Blog

  • RG Kar Hospital: আরজি কর তৈরির জন্য ভিক্ষা করেছিলেন বিলেত ফেরত ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর

    RG Kar Hospital: আরজি কর তৈরির জন্য ভিক্ষা করেছিলেন বিলেত ফেরত ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Hospital) ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এখন সারা বাংলা-তথা দেশ তোলপাড়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ পথে নেমে এর সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু, এই হাসপাতালের সৃষ্টি এবং স্রষ্টার ইতিহাস জানেন কি? সম্পূর্ণ কাহিনি শুনলে অবাক হবেন। জানা যায়, এই হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন বিলেত ফেরত ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর।

    কে এই রাধাগোবিন্দ কর? (RG Kar Hospital)

    বেলগাছিয়া (Kolkata) থেকে দমদম বাড়ি বাড়ি সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়াতেন এক ডাক্তার। মাথায় একটা টুপি আর সাইকেলে ঝোলানো ক্যামবিসের ব্যাগ। রোগী দেখাই শেষ নয়, নানা ভাবে সহযোগিতা এমনকী ওষুধ কেনার পয়সাও দিচ্ছেন তিনি। সেই ডাক্তারবাবুর নাম রাধাগোবিন্দ কর। আরজি  কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) স্রষ্টা তিনি। সারা বাংলার মানুষের চিকিৎসার সুবিধার্থে একজন ডাক্তার সারাটা জীবন লড়াই করেছেন। হাওড়া জেলার রামরাজাতলা স্টেশন থেকে সামান্য দূরত্বে বেতড়ের বিখ্যাত কর বাড়ি তাঁর জন্মভিটে। ১৮৫০ সালের ২৩ অগাস্ট তাঁর জন্ম। জানা যায়, বাবা দুর্গাদাস কর ছিলেন অবিভক্ত বাংলায় মেডিক্যাল অফিসার। তিনি ঢাকা মিডফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর রাধাগোবিন্দ কর কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাঠ গ্রহণের জন্য ১৮৮০ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। ১৮৮৩ সালে ডাক্তারি পড়তে কলকাতা ছেড়ে স্কটল্যান্ডে পাড়ি দেন তিনি। ১৮৮৭ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা বিদ্যার শ্রেষ্ঠ অলংকারে ভূষিত হলেন তিনি। এমআরসিপি হয়ে বিদেশে ডাক্তারি করার সুযোগ থাকলেও তিনি ফিরে এলেন এই বাংলায়। একজন বিলেত ফেরত ডাক্তার হয়ে বাংলার অসহায় গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।

    হাসপাতাল তৈরির জন্যে ভিক্ষা!

    এদেশের মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন রাধাগোবিন্দ কর। হাসপাতালের অর্থ সংগ্রহ করতে সে সময় এই বিলেত ফেরত ডাক্তার ভিক্ষা পর্যন্ত করেছেন। তখনকার দিনে কলকাতার বড়লোকদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করেছেন। বড়লোক বাড়িতে কোনও আনন্দ-অনুষ্ঠান হলে সেই বাড়ির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন, হাত পেতে ভিক্ষা চাইতেন তিনি। চিকিৎসক হিসেবে অর্জিত অর্থের সমস্তটাই দান করে গিয়েছেন মেডিক্যাল স্কুল ও হাসপাতাল স্থাপনে।

