Blog

  • PM Modi in Bihar: ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে যারা…’’, বিহার থেকেই তৃণমূলকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi in Bihar: ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে যারা…’’, বিহার থেকেই তৃণমূলকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের জনসভা থেকে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bihar)। শুক্রবার বঙ্গে আসার আগে গয়ার (Gaya) এক সভা থেকেই মোদি তাঁর ভাষণে বাংলাকে ইঙ্গিত দিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Infiltrators) দেশ থেকে তাড়ানোর সংকল্পের কথা জানিয়ে দেন। বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এরপর খুব শীঘ্রই জাতিগত জনসংখ্যা গণনা দিকে পা বাড়াবে কেন্দ্র।

    দেশের অন্যতম বড় সমস্যা অনুপ্রবেশ

    বিহারের জনসভা থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bihar) বলেন, ‘‘দেশের এক অন্যতম বড় সমস্যা হল অনুপ্রবেশের। বহু জায়গাতেই দ্রুত বদলে যাচ্ছে জনসংখ্যা বিন্যাস। বিশেষ করে বিহারের সীমানা জেলাগুলিতে। আমি চাই না বিহারের তরণ প্রজন্মের উপার্জনের পথ অনুপ্রবেশকারীরা বন্ধ করে দিক। তাই যে সব দল এই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে, তাদের চিনে রাখুন।’’ মোদির কথায়, ‘‘দেশে অবৈধ অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা উদ্বেগের বিষয়। বিহারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে, জনসংখ্যার চিত্র দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এনডিএ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অবৈধ অভিবাসীদের আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেওয়া হবে না। আমরা অভিবাসীদের বিহারের জনগণের জন্য নির্ধারিত চাকরি কেড়ে নিতে দেব না…।’’

    মানুষকে সজাগ থাকার বার্তা

    বিহারের মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে মোদি (PM Modi in Bihar) বলেন, ‘‘আপনারাও সজাগ থাকবেন যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী আপনাদের হক ছিনিয়ে না নিতে পারে। কোন কোন দল অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ নিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করুন। ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে কংগ্রেস-আরজেডি সবকিছু করতে পারে। ওরা যে কোনও স্তরে নেমে যেতে পারে। বিহারকে ওদের অশুভ দৃষ্টি থেকে বাঁচাতেই হবে। রাজ্যের মানুষের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জনংখ্যা বিন্যাস সংক্রান্ত এই হুমকি মোকাবিলা করার জন্য, আমি একটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক মিশন শুরু করার প্রস্তাব করেছি। এই মিশন শীঘ্রই তার কাজ শুরু করবে। আমরা প্রতিটি অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করব… বিহারের জনগণকে দেশের এই অভিবাসীদের সমর্থকদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে… কংগ্রেস এবং আরজেডি বিহারের জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে চায় এবং তুষ্টির জন্য এবং তাদের ভোট ব্যাংক বাড়ানোর জন্য অভিবাসীদের হাতে তুলে দিতে চায়।’’

    অশ্বত্থ পাতায় মোদিকে স্বাগত

    পশ্চিমবঙ্গ সফরের আগে শুক্রবার বিহারে (Bihar) জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন বিহারের খ্যাতনামা স্যান্ড আর্টিস্ট মধুরেন্দ্র (Sand Artist Madhurendra) এক অভিনব পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বিহারের গয়া জি-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে অশ্বত্থ পাতায় (Peepal Leaf) তাঁর ছবি খোদাই করেছেন মধুরেন্দ্র। মোদির সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) প্রতিচ্ছবি এবং দুটি ট্রেনের প্রতিচ্ছবিও রয়েছে। এই অভিনব শিল্পকর্ম দিয়েই গয়ার ঐতিহ্য ও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে একসঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন শিল্পী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মধুরেন্দ্র তাঁর ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গয়া হল শান্তি ও আধ্যাত্মিকতার ভূমি। তাই বুদ্ধমূর্তি ও উন্নয়নের ভাবনাকে একসঙ্গে মিশিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি।’’

  • Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    Japan: আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নি করার পরিকল্পনা জাপানের, ঘোষণা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে ভারত। তার ঠিক আগেই রয়েছে এশিয়া মহাদেশেরই দেশ জাপান (Japan)। সেই জাপান সরকারই আগামী ১০ বছরে ভারতের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করে ১০ ট্রিলিয়ন ইয়েন অর্থাৎ ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার পরিকল্পনা করছে। টোকিও থেকে প্রকাশিত দ্য আসাহি শিম্বুন পত্রিকার প্রতিবেদনেই মিলেছে এই খবর। জানা গিয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২৯ অগাস্ট টোকিওয় বৈঠকের সময় এই নয়া লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করবেন। এই পরিকল্পনা জাপানের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রাকে আরও প্রসারিত করবে। ২০২২ সালের মার্চে ভারত সফরের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ভারতে ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

