Blog

  • Purulia: শাল, পলাশ, মহুয়ার ইতস্তত অরণ্য, মাঝে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে জয়চণ্ডী পাহাড়!

    Purulia: শাল, পলাশ, মহুয়ার ইতস্তত অরণ্য, মাঝে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে জয়চণ্ডী পাহাড়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র জয়চণ্ডী পাহাড় (Purulia)। প্রকৃতপক্ষে এই জয়চণ্ডী পাহাড় হল পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি পাহাড়ের সমষ্টি। এইসব পাহাড়গুলির নামও আলাদা আলাদা। যেমন, একটি পাহাড়ের নাম ‘ঘড়ি’, একটির নাম ‘রাম-সীতা’, আবার অন্য একটি পাহাড়ের নাম ‘যোগীঢাল’ প্রভৃতি।

    অত্যন্ত জাগ্রত দেবী জয়চণ্ডী (Purulia)

    পুরুলিয়া জেলার সদর শহর রঘুনাথপুর থেকে তিন-সাড়ে তিন কিমি দূরে পুরুলিয়া-বরাকর রোডের ওপর অবস্থিত এই পাহাড় শ্রেণির মধ্যে মধ্যমণি হল এই জয়চণ্ডী পাহাড়। প্রায় ৫০৯ ফুট উঁচু এই পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে মা জয়চণ্ডী দেবীর মন্দির। বেশ কয়েক ধাপ সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠে যেতে হয় মন্দিরে। এখানকার স্থানীয় মানুষ এই দেবী জয়চণ্ডীকে অত্যন্ত জাগ্রত বলে মনে করেন। পাহাড়ের (Joychandi Pahar) আশেপাশে শাল, পলাশ, মহুয়া গাছের ইতস্তত বিক্ষিপ্ত অরণ্য। নৈসর্গিক সৌন্দর্য, এক কথায় বলা যায়, অসাধারণ। উল্লেখ্য, এই জয়চণ্ডী পাহাড়েই হয়েছিল বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় পরিচালিত জনপ্রিয় ছবি ‘হীরক রাজার দেশে’-র শুটিং।

    ঘুরে নিতে পারেন বড়ন্তি

    জয়চণ্ডী থেকে মাত্র ২১ কিমি দূরে পুরুলিয়ার আর এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বড়ন্তি (Purulia)। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে এক সঙ্গেই ঘুরে নেওয়া যায় বড়ন্তিও। সেক্ষেত্রে এক সঙ্গে রথ দেখা আর কলা বেচা, দুই-ই হবে। মন্দির দর্শনের পুণ্য যেমন হবে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেও থাকা হবে। এখানকার লাল মাটির রাস্তা, আদিবাসী গ্রাম, সবই মন কেড়ে নেওয়ার মতো।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    কলকাতা থেকে জয়চণ্ডী যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে আসানসোল। হাওড়া স্টেশন থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে আসানসোল। ধর্মতলা থেকে বাসেও আসা যায় আসানসোল। এখান থেকে আদ্রা শাখার ট্রেনে মিনিট পনেরোর পথ জয়চণ্ডী স্টেশন (Purulia)। স্টেশন থেকে সামান্য পথ রিকশায় গেলেই জয়চণ্ডী পাহাড়। তবে মন্দির পর্যন্ত যেতে হলে শেষ ১ কিমি পথ পাহাড় ভেঙে উঠতে হবে।থাকা-খাওয়া-এখানে রয়েছে জয়চণ্ডী যুব আবাস (ফোন-৬২৯২২৪৮৮৭১)। এছাড়াও আছে কয়েকটি বেসরকারি হোটেল বা লজ। তবে এখানে হোটেলের অপ্রতুলতা আছে। সেক্ষেত্রে বড়ন্তি থেকেও ঘুরে নেওয়া যায় জয়চণ্ডী। বড়ন্তিতে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি হোটেল রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! পুজোর আগে ফের বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা?

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! পুজোর আগে ফের বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি। উৎসবের আনন্দ মাটি করে দিতে পারে নিম্নচাপ। আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এমনিতেই রাজ্যের (West Bengal) একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলায় গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন। ফলে, নতুন করে নিম্নচাপ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এটাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? (Weather Update)

    উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর তা ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather Update) অফিস। এর জেরে ২৩ তারিখ একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে। এই আবহে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি গাঙ্গেয় বঙ্গে। তবে, সেটি কতটা শক্তিশালী হবে, বা তার অভিমুখ কোন দিকে থাকবে, তা এখনই স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী কয়েকদিনে এই বিষয়ে সবিস্তারে জানানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। এদিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার এবং শনিবার দক্ষিণবঙ্গে সামান্য বৃষ্টি হবে। ওই দু’দিনই দক্ষিণবঙ্গের কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে ওই দু’দিন কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে না।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    উত্তরবঙ্গে কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    এছাড়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি হবে না শুক্রবার এবং শনিবার। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের একটি বা দুটি অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। ওই তিনটি জেলার আবহাওয়া (Weather Update) শুষ্ক থাকবে। প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের জেরে যে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে, তা বন্ধ হয়েছে। আগের তুলনায় পরিমাণ অনেকটা কমলেও বৃহস্পতিবার রাতেও পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে মোট ৫০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলির বিস্তীর্ণ অংশ এখনও জলের তলায়। মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকলে আর জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমলে বন্যা পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু আগামী সপ্তাহের গোড়ায় নতুন নিম্নচাপ তৈরি হলে তার জেরে হওয়া বৃষ্টিতে ফের রাজ্যের একাংশ প্লাবিত হবে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কাও ঘনাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 139: “বালক যেমন খেলাঘর করে, ভাঙে, গড়ে—তিনিও সেইরূপ সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কচ্ছেন”

    Ramakrishna 139: “বালক যেমন খেলাঘর করে, ভাঙে, গড়ে—তিনিও সেইরূপ সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কচ্ছেন”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে শ্রীযুক্ত রাখাল, প্রাণকৃষ্ণ, কেদার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১লা জানুয়ারি

    ভক্তির অবতার কেন? রামের ইচ্ছা 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আর তোমাকেই বা কেন জিজ্ঞাসা করি। এর ভিতরে কে একটা আছে। সেই আমাকে নিয়ে এইরূপ কচ্ছে। মাঝে মাঝে দেবভাব প্রায় হত,—আমি পুজো না করলে শান্ত হতুম না।

    আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী। তিনি যেমন করান, তেমনি করি। যেমন বলান (Kathamrita), তেমনি বলি।

    প্রসাদ বলে ভবসাগরে, বসে আছি ভাসিয়ে ভেলা।
    জোয়ার এলে উজিয়ে যাব, ভাটিয়ে যাব ভাটার বেলা ॥

    ঝড়ের এঁটো পাতা কখনও উড়ে ভাল জায়গায় গিয়ে পড়ল, কখন বা ঝড়ে নর্দমায় গিয়ে পড়ল—ঝড় যেদিকে লয়ে যায়।

    তাঁতী বললে, রামের ইচ্ছায় ডাকাতি হল, রামের ইচ্ছায় আমাকে পুলিসে ধরলে—আবার রামের ইচ্ছায় ছেড়ে দিলে।

    হনুমান বলেছিল, হে রাম, শরণাগত, শরণাগত;—এই আশীর্বাদ কর যেন তোমার পাদপদ্মে শুদ্ধাভক্তি হয়। আর যেন তোমার ভুবনমোহিনী মায়ায় (Ramakrishna) মুগ্ধ না হই।

    কোলা ব্যাঙ মুমূর্ষ অবস্থায় বললে, রাম, যখন সাপে ধরে তখন ‘রাম রক্ষা কর’ বলে চিৎকার করি। কিন্তু এখন রামের ধনুক বিঁধে মরে যাচ্ছি, তাই চুপ করে আছি।

    আগে প্রত্যক্ষ দর্শন হতো—এই চক্ষু দিয়ে—যেমন তোমায় দেখছি। এখন ভাবাস্থায় দর্শন হয়।

    ঈশ্বরলাভ হলে বালকের স্বভাব হয়। যে যাকে চিন্তা করে তার সত্তা পায়। ঈশ্বরের (Ramakrishna) স্বভাব বালকের ন্যায়। বালক যেমন খেলাঘর করে, ভাঙে গড়ে—তিনিও সেইরূপ সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় কচ্ছেন। বালক যেমন কোনও গুণের বশ নয়—তিনিও তেমনি সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ তিন গুণের অতীত।

    তাই পরমহংসেরা দশ-পাঁচজন বালক সঙ্গে রাখে, স্বভাব আরোপের জন্য।

    আগরপাড়া হইতে একটি বিশ-বাইশ বছরের ছোকরা আসিয়াছেন। ছেলেটি যখন আসেন ঠাকুরকে ইশারা করিয়া নির্জনে লইয়া যান ও চুপি চুপি মনের কথা কন। তিনি নূতন যাতায়াত করিতেছেন। আজ ছেলেটি কাছে আসিয়া মেঝেতে বসিয়াছেন।

