Blog

  • ED at Sudipta Roy House: দুর্নীতি তদন্তে তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি, নার্সিংহোমে অভিযান ইডির

    ED at Sudipta Roy House: দুর্নীতি তদন্তে তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি, নার্সিংহোমে অভিযান ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Incident) আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে আরও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের ৬ জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়ের (ED at Sudipta Roy House) উত্তর কলকাতার ঠিকানায় অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তল্লাশি চলছে সুদীপ্তের নার্সিংহোম ও বাংলোতেও। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। এর আগে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এই মামলাতেই সুদীপ্ত রায়ের দুয়ারে পৌঁছেছিল অপর কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। দীর্ঘ তল্লাশি চলে। এবার অ্যাকশনে ইডি।

    সকাল সকাল সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে ইডি-অভিযান (ED at Sudipta Roy House)

    সুদীপ্ত রায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি আরজি করের (RG Kar Incident) রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। তিনি রাজ্যের হেল্‌থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতিও বটে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সিঁথির মোড়ের কাছে বিটি রোডের ধারে সুদীপ্তর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল। আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই তালিকায় ছিলেন তৃণমূলের এই চিকিৎসক নেতাও। এদিন সকাল ৬টা ৪৫ নাগাদ ইডির একটি টিম সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির মোড়ের বাড়ি ও নার্সিংহোমে এসে পৌঁছয়। ভিতরে রয়েছেন সুদীপ্ত রায়ও। হুগলির দাদপুরের দাঁড়পুর গ্রামে সুদীপ্ত রায়ের বাংলোতেও চলছে ইডি অভিযান (ED at Sudipta Roy House)।

    আরও পড়ুন: চাপের কাছে নতিস্বীকার সরকারের, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনই উঠছে না

    সাতসকালে সন্দীপ জৈনের বাড়িতে ইডি, কে তিনি?

    অন্যদিকে, এদিন সকালে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে সন্দীপ জৈনের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি। আরজি করে (RG Kar Incident) মেডিক্যালের ইক্যুয়েপমেন্ট সাপ্লাই করতেন সন্দীপ জৈন। সেখান থেকে কমিশন পেতেন সন্দীপ ঘোষ বলেও অভিযোগ। সেই তদন্তেই বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে সন্দীপ জৈনের বাড়ি ও অফিসে ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে। সন্দীপ জৈনের কোম্পানির নাম শ্রী ইয়স ট্রেডিং কোম্পানি। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি রয়েছে। শীর্ষ আদালতে সেই শুনানির কয়েক ঘণ্টা আগেই আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে অভিযানে নামল ইডি (ED at Sudipta Roy House)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Incident: চাপের কাছে নতিস্বীকার সরকারের, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনই উঠছে না

    RG Kar Incident: চাপের কাছে নতিস্বীকার সরকারের, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনই উঠছে না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ৩৮ দিন আন্দোলনের পর জুনিয়র ডাক্তারদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হল সরকার। আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত পড়ুয়া চিকিৎসকদের চাপে কার্যত মাথা নত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকে ভয় দেখিয়ে দমাতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হলেন। সোমবার গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, ডিসি নর্থকে বদলি করা হবে। সরানো হবে শিক্ষা অধিকর্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে সরকারি নির্দেশ আসবে। সরকার বৈঠক সদর্থক বললেও, জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের তিন দাবি পূরণের কথা মুখ্যমন্ত্রী মৌখিক ভাবে বললেও ভরসা পাচ্ছেন না তাঁরা। দাবি যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন থেকে সরছেন না তাঁরা। 

    জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য

    তবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখের কথায় চিঁড়ে যে ভেজার নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের কথায়, “যতক্ষণ না অবধি এর বাস্তবায়ন ঘটছে, ততক্ষণ অবধি আমরা আমাদের আন্দোলন, অবস্থান, কর্মবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। আগে বাস্তবায়ন হবে, সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার শুনানি হবে, তারপর আমরা প্রত্যেকটা কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা সকলে বসে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে নয়।” জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, আন্দোলনের ৩৮তম দিনে এসে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করলেন। তাঁর কথায়, “সুপ্রিম কোর্টে যেমন মামলা চলছে, তেমনই রাজ্য সরকারের কাছেও আমাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। বারবার আমরা তাই আলোচনায় বসতে চেয়েছি। আমাদের সদিচ্ছার কোনও অভাব ছিল না। ৯ তারিখের ঘটনা ও পরবর্তী ঘটনাক্রমে বাধ্য হয়েছেন উনি বলতে যে, সিপিকে সরানো হবে। ডিসি নর্থকেও সরানোর কথা বলেন।”