    তিন দিনের জন্য জাপান সফরে মোদি (Japan)

    দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে, তাতে এই নয়া বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার কথা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৯ অগাস্ট থেকে তিন দিনের জন্য জাপান সফরে যাবেন। এটি হবে ২০২৩ সালের মে মাসে হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর তাঁর প্রথম জাপান সফর। জাপানি ব্যবসায়ীরা এরপর থেকে গড়ে প্রতি অর্থবর্ষে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) ভারতে বিনিয়োগ করেছে। সরকার নয়া লক্ষ্যমাত্রা আপডেট করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত করার পরিকল্পনা করছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে একটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনাও করছে। এটি হবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি নতুন কাঠামো, যা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে – যেমন গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মূল পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

    অগ্রাধিকার যেসব ক্ষেত্রে

    এই উদ্যোগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মূল খাতগুলিতে, যেমন, সেমিকন্ডাক্টর, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহযোগিতা উদ্যোগ গঠন করা হবে। এর পাশাপাশি, ডিজিটাল পার্টনারশিপ ২.০ নামে একটি প্রকল্পও চালু করা হবে, যা উৎপাদনশীলতার বাইরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রসারিত করে উদীয়মান প্রযুক্তি খাত, যেমন সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্টার্টআপকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে (Japan)।

    জানা গিয়েছে, জাপান ও ভারত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করবে ‘এনার্জি ডায়ালগ’ নিয়ে। এর উদ্দেশ্য হল দুই দেশের সহযোগিতা মজবুত করা, যাতে একইসঙ্গে ডিকার্বনাইজেশন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জন করা যায়। দুই দেশই যৌথ ক্রেডিটিং ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা করতে পারে। এটি (PM Modi) একটি দ্বিপাক্ষিক কাঠামো, যার মাধ্যমে জাপান ও ভারতের মধ্যে তার গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাসকারী প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিয়ে অর্জিত কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৃতিত্বকে নিজেদের নির্ধারিত লক্ষ্যপূরণের অংশ হিসেবে গণনা করতে পারবে (Japan)।

  • Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারী রুখতে নয়া পদক্ষেপ অসম (Assam) সরকারের। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। ২১ অগাস্ট অসম সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা যেন বেআইনি উপায়ে আধার কার্ড (AADHAAR) সংগ্রহ করতে না পারে, তাই এই পদক্ষেপ। অন্য যে কেউ, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, নতুন আধার কার্ড করতে চাইলে তাঁদের জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।

    সুযোগ মিলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (Assam)

    তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সুযোগ খোলা থাকবে, অর্থাৎ যাঁরা এখনও আধার কার্ড করেননি তাঁরা আগামী মাসের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী অসম থেকে আধার কার্ড সংগ্রহ করতে না পারে। বর্তমানে অসমে আধার কার্ডের সংখ্যা ১০৩ শতাংশ। তাই এসসি, এসটি এবং চা-বাগান সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোনও প্রাপ্তবয়স্ক নতুন আবেদনকারী হলে তাঁকে অবশ্যই জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।” তিনি জানান, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে এসসি, এসটি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। যদি কেউ জেলা কালেক্টরের কাছে নতুন আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেন, তবে জেলা কালেক্টরকে স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশের রিপোর্ট ও বিদেশি ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট যাচাই করে তারপর অনুমোদন দিতে হবে।

    ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায় ষড়যন্ত্র!

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায়। এই এলাকাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে (Assam) মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করেছে। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চিকেন্স নেক অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা মূলত বাংলাদেশ বা পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছেন। এখন তাঁরা আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক হলেও, তাঁদের মধ্যে সবসময়ই তাঁদের জন্মভূমির প্রতি একটা (AADHAAR) টান রয়ে গিয়েছে। এখন বাংলাদেশের কিছু কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠন এঁদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং “স্লিপার সেল” সক্রিয় করছে। তিনি বলেন, “আমরা আগুনের ওপর বসে আছি।” যতদিন বাংলাদেশ সঙ্গে কোনও সংঘাত নেই, ততদিন সব ঠিক আছে। কিন্তু যদি কোনও সংঘাত হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে আসা এক বড় অংশের মানুষ (AADHAAR) আসলে কোন দিকে তাঁদের আনুগত্য দেখাবেন, সেটিই বড় প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী ২০ বছর অসমের (Assam) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং যে কোনও বিপদ এড়াতে খুব শক্তিশালী পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন।”

