Blog

  • PM Modi: ‘মন কি বাতে’ অপারেশন সিঁদুর, মোদির গলায় ‘মেড ইন্ডিয়া’র প্রশস্তি

    PM Modi: ‘মন কি বাতে’ অপারেশন সিঁদুর, মোদির গলায় ‘মেড ইন্ডিয়া’র প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর এই প্রথম হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল দেশীয় প্রযুক্তির প্রশস্তি। প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের তৈরি অস্ত্র, কৌশল এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এসেছে সাফল্য।” রবিবার ছিল ‘মন কি বাতে’র ১২২তম পর্বের সম্প্রচার। এদিন দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ‘মনের কথা’য় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সমগ্র দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, ক্রুদ্ধ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    অপারেশন সিঁদুর (PM Modi)

    তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতের সংকল্প, সাহস এবং নবজাগরণের প্রতীক। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসামান্য বীরত্ব গোটা দেশবাসীকে গর্বিত করেছে এবং দেশজুড়ে তেরঙ্গা যাত্রা ও জনসমাবেশের মাধ্যমে এক অনন্য দেশাত্মবোধের আবহ তৈরি হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশীয় অস্ত্রে সাফল্য এসেছে, যা আমাদের সকলকে গর্বিত করেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছে সমগ্র দেশকে। অপারেশন সিঁদুর পাল্টে যাওয়া ভারতের ছবি (Mann Ki Baat)।” তিনি বলেন, “এই অপারেশন বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক নয়া আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বাহিনী নির্ভুলভাবে সীমান্তের ও পারে থাকা জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এই অভিযান শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং আমাদের সংকল্প, সাহস এবং পরিবর্তনশীল ভারতের একটি ছবি। এই ছবিই সমগ্র ভারতবাসীর দেশপ্রেমের অনুভূতিকে তেরঙ্গার রঙে রাঙিয়েছে।”

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’

    অপারেশন সিঁদুর যে আদতে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র শক্তির পরিচায়ক, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রশস্ত্র এই দেশের মাটিতেই তৈরি। আমাদের সেনার, ইঞ্জিনিয়রদের, টেকনিশিয়ানদের, এই দেশের রক্ত-ঘামের পরিচায়ক এই (PM Modi) সাফল্য।” প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ওই দুই এলাকায় অন্তত ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। ঘটনার জেরে সীমান্তে বাড়ে উত্তেজনা। শুরু হয় গোলাবর্ষণ। পরে (Mann Ki Baat) পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধবিরতিতে সায় দেয় ভারত (PM Modi)।

  • RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    RSS: হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করা থেকে জাতীয় সুরক্ষা! সাক্ষাৎকারে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) যাত্রা শুরু হয় ১৯২৫ সাল থেকে। এই সংগঠন চলতি বছরের বিজয়া দশমীতে শততম বর্ষে পা দিচ্ছে। গত মার্চ মাসেই অনুষ্ঠিত হয় আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। সেই সভাতেই আরএসএসের নানা দিক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেন সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। প্রতিবেদনে সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল।

    একজন স্বয়ংসেবক এবং সর সঙ্ঘ চালক হিসেবে আরএসএসের শততম বর্ষপূর্তিকে কী চোখে দেখেন?

    এ প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার এই মিশনকে শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে তিনি দেশের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে বিশ্লেষণ করেন এবং তার যথাযথ সমস্যার সমাধানের জন্য কোন কোন পদক্ষেপ করতে হবে সেটাও তিনি বাতলে দেন। ১৯৫০ সাল থেকেই সংঘের কার্যকর্তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে। দেশজুড়ে সংঘের কাজ বাড়তে থাকে। স্বয়ং সেবকরা (RSS) সমাজে কাজে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। দশকের পর দশক ধরে স্বয়ং সেবকরা জাতীয় জাগরণে এই কাজকেই করে চলেছেন।’’

    শততম বর্ষে সবচেয়ে বড় মাইলস্টোন কী সংঘের কাছে?

    এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন,‘‘আমাদের কাছে আলাদা করে কিছু নেই। ১৯৫০ সালের পর থেকেই দেখা যায় যে আরএসএস-এর (RSS) কাজ দ্রুতভাবে বাড়তে থাকে এবং হিন্দু সমাজ সংঘটিত হতে থাকে। এর পরবর্তীকালে সংঘ শক্তি আরও বহু গুণে বেড়ে যায় ১৯৭৫ সালে জাতীয় জরুরি অবস্থার সময়। এই সময়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ গণতন্ত্র ফেরাতে গঠনমূলক আন্দোলন করে পরবর্তীকালে একাত্মতা রথযাত্রা, কাশ্মীর সংক্রান্ত আন্দোলন, রাম জন্মভূমি মুক্তি আন্দোলন, বিবেকানন্দ সার্ধশতী- এ সমস্ত কিছুই আরএসএস করেছে এবং এর সঙ্গে সেবা কাজও চালিয়েছে।’’

    ১৯৪৮ সাল এবং ১৯৭৫ সালের সংকট নিয়ে কী বলবেন?

