Blog

  • RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    RG Kar: আরজি কর কাণ্ডের জের! ডাক্তারদের ওপর হামলা হলেই কঠোর সাজা, আইন আনছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar) পরেই নিরাপত্তার দাবিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-কর্মবিরতির ডাক দেন ডাক্তাররা। বর্তমান সময়ে বারবার উঠেছে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন। ঠিক এই আবহে, আরজি কর কাণ্ডের জেরে একদা বাতিল হওয়া ‘দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ) বিল’কে পুনরুদ্ধার করতে উদ্যোগী হচ্ছে মোদি সরকার। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে যে কোনও হিংসাত্মক ঘটনা এবং হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সম্পত্তি ভাঙচুরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম এই বিলের ওপর খসড়া তৈরি করা হয়। সে সময় কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহম্মদ সৈয়দ নামের এক রোগীর আত্মীয় দুই চিকিৎসকের ওপর ভয়ঙ্কর হামলা ঘটায়। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে (Violence Aganist Doctors) নামেন ডাক্তাররা, তখনই এই আইনটিকে প্রস্তাব করা হয়েছিল (RG Kar)।

    হামলাকারীদের কঠোর সাজা এবং মোটা টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে

    এই বিলে হামলাকারীদের (Violence Aganist Doctors) কঠোর সাজা এবং মোটা টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এই বিলে বলা হয়েছে, ‘‘কোনও ব্যক্তি স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের হিংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে পারবেন না অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনও সম্পত্তিরও ক্ষতি করতে পারবেন না।’’ ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ কেউ ঘটালে তার জন্য এই বিল অনুযায়ী ছয় মাসের কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে যা বেড়ে পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া কোনও চিকিৎসককে গুরুতর আঘাত করলে সাজার মেয়াদ থাকছে তিন বছর যা সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর বিধান রয়েছে। এছাড়াও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে যে কোনও হিংসাত্মক কার্যকলাপ কোনও ব্যক্তি করে থাকলে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করারও বিধান রয়েছে ওই বিলে। যদি গুরুতরভাবে কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে আঘাত করা হয়, সেক্ষেত্রে অপরাধীর জরিমানা দুই লাখ টাকা থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়ে সম্পত্তির ক্ষতি করা- এ সমস্ত কিছুকেই এই বিলের আওতায় জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের ওপর হামলা বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সম্পত্তি ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটলে তার তদন্ত একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ পদমর্যাদার অফিসার বা তার ঊর্ধ্বে কোনও অফিসারই করতে পারবেন কিন্তু এর নিচের পদমর্যাদাযুক্ত অফিসার করতে পারবেন না।

    জরিমানা হিসেবে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ ধার্য

    স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর যে কোনও হামলার ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাকে অবহিত করাবেন বাধ্যতামূলকভাবে, এমন কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবিত বিলে। প্রস্তাবিত ওই বিলে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের ওপর আঘাত করলেই এক লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হবে এবং গুরুতর আঘাতের জন্য পাঁচ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে পরিমাণ অর্থের সম্পত্তি ভাঙচুর হামলাকারীরা করবেন তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থের তাঁদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হবে বলেও বিধান রয়েছে বিলে। ওই বিলে আরও বলা হয়েছে যদি কোনও দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি এই বিলের অধীনে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করেন, তাহলে তাঁর ক্ষতিপূরণের অর্থটি রাজস্ব পুনরুদ্ধার আইন (১৮৯০) অনুযায়ী, বকেয়া হিসেবে আদায় করা হবে।

    কোন কোন ধরনের হামলার কথা বলা হয়েছে বিলে

    স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ডাক্তারদের ওপরে ঠিক কী ধরনের হামলার কথা বলা হয়েছে এই বিলে? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, চিকিৎসায় গাফিলতির মিথ্যা অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা অথবা ডাক্তারদেরকেও নিগৃহীত করা হয়। এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর যেকোনও ধরনের হামলা, স্বাস্থ্যকর্মীদের যেকোনও ধরনের ক্ষতি, আঘাত, গুরুতর আঘাত, হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো, জীবনহানির হুমকি প্রদর্শন করা বা এমন কোনও আঘাত করা যাতে স্বাস্থ্যকর্মী জীবনহানি হতে পারে, সরকারি চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, যেকোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সম্পত্তি ভাঙচুর করা, গুরুত্বপূর্ণ নথির ক্ষতি করা, নথি জ্বালিয়ে দেওয়া বা চুরি করা -এই সমস্ত কিছুই এই বিলের আওতায় পড়বে।

