Tag: মাধ্যম

  • Suvendu Adhikari: দুর্গাপুজোয় আমন্ত্রণ থেকে রাজ্য রাজনীতি, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: দুর্গাপুজোয় আমন্ত্রণ থেকে রাজ্য রাজনীতি, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সরকারি বাসভবনে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলল এই বৈঠক। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা সমস্যা এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে।

    বৈঠক নিয়ে সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন শুভেন্দু?

    এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মনীয় শ্রী অমিত শাহ জির সাথে আজ ওনার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ ওনার সাথে আলোচনা হয়েছে।’’ শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘‘ ব্যস্ততা সত্বেও প্রায় ৪৫ মিনিট মতো উনি আমাকে সময় দিয়েছেন এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’ শুধু রাজনৈতিক কথাবার্তা নয়, বৈঠকে ব্যক্তিগত আমন্ত্রণও জানান শুভেন্দু। জানা গেছে, আসন্ন দুর্গাপুজোয় বাংলায় এসে মাতৃ আরাধনার সাক্ষী থাকতে অমিত শাহকে অনুরোধ করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘সম্মানীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে আমি আসন্ন দুর্গাপুজোয় পশ্চিমবঙ্গে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’’

    বৈঠকে উঠে এসেছে শুভেন্দুর নিরাপত্তা প্রসঙ্গও

    আলোচনার সময়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তা প্রসঙ্গও গুরুত্ব পায়। অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা হিসেবে বাংলায় তাঁকে বারবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় সুরক্ষার বিষয়টিও বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির সংগঠনকে সক্রিয় করে তোলার জন্য এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃতপক্ষে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও সক্রিয় ও চাঙ্গা করে তোলা যায়, সেই রূপরেখা নিয়েই মূলত এদিনের বৈঠকে বিস্তৃত আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। তাঁদের মতে, বুথস্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করা, নেতৃত্ব ও কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ এসব নিয়েই আলোচনা হতে পারে। তাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • Sukanta Majumdar: এয়ারপোর্টের ভিভিআইপি জোনে সুকান্তর কনভয় ঢুকতে দিল না মমতা-পুলিশ, শুরু বিতর্ক

    Sukanta Majumdar: এয়ারপোর্টের ভিভিআইপি জোনে সুকান্তর কনভয় ঢুকতে দিল না মমতা-পুলিশ, শুরু বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানানোর মুহূর্তে বিমানবন্দরে তৈরি হল বিতর্ক। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়কে হঠাৎই থামিয়ে দেয় মমতার পুলিশ। অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভিভিআইপি জোনে ঢোকার আগে তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে বলা হয় এবং বাকি পথ হেঁটেই যেতে বাধ্য করা হয় মন্ত্রীকে। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, তিনি জানতে চাইলে পুলিশ জানায়—‘ম্যাডামের আপত্তি আছে।’ জানা গেছে, এই “ম্যাডাম” আসলে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক, যিনি ওই সময়ে বিমানবন্দর এলাকার নিরাপত্তা দেখভাল করছিলেন।

    সুজিতের গাড়ি ঢুকলেও কেন বাধা সুকান্তকে?

    ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি (BJP) রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে দ্বিচারিতার। তাদের বক্তব্য, প্রটোকলের অজুহাতে ইচ্ছাকৃতভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে (Sukanta Majumdar) অপমানিত করা হয়েছে। অথচ, কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর কনভয়কে বিনা বাধায় একই এলাকায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। বিজেপির প্রশ্ন—একই জায়গায়, একই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গাড়ি নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হল কেন, অথচ রাজ্যের মন্ত্রীকে সেই ছাড় দেওয়া হল কীভাবে? গেরুয়া শিবিরের দাবি, এর মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমি ডিসির নামে একটা প্রিভিলেজ নোটিস পাঠাচ্ছি। উনি গিয়ে অধ্যক্ষকে উত্তর দেবেন। কোন এক্তিয়ারে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি উনি বিমানবন্দরের গেটে ঢুকতে দেবেন না, অথচ রাজ্যের মন্ত্রীর গাড়ি ঢুকবে? রাজ্যের মন্ত্রীর মাথায় কি দুটো সিং গজিয়েছে? তাঁদের অতিরিক্ত কী প্রিভিলেজ আছে? নিয়ম তো সবার জন্য এক হবে। যদি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আসত, তাহলেও এক কথা।”

    রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ সুকান্তর

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘এখানকার পুলিশ প্রশাসন যেভাবে কাজ করছে তা অগণতান্ত্রিক। আপনারা দেখেছেন, সুজিত বাবুর গাড়ি কালও ঢুকেছিল এই চত্বরের মধ্যে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আমার গাড়ি এখানে ঢুকে দেওয়া হয়নি। আমরা যখন পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথা বলি, ওঁরা বলেন ম্যাডাম মানা করেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোন ম্যাডাম ? ওঁরা বললেন, ডিসি। কোন এক্তিয়ারে একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি উনি এখানে ঢুকতে দেবেন না। অথচ রাজ্যের মন্ত্রীর গাড়ি ঢুকবে। এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ আমরা সহ্য করব না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যদি মুখ্যমন্ত্রী আসতেন তাহলে নয় আমি ভাবতাম যে হ্যাঁ মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই তিনি আমাদের অনেক উপরে অবস্থান করেন, তাঁর গাড়ি আলাদাভাবে ঢুকতেই পারে। কিন্তু, রাজ্যের একজন মন্ত্রীর গাড়ি যদি এখানে ঢুকতে পারে, কেন্দ্রেরও যে কোনও মন্ত্রীর গাড়ি এখানে ঢুকতে দিতে হবে। যদি দিয়ে না থাকেন, আপনি প্রিভিলেজ ব্রিচ করেছেন।’’

  • Calcutta High Court: খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে নতুন একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। এই বোর্ডকে এসএসকেএম হাসপাতালের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে পাওয়া আঘাতগুলির ব্যাখ্যা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    ১২ জুলাই রহস্যমৃত্যু হয়

    গত ১২ জুলাই খেজুরির এক মেলায় সুজিত দাস ও সুজিত পাইক নামে দুই বিজেপি কর্মীর (BJP Workers) মৃত্যু হয়। প্রথমে তমলুক মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁদের খুন করা হয়েছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়ে—একজনের শরীরে ২৪টি এবং অন্যজনের শরীরে একাধিক আঘাতের দাগ পাওয়া যায়। সেই থেকেই খুনের অভিযোগ ফের জোরদার হয়।

    ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে

    সোমবার আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছে, নতুন মেডিক্যাল বোর্ডকে জানাতে হবে, ওই আঘাতগুলির মধ্যে কোনটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সেইসঙ্গে পুরো রিপোর্ট নিয়ে স্পষ্ট মতামতও জমা দিতে হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে (Calcutta High Court) সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এর আগেও এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট তদন্তকারী অফিসার, প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, থানার ওসি ও মেলা কমিটির সদস্যদের মোবাইল কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি আদালতকে জানায়, প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক তদন্তকারী অফিসারকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন। এ নিয়ে বিচারপতি বসাক প্রশ্ন তুলেছিলেন—“তদন্তকারী আধিকারিক কেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করবেন?” প্রসঙ্গত, এসএসকেএমের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল—মৃত্যুর কারণ শুধু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া নয়, শরীরে আঘাতের (BJP Workers) চিহ্নও রয়েছে। সেই কারণেই ফের নতুন মেডিক্যাল বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে আদালত।

  • Supreme Court: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের ( Waqf Amendment Act 2025) বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, পুরো ওয়াকফ আইন স্থগিত রাখার কোনও যুক্তি নেই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই আইনের কয়েকটি ধারাকে স্থগিত রাখা গেলেও গোটা আইনকে স্থগিত রাখা যায় না। গত ২২ মে ওই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিতে তৈরি হয় সংশোধিত ওয়াকফ আইন, ২০২৫। তারপর দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এই আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আপত্তি তুলে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিজেপি বিরোধী দলগুলি। আদালতে দায়ের হয় মামলা।