    অর্ডার না বেরোনো অবধি আন্দোলন চলবে

    মুখ্যমন্ত্রী মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দের কথা বললেও জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, গণতান্ত্রিক পরিবেশ যদি না থাকে যত টাকাই দেওয়া হোক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ বলেন, “প্রথম থেকে যে স্বচ্ছতার কথা আমরা বলেছি, সেটাই আমাদের শক্তি। আজ সরকার বাধ্য হয়েছে আমাদের দাবি মেনে নিতে। তবে এখনও বহু দাবি মানা বাকি। এখনও কোনও অর্ডার বেরোয়নি। তাই অর্ডার না বেরোনো অবধি আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা কোনও আপস করতে আসিনি। আমরা বিচার চাই। সেই বিচারের দাবিতে আমাদের লড়াই চলছে চলবে।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে এবার ‘আকাশ দখল’, বিশ্বকর্মা পুজোয় কালো ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ

    দাবি এখনও অধরা

    সোমবার হল বৈঠক। পাঁচ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন। কিন্তু, সেই বৈঠকেও জুনিয়র ডাক্তারদের সব দাবি মানা হল না। আরজি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি, থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হন জুনিয়র ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য সচিবকে সরানোর দাবি জানান। বৈঠকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে বদল করা হবে। তবে স্বাস্থ্য সচিবকে সরানো হচ্ছে না। স্বাস্থ্য সচিবকে না সরানোয় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা যে খুশি নন, তা তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। 

    অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের পর কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। আরজি করে ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তার অভীক দে। তাঁকে ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট বলেছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও ডিসি নর্থকে সরানো হলেও ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। 

    এর পরই, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানালেন, তাঁদের স্বাস্থ্য ভবন সাফাই অভিযান সম্পূর্ণ হয়নি। সব দাবি মানা হয়নি। ফলে, তাঁদের আন্দোলনও থামছে না। তাঁদের কর্মবিরতিতেও ছেদ পড়ছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vishwakarma Puja 2024: আজ বিশ্বকর্মা পুজো, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    Vishwakarma Puja 2024: আজ বিশ্বকর্মা পুজো, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্বকর্মা পুজো। প্রতিবছর ভাদ্রপদ মাসের সংক্রান্তির দিন উদযাপিত হয় এই পুজো। মধ্যবিত্ত বাঙালির বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja 2024) মানে সকালে উঠেই সাইকেল বা মোটরবাইক ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা। এরপর ফুল-চন্দন দিয়ে তা পুজো করা। যা কিছু যন্ত্র, তাই যেন আমাদের কাছে বিশ্বকর্মা। বড় বড় শিল্পকারখানা তো বটেই, পাশাপাশি ছোটখাট কল-কারখানাগুলোতে বা দোকানগুলোতেও হয় পুজো। সকালে বিশ্বকর্মার আরাধনা, দুপুরে পেট ভরে মাংস-ভাত। শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশেই সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। শ্রমজীবী মানুষের আপন দেবতা বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। বক্স বাজিয়ে, প্রতিমা সাজিয়ে, আলোর মালায় চলে দেবকূলের ইঞ্জিনিয়ারের আরাধনা।

    দেবশিল্পীর পৌরাণিক কাহিনী (Vishwakarma Puja 2024)

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, সত্যযুগে স্বর্গ গড়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। ভক্তদের বিশ্বাস, মর্ত্যলোকেও তাঁর অবদান কম নয়, পুরীর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার নির্মাণ করেন তিনি। আবার ত্রেতা যুগে ভগবান কৃষ্ণের সাম্রাজ্য দ্বারকা তাঁর হাতেই গড়া। হস্তিনাপুরও তাঁর হাতেই গড়া বলে পৌরাণিক মত রয়েছে। মহাদেবের ত্রিশূল হোক বা শ্রীহরির সুদর্শন চক্র, সবটাই তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja 2024)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, হনুমানের গদা, যমরাজের কালদণ্ড, কর্ণের কুণ্ডল এবং কুবেরের পুষ্পক বিমানও তৈরি করেছিলেন তিনি। দধীচির হাড় থেকে ইন্দ্রের জন্য বজ্র, রাবণের লঙ্কাপুরী ইনিই নির্মাণ করেছিলেন। রামসেতু তৈরির সময় ইনি নলবানরকে সৃষ্টি করেন বলে পৌরাণিক মত রয়েছে।

    বিশ্বকর্মা অনেক জন ছিলেন! 

