Tag: বাংলা খবর

  • PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    PM Modi: একটানা প্রধানমন্ত্রী থাকা, মোদি ভাঙলেন ইন্দিরার রেকর্ড, সামনে শুধুই নেহরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুলাই এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। টানা প্রধানমন্ত্রী থাকার হিসেবে ভাঙলেন ইন্দিরা গান্ধীর রেকর্ড (Indira Gandhi)। তিনিই হলেন ভারতবর্ষের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি টানা ১১ বছর ২ মাস ধরে দেশের সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। তাঁর সামনে বর্তমানে রয়েছেন কেবল জওহরলাল নেহরু। এর আগে পর্যন্ত একটানা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন নেহরুর কন্যা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তিনি ১৯৬৬ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত টানা ১১ বছর ৫৯ দিন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্র। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৬ বছর ২৮৬ দিন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিপুলভাবে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জয়লাভ করে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরে আসেন। ২৫ জুলাই, ২০২৫-এ তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ১১ বছর ৬০ দিন পূর্ণ হল। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘটনা ছিল এক ঐতিহাসিক পালাবদল, কারণ ১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম কোনও একক রাজনৈতিক দল—ভারতীয় জনতা পার্টি—দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করেছিল।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, তিন তালাক প্রথার অবসান, রাম মন্দির নির্মাণ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা বা ২০২৫ সালের পহেলগাঁও ঘটনার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’—সবই ছিল তাঁর সাহসী সিদ্ধান্ত (Indira Gandhi)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ২০০১ সালের অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সেই দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সরকারের মূলনীতি —“সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস”।

  • Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    Election Commission: অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলায় শুরু ‘SIR’! সীমান্ত-জেলাগুলিতে ভোটার তালিকায় সংশোধনের হিড়িক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হতে চলেছে নিবিড় সমীক্ষা (Special Intensive Revision – SIR)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে শুরু হবে এই বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে, নিবিড় সমীক্ষা বা SIR রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব হবে (SIR) এবং বহু ভুয়ো ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে (Election Commission)।

    বিএলওদের ভাতা দ্বিগুণ করল কমিশন

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভের কাজে যুক্ত বিএলও এবং সুপারভাইজারদের ন্যূনতম বাৎসরিক বেতন এক ধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা বছরে ১২ হাজার টাকা এবং বিএলও সুপারভাইজাররা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন। পাশাপাশি, বিশেষ ড্রাইভের জন্য বিএলওদের অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ইনসেনটিভও দেবে কমিশন।  দেশজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধন, নবীন ভোটার যুক্তকরণ এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরিচালনার জন্য বুথ লেভেল অফিসাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতি বছর হাজার হাজার বিএলও, সুপারভাইজার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই কাজে নিযুক্ত থাকেন। নির্বাচন কমিশনের মতে, তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিতেই এই আর্থিক সংস্কার।

    বাংলার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে কার্ড সংশোধনের হিড়িক

    বিহারে SIR-এর সময় দেখা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সর্বমোট সংখ্যা ৫২ লাখ বলে জানিয়েছে কমিশন। একই সঙ্গে চিহ্নিত হয়েছে এমন বহু ভোটার, যাঁরা এখন আর বিহারের স্থায়ী বাসিন্দা নন কিংবা যাঁদের নাম একাধিক জায়গায় রয়েছে। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেরই একাধিক রাজ্যে ভোটার কার্ড রয়েছে—এদেরও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিহারের তালিকা সংশোধনের আবহে পশ্চিমবঙ্গে গত এক সপ্তাহে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ অনলাইনে ভোটার তালিকা সংশোধনের (Election Commission) জন্য আবেদন করেছেন। কেউ নাম সংশোধনের জন্য, কেউ ঠিকানা বদলের জন্য। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এই আবেদন বেশি।

    বিরোধীদের আপত্তি, কমিশনের জবাব (Election Commission)

