Tag: বাংলা খবর

  • Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! এবার খুলনায় খুন হিন্দু ব্যবসায়ী

    Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! এবার খুলনায় খুন হিন্দু ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৬ জুলাই শনিবার, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের মাগুরা সদর উপজেলায় নৃশংসভাবে খুন হন ৫৫ বছর বয়সি হিন্দু ব্যবসায়ী ভজন কুমার গুহ। বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মহম্মদ আবির নামের এক ব্যক্তি এবং তার কয়েকজন সহযোগী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে জানা গেছে।

    দোকান থেকে ফেরার পথেই হামলা চালায় মহম্মদ আবির

    বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, রাত প্রায় ১১টার দিকে ভজন কুমার গুহ তাঁর দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দুষ্কৃতীরা তাকে পথের মাঝে থামিয়ে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। পরে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ভজন কুমার গুহ। স্থানীয়রা নিহতের দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন (Khulna)। মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী সাংবাদিকদের জানান, নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    নিহতকে মালাউন বলে গালি দেয় মহম্মদ আবির

    হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত ৩৫ বছর বয়সি মহম্মদ আবিরকে গ্রেফতার করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ যখন আবিরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন সে প্রকাশ্যে ভজন কুমার গুহকে “মালাউন” বলে গালিগালাজ করতে থাকে। এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় (Bangladesh)। নিহত ভজন কুমার গুহের স্ত্রীকে একাধিক বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

    উগ্র মৌলবাদীদের প্রচার

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশের কিছু উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী “টিএমডি” নামে একটি প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। এই শব্দটির পূর্ণরূপ “Total Maloun Death”, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্মূল করার বার্তা ছড়ানো (Khulna)। মানবাধিকার কর্মীরা এই প্রচারকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন (Bangladesh)।

  • PM Modi: মোদির ‘মন কি বাত’-এ উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা

    PM Modi: মোদির ‘মন কি বাত’-এ উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাত’-এর ১২৪তম পর্বে উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার প্রসঙ্গ। রবিবার সম্প্রচারিত ‘মন কি বাত’-এর (Mann ki Baat) ১২৪তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ভারতের মহাকাশ অভিযানে সাফল্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের স্মরণ, স্বদেশী আন্দোলন, এবং ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক।

    শুভাংশু শুক্লা ও ভারতের মহাকাশ গবেষণা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ভারতের মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, যা দেশের জন্য এক গর্বের বিষয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, আগামী ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ পালিত হবে। এই দিনে দেশের নাগরিকরা ‘নমো অ্যাপে’ পরামর্শ ও মতামত জানাতে পারবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সাফল্য এবং অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করব। বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে অনেক ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন চন্দ্রযান-৩ এর কথাও স্মরণ করেন, যা ভারতের মহাকাশ অভিযানে এক ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনা করেছে।

    ক্ষুদিরামের প্রসঙ্গ (Mann ki Baat)

    ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু-র আত্মবলিদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯০৮ সালে মুজাফফরপুরে যখন তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়, তখন তাঁর মুখে ভয় ছিল না, বরং ছিল আত্মবিশ্বাস। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন। এই আত্মত্যাগের ফলেই আমরা আজ স্বাধীন।তিনি অগাস্ট মাসকে ‘বিপ্লবের মাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ১৫ অগাস্ট আমাদের সেইসব শহীদদের স্মরণ করার দিন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯০৫ সালের ৭ অগাস্ট থেকে শুরু হয় স্বদেশী আন্দোলন। এই উপলক্ষে প্রতিবছর ৭ আগস্ট ‘জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তিনি জানান, ভারতের তাঁত শিল্প দিনে দিনে শক্তিশালী হচ্ছে এবং স্থানীয় শিল্পীদের অবদান জাতির গৌরব বাড়াচ্ছে।

    শিবাজী মহারাজের ১২টি দুর্গ পেয়েছে হেরিটেজ স্বীকৃতি, যা দেশের জন্য গর্বের

    আলোচনায় উঠে আসে অলিম্পিক ও অলিম্পিয়াড প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতীয় খেলোয়াড় ও ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য অর্জন করছে। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ইউনেস্কো সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের’ স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ভারতের গৌরবময় ইতিহাসের নিদর্শন।

  • Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে গাজায় ইজরায়েলি হামলায় নিহত হন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার (Hamas)। এবার তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ সম্পর্কে একটি বড় খবর সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ইয়াহিয়ার মৃত্যুর আগেই তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ আবু জামা (Hamas) জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে গাজা থেকে পালিয়ে যান। তিনি সন্তানদেরও সঙ্গে করে নিয়ে যান। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে তিনি তুরস্কে অবস্থান রয়েছে, এবং সেখানেই তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।

    হামাসের এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন

    জানা গেছে, সিনওয়ারের মৃত্যুর কয়েক মাস পরেই এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের (Hamas) এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন। ওই নেতা গোপনে জাল পাসপোর্ট, জাল চিকিৎসা-সংক্রান্ত নথিপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে দেন। এমনকি, তুরস্কে (Turkey) বিয়ের আয়োজনও সেই নেতা-ই করেছিলেন বলে জানা যায়। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হন। তবে তাঁর স্ত্রী এর আগেই গাজা ছেড়ে রাফা সীমান্ত দিয়ে মিশরে প্রবেশ করেন, এবং পরে সেখান থেকে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে তুরস্কে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে সামার মোহাম্মদকে বিয়ে করেছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি ছিলেন সিনওয়ারের থেকে প্রায় ১৮ বছর ছোট। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে।

    ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ইয়াহিয়া সিনওয়ার চিহ্নিত করা হয়

    প্রসঙ্গত, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ২০১৭ সাল থেকে তিনি গাজায় হামাসের (Hamas) প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন এবং ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে তিনি সংগঠনের প্রধান হন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাঁকেই চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধের আবহে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে দেখা যায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার, তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ (Hamas) এবং তাঁদের সন্তানরা খান ইউনুসের একটি সুরঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পালানোর সময় সামার মোহাম্মদের হাতে ছিল একটি মূল্যবান ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডব্যাগ, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়।

  • Donald Trump: তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধ বিরতি? বড় ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    Donald Trump: তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধ বিরতি? বড় ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার (Thailand Cambodia War) মধ্যে সংঘাত শীঘ্রই শেষ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের পর এই সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ঘোষণা করেন, তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা তিনদিনের সংঘর্ষের পর নিজেদের মধ্যে যুদ্ধবিরোধী আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। এই সংঘাতের ফলে উভয় দেশের মোট ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    দুই দেশের সঙ্গে কথা (Donald Trump)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, সংঘাত বন্ধ করতে তিনি ইতিমধ্যে উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের সতর্ক করেছেন যে, যদি সংঘাত চলতে থাকে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ করবে না। সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, উভয় পক্ষ—তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—যুদ্ধবিরোধী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় (Thailand Cambodia War)।তিনি আরও জানান, উভয় দেশই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমঝোতার পথে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে এবং শান্তি পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুই দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে উদ্যোগ নেবেন।

    ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। অন্যদিকে, তাইল্যান্ডের কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী ফুমাথাম হোয়ে চায়া চাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেন, তাইল্যান্ডের নীতি হলো—‘তাইল্যান্ড শান্তি চায়, যুদ্ধ নয়’। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, তিনি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন যে তাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চায়, যার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত হয়। তবে তিনি এটাও বলেন যে, কম্বোডিয়ার (Thailand Cambodia War) দিক থেকেও এ বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা পাওয়া জরুরি।

  • Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    Vice President Election: উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু নির্বাচন কমিশনের, সংখ্যার খেলায় এগিয়ে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনের কাজকর্ম শেষ করে রাতে হঠাৎ উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়৷ স্বাস্থ্যের কারণে তাঁর এই ইস্তফা বলে জানান তিনি। এবার তাঁর উত্তরসূরি বাছাইয়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করল কমিশন। রাজ্যসভার অন্য দু’জন সচিবকে অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    গত ২১ জুলাই ইস্তফা দেন ধনখড়। পরদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য থাকার কথা জানায়। তারপরই উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয় কমিশন। শুক্রবার, আইন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের সম্মতিতে ১ জন রিটার্নিং অফিসার ও ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব পিসি মোদিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে কমিশন। পাশাপাশি, রাজ্যসভার যুগ্মসচিব গরিমা জৈন এবং রাজ্যসভা সচিবালয়ের অধিকর্তা বিজয় কুমারকে সহকারি রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও, কমিশন জানিয়েছে, প্রস্তুতি সারা হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে৷ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৮ অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি জারির ৩০ দিনের আশপাশে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। ভারতের সংবিধানের ধারা ৬৬(১) অনুসারে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। ভোট হয় একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটপদ্ধতিতে, অর্থাৎ গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাংসদদের পছন্দক্রম অনুযায়ী ভোটদান।

    উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন কারা?