  • Swaraj Paul Demise: প্রয়াত অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পল, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Swaraj Paul Demise: প্রয়াত অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পল, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পল (Lord Swaraj Paul) ৷ পরিবার সূত্রে খবর,স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডনে এই অনাবসী ভারতীয় শিল্পপতির জীবনাবসান হয়েছে ৷ দিন কয়েক আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সেখানেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ শোকবার্তা দিয়েছেন ব্রিটেনের সংসদের উচ্চকক্ষে তাঁর সতীর্থ লর্ড ব়্যামি রেঞ্জারও ৷ স্বরাজ পল ব্রিটিশ শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্যাপারো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    স্বরাজ পালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখছেন, ‘শ্রী স্বরাজ পলজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প এবং জনসেবায় তাঁর অবদান এবং ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতি তাঁর অটল সমর্থন সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমাদের বহু আলাপচারিতার কথা আমি আন্তরিকভাবে স্মরণ করি। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।’ এই অনাবাসী শিল্পপতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া শিল্পমহলে।

    স্বরাজ পলের জীবনধারা

    ব্রিটেনে তাঁর ব্যবসায়িক জীবনের বিস্তার হলেও স্বরাজ আদতে পাঞ্জাবের জালন্ধরের বাসিন্দা। ১৯৩১ সালে সেখানেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাবা পেয়ারে লাল ছিলেন ব্যবসায়ী৷ স্টিলের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির কারখানা ছিল তাঁর৷ জলন্ধরে প্রাথমিক পঠনপাঠনের পর উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন লাহোরে৷ সেখানকার ফরমান খ্রিস্টান কলেজে পড়া শেষ করে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যান আমেরিকা৷ ম্য়াসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ডিগ্রিও পান৷ পড়া শেষে দেশে ফিরে এসে বাবার তৈরি এপিজে গ্রুপে দুই ভাই সত্য পল এবং জিৎ পলের সঙ্গে কাজ শুরু করেন ৷

    ক্যাপারো গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ-এর শুরু

    ১৯৬৬ সালে তাঁর কন্যা অম্বিকার চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে যান স্বরাজ। তবে অম্বিকাকে বাঁচানো যায়নি। কন্যার মৃত্যুর পর স্বরাজও আর ভারতে ফেরেননি। সেখানেই শুরু করেন নিজের ব্যবসা। প্রতিষ্ঠা করেন ‘ক্যাপারো গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ’। পরে তৈরি করেন অম্বিকা পল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা৷ শিশুদের চিকিৎসা-সহ নানা ব্যাপারে সাহায্য করে এই সংস্থা৷ দেশ থেকে এত দূরে থাকলেও ভারতের সঙ্গে কোনওদিন মানসিক দূরত্ব বাড়তে দেননি৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সুস্পর্কের কথা সর্বজবিদিত৷ ইংল্যান্ড গেলে ভারতের বহু বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন ৷

    সমাজসেবায় যুক্ত

    পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর সংস্থা ক্যাপারোর ৪০টি দফতর আছে ৷ উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে শুরু করে ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিজের দফতর তৈরি করেছিলেন এই প্রয়াত শিল্পপতি ৷ এখন ক্যাপরো ইন্ডিয়ার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর ছেলে আকাশ পল ৷ শুধু শিল্পপতি হিসেবে নয়, ‘হাউস অফ লর্ডস’-এর সক্রিয় সদস্য হিসাবেও পরিচিত ছিলেন স্বরাজ। বাণিজ্য, শিক্ষা বা নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে তাঁর কাজ সমাদৃত। স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে তাঁর জনহিতকর কাজ বহুল আলোচিত। এক সময় লন্ডন চিড়িয়াখানা বন্ধের কথা ওঠে, সেই সময় অনেকের মতো তা বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বরাজ। লন্ডনে ব্যবসা করলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি কখনই। ভারত এবং ব্রিটেন মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য স্বরাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

  • GST 2.0: জিএসটি-তে বড় পরিবর্তন! কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে বহু জিনিসের দাম

    GST 2.0: জিএসটি-তে বড় পরিবর্তন! কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে বহু জিনিসের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির খবর। দেশে পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি (GST) ব্যবস্থায় আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন। বর্তমান চার-স্তরীয় কর কাঠামোর বদলে দুটি প্রধান স্তরে জিএসটি আনার যে প্রস্তাব কেন্দ্র দিয়েছিল, তা গ্রহণ করেছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠী (GoM)। এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে দৈনন্দিন ব্যবহারের বহু জিনিসের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত এই মন্ত্রিগোষ্ঠী কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় দেওয়ায় জিএসটি ২.০-এর (GST 2.0) পথ প্রশস্ত হল। এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হল কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ, সরল এবং স্বচ্ছ করে তোলা, যাতে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ উভয়েরই সুবিধা হয়।

    নতুন জিএসটি কাঠামো

    জিএসটি-র এই নতুন ব্যবস্থায় মূলত দুটি করের হার থাকবে ৫% এবং ১৮%। বর্তমানে দেশে চারটি প্রধান জিএসটি হার রয়েছে: ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%। নতুন কাঠামোয় ১২% এবং ২৮% -এই দুটি স্তরকে পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে করের হিসাব রাখা এবং রিটার্ন ফাইল করা অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোন জিনিস কোন স্তরে