    করোনা অতিমারির সময় আনা আইন

    প্রসঙ্গত করোনা অতিমারি চলাকালীন লকডাউনের সময় নরেন্দ্র মোদি সরকার অতিমারি রোগ (সংশোধন) আইন-২০২০ পাশ করেছিল এবং এই আইনেও স্বাস্থ্যপরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া যেকোনও ধরনের হামলা বা হিংসাত্মক কার্যকলাপকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাই মাসে একটি রিপোর্ট সামনে আসে যেখানে দেখা যায় যে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ২০১৯ সালের প্রস্তাবিত ওই ‘দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ) বিল’কে বাতিল করেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছিলেন যে, ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য আলাদা কোনও আইন তৈরি করা হচ্ছে না।

    আরজি করকাণ্ডের জের (RG Kar)

    কিন্তু ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপরেই দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন ডাক্তার সংগঠন। ঠিক এই আবহে গত ১২ অগাস্ট ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে কয়েকটি দাবি পেশ করে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, দ্য হেলথকেয়ার সার্ভিস পার্সোনেল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টস (হিংসা ও সম্পত্তির ক্ষতি প্রতিরোধ)-এই আইনের অন্তর্ভুক্তি। সেই সময়ে আইএমএ-এর প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন। তারপরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেও ডাক্তারদের সংগঠনগুলিকে আশ্বাস দেওয়া হয় যে চিকিৎসকদের ওপর যেকোনও ধরনের হামলা ও হিংসাত্মক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ করবে সরকার (RG Kar)। এরপরে ২০১৯ সালের বাতিল হওয়া ওই বিলটি পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার একটি প্যানেল গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নতুন ওই প্যানেলে ডাক্তার, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও একাধিক মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NCW: ‘প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা স্পষ্ট’, আরজি করকাণ্ডের রিপোর্টে দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    NCW: ‘প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা স্পষ্ট’, আরজি করকাণ্ডের রিপোর্টে দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Case) তদন্তে রাজ্যে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW) দুই সদস্যের একটি দল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বছর একত্রিশের এক চিকিৎসককে। সেই ঘটনারই তদন্তে এসেছে ওই প্রতিনিধি দল। প্রাথমিক যে রিপোর্ট তাঁরা পেশ করেছেন, তাতে নিরাপত্তাহীনতা ও পরিকাঠামোর অভাবের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

    কী বলছে কমিশন? (NCW) 

    শুক্রবার কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের যে জায়গায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে সেখানে হঠাৎ করেই সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কমিশনের প্রতিনিধি দলের দাবি, হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক, নার্স এবং ইন্টার্নদের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ন্যূনতম পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও নেই। রিপোর্টে পুলিশের ভূমিকা ও আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের উচিত ছিল ঘটনাস্থল অবিলম্বে সিল করা।

    আরও পড়ুন: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    তদন্তে ত্রুটি!

    ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আটক করেছে সিবিআই। চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। শনিবারও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। এহেন আবহে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল জানিয়ে দিয়েছে, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে কিছু ত্রুটি রয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে শৌচাগারের অভাব, আলো এবং নিরাপত্তায় ফাঁক রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রেও অসম্পূর্ণতা ছিল বলে দাবি কমিশনের প্রতিনিধি দলের (NCW)। তাই দ্রুত পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আর্জি জানিয়েছে তারা। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তোলা হয়েছে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কেন মহিলা হস্টেলে মাত্র একটি সিসিটিভি, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, মহিলা কমিশনের (NCW) এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন কমিশনের সদস্য দেলিনা খোন্দগাপ এবং আইনজীবী সোমা চৌধুরী। সোমাকে নিয়োগ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি (RG Kar Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চাই’’, ডায়েরিতে স্বপ্নের কথা লিখেছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা

    RG Kar Incident: ‘‘গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চাই’’, ডায়েরিতে স্বপ্নের কথা লিখেছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিহত চিকিৎসক গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চেয়েছিলেন। নাইট শিফটে যাওয়ার আগে তাঁর সেই স্বপ্নের কথা ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন তিনি। সেই অভিশপ্ত রাতেই যে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেবে তা তিনি ভাবতেও পারেননি। অথচ সেই অভিশপ্ত রাতের আগে নিজের ডায়েরিতে যা লিখেছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক, তা থেকে স্পষ্ট যে তাঁর দু’চোখে অসংখ্য স্বপ্ন ছিল।

    কী বললেন নিহত চিকিৎসকের বাবা? (RG Kar Incident)

    নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী (RG Kar Incident) ছিল। অত্যন্ত মেধাবী। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশুনা করত। প্রায় সারাক্ষণই বইয়ে ডুবে থাকত। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য মেয়ে কঠোর পরিশ্রম করত। ডাক্তার হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিল মেয়ে, সেটা পূরণের জন্য সে প্রচুর পরিশ্রম করেছিল। অভিভাবক হিসেবেও আমরাও অনেক আত্মত্যাগ করেছি। এমডি পরীক্ষায় মেয়ে গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চেয়েছিল। সে কথা ডায়েরিতে সে লিখেছিল। কিন্তু, সেই রাতেই সব শেষ হয়ে গেল। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পাব না। কিন্তু, আমি সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি। আর আশাবাদী হতে পারি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেভাবে সমর্থন করা হচ্ছে, তা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচুর সাহস জোগাচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ফের মোমবাতি হাতে রাত দখলে মেয়েরা

    সিবিআইয়ের হাতে খাতা-ডায়েরি

    জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে ডায়েরি হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। সেই সঙ্গে একটি খাতাও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই ডায়েরি নির্যাতিতার বলেই প্রাথমিক অনুমান সিবিআইয়ের। কী রয়েছে সেই ডায়েরিতে? এখন সেদিকেই নজর গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, ওই নির্যাতিতার খাতা ও ডায়েরিতে বেশ কিছু তথ্য লেখা রয়েছে। তবে, সেই ডায়েরি ও খাতায় যে হাতের লেখা রয়েছে তার সঙ্গে ওই নির্যাতিতার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখবেন সিবিআইয়ের হ্যান্ড-রাইটিং এক্সপার্টরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নাম, পরিচয় পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, হাসপাতালের প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে অনেক কিছুই লেখা রয়েছে ওই ডায়েরি ও খাতায়। এমনটাই সিবিআইয়ের (CBI) তরফ থেকে জানতে পারা যাচ্ছে। তবে সঠিক কী লেখা রয়েছে তা এখনই স্পষ্ট করতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Attack 2008: ২৬/১১ ষড়যন্ত্রী তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণে নেই বাধা, রায় মার্কিন আদালতের

    Mumbai Attack 2008: ২৬/১১ ষড়যন্ত্রী তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণে নেই বাধা, রায় মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী তাহাউর রানা (Tahawwur Rana) ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের সন্ত্রাসবাদী (Mumbai Attack 2008) হামলার অন্যতম যড়যন্ত্রী। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট অফ আপিল জানিয়েছে যে, এই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ষড়যন্ত্রীকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে তার মাধ্যমেই এটা সম্ভব বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, তাহাউর রানাকে ভারত-মার্কিন চুক্তির মাধ্যমে এদেশে প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে বলে ১৫ অগাস্ট রায় দিয়েছে মার্কিন আদালত। শনিবার এই তথ্য সামনে এসেছে।

    রানার পরিচয়  (Mumbai Attack 2008)