    কোন কোন ধারা স্থগিত হল (Supreme Court)

    আইন অনুযায়ী, কেউ ওয়াকফ তৈরি করতে চাইলে অন্তত পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম অনুশীলনকারী হতে হবে—এই ধারা স্থগিত রাখা হয়েছে। আদালত বলেছে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্ধারণের স্পষ্ট নিয়ম হয়নি।

    জেলা কালেক্টর বা প্রশাসক যাতে ওয়াকফ সম্পত্তি সরকারি জমি কি না তা নির্ধারণ করতে পারেন—এই ক্ষমতাও আপাতত বাতিল করা হল। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই স্পষ্ট মন্তব্য করেন, “কালেক্টররা ব্যক্তিগত নাগরিকদের অধিকার নির্ধারণ করতে পারবেন না। এটি ক্ষমতার বিভাজন নীতির পরিপন্থী।”

    অমুসলিমরাও ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ড বা কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্য মনোনয়নের বিধান বহাল থাকছে। তবে আদালতের মত, বোর্ডের ( Waqf Amendment Act 2025) বেশিরভাগ সদস্য যেন মুসলিম সম্প্রদায়ের হন, সেই দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। আদালত স্পষ্ট করেছে, অমুসলিমরাও ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন, কিন্তু নেতৃত্বের দায়িত্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কারও হাতে দেওয়াই উচিত। নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে চারজনের বেশি অমুসলিম সদস্য রাখা যাবে না এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডে অন্য ধর্মীয় সদস্যের সংখ্যা তিনজনের বেশি হওয়া চলবে না। আদালত জানিয়েছে, ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার না হওয়া পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের অধিকার সৃষ্টি করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো তাই স্থগিত থাকবে।

    মামলাকারী আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া

    মামলাকারী আইনজীবী আনাস তানভির বলেন, আদালত প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে কিছু ধারায় সমস্যা আছে। পুরো আইন নয়, শুধু বিতর্কিত অংশই স্থগিত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম চর্চার শর্ত বাতিল হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান

    কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে যুক্তি দিয়েছিল, সংসদে গৃহীত কোনও আইনের ধারা স্থগিত করা উচিত নয়। সংশোধনী মূলত ওয়াকফ সম্পত্তির ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের জন্য, ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর এর কোনও প্রভাব নেই। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ২০১৩ সালের সংশোধনীর আগেই অ-মুসলিমরা ওয়াকফ তৈরি করতে পারতেন না; অতীতে এ নিয়ে প্রতারণার আশঙ্কাও ছিল।

    ওয়াকফ বোর্ডের কার্যপ্রণালীতে স্বচ্ছতা আনতেই এই আইন

    লোকসভায় ২৮৮ জন সাংসদ সমর্থন জানিয়ে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের পক্ষে ভোট দেন, অন্যদিকে ২৩২ জন সাংসদ এর বিরোধিতা করেন। রাজ্যসভায়ও একই চিত্র—সেখানে ১২৮ জন সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেন এবং ৯৫ জন সদস্য বিপক্ষে থাকেন। ভোটাভুটির পর একাধিক রাজনৈতিক দল, মুসলিম সংগঠন এবং এনজিও আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধনের উদ্দেশ্যে এই নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংসদে পাস করানো হয়েছিল। বিজেপির দাবি, সংশোধিত আইন মূলত ওয়াকফ বোর্ডের কার্যপ্রণালীতে স্বচ্ছতা আনতে এবং বোর্ডগুলিতে মহিলাদের বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতেই আনা হয়েছে।

