Tag: বাংলা খবর

  • Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    Karnataka: কর্নাটকে ফের পৈতা পরে ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে বাধা, বরখাস্ত কলেজ অধ্যক্ষ ও কেরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করার ফের অভিযোগ উঠল কর্নাটকে (Karnataka)। এই ঘটনায় কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ এবং এক কেরানিকে বরখাস্ত করল কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সম্প্রতি, কর্নাটকের ব্রাহ্মণ ছাত্রদের পৈতা (Sacred Thread) পরে পরীক্ষা দেওয়াতে বাধার অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগেই সে রাজ্যের শিবমোগায় দুই পরীক্ষার্থীর পৈতা ছিড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় কর্নাটক। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পৈতা পরে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিদারে। এই ঘটনাতেই সাসপেন্ড করা হল অধ্যক্ষ ও কেরানিকে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে বরখাস্ত অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা

    জানা গিয়েছে, কর্নাটক (Karnataka) কমন এন্ট্রাস টেস্টের পরীক্ষার্থী সুচিব্রত কুলকার্নিকে পৈতা পরে থাকার কারণে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তিনি নিজের গণিত পরীক্ষা দিতে পারেননি শুধুমাত্র পৈতা পরার কারণে। পরবর্তীকালে তিনি এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে কর্নাটকের বিদারে ডেপুটি কমিশনার শিল্পা শর্মার রিপোর্টের ভিত্তিতে কর্নাটকের উচ্চশিক্ষা বিভাগ পদক্ষেপ করে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। সাইস্ফূর্তি কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর বীরাদরা এবং কেরানি সতীশ পাওয়ারকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

    কী বলা হয়েছে রিপোর্টে?

    প্রসঙ্গত, পরীক্ষার সময় যে কোনও ধাতুর জিনিসপত্র নিয়ে পরীক্ষা হলে না ঢোকার নির্দেশিকা রয়েছে। পৈতা যা ধাতববিহীন, তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ পরীক্ষার নির্দেশিকাকে লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে যে কলেজের কর্মীরা ছাত্রটির প্রতি অপমানজনক মন্তব্য করেছে এবং তাঁকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৭ এপ্রিল ওই ছাত্র গণিত পরীক্ষায় বসতে না পারলেও, তার আগের দিন ১৬ এপ্রিল কুলকার্নিকে ওই একই কেন্দ্রে পৈতা পরে পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখানে উঠছে প্রশ্ন। প্রথম দুটি পরীক্ষা ওই ছাত্র দিতে পারলে শুধুমাত্র গণিত পরীক্ষাতে কেন বাধা দেওয়া হল!

    ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন ওই ছাত্র

    এ নিয়ে কর্নাটকের (Karnataka) উচ্চশিক্ষা দফতরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গণিত পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রটি ইঞ্জিনিয়ারিং র‍্যাঙ্কিং পাবেন। এ নিয়ে সে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী এমসি সুধাকরের সঙ্গে আলোচনাও করবে উচ্চশিক্ষা দফতর। একইসঙ্গে ছাত্রটির প্রতি ন্যায় বিচার করতে পুনঃপরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে কর্নাটকের উচ্চ শিক্ষা দফতরের ওই আধিকারিক।

  • PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। বৃহস্পতিবারই বিহারের মধুবনীতে সভামঞ্চে হাজির ছিলেন  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। সেখানেই সন্ত্রাস হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন তিনি। দেশের প্রধানমন্ত্রীর হুঙ্কার, হামলায় জড়িত জঙ্গিদের ও নেপথ্যে যে সমস্ত ষড়যন্ত্রীরা রয়েছে তাদের কল্পনাতীত সাজা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিন পঞ্চায়েতরাজ দিবস উপলক্ষেই বিহার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানেই পহেলগাঁও ইস্যুতে (Pahalgam Attack) জঙ্গিদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিতে শোনা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    সভা শুরুর আগে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেন মোদি (PM Modi)

    নিজের বক্তব্যে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘স্পষ্ট শব্দে বলে দিতে চাই, যারা এই হামলা চালিয়েছে, ওই জঙ্গিদের ও ষড়যন্ত্রকারীদের এমন সাজা দেওয়া হবে, যা তাদের ধারণার বাইরে। সাজা হবেই।’’ এদিন মধুবনীতে সভা শুরুর আগে পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) নিহতদের স্মরণে হাতজোড় করে ২ মিনিট নীরবতাও পালন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে

    নিজের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘কোটি কোটি দেশবাসী আজ দুঃখিত। পহেলগাঁওতে নিরীহদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে গোটা দেশ। সরকার আহতদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করছে। কেউ সন্তান হারিয়েছেন, কেউ ভাই, কেউ আবার জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। তাঁদের কেউ বাংলা বলত, কেউ কন্নড়, কেউ মারাঠা। কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী সকলেই এখন ক্ষোভে ফুঁসছে।’’ ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত জঙ্গিদের তাড়া করব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন আরও বলেন, ‘‘আজ আমি বিহারের মাটি থেকে সমগ্র বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রত্যেকটি জঙ্গি এবং তাদের ষড়যন্ত্রীদের চিহ্নিত করবে। খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এই জঙ্গিদের তাড়া করব। ভারতবর্ষের চেতনাকে কখনোই জঙ্গিরা শেষ করতে পারবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন, ‘‘পুরো দেশ বর্তমানে সংকল্পবদ্ধ। যাঁরা মানবতায় বিশ্বাস রাখেন, তাঁরা সকলেই আমাদের সঙ্গে আছেন। শাস্তি এতটাই কঠোর হবে যে সন্ত্রাসবাদীরা কখনও তা ভাবতে পারেনি।’’

    ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব

    জঙ্গিদের উদ্দেশে মোদির (PM Modi) হুঁশিয়ারি, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব। সন্ত্রাসবাদীদের ধ্বংস করে ছাড়বে ভারত। বিহারের মাটি থেকে গোটা বিশ্বকে বলছি, ভারত জঙ্গিদের খুঁজে বের করে প্রত্যেককে সাজা দেবে। সন্ত্রাসবাদে ইতি টানবে ভারত। যারা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি সেই সমস্ত দেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাদের এই বিপদে সমর্থন করেছেন।’’

    ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে, প্রতিজ্ঞা মোদির

    একইসঙ্গে ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসবাদ দিয়ে যে ভারতের মেরুদণ্ড কোনওভাবেই ভাঙা যাবে না, সে বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। এর পাশাপাশি, এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে যা কিছু করার, সবকিছুই করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, হামলার সময় দুদিনের সৌদি আরব সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালেই তাঁর সফর সংক্ষিপ্ত করেন এবং দিল্লিতে ফিরে আসেন। এরপর বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত বলে ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পাক নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র সরকার

    এই আবহে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে। সন্ত্রাস দমন ইস্যু ও জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সমস্ত দলের রাজনৈতিক নেতাদের কেন্দ্রের হয়ে জানাবেন জয়শঙ্কর। সর্বদলীয় বৈঠক ইস্যুতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। শোনা যাচ্ছে, সর্বদল বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারেন রাজনাথ সিং।

  • Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    Pakistan: নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ৪২ লঞ্চ প্যাডে থাকা ১৩৫ জঙ্গি অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়, দাবি গোয়েন্দাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী (Pakistans Southern Strategy) হামলা আসলে কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গ্রীষ্মকালীন নাশকতা কৌশলের অঙ্গ। পাকিস্তানের (Pakistan) মদতে এই সময়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বেড়ে যায়। গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জম্মুর দিকে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে এখনও পর্যন্ত ৩২টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে ১০০ সন্ত্রাসী লুকিয়ে রয়েছে। এই সমস্ত সন্ত্রাসীরা বর্তমানে অনুপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে, কাশ্মীরের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ১০টি অস্থায়ী শিবির বা লঞ্চ প্যাডে, সেখানে ৩৫ জন সন্ত্রাসবাদী রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    গত ৬ মাসে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Pakistan)

    গোয়েন্দা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ছয় মাস ধরে জম্মুর দিক থেকে ৫০ বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা (Pakistans Southern Strategy)। এরমধ্যে কিছু সন্ত্রাসবাদী দক্ষিণ দিক থেকে অনুপ্রবেশ করে কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৭৫ জন সন্ত্রাসী রয়েছে। অন্যদিকে, জম্মু অঞ্চলে এই সংখ্যা ৫০। কারণ জম্মু অঞ্চলে লুকানোর জায়গা কম আছে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। জম্মু-কাশ্মীরের আত্মগোপন করে থাকা এই সন্ত্রাসবাদীরা (Pakistan) প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে। তাদেরকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। ২০২৩ সালে এমনই ১২৫টি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩০০।

    গত বছরে কাশ্মীরে পর্যটক পৌঁছায় ২.৩৫ কোটি

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা ছিল ১০৭। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে এই হামলার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৭ এবং ২৬। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনটি সন্ত্রাসবাদী হামলার (Pakistan) ঘটনা ঘটেছিল। জানা গিয়েছে, গত বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ২.৩৫ কোটি পর্যটক এসেছিলেন। একই সঙ্গে অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন পাঁচ লাখ ভক্ত। শ্রীনগরের লালচকে প্রতিদিন পর্যটকদের পা পড়ত গড়ে ১১ হাজার। খুব স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন হচ্ছিল ভূস্বর্গের। কারণ সেখানকার প্রধান জীবিকাই ছিল পর্যটন। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং আইএসআই এমনটা চাইনি। ফলস্বরূপ, পহেলগাঁও হামলা।

  • Indus Waters Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, থমকে যাবে পাক জনজীবন? জানুন বিস্তারিত

    Indus Waters Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, থমকে যাবে পাক জনজীবন? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন ২৭ জন ভারতীয়। লস্কর-ই-তৈবার শাখা, রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলা চালায়। এর ঠিক একদিন পরেই বুধবার মোদি সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে কয়েক দশকের পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সিন্ধু নদী সমেত তার শাখানদীগুলি – ঝিলাম, চেনাব, রবি, বিপাশা এবং শতদ্রুর জল পাকিস্তানে আর যাবে না। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের পরে বেশ বিপাকে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। এমনটাই মনে করছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। চুক্তি স্থগিতের বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে কয়েক কোটি পাক নাগরিকের ওপর। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় হামলার পরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন ‘‘রক্ত এবং জল একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।’’ তবে সেসময় ভারত জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