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রে (Tahawwur Rana) যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ মিলেছে রানার বিরুদ্ধে। লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে বসেই তিনি মুম্বই হামলার নীল নকশা তৈরি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো, হত্যা, প্রতারণা, জালিয়াতি সমেত ভারতীয় ন্যায় সংহিতা মোতাবেক একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের একজন সেনা চিকিৎসক ছিলেন তাহাউর হোসেন রানা। পরে তিনি কানাডাতে চলে যান এবং সেখানেই ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। জানা গিয়েছে, তাঁর ব্যবসা শিকাগো সমেত অন্যান্য বহু জায়গাতেই চলত। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬৩ বছর (Mumbai Attack 2008), মুম্বই হামলায় যুক্ত থাকার কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি।

    হেডলির বন্ধু রানা

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গেও রীতিমতো যোগাযোগ ছিল রানার। লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছিল রানার। শুধু তাই নয়, রানা ও ডেভিড হেডলি মুম্বই হামলাকে বাস্তবায়িত করতে একাধিকবার পাকিস্তান থেকে নিউইয়র্ক, দুবাই সহ অন্যান্য শহরে ভ্রমণ করেছিলেন। জানা গিয়েছে, রানা ও হেডলি দুইজনেই স্কুলের সহপাঠী ছিলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হেডলি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পরিকল্পনা করে। এর জন্য বর্তমানে তাঁর ৩৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

    মুম্বই হামলা  (Mumbai Attack 2008)

    ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর — দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকে মুম্বই। মোট ১০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি ওই হামলা চালিয়েছিল। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, তাজ হোটেল, ট্রাইডেন্ট হোটেল, নরিমান হাউস, কামা হাসপাতাল সহ মুম্বইয়ের বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহিত স্থানে ৬০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হামলা চলেছিল। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অপারেশন চালায় সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনেরও বেশি মানুষের। একমাত্র জীবিত সন্ত্রাসবাদী আজমল কাসভকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে পরবর্তীকালে ফাঁসি দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    BJP: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনি থেকে আরজি কর। দুরত্ব বিস্তর। তবে সে কামদুনিই হোক, কিংবা চোপড়া বা আরজি কর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) শাসনে রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ‘নারী-শিকারে’র এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা। যার জেরে তোলপাড় রাজ্য। তৃণমূল-শাসনে রাজ্যে ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলে নারী নির্যাতনের কড়া সমালোচনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)।

    কী বলছেন ত্রিবেদী (BJP)

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যে সংবেদনশীল আচরণ করছে, তা উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির আচরণের মতোই। কনৌজ থেকে কলকাতা পর্যন্ত ঘৃণা, নারীদের প্রতি অবজ্ঞা ও অপরাধীদের সুরক্ষার বিপজ্জনক মানসিকতা রয়েছে।” তিনি বলেন, “সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর জবাব দেওয়া উচিত যে তাঁদের ‘মহব্বত কি দুকান’ শুধুমাত্র অপরাধী, দুর্নীতিবাজ ও ধর্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হয় কিনা।” ত্রিবেদী বলেন, “অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন স্বৈরশাসক, অপরাধীদের রক্ষা করছেন।” তাঁর প্রশ্ন, “কংগ্রেস পার্টি এখনও কীভাবে তাঁর সঙ্গে জোটে থাকতে পারেন?”

    মৃত্যু মিছিল

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) (কু)শাসনের জেরে বাংলা নারীদের জন্য বিপজ্জনক জায়গায় পরিণত হয়েছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বর্ধমানের একটি মাঠে মেলে এক যুবতীর গলাকাটা দেহ। শক্তিগড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক প্রতিবন্ধী কন্যা। বিজেপির (BJP) দাবি, এই সব ঘটনা-শৃঙ্খল প্রমাণ করে তৃণমূলের জমানায় ভালো নেই বাংলা। 

    নৈরাজ্যের ঘাঁটি বাংলা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুন্ডুপাত করেছেন সাংসদ বিজেপির দীনেশ শর্মা। তাঁর ভাষায়, “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি।” তিনি বলেন, “বাংলায় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে। আর প্রকাশ্যে কাজ করে বেড়ায় অপরাধীরা।” তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যও। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কোনও শাসন নেই। সম্প্রতি এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা জাতির জন্য গভীর লজ্জার।” মমতার সরকারের ব্যর্থতাকেও ইস্যু করেন তিনি। মৌর্য বলেন, “ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার বদলে রাম এবং বামকে দুষেই হাত ধুয়ে ফেলছেন তিনি।” উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ধর্মীয় ও রাজনৈতিক লাভের জন্য বাংলাকে হিংসায় নিক্ষেপ করেছে তৃণমূল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কন্যাদের কল্যাণকে উপেক্ষা করেছেন। মহিলা চিকিৎসকের ওপর যে নিদারুণ অত্যাচার হয়েছে, তা মেলে কেবল তৃণমূল সরকার যেভাবে তাঁর মর্যদাহানি করেছে তার সঙ্গেই।”