    আরজি কর হাসপাতাল তৈরির আদি কথা

    ১৮৯৮ সালে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বেলগাছিয়ায় ১২ বিঘে জমি কিনে নেন রাধাগোবিন্দ কর। এরপর সেখানেই ৭০ হাজার টাকা খরচ করে গড়ে তোলেন হাসপাতাল (RG Kar Hospital)। ঠিকানা, ১ নম্বর বেলগাছিয়া রোড। শয্যাসংখ্যা ৩০। হাসপাতাল পরিদর্শন করতে এসে প্রিন্স অ্যালবার্ট ভিক্টর দান করেন ১৮ হাজার টাকা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা সাহায্য করার জন্য হাসপাতালের নাম রাখা হয় ‘অ্যালবার্ট ভিক্টর হাসপাতাল’। ১৯০৪ সালে এই হাসপাতালের সঙ্গে মিশে যায় কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জেনস অব বেঙ্গল। তারও ১০ বছর পর মেলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন। তখন নামকরণ হয় বেলগাছিয়া মেডিক্যাল কলেজ। ১৯১৬ সালের ৫ জুলাই সেই কলেজের দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করেন লর্ড কারমাইকেল। তাই তাঁর সম্মানে আবারও বদলে যায় এই চিকিৎসা কেন্দ্রের নাম। দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত নাম ছিল কারমাইকেল। ১৯১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাধাগোবিন্দ কর। মৃত্যুর সময় তাঁর নিজস্ব সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না। শুধু ছিল বেলগাছিয়ায় তাঁর একটি বাড়ি। সেই বাড়িটিও তিনি উইল করে দিয়ে যান এই মেডিক্যাল কলেজের নামে। পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে রাধাগোবিন্দ করের নামেই কলেজের নাম রাখা হয় ‘আরজি কর’। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৯৫৮ সালের ১২ মে এটি গ্রহণ করে।

    রাধাগোবিন্দ কর ও নিবেদিতা

    ১৮৯৯ সালে কলকাতা জুড়ে প্লেগ মহামারির আকার নেয়। সেই সময়ে উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে ঘুরে রোগীদের সেবা করছেন ভগিনী নিবেদিতা। আর বিলেত ফেরত ডাক্তার রাধাগোবিন্দ কর সাইকেলে করে এলাকা চষে বেড়ান। বেশিরভাগ রোগীই গরিব। পথ্য কেনারই পয়সা নেই, তার ওপর আবার ডাক্তাবের ফিস। রোগী দেখার সঙ্গে সঙ্গে দরকার হলে রোগীদের পথ্য কেনার টাকাও দিচ্ছেন বিলেত ফেরত ডাক্তারবাবু। এর কিছুদিন পরই নিবেদিতার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। প্লেগ সংক্রমণ রুখতে এবং মৃত্যুর হার কমাতে দু’জনে মিলে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। ডাক্তারি পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাতে চিকিৎসা শাস্ত্রের ওপর একাধিক বইও লিখেছেন। যা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।

    এখন আরজি কর হাসপাতাল

    বর্তমানে ১৫ একর জুড়ে বিস্তৃত ১২১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল (RG Kar Hospital) কমপ্লেক্সে ১০টি ভবন এবং সাতটি হস্টেল রয়েছে। ২০১৫ সালে শতবর্ষ উদযাপনের সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, এই মেডিক্যাল কলেজকে এক সময় অনেকে অবজ্ঞা করত। কারণ, তখন বেলগাছিয়াকে কলকাতা শহরের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হত না। তাই, এই মেডিক্যাল কলেজকে খালের কলেজ বলা হত। জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে এমবিবিএস, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করা হয়। বিএসসি নার্সিং, প্যারামেডিক্যাল শাখায় আরও কয়েকটি কোর্সের জন্য আসন রয়েছে। বিলেত থেকে ফিরে এদেশের মানুষের জন্য যে হাসপাতাল তৈরির চারাগাছ তিনি লাগিয়েছিলেন, আজ তা বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gurpatwant Pannun: পান্নুন খুনের ষড়যন্ত্রে ভারতের বিরুদ্ধে সমন, কী বলল নয়াদিল্লি?

    Gurpatwant Pannun: পান্নুন খুনের ষড়যন্ত্রে ভারতের বিরুদ্ধে সমন, কী বলল নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ সেপ্টেম্বর তিন দিনের আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (India)। তার আগে শিখ ফর জাস্টিসের নেতা গুরুপন্ত সিং পান্নুনকে (Gurpatwant Pannun) খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্র মামলায় ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সমন জারি প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।

    ভারত সরকারের নামে সমন জারি (Gurpatwant Pannun)

    আমেরিকার একটি আদালত ভারত সরকারের নামে সমন জারি করেছে। এই সমনে নাম রয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, র-এর প্রাক্তন প্রধান সামন্ত গোয়েল, এজেন্ট বিক্রম যাদব ও ব্যবসায়ী নিখিল গুপ্তার। ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “এই বিষয়টি প্রথমবার ভারতের নজরে আসার পর কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছিল। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি দ্বারা অভিযোগগুলির তদন্ত করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে যুক্ত রয়েছে।” বিদেশ সচিব বলেন, “সম্প্রতি দায়ের করা মামলাগুলি পুরোপুরি অযৌক্তিক। অভিযোগও ভিত্তিহীন। মামলা দায়ের করা হলেও, এতে আমাদের মূল অবস্থানের প্রতি কোনও প্রভাব পড়বে না।”