    বর্তমানে লোকসভায় ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি আসন (পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট) শূন্য। রাজ্যসভায় ২৪৫টি আসনের মধ্যে ৫টি শূন্য— এর মধ্যে ৪টি জম্মু-কাশ্মীর এবং ১টি পাঞ্জাবের। ফলে কার্যত ভোটদানে যোগ্য সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭৮২। নির্বাচিত ও মনোনীত— উভয় কক্ষের সদস্যরাই ভোট দিতে পারেন। সংখ্যার নিরিখে জিততে প্রয়োজন কমপক্ষে ৩৯২টি ভোট।

    এনডিএ না ইন্ডি— কে এগিয়ে কে পিছিয়ে?

    লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। রাজ্যসভায় এনডিএ-র সমর্থনে রয়েছেন ১২৯ জন সাংসদ। সব মিলিয়ে এনডিএ-র ঝুলিতে আছে ৪২২টি ভোট— যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের রয়েছে লোকসভায় ৯৯ এবং রাজ্যসভায় ২৭ জন সাংসদ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’ ব্লকের সমর্থনে এই সংখ্যা ৩৫০-র বেশি হলেও, সম্প্রতি আম আদমি পার্টি সেই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বিরোধীরা। উপরন্তু, কয়েকজন সাংসদের দলত্যাগ বা অনুপস্থিতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। যদিও শেষ মুহূর্তে কে ভোট দেন, কে দেন না, বা কারা পক্ষ বদলান — তার উপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদদের ভোটদানের ক্ষেত্রে দল হুইপ জারি করতে পারে না। তবে, এনডিএ প্রার্থীর জয় কার্যত নিশ্চিত।

  • Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    Stealth Fighters: ‘CAATSA’-হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কোন বিকল্প পথে রুশ সু-৫৭ স্টেলথ বিমান নিতে পারে ভারত?

    সুশান্ত দাস

    ভারতীয় সেনায় অ্যাপাচে (Apache AH-64E) অন্তর্ভুক্তি হওয়ার দুদিন পরেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এক বিরাট খবর সামনে এল। জানা যাচ্ছে, আপৎকালীন ভিত্তিতে এবার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বা স্টেলথ ফাইটার (Stealth Fighters) জেট কেনার বিষয়ে গুরুত্ব দিয় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে মোদি সরকার (Modi Sarkar)।

    অ্যামকা (AMCA) হাতে পেতে আরও ১০ বছর

    ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান (Fifth Generation Fighter Jets) ‘অ্যামকা’ তৈরির প্রকল্প বাস্তব রূপ পেতে ঢের দেরি। ডিআরডিও এই প্রকল্পের কাজ জোরদার চালালেও, এই যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম জোগাড় করা এবং তার পর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পরেই মাস প্রোডাকশন বা অধিক সংখ্যায় তৈরি করা হবে অ্যামকা। তার পর গিয়ে তা শেষমেশ বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। আর এসব হতে হতে অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ, বায়ুসেনায় অ্যামকা পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত হতে আরও এক দশক!

    পাকিস্তানকে সাজাচ্ছে চিন!

    কিন্তু, ভারতের শত্রুরা তো বসে নেই। চিন তো প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়িয়েই চলেছে। উল্টোদিকে, অপারেশন সিঁদুরের ভারতের হাতে মার খাওয়ার পর থেকেই প্রতিরক্ষাকে ঢেলে সাজাচ্ছে পাকিস্তানও। আর তাতে পাকিস্তানকে সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করছে সব ঋতুর বন্ধু চিন। এমনও শোনা গিয়েছে, বেজিং তার নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট ইসলামাবাদকে দিতে আগ্রহী। যদি তা বাস্তব হয়, তাহলে ভারতের কাছে তা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমতাবস্থায়, ভারত কখনই চাইবে না, তেমন দিন দেখতে। ভারতকেও অবিলম্বে এই অস্ত্র নিজের ঘরে তুলতে হবে। প্রশ্ন হল, এখন ভারত কী করবে?

