Blog

  • CBI: ৯ অগাস্ট বার বার ফোনে কথা সন্দীপ-অভিজিতের, দুজনকে মুখোমুখি জেরার ভাবনা সিবিআইয়ের

    CBI: ৯ অগাস্ট বার বার ফোনে কথা সন্দীপ-অভিজিতের, দুজনকে মুখোমুখি জেরার ভাবনা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। যদিও আগেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। এবার দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের (CBI) কর্তারা।

    সন্দীপ ও অভিজিতের ঘন ঘন সাক্ষাত! (CBI)

    তদন্তকারীদের (CBI) দাবি, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ও অভিজিতের মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল, দেখা গিয়েছে কল ডিটেলসে। ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত সন্দীপ ও অভিজিতের কথা হয়। বিশেষ করে ১০ অগাস্ট ওই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। তার পরেও সন্দীপের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ফোনালাপের বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে। টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী, সন্দীপ ও অভিজিতের ঘন ঘন সাক্ষাতের তথ্য মিলেছে। অভিজিৎ ৯ থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত নিয়মিত আরজি করে যাতায়াত করেছেন, মিলেছে তথ্য। তদন্তকারীদের কথায়, ৯ অগস্ট চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃতদেহ সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশের তরফে অভিজিৎ ও তাঁর সহযোগীরা প্রথম ওই সেমিনার হলে পৌঁছন। এর পরে ওই সেমিনার হলে থিকথিকে ভিড় হয়ে যায়, দাবি তদন্তকারীদের। সে ক্ষেত্রে ‘প্লেস অব অকারেন্স’ অর্থাৎ মৃতদেহের আশপাশের নমুনা রক্ষার মূল দায়িত্ব ছিল অভিজিতের। কিন্তু অভিজিৎ ওই দায়িত্ব পালন করেননি।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    প্রমাণ লোপাটে ওসির ভূমিকা

    তদন্তকারীদের (CBI) দাবি, ময়না তদন্তকারীদের কথায়, ঘটনাক্রম অনুযায়ী সেমিনার হলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও টালা থানার ওসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একটি মাত্র সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। তারও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ধোঁয়াশা ও অস্পষ্ট। মৃতদেহ দ্রুত দাহ করার ক্ষেত্রেও অভিজিতের অতিসক্রিয়তার নানা ইঙ্গিত মিলেছে বলে খবর। তদন্তকারীদের দাবি, সন্দীপের গাড়ির চালককে আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। শনিবার লালবাজারে এক শীর্ষ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের এ কর্তা বলেন, একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল। সন্দীপ ও অভিজিৎকে জেরা করে মূল চক্রান্তকারীদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই অভিজিৎ এবং সন্দীপকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা জরুরি হয়ে উঠতে পারে, দাবি সিবিআইয়ের।

    সন্দীপ ঘোষের দেওয়া তথ্যগুলি বিভ্রান্তিকর

    সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ অগাস্ট হাসপাতালে ধর্ষিত তরুণীর দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) প্রথমে  ঘটনার এফআইআর দায়ের করতেই চাননি। শুধু তাই নয়, বিষয়টি আদালতে চলে যাওয়ার পরেও, তিনি আইনি পরামর্শ নেন এবং আবারও এফআইআর এড়ানোর চেষ্টা করেন। আত্মহত্যা বলেই প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেন এই ঘটনাকে। জানা গিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষের মধ্যে প্রথম যোগাযোগ হয় ৯ অগাস্ট, সকাল ১০টায়। কিন্তু, ওসি অপরাধস্থলে পৌঁছতে অনেক দেরি করেন। তদন্তের সময়ে সন্দীপের ভয়েস অ্যানালিসিস এবং পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সব পরীক্ষার ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে, তদন্তকারীদের সন্দীপ ঘোষের দেওয়া তথ্যগুলি বিভ্রান্তিকর ছিল এবং তাঁর বিভিন্ন দাবিই প্রতারণামূলক ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 135: “ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়, পেকে মুখ হলে তবে…।”

    Ramakrishna 135: “ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়, পেকে মুখ হলে তবে…।”

    শ্রীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও অন্যান্য ভক্তের প্রতি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮২, ১৪ই ডিসেম্বর

    দক্ষিণেশ্বরে মারোয়াড়ী ভক্তগণসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ

    বৈকাল হইয়াছে। মাস্টার ও দু-একটি ভক্ত বসিয়া আছেন। কতকগুলি মারোয়াড়ী ভক্ত আসিয়া প্রণাম করিলেন। তাঁহারা কলিকাতায় ব্যাবসা করেন। তাঁহারা ঠাকুরকে বলিতেছেন, আপনি আমাদের কিছু উপদেশ করুন। ঠাকুর (Ramakrishna) হাসিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মারোয়াড়ী ভক্তদের প্রতি)—দেখ, আমি আর আমার এ-দুটি অজ্ঞান। হে ঈশ্বর, তুমি কর্তা আর তোমার এই সব এর নাম জ্ঞান। আর আমার কেমন করে বলবে (Kathamrita)? বাগানের সরকার বলে, আমার বাগান, কিন্তু যদি কোন দোষ করে তখন মনিব তাড়িয়া দেয়, তখন এমন সাহস হয় না যে, নিজের আমের সিন্দুকটা বাগান থেকে বের করে আনে। কাম, ক্রোধ আদি যাবার নয়; ঈশ্বরের দিকে মোড় ফিরিয়ে দাও। কামনা, লোভ করতে হয় তো ঈশ্বরকে পাবার কামনা, লোভ কর। বিচার করে তাদের তাড়িয়ে দাও। হাতি পরের কলাগাছ খেতে গেলে মাহুত অঙ্কুশ মারে।

    তোমরা তো ব্যবসা কর, ক্রমে ক্রমে উন্নতি করতে হয় জানো। কেউ আগে রেড়ির কল করে, আবার বেশি টাকা হলে কাপড়ের দোকান করে। তেমনি ঈশ্বরের (Ramakrishna) পথে এগিয়ে যেতে হয়। হল, মাঝে মাঝে দিন কতক নির্জনে থেকে বেশি করে তাঁকে ডাকলে।

    তবে কি জানো? সময় নাহলে কিছু হয় না। কারু কারু ভোগকর্ম অনেক বাকি থাকে। তাই জন্য দেরিতে হয়। ফোঁড়া কাঁচা অবস্থায় অস্ত্র করলে হিতে বিপরীত হয়। পেকে মুখ হলে তবে ডাক্তার অস্ত্র করে। ছেলে বলেছিল (Kathamrita), মা, এখন আমি ঘুমুই আমার বাহ্যে পেলে তখন তুমি তুল। মা বললে, বাবা, বাহ্যেতেই তোমায় তুলবে, আমায় তুলতে হবে না। (সকলের হাস্য)

    আরও পড়ুনঃ “ঘরে যদি আলো না জ্বলে, সেটি দারিদ্রের চিহ্ন…হৃদয় মধ্যে জ্ঞানের আলো জ্বালতে হয়”

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবনপুত্র ও রামভক্ত বজরঙ্গবলির আরাধনা করার বিশেষ দিন হল মঙ্গলবার। প্রতিদিনকার জীবন সংগ্রামে আমরা সবাই যোদ্ধা। মাঝে মাঝে জীবনে এমন সঙ্কট আসে, যেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন বলে মনে হয় আমাদের। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট দূর করতে সাহায্য করেন রামভক্ত হনুমানজি। তাই মঙ্গলবারে হনুমানজির (Hanuman) আরাধনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে। হনুমানজিকে জাগ্রত দেবতা মনে করা হয়। বজরঙ্গবলিকে খুব অল্পতেই প্রসন্নও করা যায়। বজরঙ্গবলির সাধনা জীবনের সঙ্কট দূর করে, আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। ভক্তদের বিশ্বাস, বজরঙ্গবলির সাধনা করলে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যা লাভ করা যায়। যে বাড়িতে বজরঙ্গবলির ছবি থাকে এবং নিয়মিত তাঁর পুজো করা হয়, সেখানে শনিদোষ, পিতৃদোষ ও ভূত-পিশাচের ভয় ও দোষ থাকে না। বাড়িতে সর্বদাই শান্তি বিরাজ করে। বজরঙ্গবলির অনেক ধরনের ছবিই আমরা দেখি। বাড়িতে কোথায় এবং ক,ভাবে কোন ধরনের বজরঙ্গবলির (Hanuman) ছবি লাগানো উচিত, তারও কিছু নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে সবদিক থেকে সুফল মেলে। 

    নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি যে বাড়িতে থাকে, সেখানে উন্নতির পথে সমস্ত বাধা দূর হয় এবং ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়, বাস্তুদোষ কেটে যায়। এর ফলে পরিবার শত্রু বাধা, অসুস্থতা ও বিবাদ থেকে মুক্তি পায়। জ্যোতিষীরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি লাগানো উচিত। মনে করা হয়, হনুমানজি এই পৃথিবীতেই থাকেন। তাই তাঁকে ডাকলে সহজেই আবির্ভূত হন তিনি। ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন তিনি। এই কারণেই তাঁকে সঙ্কটমোচনও বলা হয়। হনুমানের আরাধনা করলে সব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় জীবনে। পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি সব দিক থেকে আসা নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে ভক্তের সঙ্কটমোচন করেন বলেই বিশ্বাস। ভক্তদের বিশ্বাস, ঘরে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে পরিবারের সকলের সমস্যা দূর হয়। বজরঙ্গবলিকে স্মরণ করলেই সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শাস্ত্র বিশারদদের মতে, গৃহস্থের কল্যাণের জন্য ঘরে রাখা দরকার হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি। 