    ক্ষমতার মোহ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার মোহে এতটাই অন্ধ যে তিনি রামকেও গালি দিতে দ্বিধা করেন না। মনে হয়, তিনি মা-মাটি-মানুষ নীতি পরিত্যাগ করেছেন। শ্রী রাম যখন শান্তি-সম্প্রীতি ও প্রেমকে মূর্ত করে তোলেন, তখন অন্যায় বিরাজ করলে তিনিও তাড়কা দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা মন্দের মোকাবিলা করেন এবং নির্মূল করেন।” বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, “বাংলায় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যর্থ। এরকম ঘটনা (আরজি করকাণ্ডের মতো) ঘটলে উর্দি পরা কর্মীদের সাংবিধানিক নীতিগুলি উপেক্ষা করতে চাপ দেওয়া হয়। চাপ দেওয়া হয় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের রক্ষা করতে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    কেন চুপ রাহুল, প্রিয়ঙ্কা

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অজয় অলোক বলেন, “বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি বিরোধীরা। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যিনি ‘লাডকি হুঁ, লাড শক্তি হুঁ’ স্লোগানের পক্ষে ছিলেন, বাংলার ঘটনায় তিনি নীরব। চুপ করে রয়েছেন অখিলেশ যাদবও। কোনও কথা বলছেন না ইন্ডি জোটের নেতারা।” বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পুলিশকে বিশ্বাস করে না। তাই তদন্তটি সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “এই ঘটনার দায় নিয়ে কখন পদত্যাগ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)?”

    রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই!

    পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি বলেন, “সম্প্রতি সন্দেশখালি, চোপড়া এবং এখন কলকাতার মতো জায়গায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা তুলে ধরেছে। পুলিশ এই ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িতদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই বললেই চলে।” বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি বলেন, “ইউপিএ সরকারের সময় দেশ নির্ভয়ার বিরুদ্ধে নৃশংসতা দেখেছিল। আর আজ কংগ্রেস বাংলার বিষয়ে নীরব রয়েছে।” তিনি বলেন, “সেই সময় জাতি যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, তেমনি এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে একত্রিত হচ্ছে (BJP)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Incident: ‘‘ব্যাটাকে সবার আগে ধরা উচিত’’, আরজি কর কাণ্ডে দাবি শুভেন্দুর, নিশানায় কে?

    RG Kar Incident: ‘‘ব্যাটাকে সবার আগে ধরা উচিত’’, আরজি কর কাণ্ডে দাবি শুভেন্দুর, নিশানায় কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পতাকা নিয়ে আরজি করে (R G kar Case) হামলা চালিয়েছে বিজেপি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চাঁচাছোলা ভাষায় তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন নিশানা করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও। 

    সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই

    আরজি কর কাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে লাগাতার আক্রমণ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁকেই আরজি করের একাধিক দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড বলে তোপ দেগেছে চিকিৎসক মহলের বড় অংশ। শুক্রবার তাঁকে রাস্তা থেকে পাকড়াও করে সিবিআই। এদিন, সন্দীপ ঘোষকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সন্দীপ ঘোষের তো গুণের শেষ নেই। ২০২১ সালে ভালো পা-টাকে ব্যান্ডেজে জড়িয়েছিলেন ওঁ। একটা সীমাহীন কৃতজ্ঞতা বোধ তো রয়েছে তাঁর।’’

    গোলমাল করেছে অতীন ঘোষের লোকজন!

