PFI: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

PFI

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে চায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। এই ধরনের ভাবধারায় বিশ্বাসী সংগঠনের কাজকর্ম মেনে নেওয়া যায় না। তারা নানা ধরনের অশান্তির ঘটনায় যুক্ত ছিল। সংগঠনটি শরিয়তি শাসন ব্যবস্থা কায়েমের পক্ষে। এই ভাবধারা প্রচারের জন্য তারা অর্থ সংগ্রহ করে। এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-র (NIA) পেশ করা চার্জশিটে।

পিএফআই-এর কিলার স্কোয়াড

ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র (Islamic Country) বানানোর লক্ষ্যেই ‘কিলার স্কোয়াড’ বা ‘সার্ভিস টিম’ তৈরি করছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। ২০৪৭ সালের মধ্যেই ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চায় পিএফআই। বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ২০২২ সালের ২৬ জুলাই দক্ষিণ কর্ণাটকের সুলিয়া জেলায় প্রভীন নেত্রু নামে এক বিজেপি কর্মী খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পিএফআই-এর প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে দাবি এনআইএ-র। এনআইএ-র চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘পিএফআই-এর কর্মীরা সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ এবং টার্গেট কিলিং-এর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদেরকে পরিচালনা করত এই মুসলিম কট্টরপন্থী সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব।’ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।এনআইএ-র চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, পিএফআই-র একটি মিটিং হয় বেঙ্গালুরুর সুলিয়া শহর এবং বেলারি গ্রামে। সেই মিটিং-এ জেলা সেবা দলের প্রধান মুস্তফা পাচার নির্দেশ হিন্দু ধর্মের কোনও নেতাকে টার্গেট করা হয়। সেই লক্ষ্যেই খুন হন প্রভীন নেত্রু।

আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

এনআইএ জানায়, মোট চারজনকে টার্গেট করে পিএফআই। এই তালিকায় নাম ছিল বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য প্রভীন নেত্রু। গতবছরের ২৬ জুলাই অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে হত্যা করা হয় শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য। জানা যাচ্ছে, মোট ২০ জন পিএফআই সদস্যের নাম রয়েছে ওই চার্জশিটে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মুস্তফা পাচার, মাসুদ কেএ, কোদাজি মহম্মদ শরিফ, আবু বক্কর সিদ্দিকী, উমর ফারুখ। এর পিছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মদত রয়েছে বলে ইতিপূর্বে একাধিক মামলায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share