    বিশ্বকর্মার জন্ম নিয়ে নানা মত রয়েছে পুরাণে। শাস্ত্রবিদরা মনে করেন, এখন বিশ্বকর্মাকে (Vishwakarma Puja 2024) একজন দেবতা হিসাবে ভাবা হলেও, আসলে বিশ্বকর্মা অনেক জন ছিলেন। নানা দেবতা নানা সময়ে বিশ্বকর্মার দায়িত্ব পালন করেছেন। মোট কথায় এটি কোনও দেবতার নাম নয়, এটি আসলে দেবতার মধ্যেকার একটি উপাধি বা পদ। কারুকার্যে পারদর্শী দেবতা হতেন বিশ্বকর্মা । বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুসারে, আদি নারায়ণ প্রথমে সৃষ্টি করেন ব্রহ্মার এবং তারপরেই বিশ্বকর্মার সৃষ্টি করেন। বরাহ পুরাণও বলছে, ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টি করেছিলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, বিরাট বিশ্বকর্মা প্রথম, ধর্মবংশী বিশ্বকর্মা হলেন দ্বিতীয়, অঙ্গিরাবংশী বিশ্বকর্মা হলেন তৃতীয়, সুধন্ব বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) হলেন চতুর্থ। অসুরগুরু শুক্রাচার্যের নাতি ছিলেন ভৃগুবংশী বিশ্বকর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবনপুত্র ও রামভক্ত বজরঙ্গবলির আরাধনা করার বিশেষ দিন হল মঙ্গলবার। প্রতিদিনকার জীবন সংগ্রামে আমরা সবাই যোদ্ধা। মাঝে মাঝে জীবনে এমন সঙ্কট আসে, যেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন বলে মনে হয় আমাদের। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট দূর করতে সাহায্য করেন রামভক্ত হনুমানজি। তাই মঙ্গলবারে হনুমানজির (Hanuman) আরাধনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে। হনুমানজিকে জাগ্রত দেবতা মনে করা হয়। বজরঙ্গবলিকে খুব অল্পতেই প্রসন্নও করা যায়। বজরঙ্গবলির সাধনা জীবনের সঙ্কট দূর করে, আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। ভক্তদের বিশ্বাস, বজরঙ্গবলির সাধনা করলে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যা লাভ করা যায়। যে বাড়িতে বজরঙ্গবলির ছবি থাকে এবং নিয়মিত তাঁর পুজো করা হয়, সেখানে শনিদোষ, পিতৃদোষ ও ভূত-পিশাচের ভয় ও দোষ থাকে না। বাড়িতে সর্বদাই শান্তি বিরাজ করে। বজরঙ্গবলির অনেক ধরনের ছবিই আমরা দেখি। বাড়িতে কোথায় এবং ক,ভাবে কোন ধরনের বজরঙ্গবলির (Hanuman) ছবি লাগানো উচিত, তারও কিছু নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে সবদিক থেকে সুফল মেলে। 

    নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি যে বাড়িতে থাকে, সেখানে উন্নতির পথে সমস্ত বাধা দূর হয় এবং ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়, বাস্তুদোষ কেটে যায়। এর ফলে পরিবার শত্রু বাধা, অসুস্থতা ও বিবাদ থেকে মুক্তি পায়। জ্যোতিষীরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি লাগানো উচিত। মনে করা হয়, হনুমানজি এই পৃথিবীতেই থাকেন। তাই তাঁকে ডাকলে সহজেই আবির্ভূত হন তিনি। ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন তিনি। এই কারণেই তাঁকে সঙ্কটমোচনও বলা হয়। হনুমানের আরাধনা করলে সব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় জীবনে। পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি সব দিক থেকে আসা নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে ভক্তের সঙ্কটমোচন করেন বলেই বিশ্বাস। ভক্তদের বিশ্বাস, ঘরে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে পরিবারের সকলের সমস্যা দূর হয়। বজরঙ্গবলিকে স্মরণ করলেই সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শাস্ত্র বিশারদদের মতে, গৃহস্থের কল্যাণের জন্য ঘরে রাখা দরকার হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি। 

    হনুমানজির পঞ্চমুখী (Panchmukhi Hanuman) ছবির গুরুত্ব

    বাড়িতে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে ঘরের সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। এর পাশাপাশি বাড়ির চতুর্দিকে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চমুখী হনুমানের পাঁচটি মুখের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। পঞ্চমুখী হনুমানজির প্রতিকৃতিতে সকল মুখ ভিন্ন ভিন্ন দিকে রয়েছে। পূর্ব দিকে ভগবান হনুমানের বানরের মুখ রয়েছে যা শত্রুদের উপর বিজয় প্রদান করে। পশ্চিম দিকে ঈশ্বরের গরুড় মুখ, যা জীবনের বাধা এবং ঝামেলা দূর করে। উত্তর দিকে রয়েছে ভগবান হনুমানের বরাহা মুখ, যা খ্যাতি এবং শক্তির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। হনুমানজির সিংহ মুখ দক্ষিণ দিকে, যা জীবন থেকে ভয় একেবারে চিরতরে দূর করে। আকাশের দিকে ভগবানের একটি ঘোড়া মুখ রয়েছে যা ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করে বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

