Tag: বাংলা খবর

  • Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘‘পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিই ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম’’, লোকসভায় বড় বিবৃতি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শ্রীনগরে হওয়া ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হামলার ৩ জঙ্গিকেই খতম করেছে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার সংসদে এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ করে শাহ এও জানিয়ে দেন, নিহতরা পাকিস্তানের বাসিন্দা এবং তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রও বিদেশি।

    সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে শুরু হয়েছে পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। সেখানেই মঙ্গলবার, লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমত শাহ বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত তিন জঙ্গি সোমবার সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম হয়েছে। এই তিন জঙ্গির নাম সুলেমান, আফগান এবং জিবরান। এই সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ের হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল।’’

    ‘‘ভেবেছিলাম তাঁরা খুশি হবেন’’, বিরোধীদের তোপ শাহের

    সোমবার সোমবার ৩ জঙ্গি নিকেশের পরেও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তোলে, এরাই কি পহেলগাঁও হামলার তিন জঙ্গি? এদের পাকিস্তানি হওয়ার প্রমাণ কী? এই নিয়ে মঙ্গলবার বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম তাঁরা পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুর খবর পেয়ে খুশি হবেন। কিন্তু দেখলাম তাঁরা বিষয়টি নিয়ে খুশি নন। বরং হতাশ হয়েছেন।” এর সঙ্গেই অমিত শাহ যোগ করেন, নিহত তিন জঙ্গি যে পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রথমে জঙ্গিদের খাবার জোগানোর অভিযোগে আটক ব্যক্তিদের দেখানো হয়। তারা সকলেই জঙ্গিদের দেহ শনাক্ত করেছে।

    জঙ্গিদের বন্দুক-গুলি যায় ফরেন্সিক পরীক্ষায়

    এছাড়া, জঙ্গিদের থেকে পহেলগাঁও হামলায় ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের প্যান্টের পকেট থেকে মিলেছে পাকিস্তানি চকোলেট।  জঙ্গিদের ডেরা থেকে তাঁদের ভোটার কার্ড-সহ অন্যান্য পরিচয়পত্রও মিলেছে। তাতে জানা গিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই পাকিস্তানের বাসিন্দা। তাতেও থেমে থাকেনি সরকার। নিহত জঙ্গিদের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়। সোমবারের সেনা অপারেশনে যে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের ব্যবহৃত বুলেটের খোল এবং বন্দুক উদ্ধার করে সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য চণ্ডীগড়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। মিলিয়ে দেখা হয় পহেলগাঁও হামলার ব্যালিস্টিক রিপোর্টের সঙ্গে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পরেই তিন জনের পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হয় কেন্দ্র।

  • BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালিদের ওপর নির্যাতন নিয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যা অভিযোগ ফাঁস হয়ে যেতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিল বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দাবি, মমতার মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন?

    বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার আড়ালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল যে কতটা নোংরা রাজনীতি করে চলেছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। মুখোশ খসে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়ো ন্যারেটিভের। আরও একবার প্রকট হল তৃণমূলের উস্কানিমূলক ও মিথ্যাচারে ভরা বিদ্বেষমূলক নীতি। রবিবার, মমতা একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন, আধার যাচাইয়ের নামে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর নির্যাতন করছে দিল্লি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে মারধর করছে দিল্লি পুলিশ।

    কী অভিযোগ ছিল?

    মমতার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর দেড় বছরের শিশু ও স্ত্রীকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আক্রান্ত মহিলা দাবি করেছিলেন, সাধারণ পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর ঘরে এসে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এর পর তাঁকে ও তাঁর শিশুসন্তানকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর দেড় বছরের শিশুসন্তানকে কোল থেকে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। যার জেরে আহত হয় শিশুটি। এর পর ওই মহিলার স্বামী ২৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের মুক্ত করেন।

    কী বলল দিল্লি পুলিশ?