    চুক্তি স্বাক্ষর হয় ১৯৬০ সালে (Indus Waters Treaty)

    ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই দুই দেশ ছাড়াও অতিরিক্ত স্বাক্ষরকারী ছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। এই চুক্তিতে সিন্ধু এবং এর উপনদীগুলির জল দুই দেশের মধ্যে ন্যায্যভাবে ভাগ করার কথা বলা হয়েছিল। চুক্তির অধীনে, পূর্বাঞ্চলীয় ৩ নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রুর জল ভারতকে এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় ৩ নদী – চেনাব, সিন্ধু এবং ঝিলামের জল পাকিস্তানকে বরাদ্দ করা হয়েছিল (Indus Waters Treaty)। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশকে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে একে অপরের নদী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু, জলসেচ ইত্যাদি কাজে।

    কে কীভাবে জলের ভাগ পাবে

    এই চুক্তি অনুযায়ী (Indus Waters Treaty) পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী – বিপাশা, রবি এবং শতদ্রু নদীর জলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় ভারত। এই নদীগুলি ভারতেই অবস্থিত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই নদীগুলির গড় বার্ষিক প্রবাহ ৪১ বিলিয়ন (৪ হাজার ১০০ কোটি) ঘনমিটার। অন্যদিকে, তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী সিন্ধু, চেনাব এবং ঝিলাম – নদীর জলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পায় পাকিস্তান। এই নদীগুলির গড় বার্ষিক প্রবাহ ৯৯ বিলিয়ন (৯ হাজার ৯০০ কোটি) ঘনমিটার।  ভারতে অবস্থিত সিন্ধু নদীর মোট জলের প্রায় ৩০ শতাংশ পায় ভারত। অন্যদিকে বাকি ৭০ শতাংশ পায় পাকিস্তান।

    সিন্ধু জল চুক্তির (Indus Waters Treaty) প্রস্তাবনায় কী বলা হয়েছে

    সিন্ধু জল চুক্তির প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে সদিচ্ছা, বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার মনোভাবের কথা। সিন্ধু নদীর জল থেকে দুই দেশই যাতে উপকৃত হয় এবং সুবিধা পায়, সেকথাই বলা হয় প্রস্তাবনায়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু নদী ব্যবস্থায় ভারতীয় অংশে অবস্থিত যে কোনও বাঁধ, ব্যারেজ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদিতে পাকিস্তান হামলা চালালে তা চুক্তি লঙ্ঘন বলে মনে করা হবে। এর ফলে বাতিল করা হতে পারে সিন্ধু জল চুক্তি।

    ভারত-পাকিস্তানের বাঁধ বিরোধ

    এই চুক্তি মূলত জল বণ্টনের ওপর তৈরি হলেও জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত কিষাণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প (Indus Waters Treaty) নিয়ে দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ রয়েছে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর একটি উপনদী হল কিষাণগঙ্গা। এই কিষাণগঙ্গা নদীর এক পাড়ে বান্দিপোরা জেলায় কিষাণগঙ্গা প্রকল্পটি ২০১৮ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল। অন্যদিকে, কিশতোওয়ার জেলার চেনাব নদীর উপর অবস্থিত রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ চলছে। পাকিস্তানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নির্মিত এই দুই ভারতীয় বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাক সরকারের দাবি, এর ফলে তাদের সেচযোগ্য জল সরবরাহকারী নদীগুলির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক মঞ্চের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ভারতকে কিষাণগঙ্গা বাঁধ নির্মাণের অনুমতি দেয়। খারিজ করে পাকিস্তানের দাবি। চলতি বছরে, নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালত ভারত সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেছে। আদালতে রায় হল, বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি তৈরি হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে ভারতের সিদ্ধান্ত সঠিক। কাশ্মীরে কিষাণগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আবেদনের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়।

    কেন ভয় পায় পাকিস্তান?

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Waters Treaty) কোনওভাবেই দুই দেশের নিরাপত্তার দিকে কোনওভাবেই যুক্ত নয়। পাকিস্তানের বরাবরেরই আশঙ্কা যে সিন্ধুর উপনদীগুলির প্রবাহের একেবারে নিচের অংশে তাদের অবস্থান। তাই ভারত যে কোনও সময় তাদের দেশে বন্যা বা খরার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। আর যদি যুদ্ধ লাগে তাহলে তো এটা হতেই পারে। এমন আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রথম থেকেই। অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বাঁধে। এই যুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল সিন্ধু নদীর জল ব্যবস্থার উপর কার অধিকার থাকবে। তবে পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে অন্তত জল ব্যবস্থার অধিকার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কখনও যুদ্ধ বাঁধেনি। এ নিয়ে বেশিরভাগই তাদের যে বিরোধ সামনে এসেছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটা সময় ছিল যখন সিন্ধু জল চুক্তিকে একসময় বিশ্বের সবচেয়ে সফল জল বন্টন চুক্তি হিসেবে মনে করা হত। কিন্তু বর্তমানে বারবার সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে সেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করতে বাধ্য হল মোদি সরকার।

    পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের উপরেই

    সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ার ফলে চরম দুর্দিনে পড়তে চলেছে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেদেশের ৮০ শতাংশ কৃষিজমিতে জল সরবরাহ হয় এই চুক্তির মাধ্যমেই। এমনিতেই আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। তারপরে এমন চুক্তি স্থগিত করার অর্থ হল মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। জানা যাচ্ছে, সেচের জন্য প্রয়োজনীয় জলের ৯০ শতাংশেরও বেশি আসে সিন্ধু নদী থেকে। এর পাশাপাশি করাচি, মুলতান, লাহোরের মতো বড় শহরগুলিতেও সিন্ধু নদীর জলই ব্যবহৃত হয়। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পাকিস্তানের তারবেলা এবং মাংলার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চলে সিন্ধুর জল থেকেই। গম, চাল, আখ, তুলো চাষ এবং পাকিস্তানের জিডিপির ২৫ শতাংশ নির্ভর করে এই সিন্ধুর জলের উপরেই, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই চুক্তি মোতাবেক জল না পেলে পাকিস্তানের কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জনজীবন-সবই থমকে যাবে বলে আশঙ্কা পাক নাগরিকদের। এমনিতেই পাকিস্তানে প্রবল জল সংকট চলছে, তাই সিন্ধু নদীর জল না পেলে কার্যত শুকিয়ে যাবে দেশের বিরাট অংশ।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ের পাল্টা ‘বালাকোট-২’! ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে পাকিস্তানজুড়ে জারি হাই-অ্যালার্ট

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ের পাল্টা ‘বালাকোট-২’! ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে পাকিস্তানজুড়ে জারি হাই-অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবারের জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) খবরের পর থেকে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে। বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডিতে। পুলওয়ামা হামলার প্রত্যুত্তরে ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল। পহেলগাঁওয়ের পর দেশজুড়ে ফের একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি উঠতে শুরু করেছে। কেউ কেউ আবার ইজরায়েলি দাওয়াই প্রয়োগ করার কথা বলছেন। এমনও বলছেন, পাকিস্তান হামাসের মতো হামলা করেছে। ভারতের উচিত ইজরায়েলের মতো জবাব দেওয়া। পাক সেনার আশঙ্কা, পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Attack) পরও ভারত যে প্রত্যাঘাত করবে, তা একপ্রকার অনিবার্য। তবে ভারতের সেই পাল্টা মার কবে, কোথায় ও কীভাবে আছড়ে পড়বে, তা নিয়ে দিশেহারা পাক সেনাকর্তারা। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানজুড়ে জারি করা হয়েছে হাই-অ্যালার্ট (Pakistan On High Alert)। ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় পাক ফৌজের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছে। যে দেশ সন্ত্রাসীদের মদত দিয়ে এসেছে চিরকাল, যে দেশ প্রতিনিয়ত আতঙ্কীদের আশ্রয়দাতা হয়ে রয়েছে, তারা এখন নিজেরাই আতঙ্কিত। যা দেখে ভারতের অনেকেই বলছেন, এটা হওয়া উচিত, ‘ইয়ে ডর আচ্ছা লাগা’। অর্থাৎ, পাকিস্তানের এই ভয় দেখে ভালো লাগছে।

    লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে ত্রাহি ত্রাহি রব

    বুধবার সকাল থেকে সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্টে এমন দাবি করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান তার ফৌজকে ভারত সীমান্তবর্তী জায়গায় মোতায়েন করছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরেডার২৪’ থেকে নেওয়া স্ক্রিনশটগুলির পোস্টে ভরে গিয়েছে এক্স। পোস্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বিমানগুলি করাচির দক্ষিণাঞ্চলীয় এয়ার কমান্ড থেকে উত্তরে অবস্থিত লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির কাছে বায়ুসেনা ঘাঁটির উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাক বায়ুঘাঁটি নূর খান, তাদের বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান অপারেশনাল ঘাঁটি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি বিমানঘাঁটি ভারত সীমান্তের খুব কাছেই। ঘাঁটি দুটি থেকে জম্মু-কাশ্মীরের (Pahalgam Attack) দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। পোস্টগুলিতে দুটি নির্দিষ্ট ফ্লাইট হাইলাইট করা হয়েছে— একটি পিএএফ-১৯৮ ফ্লাইট, যা পাক বায়ুসেনার একটি লকহিড সি-১৩০ই হারকিউলিস পরিবহণ বিমান। দ্বিতীয়টি, পিএএফ-১০১। এটি একটি ছোট এমব্রেয়ার ফেনম-১০০ জেট, যা প্রায়শই ভিআইপি পরিবহণ বা নজরদারির জন্যও ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, সীমান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে যুদ্ধাস্ত্র (Pakistan On High Alert) এবং সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলেও দাবি।