    প্রকৃতিভাব ও কামজয়—সরলতা ও ঈশ্বরলাভ 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ছেলেটির প্রতি)—আরোপ করলে ভাব বদলে যায়। প্রকৃতিভাব আরোপ করলে ক্রমে কামাদি রিপু নষ্ট হয়ে যায়। ঠিক মেয়েদের মতন ব্যবহার হয়ে দাঁড়ায়। যাত্রাতে যারা মেয়ে সাজে তাদের নাইবার সময় দেখেছি—মেয়েদের মতো দাঁত মাজে, কথা কয়।

    তুমি একদিন শনি-মঙ্গলবারে এস।

    (প্রাণকৃষ্ণের প্রতি)—ব্রহ্ম ও শক্তি অভেদ। শক্তি না মানলে জগৎ মিথ্যা হয়ে যায়, আমি-তুমি, ঘরবাড়ি, পরিবার—সব মিথ্যা। ওই আদ্যাশক্তি আছেন বলে জগৎ দাঁড়িয়ে আছে। কাঠামোর খুঁটি না থাকলে কাঠামোই হয় না—সুন্দর দুর্গা ঠাকুর-প্রতিমা হয় না।

    বিষয়বুদ্ধি ত্যাগ না করলে চৈতন্যই হয় না—ভগবানলাভ হয় না—বিষয়বুদ্ধি থাকলেই কপটতা হয়। সরল না হলে তাঁকে পাওয়া যায় না—

    এইসি ভক্তি কর ঘট ভিতর ছোড় কপট চতুরাই।
    সেবা বন্দি আউর অধীনতা সহজে মিলি রঘুরাই ॥

    যারা বিষয়কর্ম করে—অফিসের কাজ কি ব্যবসা—তাদেরও সত্যেতে থাকা উচিত। সত্যকথা কলির তপস্যা।

    প্রাণকৃষ্ণ—অস্মিন্‌ ধর্মে মহেশি স্যাৎ সত্যবাদী জিতেন্দ্রিয়ঃ।
    পরোপকারনিরতো নির্বিকারঃ সদাশয়ঃ ॥

    মহানির্বাণতন্ত্রে এরূপ আছে (Kathamrita)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাঁ, ওইগুলি ধারণা করতে হয়।

    আরও পড়ুনঃ “ভাব-ভক্তির দ্বারা তাঁর সেই অতুলনীয় রূপ দর্শন করা যায়, মা নানারূপে দর্শন দেন”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: উড়ে গেল আরজি কর মামলার ভিডিও, সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড!

    Supreme Court: উড়ে গেল আরজি কর মামলার ভিডিও, সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক্‌ড! শুক্রবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেলে সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছে আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানির ভিডিও পর্যন্ত। এনিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ অনেকেই।

    ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন 

    কেউ কেউ বলছেন, ‘‘এটা ছোটখোটো ঘটনা নয়, হতে পারে পরিকল্পিত। কারণ আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar) আবহেই এমন ঘটনা ঘটল। শুধু তাই নয়, আরজি করের শুনানির (Supreme Court) ভিডিও পর্যন্ত উধাও হয়ে গেল।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের শেষ শুনানির দিন লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে রাজ্য আগেই আপত্তি জানানো হয়েছিল রাজ্যের তরফে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীকে সেই সময় বলেন, ‘‘আমরা শুনানির সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না। এটি জনস্বার্থ মামলা। ‘ওপেন কোর্ট’-এ শুনানি হচ্ছে। আপনাদের বিষয়টি আমরা দেখব।’’ এই আবহে ভিডিও গায়েব হয়ে গেল আরজি করে শুনানির।

    খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোন চক্র এর সঙ্গে জড়িত (Supreme Court)

    দেশের সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) বিচার প্রক্রিয়া যেখানে লাইভ স্ট্রিমিং হয়, সেই চ্যানেলই হ্যাক হওয়ায়, তা নিরাপত্তায় বড়সড় ত্রুটি হিসাবেই দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোন চক্র এর সঙ্গে জড়িত। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বদলে উল্টো-পাল্টা নানা ভিডিও সেখানে দেখা যাচ্ছে। কখনও ক্রিপ্টো কারেন্সি সংক্রান্ত ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কেউ আবার সার্চ করেও সুপ্রিম কোর্টের চ্যানেলটিই খুঁজে পাচ্ছেন না। শীর্ষ আদালতের ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক আপাপতত নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির যে ভিডিও রেকর্ডিং ছিল, তা হ্যাকাররা প্রাইভেট করে দিয়েছে। ওই সংক্রান্ত ভিডিও সার্চ করলেই, তার বদলে আসছে ‘Brad Garlinghouse: Ripple Responds To The SEC’s $2 Billion Fine! XRP PRICE PREDICTION’ নামক ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত একটি লাইভ ভিডিও। এখানেই বাড়ছে সন্দেহ…।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে নাশকতার বড় ছক ফাঁস, সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে উদ্ধার ২৮ কেজি আইইডি