    প্রসঙ্গত ১৯৪৮ এবং ১৯৭৫ সালে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা হয়। এ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘এই দুই সময়েই এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়। এটা জানা সত্ত্বেও যে আরএসএস কোনও ক্ষতিকারক সংগঠন নয়। ১৯৪৮ সালে যখন প্রথমবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় তখন সংঘ প্রথমবারের জন্য বুঝতে পারে তার শক্তি। এরপরে স্বয়ংসেবকরা পরিকল্পনা করেন সমাজকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যই তাঁরা কাজ করবেন। ১৯৭৫ সালের জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন শুরু করেছিল সংঘ এবং আমরা প্রত্যেকেই অংশগ্রহণ করেছিলাম তাতে। জাতীয় জরুরি অবস্থা যখন শেষ হয়, তখন দেখা যায় সংঘ একটা শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’’

    দেশজুড়ে ভাষা-ভৌগোলিক বৈচিত্রে আরএসএস কীভাবে স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণ দেয়?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে আরএসএস স্থির করেছে যে তারা সমগ্র সমাজকে সংগঠিত করবে।’’ এনিয়ে একটি গল্পও বলেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘একবার এক নতুন কার্যকর্তা সংগঠনে আসেন। তিনি সমাজতন্ত্রের আদর্শ বিশ্বাস করেন। খুব ধূমপান করতেন। প্রথমবার তাঁকে অভ্যাস বর্গে হাজির করানো হয়। যেখানে এসে এই ধরনের ধূমপান করার সুবিধা পাননি তিনি। তখন তিনি সারাটা দিন অস্থির হয়ে ওঠেন। রাতে সংগঠন সম্পাদক তাঁকে নিয়ে হাঁটতে বের হন। তাঁকে বলা হয় যে একটা সিগারেটের দোকানে যাও। কিন্তু কখনও যেন এটা ক্যাম্পের ভিতরে না হয়। পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি ভালো কার্যকর্তায় পরিণত হন এবং ধূমপানও ছেড়ে দেন।’’ সংঘ প্রধানের মতে, এভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সংঘে।

    আরএসএস চলছে ডাক্তারজী, গুরুজীর দেখানো পথেই! যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তাহলে কীভাবে সেটা হবে?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘ডাক্তার হেডগোয়ার এবং গুরুজীর যে চিন্তা ভাবনা, তা সনাতন ধর্মেরই প্রথা। হিন্দু সংস্কৃতির বাইরে নয় বা আলাদাও নয়। আরএসএসের পদ্ধতি হল এভাবেই কাজ করা। প্রথম দিন থেকে থেকে আমরা নীতি এবং আদর্শের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছি। আমরা প্রেরণা এবং নির্দেশ পাই মহান মানুষদের কাছ থেকেই। কিন্তু দেশ কাল পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করেই আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’

    বর্তমান দিনে সমাজ এবং প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে নিত্য শাখা কী প্রাসঙ্গিক?

    এনিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘শাখাতেই আমরা পরম বৈভাবশালী ভারত রাষ্ট্র নির্মাণের কথা বলি। এটাই হল সংঘের শাখা। এখানেই স্বয়ংসেবকরা একত্রিত হন এবং দেশ ভক্তির একটা বাতাবরণ তৈরি হয়। একজন সাধারণ মানুষ প্রথমবারের জন্য সংঘের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে নিত্য শাখার মাধ্যমে। ব্যক্তির সঙ্গে সামুহিকতার একটা বন্ধন তৈরি হয় এভাবে। শাখার সময়ের পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু শাখার কোনও বিকল্প নেই।’’

    বনবাসী বা জনজাতিদের মধ্যে সংঘের কাজ কীভাবে বাড়ছে?

    বনবাসীদের মধ্যে কাজ কীভাবে বাড়ছে, এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সর সংঘচালক বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের মধ্যে থেকে সমাজকে নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন ব্যক্তিদেরকে তুলে আনার চেষ্টা করছি। যাঁরা তাঁদের নিজেদের সমাজের জনগণের জন্য কাজ করবেন। তাঁদেরকে দেখবে এবং সমগ্র জাতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে। প্রতিটি জনজাতি অঞ্চলেই বাড়ছে সংঘের কাজ।’’

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে প্রতিবেশী দেশগুলিতে, সংঘের প্রতিনিধি সভায় এনিয়ে আলোচনা হয়েছে, আপনার কী মতামত?

    এই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান বলেন, ‘‘ভারতের হিন্দু সমাজ যদি সংঘটিত হয় এবং শক্তিশালী হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সারা পৃথিবীর হিন্দুরা সেখান থেকে শক্তি পাবেন। এই কাজই চলছে। কিন্তু তা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু নিশ্চিতভাবে একদিন হবে। বাংলাদেশে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে, সেখানে স্থানীয় হিন্দুরা বলছেন যে আমরা আর এখান থেকে পালাব না। আমরা এখানে থাকব। আমাদের অধিকারের জন্য সংঘর্ষ করব। হিন্দু সমাজের আভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে, একথা বলাই যায়। যেখানেই হিন্দুরা আক্রান্ত হোক বিশ্বজুড়ে, আমরা আমাদের সম্ভাব্য সমস্ত রকমের কাজই করব আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে।’’

    জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে সংঘের মতামত কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদের কারও উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়, আমাদেরকে নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। একজন সত্যিকারের ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি কখনও নিরাপদ হয় না যদি তিনি শক্তিশালী না হন। শুভ শক্তিকে রক্ষার জন্য ধর্মকে শক্তির সঙ্গে একত্রিত হতেই হবে।’’

    ভারতের ধর্মীয় ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বিবিধতা সংঘ কীভাবে দেখে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষজন একসঙ্গে এসে সংঘের কাজ দেখেন। আরএসএসের যে গানগুলি রয়েছে সেগুলো শুধুমাত্র হিন্দিতেই নেই, সেগুলো বিভিন্ন ভাষাতেই রয়েছে। বিভিন্ন ভাষাতেই সংঘ শিক্ষা বর্গে গাওয়া হয় এবং প্রত্যেকটি গানের মধ্যেই রয়েছে জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি রক্ষার উদ্দেশ্যে।’’

    আরএসএস সমর্থতার কথা বলে কিছু মানুষ একতার কথা বলে সমান অধিকারের কথা বলে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘সমান অধিকার বা ইকুইটি হল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক। আর সমরসতা মানে সামাজিক ঐক্যের কথা বলি। এভাবেই আমরা স্বাধীনতা এবং সমান অধিকারকে প্রচার করি। আমাদের যে সংবিধান তা জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতাপর বিরুদ্ধে কথা বলছে। মানসিকভাবেই আমাদের বৈষম্য দূর করতে হবে।’’

    আরএসএস-এ বর্তমানে নারী শক্তির অংশগ্রহণ বাড়ছে এনিয়ে আপনার মতামত কী?

    এ নিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন,‘‘১৯৩৩ সাল নাগাদ গড়ে তোলা হয় রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, যা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে। আরএসএসের শাখা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে তা পুরুষ মানুষের জন্যই। কিন্তু মহিলারা তা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং দেখতেও পারেন। এ কথা সত্য যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ শুধুমাত্র পুরস্কার কার্যকর্তার ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের মাতৃশক্তিও সমানভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাতে তাঁরা যোগদান করছেন।’’

    শতবর্ষে আরএসএসের প্রস্তাব পাশ হয়েছে পঞ্চ পরিবর্তন, এ নিয়ে পরিকল্পনা কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘সামাজিক সমরসতা হল আমাদের প্রথম কাজ। এরপর আসে কুটুম্ব প্রবোধন, তার মানে ভারতবর্ষের সনাতন পরিবারের ঐতিহ্য এবং প্রথাকে মান্যতা দেওয়া। এরপর পরিবেশের সংরক্ষণ। এর সঙ্গে আসে স্ব অর্থাৎ আত্মনির্ভরতা। শেষে আসে একদম নাগরিক কর্তব্য অর্থাৎ আমরা যেন প্রত্যেকে আইন, সংবিধান এবং সামাজিক রীতি নিয়ম মেনে চলি।’’

    আগামী ২৫ বছর সংঘের কার্যক্রম কী?

    মোহন ভাগবত বলেন,‘‘ আগামী ২৫ বছর সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা কাজ করব এবং ভারতকে একটা নতুন জায়গাতে নিয়ে যাব। এভাবেই সমগ্র বিশ্বের একটা পরিবর্তন হবে।’’

    সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে, ২০৪৭ সালের দেশের স্বাধীনতা ১০০ বছর হবে, ভারত কীভাবে বিশ্বগুরু হবে?

    এনিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, ‘‘এই সময় আমাদের সমাজে তিনটে ব্যধির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। একটা হচ্ছে স্বার্থপরতা, দ্বিতীয় হচ্ছে জাতিভেদ প্রথা আর একটা হচ্ছে আত্ম বিস্মৃতি। আমরা যদি সংগঠিত থাকি।’’

    হিন্দু সমাজের শুভচিন্তকদের জন্য আপনার বার্তা কী?

    আরএসএস প্রধান বলেন (Mohan Bhagwat), ‘‘হিন্দু সমাজকে জাগ্রত হতে হবে। তাদের আভ্যন্তরীণ যে সমস্ত বিভেদ এবং বিবাদ আছে, তার সমস্ত কিছুকে মিটিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে নিঃস্বার্থ হতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিকভাবে সামাজিকভাবে এবং পেশাগতভাবে ধার্মিক হতে হবে। হিন্দুত্বের আদর্শের উপর গড়ে তুলতে হবে জীবন।’’

  • Rising Northeast: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টরস সামিটে স্বাক্ষরিত ৪.৩ লাখ কোটি টাকার মউ

    Rising Northeast: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টরস সামিটে স্বাক্ষরিত ৪.৩ লাখ কোটি টাকার মউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট (Rising Northeast) ইনভেস্টরস সামিট ২০২৫’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২৩-২৪ মে অনুষ্ঠিত দু’দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে পর্যটন, বস্ত্র, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগের সুযোগগুলি অন্বেষণ করার জন্য শিল্পপতি, সরকারি কর্তা এবং পার্টনারদের একত্রিত করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বের কৌশলগত ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং ভারতের পূর্ব করিডরের জন্য একটি প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে এই সামিটের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    সরকারি বিবৃতি (Rising Northeast)

    শনিবার শেষ হয় এই সম্মেলন। সরকারি বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে ৪.৩ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন (Rising Northeast) মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই দু’দিনের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বের নানা প্রান্তের বিনিয়োগকারীরা। এটি ফের একবার প্রমাণ করল যে উত্তর-পূর্ব কেবল একটি অঞ্চল নয়, বরং বিকশিত ভারতের (Viksit Bharat) জন্য একটি কৌশলগত বৃদ্ধির করিডর। উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বলেন, “আজ, ‘এনইআর’ শব্দটির অর্থ নতুন অর্থনৈতিক বিপ্লব এবং ভারতের নতুন অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ।” তিনি বলেন, “আমাদের সামিট কোনও সমাপ্তি নয় — এটি একটি সূচনা। এটি পূর্ণ বিরাম নয়, প্রস্তাবনা।”

    স্বাক্ষরিত একাধিক মউ

    জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রধান বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাধিক মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্মেলনে সিকিম সরকার এসএম হোটেলস অ্যান্ড রিসর্টসের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে, যার বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৫০-৩০০ কোটি টাকা। অরুণাচল প্রদেশ সরকার ফার্ম নেটিভ গ্রুপের সঙ্গে একটি ১৫০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে। মেঘালয় সরকার এগ্রি-বায়ো ফুয়েলস গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে ৪ হাজার কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। মেঘালয় সরকার এবং ইনল্যাম্বি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১,০০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। মণিপুর সরকারও ওই সংস্থার সঙ্গে ১,০০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। ত্রিপুরা সরকার শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর বিদ্যা মন্দির ট্রাস্টের শ্রী শ্রী ইউনিভার্সিটি এবং একটি আয়ুর্বেদ কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি মউ স্বাক্ষর করেছে।

    মোট ৮০৩টি বিনিয়োগের আগ্রহ

    মার্কি মউ স্বাক্ষরের বাইরে শীর্ষ সম্মেলনে মোট ৮০৩টি বিনিয়োগের আগ্রহ রেজিস্টার্ড হয়েছে। এগুলি সংগৃহীত হয়েছে রোডশো, বিটুজি বৈঠক এবং সরকারি/সরকারি-বেসরকারি প্রস্তাবনার মাধ্যমে। বিভিন্ন রাজ্যে আয়োজিত রোডশোগুলির মাধ্যমে ₹৯৯,৫৩৩ কোটি টাকার বিনিয়োগে আগ্রহও প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে এসেছে ₹১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা। শিল্প গোষ্ঠীগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ₹১.৫৮ লাখ কোটি টাকা এবং শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন অনুষ্ঠিত বিটুজি বৈঠকগুলির মাধ্যমে ₹১৮,৬০০ কোটিরও বেশি মূল্যের লগ্নির প্রতিশ্রুতি মিলেছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে (Rising Northeast)। সিন্ধিয়া বলেন, “বাজপেয়ীজির বপন করা বীজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। গত ১১ বছরে আমাদের মন্ত্রিসভা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭৩০ বার সফর করেছে, যা কেন্দ্রের আবেগগত ও কৌশলগত অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।”

    ৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ

    বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণে এই শীর্ষ সম্মেলন উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও তার বাইরের সঙ্গে একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সেতুবন্ধন হিসেবে তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, “এটি শুধুমাত্র রুপি বা ডলারে বিনিয়োগ নয় — এটি বিশ্বাস, সম্পর্ক এবং ভারতের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক ভূগোলের ওপরও বিনিয়োগ।” সিন্ধিয়া আরও একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর কথাও ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আটটি ক্ষেত্রভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত স্তম্ভ, যার নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রীরা, এবং অন্য রাজ্যগুলির সহায়তায় স্বাক্ষরিত মউ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, “এখানে কোনও মূল ভূখণ্ড ও উত্তর-পূর্ব নেই — এখানে শুধুই অখণ্ড ভারত রয়েছে, যেখানে প্রতিটি ভারতীয়ের হৃদয়, হাত ও দিগন্ত এক সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে (Rising Northeast)।”

    প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি ভারতের “অ্যাক্ট ইস্ট নীতি”-এর কেন্দ্রবিন্দু, যার লক্ষ্য আসিয়ান দেশ এবং অন্যান্য পূর্ব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযোগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ঐতিহাসিকভাবে অনুন্নত, এই অঞ্চলে গত এক দশক ধরে (মোদি জমানা) পরিকাঠামো, শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সরকারি বিনিয়োগ দেখা গিয়েছে (Rising Northeast)।

  • Rash Behari Bose: বৈষ্ণব বেশে আত্মগোপন করেন নবদ্বীপে! জন্মদিনে জানুন রাসবিহারী বোসের রোমাঞ্চকর কর্মকাণ্ড

    Rash Behari Bose: বৈষ্ণব বেশে আত্মগোপন করেন নবদ্বীপে! জন্মদিনে জানুন রাসবিহারী বোসের রোমাঞ্চকর কর্মকাণ্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ মে ভারতের সশস্ত্র সংগ্রামের অন্যতম পুরোধা মহাবিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্মদিন (Rash Behari Bose)। মহান এই বিপ্লবীর কর্মকাণ্ড এককথায় রোমাঞ্চকর। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবীর সব্যসাচী চরিত্র যেন রাসবিহারী বসু নিজেই। লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোম নিক্ষেপ হোক অথবা দেশে সোনা অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা। সবেতেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এরপর ব্রিটিশ পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে জাপানে চলে যান ১৯১৫ সালের ১২ মে। এক্ষেত্রে তিনি নিজের পরিচয় দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মীয় হিসেবে। নাম নেন পি এন টেগোর। জানা যায়, খিদিরপুর ডক থেকে ‘সানুকি মারু’ নামক জাহাজে চড়ে তিনি জাপানের উদ্দেশে রওনা হন।

    রাসবিহারী বসু এনিয়ে কী লিখেছিলেন?

    গবেষকদের মতে, ১৯১৪ সালেই তাঁর বিদেশ যাওয়ার সমস্ত রকমের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল (Indian Freedom Fighter)। তখন ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করতে উঠেপড়ে লেগেছিল বলে জানা যায়। একাধিক বড় বড় রেলস্টেশনে তাঁর ছবি টাঙানো হয়েছিল। রাসবিহারীকে (Rash Behari Bose) ধরিয়ে দিলে মোটা টাকার পুরস্কার ঘোষণা হয়েছিল। তখন পুরস্কারের অঙ্কটা নেহাত কম ছিল না। এই সময়ই ঠিক হয় তিনি নবদ্বীপে থাকবেন। নিরাপদে আত্মগোপন করবেন। এনিয়ে রাসবিহারী (Rash Behari Bose) লিখেছেন, “নবদ্বীপ একটি তীর্থস্থান। অথচ সাধারণতঃ সেখানে তত বেশী লোক যাওয়া আসা করে না। কিছু দিন সেখানে থাকাই ঠিক হইল। তাছাড়া সেই সময় আমাদেরই একজন লোক সেখানে ছিল, তাহার মতে নবদ্বীপ খুব নিরাপদ স্থান। এই সমস্ত ঠিক করিয়া…‌‌ তখন একজন ভট্টাচার্য্য ব্রাহ্মণের মতন ছিলাম। পৈতে তো ছিলই, তার উপর একটি টিকিও ছিল… পশুপতি যেমন নির্ভীক তেমনি বুদ্ধিমান। তাহাকে সঙ্গে করিয়া বরাবর ট্রেনে নবদ্বীপ গিয়া হাজির। ঠাকুর (ত্রৈলোক্য মহারাজ) সেখানে ছিল। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করিয়া একটি বাড়ি ভাড়া করিবার জন্য খুঁজিতে বাহির হইলাম। নবদ্বীপের একপ্রান্তে এক বৈরাগীর এক বাড়ী ছিল। ২টি ঘর। সেটি ভাড়া করিলাম। সেখানে প্রায় একমাসের ওপর ছিলাম।”

