Narendra Modi: ভোটের আশা না করেই মুসলিমদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ান! বিজেপি কর্মীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

একে অপরের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মিলিত হওয়া উচিত
modi
modi

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ম নয়, উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ২০২৪ লোকসভা ভোটে জিতে আসতে হবে। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের কর্মীদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর ৪০০ দিন। এই আবহে ভোটের আশা না করেই বিজেপি কর্মীদের মুসলিমদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "বিজেপি এখন আর শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এটি একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। অমৃত কালকে কর্তব্য কালে রূপান্তরিত করার জন্য সমাজের সকল মানুষকে এক সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।"

মুসলিম ভোটে জোর

২০১৪ সালে প্রথম বার দিল্লির মসনদে বসেছিলেন মোদি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এ বার লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। লোকসভার আগে চলতি বছরেই তেলঙ্গনা,কর্ণাটকের মতো রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে মুসলিম ভোটাররা বড় ফ্যাক্টার। তাই মুসলিম তথা সংখ্যালঘু ভোটকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের নেতা-কর্মীদের শিক্ষিত মুসলিমদের কাছে পৌঁছনোর কথা বলেন। তাঁদের সামনে উন্নযনের লেখচিত্র তুলে ধরার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

ঐক্যের বার্তা

পাশাপাশি মুসলিমদের উদ্দেশ্য কোনওরকম কু কথা-আক্রমণ করা যাবে না বলেও দলীয় কর্মীদের বারবার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগী আদিত্যনাথ থেকে প্রজ্ঞা ঠাকুর,নুপুর শর্মা সহ বিজেপির নেতা,মন্ত্রী প্রকাশ্যে বারবার মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করেছেন। তাতে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করেন মোদি। বিজেপির এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বিজেপি কর্মীদের ভোটের আশা না করেই পাসমান্ডা মুসলিম, বোহরা সম্প্রদায়, পেশাদার এবং শিক্ষিত মুসলিমদের সঙ্গে দেখা করার আহ্বান জানান।'কর্মী-সমর্থকদের অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে মন্তব্য করতেও নিষেধ করেন মোদি। সম্প্রতি বিজেপির একাধিক নেতা 'অপ্রাসঙ্গিক' বিষয় নিয়ে আলপটকা মন্তব্য করেছেন। তাতে আখেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। মোদির বার্তা, এই সব বিতর্কের জেরে দলের প্রচার ধাক্কা খেয়েছে। ওই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি সামনে চলে আসছে। বিজেপির উন্নয়নের প্রচার পিছনের দিকে চলে যাচ্ছে। 'এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত'-এই নীতির অধীনে, সমস্ত রাজ্যের একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত এবং একে অপরের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মিলিত হওয়া উচিত, বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles