Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেদেশে তৈরি হয়েছে শ্রমিক সংকট। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া (Russian Labour Ministry) নাকি ভারত থেকে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে, এমনই এক প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দ্য মস্কো টাইমস-এ। প্রতিবেদনে অনুসারে, উরাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান আন্দ্রে বেসেদিন সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন (Indian worker)। তিনি জানান, রাশিয়ায় ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা ও উত্তর কোরিয়া থেকেও কর্মী নিয়োগের কথা বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

    অস্বীকার করল রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক

    তবে রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক (Russian Labour Ministry) এই দাবি অস্বীকার করেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা বর্তমানে সরকারের নেই।  প্রসঙ্গত, জানা গেছে গত এক বছরে ৪,০০০-এর বেশি ভারতীয় রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) সেন্ট পিটার্সবার্গে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। অনেক ভারতীয় শ্রমিক বর্তমানে কালিনিনগ্রাদ ও মস্কোর বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত আছেন।

    ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৭১,৮১৭টি জায়গা

    চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ভারতীয় শ্রমিকদের নিয়ে পরীক্ষামূলক নিয়োগ কর্মসূচিও শুরু করে। এর আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালানো হয়। তবে রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলি খুব একটা সফল হয়নি। রাশিয়ায় ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকটের মধ্যে, ২০২৪ সালে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য মোট ২,৩৪,৯০০টি পদ নির্ধারণ করেছে রুশ সরকার। এই কোটা অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের রাশিয়ার নির্মাণ, উৎপাদন, পরিষেবা ও কৃষি খাতে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মোট কোটার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে ৭১,৮১৭টি পদ।

    রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় (Russian Labour Ministry) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির বহু পুরুষ নাগরিক সামরিক দায়িত্বে নিযুক্ত হওয়ায়, অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নির্মাণ, পরিবহণ, কৃষি এবং বিভিন্ন পরিষেবা খাতে অভাব দেখা দিয়েছে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের।

  • Water Crisis: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে কাবুল, চরম সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ

    Water Crisis: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে কাবুল, চরম সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল (Water Crisis)। বর্তমানে এই শহর চরম জলসংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মার্সি কর্পস-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, কাবুল হতে পারে আধুনিক যুগের প্রথম শহর, যেখানে সম্পূর্ণরূপে ভূগর্ভস্থ জল শেষ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ২০৩০ সালের মধ্যেই কাবুলের সমস্ত ভূগর্ভস্থ জলের (Kabul) উৎস শুকিয়ে যেতে পারে। এটি শুধুমাত্র শহরের ৭০ লক্ষ মানুষের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য এক গভীর সংকেত। দ্য গার্ডিয়ান-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দশকে কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ৩০ মিটার পর্যন্ত নেমে গেছে।

    শহরের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পান করার অযোগ্য

    দ্রুত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনিয়ন্ত্রিত ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারের কারণে কাবুলে জলের সংকট চরমে উঠেছে। কেবল জলস্বল্পতাই নয়, কাবুলের জলের গুণমানও আজ প্রশ্নের মুখে। মার্সি কর্পস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পান করার অযোগ্য। এতে রয়েছে পয়ঃনিষ্কাশনের বর্জ্য, লবণাক্ততা ও আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত উপাদান। কাবুলের (Kabul) অনেক পরিবার প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস বিশুদ্ধ জলের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। কিছু পরিবার তাঁদের আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ শুধু জল কেনার পেছনে খরচ করছে, আবার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পরিবার জলের জন্য ঋণে জর্জরিত।

    জল এখন বিলাসবহুল বস্তু (Water Crisis)

    কাবুলের খায়ের খানহ্ এলাকার এক শিক্ষিকা নাজিফা বলেন, “জলের অভাব এখন আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। ভালো মানের নলকূপের জল এখন দুর্লভ।” তিনি আরও জানান, কিছু বেসরকারি কোম্পানি এই সংকটকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে। তারা বেপরোয়াভাবে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে তা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। নাজিফার কথায়, “আগে ১০ দিনের জন্য ৫০০ আফগানি মুদ্রায় জল কিনতাম, এখন সেই পরিমাণ জলের জন্য লাগে ১০০০ আফগানি। গত দুই সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সামনে জলের দাম আরও বেড়ে যাবে।”

    সংকট বাড়ছে কেন?

    ২০০১ সালে কাবুলের (Water Crisis) জনসংখ্যা ছিল ১০ লক্ষেরও কম, যা এখন সাত গুণ বেড়ে গেছে। এই বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জলের চাহিদাও কয়েকগুণ বেড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরুতে আফগানিস্তানে জল ও স্যানিটেশন প্রকল্পের জন্য ২৬৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও, এখন পর্যন্ত মাত্র ৮.৪ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক অনুদান অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পাঞ্জশির নদীর পাইপলাইন প্রকল্প কাবুলের জল সংকটের একটি বড় সমাধান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০ লক্ষ মানুষ পানীয় জল পাবে। এই প্রকল্পের (Kabul) নকশা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে (২০২৪ সালে), তবে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ব্যয় মেটাতে বিনিয়োগের প্রয়োজন।

  • Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে শুভাংশু শুক্লা, গতি পাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা

    Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে শুভাংশু শুক্লা, গতি পাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবস্থান করছেন ভারতীয় নভোচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। তাঁর এই মহাকাশে পাড়ি দেওয়া ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইসরোর মহাকাশ-সংক্রান্ত প্রকল্পগুলি—যেমন গগনযান, চন্দ্রযান-৪ ও চন্দ্রযান-৫—নতুন গতি পাচ্ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুভাংশু শুক্লার মহাকাশ অভিজ্ঞতা গগনযান মিশনের গবেষণায় অনেক সাহায্য করছে। উদাহরণস্বরূপ, মহাকাশে কোয়ারেন্টাইনে থাকা, সেখানে মানসিক চাপ কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, কী ধরনের ওষুধ প্রয়োগযোগ্য—এই সমস্ত দিকগুলোতে নতুনভাবে তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে (Indian Space Innovation)।

    অ্যাক্সিয়াম-৪ মিশনে কাজ করেছেন ইসরোর ৭ বিজ্ঞানী

    একই সঙ্গে, শুভাংশু শুক্লার (Shubhanshu Shukla) আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে উপস্থিতি ভারতের অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে গতি আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, যে মহাকাশযানে করে তিনি গিয়েছেন—সেই Axiom-4 (অ্যাক্সিয়াম-৪) মিশনে কাজ করেছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা, যার মধ্যে ইসরোর বিজ্ঞানীর সংখ্যা ছিল ৭ জন। তাঁরা নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন ও বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেছেন।

    কোন কোন দিক উঠে আসছে গবেষণায়

    মহাকাশে শুভাংশু শুক্লার (Shubhanshu Shukla) অবস্থানের ফলে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় যে নতুন দিকগুলো উঠে আসছে, তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।

    মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ প্রভাব না থাকায়, সেখানে ভারতীয় ফসলের বীজ কীভাবে রোপণ করা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা গবেষণা করেছেন ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

    এ ছাড়াও মহাকাশে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা সম্পর্কেও নতুন তথ্য উন্মোচিত হয়েছে। মাধ্যাকর্ষণশূন্য পরিবেশে মানুষের শরীর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, স্বাভাবিক থাকতে গেলে কী ধরনের থেরাপি ও ট্রিটমেন্ট দরকার হয়—সেগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে।

    তাছাড়া, নভোচারীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও গবেষণা হচ্ছে—কীভাবে তাঁরা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করেন, মহাকাশে মানানসই জীবনশৈলী কেমন হওয়া উচিত, সেসব বিষয়ও গবেষণার আওতায় এসেছে।

    উল্লেখযোগ্যভাবে, গত ৫ জুলাই নভোচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) গবেষণা করেছেন মহাকাশে মানুষের হাড় কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় সে বিষয়ে। এর পাশাপাশি তিনি মানবদেহের কোষ মহাকাশে কেমনভাবে বিকশিত হয় ও পুনর্গঠন হয়, তাও গবেষণার বিষয় করেছেন।

    আরও একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণা হল—মহাকাশে চারা গাছ রোপণ। দেখা গেছে, শুভাংশু শুক্লা মেথি ও মুন (মুগ)—এই দুটি চারা গাছ রোপণ করেছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে।

  • Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সপ্তাহের শুরু থেকেই বৃষ্টি। একনাগাড়ে বর্ষার (Monsooon Season) জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। বৃষ্টির ভিজে আবহাওয়ায় বাড়ছে নানান রোগের দাপট। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটানা বৃষ্টির জেরে শিশুদের মধ্যে নানান রোগের দাপট (Water Borne Diseases) বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। জোর দিতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়ানোর ওপর। না হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

    বর্ষার জেরে কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    নিউমোনিয়া বিপদ বাড়াচ্ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের অনেকেই দ্রুত ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখের কবলে পড়ে‌। যার ফলে ফুসফুসের উপরে বাড়তি প্রভাব পড়ে‌। ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাধা পায়। তার জেরেই ফুসফুসে জল জমার মতো বিপদ তৈরি হতে পারে। তার ফলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও (Water Borne Diseases) বাড়ে। শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। বর্ষায় শিশুদের নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এই সময়ে সর্দি-কাশি নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর, সর্দি-কাশি থেকেও বড় বিপদ হতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তাই বারবার সর্দি-কাশি হলে এই আবহাওয়ায় একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। বাড়তি সতর্কতা বড় বিপদের ঝুঁকি কমাতে পারে।

    ডায়ারিয়া নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি!

    একটানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। পানীয় জলের সরবরাহের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি কতখানি মানা হচ্ছে, সে নিয়ে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জায়াগায় পেটের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের পেটের অসুখে ভোগান্তি বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়ারিয়ার আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে। তাই এই আবহাওয়ায় পেটের অসুখ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, ডায়ারিয়া প্রাণঘাতী হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    টাইফয়েডের ঝুঁকি বাড়ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই সময়ে টাইফয়েডের ঝুঁকিও বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় শিশুরা টাইফয়েডে আক্রান্ত হচ্ছে। জল থেকেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

    জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা!

    বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ছে। তাই জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ঝুঁকি বেশি। কারণ, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) তুলনামূলক কম থাকে। তাই যেকোনও জীবাণু সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই বর্ষায় শিশুদের লিভারের নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শিশুকে সুস্থ রাখতে কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান সাহায্য করবে। সচেতনতা ও সতর্কতা বাড়তি বিপদের ঝুঁকি কমাবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তির (Immunity Power) দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকলে ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট সহজে এড়ানো যাবে। এর ফলে একাধিক অসুখের ঝুঁকি কমবে। সর্দি-কাশি জাতীয় অসুখের দাপট কমলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট কমানো সহজ হবে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, এই সময়ে শিশুকে নিয়মিত এক ধরনের লেবু জাতীয় ফল খাওয়ানো জরুরি। কারণ এই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি থাকে। ফলে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে‌‌। সকালে তুলসী পাতা ভেজানো জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কমে‌।

    পেটের অসুখ মোকাবিলা করতে ডায়ারিয়া, জন্ডিসের মতো জটিল রোগের বিপদ কমাতে জলের উপরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শিশু পরিশ্রুত জল খাচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই আবহাওয়ায় জলঘটিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ে। তাই পরিশ্রুত জল খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমানো‌ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় বাইরের সরবৎ বা খোলা জায়গায় থাকা কাটা ফল একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে নানান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত ঘরের তৈরি হালকা সহজ পাচ্য খাবার খেলে লিভার সুস্থ থাকবে। এতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়বে। রোগের প্রকোপ কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও হলিউড সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। একেবারে বাস্তব গল্প। এমন এক গল্প যা রোমহর্ষকতায় পর্দার কাহিনিকেও হার মানাবে। হলিউড সিনেমার দৌলতে অনেকেই হয়ত সুন্দরী, রহস্যময়ী মহিলা গুপ্তচর-আততায়ীদের সঙ্গে পরিচিত। তা সে আমেরিকার ‘ব্ল্যাক উইডো’-ই হোক কিংবা রাশিয়ার ‘রেড স্প্যারো’। তবে, এই গল্পের নায়িকা কোনও পর্দার কাল্পনিক চরিত্র নয়, সত্যিকারের মানুষ। এক কথায়, বাস্তবের ‘ব্ল্যাক উইডো’, রক্ত-মাংসের ‘রেড স্প্যারো’। এই কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের এক উচ্চশিক্ষিত ও প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন মহিলা গুপ্তচর (Catherine Perez-Shakdam), যিনি কিনা ইরানে ঢুকে, ধর্ম বদলে, দিনে দিনে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইরানের শীর্ষ কর্তাদের কাছে। স্রেফ পৌঁছে গিয়েছিলেন তাই নয়, রীতিমতো আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন। ধীরে ধীরে জোগাড় করেছিলেন গোপন তথ্য। পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মোসাদকে (Mossad Spy)। তারপর আচমকা একদিন উধাও! তাঁর দেওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই যুদ্ধে ইরানকে পর্যুদস্ত করতে সক্ষম হয় ইজরায়েল। তন্নতন্ন করে খুঁজেও এখন তাঁর কোনও হদিশ পাচ্ছে না ইরান! কীভাবে সম্ভব হল? জেনে নিন সেই রোমহর্ষক গল্প।