    বিহারে নিবিড় সমীক্ষা শুরুর পর থেকেই বিরোধী দলগুলি কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করে। তাদের প্রশ্ন ছিল—এটার দরকার কী ছিল? এই প্রেক্ষিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “মৃত ভোটার অথবা বিদেশি নাগরিকদের কোন যুক্তিতে ভোটার তালিকায় রাখা যেতে পারে? SIR বা নিবিড় সমীক্ষা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।” এদিকে পশ্চিমবঙ্গে নিবিড় সমীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিশনকে। অন্যদিকে, বিজেপি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে— মুখ্যমন্ত্রী কাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছেন? নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার বিরুদ্ধে কেন তিনি সরব হচ্ছেন (Election Commission)? বাংলায় SIR হলে ‘ ৯০ লক্ষ নাম বাদ’ যাওয়ার আশঙ্কা আগেই করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী ভালোভাবেই জানেন, রাজ্যে কত ভুয়ো ভোটার রয়েছে। সেই নামগুলি কাটা গেলে, তৃণমূলের ভোট অনেকটাই কমে যাবে, সেই আশঙ্কা থেকেই কি বাধা দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল?

  • West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    West Bengal Weather Update: নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। আবহাওয়া দফতর (West Bengal Weather Update) জানিয়েছে, রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ভারী, কোথাও মাঝারি। যার জেরে জলমগ্ন কলকাতা তো বটেই বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। রাতভর বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালি ভেজা জল জমে, আবার কোথাও হাঁটু সমান। বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। এমনকি, শুক্রবারও নিস্তার নেই বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টির তেজ কমলেও আকাশ মেঘলা। আগামী কয়েকদিন গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Heavy Rainfall Alert) দিয়েছে আবহাওয়া দফতর । ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা ও শহরতলিতেও।

    কোথায় দাঁড়িয়ে নিম্নচাপ?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়ায় নিম্নচাপের জেরে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গের সব জায়গায় (West Bengal Weather Update)৷ জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে কলকাতা থেকে ১৭০ কিমি দূরে রয়েছে গভীর নিম্নচাপ। সাগরদ্বীপ থেকে নিম্নচাপের দূরত্ব ১৫০ কিমি। নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি আরও পশ্চিম-উত্তর থেকে পশ্চিম দিকে সরবে৷ যার অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর ওড়িশা উপকূলের দিকে। তারপর গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে নিম্নচাপটি। আবহাওয়া দফতরের অনুমান, এদিন দুপুরে বাংলা হয়েই স্থলভাগে ঢুকবে। দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডে সরবে নিম্নচাপটি। সংলগ্ন ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উপরে।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    এর প্রভাবে আগামী দু’দিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall Alert) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওায়া দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় চরম ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরও ৪ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে (West Bengal Weather Update)। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও অঞ্চলে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

    শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। রবিবার দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা (West Bengal Weather Update)। সোমবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং পূর্ব বর্ধমানে।

    কী পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে?

    দক্ষিণের পাশাপাশি, ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall Alert) পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার। বাকি জেলায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বজ্রপাতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। শুধু বাঁকুড়াতেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এছাড়াও পূর্ব বর্ধমানে ৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আরও ১ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন বজ্রাঘাতে। শুক্রবারও, একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস (West Bengal Weather Update) দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে বৃষ্টির সময় নিরাপদ স্থানে থাকার আবেদন জানানো হয়।

  • SSC Recruitment: সেপ্টেম্বরেই এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