    যে সমস্ত পণ্যের উপর বর্তমানে ১২% হারে জিএসটি (GST 2.0) নেওয়া হয়, তার প্রায় ৯৯% জিনিসই নতুন ব্যবস্থায় ৫% করের আওতায় চলে আসবে। এর মধ্যে ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পোশাক, জুতো এবং অন্যান্য গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকতে পারে। একইভাবে, যে সমস্ত পণ্যের উপর এখন ২৮% কর বসে, তার প্রায় ৯০% জিনিসপত্র ১৮%-এর স্তরে নেমে আসবে। এর ফলে বড় টেলিভিশন, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ক্ষতিকর ও বিলাসবহুল পণ্য

    সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত পণ্যে করের বোঝা কমানো হলেও, ক্ষতিকর এবং অতি-বিলাসবহুল কিছু পণ্যের উপর বাড়তি কর চাপানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল, বিলাসবহুল গাড়ি ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন গুডস’ বা ক্ষতিকর পণ্যের উপর সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত কর বসানো হতে পারে। এর উদ্দেশ্য হল একদিকে যেমন এই সব পণ্যের ব্যবহার কমানো, তেমনই সরকারের রাজস্ব আদায়ও নিশ্চিত করা।

    সাধারণ মানুষের জীবনে কী প্রভাব

    এই প্রস্তাব আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা জিএসটি (GST Reform) কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে কেন্দ্র ও সব রাজ্যের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এই পদক্ষেপকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত “নেক্সট-জেনারেশন জিএসটি সংস্কার”-এর প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই নতুন জিএসটি ব্যবস্থা চালু হলে সাধারণ মানুষের জীবনে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। এই হার সংস্কার বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীতে কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও কর্ণাটকের মন্ত্রীরা রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই সংস্কার থেকে সম্ভাব্য রাজস্ব হ্রাস নিয়ে বেশ কিছু রাজ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই কারণে, রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দাবি করেছে। উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না বলেন, ১২% ও ২৮% করের স্তর তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে। তিনি জানান, ৫-৭টি পণ্যই মাত্র উচ্চ করের আওতায় থাকবে।

    মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও সহজ কর ব্যবস্থা

    জিএসটি-র (GST Reform) এই পরিবর্তনে দৈনন্দিন ব্যবহারের বহু জিনিসের দাম কমায় মূল্যবৃদ্ধির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। বিশেষত, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির মাসিক খরচের বোঝা কমবে। করের স্তর কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের জন্য জিএসটি রিটার্ন ফাইল করা এবং অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলা আরও সহজ হবে। এর ফলে দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হবে। দুটি মাত্র করের হার থাকায় পুরো ব্যবস্থাটি আরও স্বচ্ছ হবে এবং কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, এই সংস্কারের ফলে সাধারণ মানুষ, কৃষক, মধ্যবিত্ত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। এখন মন্ত্রিগোষ্ঠীর এই সুপারিশ জিএসটি কাউন্সিলের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেখানে সবুজ সংকেত পেলেই দেশজুড়ে চালু হবে ‘জিএসটি ২.০’, যা ভারতীয় অর্থনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

  • Election Commission: মমতার তর্জন-গর্জন টিকল না কমিশনের সামনে, সাসপেন্ড করতেই হল চার আধিকারিককে

    Election Commission: মমতার তর্জন-গর্জন টিকল না কমিশনের সামনে, সাসপেন্ড করতেই হল চার আধিকারিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলার অভিযোগ ছিল রাজ্যের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এরপরে এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নবান্নকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের সভা থেকে সপ্তম সুরে বলেছিলেন যে, কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে তিনি কোনও ব্যবস্থা নেবেন না। এরপরই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তারপরেই রাজ্যের ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হল মমতা সরকার। যে তর্জন-গর্জন মুখ্যমন্ত্রী শুনিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামে, তা আর ধোপে টিকল না নির্বাচন কমিশনের সামনে—সাসপেন্ড করতেই হল। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও করবেন মুখ্যসচিব।

    ৮ অগাস্ট চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে গত ৮ অগাস্ট চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন এবং ওই চিঠিতে (Election Commission) উল্লেখ করা হয় যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে, বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে এবং তাদেরকে সাসপেন্ড করতে হবে। এ জন্য ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল (West Bengal)। কিন্তু এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কারোর পানিশমেন্ট হতে দেব না।’’

    ১৩ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন

    পরবর্তীকালে ১৩ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে (West Bengal) দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন। তারপরেই বৃহস্পতিবার সামনে এল খবর এবং নবান্ন সূত্রে জানা গেল যে, ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সামনে মমতার অবৈধ ভোটারদের পক্ষের যে প্রতিবাদ, তা টিকল না। এখানেই উঠছে প্রশ্ন—সরকারি আধিকারিকদের নাম জড়িয়েছে যে তাঁরা অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় তুলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন যখন পদক্ষেপ করতে বলছে, তখন কেন রাজ্য সরকার তার বিরোধিতা করছিল এতদিন? কমিশনের (Election Commission) বিরুদ্ধে গিয়ে কি অবৈধ ভোটারদের তালিকায় রেখে দিতে চাইছিল নবান্ন? এ প্রশ্নও উঠছে। তবে এসবের মাঝে ওই আধিকারিকদের সরাতেই হল।

  • PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে এই সফর পুরোপুরি রাজনৈতিক নয়। দমদমে একটি জনসভায় অংশগ্রহণ এবং একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ পাটনা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছবেন। সেখান থেকে সড়কপথে তিনি যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে তিনি মেট্রো রেল-সহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    বক্তব্য রাখবেন ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’তে

    উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মেট্রো রেলে করে বিমানবন্দরে যাবেন এবং সেখান থেকে আবার যশোর রোড স্টেশনে ফিরে আসবেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর দমদম (Dumdum) সেন্ট্রাল জেল ময়দানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ওই সরকারি অনুষ্ঠান শেষ হতেই তিনি বিজেপির ‘পরিবর্তন সংকল্প সভা’-য় বক্তব্য় রাখবেন।

    একনজরে মোদির সফর – ২২ অগাস্ট, শুক্রবার

    বাংলার মাটিতে পা রাখবেন 

    বিকেল ৪:০৫ — কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)

    ৪:১০ — সড়কপথে রওনা হবেন যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে

    মেট্রো রুট উদ্বোধন

    ৪:১৫ — মেট্রোর নতুন তিনটি রুট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে। এরপর মেট্রো চড়ে যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে বিমানবন্দর (জয় হিন্দ স্টেশন) পর্যন্ত যাবেন
    ৪:৩৫ — ওই ট্রেনে চেপেই যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে ফিরে আসবেন

    সরকারি অনুষ্ঠান

    ৪:৪৫ – ৫:১৫ — দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে প্রশাসনিক মঞ্চে। একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন

    রাজনৈতিক ভাষণ

    ৫:২০ — উঠবেন বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে (প্রশাসনিক মঞ্চের পাশেই)

    ৫:৩০ – ৬:১৫ — ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’-য় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    সফর শেষ করে ফিরে যাওয়া

    ৬:১৫ — সড়কপথে কলকাতা বিমানবন্দরের (Dumdum) উদ্দেশে রওনা

    ৬:৩০ — দিল্লির উদ্দেশে বিমানে রওনা হওয়ার কথা

    যে তিনটি মেট্রো রুটের উদ্বোধন হচ্ছে:

    শিয়ালদা – এসপ্ল্যানেড

    বেলেঘাটা – হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)

    নোয়াপাড়া – জয় হিন্দ (বিমানবন্দর)

    অতিরিক্ত উদ্বোধন:

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়ে-এরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • Monsoon Illness: বর্ষার অসুখ রুখতে দাওয়াই এই ফলগুলি! বলছেন বিশেষজ্ঞরা, আপনি খাচ্ছেন তো?

    Monsoon Illness: বর্ষার অসুখ রুখতে দাওয়াই এই ফলগুলি! বলছেন বিশেষজ্ঞরা, আপনি খাচ্ছেন তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বৃষ্টিতে নাজেহাল বঙ্গবাসী! জমা জল আর একনাগাড়ে বৃষ্টির পাশপাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে অসুখ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকেই জ্বর, সর্দি-কাশি এবং পেটের সমস্যায় ভোগান্তি নিয়ে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের ভোগান্তি বেশি। জ্বর, সর্দি-কাশির পাশপাশি বমি, পেট ব্যথার মতো নানান উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এর ফলে তাদের শারীরিক ভোগান্তি বাড়ছে। পড়াশোনাও ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাগাতার বৃষ্টির জেরে বাতাসে নানান ভাইরাসের দাপট বেড়েছে। তেমনি জমা জল থেকে নানান ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক শক্তি বাড়াচ্ছে। আর এর ফলেই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ভোগান্তি বাড়ছে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি তুলনামূলক কম। তাই তাদের নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, বর্ষার অসুখকে মোকাবিলা করতে পারে বর্ষার মরশুমের ফল! তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারেই রয়েছে সুস্থ থাকার দাওয়াই। একাধিক রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে খাবার। তাই বর্ষার কয়েকটি ফল নিয়মিত মেনুতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    বর্ষার মরশুমের কোন ফলে ভরসা রাখছেন চিকিৎসক মহল?

    আনারস!