    পঞ্চমুখী হনুমানের (Panchmukhi Hanuman) ছবি বসানোর সঠিক দিক

    বাস্তুবিদরা বলছেন, পঞ্চমুখী হনুমানজির (Panchmukhi Hanuman) ছবি বাড়িতে বসানোর সময় সঠিক দিকটি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে, শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখা সবচেয়ে শুভ। এই স্থানে ছবি রাখলে যে কোনও  ধরনের অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ বাস্তু অনুসারে, বেশিরভাগ নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। এই দিকে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এর পাশাপাশি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখলে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ভগবান হনুমান কেন পঞ্চমুখী অবতার নিলেন? জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, যখন ভগবান রাম ও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন রাবণ নিজের পরাজয় সামনে দেখে, ভাই অহিরাবণের কাছে সাহায্য চান। রাবণের ভ্রাতা অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর একজন একনিষ্ঠ ভক্ত ও তন্ত্রবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। অহিরাবণ মায়া করে রামের বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং রাম-লক্ষ্মণকে অপহরণ করে পাতালে নিয়ে চলে যান। অহিরাবণ ছিলেন দেবী ভবানীর পরম ভক্ত, তাই তিনি মা ভবানীর নামে পাঁচটি দিকে পাঁচটি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। অহিরাবণকে বধ করা খুব সহজ ছিল না। তাঁকে তখনই বধ করা সম্ভব হত, যদি কেউ এই পাঁচ প্রদীপ এক সঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারতেন। রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধারের জন্য তাই অহিরাবণকে পরাজিত করতে হনুমানজি পঞ্চমুখীরূপ (Panchmukhi Hanuman) ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হনুমানজি পাঁচটি মুখের সাহায্যে  একসঙ্গে পাঁচ দিকের প্রদীপ নিভিয়ে দেন এবং অহিরাবণকে হত্যা করে রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধার করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নয়, গাফিলতিতে মৃত্যু, সরকারি ক্ষতিপূরণ ফেরাল পরিবার

    Balurghat: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নয়, গাফিলতিতে মৃত্যু, সরকারি ক্ষতিপূরণ ফেরাল পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে রাজ্যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সরকারের প্রকাশিত তালিকাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। আর সেই তালিকায় থাকা প্রথম নামের পরিবারই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল সরকারকে। শিবম শর্মা নামে বালুরঘাটের (Balurghat) বাসিন্দা ওই শিশুর পরিবার জানিয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির ছেলের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। এক চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই তাঁদের বাড়ির ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এমনই দাবি করল বালুরঘাটে পথদুর্ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবার। এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সরকারের দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নিতেও অস্বীকার করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    গত ৯ অগস্ট আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা (Junior Doctor)। আর তার তিন দিন পরে ১২ অগাস্ট পথদুর্ঘটনায় জখম হয়ে পরে বালুরঘাট (Balurghat) হাসপাতালে মারা যায় তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শিবম শর্মা। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করানোর কয়েক ঘণ্টা পরেও সেখানে কোনও চিকিৎসক আসেননি। কার্যত বিনা চিকিৎসায় ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে শিবমের আত্মীয়স্বজন অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতালের সুপার এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কমিটিও তৈরি করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি বলে দাবি পরিবারের। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন: আরজি করকাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রী, আরও ৪ পুলিশ অফিসারকে তলব

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    মৃতের পরিবারের লোকজনের (Balurghat) বক্তব্য, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে বলে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। তাই তাঁরা টাকা চান না, বিচার চান। চিকিৎসকের শাস্তিও দাবি করেন তাঁরা। মৃত শিশুর পিসতুতো দাদা পবিত্র সূত্রধর বলেন, “ঘটনার দিন আমার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কয়েক ঘণ্টা পরে চিকিৎসক আসেন। চিকিৎসায় দেরির কারণেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।” নিহত শিশুর দিদি রিঙ্কি শর্মা বলেন, “বালুরঘাটে কোনও মেডিক্যাল কলেজই নেই, জুনিয়র ডাক্তার থাকবে কী করে? জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা দোষী চিকিৎসকের শাস্তি চাই। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না।”

