদিন পার্ক সার্কাসে বৈঠক ছিল আইএমএ-র রাজ্য শাখার (IMA West Bengal)। এই সংগঠনের বিভিন্ন পদে কারা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন, মূলত তা নির্ধারণ করতেই ডাকা হয়েছিল বৈঠক। সেই বৈঠক শুরুর আগেই উত্তরবঙ্গ লবির তিন চিকিৎসককে দেখে খেপে যান অন্য চিকিৎসকরা। তাঁরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। বৈঠক থেকে তাঁদের বের করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

    ‘থ্রেট কালচার’

    আরজি করকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে আসে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচারে’র কথা। প্রকাশ্যে আসে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগও। এই সব অভিযোগের নেপথ্যে ঘুরেফিরে আসে উত্তরবঙ্গ লবির কথা। তার পর থেকেই চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ উত্তরবঙ্গ লবির বিরুদ্ধে কার্যত খেপে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আন্দোলনের চাপে দিশাহারা মমতা সরকার, পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

    উত্তরবঙ্গ লবির মাথায় রয়েছেন সুশান্ত রায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছেন শান্তনু সেন ও সুশান্ত রায়। সুশান্তকে ঘিরে রয়েছেন শান্তনুর অনুগামীরা। সুশান্তকে বলতে শোনা যায়, ‘এগুলো আপনাদের বানানো গল্প’। শান্তনুর অনুগামীদের বলতে শোনা যায়, ‘কোনওটাই বানানো গল্প নয়’। সুশান্তর কাছে শান্তনুকে হাতজোড় করে থাকতেও দেখা যায়। তাঁকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় তাপসকে। স্বাস্থ্য দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন জয়া। তাঁকেও বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক (Doctors Expelled) বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বন্ধু বলে পরিচিত প্রিয়ঙ্কাকেও (IMA West Bengal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 141: “গঙ্গার যত নিকটে যাবে ততই শীতল বোধ হবে, স্নান করলে আরও শান্তি”

    Ramakrishna 141: “গঙ্গার যত নিকটে যাবে ততই শীতল বোধ হবে, স্নান করলে আরও শান্তি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের যশোদার ভাব ও সমাধি

    (মাস্টার ও প্রাণকৃষ্ণের প্রতি)—অনেকে ব্রহ্মজ্ঞানের (Ramakrishna) কথা কয়, কিন্তু নিচের জিনিস লয়ে থাকে। ঘরবাড়ি, টাকা, মান, ইন্দ্রিয়সুখ। মনুমেন্টের নিচে যতক্ষণ থাক ততক্ষণ গাড়ি, ঘোড়া, সাহেব, মেম—এইসব দেখা যায়। উপরে উঠলে কেবল আকাশ, সমুদ্র, ধু-ধু কচ্ছে! তখন বাড়ি, ঘোড়া, গাড়ি, মানুষ এ-সব আর ভাল লাগে না; এ-সব পিঁপড়ের মতো দেখায় (Kathamrita)!

    ব্রহ্মজ্ঞান হলে সংসারাসক্তি, কামিনী-কাঞ্চনে উৎসাহ—সব চলে যায়। সব শান্তি হয়ে যায়। কাঠ পোড়বার সময় অনেক পড়পড় শব্দ আর আগুনের ঝাঁঝ। সব শেষ হয়ে গেলে, ছাই পড়ল—তখন আর শব্দ থাকে না। আসক্তি গেলেই উৎসাহ যায়—শেষে শান্তি।

    ঈশ্বরের যত নিকটে এগিয়ে যাবে ততই শান্তি। শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ প্রশান্তিঃ। গঙ্গার যত নিকটে যাবে ততই শীতল বোধ হবে। স্নান করলে আরও শান্তি।

    তবে জীব, জগৎ, চতুর্বিংশতি তত্ত্ব, এ-সব, তিনি আছেন বলে (Ramakrishna) সব আছে। তাঁকে বাদ দিলে কিছুই থাকে না। ১-এর পিঠে অনেক শূন্য দিলে সংখ্যা বেড়ে যায়। ১-কে পুঁছে ফেললে শূন্যের কোনও পদার্থ থাকে না।

    প্রাণকৃষ্ণকে কৃপা করিবার জন্য ঠাকুর কি এইবার নিজের অবস্থা সম্বন্ধে ইঙ্গিত করিতেছেন?

    ঠাকুর বলিতেছেন (Kathamrita)—

    ঠাকুরের অবস্থা—ব্রহ্মজ্ঞানের পর “ভক্তির আমি

    ব্রহ্মজ্ঞানের পর—সমাধির পর—কেহ কেহ নেমে এসে ‘বিদ্যার আমি’, ‘ভক্তির আমি’ লয়ে থাকে। বাজার চুকে গেলে কেউ কেউ আপনার খুশি বাজারে থাকে। যেমন নারদাদি। তাঁরা লোকশিক্ষার জন্য ‘ভক্তির আমি’ লয়ে থাকেন। শঙ্করাচার্য লোকশিক্ষার জন্য ‘বিদ্যার আমি’ রেখেছিলেন।

    একটুও আসক্তি থাকলে তাঁকে পাওয়া যায় না। সূতার ভিতর একটু আঁশ থাকলে ছুঁচের ভিতর যাবে না।

    যিনি ঈশ্বরলাভ করেছেন (Kathamrita), তাঁর কাম-ক্রোধাদি নামমাত্র। যেমন পোড়া দড়ি। দড়ির আকার। কিন্তু ফুঁ দিলে উড়ে যায়।

    মন আসক্তিশূন্য হলেই তাঁকে দর্শন হয়। শুদ্ধ মনে যা উঠবে সে তাঁরই বাণী। শুদ্ধ মনও যা শুদ্ধ বুদ্ধিও তা — শুদ্ধ আত্মাও তা। কেননা তিনি বই আর কেউ শুদ্ধ নাই।

    তাঁকে কিন্তু লাভ করলে ধর্মাধর্মের পার হওয়া যায়।

    এই বলিয়া ঠাকুর সেই দেবদুর্লভকন্ঠে রামপ্রসাদের গান ধরিলেন:

    আয় মন বেড়াতে যাবি।
    কালী-কল্পতরুমূলে রে, চারি ফল কুড়ায়ে পাবি ॥
    প্রবৃত্তি নিবৃত্তি জায়া নিবৃত্তিরে সঙ্গে লবি।
    বিবেক নামে তার বেটারে তত্ত্বকথা তায় শুধাবি ॥

    আরও পড়ুনঃ “গোপাল-মূর্তি দর্শন—কোন ঐশ্বর্য নাই—কেবল কচি ছেলের মূর্তি…জ্যোতিঃ দর্শন”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share