    বর্ষা মরশুমের অন্যতম ফল আনারস। চিকিৎসকেরা এই সময়ে আনারস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, আনারস শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যগুণেও ফুল মার্কস পাবে। তাই বর্ষার নানান অসুখের ভোগান্তি কমাতে আনারস খাওয়ার নিদান বিশেষজ্ঞ মহলের। তাঁরা জানাচ্ছেন, আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বর্ষায় সর্দি-কাশি সবচেয়ে বড় ভোগান্তি। তার থেকেই জ্বর হয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় এই ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এই ফল খেলে অসুখের ঝুঁকি কমে। এছাড়া আনারসে ব্রোমেলিন নামে একটি উপাদান থাকে। বর্ষার আরেক অসুখ হল পেটের সমস্যা। এই আবহাওয়ায় যেহেতু ব্যাক্টেরিয়া আর ছত্রাকের বাড়বাড়ন্ত হয়, তাই পেটের সমস্যায় অনেকেই কাবু হন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারসের এই ব্রোমেলিন উপাদান পেটের অসুখ কমাতে সাহায্য করে। আবার হজম শক্তিও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও আনারস ম্যাঙ্গানিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তাই এই ফল খেলে হাড়ের রোগের ঝুঁকিও কমে।

    মুসাম্বি লেবু!

    বর্ষার সময়ে বাজারে দেদার পাওয়া যায় মুসাম্বি লেবু। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষার ভোগান্তি কমাতে এই ফলের উপকারিতা প্রচুর। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল সপ্তাহে অন্তত তিন দিন খাওয়া উচিত। এই ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার বর্ষায় বহু মানুষ চামড়ার রোগে আক্রান্ত হন। ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া কিংবা যে কোনও ছত্রাকের সংক্রমণের মতো সমস্যাও এই ঋতুতে দেখা যায়। নিয়মিত মুসাম্বি লেবু খেলে ত্বক ভালো থাকে। ত্বক উজ্জ্বল হয়। আর যে কোনও চর্মরোগের ঝুঁকি কমে। পাশপাশি এই সময়ে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মুসাম্বি লেবুতে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। এই উপাদান হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া টানা বর্ষায় অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মুসাম্বী লেবু মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। মুসাম্বি লেবুর গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল খেলে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকিও কমে। দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে।

    বেরি!

    বর্ষার বিপত্তির পাশপাশি একাধিক জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ মোকাবিলার দাওয়াই হিসাবেও বেরিতে ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি কোষগুলো সজীব থাকে। এর ফলে যে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তবে এর পাশপাশি সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেরি নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ও বেরি বিশেষ উপকারি। তাছাড়া বেরি স্নায়ু ও কোষের উপরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে তাই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও বাড়ে। শরীরে ক্লান্তি বোধ হয় না। তাই এই আবহাওয়ায় নিজেকে সক্রিয় রাখতে ও দৈনন্দিন কাজ ঠিকমতো করতে নিয়মিত বেরি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    পেয়ারা!

    বাঙালির অতি পরিচিত ফল পেয়ারা। আর এই ফলেই রয়েছে একাধিক ভোগান্তি রুখতে পারার শক্তি। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে একাধিক রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেয়ারা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়ে। লিভার ভালো থাকে। পেয়ারা শরীরকে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে আটকে রাখতে পারে। তাই নিয়মিত একটা পেয়ারা খেলে শরীরের স্থূলতার সমস্যা কমতে থাকে। পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তাই ঋতুকালীন ভোগান্তি কমানোর পাশপাশি পেয়ারা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়‌। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Kaushiki Amavasya: আজ কৌশিকী অমাবস্যার নিশিপালন, এই বিশেষ তিথিতে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা

    Kaushiki Amavasya: আজ কৌশিকী অমাবস্যার নিশিপালন, এই বিশেষ তিথিতে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা, সেটাই কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya) নামে পরিচিত। আজ, শুক্রবার ২২ অগাস্ট (বাংলা ১৪৩২ সালের ৫ ভাদ্র) কৌশিকী অমাবস্যা। এদিন তিথি শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে। সেই হিসেবে শুক্রবারই অমাবস্যার নিশিপালন। অমাবস্যা তিথি শেষ হবে শনিবার ২৩ অগাস্ট। সেদিন সকাল ১২টা ২২ মিনিটে অমাবস্যা ছাড়ছে। কথিত আছে, এই কৌশিকী আমাবস্যার রাতে তারাপীঠের মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল গাছের নীচে সাধনা করে মা তারার দর্শন পেয়ে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। সেই উপলক্ষে প্রতি বছর এই দিনটিতে কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয় তারাপীঠে। তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। অপ্রতিকর ঘটনা আটকাতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তায় নিযুক্ত থাকবেন পুলিশের ৫০০ আধিকারিক-সহ ১৫০০ জন পুলিশকর্মী এবং ২০০০ সিভিক কর্মী।