    কোন পথে হামলা করবে ভারত? আতঙ্কে পাকিস্তান

    এর থেকে পরিষ্কার, ভারত সীমান্তের কাছে নজরদারি বাড়িয়েছে পাক বায়ুসেনা। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নিজেদের আকাশসীমায় প্রতিনিয়ত চক্কর কাটছে ওই নজরদারি বিমানগুলি। এর কারণটাও স্পষ্ট। ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জঙ্গি-হামলায় ৪০ জওয়ানের হত্যার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে বালাকোটে গজিয়ে ওঠা জয়েশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর তিনটি জঙ্গি শিবিরে মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ যুদ্ধবিমানগুলি। সেই অভিযানে পাকিস্তান কিছু বুঝে ওঠার আগেই খতম হয়েছিল ৩২৫ জঙ্গি। ওই হামলার ফলে, পাকিস্তানের মুখ পুড়েছিল। সেই কারণে, ভারতের প্রত্যাঘাত (Pahalgam Attack) অনিবার্য ধরে নিয়ে এখন থেকেই নজরদারি শুরু করেছে পাক বায়ুসেনা। কিন্তু, পাকিস্তান বুঝতে পারছে না, ভারত কীভাবে, কখন ও কোথায় হামলা করবে। এই নিয়ে প্রবল আশঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে পাক সেনা ও সেদেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পাকিস্তানের আরও একটি বড় সমস্যা হল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) জেরে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি। শুধু পাশে থেকে সমবেদনা জানানোই নয়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাসও দিয়ে রেখেছে তারা। সেই তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ফ্রান্স, সৌদি আরব (যে দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থাকাকালীন হামলা হয়) থেকে শুরু করে ইজরায়েল। ফলে, ভারত প্রত্যাঘাত করলেও, কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করবে না (Pakistan On High Alert)।

    ‘‘ইজরায়েলের মতোই প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত’’

    এদিকে, ভারতে বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। জনমানসে জমছে প্রত্যাঘাতের দাবি। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রাক্তন ডিজি এসপি বৈদ বুধবার পহেলগাঁও হামলাকে ‘‘ভারতের জন্য পুলওয়ামার দ্বিতীয় মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন। এসপি বৈদের মতে, এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ ছিল এবং তিনি এও দাবি করেছেন যে, হামলাকারীরা আসলে পাকিস্তান স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ-এর (এসএসজি) কমান্ডো ছিল।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি যে এটি ভারতের জন্য পুলওয়ামার দ্বিতীয় মুহূর্ত। এটি কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ (Pahalgam Attack)। আমি আগেও বলেছি, এরা সন্ত্রাসীদের পোশাক পরে পাকিস্তানি এসএসজি কমান্ডো।’’ এখানেই থেমে থাকেননি বৈদ। হামলার নেপথ্যে পাক সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক উসকানিমূলক মন্তব্যকেও দায়ী করেন তিনি। একইসঙ্গে জানান, এর জবাব দিতে হবে ইজরায়েলের ঢঙে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে এই হামলার ধরন মিলে যাচ্ছে। আসিম মুনির ‘জিহাদের’ ভাষা ব্যবহার করছেন, আক্রমণটিও একইভাবে করা হয়েছে। হামাসের হামলার পর ইজরায়েল যা করেছিল তার মতোই প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত। উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত।’’

  • JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঠিক পরদিন, আজ মঙ্গলবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) জানালেন, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে শর্তাবলী চূড়ান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির মধ্যে মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

    মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট (JD Vance) বলেন, ‘‘আমাদের দেশ সর্বদা সেভাবেই বাণিজ্য বন্ধু বানাতে চায় যারা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা সবসময় নিজেদের জাতীয় স্বার্থকেই সামনে রাখি। আমরা চাই বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে একটি শক্তপোক্ত সম্পর্ক। যে দেশগুলি তাদের শ্রমিকদের সম্মান করে এবং নিজেদের রফতানি বাড়ানোর জন্য শ্রমিকদের মজুরি কেটে নেয় না বরং তাঁদের শ্রমের মূল্যকে সম্মান করে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা এমন দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সেই সমস্ত দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা উন্মুক্ত, স্থিতিশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ একটি বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’

    সোমবারই তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন ভান্স

    প্রসঙ্গত, সোমবারই তিন দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance)। সোমবার সকালে দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। ভান্সের সঙ্গে সফরে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা ভান্স এবং তিন শিশুসন্তান— ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল। ভান্সের তিন সন্তানই ভারতীয় পোশাক পরে এদেশে আসে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে এলেন মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স। দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে (JD Vance) ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়।

  • Deendayal Upadhyaya: পাশ্চাত্য দর্শনে ব্যক্তি সুখ, একাত্ম মানববাদে ধর্ম-মোক্ষের ধারণা দেন দীনদয়াল

    Deendayal Upadhyaya: পাশ্চাত্য দর্শনে ব্যক্তি সুখ, একাত্ম মানববাদে ধর্ম-মোক্ষের ধারণা দেন দীনদয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয় আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। তারপর থেকে এদেশের কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলের নেতারা পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদ এবং সোভিয়েত মডেলকেই ভারতের নীতি করতে চেয়েছিলেন। ঠিক এই সময়েই ভারতীয় সভ্যতার প্রতিধ্বনি নিয়ে হাজির হন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya)। ১৯৬৫ সালের ২২ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে তিনি চারটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যগুলি শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শই ছিল না, এটা ছিল ভারতের সনাতন সংস্কৃতি এবং সভ্যতার প্রতিধ্বনি। পরবর্তীকালে এটাই হয়ে ওঠে একাত্ম মানববাদ। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রবর্তিত একাত্ম মানববাদ বর্তমানে প্রতিফলিত হয় বিজেপির সংবিধানের তিন নম্বর ধারায়।