    Manipur: মণিপুরে নাশকতার বড় ছক ফাঁস, সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে উদ্ধার ২৮ কেজি আইইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) সেনাবাহিনী এবং পুলিশের (Army Police) যৌথ অভিযানে ২৮.৫ কেজি ওজনের সাতটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস সংক্ষেপে আইইডি (IED) উদ্ধার হল। এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে সেনা। বাহিনীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আইইডিগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। গত তিন মাসে মণিপুরে (Manipur) এটি ছিল দ্বিতীয় বড় আইইডি উদ্ধারের ঘটনা। 

    ইম্ফল পূর্ব জেলা থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক (Manipur)

    সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরকগুলিকে, স্নিফার ডগের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে ইম্ফল পূর্ব জেলার বোংজাং এবং ইথাম গ্রামের নিকটবর্তী পাহাড়ী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে বড় রকমের নাশকতামূলক চক্রান্তকে ফাঁস সম্ভব হয়েছে। ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাকে প্রতিরোধ করে মূল্যবান জীবন এবং সম্পত্তির রক্ষা করা গিয়েছে।’’ এর আগে, গত ২০ জুলাই ইম্ফল পূর্ব জেলার সাইচাং এর পাহাড়ি এলাকায় ৩৩ কেজি আইইডি উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করেছিল সেনা। বাহিনী জানিয়েছে,  ‘‘মণিপুর পুলিশের সঙ্গে সেনার সমন্বয়ের ফলে এই সাফল্য এসেছে। এই যৌথ অভিযানটি এলাকার নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করেছে এবং একই ভাবে দেশবিরোধী জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুনঃ আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ

    অনুপ্রবেশের অভিযোগে সতর্ক পুলিশ

    আবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়ে থৌবাল জেলার সিনিয়র অফিসারদের কাছে বিশেষ প্রশাসনিক বার্তা এসেছে। তাতে যে কোনও ধরনের হামলা এড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মণিপুরে (Manipur) কুকি উপজাতি এবং মেইতিদের মধ্যে ২০২৩ সালের মে থেকে জমির অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সহ একাধিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ চলছে। মণিপুরের হিংসায় ইতিমধ্যে ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। এছাড়া, প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মণিপুর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বহিরাগত শক্তি অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে নানা ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু প্রশাসন নিরাপত্তা এবং শান্তি শৃঙ্খলা বিষয়ে অত্যন্ত সর্তকতা অবলম্বন করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Navy: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    Indian Navy: ভেঙে পড়া নৌসেনার সি-গার্ডিয়ান ড্রোন প্রতিস্থাপন করবে মার্কিন সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখ সংঘাতের পর থেকেই সমুদ্র সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (Indian Navy)। চিনকে আরও কড়া বার্তা দিতে সমুদ্রেও রণসজ্জা তৈরি হয়েছে। ভারত মহাসাগরে মোতায়েন করা হয়েছে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। চিন এবং পাশাপাশি পাকিস্তান, এই দুই বিরোধী শক্তিকে রুখতে সবরকম প্রস্তুতি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা চলছে দফায় দফায়। গত তিন সপ্তাহ ধরে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর চষে ফেলছে দুটি ‘এমকিউ-৯বি সি-গার্ডিয়ান’ (MQ-9B Sea Guardian) ড্রোন। এগুলি আমেরিকার থেকে লিজ নিয়েছিল ভারত। কিন্তু গত বুধবার তার মধ্যে একটি ড্রোন হঠাতই যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয় এবং বিকল হয়ে যায়। একটা ড্রোন দিয়ে যেহেতু নজরদারি চালানো সম্ভব নয় তাই শীঘ্রই ওই বিকল ড্রোন প্রতিস্থাপন করতে চলেছে মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিকস (General Atomics)। ভারত-মার্কিন (Indian Navy) লিজ চুক্তি অনুযায়ী জেনারেল অ্যাটমিকস ড্রোন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে।