    রহস্যময়ী মোসাদ এজেন্টের পরিচয়…

    প্রথমেই পরিচয় করে নেওয়া যাক এই রহস্যময়ী নারীর সঙ্গে, যাঁকে নিয়ে আজ কৌতুহলের শেষ নেই বিশ্বে। মোসাদের এই গুপ্তচরের নাম ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম (Catherine Perez-Shakdam)। আদতে ফ্রান্সের বাসিন্দা। উচ্চ শিক্ষিত, অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, এবং বলা বাহুল্য প্রচণ্ড সাহসী। ফ্রান্সের একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম নেন ক্যাথরিন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান পড়াশোনা করেন এবং তার পরে অর্থ ও জনসংযোগ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে থাকাকালীন তিনি ইয়েমেনের এক সুন্নি মুসলিম ব্যক্তির প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে এই বিবাহের সমাপ্তি ঘটে। এর পরই, ক্যাথরিনের জীবনে এক বিশাল পরিবর্তন আসে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে মোসাদ। তাঁকে রাজি করানো হয় ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করার। মুসলিমের সঙ্গে সংসার করায় ইসলামিক রীতিগুলো রপ্ত ছিল ক্যাথরিনের। ফলে, মোসাদের খুব বেশি সময় লাগেনি ক্যাথরিনকে গড়ে তুলতে।

    মাথায় হিজাব, মস্তিষ্কে মোসাদ!

    মোসাদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৭ সালে সাংবাদিক, গবেষক ও চিন্তাবিদের পরিচয়ে ইরানে প্রবেশ করেন ক্যাথরিন। তিনি নিজেকে এক মুসলিম নারী এবং একজন ইয়েমেনি পুরুষের স্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করতেন। ইরানে তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হিজাব পরতেন। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) দাবি করেছিলেন যে, তিনি কেবল ইসলাম সম্পর্কে কৌতূহলী। তাই তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য ইরানের সরকার এবং সেনার প্রতি আনুগত্য দেখাতে থাকেন তিনি। প্রথমে তাঁকে দেখা গিয়েছিল টিভির বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক হিসেবে। তিনি ইয়েমেন যুদ্ধ, সৌদি নীতিমালা ও ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রবন্ধ লিখতেন, যা তাসনিম, মেহর এবং এমনকি সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই পরিচালিত ওয়েবসাইটেও প্রকাশ পেত। খামেনেই ডট আইআর–এ তাঁর লেখা ১৮টির বেশি প্রতিবেদন রয়েছে।

    ইরানের শীর্ষকর্তাদের স্ত্রীদের হাত করেন!

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসি-র উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করেন এবং তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত অতিথি হয়ে ওঠেন ক্যাথরিন। সেই মওকায় শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তাঁদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। নানা জায়গায় ঢুকে পড়েন, ছবি তোলেন এবং সংগ্রহ করেন নানা গোপন তথ্য। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) এতটাই বিশ্বস্ত ছিলেন যে, যেসব বাড়িতে এবং স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাধারণত খুব কড়া, সেই ব্যক্তিগত স্থানেও প্রবেশ করতে পারতেন। ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রীদের সঙ্গে আড্ডা ও বিশ্বাসের আড়ালে গৃহিণীদের মুখ থেকে তুলে আনতেন চরম গোপন তথ্য—স্বামী কোথায় কর্মরত, কখন কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে মিটিং করছেন, কারা তাঁর সঙ্গে থাকেন ইত্যাদি। এই কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করতেন ক্যাথরিন।

    ক্যাথরিনের তথ্য দিয়েই হামলার নকশা!

    ইরানি সেনা অফিসারদের একাংশের বাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। ফলে কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের গতিবিধি চলে যায় ক্যাথরিনের নখদর্পণে। তরুণী গুপ্তচরের (Mossad Spy) থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে চলে আসে মোসাদের। ওই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই শিয়া কমান্ডারদের নিকেশ করার নীল নকশা ছকে ফেলে ইজরায়েল। যুদ্ধ বাঁধতেই, একের পর একে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সেনা ও গোয়েন্দা কর্তার মৃত্যু হতে থাকে ইজরায়েলি হানায়। ইজরায়েলি হানার জেরে অনেক শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা নিরাপত্তার জন্য নিজেদের লোকেশন পরিবর্তন করেছিলেন। হয়ত ভেবেছিলেন যে, তাঁরা এখন নিরাপদ। কিন্তু প্রতিবারই যখনই কোনও আক্রমণ হয়েছিল, তখন তা এত নির্ভুল ছিল যে, মনে হয়েছিল যেন কেউ সঠিক লোকেশন ইজরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে। এমনকি, নিহত কমান্ডারদের জায়গায় যাঁদের নিযুক্ত করা হয়, তাঁরাও ইজরায়েলের ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এর শিকার হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ি বা গাড়িতে থাকাকালীন ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমায় নিশানা করা হয়েছে তাঁদের। সেই আক্রমণ এতটাই নিখুঁত ছিল যে আশপাশের কোনও কিছু সে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