    মধ্যরাতে আরজি করে হামলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গোলমালটা অতীন ঘোষের লোকরা ওখানে ঘটাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এটা বিজেপি বা সিপিএমের ছেলেরা করেছে বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমি আপনাকে একশোটা নাম ছবি দিয়ে দিতে পারি। অশোকনগর থেকে গুন্ডা এনেছে। নারায়ণ গোস্বামীর সঙ্গে ছবি আছে। অতীন ঘোষের মিছিলে এরা লিড করছে।’’

    শুভেন্দুর নিশানায় বিনীত গোয়েল (RG Kar Incident)

    এর পরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বিনীত গোয়েল ব্যাটাকে (RG Kar Case) সবার আগে ধরা উচিত। সব হয়ে যাওয়ার পর রাত দেড়টায় বিনীত গোয়েল এসেছেন। বেরিয়ে গিয়েছেন চারটের পর। ওই বোনটির (নির্যাতিতা) গাড়ি হাওয়া করার কাজ করেছেন বিনীত গোয়েল। বিনীত গোয়েলকে যদি সিবিআই তুলতে পারে এবং চাপ দিতে পারে, সবটা সামনে চলে আসবে।’’

    আরজি কর কাণ্ড (R G kar Case) নিয়ে কী বলছেন স্মৃতি ইরানি?

    আরজি কর কাণ্ডের আঁচ জাতীয় স্তরেও পৌঁছেছে। এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনিও। স্মৃতি বলেন, ‘‘এই ঘটনার আর কারা জড়িত পুলিশের কাছে যদি তথ্য থাকে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে কী তদন্ত করেছে? আর কতজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ? এই বিষয়ের তথ্য তো চিকিৎসকদের কাছে রয়েছে, সাংবাদিকদের কাছেও রয়েছে, নিগৃহীতার বাবা-মা, এমনকি এখন আদালতের কাছেও রয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ফের মোমবাতি হাতে রাত দখলে মেয়েরা

    North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ফের মোমবাতি হাতে রাত দখলে মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনা নিয়ে উত্তাল সারা রাজ্য। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আগুন। মেয়েরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ এবং নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে ১৪ অগাস্ট রাতে বাংলা জুড়ে পথে নেমেছিলেন মেয়েরা। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রামে ফের শুক্রবার রাতে হাতে মোমবাতি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ সামিল হলেন মহিলারা। এদিন মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় রাত দশটা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন অসংখ্য মা-বোনেরা।

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি (North 24 Parganas)

    এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই মধ্যমগ্রাম (North 24 Parganas) ট্র্যাফিক মোড়ে ভিড় জমতে শুরু করে। রাত ৯টা থেকে মধ্যমগ্রাম ও আশপাশের অঞ্চলের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা প্রথমে তাঁদের প্রতিবাদী শিল্পকলার মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেন। রাত ১১টার মধ্যে গোটা এলাকা চলে যায় মেয়েদের দখলে। মোমবাতি, মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে গান, কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে সরব হয় হাজারো প্রতিবাদী কণ্ঠ। মানুষের ভিড়ে রোড কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মধ্যমগ্রাম ট্র্যাফিক মোড়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে মহিলাদের পাশাপাশি অসংখ্য যুবকের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিল থেকে একটাই দাবি ওঠে অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন, একজনের পক্ষে কখনও এই কাজ করা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    সকল অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি

    নিহত চিকিৎসকের (North 24 Parganas) হয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রথম কোর্টে যিনি মামলা করেছিলেন, সেই মহিলা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্যকে এদিনের এই প্রতিবাদী সভায় দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরাই সিবিআই চেয়ে কোর্টে মামলা করেছিলাম। আদালতের নির্দেশে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তারা যেন অবিলম্বে শাস্তি পায় এবং সব থেকে আগে চাইব যারা যারা এই ঘটনায় ধরা পড়ছে তাদের যেন ডিএনএ টেস্ট হয়। এই ঘটনাটি একদিনে হতে পারে না। আর এর সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত আছে। আইনগত দিক থেকে যতটা যা করার আমরা তা করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Incident: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন তাঁরই সহকর্মী চিকিৎসকরা। ডিউটিতে থাকাকালীন রাতে সাত ঘণ্টায় একবারও মেয়েকে কেউ ডাকল না, এটা খুবই অবিশ্বাস্য লাগছে বলে সিবিআইকে জানালেন নির্যাতিতার বাবা। ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) তদন্তে নেমেছে সিবিআই। কেস ফাইল নিয়ে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সিবিআইকে (CBI) সন্দেহভাজন কয়েকজনের নামও বলেছেন বলে খবর। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে। 