    পৌরাণিক কাহিনি

    এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। মার্কণ্ডেয় পুরাণ সূত্র থেকে জানা যায়, মহাপরাক্রমী দৈত্য ভ্রাতৃদ্বয় শুম্ভ ও নিশুম্ভ ব্রহ্মাদেবের পরম ভক্ত ছিলেন। সাধনায় তুষ্ট ভগবান ব্রহ্মা ওদের বর দিয়ে বলেন, তোমরা ত্রিভুবনে অবধ্য হবে। তবে কখনও যদি কোনও অযোনিসম্ভবা নারীর সঙ্গে তোমাদের সংঘাত ঘটে তবে ওই নারীর দ্বারাই তোমরা নিহত হবে। এই কথাগুলি স্মরণে রেখো। ব্রহ্মার বরে বলীয়ান শুম্ভ নিশুম্ভ ভাবল ত্রিভুবনে এমন কোনও নারীই জন্মাতে পারে না যে মাতৃগর্ভজাত নয়। অতএব তারা অমর, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। এরপর দানব ভ্রাতৃদ্বয় প্রথমেই স্বর্গরাজ্য আক্রমণ করল। ভীত দেবকুল তখন শুম্ভ-নিশুম্ভর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দেবাদিদেব মহাদেবের শরণাপন্ন হয়।

    দেবী কৌশিকীর জন্ম…

    মহাদেব (Lord Shiva) ঠাট্টার ছলে ঘোর কৃষ্ণবর্ণা পার্বতীকে (Goddess Parvati) ডেকে বলেন, ‘হে কালিকে, তুমি এই বিপদ থেকে দেবতাদের রক্ষা করো।’ জনসমক্ষে পতিমুখে কালিকে সম্বোধন শুনে দেবী পার্বতী অত্যন্ত মর্মাহত হন। তৎক্ষণাৎ মানস সরোবরে গিয়ে নিজেকে অভিষিক্ত করে নিজ গাত্রের সকল কৃষ্ণবর্ণ কোষগুলিকে পরিত্যাগ করে এক অসামান্যা সুবর্ণ রূপ ধারণ করে পুনঃপ্রকটিতা হন। অন্যদিকে, পার্বতীর ফেলা শরীরকোষ থেকে আর এক দেবী আবির্ভুত হন। সেই দেবী কৌশিকী নামে পরিচিত। দেবী কৌশিকীর আবির্ভাবের পর দেবী ভগবতী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন এবং দেবী কালিকা বা কালী নামে পরিচয় লাভ করেন। দেবী কৌশিকী অযোনিসম্ভবা ছিলেন, সেই কারণে কৌশিকী দেবীই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে দেবী কৌশিকীর শরীর থেকে হাজারও যোদ্ধা সৃষ্ট হয় এবং তারাই সমগ্র অসুরকুলকে বিনাশ করে দেয়। এই ঘটনাটি ভাদ্র অমাবস্যায় ঘটায়, পরবর্তীকালে এটি কৌশিকী অমাবস্যা নামে ধরাধামে খ্যাত হয়।

    বিশ্বাস, তন্ত্রমত ও শাস্ত্র মতে পুজো

    ভাদ্র মাসের এই কৌশিকী অমাবস্যা তিথি যে সকল মানুষ ধর্ম, তন্ত্র, মন্ত্র, সাধনা এবং ঈশ্বর বিশ্বাসী তাদের কাছে বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ। কৌশিকী অমাবস্যার সঙ্গে তারাপীঠের অঙ্গাঅঙ্গি সম্পর্ক। বিশ্বাস, তন্ত্রমতে ও শাস্ত্র মতে ভাদ্রমাসের এই বিশেষ তিথিতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে দেবীর পুজো করলে মেলে সুফল। তন্ত্রশাস্ত্র মতে গুপ্ত সাধনা ও কঠিন সাধনার বলে অনেকেই এই বিশেষ দিনে কাঙ্খিত ফল পান। কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের৷ তন্ত্র মতে, এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়। বিশ্বাস, এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধিলাভ করেন।

    বামাক্ষ্যাপাকে দর্শন দিয়েছিলেন মা তারা

    আবার কৌশিকী অমাবস্যার এই তিথিতে তন্ত্র সাধনার এক বিশেষ রাতে। কথিত আছে, ওই অমাবস্যা তিথিতেই সাধক বামাক্ষ্যাপাকে দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে তারাপীঠ (Tarapith) মহাশ্মশানে দর্শন দিয়েছিলেন। অমাবস্যার এই বিশেষ তিথিতে সাধক বামাক্ষ্যাপা (Sadhak Byamakhyapa) তারাপীঠের মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল গাছের তলায় মা তারার (Tara Maa) আরাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। লোকমুখে প্রচলিত কাহিনি সূত্রে শোনা যায়, দেবী কৌশিকী ‘তারা’ নামে ওই বিশেষ অমাবস্যায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে বিরাজিতা থাকেন। সেই কারণে তারাপীঠ মহাশ্মশানে ওই দিন লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাবেশ ঘটে। ভক্তগণের বিশ্বাস, ওই দিন মাকে পুজো করলে মা ভক্তগণের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে দেন।

    দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয়

    দেবী কৌশিকী এবং তারা মা অভিন্ন বলে বিশ্বাস ভক্তদের। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় এবং কুম্ভস্নান করা হয়। বিশেষ এই তিথিতে তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো করলে সকল মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন। কৌশিকী অমাবস্যার দিন বাড়ি রাখুন পরিচ্ছন্ন। পুরনো ছেঁড়া কোনও জামাকাপড় থাকলে তা ফেলে দিন। সন্ধ্যের পর বাড়ির তুলসী মঞ্চে তিলের প্রদীপ জ্বালালে তা সংসারে কোনও নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে দেয় না। এই তিথি কেবলমাত্র হিন্দুশাস্ত্রে নয়, বৌদ্ধ শাস্ত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

  • Daily Horoscope 22 August 2025: অযথা অর্থ ব্যয় হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 August 2025: অযথা অর্থ ব্যয় হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শুধু শরীর সম্পর্কে আজ আপনাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) রোজগার অনেকটাই বাড়বে, নিশ্চিত থাকুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ অনুকূল থাকছে।
    বৃষ
    ১) অর্থলাভের পক্ষে দিনটি আপনার ভালোই কাটতে চলেছে।
    ২) অপ্রত্যাশিত অর্থলাভের যোগও দেখা যাচ্ছে আজকে।
    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে দিনটি আনন্দে কাটাবেন।
    মিথুন
    ১) শারীরিক ও মানসিক উৎকণ্ঠা আজ আপনাকে পোহাতে হবে।
    ২) কর্মক্ষেত্রেও থাকবে ঝঞ্ঝাট ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ।
    ৩) অর্থলাভের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হবেন, অন্যদিকে ব্যয়ও বাড়বে।
    কর্কট
    ১) গৃহে বা বন্ধু স্থানীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে মনোমালিন্যের সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে।
    ২) নিজের কোনও গুণের জন্য সমাজের কাছে সমাদর পাবেন।
    ৩) মানসিক অশান্তি ও দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি হবে আজ।
    সিংহ
    ১) উল্টোপাল্টা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বেন, এর ফলে মানসিক শান্তি নষ্ট হতে পারে।
    ২) শারীরিক দিক থেকেও দিনটি ভালো যাবে না, অস্বস্তি বোধ করবেন কোনও কারণে।
    ৩) সতর্ক থাকুন, কারও সাথে অযথা বাদানুবাদ সৃষ্টি হতে পারে।
    কন্যা
    ১) দিনটা খারাপ ভালো মিশিয়েই কাটবে।
    ২) শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে অস্বস্তি আজ আপনাকে বয়ে চলতে হবে।
    ৩) পূর্ব পরিচিত কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে সাক্ষাৎলাভ হবে।
    তুলা
    ১) ছোটখাট ঘটনায় সাময়িক উদ্বেগ হবে, তবে তা ক্ষণস্থায়ী, বাকি দিনটা আনন্দেই কাটবে।
    ২) অপ্রত্যাশিতভাবে অর্থলাভের যোগ রয়েছে আজ।
    ৩) গৃহে অতিথির আগমন হবে, এর ফলে ব্যয় বৃদ্ধি হবে।
    বৃশ্চিক
    ১) আর্থিক দিক থেকে দিনটি শুভ।
    ২) সতর্ক থাকতে হবে, কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ কোনও ঝামেলা ও নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    ৩) শারীরিক সুখ নষ্ট হবে, কোনও রোগের কারণে।
    ধনু
    ১) কোনও শুভ প্রচেষ্টার পক্ষে দিনটি মোটেও ভালো নয়, তাই বিরত থাকুন।
    ২) আয় ও আর্থিক ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই আজকে।
    ৩) বাহ্যিক আনন্দ প্রকাশ পাবে, তবে পুরনো কোনও কারণে মনের দিক থেকে চাপা গুমোট ভাব থাকবে।
    মকর
    ১) কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ কোনও ঝামেলা আজকে আপনাকে মোকাবিলা করতে হবে।
    ২) শরীর আপনাকে বিপাকে ফেলতে পারে। তবে আয়ের ক্ষেত্রে শুভ দিন।
    ৩) তুলনামূলকভাবে ব্যবসায়ীদের আয় বাড়বে।
    কুম্ভ
    ১) অযথা অর্থ ব্যয় হবে আজকে।
    ২) কোনও পূর্ব পরিকল্পনা করে থাকলে তা হঠাৎ বানচাল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
    ৩) নিজ ভুলে অর্থহানির যোগ রয়েছে।
    মীন
    ১) পূর্বের কোনও ঘটনার জেরে ফের মানসিক আঘাত পেতে পারেন।
    ২) আইন সংক্রান্ত যে কোনও ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।
    ৩) কর্মক্ষেত্র ও আর্থিক ব্যাপারে আজকের দিনটা ভালোই কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share