    সোমবার, মমতার তোলা যাবতীয় দাবিকে ‘‘ভুয়ো’’ বলে উড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। সংবাদমাধ্যমকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার”। আরও জানানো হয়, শাজনুর পারভিন নামে মহিলা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করে দেন পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেন, “স্থানীয় গোয়েন্দার মাধ্যমে সেই ভিডিওর ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষানিরিক্ষাও করা হয় এবং সেই ভিত্তিতেই একাধিক প্রমাণ জড়ো করে তদন্তকারী দল।”

    ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা…

    দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিকের দাবি, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো তাঁর বাসস্থানের কাছাকাছি বিভিন্ন গলিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সঙ্গে ২ সন্তান। ফলে, বিবরণের সঙ্গে ছবি না মেলায় সত্যতা জানতে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় ওই মহিলা স্বীকার করেন, মালদার চাঁচলে তাঁর এক আত্মীয় রয়েছেন, যিনি তৃণমূল কর্মী। তাঁর কথাতেই ওই ভিডিও তৈরি করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ওই মহিলা। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গেই অভিষেক ধানিয়া বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।’’

    মমতাকে তুলোধনা বিজেপির

    দিল্লি পুলিশের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা জেনে গেছে জনতা।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই পুরো ঘটনাটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করে করেছেন। বিষয়টি শুধু বাঙালির জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বিভক্ত করার মরিয়া প্ররোচনা!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন যে আপনার বাড়ির বাচ্চাদের কোটিপতি করতে হবে বলে আপনি বাচ্চাদের নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন? আপনার লজ্জা করে না? এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রীর গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’

  • Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমদানি হয়েছে বাংলার ভাষার উপর সন্ত্রাসের এক নতুন তত্ত্ব। এই তত্ত্বে আবার সিলমোহর দিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন মাননীয়া। আপনারা নিশ্চয় জানেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে দেশজুড়ে চলছে অভিযান। পদ্মা পার থেকে আসা বাংলাদেশিরা বাংলাতেই কথা বলেন। ঠিক আমি আপনি যেমন বলি। আবার তাদের শারীরিক গঠনও পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের সঙ্গেই মিলে যায়। দিনকয়েক আগেই গুরগাঁও পুলিশের হাতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে, যাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত রাখা হয় ১০ জনকে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ, এই ১০ জন ছিল সবাই অনুপ্রবেশকারী। The Wire সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে (Illegal Bangladeshi)।

    অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Bangladeshi) বিরুদ্ধে এই অভিযান শুধুমাত্র যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে চলছে, এমনটা নয় — দেশজুড়েই চলছে। সিপিএম শাসিত কেরালা কিংবা ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুতেও চলছে। আর সত্যি কথা বলতে, এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই। অনেকেই বলছেন, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরিয়ে দিতে ভিনরাজ্যের প্রশাসনকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে আমাদের রাজ্যের পরিযায়ীরাই। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন কখনোই সেই খবরদাতাদের পরিচয় প্রকাশ করছে না। কেন জানেন? একেবারে নিরাপত্তার স্বার্থে। আপনাদের কৌতূহল জাগছে, কেন বাঙালি পরিযায়ীরা ধরিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজব আজ। এক কথায়, এর উত্তর হচ্ছে — বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে একের পর এক কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্বাভাবিক, এটাই। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। তাই নিজেদের পেট বাঁচাতেই তারা ভিনদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তাঁরা প্রশাসনকে খবর দিচ্ছেন।

    বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত বলা মুশকিল

    জানেন কি এই মুহূর্তে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ঠিক কত — সঠিক তথ্য কারও কাছেই নেই। ২০১১ সালে হয়েছিল শেষ জনগণনা। তখন বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা কত ছিল তা জানা গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সংখ্যা নেই কারও কাছেই। সে সময় বাংলা ছিল সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে। তার আগে ছিল উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান। মানে, একদা যে রাজ্যগুলোকে বিমারু রাজ্য বলা হত (West Bengal)। তবে গত এক দশকে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান তড়তড়িয়ে এগিয়ে গেছে, আর পিছিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২৬ সালের জনগণনা যতক্ষণ না হয়, বলা খুব মুশকিল যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত (Illegal Bangladeshi)।

    নোংরা ঘেঁটে বিক্রয় যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করেন বাঙালি পরিযায়ীরা