    SSC Recruitment: সেপ্টেম্বরেই এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সেপ্টেম্বরে হবে এসএসসির নিয়োগ পরীক্ষা (SSC Recruitment)। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। একইসঙ্গে পরীক্ষার দিনক্ষণ ও সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে কমিশনের তরফে।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে এসএসসি। কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, একদিন নবম-দশম ও আর একদিন একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসি-র নিয়োগের পরীক্ষা হবে। ৭ তারিখে নবম-দশম ও ১৪ তারিখে একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা হবে। ওই দু’দিনই দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। দেড় ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা চলবে। দৃষ্টিশক্তিহীন প্রার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। পরীক্ষার বাকি নিয়ম পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এসএসসি-র নতুন (SSC Recruitment) বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিনচিট দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রাজ্যে ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত ৩০ মে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। ১৪ জুলাই আবেদন জানানোর শেষ দিন ছিল। সেটাই এবার বেড়ে হয় ২১ জুলাই। কমিশন জানিয়েছে, নবম-দশম ও একাদশ–দ্বাদশে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য মোট ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭০০ জন পরীক্ষার্থী আবেদন জানিয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে এসএসসি। মোট আবেদনকারীর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগের জন্য প্রায় ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৫০ জন পরীক্ষার্থী, একাদশ-দ্বাদশের জন্য প্রায় ২ লক্ষ ৫৪ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ২০১৬ নিয়োগের তুলনায় ২ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে এবারের নিয়োগে।

    পরীক্ষার (SSC Recruitment) প্রশ্নপত্র কেমন হবে? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, লিখিত পরীক্ষা মাল্টি চয়েস কোয়েশ্চেন বা এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। মোট ৬০টি প্রশ্ন করা হবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকবে ১ নম্বর। তবে কোনওরকম নেগেটিভ মার্কিংয়ের ব্যাপার থাকবে না। অর্থাৎ যতগুলি প্রশ্নের উত্তর সঠিক দেবেন, তত নম্বরই পাবেন। আর কোনও যোগ-বিয়োগের ব্যাপার থাকবে না। তবে লিখিত পরীক্ষার জন্য কবে থেকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে, সে বিষয়ে আপাতত কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি, লিখিত পরীক্ষার (SSC Recruitment) দিন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির নিরাপত্তার ব্যবস্থা কেমন হবে, তার পরিকল্পনা করতে শীঘ্রই উচ্চ পর্যায়ে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হবে। কমিশন সূত্রে খবর, ফল প্রকাশ করা হতে পারে অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা।

  • Mithun Chakraborty: ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে নাকি বাঙালিদের ওপর অত্যাচার চলছে। এমনই মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণ করতে ভুয়ো ভিডিও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে শাসক নেতাদের। বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সাফ বললেন, ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি। আসলে সামনে ভোট, তাই তৃণমূল এটাকে ইস্যু করে কাজে লাগাতে চাইছে।’’ অন্যদিকে ভোটার তালিকা ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে বড় দাবি করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তাঁর দাবি, ‘‘ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটার বের করে দিলে তৃণমূল ৭০টা সিটও পাবে না।’’

    তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের (Mithun Chakraborty)

    বিজেপি নেতার (Mithun Chakraborty) বক্তব্য, ‘‘কোথাও কোনও বাঙালির ওপর অত্যাচার বা কোনও সত্যিকারের নাগরিককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। বেছে বেছে তাঁদেরই বাদ দেওয়া হচ্ছে যারা বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছিলেন।’’ তৃণমূলের আক্রমণের সামনে যাতে মাথা নত না করে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কমিশনকে যোগ্য সাহায্য করতে বাংলার সমস্ত নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘প্রতিটি এলাকায় কর্মীদের বলব, খোঁজখবর শুরু করুন, কারা অনুপ্রবেশ করে বাংলায় রয়েছে। কারও ওপর কোনও আক্রমণ হলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’’এজন্য বৃহস্পতিবার নিজের দুটি ফোন নম্বরও দিতে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে। পাশাপাশি এদিন তিনি বাঙালি বিদ্বেষ ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ভিন রাজ্যে কোথাও কোনও রকমভাবে বাঙালিকে হেনস্থা করা হচ্ছে না। যে দল বলছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের দল না, সেই দল আদৌ বাংলার দল তো? নাকি অন্য কোন দেশের দল?’’

    বাংলায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন নিয়ে কী বললেন মহাগুরু?