    ব্যক্তি সুখের কথাই বলে পাশ্চাত্য দর্শন

    দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhyaya) মতে, এই সমাজের চারটি উপাদান রয়েছে। প্রথমটি হল দেশ বা রাষ্ট্র, দ্বিতীয়টি হল সংস্কৃতি, তৃতীয় হল জনগণ, চতুর্থ হল সরকার। একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় এবং সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তুলতে এই চারটি উপাদানকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। এই ৪ উপাদানের মধ্যে যদি সংযোগ না ঘটে তাহলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না বলেই মনে করতেন দীনদয়াল উপাধ্যায়। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বর্তমান উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলায়, নাগলা চন্দ্রভাগ নামক স্থানে। শৈশবে অত্যন্ত দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হন তিনি। মাত্র ৭ বছর বয়সেই তিনি তাঁর পিতামাকে হারান এবং বড় হয়ে ওঠেন আত্মীয়দের কাছে। অত্যন্ত মেধাবী দীনদয়াল ছাত্রজীবনে স্বর্ণপদকও লাভ করেন। পরবর্তীকালে চাকুরি না করে তিনি দেশের সেবায় অংশগ্রহণ করেন। যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে। এরপরেই দীনদয়াল উপাধ্যায় দেশজুড়ে বীজ বুনতে থাকেন সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের। তাঁর দর্শন (Ekatma Manava Darshan) ভারতীয় ভাবধারায় গড়ে উঠেছিল। সেখানে ঔপনিবেশিকতার কোনও ছায়া দেখা যায়নি। পাশ্চাত্য দর্শনে যেখানে ব্যক্তি জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বলেছে, দীনদয়াল উপাধ্যায়ের দর্শন সেখানে ব্যক্তি-সমাজ-প্রকৃতি-আধ্যাত্মিকতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

    দীনদয়াল উপাধ্যায় প্রণীত একাত্ম মানববাদ (Ekatma Manava Darshan)

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya) বলতেন, ‘‘ভারতবর্ষে জাতীয়তাবোধের ভিত্তি হল ভারত মাতা, যদি মাতা শব্দটা সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে শুধু ভারত, মাটির টুকরো হয়েই পড়ে থাকবে।’’ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মতে, প্রতিটি মানুষের সম্পূর্ণ গঠন হয় চারটি উপাদানের ভিত্তিতে। এগুলি হল শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মা। এই চারটি উপাদানের সঙ্গে ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চারটি বিষয় সম্পর্কিত। ধর্ম হল ভিত্তি এবং মোক্ষ হল সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। অন্যান্য মতাদর্শ যেখানে শুধুমাত্র মন এবং শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের কথা বলে সেখানে একাত্ম মানববাদে ধর্ম এবং মোক্ষেরও ধারণা দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলতেন, ‘‘ধর্ম হচ্ছে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। সমাজকে সংগঠিত করতে ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ নীতিনিষ্ঠ এবং মূল্যবোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখতেন পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya)।

  • RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছর বয়স হলেই এখন থেকে ছোটরা তাদের নিজেদের সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (Minor Bank Accounts) খুলতে ও নিজেরাই চালাতে পারবে। এমনটাই ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন নিয়মটি প্রযোজ্য হবে সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে প্রাইমারি (আরবান) কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, ব্যাঙ্ক যদি মনে করে সেক্ষেত্রে ১০ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, এটিএম কার্ড, চেকবুক ইত্যাদির সুবিধাও দিতে পারবে। তবে এসব দেওয়ার আগে ঝুঁকি-সংক্রান্ত নিয়মাবলি পর্যালোচনা করবে ব্যাঙ্ক। আগে নিশ্চিত হতে হবে, যে এইসব শিশুদের উপযুক্ত কিনা।

    ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে নয়া নীতি (Minor Bank Accounts)

    অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এবং পরবর্তীকালে ব্যাঙ্ককে কেওয়াইসি নিয়ম মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়েছে আরবিআই। শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত ব্যাঙ্ককেই আগামী ১ জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে এই নতুন নির্দেশ কার্যকর করে নিজেদের নীতি প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল সোমবারই এক বিবৃতিতে আরবিআই জানায়, বহু বছর আগে জারি করা পুরনো এক নির্দেশিকাকে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। তারপরেই এই নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলার ও পরিচালনার নিয়ম করা হয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, যে কোনও বয়সের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু তার আইনি অভিভাবকের মাধ্যমে সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। ১০ বছর বা তার বেশি বয়স হলেই তারা এখন নিজেরাই এসব অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে।

    অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে

    এই নিয়মের পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলিকে নিজেদের অ্যাকাউন্টগুলিকে শর্ত নির্ধারণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাকাউন্টে জমা টাকার সীমা নির্ধারণ, অন্যান্য শর্তাবলি স্থির করা এবং সেগুলো স্পষ্টভাবে কিশোর গ্রাহকদের জানানো। যখনই কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৮ বছরে পৌঁছে যাবে, তখনই তাকে আবার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশনা ও সিগনেচার দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, শিশুর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট, সেটা অভিভাবক দ্বারা পরিচালিত হোক বা শিশু নিজে পরিচালনা করুক, কোনওভাবেই ওভারড্রাফট সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

  • Bangladesh: হিংসার বাংলাদেশে নেই শ্রমিক নিরাপত্তা! ৫ হাজার কোটির রেল প্রকল্প বন্ধ করল মোদি সরকার

    Bangladesh: হিংসার বাংলাদেশে নেই শ্রমিক নিরাপত্তা! ৫ হাজার কোটির রেল প্রকল্প বন্ধ করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাসেই বিএনপি ও জামাত অগণতান্ত্রিকভাবে দখল করে বাংলাদেশের (Bangladesh) গণভবন। দেশ ছাড়া হন শেখ হাসিনা। পতন হয় তাঁর সরকারের। এরপর থেকেই ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বাড়াতে থাকে অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকার। দিল্লির সঙ্গে বাড়তে থাকে কূটনৈতিক টানাপোড়েন। অবনতি হয় সম্পর্কের। এই আবহে নরেন্দ্র মোদি (Modi Govt) নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের নির্মাণ এবং অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লির তরফ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়েই চিন্তিত ভারত। তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বেশ কতকগুলি সংবাদমাধ্যম। জানা যাচ্ছে, অর্থ বরাদ্দ বন্ধের ফলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্প— আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্প, খুলনা-মোংলা বন্দর রেল লাইন এবং ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রেল সম্প্রসারণ— স্থগিত করা হয়েছে।

    বন্ধ হওয়া প্রধান প্রকল্পগুলি (Bangladesh)

    ১. আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্প 

    জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পটি ভারত সরকারের প্রায় ৪০০ কোটির অনুদানে বাস্তবায়িত হচ্ছিল। ১২.২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেলপথের মধ্যে বাংলাদেশের অংশ ৬.৭৮ কিলোমিটার ও ত্রিপুরার অংশ ৫.৪৬ কিলোমিটার। এতে ত্রিপুরা ও অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সংযোগ বাড়ার কথা ছিল।

    ২. খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্প (Bangladesh)

    এই প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা ভারতের ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারত। এই প্রকল্পের আওতায় মোংলা বন্দর ও খুলনার মধ্যে ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রড গেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছিল।

    ৩. ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রেল সম্প্রসারণ প্রকল্প

    এই প্রকল্পটি আর মাত্র ২ বছর পরে ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তায় চলছিল কাজ। জানা যাচ্ছে, এইগুলি ছাড়া আরও বেশ কতকগুলি প্রকল্পের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।

    ভারত সরকার কোনও বিবৃতি দেয়নি

    যদিও ভারত সরকার এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে এর মধ্যেই বাংলাদেশে রেল সংযোগ একাধিক প্রকল্পে ভারতের অর্থ বরাদ্দ বন্ধের খবরটি নতুন করে সামনে এসেছে। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম এই বিষয়টি তুলে ধরেছে বলেও জানা যাচ্ছে। দিল্লির এমন পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের রেলপথের মাধ্যমে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য বা ‘সেভেন সিস্টার্স’কে যুক্ত করার পরিকল্পনা ব্যাহত হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের একাধিক কট্টরপন্থী নেতার মুখে ‘সেভেন সিস্টার্স’ ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি শোনা গিয়েছে।

    শ্রমিকদের নিরাপত্তাই উদ্বেগের কারণ

    যদিও সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন নামের একটি সংবাদপত্র। ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh), সেই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। ঠিক এই কারণেই রেল প্রকল্পগুলির তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খবর। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ও তাদের একের পর এক ভারত বিরোধী অবস্থানের ফলে প্রকল্পগুলি বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হল।

    বিকল্প রুটের সন্ধান নয়াদিল্লির

    একাধিক রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার কারণে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারত বিকল্প রাস্তার সন্ধানও পেয়েছে। ভুটান ও নেপালের মতো অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির মাধ্যমে বিকল্প একটি ট্রানজিট রুট কিভাবে নির্মাণ করা যায় সেই পরিকল্পনায় করছে ভারত। অর্থাৎ ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্ক রাখতে চায় না মোদি সরকার।

    শিলিগুড়ি গুরুত্বপূর্ণ করিডর, উত্তরপূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার

    জানা যাচ্ছে এই আবহে ভারতীয় রেল বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে পরিকাঠামো সম্প্রসারণের দিকেই নজর দিয়েছে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল শিলিগুড়ি করিডর। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বারও বলা হয়ে থাকে। শিলিগুড়ি করিডরকে পশ্চিমবঙ্গে চিকেন নেকও বলা হয়ে থাকে। শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করেই লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলবে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন রেলওয়ে আধিকারিকরা। এক উচ্চপদস্থ রেল আধিকারিকের মতে, রেল লাইনের সম্প্রসারণের জন্য সার্ভের কাজ চলছে। ভারতীয় রেল নেপাল ও ভুটানের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে করিডর তৈরির পরিকল্পনা করছে।

