মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সহকর্মীর গুলিতে মৃত্য়ু হল তিন পুলিশকর্মীর। সোমবার এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। ঘটনার পর আত্মসমর্পণ করেন প্রবীণ রাই (Prabin Rai) নামে ওই অভিযুক্ত জওয়ান। তাঁর দাবি, স্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করার জেরে তিনি রেগে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। যদিও, সবদিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে মাকে অপহৃত হওয়ার ফোন মার্কিন যুবতীর, পরে বেরোল আসল সত্য!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ও তাঁর সহকর্মীরা সকলেই ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান। চারজনই মোতায়েন ছিলেন উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিনী এলাকায় হায়দারপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে কোয়ার্টারে প্রবেশ করেন অভিযুক্ত প্রবীণ রাই। আচমকা, নিজের ইনস্যাস রাইফেল থেকে তিনজনকে লক্ষ্য করে সাত থেকে আটটি গুলি চালান প্রবীণ। দিল্লি পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। পরে, হাসপাতালে মৃত্যু হয় তৃতীয়জনের। গুলি চালানোর পর অভিযুক্ত পুলিশকর্মী নিজেই আত্মসমর্পণ করেন। এরপর দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
স্পেশ্যাল কমিশনার পুলিশ দীপেন্দ্র পাঠক (Dependra Pathak) জানিয়েছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অভিযুক্ত দাবি করেন, তাঁর স্ত্রীর নামে অশালীন কথা বলেছিলেন সহকর্মীরা। ফলে তাঁর ওপর মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়েছিল। আর তখনই মেজাজ হারিয়ে প্রবীণ তিন সহকর্মীর দিকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালিয়ে দেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, চতুর্থ এক সহকর্মীকেও গুলি করার চেষ্টা করেছিলেন প্রবীণ। কিন্তু, তিনি কোনওক্রমে পেছনের জানলা দিয়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান।
আরও পড়ুন: শ্রীনগরে হামলার দায় নিল আইএস! জঙ্গিদের নিশানায় নিরাপত্তারক্ষীরা
নিহতরা হলেন পিন্টো নামগ্যাল ভুটিয়া (Pinto Namgyal Bhutia), ইন্দ্রলাল ছেত্রী (Indra Lal Chhetri) এবং ধানহাং সুব্বা (Dhanhang Subba)। ডেপুটি কমিশনার প্রণব তায়াল (Pranab Tayal) জানিয়েছেন, গুলি চালানোর খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে দেখেন দুজন পড়ে রয়েছেন ঘরে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আরেকজন পড়েছিল বাথরুমে।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত প্রবীণ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীকে প্রায়ই কটূক্তি করতেন সহকর্মীরা। তাঁর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক খারাপ ছিল। কয়েকদিন আগেই তিনি বাড়ি থেকে এসেছেন। ঘরে ফিরে সেদিন ফোন করেন স্ত্রীকে। কিন্তু, স্ত্রী ফোন তোলেননি। এই নিয়ে সহকর্মীরা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করলে রেগে গিয়ে তিনি গুলি চালিয়ে দেন।
এই পুরো ঘটনাটিই চমকে দিয়েছে পুলিশ সহ সাধারণ মানুষকে। প্রবীণকে হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।
+ There are no comments
Add yours