মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চায় বায়ুসেনা। পুরনো মিগ সিরিজের বিমানগুলিকে বসিয়ে দিয়ে আধুনিক ফাইটার জেট ব্যবহার করতে আগ্রহী ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি নতুন যুদ্ধবিমান কিনতে চায় বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রক ও বায়ুসেনার সঙ্গে সুখোই-৩০ ও আরও আধুনিক এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধবিমান নিয়ে কথা বলতে শীঘ্রই ভারতে আসছে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিরক্ষা শিল্প নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া চুক্তির জন্যই দিল্লি আসার কথা ওই দলের।
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, অতি দ্রুত ১১৪টি যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিমান নিয়ে চুক্তি করতে বোয়িং, লকহিড মার্টিনের মতো মার্কিন সংস্থা, রাশিয়ার ইউনাইটেড এয়ারক্র্যাফট এবং সাব-এর মতো সংস্থা আগ্রহী। এই সব সংস্থা এর আগেও মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (এমএমআরসিএ) টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। একাধিক সংস্থা ইতিমধ্যেই নানা ‘অফার’ নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। রাশিয়া সরকারের সঙ্গেও কয়েক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে সব প্রস্তাব এবং পরিকল্পনাই খতিয়ে দেখছে সরকার।
আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের ভারতে আসা বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। রাশিয়ার ইউনাইটেড এয়ারক্র্যাফটের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের কথায়, তাঁরা ভারতের সঙ্গে নয়া চুক্তি করতে আশাবাদী। তাঁরা Sukhoi-30 MKI ফ্লিটের আপগ্রেডেড রূপ নিয়ে কথা বলতে চায়। এই প্রস্তাবিত আপগ্রেডেড রূপে আরও ভাল রাডার, শক্তিশালী অস্ত্র প্যাকেজ, একটি নতুন ককপিট সিস্টেম-সহ আরও অনেক কিছু রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুখোই গোত্রের সব যুদ্ধবিমানই রাশিয়ায় তৈরি। তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী শ্রেণিগুলির অন্যতম হল সুখোই-৩০। ভারতীয় বিমানবাহিনী এই সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানই ব্যবহার করে। এই ফাইটার জেটে রয়েছে ক্যানার্ড নামে অতিরিক্ত দুটি ডানা। এই ক্যানার্ড যুদ্ধবিমানের গতি ও ভারসাম্য দারুণভাবে চালকের নিয়ন্ত্রণে রাখে। থ্রাস্ট-ভেক্টর কন্ট্রোল নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে সুখোই-৩০ বিমানে। সেই ব্যবস্থা বিমানের অভিমুখ নিয়ন্ত্রণে খুব দক্ষ। থ্রাস্ট-ভেক্টরিং-এর সুবাদে কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এত দ্রুত এগিয়ে যায় সুখোই-৩০ যে তাকে তাড়া করা অপেক্ষাকৃত পুরনো দিনের যুদ্ধবিমানের পক্ষে খুব কঠিন।
+ There are no comments
Add yours