    আরও পড়ুন: “৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস-এনসি জোট একই পৃষ্ঠায়”, পাক মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

    নিষিদ্ধ শিখ ফর জাস্টিস

    ভারতে নিষিদ্ধ শিখ ফর জাস্টিস (Gurpatwant Pannun)। এর প্রতিষ্ঠাতা খালিস্তানপন্থী জঙ্গি পান্নুন। মিশ্রি বলেন, “এই মামলার পেছনে রয়েছে ব্যক্তির অতীত পরিচিতি। কারণ তিনি আগেও বহুবার ভারত বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “এটি (শিখ ফর জাস্টিস) একটি বেআইনি সংগঠন। এই সংগঠনকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭-এর অধীনে বেআইনি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ এটি দেশ বিরোধী ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত।” বিদেশ সচিব বলেন, “শিখ ফর জাস্টিসের উদ্দেশ্য হল ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিঘ্নিত করা।”

    প্রসঙ্গত, খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় অভিযুক্ত নিখিল গুপ্তা। ২০২৩ সাল থেকেই চেক প্রজাতন্ত্রের জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। এই নিখিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় নিখিলকে তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে বিচার করতে চেয়েছিল আমেরিকা। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের জন্য বরাত দেওয়ার ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে মার্কিন আদালতে। ভারত (India) সরকারের একটি এজেন্সির আধিকারিকের নির্দেশেই নিখিল এই কাজ করেন বলে অভিযোগ (Gurpatwant Pannun)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ডাক্তারি পেশায় ইতি! সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল

    Sandip Ghosh: ডাক্তারি পেশায় ইতি! সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) আর্থিক দুর্নীতি এবং চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আগেই গ্রেফতার করেছে। এখন তিনি জেলে বন্দি। এবার তাঁর নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। রোগী দেখার প্রেসক্রিপশনেও তিনি লিখতে পারবেন না ‘ডাক্তার’ শব্দ। বৃহস্পতিবার, পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর রেজিস্ট্রেশন (Registration) বাতিল করেছে। যদিও অনেক দিন ধরেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশের মধ্যে এই দাবি উঠেছিল। এই পদক্ষেপে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    নোটিশের জবাব দেননি সন্দীপ (Sandip Ghosh)

    গত ৯ অগাস্ট হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং আত্মহত্যার তত্ত্ব দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই রেজিস্ট্রেশন (Registration) বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে কারণ দর্শানোর কথা বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এই নোটিশের জবাব দেননি সন্দীপ। এই জন্য নথিভুক্ত চিকিৎসকদের রেজিস্টার থেকে তাঁর নাম বাতিল করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ সিবিআইয়ের নজরে আরজি করের হাউজস্টাফ, নথি নিয়ে সিজিওতে সল্টলেকের হোটেল কর্মী

    আর কি রোগী দেখতে পারবেন?

    চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এই কাউন্সিলের সভাপতি হলেন তৃণমূল সমর্থক চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। চিঠিতে স্পষ্ট করে আবেদন করা হয়, ব্যক্তিগত পরিচয়কে ঊর্ধে রেখে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন যেন অবিলম্বে বাতিল করা হয়। একই ভাবে চিঠিতে সই রয়েছে আরেক তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনের। আরজি কর-কাণ্ডের শুরু থেকেই শান্তনু এবং তাঁর স্ত্রী-কন্যাকে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, সন্দীপ (Sandip Ghosh), হত্যাকাণ্ডের পর নিজেই অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, “আমি অর্থোপেডিক সার্জেন। আমার দু’টো হাত রয়েছে। আমি কিছু করে খেতে পারব।” কিন্তু এখন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পর ডাক্তারদের একাংশ বলছে, “আর কি রোগী দেখতে পারবেন? খাবেন কী”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Vs Bangladesh: অশ্বিনের শতরান, জাদেজার ঝোড়ো ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে চালকের আসনে ভারত