    ইতিমধ্যে ‘The Indian Journal of Labour Economics’-এ একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষার শিরোনাম ছিল Bengali Migrant Workers in South India। এখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাতে চোখে জল আসবে আপনারও। কি বলা হয়েছে জানেন? বলা হয়েছে, বাঙালি পরিযায়ীদের একটা বড় অংশ “Rag Pickers” — মানে, আস্তাকুঁড় থেকে নোংরা ঘেঁটে যা কিছু বিক্রয়যোগ্য জিনিস, তা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো তাঁরা মহাজনের কাছে পৌঁছে দেন। এভাবেই চলে তাঁদের পেট। এই আস্তাকুঁড়ের নোংরা ঘেঁটে যারা বিক্রয়যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করে, তাঁদের ৭৮.৬ শতাংশই একেবারে নিরক্ষর।

    বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন মমতা

    কয়েকদিন আগে গুরগাঁওয়ের যে খাটোলা গ্রাম থেকে বাংলাভাষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানকার পরিচিতিও “Bengali Rag Pickers’ Colony” হিসেবে দেওয়া হয়। ভিনদেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এখানেই ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ীরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের পেট বাঁচাতে ও স্বার্থ রক্ষায় তাঁরা যা করার, সেটাই করেছেন। আসলে মমতা ব্যানার্জী বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন। তাঁর এই খেলা ধরে ফেলেছেন বাংলার গরিব পরিযায়ীরা। তাই নিজেদের কাজ বাঁচাতে তাঁরাই এখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছেন।

  • Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপটে বাড়ছে‌ ভোগান্তি! সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    Influenza: ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপটে বাড়ছে‌ ভোগান্তি! সুস্থ থাকতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    লাগাতার বৃষ্টিতে জেরবার রাজ্যবাসী।‌ বিভিন্ন জায়গায় জমা জল, বন্যা পরিস্থিতির দুর্ভোগের পাশপাশি স্বাস্থ্য সঙ্কট বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করছে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আট থেকে আশি, কমবেশি সকলেই জ্বরের (Influenza) কবলে। সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর। গোটা শরীরে মারাত্মক যন্ত্রণা। দিন তিনেকের এই ভোগান্তির জের থাকছে কয়েক সপ্তাহ। ওষুধ খেয়ে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেও, ক্লান্তিবোধ থাকছে। যে কোনও স্বাভাবিক কাজেও বিশেষ এনার্জি পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে নিয়মিত কাজের গতি কমছে। সাধারণ কিছু কাজ করার পরেও শরীরে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। অনেকের মাথা ঘোরা, পেশিতে খিঁচুনি অনুভব হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই জ্বর (Viral Fever) মোকাবিলায় তাই বাড়তি তৎপরতা জরুরি।

    কেন জ্বর (Influenza) হচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মানুষ এখন জ্বরে কাবু। কিন্তু আসল ‘ভিলেন’ আবহাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, লাগাতার বৃষ্টির জেরেই বিপদ বাড়ছে। মাঝেমধ্যে তাপমাত্রার মারাত্মক রকমফের হচ্ছে। হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। রোদের প্রকোপ বাড়ছে। ঘাম হচ্ছে। আবার তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি। যার জেরে তাপমাত্রার পারদ হঠাৎ করে কমে যাচ্ছে। আবার যারা নিয়মিত বাইরে যাতায়াত করেন, তাদের অনেক সময়েই বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে‌। জমা জলেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর এর ফলেই শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের (Viral Fever) ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় একাধিক ভাইরাস বাতাসে সক্রিয় থাকে। সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়লে, রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই শিশু থেকে বয়স্ক, কমবেশি সকলেই জ্বরে নাজেহাল।

    জ্বরের পরে কোন উপসর্গ ভোগান্তি বাড়াচ্ছে?