    হনুমানজির পঞ্চমুখী (Panchmukhi Hanuman) ছবির গুরুত্ব

    বাড়িতে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে ঘরের সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। এর পাশাপাশি বাড়ির চতুর্দিকে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চমুখী হনুমানের পাঁচটি মুখের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। পঞ্চমুখী হনুমানজির প্রতিকৃতিতে সকল মুখ ভিন্ন ভিন্ন দিকে রয়েছে। পূর্ব দিকে ভগবান হনুমানের বানরের মুখ রয়েছে যা শত্রুদের উপর বিজয় প্রদান করে। পশ্চিম দিকে ঈশ্বরের গরুড় মুখ, যা জীবনের বাধা এবং ঝামেলা দূর করে। উত্তর দিকে রয়েছে ভগবান হনুমানের বরাহা মুখ, যা খ্যাতি এবং শক্তির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। হনুমানজির সিংহ মুখ দক্ষিণ দিকে, যা জীবন থেকে ভয় একেবারে চিরতরে দূর করে। আকাশের দিকে ভগবানের একটি ঘোড়া মুখ রয়েছে যা ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করে বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

    পঞ্চমুখী হনুমানের (Panchmukhi Hanuman) ছবি বসানোর সঠিক দিক

    বাস্তুবিদরা বলছেন, পঞ্চমুখী হনুমানজির (Panchmukhi Hanuman) ছবি বাড়িতে বসানোর সময় সঠিক দিকটি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে, শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখা সবচেয়ে শুভ। এই স্থানে ছবি রাখলে যে কোনও  ধরনের অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ বাস্তু অনুসারে, বেশিরভাগ নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। এই দিকে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এর পাশাপাশি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখলে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ভগবান হনুমান কেন পঞ্চমুখী অবতার নিলেন? জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, যখন ভগবান রাম ও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন রাবণ নিজের পরাজয় সামনে দেখে, ভাই অহিরাবণের কাছে সাহায্য চান। রাবণের ভ্রাতা অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর একজন একনিষ্ঠ ভক্ত ও তন্ত্রবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। অহিরাবণ মায়া করে রামের বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং রাম-লক্ষ্মণকে অপহরণ করে পাতালে নিয়ে চলে যান। অহিরাবণ ছিলেন দেবী ভবানীর পরম ভক্ত, তাই তিনি মা ভবানীর নামে পাঁচটি দিকে পাঁচটি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। অহিরাবণকে বধ করা খুব সহজ ছিল না। তাঁকে তখনই বধ করা সম্ভব হত, যদি কেউ এই পাঁচ প্রদীপ এক সঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারতেন। রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধারের জন্য তাই অহিরাবণকে পরাজিত করতে হনুমানজি পঞ্চমুখীরূপ (Panchmukhi Hanuman) ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হনুমানজি পাঁচটি মুখের সাহায্যে  একসঙ্গে পাঁচ দিকের প্রদীপ নিভিয়ে দেন এবং অহিরাবণকে হত্যা করে রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধার করেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, আপ্লুত স্বয়ং বিচারক

    RG Kar Case: ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, আপ্লুত স্বয়ং বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) নিয়ে প্রতিবাদ শুধু এই রাজ্যের রাজপথেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আমেরিকা, ইউরোপে সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষকে। নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিউড, টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে দেখা গেল ‘ইন্ডিয়া’জ বেস্ট ডান্সার’-এর (India’s Best Dancer) মঞ্চে। প্রতিবাদের এই অভিনব ভাষায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলেন বিচারকরাই।

    রিয়েলিটি শো-র মঞ্চে প্রতিবাদের ঝড় (RG Kar Case)

    ‘ইন্ডিয়া’জ বেস্ট ডান্সার’ ৪ রিয়্যালিটি শো-র মঞ্চে নাচের মাধ্যমে ধর্ষণ করে হত্যার (RG Kar Case) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরলেন। ‘জিতে হে চল’ গানে নৃত্য পরিবেশন করলেন প্রতিযোগী অর্জুন শাটে এবং কোরিওগ্রাফার পঙ্কজ থাপা। তবে দুই জনেই বাংলার কেউ নন, কিন্তু আরজি করে ঘটা পৈশাচিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ডাক্তারকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে নিজেদের নাচের ভাষায় প্রতিবাদ তুলে ধরেন। তাঁদের পারফর্মেন্স দর্শকদের মন জয় করে ন্যায় বিচারের ঝড় তুলেছে।