    বাড়িটির বর্তমান অবস্থান

    জানা যায়, ওই বাড়িটি নবদ্বীপের ব্রজানন্দ গোস্বামী রোডে অবস্থিত। এমনটাই দাবি করে শ্রীমদনমোহন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরে ঢুকেই ডান হাতের প্রথম ঘরটিতেই থাকতেন রাসবিহারী (Rash Behari Bose), এমনটাই বলছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিপ্লবী যে টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করতেন, যে টেমির আলোয় লিখতেন, সে সবও তাঁরা সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে। তদানীন্তন মন্দির-প্রধান প্রভুপাদ প্রাণগোপাল গোস্বামীই তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

  • Bangladesh: ইউনূসের জমানায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা, যশোর হিংসায় ঘরছাড়া বহু

    Bangladesh: ইউনূসের জমানায় ফের আক্রান্ত হিন্দুরা, যশোর হিংসায় ঘরছাড়া বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের (Muhammad Yunus) বাংলাদেশে ফের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার অভিযোগ সামনে এল। গত বৃহস্পতিবার ২২ মে বাংলাদেশের যশোর জেলার (Bangladesh) অভয়নগর উপজেলার অবস্থিত গ্রাম দাহার মাসিহাটিতে হিন্দুদের ওপর মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই গ্রামের অসংখ্য হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করারও অভিযোগ উঠেছে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলোতে।

    মাছের ভেড়ি নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত (Bangladesh)

    এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিরোধের সূত্রপাত হয় একটি মাছের ভেরি নিয়ে। এখানেই ৫০ বছরের তারিকুল ইসলাম নামের একজনকে হত্যা করা হয়। তারপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে (Bangladesh)। এরপরেই মৌলবাদীরা দাহার মাসিহাটি গ্রামে কুড়িটিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। প্রথম আলো প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তারা চারটি দোকান ভাঙচুর করে এবং আরও দুটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনার দশজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    গ্রামের পুরুষ সদস্যরা ঘরছাড়া (Bangladesh)

    প্রথম আলো প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তারিকুল ইসলামের সঙ্গে পিন্টু বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ইউনূসের বাংলাদেশে এমন সাম্প্রদায়িক হিংসার (Bangladesh) ঘটনা ফের একবার সামনে এল। সমাজ মাধ্যমে তা ব্যাপক ভাইরালও হয়েছে হিন্দুদের আক্রান্ত হওয়ার ছবি এবং ভিডিও (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িগুলি ভাঙচুরের দৃশ্য স্পষ্ট হয়েছে প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকের প্রতিবেদনে। যিনি নিজে গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়েছিলেন (Bangladesh)। দাহার মাসিহাটি গ্রামে পৌঁছে তিনি দেখতে পান যে হিন্দু বাড়িঘর এবং তাদের জিনিসপত্র একদম ছারখার হয়ে গেছে। ওই সাংবাদিক তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন যে ছয়টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে গ্রামের সমস্ত পুরুষ সদস্য তাঁদের নিরাপত্তার কারণে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। কিছু হিন্দু মহিলা রয়ে গেছেন গ্রামে। আহতদের বেশিরভাগই মতুয়া সম্প্রদায় বলে জানা গিয়েছে।

  • Daily Horoscope 25 May 2025: গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 25 May 2025: গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    বৃষ

    ১) আগুপিছু না ভেবে উপার্জনের রাস্তায় পা দেবেন না।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সমাজের কাজে সাফল্য।

    তুলা

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) চোখ কান খোলা রেখে বিশ্বাস করুন।

    ধনু

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন চঞ্চল থাকবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 361: শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়, তারপর সাধন ভজন

    Ramakrishna 361: শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়, তারপর সাধন ভজন

    ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে নরেন্দ্রদাদি অনেক ভক্ত বসিয়াছেন। গিরিশও আসিয়া বসিলেন।
    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- আমি নরেন্দ্রকে আত্মার স্বরূপ জ্ঞান করি। আর আমি ওর অনুগত।

    গিরিশ- আপনি কারও অনুগত নন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাস্য)- ওর মদ্দে ভাব (পুরুষ ভাব) আর আমার মেদি ভাব (প্রকৃতি ভাব)। নরেন্দ্র উঁচু ঘর অখণ্ডের ঘর (Ramakrishna)।

    গিরিশ বাহিরে তামাক খাইতে লাগিলেন।

    নরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- গিরিশ ঘোষের সঙ্গে আলাপ হল। খুব বড়লোক। মাস্টারের প্রতি আপনারই কথা হচ্ছিল।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- কী কথা?