    বাংলাদেশের সঙ্গে এমন তিক্ত সম্পর্ক আগে দেখা যায়নি

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার প্রাক্তন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পরে এবং ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন থেকেই ক্ষমতায় এসেছে তখনই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সবচেয়ে অবনতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এমন সম্পর্কের অবনতি কখনও দেখা যায়নি। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। ভারত কড়া বিবৃতি জারি করেছে একাধিকবার। সে দেশের হিন্দুদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে বলেছে ইউনূস সরকারকে। একইসঙ্গে নয়া দিল্লি অভিযোগ তুলেছে যে ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ না করার জন্যই এসে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর উগ্র মৌলবাদীদের হামলা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এমন তিক্ত সম্পর্কই এবার প্রভাব ফেলল দিল্লির এমন সিদ্ধান্তে।

    চিন সফরে গিয়েও উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে মন্তব্য করেন ইউনূস

    প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেসময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কথাতেও সেভেন সিস্টার্স–এর উল্লেখ ছিল। সেখানে তিনি বাংলাদেশ হয়ে ভারতে চিনা বাণিজ্যের প্রসার সম্পর্কে বলতে গিয়ে দাবি করেছিলেন। তাঁর মতে, সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশই হলো গার্ডিয়ান অফ দ্য ওশন। ভারতের বর্তমান সিদ্ধান্তে ইউনূসের এমন ভাবনা ধাক্কা খেল।

    চিকেন নেক এলাকায় চিনকে ঘাঁটি বানাতে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ!

    বাংলাদেশ নিজেকে বঙ্গোপসাগরের ‘গার্ডিয়ান’ বলে আখ্যা দেওয়ার পরে জানা যায়, সেদেশের উত্তরে চিকেনস নেক এলাকার কাছে নাকি চিনকে ঘাঁটি বানানোর অনুমতি দিয়েছেন ইউনূস। এহেন পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভারতের রেল প্রকল্পের সব কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদশের ওপর যে ভারত কোনওভাবেই নির্ভরশীল নয়, তা বোঝাতে ভারত এবার নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে দিয়ে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপায় খুঁজছে।

  • World Earth Day 2025: ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস, এবছরের থিম ‘আমাদের শক্তি, আমাদের গ্রহ’

    World Earth Day 2025: ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস, এবছরের থিম ‘আমাদের শক্তি, আমাদের গ্রহ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ২২ এপ্রিল পালন করা হয় বিশ্ব ধরিত্রী দিবস (World Earth Day 2025)। এই দিনে পৃথিবীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। এই দিন সারা বিশ্বের মানুষকে সচেতন করার দিন। প্রতি নিয়ত বেড়ে চলা দূষণের ফলে বাড়ছে উষ্ণতা। বৃক্ষচ্ছেদন থেকে জল দূষণ, কলকারখানার নির্গত ধোঁয়া থেকে বায়ু দূষণ, নানাভাবে মাটির দূষণ, এই সমস্ত কারণে পৃথিবী প্রতিনিয়ত বাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। তাই রাষ্ট্রসংঘের তরফেই শুরু হয় এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়।

    ২০২৫ সালে বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের থিম হল ‘আমাদের শক্তি, আমাদের গ্রহ’

    ২০২৫ সালে বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের (World Earth Day 2025) থিম হল ‘আমাদের শক্তি, আমাদের গ্রহ’। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, বিগত দশক (২০১৫-২০২৪) ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম। এই আবহে ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে বিশ্ব পৃথিবী দিবসের পালন। বিশ্ব পৃথিবী দিবস কেবল উদযাপনের একটি দিন নয়, বরং এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের গ্রহকে রক্ষা করা সংকল্পের দিন।

    বিশ্ব ধরিত্রী দিবস দিনটির ইতিহাস (World Earth Day 2025)

    বিশ্ব ধরিত্রী দিবস (World Earth Day 2025) পালন শুরু হয় গত শতক থেকেই। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার সচেতনতা বাড়াতে রাষ্ট্রসংঘ এই বিশেষ দিনটা পালন করা শুরু করে। নানা দেশে দূষণ কমাতে নানাভাবে আন্দোলন দেখা গিয়েছে বিগত শতকে। ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল উসকনসিনের সেনেটর গেলর্ড নেলসন বিশ্ব ধরিত্রী দিবস (World Earth Day) উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন। জানা যায়, এমন অনুষ্ঠানের পিছনে একটি বড় কারণ ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা বারবারাতে তৈল নিষ্কাশনের ফলে প্রবল দূষণের ঘটনা তাঁকে রীতিমতো নাড়া দেয়। গেলর্ড মনে করতেন আমাদের পরিবেশ সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া উচিত। গেলর্ডের সেই আহ্বানে মেলে অভূতপূর্ব সাড়া। ২ কোটি মানুষ সেখানে যোগ দেয়। এরপর থেকে ওই দিনটিই বিশ্ব ধরিত্রী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। এখন সারা বিশ্বের ১৯৩টি দেশ এই বিশেষ দিন পালন করে।

LinkedIn
Share