    ১.২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে

    ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে রয়েছে প্রায় ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তি এবং ৯.৪ লক্ষ একর জমি। এই বিপুল সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। ফলে জমির পরিমাণের বিচারে ওয়াকফ বোর্ড ভারতীয় রেলওয়ে ও সশস্ত্র বাহিনীর পর দেশের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিকানা ধরে রেখেছে। বর্তমানে সারা দেশে মোট ৩০টি ওয়াকফ বোর্ড কার্যকর রয়েছে। অতীতে একাধিকবার এনিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। দুর্নীতিমুক্ত ওয়াকফ বোর্ড গড়তেই বিজেপি সরকার এই আইন পাশ করায়।

  • BJP: নেশামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প! মহালয়াতে বিজেপির ডাকে রাজ্যে ‘নমো ম্যারাথন’

    BJP: নেশামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প! মহালয়াতে বিজেপির ডাকে রাজ্যে ‘নমো ম্যারাথন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেশামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প নিয়েছে বিজেপি (BJP)। মোদি সরকারের এটা অন্যতম ঘোষিত কর্মসূচি। সেই লক্ষ্য়ে দেশজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও করতে দেখা যায় মোদি সরকারকে। এই আবহে মহালয়ার দিন কলকাতা ও শিলিগুড়িতে নমো ম্যারাথনের ডাক দিল বিজেপি। সল্টলেকের দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP West Bengal)। কলকাতায় এই দৌড় শুরু হবে স্বামীজীর বাড়ি থেকে এবং শেষ হবে শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির পাদদেশে। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক শহরে একই দিনে একযোগে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

    মাদক বিরোধী লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা মোদি সরকারের

    পশ্চিমবঙ্গে মাদকবিরোধী লড়াই ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। রাজ্যে মাদক পাচার ও অপব্যবহার দীর্ঘদিন ধরেই একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে রাজ্যে মোট ৪৯৮৮ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ধরা পড়ে আরও ৩১৪৫ কেজি মাদক। চলতি বছরেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫৭২৯ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যা স্পষ্ট করে দেয় যে পাচারচক্র এখনও সক্রিয় থাকলেও মোদি সরকারের নজরদারি ও অভিযান অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে। এই লড়াইকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এনজিওকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪.৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এনজিওগুলির জন্য, যাতে তারা স্থানীয় স্তরে সচেতনতা তৈরি, পুনর্বাসন কার্যক্রম, এবং মাদকবিরোধী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

    ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর সেবা পক্ষকাল

    লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP) জানান, যুবসমাজই ভারতের আগামী দিনের সূর্য। তাই তাঁদের নেশামুক্ত কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পালিত হবে সেবা পক্ষকাল। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই দিনগুলিতে রাজ্য জুড়ে নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে। লকেট বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন, সেবার মাধ্যমেও রাজনীতিতে অংশ নেওয়া যায়। বিজেপি (BJP) তাঁর দেখানো পথেই এগোচ্ছে।’’

  • Donald Trump: ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন শেষ’’, ডালাসে ভারতীয় খুন নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন শেষ’’, ডালাসে ভারতীয় খুন নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেক্সাসের ডালাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মোটেল ম্যানেজার চন্দ্রমৌলি ‘বব’ নাগামাল্লাইয়াহর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে অবশেষে প্রতিক্রিয়া জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন— “আমেরিকাকে আবার নিরাপদ করব।” একই সঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ।

    কী লিখলেন সমাজমাধ্যমে?

    ট্রাম্প (Donald Trump) সোমবার সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘চন্দ্র নাগামাল্লাইয়ার খুনের সাংঘাতিক খবরটা আমি শুনেছি। ডালাসে তিনি এক জন সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন। স্ত্রী এবং সন্তানের সামনে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়েছে। কাজটা করেছেন এক অবৈধ অভিবাসী, যিনি কিউবা থেকে এখানে এসেছিলেন। কখনও তাঁর এখানে ঢুকতে পারার কথা ছিল না। এর আগেও এই লোকটি শিশুনিগ্রহ, গাড়ি চুরির মতো অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জো বাইডেনের অপদার্থ সরকার তাঁকে আটকে রাখতে পারেনি। কিউবাও এঁকে চায় না।’’

    অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ

    অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে এর পর আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি লেখেন, ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ, নিশ্চিন্ত থাকুন। আমার প্রশাসনের আধিকারিকেরা ভাল কাজ করছেন। আমেরিকাকে আবার আমরা নিরাপদ, সুরক্ষিত করে তুলব। এই অপরাধী আমাদের হেফাজতে রয়েছে। খুনের অভিযোগে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’’

    ওয়াশিং মেশিন নিয়ে ঝগড়ার সময়ই খুন

    চন্দ্রমৌলি ‘বব’ নাগামাল্লাইয়াহ হত্যাকাণ্ডে ৩৭ বছরের ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজকে (Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডালাসে চন্দ্র একটি ছোট হোটেলের মালিক ছিলেন, আর সেই হোটেলেই কর্মরত ছিল মার্টিনেজ। ১০ সেপ্টেম্বর দু’জনের মধ্যে ওয়াশিং মেশিন নিয়ে তীব্র বিতণ্ডা ঘটে। সেই ঝগড়ার ফলেই ঘটেছিল নৃশংস খুন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে ধরা পড়ে—অভিযুক্ত (Illegal Immigrants) এক হাতে কাটা মাথা নিয়ে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে।

  • Ayodhya Deepotsav: এবছর অযোধ্যায় জ্বলবে ২৬ লক্ষ প্রদীপ, ফের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য তৈরি রামনগরী

    Ayodhya Deepotsav: এবছর অযোধ্যায় জ্বলবে ২৬ লক্ষ প্রদীপ, ফের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য তৈরি রামনগরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) এ বছরের দীপাবলিতে (Ayodhya Deepotsav) হতে চলেছে অনন্য এক আয়োজন। রামনগরীতে আসন্ন দীপোৎসব ২০২৫-এ রাম কি পৈড়ি এবং সরযূ ঘাট জুড়ে জ্বালানো হবে প্রায় ২৬ লক্ষ প্রদীপ। রাজ্যের পর্যটন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই আয়োজনের মাধ্যমে গড়া হতে পারে নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।

    কী বললেন রাজ্যের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং?

    রাজ্যের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং জানিয়েছেন, এবার দীপোৎসবকে (Ayodhya Deepotsav) আরও মহিমান্বিত ও বিশ্ব মানের করার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, “এইবার ২৬ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালানো হবে। এর সঙ্গে থাকছে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশবান্ধব আতশবাজির প্রদর্শনী, যা ভক্তদের এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেবে।”

    বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে সবুজ আতশবাজির শো

    বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে সবুজ আতশবাজির শো। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলবে এই প্রদর্শনী (Ayodhya Deepotsav)। ভক্তদের জন্য থাকছে সঙ্গীত, লেজার লাইট ও আধুনিক নৃত্যশৈলীর সঙ্গে রঙিন আতশবাজির অনন্য সমন্বয়। সরযূ নদীর জলে আতশবাজির প্রতিবিম্ব পুরো দৃশ্যকে করে তুলবে আরও মনোমুগ্ধকর। পর্যটন ও সংস্কৃতির প্রধান সচিব মুখেশ কুমার মেশ্রাম জানিয়েছেন, এ বছরের দীপোৎসবের মূল ভাবনা হলো ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন। পরিবেশবান্ধব আতশবাজির মাধ্যমে ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে টেকসই উন্নয়নের বার্তা।

    গত বছর ২৫ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে গড়া হয়েছিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    ২০১৭ সালে যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অযোধ্যায় প্রতি বছর দীপোৎসবের (Ayodhya Deepotsav) আয়োজন করা হচ্ছে। গত বছর ২৫ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে গড়া হয়েছিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে দীপোৎসব ২০২৫ আয়োজন করা হবে ১৯ অক্টোবর। ঐতিহ্য, ভক্তি আর পরিবেশ সচেতনতার এক অনন্য সংমিশ্রণে ভরে উঠবে অযোধ্যার (Ayodhya) আকাশ।