    প্রসঙ্গত, বিহারে চালু হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা SIR। এখানেই দেখা গেছে, ভোটার তালিকায় লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়ে গেছেন। এমনকি অনেক মৃত ব্যক্তির নাম এখনও তালিকায় রয়েছে, এবং কারও কারও নাম দুই জায়গায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরাও বিহারের ভোটার তালিকায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলতে দেখা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকে। তিনি তৃণমূল ও মমতা সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। বিজেপি নেতা মিঠুন বলেন, ‘‘যারা বেছে বেছে এখানে এসেছেন, তাদের বেছে বেছে ফেলে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে বেশি সমস্যা, তাই এত চেঁচামেচি হচ্ছে। ওরা জানে, যদি বেছে বেছে যাদের তোলা দরকার, তাদের তোলা হয়—তাহলে এই সরকার ৭০টা আসনও পাবে না।’’

    মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে হুঁশিয়ারি মিঠুনের (Mithun Chakraborty)

    তৃণমূলকে (Tmc) হুঁশিয়ারি দিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে যা ঘটে গেছে তেমন ঘটনা আর ঘটলে আমরা আর চুপ করে থাকব না। ২৬-এর বিধান সভা ভোটে তৃণমূলের বিসর্জন অনিবার্য।’’ নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে এদিন তৃণমূলের তোলা যাবতীয় অভিযোগকে নস্যাৎ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘বেছে বেছে ইলেকশন কমিশন কেন নাম বাদ দেবে? তাদেরই বেছে বেছে বাদ দেওয়া হচ্ছে যারা বেছে বেছে এদেশে অবৈধভাবে এসেছেন। বাংলায় এরকম ঘটনা অনেক বেশি, তাই তৃণমূল চেঁচামেচি করছে।’’

    তৃণমূলের অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’

    বাঙালি বিদ্বেষ নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’ বলেও এদিন তিনি উল্লেখ করেছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিজে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেল খুলেছি, যেখানে বেশিরভাগই বাঙালি পরিযায়ী। তবে সেখানে কোনও বাংলাদেশি নেই। যদি বাংলাদেশি কেউ থাকেন তাঁকে অবশ্যই বাংলাদেশি বলেই চিহ্নিত করা হবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বেশ চাপের রয়েছে। নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, মুর্শিদাবাদ হিংসায় রাজ্যজুড়ে এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন মহিলা সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে একের পর এক দুর্নীতি সামনে এসেই যাচ্ছে শাসক দলের। এই আবহে তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা একেবারেই নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে সামনে বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফলে, রাজ্যবাসীর দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য ‘বাইরের রাজ্যে বাঙালিদের উপর নির্যাতন’ বলে একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব সামনে এনে প্রচার চালাতে শুরু করেছে তৃণমূল, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    অনেকেই বলছেন, ভিনরাজ্যে বাঙালিদের উপর অত্যাচার—এই মিথ্যা অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করছে তৃণমূল, যাতে রাজ্যের প্রকৃত দুরবস্থা ঢাকা পড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবচিত্র অন্য কথা বলছে। কোথাও কোনও বাঙালি নির্যাতিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস এখন ‘ব্যাকফুটে’ এবং রাজনৈতিকভাবে সেই অবস্থান থেকে বেরোতে নানা কৌশল নিচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম হল—বাঙালিদের সঙ্গে ‘বৈষম্য’র মিথ্যা তত্ত্ব।

  • Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শিল্পপতি অনিল আম্বানির একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) রিলায়েন্স কমিউনিকেশন এবং এর প্রোমোটার-ডিরেক্টর অনিল আম্বানিকে (Anil Ambani) ‘প্রতারক’ ঘোষণা করার পরই এই অভিযান শুরু হয় বলে সূত্রের খবর।

    তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    ইডি-র তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। যদিও অনিল আম্বানির ব্যক্তিগত বাসভবনে এদিন তল্লাশি চালানো হয়নি (Anil Ambani)। মুম্বই ও দিল্লি থেকে আসা ইডি-র (ED Raid) যৌথ দল তাঁর বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ দফতর এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালায়। জানা গিয়েছে, মুম্বই ও দিল্লির প্রায় ৫০টি অফিসের মধ্যে অন্তত ৩৫টি ভবনে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

    ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    এছাড়াও, এই মামলায় নাম জড়ানো ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে (Anil Ambani)। ইডি সূত্রে (ED Raid) জানা গিয়েছে, এসবিআই কর্তৃক ‘প্রতারক’ ঘোষণার পর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক ও আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (এনএইচবি), সেবি, ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথোরিটি (এনএফআরএ), ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং সিবিআই-এর দায়ের করা দুটি এফআইআরের ভিত্তিতেই হয় এই তল্লাশি।

    ইডি-র প্রাথমিক ধারণা অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত

    তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার ঋণের বড় একটি অংশ সন্দেহজনকভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, কিছু অজ্ঞাত সংস্থার মাধ্যমে ওই অর্থ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে। ইডি-র প্রাথমিক ধারণা, এই অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং সুচিন্তিত কৌশলের অংশ। এর ফলে প্রতারিত হয়েছেন শেয়ারহোল্ডার, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং একাধিক ব্যাঙ্ক। তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স-এর কর্পোরেট ঋণ বিতরণ এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, যা আর্থিক অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাবের বড় ইঙ্গিত বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (Anil Ambani)।

  • PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাক্ষরিত হল ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরের ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল এ বার তা বাস্তবায়িত হল লন্ডনে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা। দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৬ মে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যচুক্তির চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক হয়েছিল। এবার মোদির সফরের সময়েই তা বাস্তব রূপ পেল। চুক্তি স্বাক্ষরের পর, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ‘ইউকে-ইন্ডিয়া ভিশন ২০৩৫’ নামে একটি নতুন কৌশলগত রূপরেখা প্রকাশ করেন, যা আগামী দিনে ভারত-ব্রিটেন অংশীদারিত্বের দিকনির্দেশ ও লক্ষ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    ভারত এবং ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন

    ভারতের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ব্রিটেনের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই চুক্তিকে ভারত ও ব্রিটেনের ‘যৌথ উন্নয়নের নীলনকশা’ হিসেবে অভিহিত করেন। চুক্তির আওতায়, প্রায় ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই ঐতিহাসিক বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

    চুক্তির ফলে কী লাভ হবে

    এই চুক্তির ফলে কী লাভ হবে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, ব্রিটেনের বাজারে ভারতীয় বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান রত্ন, গহনা, সামুদ্রিক খাবার এবং প্রযুক্তিগত পণ্য আরও বেশি করে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ভারতের কৃষিজাত পণ্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের জন্য ব্রিটেনের বাজার আরও প্রশস্ত হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই চুক্তির ফলে ভারতের তরুণ প্রজন্ম, কৃষক, মৎস্যজীবী এবং ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর।

    ব্রিটেনে কাজের সুযোগ বাড়বে

    চুক্তি অনুযায়ী, হলুদ, গোলমরিচ, এলাচের মতো মসলা জাতীয় কৃষিপণ্য এবং আমের শাঁস, আচার, ডাল ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ব্রিটিশ বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ পাবে। একইসঙ্গে উপকৃত হবেন ভারতের মৎস্যজীবীরাও—চিংড়ি, টুনা-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য এখন ব্রিটেনে শুল্কছাড়াই রফতানি করা যাবে। চুক্তির আওতায় শুধু ভারত নয়, ব্রিটেনেরও কিছু পণ্য ভারতীয় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে, যার ফলে দুই দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্য ও পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে। আইটি, আইন, শিক্ষা, ব্যাংকিং ইত্যাদি পেশাজীবীরা সহজেই ব্রিটেনে কাজের সুযোগ পাবেন এই চুক্তির মাধ্যমে।

    কী বললেন মোদি (PM Modi)?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর, আজ আমাদের দুই দেশ একটি বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’’