    কী বললেন নির্যাতিতার বাবা

    সিবিআই সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবা নাকি নিজের সন্দেহের কথা জানিয়েছেন সিবিআই-কে। মেয়ের খুন এবং নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় (RG Kar Incident) কারা জড়িত থাকতে পারে, তা নিয়ে নাকি তদন্তকারীদের কাছে মুখ খোলেন মৃত চিকিৎসকের বাবা। তিনি নাকি সিবিআই- (CBI) এর কাছে দাবি করেছেন, মেয়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন তাঁরই সহকর্মী চিকিৎসকরা। ডিউটিতে থাকাকালীন রাতে সাত ঘণ্টায় একবারও তাঁর মেয়েকে কেউ ডাকেনি তাঁর সহকর্মী বা হাসপাতালের কেউ, বিষয়টি অত্যন্ত সন্দেজনক লাগছে। ভোররাত ৩টে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কারও তাঁকে ডাকার প্রয়োজন হল না? নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা নাকি সিবিআই-কে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে সকালে ৮টা ১০ নাগাদ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। তাঁর ওপিডি-তে ডিউটি ছিল তখন। শেষ বারের মতো রাত ১১টা ১৫ মিনিটে মাকে ফোন করেছিলেন সেই চিকিৎসক। সেই মেয়ের সঙ্গে শেষ বারের মতো কথা বলা তাঁদের। 

    আরও পড়ুন: ট্র্যাকে বোল্ডার! লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা, নাশকতার ছক?

    সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকা

    এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পরে এমন ব্যক্তির নাম ধরে ধরে নাকি সিবিআই-কে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে এমনিতেই হাসপাতালে (RG Kar Incident) সমস্যার সম্মুখীন হত। এই গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি আমি। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমর্থন আছে।’’ সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটনার রাতে যে ওয়ার্ড বয়, নার্সিং স্টাফ, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের ৯ জনকে তলব করেছে সিবিআই। তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলা। সিবিআই শুক্রবার একটি রেজিস্টার খাতা বাজেয়াপ্ত করে। সেই খাতায় ওই রাতে যাঁদের ওই বিল্ডিংয়ে ডিউটি ছিল, সেই অনুযায়ী তলব করা হয়। আরজি কর কাণ্ডে ধৃত কখন কখন ওই বিল্ডিংয়ে ঢুকেছে, কোন পথে গিয়েছে, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সিবিআই দফতরে পৌঁছন আরজি করের কর্মীরা। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, সিবিআই তাঁদের কাছে জানতে চায়,  ওই রাতে তাঁরা কে কোথায় ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতের ঘটনাক্রম তৈরি করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজিকর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bagdogra Airport: ঢেলে সাজানো হবে বাগডোগরা বিমানবন্দর, বরাদ্দ ১৫৪৯ কোটি, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Bagdogra Airport: ঢেলে সাজানো হবে বাগডোগরা বিমানবন্দর, বরাদ্দ ১৫৪৯ কোটি, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার। নতুন সিভিল এনক্লেভ নির্মাণে সিলমোহর দিল মোদি ক্যাবিনেট। যাত্রী সংখ্যার কথা মাথায় রেখে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নতুন সিভিল এনক্লেভ নির্মাণে ১৫৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    লক্ষ্য, বছরে এক কোটি যাত্রী পরিবহণ (Bagdogra Airport)