    শূন্যস্থান পূরণের দাবি জোরালো…

    পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারের শূন্যস্থান পূরণের জন্য ভারত আপৎকালীন ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক যুদ্ধবিমান কেনার ভাবনাচিন্তা করছে ভারত। যা খবর আসছে, বিদেশ থেকে ২ থেকে ৩ স্কোয়াড্রন স্টেলথ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যামকা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বায়ুসেনার অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে দুই থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন (৪০-৬০টি বিমান) কেনা হোক। বায়ুসেনা তাদের প্রস্তাব পেশ করে প্রতিরক্ষা সচিব আরকে সিং-এর নেতৃত্বাধীন একটি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে। সূত্রের খবর, বাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রস্তুতি বাড়ানোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনে উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

    কেন্দ্রকে অভিনব ফর্মুলা বায়ুসেনার

    ইতিমধ্যে এমআরএফএ (MRFA) প্রকল্পের আওতায় ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধববিমান কেনার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারত। এই প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা। এক্ষেত্রে, ভারতের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফ্রান্সের দাসো এভিয়েশনের রাফাল যুদ্ধবিমানের এফ-৪ ভেরিয়েন্ট। বায়ুসেনার এক-একটি স্কোয়াড্রনে ১৮-২০টি বিমান থাকে। অর্থাৎ, ১১৪টি যুদ্ধবিমান হল আনুমানিক ৬টি স্কোয়াড্রনের সমান। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বায়ুসনার তরফে প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র ১১৪টা ৪.৫ প্লাস প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার জায়গায় সংখ্যাটিকে দুভাগে ভাঙতে। যেমন— ৬০টা ৪.৫ প্রজন্মের আর ৫৪টা পঞ্চম প্রজন্মের। বা উল্টোটা। অর্থাৎ, ৫৪টা যুদ্ধবিমান ৪.৫ প্রজন্মের আর ৬০টা পঞ্চম প্রজন্মের। এক কথায়, তিন স্কোয়াড্রন ৪.৫ প্রজন্মের আর বাকি তিনটে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা সচিব সেই ফর্মুলায় সম্মত হয়েছেন।

    ভারতকে প্রস্তাব দুই দেশের

    এবার প্রশ্ন, কার থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিতে পারবে ভারত? তবে, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক, এই মুহূর্তে স্টেলথ ফাইটার জেট রয়েছে বিশ্বের কোন কোন দেশের কাছে। অপারেশনাল পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ জেট রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের। এছাড়া, আমেরিকার এফ-৩৫ ব্যবহার করে ইজরায়েল, যুক্তরাজ্য সহ কয়েকটি দেশ। চিন ভারতের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ফলে, রইল বাকি আমেরিকা ও রাশিয়া। এদের দুজনেই তাদের স্টেলথ বিমান বিক্রির প্রস্তাব ভারতের সামনে রেখেছে। একদিকে আমেরিকা সামনে করছে তাদের এফ-৩৫এ (F-35A) যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রস্তাবে রয়েছে সু-৫৭ (Su-57)।

    কার স্টেলথ বিমান নেবে ভারত?

    তাহলে ভারত কাদের দিকে ঝুঁকবে? মার্কিন এফ-৩৫ খাতায়-কলমে বিশ্বের সেরা হলেও, এটা কেনায় অনেক জটিলতা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে এফ-৩৫ বেচতে চাইলেও, ভারত যা চাইবে, তা পাবে না (বলা ভালো দেওয়া হবে না)। যুদ্ধবিমানের নির্মাতা লকহিড-মার্টিন কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখে। নিজেদের ‘নয়নের মণি’ বিমানের প্রযুক্তি এবং যন্ত্রাংশ— উভয়ের উপরই কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখে পেন্টাগন। এমনকি, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ভারতের হাতে ছাড়া হবে না। তার জন্য ভারতে একাধিক মার্কিন কর্মীকে মোতায়েন করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কঠোর এন্ড-ইউজার মনিটরিং ক্লজ চাপাতে পারে, যাতে ভারত সায় দেবে না। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে আমেরিকা চাইলে বিমানের কার্যকারিতা সীমিত করতে পারে। উপরন্তু, এফ-৩৫ রাখা প্রায় সাদা হাতি পোষার সামিল। বিমানের দাম থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণের খরচের ভার বিপুল। এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে, যা ভারতের বাধা।