    নৃত্যের মধ্যে দোষীদের শাস্তির দাবি

    এই শো-র (India’s Best Dancer) বিচারকের আসনে ছিলেন টেরেন্স, গীতা ও অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর। প্রতিযোগীদের নাচ দেখে একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। এই নাচে শুধু ধর্ষণ করে খুনের মতো জঘন্যকাণ্ডের (RG Kar Case) সমালোচনাই করা হয়নি, সেই সঙ্গে দোষীদের শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। গানের মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘‘ছেলেদের পুরুষ হওয়ার মধ্যে দিয়ে মনুষত্বের পাঠ দিতে হবে। নারীদের প্রতি সম্মানের ভাব মনে রাখতে হবে।’’ এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রচুর পরিমাণে দর্শক (India’s Best Dancer)।

    আরও পড়ুনঃআরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    ৫ দাফ দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা

    গত ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন, বিক্ষোভ, ধর্না, মানবন্ধন করে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। সর্বত্র একটাই দাবি তিলোত্তমার বিচার চাই। জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Case) গত ৩৭ দিন ধরে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে ৫ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বার বৈঠকের কথা হলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। মমতার চায়ের আবেদন প্রত্যাখান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার বিকেল ৫ টায় ফের একবার কালীঘাটে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি নিয়ে অনড় তাঁরা। কোনও সমাধান সূত্র বের হয় কিনা তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Census: শীঘ্রই দেশে শুরু হতে চলেছে জনগণনা, জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    Census: শীঘ্রই দেশে শুরু হতে চলেছে জনগণনা, জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল আদমশুমারির (Census) বা জনগণনার সলতে পাকানোর কাজ। রবিবার একথা জানিয়ে দিল কেন্দ্র। এই জনগণনায় এবার কাস্ট (Caste) কলাম থাকবে কিনা, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি খোলা মনে বিবেচনা করা হবে। তবে আদমশুমারির কাজ দ্রুত শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র।

    আদমশুমারি (Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয় এ দেশে। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তার পর দেশের জনসংখ্যা কত বাড়ল, বৃদ্ধির হারই বা কেমন, এসব কিছুই জানা যায়নি। ২০১১ সালের পর জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। করোনা অতিমারীর কারণে সেবার জনগণনা হয়নি। সেই সময় বলা হয়েছিল, আদমশুমারি হবে ২০২৩ সালে। সেটাও হয়নি। এবার চলতি মাসেই শুরু হয়ে যাচ্ছে জনগণনার কাজ।

    বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় এই প্রথম হতে যাচ্ছে জনগণনা (Census)। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে সময় লাগবে বছর দেড়েক। ২০২৬ সালের মার্চ মাসে জনগণনার রিপোর্ট পেশ করবে কেন্দ্র। গত বছরই রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়ে দিয়েছিল, ভারত বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল দেশ। এদিক থেকে চিনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। তবে দেশের জনসংখ্যার চিত্রটি ঠিক কেমন, তা জানা যাবে আদমশুমারি শেষ হওয়ার পর।

    চলতি অর্থবর্ষে জনগণনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১২৫০ কোটি টাকা। যা গতবারের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এ জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল এ বারের চেয়ে তিনগুণের বেশি অর্থ। তবে করোনার কারণে বন্ধ ছিল জনগণনার কাজ। করোনা-উত্তরকালে এই খাতে বরাদ্দ ক্রমেই কমছে।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    ভারতে জনগণনার কাজ শুরু হয় ১৮৮১ সালে। তার পর থেকে নিয়মিত হয়ে আসছে আদমশুমারি। করোনা-পর্ব ছাড়া ১৫০ বছরের ইতিহাসে একবারও ছেদ পড়নি এই প্রক্রিয়ায়। অথচ, অর্থনীতিবিদদের মতে, নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণনা অত্যন্ত জরুরি।

    এদিকে, জনগণনার সঙ্গে সঙ্গেই জাত গণনার দাবি জানিয়েছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দলও। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কয়েকটি শরিকও জাত গণনার দাবি সমর্থন করেছে। আরএসএসের দাবি, জাতগণনায় তাদের কোনও আপত্তি (Caste) নেই, যতক্ষণ তা কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে (Census)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Nuclear Treaty: ভারত বিরোধিতা! পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আহ্বান ঢাকার অধ্যাপকের