    দ্রুত কেন প্রয়োজন এই ড্রোন

    পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আমেরিকার কাছ থেকে দু’টি ‘এমকিউ-৯বি সি-গার্ডিয়ান’ (MQ-9B Sea Guardian) ড্রোন লিজ নিয়েছিল নয়াদিল্লি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা কার্যকলাপের উপর নজর রাখতেই ড্রোনগুলি ব্যবহার করছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। ভারত মহাসাগরে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে সমুদ্রেও চোরাগোপ্তা পথে হামলা চালানোর ছক কষছে তারা। তাই সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। চেন্নাইয়ের ৮০ কিলোমিটার পূর্বে আরাক্কোনাম এয়ারবেস থেকে নামানো হয়েছে দুটি সি-গার্ডিয়ান ড্রোন। সি গার্ডিয়ান হল হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুর‍্যান্স – রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্র্যাফট (HALE-RPA), যা সমুদ্রের উপরে ৪০ হাজার ফুট উচ্চতা অবধি উড়তে পারে। টানা ৩৩ ঘণ্টা আকাশে ঘুরে নজরদারি চালাতে পারে। রিমোর্ট কন্ট্রোলে চালনা করা যায় এই ড্রোন। নৌসেনা (Indian Navy) জানাচ্ছে, শীত নেমেছে লাদাখে। তাপমাত্রা পৌঁছেছে হিমাঙ্কের নিচে। তুষারপাত শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ি এলাকার বদলে সমুদ্রে হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে চিন। বিশেষত সমুদ্র উপকূলীয় দ্বীপগুলিতে নজরদারি চালাতে তাই এই ড্রোন প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    ড্রোন প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা

    ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) সূত্রে খবর, বুধবার প্রযুক্তিগত ব্যর্থতার সম্মুখীন হওয়ার পরে চেন্নাইয়ের কাছে বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়েছিল দুর্ঘটনাগ্রস্ত ড্রোনটি (MQ-9B Sea Guardian)। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, চেন্নাইয়ের কাছে আরাককোনামের নৌসেনার বিমানঘাঁটি আইএনএস রাজালি থেকে ড্রোনটি পরিচালনা করা হচ্ছিল। চেন্নাইয়ের উপকূলে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানায়। তারপরই দ্রুত ড্রোনটি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation: রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    Flood Situation: রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, মমতার ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির জেরে পুজোর আগে রাজ্যে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর জমি জলের তলায়। গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন। প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে সকলেই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই আবহের মধ্যে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই বন্যাকে পরিচিত ধাঁচে ‘ম্যান মেড’ বলে কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেলে নিজের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই তত্ত্বকে পত্রপাঠ খারিজ করল কেন্দ্র। শুক্রবার জল শক্তি মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হল, রাজ্যকে জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি।

    ঠিক কী বলেছেন মমতা? (Flood Situation)

    বৃহস্পতিবারই হাওড়ার (Flood Situation) উদয়নারায়ণপুরে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডিভিসির সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখব কি না, তা ভেবে দেখব।’’ তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ কেন্দ্র। এমনকী, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ‘ম্যান মেড বন্যা’র কথা শোনা গিয়েছিল। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন, মাইথন, পাঞ্চেত বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের যেমন জল ছাড়ার জন্য দোষারোপ করেন, একই সঙ্গে কেন্দ্রকেও দুষেছিলেন তাদের দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ডিভিসির জলে ভেসে যাচ্ছে বাংলা। আমি জানি না কেন্দ্র কেন ডিভিসির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলছে না। কেন্দ্রের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য বাংলাকে কেন ভুগতে হবে? এটা পশ্চিমবঙ্গের জল নয়। এটা ঝাড়খণ্ডের জল যা পাঞ্চেত বাঁধ থেকে আসছে।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ থেকে টেন্ডার, স্বাস্থ্য দফতরে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি! নথি হাতে নিয়ে সরব শুভেন্দু

    মমতার তত্ত্ব ওড়াল কেন্দ্র

    মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির জবাবে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের তরফে তরফে জানানো হয়েছে যে, ডিভিসি (Flood Situation) সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেই জল ছেড়েছে। পাঞ্চেত ও মাইথন বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে ডিভিসির যে কমিটি, তাতে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছেন। তাদের জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। এমনকী, আবহাওয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত অবগত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক যুক্তি দিয়েছে, ঝাড়খণ্ড সরকারের অধীন তেনুঘাট বাঁধ থেকে ৮৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এতে সমস্যা বেড়েছে। এই বাঁধটি দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটির আওতার বাইরে। বারবার বলা সত্ত্বেও ঝাড়খণ্ড সরকার এ’টি দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটির অধীনে আনেনি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিভিসি-র বাঁধে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার কিউসেকের বেশি জল জমলেও মাত্র আড়াই লক্ষ কিউসেকের মতো জল ছাড়া হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় জলাধারে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১৬৩ কিউসেক জল জমলেও মাত্র ৯০,৬৬৪ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। ফলে ৭৮.৫ শতাংশ জলই ধরে রাখা হয়েছিল। ডিভিসি নিজে দায়িত্ব নিয়ে পাঞ্চেত জলাধারে মাত্রাতিরিক্ত জল ধরে রেখেছিল। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আড়াই লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হলেও ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ৮০ হাজার কিউসেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • FATF: আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ

    FATF: আর্থিক তছরুপ রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এফএটিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অর্থ পাচার (Money Laundering) বিরোধী ব্যবস্থার বিষয়ে ভারতের মূল্যায়ন সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF)। ফ্রান্সে স্থিত সন্ত্রাসবিরোধী নজরদারি এই সংস্থা জানিয়েছে, ভারত অপরাধ থেকে অর্থ পাচারের গন্তব্য নয়।

    এফএটিএফ (FATF)

    সংস্থা এও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, প্রতি তিন বছর অন্তর একবার করে হবে ভারতের ঝুঁকি মূল্যায়ন। বিশ্বের আর্থিক তছরুপ ও জঙ্গি সংগঠনের আর্থিক লেনদেনের ওপর নজরদারি চালায় এফএটিএফ। এই প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর প্যারিসে। বৃহস্পতিবার ভারত সম্পর্কে মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। সেই রিপোর্টে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের হুমকি মোকাবিলায় ভারতের সিস্টেমের প্রশংসা করা হয়েছে। আর্থিক জালিয়াতি মামলায় বিচার ত্বরান্বিত করতে ভারতকে আহ্বানও জানিয়েছে প্যারিস-ভিত্তিক এই সংস্থা।

    এফএটিএফের মূল্যায়ন রিপোর্ট

    মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপের পূর্ববর্তী মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল ২০১০ সালে। পরবর্তী মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশিত হবে ২০৩১ সালে। এফএটিএফের (FATF) প্রকাশিত মূল্যায়ন রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন স্ট্রাকচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকরী উন্নয়ন করেছে।

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকির মুখোমুখি। এর মধ্যে রয়েছে আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট) বা আল কায়েদার মতো সংগঠনগুলিও। যারা জম্মু-কাশ্মীর ও তার আশপাশে সক্রিয় রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ভারতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকারও প্রশংসা করা হয়েছে। জটিল আর্থিক তদন্ত পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির দক্ষতার প্রশংশাও করেছে সন্ত্রাসবিরোধী নজরদারি এই সংস্থা। সন্ত্রাসে যারা অর্থায়ন করছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলার নিষ্পত্তি ও শাস্তি দেওয়ায় আরও মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকেও ইঙ্গিত করেছে এফএটিএফের এই প্রতিবেদন (FATF)। সন্ত্রাসে অর্থায়নে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করতে প্রচারাভিযানও চালিয়েছে ভারত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে (Money Laundering), সন্ত্রাসী অর্থায়নের জন্য অলাভজনক খাতের অপব্যবহার রোধেও ভারত সক্রিয়।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান আর কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা একই”, কাটরার সভায় সরব মোদি

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সুন্দর ব্যবহার করা হয়েছে। কার্যকর করা হয়েছে সহযোগিতাও। মানি লন্ডারিং প্রসিকিউশান এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে বড় ধরণের ইমপ্রুভমেন্টের প্রয়োজন বলেও দাবি করা হয়েছে এফএটিএফ-এর ওই প্রতিবেদনে।

    রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারতের মূল অর্থ পাচারের উৎসগুলি দেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত অবৈধ কার্যকলাপ থেকে উদ্ভূত হয়। এই সব কালো অর্থ সাদা করা হতে পারে ভারতে কিংবা বিদেশে। বিদেশে সাদা করে ভারতে ফিরে মিলিয়ে যেতে পারে বৈধ অর্থনীতির স্রোতে। এনআরএ-র ফল অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে বড় অর্থ পাচারের ঝুঁকিগুলি প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে সাইবার সক্ষমতাসম্পন্ন প্রতারণা, দুর্নীতি ও মাদক পাচারে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলিও।

    ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ওই জঙ্গি সংগঠনের তরফে ভারতে হামলা চালানো হতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ও মাওবাদীদের হামলার আশঙ্কাও রয়েছে ভারতে।

    ওই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, প্রতিটি জঙ্গি সংগঠনের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা সমান নয়। একে আলাদা ছটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আইসিস বা জম্মু-কাশ্মীর ও সংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় আল কায়েদার সঙ্গে যোগসূত্র থাকা জঙ্গি গোষ্ঠী। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। এই তালিকায় উত্তর-পূর্ব ভারত ও উত্তর ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ও মাওবাদীরাও রয়েছে। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও করতে পারে মাওবাদীরা (FATF)।

    আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে অর্থ পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা কনস্টিটিউশনাল চ্যালেঞ্জের একটি সিরিজ। ২০২২ সালে সমাধান হয়েছে। যদিও মামলা ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবুও মুলতুবি মামলার বিরাট সংখ্যাও রয়ে গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূল্যায়নের পর ভারতকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ বিভাগে রাখা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে প্লেনারিতে রিপোর্ট করবে। জানা গিয়েছে, ভারত, ইতালি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন হল মাত্র চারটি দেশ, যাদের নিয়মিত (Money Laundering) পর্যবেক্ষণ বিভাগে রাখা হয়েছে (FATF)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগেই ছাগ বলির মাধ‍্যমে হয় দেবীর বোধন! বিসর্জনের রীতিও অনন‍্য