    সরব সুকান্ত

    বালুরঘাটের (Balurghat) শিশুর নাম ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় দেখে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন, আমার জেলায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই, তাহলে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য সেখানে কারও মৃত্যু হতে পারে কী করে? সুকান্তর সাংবাদিক বৈঠকের পরেই মুখ খোলে শিবম শর্মার পরিবার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Junior Doctor: আরজি কর-কাণ্ডে ওসি’র গ্রেফতারিতে স্পষ্ট পুলিশের ভূমিকা, দিল্লিতেও আওয়াজ তুললেন ডাক্তাররা

    Junior Doctor: আরজি কর-কাণ্ডে ওসি’র গ্রেফতারিতে স্পষ্ট পুলিশের ভূমিকা, দিল্লিতেও আওয়াজ তুললেন ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) পাশে দাঁড়ালেন দিল্লির জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার দিল্লির প্রেস ক্লাবে দিল্লির জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন’ (আরডিএ) পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করল। বিপ্রেশ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য চিকিৎসকরা এদিন তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, প্রাথমিক অবস্থা থেকেই শুরু হয়েছিল তথ্যপ্রমাণ লোপাটের কাজ। তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এদিন পাঁচ দফা দাবি আবারও পেশ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    পাঁচ দফা দাবি (Junior Doctor)

    দিল্লির সাংবাদিক সম্মেলনে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor) বলেন, আরজি করের (RG Kar) ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, ওসির গ্রেফতারির ঘটনাতেই তা স্পষ্ট। কেন আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারকে জানানো হল? কেন ক্রাইম সিন প্রোটেক্ট করা হল না? কেন চালান ছাড়াই পিএম হল? দেহ দাহ করার এত তাড়া কেন ছিল? কেন পুরো সিসিটিভি ফুটেজ হস্তান্তর করা হল না? এরপরই তাঁরা পাঁচ দফা দাবি জানান। তাঁরা বলেন, নির্যাতিতার বিচার চাই। তাঁদের দাবি, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তার অপসারণ। কারণ এঁরাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। আরও দাবি, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে সরানো হোক। ডিসি নর্থ এবং ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে বলে তাঁরা দাবি তুলেছেন। এছাড়া হাসপাতালে মহিলা এবং পুরুষ চিকিৎসকদের আলাদা টয়লেট, প্রতি ডিউটি রুমে প্যানিক বাটন, যথাযথ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ, সিসিটিভি নতুন করে মোতায়েন, রেফারেল পদ্ধতিকে স্ট্রিমলাইন করা, বেডের লাইভ আপডেট করা এসবও রয়েছে। তাঁদের আরও পরামর্শ, সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করতে হবে রোগীর পরিজনদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য। সর্বোপরি থ্রেট কালচার বন্ধ করার দাবি তো আছেই।

    আরও পড়ুন: আরজি করকাণ্ডে টালা থানার প্রাক্তন ওসির স্ত্রী, আরও ৪ পুলিশ অফিসারকে তলব

    আন্দোলনকারীদের পাশে সিনিয়র ডাক্তাররা

    প্রসঙ্গত, সোমবার দিল্লিতে সিনিয়র ডাক্তারদের ৪টি সংগঠন সাংবাদিক সম্মেলনে ৭ দফা দাবি জানায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করা। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল ভেঙে দেওয়া। সুবর্ণ গোস্বামী, কৌশিক চাকি, অদীশ বসু, সিদ্ধার্থ দাগা, রাজীব পান্ডে, তুহিন দত্তের মতো চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এইসব দাবি। সোমবার তাঁরা বলেন, “আগামীকাল শুনানি। আমরা তাকিয়ে রয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে, অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vishwakarma Puja: পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে ঘুড়ির মেলা 

    Vishwakarma Puja: পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে ঘুড়ির মেলা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা! বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) মানেই আকাশে ঘুড়ির ঝাঁক (Kite Flying)। প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট তারিখে পালিত হয়। ১৭ই সেপ্টেম্বর সারা দেশে ধুমধাম করে রাজা কারিগর বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়। আর বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাংলার আকাশে নানারকম ঘুড়ির মেলা। সকাল থেকেই কত রকমের ঘুড়ির শোভা চোখে পড়ে। বেলা বাড়লে পাড়ায় পাড়ায়, এ ছাদ থেকে ও ছাদে চলে ঘুড়ির লড়াই। ভো-কাট্টা…সুরে ফেটে পড়ে আকাশ।

    কবে থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর চল

    বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) দিন বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানো (Kite Flying) শুরু হয়েছে ১৮৫০ সাল থেকে। কলকাতা ও গ্রাম বাংলার কতিপয় বিরাট ধনী জমিদাররা ঘুড়িতে টাকা বেঁধে ওড়ানো শুরু করেন। তাঁদের বিশ্বকর্মা পুজোর উৎসব ও পারিবারিক শুভ কামনার উদ্দেশ্যে। যদিও অন্যান্য রাজ্যে ঘুড়ি ওড়ানোর পৃথক দিন আছে। গুজরাটের উত্তরায়ণ উৎসব, তামিলনাড়ুতে পঙ্গাল আর ভারতের অনেক রাজ্যেই মকর বা পৌষ সংক্রান্তির দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা পর্যন্ত হয়। 

    বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানোর পৌরাণিক ব্যাখ্যা

    বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) এবং ঘুড়ি ওড়ানোর পিছনে পৌরাণিক ব্যাখ্যা রয়েছে। পুরাণ মতে বিশ্বকর্মা দেবলোকের কারিগর। সোজা কথায় যাকে বলা যায় দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার অথবা প্রকৌশলী। ব্রহ্মার আদেশে বিশ্বকর্মাদেব এই ধরাধামকে নিজে হাতে তৈরি করেন। ঋক বেদ অনুসারে বিশ্বকর্মা স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিদ্যার জনক। কৃষ্ণের বাসস্থান, গোটা দ্বারকা নগরী নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা দেবতা। যে জন্য শ্রমিক থেকে ইঞ্জিনিয়র সমাজের কাছে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটার গুরুত্ব চিরকাল অপরিসীম। সব দেবতাদের জন্য উড়ন্ত রথ বানিয়ে ছিলেন বিশ্বকর্মা। সেটা স্মরণ করতেই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কলকাতা তথা গোটা রাজ্যের আকাশে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। 

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে এবার ‘আকাশ দখল’, বিশ্বকর্মা পুজোয় কালো ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ

    বিশ্বকর্মার আরাধনা

    হিন্দু পুরাণ, বেদ, রামায়ণ ও মহাভারতে বিশ্বকর্মার মাহাত্ম্যও বর্ণনা রয়েছে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বকর্মাকে (Vishwakarma Puja) সমস্ত নির্মাণ শিল্পের দেবতা হিসেবে বলা হয়। হিন্দু ধর্ম মতে, বৃহস্পতির ভগিনী যোগ সিদ্ধা হলেন বিশ্বকর্মার মাতা ও অষ্টম বসু প্রভাস হলেন তাঁর পিতা। কথিত আছে, বিশ্বকর্মা হলেন স্বর্গলোকের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থপতি ও ভাস্কর। কারিগরি ও নির্মাণ শিল্পের পুরোধা বলা যেতে পারে। ব্রহ্মার নাভিমূল থেকে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বকর্মা। দেবকূলের এই গুরুত্বপূর্ণ দেবতার চারটি হাত, এক হাতে দাঁড়িপাল্লা, অন্যহাতে থাকে হাতুড়ি। ধর্ম মতে, দাড়িপাল্লা হল জ্ঞান ও কর্মের প্রতীক, অন্যদিকে, হাতুড়ি হল শিল্পনির্মাণের প্রতীক। বিশ্বকর্মার বাহন হল হাতি। বৃহদ্দেবতা গ্রন্থ অনুসারে বিশ্বকর্মা হলেন, ‘বর্ষাকালীন সূর্য’। গ্রীষ্মকাল শেষ হয়েছে। মাটি শুষ্ক, রুক্ষ হয়েছে। বর্ষার জল ব্যতিরেকে শস্য উৎপাদন সম্ভব নয়। যিনি বিশ্বের কর্ম বা কৃষিকর্ম সৃষ্টি করেন, সূচনা করেন, তিনিই বিশ্বকর্মা। তাই ভাদ্র সংক্রান্তিতে তাঁর আরাধনা করে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনের পথ তৈরি করে বাঙালি। উৎসবের আগাম আনন্দ উদযাপনে আকাশে ওড়ে ঘুড়ি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন, প্রতি বছর কীভাবে পালিত হয় দিনটি?

    Narendra Modi: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন, প্রতি বছর কীভাবে পালিত হয় দিনটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিন। তাঁর কাছে অবশ্য দিনটি অন্য যে কোনও কাজের দিনের মতোই। এই দিনটি ‘সেবা পর্ব’ রূপে পালন করা হয়ে থাকে। বিজেপি প্রতি বছর তাঁর জন্মদিন (Birthday) থেকে এক পক্ষকালব্যাপী নাগরিক কল্যাণ এবং মানবজাতির সেবা প্রতিশ্রুতি প্রদর্শনের জন্য কাজ করে থাকে। উল্লেখ্য, তিথি অনুযায়ী এবছর তাঁর জন্মদিনে বিশ্বকর্মা পুজোও পড়েছে। মঙ্গলবার থাকতে পারে দেশবাসীর জন্য বিরাট চমক।

    রক্তদান শিবির ও স্বচ্ছতা অভিযানের ডাক বিজেপির (Narendra Modi)

    নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি (Narendra Modi) ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ সালে গুজরাটের মেহসানা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টানা তিনবারের জন্য, ২০০১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওই রাজ্যে। একই ভাবে ২০১৪ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। প্রতি বছরের মতো এই বছরও বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে তাঁর জন্মদিন মঙ্গলবার হওয়ায় ‘সেবা পাখওয়ারা’ বা ‘সেবা পর্ব’ চালু করতে চলেছে। সারা দেশ জুড়ে রক্তদান শিবির ও স্বচ্ছতা অভিযানের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। দলীয় কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা দেশের নানা হাসপাতাল, স্কুল এবং অন্যান্য জায়গায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবেন। উল্লেখ্য, মোদি সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ প্রকল্পটি একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘নেচার’-এ বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজারেরও এরও বেশি শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মোদির প্রকল্প।

    সুরাটে ব্যবসায়ীদের ভর্তুকি ও ছাড় ঘোষণা

    রাজস্থানের জনপ্রিয় আজমের শরিফ দরগায় প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) জন্মদিন (Birthday) উদযাপন করতে ৪০০০ কেজির নিরামিষ ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে গুজরাটের সুরাটে, অনেক ব্যবসায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর অফারগুলিতে ১০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ঘোষণা করেছেন৷ এই ভর্তুকি এবং ছাড়গুলি একাধিক হোটেল, বাজার, পরিবহণ পরিষেবা-সহ বিভিন্ন বিভাগে প্রযোজ্য হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ৭৩ কেজি লাড্ডু কেক কেটেছিলেন ২০২৩ সালে

    গত বছর ২০২৩ সালে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) দেশের কৃষক, শ্রমিক এবং কারিগরদের জন্য একটি লাভজনক স্কিমের ঘোষণা করেছিলেন। বিশ্বকর্মা যোজনায় ঐতিহ্য এবং পরম্পরা বাহিত কারিগরদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বনির্ভর করার প্রকল্প চালু করা করেছিলেন। একই সঙ্গে গত বছর ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার (আইআইসিসি) এবং দিল্লি বিমানবন্দর এক্সপ্রেস লাইনের সম্প্রসারণ করেছিলেন। তাঁর বয়সের প্রতীক হিসেবে একটি প্রচলিত কেকের পরিবর্তে ৭৩ কেজি লাড্ডু কেক কেটেছিলেন মোদি। সেই সঙ্গে আনন্দ উদযাপনের অংশ হিসেবে হনুমান মন্দিরে ‘অখণ্ড রামায়ণ পাঠ’-এরও আয়োজন করা হয়েছিল।

    নামিবিয়া থেকে ছাড়া হয়েছিল চিতা

    উল্লেখ্য ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, মোদিজির (Narendra Modi) জন্মদিনে নামিবিয়া থেকে গোয়ালিয়রে আটটি বড় চিতা আনা হয়েছিল। চিতাগুলিকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (কেএনপি) ছাড়া হয়েছিল। পেশাদার ক্যামেরা দিয়ে তাদের ছবিও তুলেছিলেন তিনি। আবার ওই বছরেই জন্মদিনকে উদযাপনের একটি বিশেষ মুহূর্তকে চিহ্নিত করতে দেশটি একদিনে ২.২৬ কোটি কোভিড টিকা প্রদান করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করতে একটি বিশেষ অভিযান ছিল।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেলের মিথ্যার ফানুস চুপসে দিল রেলমন্ত্রক

    ‘নমামি নর্মদা’ পালন করেছিলেন ২০১৯ সালে

    যেহেতু দেশটি ২০২০ সালে মহামারীর কবলে ছিল, তাই প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) জন্মদিন উদযাপন করা হয়নি। তবে ‘সেবা সপ্তাহ’-এর অংশ হিসেবে ক্যাম্প ও হেল্প ডেস্কের আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার সময় দরিদ্রদের রেশন বিতরণও করা হয়েছিল। আবার ২০১৯ সালে গুজরাটের কেভাদিয়ায় ‘নমামি নর্মদা’ উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন মোদি। এটি ১৩৮.৮৮ মিটারের পূর্ণ জলাধারকে ভরাট প্রকল্পকে চিহ্নিত করার জন্য জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছিল। তিনি একই সঙ্গে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির কাছে বিশাল জনসমাবেশে ভাষণও দিয়েছিলেন। তাই এবারও হয়তো থাকবে কোনও বিরাট চমক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anti Rape Laws: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ধর্ষণ-বিরোধী আইন রাখা যায় কি? কেন্দ্রকে জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Anti Rape Laws: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ধর্ষণ-বিরোধী আইন রাখা যায় কি? কেন্দ্রকে জানাতে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ধর্ষণ-বিরোধী আইন (Anti Rape Laws) এবং মহিলাদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা, কেন্দ্রের কাছে তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এ ব্যাপারে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের (Anti Rape Laws)

