Ramakrishna 362: নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন, ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া শুনিতেছেন

https://madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-354th-copy

এইবার গিরিশ ঘরে আসিয়াছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- হ্যাঁগা, আমার কথা সব তোমরা কী করছিলে? আমি খাই দাই থাকি।

গিরিশ- আপনার কথা আর কী বলব! আপনি কি সাধু? (Kathamrita)

শ্রীরামকৃষ্ণ- সাধু সাধু নয়, আমার সত্যিই তো সাধু বোধ নাই (Ramakrishna)।

গিরিশ- ফচকিমিতেও আপনাকে পারলুম না।

শ্রীরামকৃষ্ণ- আমি লাল পেড়ে কাপড় পরে জয় গোপাল সেনের বাগানে গিয়েছিলাম। কেশব সেন সেখানে ছিল। কেশব লাল পেড়ে কাপড় দেখে বলল, আজ বড় যে রং। লাল পাড়ের বাহার। আমি বললুম, কেশবের মন ভোলাতে হবে তাই বাহার দিয়ে এসেছি।

এইবার আবার নরেন্দ্রের গান হইবে। শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারকে তানপুরাটি পাড়িয়া দিতে বলিলেন। নরেন্দ্র তানপুরাটি অনেকক্ষণ ধরিয়া বাধিতেছেন ঠাকুর ও সকলে অধৈর্য হইয়াছেন।

বিনোদ বলিতেছেন, বাঁধা আজ হবে গান আর একদিন হবে। (সকলের হাস্য)

শ্রীরামকৃষ্ণ হাসিতেছেন আর বলিতেছেন, এমনি ইচ্ছে হচ্ছে যে তানপুরাটা ভেঙে ফেলি। কী টিং টং আবার তানা নানা নেড়ে নুম হবে।

ভাবনাথ- যাত্রার গোড়ায় অমনি বিরক্তি হয়।

নরেন্দ্র- (বাঁধিতে বাধিতে) সে না বুঝলেই হয়।

শ্রীরামকৃষ্ণ- ওই আমাদের সব উড়িয়ে দিলে (Ramakrishna)।

(নরেন্দ্রর গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবাবেশ- অন্তর্মুখ ও বহির্মুখ-স্থির জল ও তরঙ্গ)

নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া শুনিতেছেন। নিত্য গোপাল প্রভৃতি ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া শুনিতেছেন।

১. অন্তরে জাগিছো ওমা অন্তর যামিনী
কোলে করে আছো মোরে দিবস যামিনী

২. গাওরে আনন্দময়ীর গান
ওরে আমার একতন্ত্রী প্রাণের আরাম

৩.নিবিড় আঁধারে মা তোর চমকে ও রূপরাশি
তাই যোগী ধ্যান ধরে হয়ে গিরিগুহা বাসি

ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া নিচে নামিয়ে আসিয়াছেন ও নরেন্দ্রর কাছে বসে আছেন ভাবাবিষ্ট হইয়া কথা কহিতেছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ- গান গাইব থু থু! (নিত্য গোপালের প্রতি) তুই কি বলিস উদ্দীপনের জন্য শুনতে হয়? তারপর কী হল আর কী গেল

আনন্দ রসে মগ্ন হওয়া নিয়ে কথা (Ramakrishna)।

গান গাইব আচ্ছা গাইলেও হয়। জল স্থির থাকলেও জল আর হেলে দুললেও জল।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share