    India Vs Bangladesh: অশ্বিনের শতরান, জাদেজার ঝোড়ো ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে চালকের আসনে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের শুরুটা যদি বাংলাদেশের হয়, তাহলে শেষ বেলাটা অবশ্যই ভারতের (India Vs Bangladesh)। পাকিস্তানকে তাঁদের ঘরের মাঠে হারিয়ে ভারতে এসেছেন শাকিবরা। স্বভাবতই দুরন্ত ছন্দে প্রতিবেশীরা। শুরুটাও করলেন একেবারে আক্রমণাত্মক মেজাজে। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ৩৪ রানের মধ্যে তিন উইকেট খুইয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় ভারত। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিনের (Ravichandran Ashwin) সেঞ্চুরি আর রবীন্দ্র জাদেজার ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে দিনের শেষে প্রায় সাড়ে তিনশোর কাছে পৌঁছে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম দিনের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারতের স্কোর ৩৩৯।

    পরিকল্পিত বোলিং বাংলাদেশের

    টসে জিতে এদিন বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের (India Vs Bangladesh) প্রথম সেশনেই তিন উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের টপ অর্ডার ভেঙে দেন হাসান মাহমুদ। চা পানের বিরতির আগে ৬ উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ভারত। ব্যর্থ হন রোহিত (৬), শুভমান (০), বিরাট (৬), রাহুলরা (১৬)। হাফ সেঞ্চুরি করেন যশস্বী। ৩৯ রানের ইনিংস আসে ঋষভ পন্থের ব্যাট থেকে। ভারতের ব্যাটারদের বিরুদ্ধে এদিন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে নেমেছিল বাংলাদেশ। হাসানের সব চেয়ে বড় শক্তি একই লাইন ও লেংথে দীর্ঘ স্পেল করা। তাঁর বলে গতি রয়েছে। প্রত্যেক ব্যাটারের বিরুদ্ধে যে তিনি পরিকল্পনা করে নেমেছেন, তা আউট হওয়ার ধরনে বোঝা গিয়েছে। রোহিত ও বিরাট অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন। শুভমন আবার লেগ স্টাম্পের বল ফাইন লেগে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরেছেন। তাঁদের দুর্বলতা জেনেই বল করতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। সেটাই স্পষ্ট হয়ে যায় বিরাটদের আউট হওয়ার ধরনে।

    দুরন্ত অশ্বিন

    এদিন চা পানের বিরতি পর্যন্ত খেলায় ছিল বাংলাদেশ (India Vs Bangladesh)। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ভারতকে ম্যাচে রাখলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। ১০১ তম টেস্টে ষষ্ঠ শতরান করে ফেললেন তিনি। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্ট্রাইক রেট। ১১২ বলে ১০২ রানে অপরাজিত অশ্বিন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ৯১.০৭। অশ্বিন যখন নেমেছিলেন, তখন ভারত ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে। ২৫০ রান উঠবে কি না, সেই চিন্তায় চুপ কোচ গম্ভীর। সেখানে অশ্বিন নেমেই পাল্টা মারের খেলা শুরু করলেন। বাংলাদেশের বোলারদের উপর চাপ তৈরি করতে শুরু করেন অশ্বিন। তাতেই ম্যাচ ধীরে ধীরে ভারতের দিকে ঘুরতে শুরু করে। প্রশংসা করতে হবে জাদেজারও। অশ্বিনীকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন জাদেজা। দিনের শেষে ১১৭ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত তিনি। তাঁদের সামনে বাংলাদেশের বোলারদের দাপট ফিকে হয়ে যায়। দিনের শুরুতে উইকেট তুলে হাসানেরা যে চাপ তৈরি করেছিলেন, তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। গ্যালারিতে শুরু হয় গুঞ্জন, ভারত কিন্তু পাকিস্তান নয়! এত সহজে এখান থেকে ট্রফি নিয়ে পদ্মাপারে যাওয়া যাবে না!