    কী বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

    এই ঐতিহাসিক চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ভারতের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে ব্রিটেনে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।”

    ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে

    ব্রিটেনের ব্যবসা ও বাণিজ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে। এর ফলে ব্রিটিশ সংস্থাগুলির জন্য সফট ড্রিংকস, প্রসাধনী, গাড়ি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো পণ্য ভারতে রফতানি করা আরও সহজ হয়ে উঠবে। বিশেষভাবে লাভবান হবেন হুইস্কি নির্মাতারা। আগে যে হুইস্কির ওপর ভারতীয় শুল্ক ছিল ১৫০ শতাংশ, তা প্রথম ধাপে কমে ৭৫ শতাংশে নামবে, এবং আগামী ১০ বছরের মধ্যে আরও হ্রাস পেয়ে ৪০ শতাংশে দাঁড়াবে। এর ফলে ব্রিটেনের জন্য ভারতের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

  • Australia: মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় আঁকা হল বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি

    Australia: মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় আঁকা হল বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) এক ভারতীয় ছাত্রের উপর নৃশংস হামলার ঠিক একদিন পরেই মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় রাতে ঘৃণামূলক ও বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে—এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখার হিন্দু কাউন্সিলের সভাপতি মকরন্দ ভগবত বলেন, “আমাদের এই মন্দির শান্তি, ভক্তি এবং ঐক্যের প্রতীক। সেখানে এ ধরনের চিত্র দেখে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ নয়, আমাদের অস্তিত্ব ও বিশ্বাসের উপর আঘাত (Indians)।”

    পার্কিং-এ বচসা থেকে ভারতীয়কে মারধর (Australia)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার (Australia) অ্যাডিলেডে পার্কিংকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয় এবং সেখানেই ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবক চরমপ্রীত সিং-এর উপর হামলা হয়। চরমপ্রীত নিজেই জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে বসে ছিলেন, সেই সময় একদল ব্যক্তি এসে বর্ণবিদ্বেষমূলক ভাষা ব্যবহার করে এবং তাঁর মুখে ঘুষি মারে। এই আঘাতে তিনি গুরুতরভাবে জখম হন। ঘটনার পর পুলিশ ২০ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে—সেখানে দেখা যাচ্ছে আক্রমণকারীরা ধাতব বক্সার দিয়ে মারছে এবং ভারতীয়দের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে।

    বর্ণবিদ্বেষী হামলা ২০০৯-১০ থেকেই চলছে

    এ নিয়ে চরমপ্রীত সিং বলেছেন, “সবকিছু বদলানো যায়, কিন্তু গায়ের রং তো পাল্টানো যায় না।” প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ভারতীয়দের উপর এ ধরনের হামলা নতুন নয়। ২০০৯-১০ সালেও একাধিক ভারতীয় ছাত্রের উপর বর্ণবিদ্বেষমূলক হামলা (Indians) হয়েছিল। সেই সময় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মেলবোর্ন, সিডনি সহ একাধিক জায়গায় ভারতীয় যুবকদের ট্রেনে, রাস্তায়, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে বহু সময় পেরিয়ে গেলেও, অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ভারতীয়দের উপর হামলা যে আজও বন্ধ হয়নি, তা ফের একবার প্রমাণিত হল।

  • Jagdeep Dhankhar: ধনখড়কে বাংলো খালি করতে বলার নির্দেশ আসলে ভুয়ো খবর, জানাল পিআইবি

    Jagdeep Dhankhar: ধনখড়কে বাংলো খালি করতে বলার নির্দেশ আসলে ভুয়ো খবর, জানাল পিআইবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এই আবহে একটি খবর প্রচারিত হয় যে ধনখড়কে নাকি অবিলম্বে তাঁর বাসভবন ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ে, সিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর ঘর—এমন খবর ঘুরতে থাকে। তবে এই তথ্য সম্পূর্ণ এবং ভিত্তিহীন—সে কথা জানিয়ে দিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)।

    সমাজ মাধ্যমে পোস্ট পিআইবি-র (Jagdeep Dhankhar)

