SSC Recruitment Scam: চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

Ankita-Adhikary-Cal-HC

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment scam) মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি গেল রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতার। তাঁকে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। পাশাপাশি, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’টি কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে বেতনের টাকা, নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বেতন বাবদ পাওয়া সমস্ত টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। 

অঙ্কিতা (Ankita Adhikary) কোচবিহারের (Coochbehar) মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাবার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে শিক্ষকতার চাকরি (Teachers recruitment scam) নেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেছিলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar) নামে এক এসএসসি (SSC) পরীক্ষার্থী । অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, নিজেকে শিক্ষক হিসাবেও পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশ, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রায় ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে। প্রথম কিস্তি দিতে হবে ৭ জুন। দ্বিতীয় কিস্তির তারিখ ৭ জুলাই।

আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

পরেশ অধিকারীর মেয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অঙ্কিতার নাম ওঠে। অভিযোগ, মেরিট লিস্টের প্রথম কুড়ি জনের তালিকায় নাম না থাকা অঙ্কিতাকে দ্বিতীয় তালিকার একেবারে প্রথমে নিয়ে আসা হয় ‘অবৈধ’ ভাবে।

স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। এবং এই মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর। মেধাতালিকার ২০ নম্বরে ছিলেন ববিতা। কিন্তু, মামলাকারীর চেয়ে ১৬ নম্বর কম পেয়েও পরেশ-কন্যাকে অবৈধভাবে প্রথম স্থান দেওয়া হয়। এর ফলে, মামলাকারী সেই তালিকা থেকে ছিটকে যান। ববিতা চাকরির সুযোগ হারান।

আরও পড়ুন: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, গোটা বিষয়টি শুনে মনে হচ্ছে অঙ্কিতা অধিকারীর মাথায় কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তির অদৃশ্য হাত ছিল। এখানে দুর্নীতি হয়েছে মনে হচ্ছে। নইলে এ ভাবে একজন প্রার্থীকে মেধা তালিকায় আমদানি করে তাঁকে প্রথম স্থানে বসানো যায় না।

সম্প্রতি ঘটনাটির কথা আদালতকে জানিয়েছিলেন এসএসসির সদ্য ইস্তফা দেওয়া চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এর পরেই অঙ্কিতার বাবা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজির হতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় এসে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের (CBI) দফতরে হাজির হন মন্ত্রী পরেশ। কিন্তু, জেরায় সন্তুষ্ট হয়নি তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার সকালে তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অঙ্কিতাকে নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ আসে পরেশের জেরা চলাকালীনই।

আরও পড়ুন: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share