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Raiganj: উর্দি পরে মদ্যপ অবস্থায় টলমল পায়ে ডিউটি করছেন পুলিশকর্মী! ভিডিও ভাইরাল

    Raiganj: উর্দি পরে মদ্যপ অবস্থায় টলমল পায়ে ডিউটি করছেন পুলিশকর্মী! ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনার পর গোটা রাজ্যে রাজ্য পুলিশের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল। এবারে উর্দি পরে মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশকর্মীর ভিডিও ভাইরাল। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের ঘড়িমোড় এলাকায়। ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর আবার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শহরজুড়ে। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই পুলিশকর্মীর নাম প্রীতম গুহ। তিনি রায়গঞ্জ থানায় পোস্টিং ছিলেন। তিনি এএসআই। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Raiganj)

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বুধবার রাতে রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের ঘড়িমোড় এলাকায় রাস্তায় ঠিকমতো হাঁটতেও পারছেন না ওই পুলিশকর্মী। কোনওক্রমে সেখান থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। সেই অবস্থায় তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন স্থানীয় মানুষ। কিন্তু, ঠিকমতো কথাও বলতে পারছেন না তিনি। নাম জিজ্ঞেস করলে নিজের নেমপ্লেটটিও হাত দিয়ে ঢেকে দেন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রা সেই পুলিশকর্মীকে একটি টোটোতে তুলে দেন। এই  ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে শহরজুড়ে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনায় পুলিশ (Raiganj) ও রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। তিনি বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার কঙ্কালসার অবস্থা, যা বারে বারে সামনে আসছে। আরজি করের ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। বুধবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ এক উর্দিধারী পুলিশ (Police) অফিসার গলি থেকে টলতে-টলতে বেরোচ্ছেন, গলির মধ্যে মেয়েদের কটূক্তি করছেন। ঘড়িমোড়ে যখন এসেছেন, তিনি হাঁটতে পারছেন না। টলে-টলে পড়ে যাচ্ছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী।

    অপরদিকে, এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অরিন্দম সরকার বলেন, ওই পুলিশ অফিসার যে কাজটি করেছেন, তা সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি ডিউটিতে ছিলেন কি না, তা জানা নেই, তবে উর্দি পরে ডিউটি অবস্থাতে কেউ মদ খেলে অবশ্যই সেটি এক ধরনের ক্রাইম। এবিষয়ে অবশ্যই জেলা পুলিশ-প্রশাসন আইন আনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোনও মহিলাকে কটূক্তি করা হয়েছে কিনা, তা আমাদের জানা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: “৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস-এনসি জোট একই পৃষ্ঠায়”, পাক মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

    Pakistan: “৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস-এনসি জোট একই পৃষ্ঠায়”, পাক মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা (Article 370) পুনর্বহালের বিষয়ে পাকিস্তান ও সেখানকার কংগ্রেস-এনসি জোট একই পৃষ্ঠায় রয়েছে।” কথাগুলি বলেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তাঁর এই মন্তব্যে দেশজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ।

    অমিত মালব্যের তোপ (Pakistan)

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) অবস্থানকে সমর্থন করছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হামিদ মিরের ক্যাপিটাল টক অনুষ্ঠানে বলেছেন, কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের বিষয়ে পাকিস্তান ও ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট একই পৃষ্ঠায় রয়েছে। কীভাবে পান্নুন থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত, রাহুল গান্ধী ও তার কংগ্রেসকে সর্বদা ভারতের স্বার্থের বিরোধী পক্ষের সঙ্গে থাকতে দেখা যায়?”

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

    ক্যাপিটেল টকের অন্য একটি অনুষ্ঠানেও ভূস্বর্গে ৩৭০ ধারা ফেরানো প্রসঙ্গে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, “আমাদের দাবিও একই।” জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষমতায় কংগ্রেস-এনসি জোট ফিরলেই ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল হবে (Pakistan) বলেও আশাবাদী পাকিস্তানের এই মন্ত্রী। জিও নিউজের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এও বলেছিলেন, “আমি মনে করি এটা (জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানো) সম্ভব। বর্তমানে এনসি এবং কংগ্রেসের সেখানে খুব বড় গুরুত্ব রয়েছে। উপত্যকার জনসংখ্যাকে এই বিষয়ে অনেকটাই অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। আমি এ-ও বিশ্বাস করি, এনসি-র ক্ষমতায় আসার সুযোগ রয়েছে।” তিনি বলেন, “তারা এটিকে নির্বাচনী ইস্যু করেছে যে জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা উচিত।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অনুরোধ ফেরাল ভারত, মার্কিন মুলুকে হচ্ছে না মোদি-ইউনূস বৈঠক