    রাশিয়া থেকে কেনা সহজ নয়…

    তাহলে কি ভারত পুরনো বিশ্বস্ত বন্ধু রাশিয়ার সু-৫৭ যুদ্ধবিমানই কিনতে চলেছে? এখনও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। কারণ, ভারতের কেনার বিষয়টি পুরোটাই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। আরও বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কমিটি। তবে, রাশিয়া থেকে কেনাও এতটা সহজ হবে না। প্রধান কারণ হল আমেরিকার তীব্র আপত্তি। এমনিতেই রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা নিয়ে ভারতকে পরোক্ষে হুমকি দিচ্ছে আমেরিকা। সর্বোপরি, রাশিয়া স্টেলথ যুদ্ধবিমানের সমস্ত প্রযুক্তিই নয়, এই বিমানের সোর্স কোড-ও ভারতকে দিতে রাজি হয়েছে। এতেই তেলে-বেগুনে ট্রাম্প! রাশিয়ার স্টেলথ বিমান কেনা থেকে ভারতকে আটকাতে নয়াদিল্লির ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন। হুমকি দিচ্ছে, যদি ভারত রাশিয়া থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনে, তাহলে, ভারতের ওপর ‘CAATSA’ আরোপ করা হবে। সহজ কথায়, ভারতকে আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

    সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না…

    তাহলে, ভারত কী করতে পারে? ইচ্ছে থাকলেও ভারত কি কিনতে পারবে না রুশ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান? উপায় একটা আছে। তা হলে, সরাসরি না কিনে, ঘুরপথে যাওয়া। অন্তত তেমনই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কেমন সম্ভব হবে সেটা? কী সেই ঘুরপথ? ভারত যেটা করতে পারে, তা হল রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান প্রোগ্রামের অংশীদার হয়ে যাওয়া। যা ভারত একটা সময় পর্যন্ত ছিল। ২০১১ সালে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। প্রোজেক্টের নাম ছিল ‘পিএকে-এফএ টি-৫০’। তখন সু-৫৭ দিনের আলো দেখেনি। বলা যেতে পারে, বর্তমান সু-৫৭’র পূর্বসূরি ছিল ‘টি-৫০’। কিন্তু, প্রযুক্তি হস্তান্তর সহ একাধিক বিষয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় ২০১৭ সালে ওই প্রকল্পে থেকে পিছিয়ে আসে ভারত। এখন রাশিয়া যদি জানায়, তারা আবার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে স্টেলথ প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাহলে ভারত অংশীদার হতে পারে। তাতে আমেরিকার বলার কোনও জায়গা থাকবে না। সেক্ষেত্রে, ভারতের কাছে সবকিছুই থাকবে। অংশীদার হিসেবে রুশ সু-৫৭ নিতে ভারতের অসুবিধে হবে না। অর্থাৎ, সাপও মরবে, আবার লাঠিও ভাঙবে না। অন্তত, তথ্যাভিজ্ঞ মহল এমনটাই মনে করছে। বাস্তবে কী হবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

  • Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    Kargil Vijay Diwas 2025: আজ কার্গিল বিজয় দিবসের ২৬তম বর্ষপূর্তি, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ২৬ জুলাই, কার্গিল বিজয় দিবস (Kargil Vijay Diwas 2025)। ১৯৯৯ সালের এই দিনে কার্গিল যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘অপারেশন বিজয়’ এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান বাহিনীকে হটিয়ে কার্গিল অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছিল। প্রতি বছর এই দিনটি কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি আমাদের মনে করায়, ১৯৯৯ সালে কার্গিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার যুদ্ধ (1999 India Pakistan War) জয়। এবছর কার্গিল জয়ের ২৬তম বর্ষপূর্তি পালন করছে দেশ।

    ২৬ জুলাই দিনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সেই সমস্ত সাহসী সৈন্যদের প্রতি, যাঁরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ ময়দানে নেমেছিলেন। এই দিনটির অন্যতম গুরুত্ব হল, কার্গিলে যে সমস্ত অঞ্চল পাকিস্তানি সৈন্যরা দখল করেছিল, ভারতীয় সেনা বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই স্থানগুলিকে দখলমুক্ত করে। ভারতীয় সেনার এমন দাপটে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি সেনা। কার্গিল বিজয় দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভারতের বীর সেনার বলিদান স্মরণ করার দিন (India Salutes War Heroes)।

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ (1999 Kargil War)

    ১৯৯৯ সালের মে মাসে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ, যখন পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা যৌথভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কার্গিলের বেশ কিছু অঞ্চলকে দখল করে। ১৯৯৯ সালের জুন মাসে ভারতীয় সেনা শুরু করে ‘অপারেশন বিজয়’ (Operation Vijay)। এর মাধ্যমে কার্গিলকে পাকিস্তানি জঙ্গি ও সৈন্যদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে সেনা। ১৯৯৯ সালে ২৬ জুলাই সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি সৈন্যকে পরাস্ত করে কার্গিলকে দখলমুক্ত করে ভারতীয় সেনা। চলতি বছরে কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫তম বর্ষপূর্তি হচ্ছে।

