Pakistan: বেলআউট প্যাকেজ পেতে ‘কঠোর’ পদক্ষেপ করতে চলেছে পাকিস্তান!

pakistan_crisis

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF) থেকে এ পর্যন্ত ১৪ বার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। তবে তার একটিও শোধ করেনি ইসলামাবাদ। দেশের আর্থনীতির হাঁড়ির হাল। জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। কমেছে পাকিস্তানি রুপির মূল্যও। ডলারের মূল্যের ১২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে এক ডলারের মূল্য ২৫০ পাকিস্তানি রুপির সমান। দেশের অর্থনীতির এই করুণ দশায়ও পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। পাকিস্তানকে দেওয়া ১.১ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি বন্ধ করে দিয়েছে আইএমএফ। দেশের অর্থনীতির হাল এমনই যে ক্রমেই ঋণখেলাপির দিকে এগোচ্ছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি।

অর্থনীতির হাঁড়ির হাল…

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় ক্রমেই কমছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে রয়েছে ২.৯ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের এই চরম দুর্দশার দিনেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার ইসলামাবাদকে বেলআউট (Bail Out) প্যাকেজ দিচ্ছে না। অথচ এই মুহুর্তে এই বেলআউট প্যাকেজের খুব প্রয়োজন শাহবাজ শরিফের দেশের। তলানিতে ঠেকে যাওয়া দেশের অর্থনীতি যাতে একেবারে ভেঙে না পড়ে, তাই প্রয়োজন বেলআউট প্যাকেজের। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে পাকিস্তান (Pakistan) কর আরোপ করতে চলেছে। কর বাবদ দেশটি ১৭০ বিলিয়ন তুলতে চাইছে।

আরও পড়ুুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মোদির ওপরই ভরসা হোয়াইট হাউসের

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার বলেন, ঋণ শোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে দেশ একটি টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশানসের একটি মেমোরান্ডাম পেয়েছে। বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে দুই দেশই আলোচনা চালাচ্ছে। গত দশ দিন ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর ইসলামাবাদ ছেড়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের প্রতিনিধি দল। তার পরেও সুরাহা হয়নি। এর পর হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনা।

পক্ষকাল আগে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছিলেন, ক্ষমতাসীন পিডিএম জোট তার দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক কেরিয়ার বলি দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ঋণ কর্মসূচি পুনরুজ্জীবিত করতে আন্তর্জাতিক মুদ্র তহবিলের কঠোর শর্ত মেনে নিতে প্রস্তত। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, কয়েকটি ক্ষেত্রে আর্থিক সংস্কার জরুরি। এটা করতে হবে পাকিস্তানের স্বার্থেই। দেশের অর্থনীতির এই করুণ দশার জন্য পাকিস্তানের (Pakistan) তেহরিক-ই-ইনসাফ পরিচালিত সরকারকে দুষেন তিনি। এর পরেই তিনি বলেন, এই সংস্কার যন্ত্রণাদায়ক, তবে জরুরি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share