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই আইনগুলিকে পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে যেন নির্দেশ দেওয়া হয় স্কুলগুলিকে। সেক্স এডুকেশন, ধর্ষণ-বিরোধী আইন এবং পকসো আইন সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই পিটিশনে। পিটিশনে এও বলা হয়েছে, পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে মহিলাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে, মেয়ে হিসেবে কীভাবে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে হয়, তা বোঝাতে হবে। পাশাপাশি স্কুলস্তর থেকেই ছেলেদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই পিটিশনে। আবেদনকারীর দাবি, কেবল পাঠ্যক্রম নয়, সেমিনার করে, বিজ্ঞাপন দিয়ে আইন সম্পর্কে মহিলা ও পুরুষদের সচেতন করতে হবে।

    কী বলছেন আবেদনকারী

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণ করে (Anti Rape Laws) খুন করা হয় এক মহিলা চিকিৎসককে। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় দেশ। এই পরিস্থিতিতে ধর্ষণ নিয়ে সচেতনতার প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী আবাদ হর্ষদ পন্ডা। তিনি জানান, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যুর ঘটনার পর পরই তিনি আবেদন করেছেন। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্য যখন ধর্ষণের আইন প্রণয়ন করছে, তখন সমাজে এই বিষয়ে সচেতনতাই তৈরি হয়নি।

    আরও পড়ুন: “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী,” তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    এই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার বেঞ্চে। হর্ষদ পন্ডা বলেন, “সারা দেশে যা চলছে, তাতে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ অর্থাৎ মহিলারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সকলের ধর্ষণ বিরোধী আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন।” তাঁর মতে, দেশের (Supreme Court) বহু মানুষ এখনও এই সম্পর্কে সচেতন নন (Anti Rape Laws)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Food Grain: স্বাধীনতার পর থেকে প্রথমবার! ভারতবাসীর খাদ্যশস্যের খরচে উল্লেখযোগ্য হ্রাস

    Food Grain: স্বাধীনতার পর থেকে প্রথমবার! ভারতবাসীর খাদ্যশস্যের খরচে উল্লেখযোগ্য হ্রাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসীর খাদ্যগ্রহণের ধরনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। সাম্প্রতিক একটি সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই পরিবারের (Indian Family) মোট ব্যয়ের মধ্যে শস্য জাতীয় খাদ্যের (Food Grain) জন্য খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। “ভারতের খাদ্যগ্রহণের পরিবর্তন এবং নীতিগত প্রভাব” শীর্ষক এই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতার পর থেকে প্রথমবারের মতো পরিবারের মোট মাসিক ব্যয়ের অর্ধেকেরও কম এখন শস্য জাতীয় খাদ্য ক্রয়ের জন্য খরচ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PMGKAY) এর ফলে নিম্নবিত্ত পরিবারের খাদ্যশস্যের জোগান মিটছে। তাই এই পরিবর্তন বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    খাদ্যাভ্যাসের বৈচিত্র্য

    প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ (EAC) কর্তৃক প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শস্যের (Food Grain) উপর পরিবারের ব্যয়ের অংশ সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কমেছে। এই পরিবর্তনটি নিম্নবিত্ত ২০ শতাংশ পরিবারের মধ্যে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার (PMGKAY) মতো খাদ্য নিরাপত্তা উদ্যোগগুলি এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। পরিবারগুলি (Indian Family) শস্যের উপর কম ব্যয় করে এখন দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, তাজা ফল, ডিম, মাছ এবং মাংসের মতো পুষ্টিকর খাবারের দিকে ঝুঁকছে। এটি খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টিগত উন্নতির দিকে ইতিবাচক পরিবর্তন হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ভারত বিরোধিতা! পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আহ্বান ঢাকার অধ্যাপকের

    কৃষি, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উপর প্রভাব

    খাদ্য শস্য (Food Grain) ক্রয় করার প্রবণতা কমায় সরকারকে এবার ফল, সবজি এবং প্রাণিজ খাদ্যের উৎপাদন ও বিতরণ বাড়াতে হবে। এর জন্য কৃষি নীতির পরিবর্তনও জরুরি। ভারতের খাদ্যগ্রহণের ধরন পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি নীতিগুলিকেও খাদ্য বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে সংশোধন করতে হবে। একই সঙ্গে দেখা গিয়েছে শহুরে এলাকায় প্রসেসড খাবারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে অর্থনৈতিক উন্নতি এবং কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসাবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, প্রসেসড খাবার অত্যধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ বাড়তে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share