    Durga Puja 2024: ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগেই ছাগ বলির মাধ‍্যমে হয় দেবীর বোধন! বিসর্জনের রীতিও অনন‍্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তার পরেই দেশ তথা রাজ‍্য জুড়ে শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদ উৎসব (Durga Puja 2024), যার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। সেখানে যেমন বড় বাজেটের থিমের পুজো আছে, তেমনই আছে অনেক বনেদি গ্রামীণ ঐতিহ‍্যমণ্ডিত প্রাচীন পুজো। যে পুজোগুলি তাদের অনন‍্য ঘরানায় উল্লেখযোগ‍্য হয়ে আছে। আসানসোল শিল্পাঞ্চলেও এরকম একাধিক প্রাচীন ঐতিহ‍্যমণ্ডিত শারদীয়া পুজোর প্রচলন আছে। তার মধ‍্যে অন‍্যতম বারাবনি বিধানসভার সালানপুর ব্লকের এথোড়া গ্রামের পুজো।

    পুজো হয় সুরথ রাজার প্রচলিত নিয়ম ও রীতি মেনে

    বৈশিষ্টের দিক থেকে এই গ্রামটি বর্ধিষ্ণু ও অত‍্যন্ত প্রাচীন। যে গ্রামে বর্গী হানার দৃশ‍্য আজও বিদ‍্যমান। বর্তমানে এথোড়া গ্রামে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি দুর্গাপুজো হলেও সব চেয়ে জনপ্রিয় ও উল্লেখযোগ‍্য হল বড় মা তথা বড় দুর্গা মন্দিরের পুজো, যা প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন। স্বাভাবিকভাবেই এই পুজোর রীতিনীতিও অত‍্যন্ত প্রাচীন ও স্বতন্ত্র। আমাদের প্রচলিত শারদ উৎসব মূলত দেবীর অকাল বোধন হিসেবে পরিচিত। তবে এথোড়া গ্রামে বড় দুর্গার পুজো (Durga Puja 2024) হয় সুরথ রাজার প্রচলিত নিয়ম ও রীতি মেনে। যে কারণে ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগেই এই গ্রামে ছাগ বলির মাধ‍্যমে দেবীর বোধন হয়। পাশাপাশি এই গ্রামে পুজোর দিনে, বিশেষত নবমীতে অসুর রূপে মহিষ তথা কাঁড়া বলির প্রচলন আজও চলে আসছে। সঙ্গে বন্দুকের গুলি উপরে ছুড়ে তার আওয়াজ শোনার পরেই বলি করা হয়। সঙ্গে পাঁঠা বলিও দেওয়া হয়। এছাড়াও পুজোর তিনদিনই (সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী) বলি প্রথার প্রচলন আছে।

    দেবীর বিসর্জনের রীতিও অনন‍্য (Durga Puja 2024)

    এথোড়া গ্রামের বড় দুর্গা মন্দিরের পুজোতে প্রাচীন তালপাতার ওপর ভুসো কালিতে লেখা পুঁথির মন্ত্রোচ্চারণের মাধ‍্যমে দেবীর আরাধনা করা হয়। দেবী এখানে তাঁর পুরো পরিবার নিয়ে এক চালাতেই অধিষ্ঠান করেন। দেবীকে প্রতিদিনই দু’বার ভোগ নিবেদন করা হয়। যার মধ‍্যে দেবীর স্নান-আচমন পর্যায়ে লুচি-মিষ্টান্ন-লাড্ডুর ভোগ নিবেদন করা হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে বলি পর্যায় শেষ হলে গ্রামের মহিলারা স্নানপর্ব শেষে শুদ্ধাচারে দেবীকে পাঁচ রকমের ভাজা ও পায়েস সহযোগে অন্ন ভোগ নিবেদন করেন। দেবীর (Asansol Barabani) বিসর্জনের রীতিও এখানে অনন‍্য। দেবীকে বাঁশের মাচায় চাপিয়ে বাদ‍্য, মন্ত্রোচারণ ও গানের মাধ‍্যমে মানুষের কাঁধে করে গোটা গ্রাম পরিদর্শনের মাধ‍্যমে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রাচীন কাল থেকেই এই গ্রামের প্রতিমা নিরঞ্জন হয় কুমারা পুকুর নামের জলাশয়ে। যেখানে গ্রামের সব দেব-দেবীরই বিসর্জন হয়ে থাকে। এই পুজোতে (Durga Puja 2024) গ্রামের মানুষ তো পুজোয় আনন্দে মেতে উঠেনই, এছাড়া বাইরে থেকেও মানুষ আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Konark Sun Temple: কোনার্ক সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে কতটা বালি সরল? খতিয়ে দেখল এএসআই