    প্রসঙ্গত, এর আগে এনসি সুপ্রিমো ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর ছেলে তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। ফারুক বলেছিলেন, “বিজেপি কত বছর সময় নিয়েছিল এটি (৩৭০ ধারা) বাতিল করতে। আল্লাহ চাইলে আমরাও একে (Article 370) পুনরুদ্ধার করব। এটি জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের হৃদস্পন্দন। এর পরেই তিনি বলেছিলেন, ধারা ৩৭০ ও ৩৫ এ পুনরুদ্ধার করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন পরে জম্মু-কাশ্মীরে হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন (Pakistan)। ভোট হবে তিন দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে ২৫ তারিখে। তৃতীয় দফার নির্বাচন হবে ১ অক্টোবর। অক্টোবরের ৮ তারিখে হবে ফল ঘোষণা (Article 370)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Post: ভারতীয় ডাক বিভাগে ৫০-৬০ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনা, জানালেন মন্ত্রী

    India Post: ভারতীয় ডাক বিভাগে ৫০-৬০ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনা, জানালেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া পোস্ট (India Post) বা ভারতীয় ডাক ব্যবস্থায় হাই-টেকের পরিষেবা এখন সর্বত্র মিলবে। এই বড় পরিকল্পনার কথা জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি বলেন, “ডাক বিভাগের গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে ইন্ডিয়া পোস্টের আয় বৃদ্ধিরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সকল রকম সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আমরা পরিকল্পনা শুরু করেছি।” একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা দিতে চেয়েছেন তিনি, আর তাই কর্মী, উদ্যোক্তা, নেতৃত্ব এবং আধুনিক যোগাযোগের ক্রমবর্ধমান চাহিদার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।

    দফতরের রাজস্ব ৫০-৬০ শতাংশ বৃদ্ধি হবে(India Post)

    নয়াদিল্লিতে পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ফোরাম অফ ইন্ডিয়ার অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, “ভারতীয় ডাক (India Post) ব্যবস্থাকে ব্যবসায়িক পুনর্গঠনের দিকে নজর দিয়ে, এখন থেকে ভারত সরকার একটি লজিস্টিক কোম্পানিতে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করেছে। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে এই দফতরের রাজস্ব ৫০-৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারতীয় ডাকের বার্ষিক টার্নওভার হল ১২,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। আগামী দিনে একে বৃদ্ধির চেষ্টা করব।” ভারতের আর্থ-সামাজিক কাঠামোতে এই দফতরের মূল ইতিহাসকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ গুরুত্বের কথাও বলেন। তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই মেল বা চিঠির ব্যবসা থেকে নিজেদেরকে রূপান্তর করতে হবে। আমাদের পরিষেবাগুলিকে পরিবহণ করতে নতুন মাধ্যমের কথাও ভাবতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ চিন সীমান্তে বরফের নীচে চাপা পড়েছিলেন, তিন দিন পর জীবিত উদ্ধার জওয়ান

    ২৫,০০০ গ্রামে হবে মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ

    উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য আবার বলেন, “ভারত সরকার একটি সড়ক নেটওয়ার্ক করার বিস্তৃত পরিকাঠামো তৈরিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে চলেছে। এখনও সারাদেশে ২৫,০০০ গ্রাম এবং উত্তর-পূর্বে ৬,০০০ গ্রামে মোবাইল টাওয়ার নেই। ইউএসও ফান্ডের মাধ্যমে আগামী বছরের মাঝামাঝি এই বিস্তীর্ণ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। ডাক বিভাগের (India Post) সঙ্গে ভারতের অনেক পুরনো ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। ১৮৫২ সাল থেকে যখন বার্তা বাহক চিঠিগুলি পায়রার সাথে বাঁধা ছিল সেই সময়ের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। ১৯১১ সালে প্রথম এয়ারমেইল পরিষেবা চালু হয়েছিল, আর এটাই আমাদের ইতিহাস।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ৫০ হাজার যুবার কর্মসংস্থান, ছাত্রীদের স্কুটি, হরিয়ানায় নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ বিজেপির