  • ABVP: ১৮ সেপ্টেম্বর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ইস্তেহার প্রকাশ এবিভিপির

    ABVP: ১৮ সেপ্টেম্বর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ইস্তেহার প্রকাশ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করল। এই ইস্তেহারটি পড়ুয়াদের সুযোগ- সুবিধা এবং ছাত্র কল্যাণের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের (DUSU Election 2025) পাঁচ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার মতামতের ভিত্তিতে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এবিভিপি।

    মেট্রোর ভাড়া কমানো, ক্যাম্পাসে ফ্রি ওয়াইফাই-এর আশ্বাস

    ইস্তেহারে এবিভিপি মূলত পড়ুয়াদের দৈনন্দিন জীবন সহজ করার এবং শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্য রেখেছে। পাঠ্যক্রমের বাইরে পড়ুয়ার জীবনকে আরও সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে এবিভিপি (ABVP) একগুচ্ছ আশ্বাস দিয়েছে। এবিভিপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মেট্রোর ভাড়া হ্রাস, ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা এবং সহায়ক স্বাস্থ্য বীমা প্রদানের। এছাড়া বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়ার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে এবং খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। এবিভিপি জানিয়েছে, তারা কলেজের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অ্যাকাডেমিক সংগঠনগুলির (DUSU Election 2025) বাজেট বৃদ্ধি করবে। হস্টেলে নানা সুযোগ-সুবিধার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে এবিভিপি। নতুন হস্টেল নির্মাণের কথাও ইস্তেহারে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এবিভিপি পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি এবং চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করবে

    পড়ুয়াদের ভবিষ্যতকে আরও সমৃদ্ধ করতে এবিভিপি (ABVP) বৃত্তি এবং চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে, যাতে পড়ুয়ারা নিরাপদ পরিবেশে তাদের শিক্ষা অর্জন করতে পারে। এই প্রতিশ্রুতিগুলো ইস্তেহারের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হল পড়ুয়াদের এক উন্নত, নিরাপদ এবং সুবিধাসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিশ্চিত করা। ইস্তেহারটি প্রকাশিত হয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ। প্রসঙ্গত, ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। এবিভিপির (ABVP) এই ইস্তেহার পড়ুয়াদের স্বার্থে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে তাদের ভোটে প্রভাব ফেলতে চায়। বিশেষভাবে পড়ুয়ার সুবিধা, নিরাপত্তা এবং শিক্ষাজীবনের মান বৃদ্ধিই এই ইস্তেহারের মূল লক্ষ্য।

  • SIR: এসআইআর পরিচালনা সাংবিধানিক অধিকার, নির্দেশ দিতে পারেনা আদালত, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    SIR: এসআইআর পরিচালনা সাংবিধানিক অধিকার, নির্দেশ দিতে পারেনা আদালত, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করেছে। সেখানে তারা জানিয়েছে যে ভোটার তালিকায় চলমান বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) পরিচালনার সম্পূর্ণ অধিকার তাদেরই রয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের হলফনামায় উল্লেখ করেছে, দেশজুড়ে পর্যায়ক্রমে যে এসআইআর পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক অধিকার। তাই আদালত এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। যদি আদালত এই ধরনের নির্দেশ দেয়, তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতার উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।

    আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের জনস্বার্থ মামলা

    সম্প্রতি আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন, যাতে ভারতে যে কোনো নির্বাচনের আগে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার যুক্তি ছিল, দেশের রাজনীতি এবং নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এটি জরুরি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তারা চায় না শীর্ষ আদালত এই ধরনের নির্দেশ দিক। কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা হলফনামায় বলা হয়েছে, সংবিধানের ধারা ৩২৪ অনুযায়ী ভোটার তালিকা তৈরি ও সংশোধনের একমাত্র কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন, এবং অন্য কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি এতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কমিশন আরও জানিয়েছে, ভোটার তালিকার যথাযথতা নিশ্চিত করতে এসআইআর অপরিহার্য, এবং তারা সর্বদা এই দায়িত্বের বিষয়ে সতর্ক ও দায়িত্বশীল। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা ভোটার তালিকাকে সঠিক রাখার বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন এবং এই কাজ নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করা হয় (SIR)।