    নরেন্দ্র- আপনি লেখাপড়া জানেন না, আমরা সব পণ্ডিত। এইসব কথা হচ্ছিল (হাস্য)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্র (পাণ্ডিত্য ও শাস্ত্র)

    মণি মল্লিক (ঠাকুরের প্রতি)- আপনি না পড়ে পণ্ডিত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রদাদির প্রতি)- সত্য বলছি আমি বেদান্ত আদি শাস্ত্র পড়ি নাই বলে একটু দুঃখ হয় না। আমি জানি বেদান্তে সার। ব্রহ্ম সত্য় জগত মিথ্যা। আবার গীতার সার কী। গীতা ১০ বার বললে যা হয় ত্যাগী ত্যাগী।

    শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়। তারপর সাধন ভজন। একজন চিঠি লিখেছিল চিঠিখানি পড়া হয়নি। হারিয়ে গেল। তখন সকলে মিলে খুঁজতে লাগল। যখন চিঠিখানা পাওয়া গেল পড়ে দেখলে পাঁচ সের সন্দেশ পাঠাবে আর একখানা কাপড় পাঠাবে। তখন চিঠিটা ফেলে দিলে। আর সন্দেশ আর একখানা কাপড় জোগাড় করতে লাগল। তেমনি শাস্ত্রের সার জেনে নিলে আর বই পড়বার কী দরকার। এখন সাধন ভজন।

    এইবার গিরিশ ঘরে আসিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) হ্যাঁগা, আমার কথা সব তোমরা কি করছিলে? আমি খাই দাই থাকি। গিরিশ আপনার কথা আর কি বলব। আপনি কি সাধু?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সাধু সাধু নয়, আমার সত্যিই তো সাধু বোধ নাই।

    গিরিশ- ফচকিমিতেও আপনাকে পারলুম না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- আমি লাল পেড়ে কাপড় পড়ে জয় গোপাল সেনের বাগানে গিয়েছিলাম। কেশব সেন সেখানে ছিল। কেশব লাল পেড়ে কাপড় দেখে বলল আজ বড় যে রং লাল পাড়ের বাহার। আমি বললুম কেশবের মন ভোলাতে হবে (Kathamrita) তাই বাহার দিয়ে এসেছি।

  • Puri Temple: এখানেই ড্রোন উড়িয়েছিল ‘পাক-চর’ জ্যোতি! পুরীর জগন্নাথধামে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানোর ভাবনা

    Puri Temple: এখানেই ড্রোন উড়িয়েছিল ‘পাক-চর’ জ্যোতি! পুরীর জগন্নাথধামে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানোর ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরেই এদেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তান। তবে ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পাকিস্তানের সব ড্রোন অকেজো করে দেয়। এইবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Temple) সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওড়িশা সরকার নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি স্থাপনের কথা ভাবছে। এনিয়ে বিষয়ে ওড়িশা সরকারের (Odisha Government) কর্তাব্যক্তিরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও আলোচনা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যাতে পুরী শ্রীমন্দিরকে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত করা যায়।

    কী বললেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী?

    একথা সাংবাদিক সম্মলেন করে জানিয়েছেন ওড়িশা সরকারের (Odisha Government) আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হরিচন্দন বলেন, ‘‘মন্দিরে (Puri Temple) অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি স্থাপনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে, এই সিস্টেমটি বসানোর পরে হামলার জন্য ব্যবহৃত ড্রোনগুলিকে সনাক্ত, ট্র্যাক এবং নিষ্ক্রিয় করার কাজ সহজ হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রয়োজন হলে শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের (SJTA) তহবিল থেকে অর্থ সরবরাহ করা হবে।’’

    দ্বাদশ শতকের এই মন্দিরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতেই এই পদক্ষেপ

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যেই ওড়িশা সরকার সম্প্রতি জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Temple) নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই বাড়িয়েছে, যাতে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। এবার সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ওড়িশার বিজেপি সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বসানোর পরিকল্পনা করছে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ শতকের এই ঐতিহাসিক মন্দিরের (Puri Temple) নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, ওড়িশা সরকার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত রথযাত্রা উৎসবের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে বলেও ঘোষণা করেন হরিচন্দন। রথ তৈরি সহ উৎসব আয়োজনের বিভিন্ন খরচ করতে তাঁর দফতর সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন হরিচন্দন। যাতে এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।