    এমনও খবর রটে যায় যে পদত্যাগের রাত থেকেই নাকি ধনখড় বাংলো ছাড়ার জন্য প্যাকিং শুরু করে দিয়েছেন। এর পরে পিআইবির ফ্যাক্ট চেকিংয়ে জানা যায়, তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। এবং এমন কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতিকে। এ নিয়ে নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করে পিআইবি। সেখানে তারা লেখে, ‘‘সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যে জগদীপ ধনখড়ের বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে তা খালি করতে বলা হয়েছে—যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন তথ্য।’’ এই ধরনের ভুয়ো তথ্যে পা দিতেও বারণ করেছে পিআইবি।

    টাইপ-এইট বাংলো পেতে পারেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)

    প্রসঙ্গত, জগদীপ ধনখড়ের বর্তমান বয়স হল ৭৪। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে,  চার্চ রোডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনক্লেভে তিনি চলে এসেছিলেন। বিগত ১৫ মাস ধরে এটাই ছিল জগদীপ ধনখড়ের বাসভবন। সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে তৈরি করা হয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এনক্লেভ। বর্তমানে তাঁর স্বাস্থ্যজনিত উদ্বেগ রয়েছে। এই কারণে প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি একটি নয়া সরকারি বাংলোতে স্থানান্তরিত হতে চলেছেন বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং জাতীয় দলের নেতাদের জন্য যেরকম বাসস্থান বরাদ্দ করা হয়, সেরকমই কোনও বাসস্থান তিনি পেতে চলেছেন। দিল্লিতে তাঁকে টাইপ-এইট বাংলো দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন (PIB)। অন্যদিকে, পদত্যাগ করার ফলে উপরাষ্ট্রপতির পদ খালি রয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উপররাষ্ট্রপতি নির্বাচন শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইমতো প্রস্তুতিও চলছে (Jagdeep Dhankhar)।

  • Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    Increase Child Memory: স্মৃতিশক্তি নিয়ে উদ্বেগ! নিয়মিত কোন পাঁচটি কাজ শিশু-মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াবে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সাধারণ কয়েকটি ঠিকানা কিংবা কয়েকজনের নাম, মনে রাখতেই অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই বহু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখতে পারেন না। আবার স্মৃতিশক্তি হ্রাসের এই সমস্যা অনেকের খুব কম বয়সেই দেখা যায়। স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার এই সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নিয়ে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তাঁরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুকাল থেকেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে বাড়তি নজর দিলে পরবর্তীতে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। জীবনের নানান পর্যায়ে যা খুবই সাহায্য করে‌। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সঠিক পুষ্টিকর খাবারের পাশপাশি কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পরিবারের খুদে সদস্যকে সেই অভ্যাস রপ্ত করাতে পারলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং স্মৃতিশক্তিও প্রখর হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

    নিয়মিত মেমোরি গেম কিংবা পাজল সলভ করা!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত এমন কিছু খেলায় শিশুদের অভ্যস্ত করা দরকার, যাতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এতে শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের পাজল গেম, জিকসো পাজল বা ব্লগ পাজলের মতো খেলায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। এই ধরনের খেলায় নতুন ভাবে কিছু সমাধান করার চেষ্টা থাকে। তাই চিন্তাশক্তি বাড়ে। যা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে‌। এর ফলে স্মৃতিশক্তি ও বাড়ে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের বিনোদনের সময়ে মোবাইল বা টিভির কার্টুনের পরিবর্তে নিয়মিত এই পাজল সলভ ধরনের খেলায় অভ্যস্ত করলে মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। পাশপাশি নানান ধরনের মেমোরি গেম খেললে স্মৃতিশক্তি বাড়তে পারে।

    নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস!

    শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গান শরীরের একাধিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। পাশপাশি গান মস্তিষ্কের উপরেও বিশেষ প্রভাব ফেলে। তাই শিশু বয়স থেকেই নিয়মিত গান শুনলে মস্তিষ্কে দীর্ঘ প্রসারী প্রভাব পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্ট্রেস হরমোন মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ভয় এগুলো স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। স্মৃতিশক্তি হ্রাস হয়। পাশপাশি যেকোনও কাজের আত্মবিশ্বাস কমে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে খুব কম বয়স থেকেই নানান জটিলতার মধ্যে শিশুদের থাকতে হচ্ছে। এর ফলে তার প্রভাব তাদের মস্তিষ্কে পড়ছে। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে তার জোরালো প্রভাব দেখা দিচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিয়মিত গান শুনলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক হয়। স্নায়ুর শক্তিও বজায় থাকে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হয় না। এর ফলে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। যেকোনও কাজে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাই ছোটো থেকেই নিয়মিত গান শোনার অভ্যাস তৈরি হোক।

    ক্রসওয়ার্ড দিয়ে শব্দের ভাণ্ডার বাড়ানো!

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শব্দ শেখানো নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত দীর্ঘ সময় কথা বললে তাদের শব্দ ভাণ্ডার বাড়ে। এর ফলে সহজেই দুটি সমস্যার সমাধান করা যায়। একদিকে শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। আরেকদিকে শিশুর কথা বলা সহজ হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিশুদের কথা বলার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও শিশু ঠিকমতো কথা বলছে না। ইশারাতেই কথা বলছে। শারীরিক সমস্যা না থাকলেও এমন ঘটনা ঘটছে। তার নেপথ্যে রয়েছে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং কথা বলার মানুষের অভাব। এর ফলে পরবর্তীতে নানান জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা জরুরি।‌ পাশপাশি বছর পাঁচেক বয়সের পরে শিশুদের শব্দ ভাণ্ডার কতখানি বাড়ছে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। এতে তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে, আরেকদিকে তাদের যেকোনও ভাষায় দক্ষতাও বাড়বে। তাই নিয়মিত শিশু যাতে নতুন শব্দ শেখে সে নিয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর পাশপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে তাঁরা শিশুকে ক্রসওয়ার্ডের মতো খেলায় অভ্যস্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

    সাবেকি ঘরোয়া খেলায় বাড়বে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবেশ একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশু যদি তার পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়, স্বচ্ছন্দ থাকে তবেই তার মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হবে। স্মৃতিশক্তি বাড়বে এবং বিভিন্ন কাজে আত্মবিশ্বাস পাবে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, মোবাইল কিংবা ট্যাবলেটের ভিডিও গেম নয়। বরং পরিবারের সকলের সঙ্গে বসে কিছু সাবেকী খেলা শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিডিও গেম একদিকে একাকিত্ব বোধ বাড়িয়ে দেয়, আরেকদিকে চোখের পক্ষে এবং স্নায়ুর পক্ষেও ক্ষতিকারক। কিন্তু লুডো, ক্যারমের মতো খেলা বা যে কোনও কার্ড গেম পরিবারের সঙ্গে বসে খেললে, একদিকে পরিবারের সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। শিশু অন্যরকম সময় কাটানোর সুযোগ পায়। মানসিক চাপ কমে‌। একাকিত্ব বোধ তৈরি হয় না। আর এগুলো শিশুর মানসিক বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। শিশুর জন্য বাড়তি উপকারি হয়।

    নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়!

    নিয়মিত নাচের অভ্যাস মস্তিষ্কের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাচ নিয়মিত করলে শরীরের একাধিক পেশি যেমন সক্রিয় থাকে, তেমন মস্তিষ্কের স্নায়ুও সক্রিয় থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পারকিনসনের মতো মস্তিষ্কের জটিল সমস্যায় আক্রান্তদের অত্যন্ত কার্যকরী থেরাপি হলো নাচ। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে, সক্রিয় রাখতে নিয়মিত নাচ জরুরি। এতে মস্তিষ্কের স্নায়ু সুস্থ থাকে। শরীরে অন্যান্য পেশির সক্রিয়তা বজায় থাকে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share