    তবে ওষুধ খেয়ে জ্বর কমলেও দেখা যাচ্ছে, পরবর্তী বেশ কয়েকদিন নানান ভোগান্তি থাকছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাইরাস ঘটিত এই জ্বরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ধাক্কা খাচ্ছে। শরীরের এনার্জি কম হচ্ছে। তাই আরও ভোগান্তি বাড়ছে। যেমন সাধারণ কাজ করলেও মাথা ঘুরছে, অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ তৈরি হচ্ছে। কোনো কাজ করার ইচ্ছে থাকছে না। শরীর সোডিয়াম ও পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানান উপাদানের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন পেশিতে খিঁচুনি দেখা যাচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেলেও, বুকে কিংবা পিঠে লাগাতার যন্ত্রণাও অনুভব হচ্ছে। এগুলো শরীরের ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে।

    কীভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জ্বর যাতে না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি জ্বর হলে কীভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, সে নিয়েও সচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রোগ সংক্রামক। তাই পরিবারের কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে আলাদা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের থেকে আক্রান্তকে আলাদা রাখা জরুরি। পাশপাশি এসি ঘরে থাকা এড়িয়ে চলা দরকার। এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। আবার নিয়মিত তুলসী পাতা দেওয়া জল, মধুর মতো ঘরোয়া উপাদানের সাহায্য নেওয়া জরুরি। যাতে এই ধরনের জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তবে জ্বর হলে তার পরবর্তীতে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ক্লান্তিবোধ কমবে। পাশপাশি জ্বর পরবর্তী ভোগান্তিও কমানো যাবে।

    ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই জ্বরের (Influenza) পরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। তার ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি আরও বেশি অনুভব করা যায়। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই জ্বরের পরে অনেকেই পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারেন না। এর ফলে শরীর আরও দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই আক্রান্তকে নিয়মিত লেবু কিংবা কিউই জাতীয় ফল খাওয়ানো জরুরি।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত অন্তত একটা লেবু বা কিউইয়ের রস করে খেলে শরীরে দ্রুত ভিটামিন সি-র জোগান হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। আবার শরীর এনার্জিও ফিরে পাবে।

    নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে

    নিয়মিত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন থেকে শরীর সহজেই এনার্জি পায়। আর প্রোটিন পেশিকেও মজবুত রাখে। এর ফলে প্রোটিন নিয়মিত খেলে জ্বরের (Influenza) পরের ভোগান্তি কমবে। মাথা ঘোরা, ক্লান্তিবোধ কমবে। পেশিতে খিঁচুনি ও কমবে। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত একটা ডিম সিদ্ধ খাওয়া জরুরি। একাধিক ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ডিম এই সময়ে শরীরে বাড়তি উপকার দেবে। প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে তেল-মশলার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। তাই অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় প্রোটিন খাবার খেলে উপকার কিছুই হবে না। বরং হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, মটন, চিকেন, ডিম, সোয়াবিন বা পনীর যেকোনও প্রোটিন জাতীয় খাবার রান্নার সময় তেল ও মশলায় রাশ জরুরি। স্ট্রু কিংবা স্যুপ জাতীয় খাবার খেলে তবেই উপকার পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    এনার্জি জোগাতে নিয়মিত খান দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার

    শরীরে এনার্জি জোগাতে নিয়মিত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেকোনও সংক্রামক রোগ শরীরকে দূর্বল করে দেয়। দ্রুত এনার্জি ফিরে পেতে দুধ খুবই উপকারি। নিয়মিত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীর এনার্জি ফিরে পায়। আবার হলুদ মেশানো দুধ খেলে আরও বাড়তি উপকার পাওয়া যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালী বা বুকে কোনো ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে, তা কমিয়ে দিতে পারে হলুদ মেশানো দুধ।

    খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিস মেটাবে ঘাটতি

    খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিসের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই জ্বরের (Influenza) পরে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এই ভারসাম্য বজায় রাখতে খেজুর, কাঠবাদাম, কিসমিসের মতো খাবার জরুরি। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার এনার্জির জোগান ঠিকমতো থাকে। ফলে কাজ করার ইচ্ছে তৈরি হয়।

  • Modi Government: ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি, মোদি সরকারের প্রকল্প চালু হচ্ছে ১ অগাস্ট থেকে

    Modi Government: ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি, মোদি সরকারের প্রকল্প চালু হচ্ছে ১ অগাস্ট থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করতে চলেছে ‘প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’ (Modi Government)। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক এ বিষয়ে খবর নিশ্চিত করেছে এবং তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল—দেশে কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটানো, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা এবং যেসব খাত বা সেক্টর নতুনভাবে কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম, তাদের বিশেষভাবে সহায়তা করা।