    পুরীর মন্দিরের ওপর উড়িয়েছিল ড্রোন, পাক গুপ্তচর জ্যোতিকে জেরার প্রস্তুতি ওড়িশা পুলিশের

    সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয় জ্যোতি মালহোত্রাকে। তাকে ওড়িশা পুলিশও জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও সূত্রের খবর। কারণ গত বছর ২০২৪ সালে পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিল জ্যোতি। সেসময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে,  জগন্নাথ মন্দিরের ওপর ড্রোন ওড়ানোর, যা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। তবে কি ড্রোনের মাধ্যমে করা ভিডিওগ্রাফি জ্যোতি পৌঁছে দিত পাকিস্তানে? নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে কী ভাবে এবং কেন জ্যোতি ওই সংবেদনশীল জায়গায় ড্রোন ওড়াল, এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তাকে জেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওড়িশা পুলিশ।

  • Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Gujarat Man Arrested) অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। পড়শি দেশে পাকিস্তানের চরের জাল যে সর্বত্র বিছানো, তার প্রমাণ মিলল ফের। শনিবার গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Pakistan) স্থানীয় যুবক সহদেব সিং গিলকে। এটিএসের (সন্ত্রাস দমন) হাতে ধৃত সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।

    মহিলাকে তথ্য পাচার করত ওই স্বাস্থ্যকর্মী! (Gujarat Man Arrested)

    আরও অভিযোগ, এক তরুণী চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাচার করত সে। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ জানান, পাক চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মে সহদেবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাস নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে সে জানতে পেরেছিল ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি গুপ্তচর। তার পরেও তার সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল

    জেরায় সহদেব দাবি করেছে, বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিও তুলে তাকে পাঠাতে বলেছিল অদিতি, বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে অদিতিকে ওই সব ছবি, ভিডিও পাঠাত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ডের নথি দিয়ে মোবাইলের একটি সিমকার্ড কিনেছিল সহদেব। পরে হোয়াটসঅ্যাপও চালু করেছিল (Gujarat Man Arrested)। সেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই সে অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। পাঠাত ছবি, ভিডিও-ও। অপরিচিত একজনের কাছ থেকে এজন্য সে ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল। সহদেবকে কে টাকা দিয়েছিল, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সহদেবের মোবাইল।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে (Pakistan)। এদের বেশিরভাগই হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল গুজরাটের নামও (Gujarat Man Arrested)।

  • Niti Aayog Meet: “কেন্দ্র-রাজ্য টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Niti Aayog Meet: “কেন্দ্র-রাজ্য টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। কেন্দ্র ও সব রাজ্য এক সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়।” নীতি আয়োগের (Niti Aayog Meet) দশম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয়রই লক্ষ্য উন্নত ভারত। প্রত্যেক রাজ্য উন্নত হলে ভারত উন্নত হবে। এটাই ১৪০ কোটি ভারতবাসীর আশা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকারদের উচিত, তাদের রাজ্যের অন্তত একটা পর্যটনস্থল যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা-সহ আন্তর্জাতিক মানের করা।” তিনি বলেন, “এক রাজ্য : এক বিশ্বব্যাপী গন্তব্য।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি প্রতিবেশী শহরগুলিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও আরও ত্বরান্বিত করবে।”

    উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর জোর (Niti Aayog Meet)

    শনিবারের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে নীতি আয়োগের তরফে করা পোস্টে বলা হয়েছে, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। যদি কেন্দ্র এবং সমস্ত রাজ্য একজোট হয় এবং টিম ইন্ডিয়ার মতো এক সঙ্গে কাজ করে, তাহলে কোনও লক্ষ্য পূরণই অসম্ভব নয়।” এবার নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকের থিম ছিল ‘বিকশিত রাজ্য, বিকশিত ভারত @২০৪৭’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিকশিত ভারত প্রতিটি ভারতীয়ের লক্ষ্য। যখন প্রতিটি রাজ্য বিকশিত হবে, তখন ভারতও বিকশিত হবে। এটাই ১৪০ কোটি নাগরিকের আকাঙ্খা।”

    অনুপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    নীতি আয়োগের এই শীর্ষ বৈঠকে (Niti Aayog Meet) উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সূত্রের খবর, এর আগেরবার তাঁর বক্তব্যের মাঝপথে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগ তুলে সেবার নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে এসেছিলেন মমতা। সেই কারণেই এবার তিনি যাননি। যদিও তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের মোদি (PM Modi) সরকার একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। তাই এই বৈঠকে যোগ দেওয়া আর না দেওয়া একই ব্যাপার (Niti Aayog Meet)।

LinkedIn
Share