    BJP: ৫০ হাজার যুবার কর্মসংস্থান, ছাত্রীদের স্কুটি, হরিয়ানায় নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন হরিয়ানার বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। প্রসঙ্গত, বুধবারই প্রকাশিত হয়েছিল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার। যাকে এদিন ভাঁওতা বলে তোপ দাগেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং হরিয়ানা বিজেপির সভাপতি মোহনলাল বাদলি।

    মহিলাদের মাসে ২,১০০ টাকা (BJP)

    সমগ্র অনুষ্ঠানটি হয় হরিয়ানা রাজ্যের রোহতকে। ভারতীয় জনতা পার্টি আশ্বাস দিয়েছে, যুবকদের চাকরির ব্য়বস্থা যেমন করা হবে, তেমনই প্রতি মাসে ‘লাডো লক্ষ্মী যোজনা’র মাধ্যমে মহিলাদের ২,১০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। রাজ্যে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে ভারতীয় জনতা পার্টি ঘোষণা করেছে যে সে রাজ্যে একাধিক শিল্প শহর প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান (BJP) হবে।

    কলেজ ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুটি

    বিজেপি (BJP) আরও ঘোষণা করেছে যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ‘চিরায়ু আয়ুষ্মান যোজনা’ আনা হবে, যার মাধ্যমে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকার ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সাহায্য করবে হরিয়ানার নাগরিকদের। প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত এই ব্যবস্থার মাধ্যমে হরিয়ানার নাগরিকদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হত। এর পাশাপাশি, বিজেপি আরও আশ্বাস দিয়েছে যে, ক্ষমতায় এলে তারা কলেজ ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুটার বিতরণ করবে ‘আওয়াল বালিকা যোজনা’র মাধ্যমে। গৃহস্থ মহিলাদের এলপিজি সিলিন্ডারে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে সরকার।

    এটা কোনও ইস্তাহার নয়, এটা আমাদের সংকল্পপত্র

    এদিনের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে (BJP) জেপি নাড্ডা কংগ্রেসকে তোপ দেগে বলেন, ‘‘কংগ্রেসের ইস্তাহার শুধুমাত্র একটা অনুষ্ঠান এবং জনগণকে প্রতারণা করার অনুষ্ঠান।’’ তিনি আরও উদাহরণ টেনে এনে বলেন, ‘‘দশ বছর আগে ঠিক কী চলত হরিয়ানাতে! সরকারি চাকরি পেতে গেলে যুবকদেরকে ঘুষ দিতে হতো।’’ হরিয়ানায় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।’’ তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘এটা কোনও ইস্তাহার নয় এটা আমাদের সংকল্পপত্র। এটা মনে রাখতে হবে হরিয়ানা কখনও থামবে না।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Soldier Rescued: চিন সীমান্তে বরফের নীচে চাপা পড়েছিলেন, তিন দিন পর জীবিত উদ্ধার জওয়ান

    Soldier Rescued: চিন সীমান্তে বরফের নীচে চাপা পড়েছিলেন, তিন দিন পর জীবিত উদ্ধার জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে (India-China Border) বরফের নীচ থেকে তিন দিন পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার (Soldier Rescued) করা হল জওয়ান অনিল রামকে। প্রবল তুষারপাতে আটকে গিয়েছিলেন অনিল ও তাঁর সঙ্গী। তুষারপাতের সময় গুহার মধ্যে কোনও রকমে আশ্রয় নিলেও তেমন লাভ হয়নি। বরফে গুহার মুখ ঢেকে গিয়েছিল। তিন দিন সেখানেই আটকে ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই জওয়ান। অবশেষে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে।

    বরফের নীচে বাঁচার লড়াই

    ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) সদস্য বিহারের বক্সারের বাসিন্দা অনিল। উত্তরাখণ্ডে ভারত-চিন সীমান্ত পাহারা দেওয়ার ভার পড়েছিল তাঁর উপর। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভারবাহক দেবেন্দ্র সিং। উত্তরাখণ্ডের মুন্সিয়ারি থেকে মিলাম পর্যন্ত টহল দিচ্ছিলেন অনিল। আচমকা তুষারপাত শুরু হয়। বরফের হাত থেকে বাঁচার জন্য সাময়িক ভাবে তাঁরা একটি গুহায় ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু তুষারপাত চলতেই থাকে। মুন্সিয়ারি থেকে প্রায় ৮৪ কিলোমিটার দূরে ছিল ওই গুহা। প্রবল তুষারপাতে চারদিক ঢেকে যায়। পুরু তুষারের আস্তরণ পড়ে যায় গুহা সংলগ্ন স্থানে। গুহার মুখও বন্ধ হয়ে যায়। গুহার ভিতরেই সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির সংশোধন চাই, পাকিস্তানকে কড়া নোটিশ ভারতের