    ২ বছরে সাড়ে তিন কোটি চাকরি (Modi Government)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পটিকে অনুমোদন দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই বছরে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের সুবিধা ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে ২০২৭ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যেসব নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, সেগুলির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

    প্রকল্পের দুই ভাগ সম্পর্কে জানুন (Modi Government)

    পার্ট A: এই অংশটি তাঁদের জন্য, যাঁরা প্রথমবারের মতো কোনও চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন। যাঁরা ইপিএফ (EPF) স্কিমে নতুনভাবে নাম নিবন্ধন করবেন, তাঁরা প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইপিএফ সুবিধা পাবেন। এই সুবিধাটি দুই কিস্তিতে প্রদান করা হবে—প্রথম কিস্তি ছয় মাস চাকরি করার পর, এবং দ্বিতীয় কিস্তি বারো মাস পূর্ণ হলে। তবে এই সুবিধা পেতে হলে কর্মীর মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকার মধ্যে থাকতে হবে।

    পার্ট B: এই অংশটি নিয়োগদাতাদের জন্য। প্রতি অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের বিপরীতে সরকার নিয়োগকারীদেরকে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত প্রণোদনা (ইনসেন্টিভ) দেবে, যা টানা দুই বছর পর্যন্ত প্রদান করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান উৎপাদন খাতে কর্মী নিয়োগ করবে, তাদের জন্য এই প্রণোদনার পরিমাণ তৃতীয় ও চতুর্থ বছরেও বাড়ানো হবে (Modi Government)।

  • Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলা হচ্ছে—এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭০ হাজারেরও বেশি নতুন ভোটার ফর্ম জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত এই সংখ্যাটি ২০ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে থাকে। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতায় বেআইনিভাবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করে তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন, ২৫ জুলাইয়ের পর জারি হওয়া কোনও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট যেন SIR এর সময় বৈধ হিসেবে গৃহীত না হয়।

    অগাস্টেই শুরু SIR

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। অর্থাৎ অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে চালু হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, তারা প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহেই বাংলায় ৭০ হাজারেরও বেশি নাগরিক অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধন করার আবেদন করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, এই আবেদনগুলির অধিকাংশই এসেছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে—যা ইতিমধ্যে কমিশনের নজরে এসেছে।

    নবান্নের নির্দেশে দেওয়া হচ্ছে ডোমিসাইল, তোপ শুভেন্দুর

    সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (নবান্ন) থেকে জেলাশাসক ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে উদারভাবে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই নির্দেশনামূলক জেলার তালিকায় রয়েছে—নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কোচবিহার।

    অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আবেদন

    শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, গত সপ্তাহে রাজ্যে ভোটার তালিকায় নতুন নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের অপব্যবহার করে অবৈধ বাসিন্দাদের বৈধ ভোটারে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • Bangladesh: হিন্দু হেনস্থায় নতুন ফাঁদ বাংলাদেশে, সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ছড়ানো হচ্ছে বিদ্বেষ

    Bangladesh: হিন্দু হেনস্থায় নতুন ফাঁদ বাংলাদেশে, সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ছড়ানো হচ্ছে বিদ্বেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের হেনস্থা করার নতুন ফাঁদ বাংলাদেশে। হিন্দু যুবকের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে সেখান থেকে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়ানো হয়। বাংলাদেশের (Bangladesh) রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ বছর বয়সি ওই যুবকের নাম রঞ্জন রায়। তার বিরুদ্ধে ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

    ভুয়ো প্রোফাইল (Bangladesh)

    রিপোর্ট অনুযায়ী, রঞ্জন রায়ের নামে থাকা একটি ফেসবুক আইডি—‘ রঞ্জন রায় LRM’ নামক অ্যাকাউন্ট থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে এমন বিতর্কিত পোস্ট করা হয়। তবে এই বিষয় নিয়ে বাংলাদেশি ফ্যাক্টচেকার ও সাংবাদিক সোহান আরসি তদন্ত করে দেখান যে, রঞ্জনের নামে আরেকটি ভুয়ো (ডুপ্লিকেট) ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব পোস্ট করা হয়েছে। সাংবাদিক সোহান জানান, নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি থেকে রঞ্জনের পুরোনো প্রোফাইল ছবি ও পারিবারিক ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছে এবং সেগুলোর সঙ্গে অবমাননাকর ক্যাপশন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, যথাযথভাবে সত্যতা যাচাই না করেই মৌলবাদীরা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গঙ্গাচড়ার রাস্তায় বিক্ষোভে নামে (Bangladesh News)। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা পরিস্থিতির চাপে পড়ে মৌলবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণ করে এবং তাদের দাবির মুখে হিন্দু যুবক রঞ্জন রায়কে গ্রেফতার করে।