    বিহারে বাদ ৬৫ লাখ নাম (SIR)

    প্রসঙ্গত, কয়েক মাস পর বিহারে ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। জানা গেছে, সেই রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআর-এর (SIR) মাধ্যমে প্রায় ৬৫ লাখ অবৈধ ভোটারের নাম বাদ গেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মৃত ভোটারের নাম, কিছু স্থায়ীভাবে অন্য রাজ্যে বসবাসকারী ভোটার, এবং এমন কিছু ভোটারও রয়েছে যাদের নাম একাধিক জায়গায় তালিকাভুক্ত ছিল।

  • Maharashtra: মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হল রানি অহল্যাবাঈয়ের নামে

    Maharashtra: মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হল রানি অহল্যাবাঈয়ের নামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) আহমেদনগর রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে অহল্যাবাঈ রেলস্টেশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনের পর একথা জানিয়েছে তারা। জেলার নামও ইতিমধ্যেই আহমেদনগর থেকে অহল্যাবাঈ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি করা হয়েছে হোলকার সাম্রাজ্যের রানি, পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাঈ (Ahalyabai) হোলকার-এর ৩০০তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে, যিনি তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা এবং সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রসিদ্ধ।

    নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ (Maharashtra)

    এই নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবটি প্রথমে সামনে এনেছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তিনি জানিয়েছেন, এই নাম পরিবর্তন বহু বছর ধরে স্থানীয় জনগণের এবং ইতিহাসপ্রেমীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল। আমাদের প্রয়াসকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব অনুমোদন করেছেন। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নাম পরিবর্তনের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

    নামে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ও ধাপসমূহ

    নাম পরিবর্তনের পর রেলস্টেশনের সকল সাইনবোর্ড, ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থা, মানচিত্র এবং যাত্রীসেবা সংক্রান্ত ঘোষণা ধাপে ধাপে নতুন নাম অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে। সাধারণ যাত্রীরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নামের সঙ্গে পরিচিত হবেন।

    আদর্শ রানি লোকমাতা অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    নারী ক্ষমতায়নের দিক থেকে তিনি একটি আদর্শ উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি। পাশ্চাত্যের সঙ্গে যদি ভারতীয় সভ্যতার তুলনা টানা হয় মধ্যযুগের নারী সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে, সেখানে লোকমাতা অহল্যা বাঈ নয়া অধ্যায় লিখতে পেরেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার জন্মগ্রহণ করেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক অখ্যাত গ্রাম নাম চন্ডীতে। জন্মের পরেই পারিবারিকভাবে তিনি ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করেননি। বর্তমান দিনের পাশ্চাত্যের যে আধুনিক ফেমিনিজম, সেটিকে দূরে সরিয়ে, বিপরীতে হেঁটে রানি পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন অহল্যা বাঈ। প্রাচীন ভারতে এবং মধ্যযুগে নারীদের নাকি কোনও ক্ষমতাই ছিল না এবং তাঁদেরকে নাকি পর্দা প্রথার মধ্যে থাকতে হত। প্রচলিত এই মিথ-কে একেবারেই ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণ মূলক কাজ, মন্দির প্রতিষ্ঠা- এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন যে মধ্যযুগেও এই ভারতবর্ষের নারী শক্তি কতটা এগিয়েছিল। একজন বিধবা নারী যাঁকে হয়তো ঘরের ভিতরেই থাকতে হত। কিন্তু তাঁর ভাগ্য, তাঁর জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করেছিল। তাঁর শ্বশুর ছিলেন অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মালহার হোলকার। তিনি ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের একজন অগ্রণী সেনা নায়ক। অহল্যা বাঈ তাঁর কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সুশাসনের এবং কূটনীতির।

LinkedIn
Share