    Konark Sun Temple: কোনার্ক সূর্য মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে কতটা বালি সরল? খতিয়ে দেখল এএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত পুরীর বিখ্যাত কোনার্ক সূর্য মন্দিরের (Konark Sun Temple) গর্ভগৃহে ভরে যাওয়া বালি সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সেই কাজের কতটা অগ্রগতি হল, তার মূল্যায়ন করতে মন্দির পরিদর্শন করল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)-র ছয় সদস্যের একটি দল। সংস্থার অতিরিক্ত মহানির্দেশক জানভিজ শর্মার নেতৃত্বে এই দলটি (ASI) বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে গণ্য এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা করেছে। মন্দিরের স্থাপত্যে গর্ত দেখা দিলে এক সময় বালি দিয়ে তা ভরাট করা হয়েছিল। এখন তা সরানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অবশ্য, বালি সরিয়ে প্রকট হয়ে পড়া সেই গর্তের স্থানগুলো নতুন পদ্ধতিতে মেরামত করা হবে।

    ইংরেজ আমলে অবক্ষয় প্রতিরোধে বালি ভরাট (Konark Sun Temple)

    এএসআই (ASI)-এর অতিরিক্ত মহানির্দেশক জানভিজ শর্মা বলেন, ‘‘এই মন্দির ঐতিহ্যের স্মৃতিস্তম্ভ এবং আমরা সময়ে সময়ে পরিদর্শন ও সমীক্ষা পরিচালনা করে থাকি।’’ জানা গিয়েছে, ইংরেজ আমলেও মন্দিরের (Konark Sun Temple) অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন ব্রিটিশরা। বিভিন্ন সময়ে স্থাপত্যে গর্ত সৃষ্টি হলে তা ঠিকঠাক করা হতো। এই বিশাল স্থাপত্যের দ্বারমুখ  স্থানটিকে বালি দিয়ে ভরাট করার কাজ করেছিলেন তাঁরা। এবার প্রায় একশো বছরের পরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই), স্থাপত্যের চারপাশে পুনরায় কাজ করা শুরু করেছে। মন্দিরের জগমোহন অর্থাৎ দ্বারমুখ-এর স্থায়িত্ব এবং বালির বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন করার জন্য কাজ শুরু হয়েছে (ASI)। বালির স্তর ১৫ ফুট বসে গিয়েছে। যার জেরে একটি বড় গহ্বরের সৃষ্টি হয়েছে।”

    লেজার স্ক্যানিং এবং এন্ডোস্কোপি করা হবে

    ১৯০৩ সালে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর জেএ বোর্ডিলনের নির্দেশে ৭০ ফুট উঁচু জগমোহন বা দ্বারমুখ বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। এএসআই (পুরী সার্কেল) এর সুপারিনটেনডিং প্রত্নতাত্ত্বিক, দিবাশাদ গডনায়েক বলেন, “মন্দিরের (Konark Sun Temple) সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় বহু-মুখী পদক্ষেপ করা হয়েছে। সবটাই মন্দিরের সংরক্ষণ এবং সমীক্ষা-মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন প্রাথমিকভাবে, কাঠামোগত অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করার জন্য মন্দিরের দেওয়ালে একটি ছোট গর্ত করা হবে (ASI)। এরপর তাঁকে অনুসরণ করে, লেজার স্ক্যানিং এবং এন্ডোস্কোপির মতো উন্নত কৌশলগুলি ব্যবহার করা হবে।”

    বালি ভরাট প্রায় সাড়ে ১২ ফুট স্থির হয়েছে

    উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত “সূর্য মন্দিরের সংরক্ষণ” বিষয়ক একটি জাতীয় সম্মেলনের সময়, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তকমা অর্জন করেছিল এই মন্দির। তবে এই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তিনিই ১৯০৩ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা মন্দিরের জগমোহন থেকে ভরাট করা বালি সারানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই)-এর নেতৃত্বে এন্ডোস্কোপি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত ক্ষতি প্রকাশের পর কোনার্ক মন্দিরের (Konark Sun Temple) জগমোহন থেকে বালি সারিয়ে ফেলা অপরিহার্য বলে মনে করা হয়েছিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাথায় একটি বড় গর্ত  সৃষ্টি হয়েছে। তাই বালি সরিয়ে আবার বালি দিয়ে ভরাট করা হবে (ASI)। এই কাজ হবে প্রায় সাড়ে ১২ ফুট স্থাপত্যে জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share