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির বৈঠক আয়োজিত হয়। ওই কমিটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর ওই বৈঠকেই উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর বাগডোগরা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) রানওয়ে সম্প্রসারণ এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১৫৪৯ কোটি টাকার বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয়। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরে তৈরি হবে ৭০ হাজার ৩৯০ স্কোয়ার মিটারের নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং। ব্যস্ততম সময়ে তিন হাজার যাত্রী সামলানোর ক্ষমতা থাকবে এই নতুন টার্মিনালের। সেইভাবেই তৈরি করা হচ্ছে এই নতুন অংশকে। মনে করা হচ্ছে, এই সম্প্রসারণের পরে বছরে এক কোটি যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে এই নতুন সাজে সেজে ওঠা বাগডোগরা বিমানবন্দর। এ-৩২১ এয়ারক্রাফটের পার্কিংয়ের জন্য দশটি পার্কিং বে নির্মাণ করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। বিমান চলাচলের জন্য দুটি ট্যাক্সিওয়েও তৈরি হবে। এছাড়াও মাল্টি লেভেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে সম্প্রসারিত বাগডোগরা বিমানবন্দরে। রানওয়ের সম্প্রসারণ-সহ একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।

    <p

    ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলার এই বিমানবন্দরকে (Bagdogra Airport) আন্তর্জাতিক তকমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে, যে কোনও বিমান সংস্থা আন্তর্জাতিক বিমান চালাতে পারবে বাগডোগরা থেকে। সম্প্রতি রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছিলেন বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তারপরই এবার নতুন সিদ্ধান্তে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। হিমালয়ান হসপিটাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরে উন্নতির খুব প্রয়োজন ছিল। বাগডোগরা বিমানবন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। প্রতি বছর এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ করায় আমরা খুশি।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছে। যেহেতু বাগডোগরা বিমানবন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর, সেই জন্য প্রথম থেকেই পরিকাঠামগত উন্নয়নের খুব প্রয়োজন ছিল। আগামীতে এই বিমানবন্দর আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ২০২৭-এর মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    Indian Economy: ২০২৭-এর মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় দেশের আর্থিক বৃদ্ধির (Indian Economy) হার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি! এমন কথাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার বা আইএমএফ। আন্তর্জাতিক এই সংস্থার মুখ্য অর্থনীতিবিদ হলেন গীতা গোপীনাথ। শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গীতা গোপীনাথ বলেন, ‘‘২০২৭ সালের মধ্যেই ভারতের অর্থনীতি (Indian Economy) বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হবে।’’ প্রসঙ্গত, গীতা গোপীনাথ হলেন আইএমএফ-এর প্রথম মহিলা মুখ্য অর্থনীতিবিদ। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, তিন বছরের মধ্যেই আমেরিকা এবং চিনের পরে ঠাঁই হবে ভারতের। অর্থাৎ মোদি জমানায় দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি যে লক্ষ্যমাত্রা ও প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে, তাতেই এবার সিলমোহর দিতে দেখা গেল আইএমএফ-কে।

    ভারতীয়দের ব্যক্তিগত খরচের হার আবার বেড়ে গিয়েছে (Indian Economy)

    গীতা গোপীনাথ শুক্রবার আরও বলেন, ‘‘ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার গত অর্থবর্ষে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো ছিল। সেই প্রভাবগুলি এই অর্থবর্ষের জন্য আমাদের পূর্বাভাসকে (Third Largest Economy) প্রভাবিত করছে। অন্য কারণটি হল, আমরা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখছি, ভারতীয়দের ব্যক্তিগত খরচের হার (ভোগ্যপণ্য কেনার নিরিখে) আবার বেড়ে গিয়েছে।’’ তবে শুধু আইএমএফ নয়, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ব্যাঙ্কিং বিনিয়োগ সংস্থা জেফ্রিসের একটি অর্থনীতি মূল্যায়নের রিপোর্ট সামনে আসে। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে জাপান এবং জার্মানিকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত।

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বারবার উঠে এসেছে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কথা

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কথাতেও বারবার উঠে এসেছে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কথা। গত বছর ২০২৩ সালেই লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘‘২০২৭-এর মধ্যেই জাপান এবং জার্মানিকে ছাড়িয়ে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তিতে (Indian Economy) পরিণত হবে ভারত। আমাদের লক্ষ্য, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে পদার্পনের আগে ৩৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠা।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসে আইএমএফ (Third Largest Economy) প্রকাশ করে ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতে জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ছুঁতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share