    দুর্গাপুজো কমিটির সভাপতিকে গুলি (Bangladesh)

    এদিকে, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুধু এখানেই থেমে থাকেনি। শনিবার খুলনা জেলায় এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। একই দিনে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলায় দুর্গাপূজা কমিটির সভাপতি অনির্বাণ চৌধুরী ওরফে রাজীবের ওপর গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মোটরসাইকেলে করে বন্ধু সহ ভ্রমণের সময় এই হামলার শিকার হন অনির্বাণ। দুর্বৃত্তদের গুলিতে অনির্বাণের কোমরে দুটি গুলি লাগে, আর তাঁর বন্ধুর পায়ে একটি গুলি লাগে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে অনির্বাণকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, অনির্বাণ চৌধুরী আওয়ামী লিগের যুব সংগঠন ‘যুবলিগ’-এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (Bangladesh News)। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার বিষয়টি তদন্তাধীন।

  • Christians Massacred: চার্চে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলা আইসিস-এর শাখা সংগঠনের, মৃত ৩৮

    Christians Massacred: চার্চে ঢুকে এলোপাথারি গুলি, কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলা আইসিস-এর শাখা সংগঠনের, মৃত ৩৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঙ্গোতে মধ্যরাতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Christians Massacred) ৩৮ জন খ্রিস্টানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (ADF), যা ইরাক-সিরিয়ার আইসিস (ISIS) জঙ্গি সংগঠনের একটি শাখা হিসেবে পরিচিত।

    রাত ১টায় অতর্কিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা

    এই মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের কোমান্ডা শহরে। জানা গেছে, রাত প্রায় ১টার দিকে ইসলামপন্থী জঙ্গিরা খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু বানায় এবং এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে (Christians Massacred)। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গিরা প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসেছিল এবং চার্চের আশপাশে অবস্থান নেয়। এরপরই তারা গুলি চালাতে শুরু করে।

    চার্চের ভিতরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে

    জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রায় ২০ জন নিহত হন এবং আরও অনেক আহত অবস্থায় পরে মারা যান। কঙ্গোর সিভিল সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর জানিয়েছেন, চার্চের ভিতরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং চার্চের বাইরে আরও অনেককে হত্যা করা হয়। হামলার সময় চার্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। স্থানীয় চার্চের ফাদার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং শহরের অন্য প্রান্তে আরও সাতটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে (Christians Massacred)। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়েছে এবং তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন (Church)।

    রাষ্ট্রসংঘের রেডিও চ্যানেল “ওকাপি” কী বলছে?

    রাষ্ট্রসংঘের রেডিও চ্যানেল “ওকাপি” জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৪৩ জনে পৌঁছেছে। পূর্ব কঙ্গোর এই ধরনের হামলা নতুন নয়—ADF পূর্বে বহুবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, বিশেষ করে কোমান্ডা এলাকায়। জানা গিয়েছে, ADF তথা অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (Allied Democratic Forces) নামক এই সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনটি গঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের শুরুতে। মূলত এটি গঠিত হয়েছিল উগান্ডায়, যেখানে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে একদল উগ্রপন্থী নেতা এই সংগঠনটি তৈরি করে।

  • PM Modi: প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকীতে গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে মোদি, প্রার্থনা করলেন শিব মন্দিরে