    Bangladesh Nuclear Treaty: ভারত বিরোধিতা! পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আহ্বান ঢাকার অধ্যাপকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারত। ৫০ বছর পর সেই ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে এবার পাকিস্তানের সঙ্গেই পরমাণু চুক্তির (Bangladesh Nuclear Treaty) দাবি করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বাংলাদেশকে পারমাণবিক সক্ষম করার দাবি তুললেন অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত বিরোধিতা এবং জামাত প্রভাবিত ইসলামি গোঁড়ামি দিনে দিনে বাড়ছে পদ্মাপারে। ভারতের সহায়তা ছাড়া যে স্বাধীন বাংলাদেশ সম্ভবই ছিল না, তা ভুলতে বসেছে ঢাকা। তাঁকে এও দাবি করতে শোনা গিয়েছে যে, পাকিস্তান নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিরাপত্তা সহযোগী! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি যারা ভাঙতে পারে তাদের থেকে এর বেশি কিছুই প্রত্যাশা করা যায় না, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের। 

    পাকিস্তানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি

    শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব বাড়ছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের দিকে আরও ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নিত্য-ঘটনা। ভারত-বিরোধিতায় কোনও কসুর করছে না জামাতের মতো সংগঠন। এমন পরিস্থিতিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি (Bangladesh Nuclear Treaty) করার আহ্বান জানালেন। তাঁর মতে, এই চুক্তি ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান বলেন, “ভারতের সাধারণ ধারণা পরিবর্তনের জন্য সঠিক উত্তর হবে আমাদের পারমাণবিক সক্ষম হওয়া। পারমাণবিক সক্ষম হওয়া মানে পারমাণবিক শক্তিধর হওয়া নয়, বরং পাকিস্তানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তিতে প্রবেশ করা।” 

    ভারতকে ঠেকাতে পাক সহায়তা

    শাহিদুজ্জামান আরও বলেন, পাকিস্তানের কারিগরি সহায়তা (Bangladesh Nuclear Treaty) ছাড়া ভারতকে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “পাকিস্তান সবসময়ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত নিরাপত্তা সহযোগী ছিল। কিন্তু ভারতীয়রা চায় না আমরা এটা বিশ্বাস করি। আওয়ামি লিগও চায় না আমরা এটা বিশ্বাস করি। কিন্তু এটাই সত্য। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানিরা আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন মনে করে না, তবে তারা চায় না আমরা ভারতের সঙ্গে থাকি। তারা আমাদের রক্ষা করতে যে কোনও কিছু করতে প্রস্তুত।”

    জামাত পন্থী অধ্যাপক

    অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান পাকিস্তান থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র (Bangladesh Nuclear Treaty) সংগ্রহ করে উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে মোতায়েন করার প্রস্তাব দেন। এর ফলে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়া সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের কিছু অংশ দখল করে এটিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় ভারত এবং পাকিস্তানের পারমাণবিক চুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্র সাহায্য ভারতের এই পরিকল্পনা প্রতিহত করতে পারে। তিনি পাকিস্তানকে “বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত নিরাপত্তা মিত্র” হিসেবে অভিহিত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক জামায়াত-ই-ইসলামীপন্থী মন্তব্যের জন্য কুখ্যাত। 

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বান

    সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেছিলেন। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে ইউনূস বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই, তবে এই সম্পর্কগুলো ন্যায্যতা এবং সমতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।” যদিও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ইউনূসের মতকে মান্যতা দেয় না।

    আরও পড়ুন: ফের হত্যার চেষ্টা ট্রাম্পকে! গল্ফ ক্লাবে চলল গুলি, অল্পের জন্য বাঁচলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

    বাংলাদেশের ঐতিহ্য বিলুপ্তপ্রায়

    জামাত-পন্থী ইসলামি শক্তিগুলি শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের (Bangladesh Nuclear Treaty) দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, সম্প্রতি ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিন্নার ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উর্দু গান, কবিতা এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটেছে। ইসলামপন্থী বক্তারা অনুষ্ঠানে বলেন, পাকিস্তান ছাড়া বাংলাদেশও অস্তিত্ব লাভ করতে পারত না। বক্তারা জিন্নাকে বাংলাদেশের সৃষ্টিকর্তা এবং পিতা হিসেবে অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ (সাবেক পূর্ব পাকিস্তান) একটি রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে উর্দু চাপিয়ে দেওয়া জিন্নার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। যেখানে বাংলা ভাষাই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। তবে, জামাত-সহ প্রতিক্রিয়াশীল ইসলামী শক্তিগুলি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশকে সেই উর্দু ভাষার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তারা তীব্রভাবে বর্জন করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mission Sahasi: আরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    Mission Sahasi: আরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতলে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ড সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। ন্যায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন হচ্ছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় মহিলাদের জন্য দু’দিনের আত্মরক্ষা কর্মশালা ‘মিশন সাহসী’ (Mission Sahasi) অনুষ্ঠিত করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ-আন্দোলনের পাশাপাশি আত্মরক্ষার পাঠে নারী সামাজে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ৩০০ জন তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় (Mission Sahasi)

    ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কমপ্লেক্সে, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) আত্মরক্ষার বিশেষ কর্মশালা ‘মিশন সহসী’-র (Mission Sahasi) শিবির আয়োজন করেছিল। এই কর্মশালায় প্রায় ৩০০ জন তরুণী অংশগ্রহণ করেছিলেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বিখ্যাত মার্শাল আর্ট বিশেষজ্ঞ, গ্র্যান্ডমাস্টার শিফুজি শৌর্য ভরদ্বাজ। দুই দিনে টানা ১২ ঘণ্টা করে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেন তিনি। একইভাবে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, এবিভিপি-র রাষ্ট্রীয় সংগঠন সম্পাদক আশীষ চৌহান এবং রাষ্ট্রীয় সম্পাদক শালিনী ভার্মা। স্কুল, কালেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং নার্সিং কলেজের ছাত্রী সহ আরও অনেক মেয়েরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।

    মানসিক শক্তিকে আরও উচ্চ স্তরে নিয়ে যায়

    ‘মিশন সাহসী’ হল এবিভিপি-এর চলমান কর্মকাণ্ডের মধ্যে একটি প্রধান ধারা, যেখানে তরুণী, যুবতী, ছাত্রী সহ সমাজের নানা বর্গের মহিলাদের আত্মরক্ষার কৌশলের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ হয়ে থাকে। এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মেয়েদের আত্মবিশ্বাসকে বৃদ্ধি করা। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আশিস চৌহান এই উদ্যোগের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “মিশন সাহসী (Mission Sahasi) মহিলাদের শক্তিশালী করে দাঁড়াতে সক্ষম করে, তাঁদের আত্মরক্ষার দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে। অটল সাহসের সঙ্গে যেকোনও চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার মানসিক শক্তিকে আরও উচ্চস্তরে নিয়ে যায়। সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই প্রশিক্ষণ একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছে। এই রাজ্য সন্দেশখালির মতো নারী নির্যাতনের ঘটনা মানুষের মনকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করেছে। তাই আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। আমরা ২০১৯ সাল থেকে এই মিশন সহসীর কাজ শুরু করেছিলাম। ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে দেড় কোটির বেশি মেয়েকে আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণ দিতে পেরেছি। পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ করে হত্যার ঘটনা ক্রমবর্ধমান ভাবে ঘটে চলেছে। এই রাজ্যের সরকার নারী সুরক্ষা নিয়ে অত্যন্ত উদাসীন। তাই মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটা নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে মিশন সাহসী একটি প্রতিবাদের ভাষা।”

    আন্দোলনের সঙ্গে চাই সমাধানও

    এই কর্মশালাটিকে (Mission Sahasi) মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জন্য আরও বিষয়টি প্রসাঙ্গিক। নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যে মারাত্মক আকার নিয়েছে। এবিভিপির রাষ্ট্রীয় সম্পাদক শালিনী ভার্মা অনুষ্ঠানে বলেন, “মিশন সহসীর উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গের যুবতী মহিলাদের আত্মরক্ষার জন্য একান্ত প্রয়োজন। নির্মমভাবে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এটি একটি সংঘটিত জঘন্য অপরাধ। এবিভিপি-র কর্মীরা প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভ করছে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে একই সময়ে মিশন সাহসী অভিযান শুরু করেছে। এই পদক্ষেপ রাজ্যের মহিলাদের আত্মরক্ষার দক্ষতা শিখতে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করবে। আমরা মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। স্কুল, কলেজ, মেডিক্যাল, প্যারামেডিক্যাল কলেজ এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের শত শত মেয়েরা এখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এবার তাঁরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস বা জেলায় মেয়েদের আরও শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গে চলমান সমস্যার একটি যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করা। শুধু আন্দোলন নয়, চাই সমাধানের রাস্তাও।”

    মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতা সরকার

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য তুলসী সরকার বলেন, “রাজ্যের মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতা সরকার। তাই আমরা মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কর্মসূচি (Mission Sahasi) নিয়েছি। দুই দিনে মোট চারটি অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন আত্মরক্ষার কৌশল শিখেছেন। এরপর আমরা জেলা স্তরে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করব। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করব।”