    লাহোর ঘোষণাপত্রে সই সত্ত্বেও শান্তি স্থায়ী হয়নি

    কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা সত্ত্বেও, শান্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। পাকিস্তানি সৈন্য এবং জঙ্গিরা ১৯৯৮-১৯৯৯ সালে শীতকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় অনুপ্রবেশ শুরু করে, কাশ্মীর এবং লাদাখের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ভূমিও দখল করে তারা। এরপর মে মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশের বিষয়টি চিহ্নিত করে, এরপরই শুরু হয় কার্গিলে ভারতীয় সেনার অভিযান। তীব্র যুদ্ধের সঙ্গে শুরু হয় ‘অপারেশন বিজয়’।

    অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও

    ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত জম্মু এবং কাশ্মীরের দ্রাস-কার্গিল সেক্টরে চলে যুদ্ধ। পাকিস্তানের দিক থেকে অনুপ্রবেশ চলতে থাকে কার্গিলে। পাকিস্তান প্রথমে দাবি করে, জঙ্গিরাই এ সব করছে। এখানে পাক সেনার কোনও ভূমিকা নেই। পরে যদিও পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ তাঁর আত্মজীবনী ‘ইন দ্য লাইফ অব ফায়ার’-এ স্বীকার করেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ছিল পাক সেনাও।

    আমেরিকার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান

    কার্গিলের যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অবস্থা যখন একেবারে বেসামাল, তখন আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সহযোগী ব্রুস রিডেল দাবি করেছিলেন, বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে রাজি হয়নি আমেরিকা। আমেরিকার দাবি ছিল, ভারত থেকে পাকিস্তান সৈন্য প্রত্যাহার না করলে তারা কোনও ভাবেই সাহায্য করবে না।

    ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন এই যুদ্ধে

    প্রসঙ্গত, কার্গিল হল জম্মু-কাশ্মীরের একটি জেলা। এই জেলাকে নিয়ে তখনই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়, যখন পাকিস্তানি সেনা এবং জঙ্গিরা এখানে অনুপ্রবেশ করতে থাকে সীমান্ত পেরিয়ে। এই অঞ্চলের একাধিক স্থান তারা নিজেদের দখলে আনতে থাকে। এরপরে ‘অপারেশন বিজয়ে’র মাধ্যমে অসম্ভব সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ভারতীয় সেনা। দখলমুক্ত হয় কার্গিল। কার্গিল বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানো হয় সেই সমস্ত ভারতীয় সেনাদের প্রতি যাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে বীরগতিপ্রাপ্ত হয়েছেন। জানা যায়, ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা মাতৃভূমির মাটি দখলমুক্ত করতে শহিদ হন এই যুদ্ধে। প্রতিবছরের ২৬ জুলাই শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

    কীভাবে পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস

    কার্গিল বিজয় দিবসে সারাদেশে যুদ্ধের যে স্মৃতিসৌধগুলি রয়েছে সেখানে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠান করা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয় দ্রাসে, এই স্থানটি কার্গিলে অবস্থিত। সেখানে উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকরা ও নেতা-মন্ত্রীরা শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। কার্গিল বিজয় দিবসের স্মরণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় দেশ জুড়ে। দেশাত্মবোধক গান, নৃত্যের মাধ্যমে ভারতীয় জওয়ানদের বীরত্বগাথাকে স্মরণ করা হয়। কার্গিল বিজয় দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে অবহিত করানো হয় দেশের যুবসমাজকে। দেশের স্কুল-কলেজ তথা বিভিন্ন এনজিও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই দিনে।

  • India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    India UK Free Trade: ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলার কী কী লাভ হতে চলেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Free Trade) স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী—নরেন্দ্র মোদি এবং কেয়ার স্টারমার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেন। এই আবহে, চুক্তির উপকারিতা এবং এতে রাজ্যওয়ারি কী কী লাভ হতে চলেছে, তা আগেভাগেই তুলে ধরেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

    নিজের পোস্টে কী লিখেছিলেন পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)?

    নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) মাধ্যমে এবার থেকে ভারতীয় পণ্যের জন্য ব্রিটেনে যেন লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রস্তুত। ভারতীয় সামগ্রী আরও সহজে ও শুল্কছাড় সুবিধা পেয়ে ব্রিটেনে রপ্তানি করা যাবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় পণ্য বিশ্ববাজারে পৌঁছনোর সুযোগ পাবে, বিশেষত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।

    কোন রাজ্য থেকে কী কী পণ্য এবার সহজেই ব্রিটেনে রফতনি করা যাবে

    জম্মু-কাশ্মীর: পশমিনা, তশর সিল্ক, বাসমতী চাল, কাঠের তৈরি কাশ্মীরি ক্রিকেট ব্যাট

    পাঞ্জাব ও দিল্লি: জলন্ধরের স্পোর্টস সামগ্রী, বাসমতী চাল

    উত্তরপ্রদেশ: আগ্রা ও কানপুর থেকে চামড়ার পণ্য, মিরাট থেকে খেলাধুলার সামগ্রী, খুরজা থেকে মাটির জিনিসপত্র

    গুজরাট: বন্ধনী কাপড়, মরবি সিরামিক্স, হীরা

    মহারাষ্ট্র: কোলাপুরের চামড়ার জুতো, আইটি পরিষেবা সংক্রান্ত সামগ্রী

    তামিলনাড়ু: কাঞ্চিপুরম শাড়ি, হলুদ (টারমেরিক), থাঞ্জাভুরের পুতুল, ভেলোরের চামড়ার পণ্য

    পশ্চিমবঙ্গ: দার্জিলিং চা, বালুচরী শাড়ি, শান্তিনিকেতনের চামড়ার জিনিস, নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল

    অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা: কফি, হলুদ, ডিজিটাল সার্ভিস সংক্রান্ত পণ্য

    কেরল ও ত্রিপুরা: রাবারজাত পণ্য, হলুদ

    বিহার: ভাগলপুর সিল্ক, গ্লাস ক্লিপস, মাখানা

    রাজস্থান: জয়পুরের গয়না ও অলঙ্কার

    হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড: স্থানীয় হস্তশিল্প, খাদ্য ও প্রসাধনী সামগ্রী

    প্রত্যন্ত অঞ্চলের তৈরি জিনিসও পাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সুযোগ

    এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India UK Free Trade) ফলে ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি থেকে পণ্য অত্যন্ত সহজে ও কম খরচে ব্রিটেনে রফতানি করা যাবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরকেন্দ্রিক উৎপাদন, সব কিছু পণ্যের জন্য এবার খুলে গেল আন্তর্জাতিক বাজারের দরজা।
    উদাহরণস্বরূপ, বিহারের হাতে তৈরি মাখানা, ভাগলপুর সিল্ক এবং কাঁচের গয়না, যেগুলি এতদিন স্থানীয় বা সীমিত পরিসরে বিক্রি হত, এবার সেগুলিও শুল্কছাড় সুবিধায় ব্রিটেনের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে।

    এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক। কারণ, চুক্তির আওতায় প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক (tariff) কমানো হয়েছে অথবা পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, ভারত থেকে যেসব পণ্য ব্রিটেনে রফতানি হবে, সেগুলির দাম কমে যাবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পণ্যের চাহিদা আরও বাড়বে।

    এই চুক্তি ঐতিহাসিক মাইলফলক (India UK Free Trade)

    এছাড়াও এই চুক্তির একটি বড় দিক হল, ভারতীয় পেশাদারদের (professional workers) জন্য ব্রিটেনের শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ অনেকটাই সহজ হয়েছে। ফলে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ, চিকিৎসক, আইটি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অন্যান্য দক্ষ পেশাদারদের জন্য ব্রিটেনে কাজের ভিসা পাওয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ হবে। এই চুক্তিকে তাই দুই দেশের কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

    ২০২৩ জি-২০ সম্মেলনে এনিয়ে আলোচনা হয়

     ২০২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন, যেখানে এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় (India UK Free Trade) এবং তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতিও ঘটে। তবে এর মাঝেই ব্রিটেনে পালাবদল ঘটে, ক্ষমতায় আসে কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। নতুন সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করা, বিশেষ করে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন করাই হয়ে ওঠে অগ্রাধিকার। শুধু তাই নয়, স্টারমার শিক্ষা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা-সহ একাধিক খাতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেন। অবশেষে, স্টারমারের সরকারের সময়েই বহু প্রতীক্ষিত এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।

  • PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুলাই এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। টানা প্রধানমন্ত্রী থাকার হিসেবে ভাঙলেন ইন্দিরা গান্ধীর রেকর্ড (Indira Gandhi)। তিনিই হলেন ভারতবর্ষের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি টানা ১১ বছর ২ মাস ধরে দেশের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। তাঁর সামনে বর্তমানে রয়েছেন কেবল জওহরলাল নেহরু। এর আগে পর্যন্ত একটানা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন নেহরুর কন্যা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তিনি ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত টানা ১১ বছর ৫৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্র। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৬ বছর ২৮৬ দিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিপুলভাবে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জয়লাভ করে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরে আসেন। ২৫ জুলাই, ২০২৫-এ তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ১১ বছর ৬০ দিন পূর্ণ হল। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল, কারণ ১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম কোনও একক রাজনৈতিক দল—ভারতীয় জনতা পার্টি—দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করেছিল।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, তিন তালাক প্রথার অবসান, রাম মন্দির নির্মাণ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা বা ২০২৫ সালের পহেলগাঁও ঘটনার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’—সবই ছিল তাঁর সাহসী সিদ্ধান্ত (Indira Gandhi)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ২০০১ সালের অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সেই দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সরকারের মূলনীতি —“সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস”।

  • Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হতে চলেছে নিবিড় সমীক্ষা (Special Intensive Revision – SIR)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে শুরু হবে এই বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে, নিবিড় সমীক্ষা বা SIR রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব হবে (SIR) এবং বহু ভুয়ো ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে (Election Commission)।

    বিএলওদের ভাতা দ্বিগুণ করল কমিশন

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভের কাজে যুক্ত বিএলও এবং সুপারভাইজারদের ন্যূনতম বাৎসরিক বেতন এক ধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা বছরে ১২ হাজার টাকা এবং বিএলও সুপারভাইজাররা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন। পাশাপাশি, বিশেষ ড্রাইভের জন্য বিএলওদের অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ইনসেনটিভও দেবে কমিশন।  দেশজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধন, নবীন ভোটার যুক্তকরণ এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরিচালনার জন্য বুথ লেভেল অফিসাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতি বছর হাজার হাজার বিএলও, সুপারভাইজার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই কাজে নিযুক্ত থাকেন। নির্বাচন কমিশনের মতে, তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিতেই এই আর্থিক সংস্কার।

    বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে কার্ড সংশোধনের হিড়িক

    বিহারে SIR-এর সময় দেখা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট সংখ্যা ৫২ লাখ বলে জানিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে চিহ্নিত হয়েছে এমন বহু ভোটার, যাঁরা এখন আর বিহারের স্থায়ী বাসিন্দা নন কিংবা যাঁদের নাম একাধিক জায়গায় রয়েছে। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেরই একাধিক রাজ্যে ভোটার কার্ড রয়েছে—এদেরও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিহারের তালিকা সংশোধনের আবহে পশ্চিমবঙ্গে গত এক সপ্তাহে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ অনলাইনে ভোটার তালিকা সংশোধনের (Election Commission) জন্য আবেদন করেছেন। কেউ নাম সংশোধনের জন্য, কেউ ঠিকানা বদলের জন্য। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই আবেদন বেশি।

    বিরোধীদের আপত্তি, কমিশনের জবাব (Election Commission)

    বিহারে নিবিড় সমীক্ষা শুরুর পর থেকেই বিরোধী দলগুলি কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে। তাদের প্রশ্ন ছিল—এটার দরকার কী ছিল? এই প্রেক্ষিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “মৃত ভোটার অথবা বিদেশি নাগরিকদের কোন যুক্তিতে ভোটার তালিকায় রাখা যেতে পারে? SIR বা নিবিড় সমীক্ষা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।” এদিকে পশ্চিমবঙ্গে নিবিড় সমীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিশনকে। অন্যদিকে, বিজেপি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে— মুখ্যমন্ত্রী কাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছেন? নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কেন তিনি সরব হচ্ছেন (Election Commission)? বাংলায় SIR হলে ‘ ৯০ লক্ষ নাম বাদ’ যাওয়ার আশঙ্কা আগেই করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী ভালোভাবেই জানেন, রাজ্যে কত ভুয়ো ভোটার রয়েছে। সেই নামগুলি কাটা গেলে, তৃণমূলের ভোট অনেকটাই কমে যাবে, সেই আশঙ্কা থেকেই কি বাধা দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল?

LinkedIn
Share