    PM Modi: প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকীতে গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে মোদি, প্রার্থনা করলেন শিব মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার, ২৭ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তামিলনাড়ুর গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম মন্দিরে যোগ দেন চোল সম্রাট প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। ঐতিহাসিক এই শিব মন্দিরে তিনি প্রায় ২০ মিনিট ধরে প্রার্থনা করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রার্থনার পর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই ভূমি বিশ্বাস ও সংস্কৃতির ভূমি। আমি কাশী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এখানে এসে যখন ‘ওম নমঃ শিবায়’ ধ্বনি শুনি, তখন অভিভূত হয়ে পড়ি। এই পবিত্র মন্দিরে আমি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি।” তিনি আরও বলেন, “শিবের শক্তি এবং মন্ত্রের আধ্যাত্মিক প্রভাব আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি চাই, ভগবান শিব সকল ভারতবাসীকে আশীর্বাদ করুন।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে চোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস ও তাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “প্রথম রাজেন্দ্র চোলের শাসনকালে শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ঘটনাক্রমে আমি গতকালই মালদ্বীপ সফর সেরে ফিরেছি, আর আজ এখানে এসে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছি (Gangaikonda Cholapuram Temple)।”

    রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রথম রাজেন্দ্র চোলের স্মরণে একটি স্মারক মুদ্রা (কয়েন) উদ্বোধন করেন। ঐতিহ্যবাহী চোল শৈলীর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ধুতি ও সাদা জামা পরে উপস্থিত হন, যা উপস্থিতদের নজর কাড়ে। এদিন তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী জেলার রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কনভয় চলাকালীন রাস্তার দুই ধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। তাঁরা জাতীয় পতাকা ও ব্যানার হাতে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। রাস্তাজুড়ে ছিল ‘ভারত মাতার জয়’ ও ‘নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ’ ধ্বনি। আশেপাশের ভবনের ছাদ, ব্যালকনি ও রাস্তার মোড়ে উৎসুক মানুষ ভিড় জমিয়েছিল তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য। এই জনসমাগম ও উৎসাহ দেখেই বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত সর্বত্র সমান।

  • Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বিমান বাহিনীর দীর্ঘদিনের সঙ্গী এবং বহু ঐতিহাসিক যুদ্ধের সাক্ষী মিগ-২১ যুদ্ধবিমান (Mig 21) অবশেষে অবসর নিতে চলেছে। বিমান বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের বিমানঘাঁটিতে ২৩ স্কোয়াড্রন (প্যান্থার্স) এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ উড়ান সম্পন্ন করে বিদায় জানানো হবে এই কিংবদন্তি যুদ্ধবিমানকে। ৬২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় আকাশকে রক্ষা করার পর অবশেষে এর স্থানে যোগ দিচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে (Fighter Jet) তৈরি তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমান, যা আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সেন্সর এবং যুদ্ধক্ষমতা নিয়ে সজ্জিত।

    মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী (Mig 21)

    ১৯৬৩ সালে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া এই যুদ্ধবিমানটি তৈরি হয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিকোয়ান-গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন দ্বারা। মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে—১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, কার্গিল সংঘাত, ২০১৯ সালের বালাকোট অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই যুদ্ধবিমানেই ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উইং কমান্ডার (বর্তমানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন) অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের এফ-১৬ জঙ্গিবিমানকে তাড়া করে আকাশযুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলেন। শত্রুপক্ষের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়ার পরে তিনি ধরা পড়েন, তবে দু’দিনের মধ্যে পাকিস্তান কূটনৈতিক চাপের মুখে তাঁকে ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয় (Mig 21)। এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে (Fighter Jet) বীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়।

    প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত

    তবে মিগ-২১ (Mig 21) নিয়ে বিতর্কেরও অভাব ছিল না। দীর্ঘ কার্যকালজুড়ে একাধিক দুর্ঘটনা ও যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগে বিমানটি ‘ফ্লাইং কফিন’ বলেও সমালোচিত হয়েছে। তবুও ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার ইতিহাসে মিগ-২১ এর অবদান অস্বীকার করা যায় না। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আশার খবর—প্রায় ১৫ মাস অপেক্ষার পরে প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত। বছরের শেষে আরও তিনটি কপ্টার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই মার্কিন-নির্মিত অ্যাপাচে AH-64E হেলিকপ্টারগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর আক্রমণ ও নজরদারি চালাতে সক্ষম, যা সেনার শক্তি আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share