    মেয়দের নির্ভীক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে

    একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি রশ্মি সামন্ত। তিনি বলেন, “মিশন সাহসী (Mission Sahasi) হল এবিভিপির একটি মহৎ উদ্যোগ। যার লক্ষ্য মেয়েদের একটি শক্তিশালী এবং নির্ভীক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একটি উন্নত জীবন প্রদান করা। এই প্রশিক্ষণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং এটি বাংলার ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব তৈরি করবে। আমরা আশাবাদী যে বাংলা এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবে এবং এবিভিপি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতেন সন্দীপ, কামড়াতেন-মারতেন’’! বিস্ফোরক দাবি

    মামলায় গ্রেফতার এখনও পর্যন্ত ৩

    উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল (RG Kar Case) কলেজ ও হাসপাতালের হলে চতুর্থ তলায় সেমিনার অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক মহিলা চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা যায় যে যৌন নিপীড়ন করে খুন করা হয়েছিল। মামলার তদন্ত পুলিশ করলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে সিবিআই তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে হাসপাতলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, টালা থানার ওসি এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনার দিন থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে বিদ্যার্থী পরিষদ ‘লক্ষ্মীর সুরক্ষা’, স্বাস্থ্য ভাবন অভিযান, মশাল মিছিল, রাত দখল-সহ একাধিক কর্মসূচি পালন করতে দেখা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ravneet Singh Bittu: “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী,” তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Ravneet Singh Bittu: “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী,” তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী।” এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু (Ravneet Singh Bittu)। এক সময় কংগ্রেসে ছিলেন বিট্টু। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। রবিবার রেলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিট্টু। এই অনুষ্ঠান থেকেই রাহুলকে চাঁদমারি করেন তিনি। এদিন ভাগলপুরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন বিট্টু।

    “রাহুল গান্ধী ভারতীয় নন” (Ravneet Singh Bittu)

    তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী ভারতীয় নন। তিনি বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে কাটিয়েছেন। তিনি দেশকে খুব একটা ভালোবাসেন না। তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে বন্ধুরা ভারতে থাকলেও, তিনি এই দেশটাকে ততটা ভালোবাসেন না। আর তাই বিদেশে গিয়ে ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।” বিট্টু বলেন, “রাহুল বিদেশে গিয়ে সব ভুল বলেন। যারা মোস্ট ওয়ান্টেড, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং বোমা-বন্দুক ও শেল তৈরিতে সিদ্ধহস্ত, তারা রাহুল গান্ধীর কথার প্রশংশা করে। যারা দেশের শত্রু, যারা বিমান, ট্রেন, রাস্তা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা রাহুল গান্ধীর সমর্থনে।”

    “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসী”

    এর পরেই কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন (Ravneet Singh Bittu), “রাহুল গান্ধী দেশের এক নম্বর সন্ত্রাসী। দেশের সব চেয়ে বড় শত্রু, যাকে এজেন্সিদের ধরা উচিত, তিনি হলেন রাহুল গান্ধী।” মন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস দেশের মুসলমান সম্প্রদায়কে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। তাতে কাজ না হওয়ায় তারা এখন শিখদের মধ্যে বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা শুরু করেছে।” জাতি ভিত্তিক জনগণনা নিয়ে রাহুলকে নিশানা করে বিজেপির এই নেতা বলেন, “রাহুল ওবিসি থেকে শুরু করে অন্য বিভিন্ন জাতির মানুষের হয়ে কথা বলেন। অথচ সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে অন্যদের যন্ত্রণা তিনি বোঝেন না।” বিট্টু বলেন, “এর চেয়ে আর হাস্যকর কী হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে আমেরিকায় গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ভারতে ধর্মীয় আচার পালন করার আগে শিখদের ভাবতে হয়। মাথায় পাগড়ি বা হাতে বালা পরার আগে নিরাপত্তার বিষয়ে (Rahul Gandhi) তাঁদের ভাবতে হয় (Ravneet Singh Bittu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল মূক-বধিরদের, বিক্ষোভ পান্ডুয়া-উত্তরপাড়াতেও

    RG Kar Protest: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল মূক-বধিরদের, বিক্ষোভ পান্ডুয়া-উত্তরপাড়াতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড (RG Kar Protest) নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। বিশেষভাবে সক্ষমরাও এই প্রতিবাদে সামিল হয়ে নির্যাতিতার খুনের সুবিচারের দাবি জানালেন। নিম্নচাপের কারণে রবিবার রাজ্যজুড়ে দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথে নামলেন সাধারণ মানুষ।

    কোথায় কোথায় বিক্ষোভ? (RG Kar Protest)

    আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে (RG Kar Protest) পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে মোমবাতি হাতে মিছিলে শামিল হন মূক ও বধিররা। আসানসোলের রবীন্দ্রভবনের সামনে হাতে জাতীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন তাঁরা। মোমবাতি জ্বালিয়েও জানানো হয় প্রতিবাদ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। পান্ডুয়াতেও মিছিলে পা মেলায় ছাত্রসমাজ এবং প্রতিবাদী নাগরিকবৃন্দ। রবিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই পান্ডুয়ার জিটি রোডে নামল জনতার ঢল। পান্ডুয়া স্টেশন সংলগ্ন পুরানো বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে পা মেলান শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। ছিলেন বহু সাধারণ নাগরিকও। জিটি রোডের কাছে তেলিপাড়া পর্যন্ত গিয়ে মিছিল শেষ হয়। কিছুক্ষণের জন্য জিটি রোড আটকে চলে বিক্ষোভ (Agitation)। স্থানীয় সূত্রে খবর, আরজি করের ঘটনায় জড়িত সকল দোষীরা অবিলম্বে কঠিনতম শাস্তি এবং মেয়েদের নিরাপত্তার দাবিতেই এই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে উত্তরপাড়াতেও প্রায় পাঁচ হাজার লোকের জমায়েত হয়েছিল। স্থানীয় কয়েকটি স্কুলের প্রাক্তনী এবং ১৭টি ক্লাব-সংগঠনের ডাকে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমা হল মোড়ে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্গে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মিছিলে স্লোগান উঠেছে ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’।

    আরও পড়ুন: ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল! দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

    আন্দোলনকারীদের কী বক্তব্য?

    আন্দোলনকারীরা সকলেই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার (RG Kar Protest) ওপর যে ঘটনা ঘটেছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা নিরাপদ ভারতবর্ষ চাই। সুরক্ষিত পশ্চিমবঙ্গ চাই। এই ভাবে ‘উৎসব’ হয় না। আজকের এই মিছিলে হাঁটাই হল আমাদের আসল উৎসব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আম আদমি পার্টির দুর্নীতি! প্রদেশজুড়ে প্রচার চালাবেন দিল্লির সাত বিজেপি সাংসদ

    BJP: আম আদমি পার্টির দুর্নীতি! প্রদেশজুড়ে প্রচার চালাবেন দিল্লির সাত বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আম আদমি সরকারের বিরুদ্ধে এবার তেড়েফুঁড়ে নামছে প্রদেশ বিজেপি (BJP)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে সাতটি আসনের মধ্যে সাতটিই দখল করে গেরুয়া শিবির। সেই সাংসদরা এবার প্রচার অভিযান চালাবেন দিল্লির আপ সরকারের দুর্নীতি নিয়ে। প্রসঙ্গত, একাধিক দুর্নীতির ইস্যুতে নাম জড়িয়েছে আম আদমি পার্টির। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসেবে উঠে আসে আবগারি দুর্নীতি। গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) ও উপমুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭০টি বিধানসভা আসন ও ২৫০টি ওয়ার্ডেই এই প্রচার অভিযান চলবে। ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে বিজেপির (BJP) সংসদ সদস্যরা বোঝাবেন কেজরিওয়ালের দুর্নীতি নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরবেন বিজেপির সাংসদরা।

    কী বলছেন দিল্লি বিজেপির (BJP) প্রধান? 

    এ নিয়ে দিল্লি বিজেপির (BJP) সভাপতি বীরেন্দ্র সাচদেব সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) হোক কিংবা মনীশ সিসোদিয়া, সমগ্র আম আদমি পার্টিই হল দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড। দুর্নীতি লুকোতে তাঁরা এখন কেজরিওয়ালের পদত্যাগকে সামনে আনতে চাইছেন, দুর্নীতি থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য কিন্তু মানুষ কখনও ভুলে যাবে না কেজরিওয়ালের দুর্নীতির কথা এবং বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে পরাস্ত করবে দিল্লির জনগণ।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, বিজেপি কর্মীরা প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে পৌঁছাবে এবং কেজরিওয়ালের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কথা তাঁরা তুলে ধরবেন।

    গলি থেকে রাজপথ- আন্দোলনে নামছে দিল্লি বিজেপি (BJP) 

    আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর থেকে বিধায়কদেরও দুর্নীতির কথা বিজেপির (BJP) কর্মীরা তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন বীরেন্দ্র সাচদেব। দিল্লির জনগণ কেজরিওয়াল সরকারের প্রতি তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে বলেও জানান দিল্লি বিজেপির প্রধান। দিল্লি বিজেপি আরও জানিয়েছেন যে, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই দিল্লির রাস্তাতেই হবে। সাতজন বিজেপি সাংসদ সর্বদাই রাস্তায় থাকবেন- সংকীর্ণ গলি থেকে রাজপথ সর্বত্র প্রচার অভিযান চালানো হবে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দুর্নীতি ইস্যুতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share