    এক দিন পর তাঁদের খোঁজ (Soldier Rescued) শুরু হয়। তিন দিন পর তাঁদের খোঁজ মেলে। গুহার মুখ থেকে বরফ সরিয়ে দু’জনকে বার করে আনা হয়। উত্তরাখণ্ডের হাসপাতালে অনিল চিকিৎসাধীন। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অনিলের উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে তাঁর পরিবারেও। তাঁর সঙ্গী দেবেন্দ্রের শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল বলে খবর। উত্তরাখণ্ডের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রেষ্ঠ গুনসোলা জানিয়েছেন, অনিল এবং দেবেন্দ্র, দু’জনেই সুস্থ আছেন। চার ফুট পুরু বরফ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir Election 2024: তাঁর প্রচারে এসেছিলেন মোদি, কাশ্মীরে বিজেপির জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শগুন

    Jammu Kashmir Election 2024: তাঁর প্রচারে এসেছিলেন মোদি, কাশ্মীরে বিজেপির জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সালটা ২০১৮। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৩। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে মৃত্যু হয় বাবা অজিত পরিহার এবং কাকা অনিলের। বাবার ঠান্ডা শরীর স্পর্শ করেই চোখের জলে সিক্ত হয়েছিল তাঁর দেহ। এখনও সেই কথা মনে পড়লে চোখের কোণা চিকচিক করে ওঠে কিশতওয়ারে বিজেপি প্রার্থী শগুন পরিহারের। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রচারের পোস্টার গার্ল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন শগুন (Shagun Parihar)। দীর্ঘ এক দশক পর জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে (Jammu Kashmir Election 2024) বিজেপির জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।

    উপত্যকা উন্নতি চায়

    শগুন জানান, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। তিনি পিএইচডি-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সেই সময় দলের তরফ থেকে ফোন যায় তাঁর কাছে। তখনই বলা হয় তাঁকে নির্বাচনে (Jammu Kashmir Election 2024) লড়তে হবে। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাননি তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)  নিজে তাঁর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও (Anurag Thakur) কিশতওয়ারের প্রার্থীর জন্য প্রচার চালিয়েছেন। শগুনের কথায়, উপত্যকায় সন্ত্রাস ক্রমশ ফিকে হচ্ছে। যা সন্ত্রাস, তা ন্যাশনাল কনফারেন্সের জন্যই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে, এখানকার যুব সম্প্রদায় দেশের অন্য প্রান্তের মতোই উপত্যকার উন্নতি চায়। চায় শিক্ষা, চাকরি, দাবি শগুনের।

    বিজেপির জয় নিশ্চিত

    কিশতওয়ারে ন্যাশনাল কনফারেন্সের দু’বারের বিধায়ক সাজ্জাদ আহমেদ কিচলুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শগুন। এই আসনের সাত প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৭৪,৪৬৬ ভোটার। ভোটারদের (Jammu Kashmir Election 2024) কাছ থেকে কেমন সাড়া পেয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তরে শগুন বলেন, “আমি যখনই যেখানে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, দেখেছি তাঁরা আমাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালবাসছেন। আমার বাবার জন্যই আমি এত ভালবাসা পাচ্ছি। উপত্যকাবাসীর জন্য নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য।” তাঁর মতে, ন্যাশনাল কনফারেন্স মানুষকে অনেক কিছুই দিতে পারেনি। শগুনের অভিযোগ, ওমর আব্দুল্লাহ গুজ্জর ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজের কথা চিন্তা করেননি, রিজার্ভেশন কেড়ে নিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কথাও এতদিন চিন্তা করা হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন শগুন। তিনি বলেন, “এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ পরাজয়ের সম্মুখীন হবে বিরোধীরা। মানুষ শান্তি ও উন্নয়ন চায়। সেইলক্ষ্যেই কিশতওয়ারে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। বিজেপি মানুষের আশা পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share