    আচমকা ভ্যানিশ হয়ে যান ক্যাথরিন…

    এর পরেই নড়েচড়ে বসে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মিনিস্ট্রি অফ ইন্টেলিজেন্স অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান’। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে। বিভিন্ন ছবি খতিয়ে দেখে ক্যাথরিনকে (Catherine Perez-Shakdam) চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ক্যাথরিন ততদিনে ভ্যানিশ। ক্যাথরিন সম্পূর্ণরূপে নিখোঁজ। ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা তার পোস্টার এবং ছবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। তন্নতন্ন করে খুঁজেও আজও তাঁর কোনও নাগাল পাননি ইরানের গুপ্তচররা । কারও মতে, ক্যাথরিন তাঁর পরিচয় পরিবর্তন করেছে এবং এখন অন্য দেশে বাস করছেন। কিন্তু কোথায় তিনি? কেউ জানে না। তাঁর কোন চিহ্ন নেই, যেন হাওয়ায় মিশে গিয়েছেন। শুধু রয়ে গিয়েছে ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম নামটা। ইজরায়েলি ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী গুপ্তচরদের (Mossad Spy) একজন, যিনি ইরানকে হতবাক করেছেন এবং বিশ্বকে হতবাক করেছেন।

  • High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপে (High Blood Pressure) আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার প্রবণতা আছে। আর তাতেই বাড়তি বিপদ তৈরি হচ্ছে। তবে, নুন খাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আরও চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নুন খাওয়ায় লাগাম টানার পাশাপাশি আরও চার ধরনের খাবারে (Foods to Avoid) লাগাম দেওয়া জরুরি। তবেই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমবে।

    কোন চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে?

    নিয়মিত চিজ খাওয়া!

    সকালের জলখাবারে অনেকেই অমলেটের সঙ্গে কিংবা স্যান্ডুইচের মধ্যে চিজ দিয়ে খেতে পছন্দ করেন। আবার পাস্তা, পিৎজা, বার্গারের মতো মন-পসন্দ খাবারে তো অবশ্যই থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ চিজ। আর এই চিজ বিপদ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক তথ‌্য। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম চিজের মধ্যে ৬২১ মিলিগ্রাম নুন থাকে। নিয়মিত পাউরুটি, রুটি কিংবা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে চিজ খেলে রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম মিশতে থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না। উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চিজ খেলে বাড়বে রক্তচাপ। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নুনের পাশপাশি চিজ খাওয়ায় রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়ছে বিপদ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে। অনেকেই শুধু বিরিয়ানি, পিৎজা হটডগ‌ কিংবা বার্গারকেই অস্বাস্থ্যকর খাবার ভাবেন। কিন্তু এই খাবারের পাশাপাশি আরও একাধিক খাবার আছে, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত খাবার দীর্ঘদিন তাজা রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক মেশানো হয়, সেই সব খাবার অস্বাস্থ্যকর। সবুজ সতেজ সব্জি, টাটকা মাছ, মাংস পরিমিত তেল মশলায় রান্না করলে তবেই তা স্বাস্থ্যকর হয়‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জলখাবারে সপ্তাহে অন্তত একাধিকবার সসেজ, হ্যাম, সালামির মতো নানান দেশি-বিদেশি মাংসের পদ খান। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের পদ স্বাস্থ্যকর। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এই খাবার প্রক্রিয়াজাত। এগুলোতে রক্তে (High Blood Pressure) অতিরিক্ত সোডিয়াম মেশে। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এই খাবারগুলো হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকারক।

    নরম পানীয় বিপজ্জনক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নোনতা জাতীয় খাবারের পাশপাশি পানীয়তেও বিপদ বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত নরম পানীয় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। প্যাকেটজাত ফলের রস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত ফলের রসে থাকে অতিরিক্ত চিনি। এই মাত্রাতিরিক্ত শর্করা শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা অনিয়ন্ত্রিত করে তোলে। আবার অতিরিক্ত কফি খেলেও উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    রান্নায় সস ব্যবহারে নজর জরুরি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নায় নানান ধরনের মশলা এবং সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে। আধুনিক নানান রান্নায় সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে‌। তাই সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। সোয়া সস, টমেটো কেচাপ, বার্বিকিউ সস এবং নানান ধরনের প্যাকেটজাত মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নজরদারি জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) অন্যতম কারণ এই ধরনের প্যাকেটজাত সস নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার। এতে শরীরের পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত তাজা ফল ও সব্জি খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত কলা, আপেল, বেদানা এবং লেবু জাতীয় ফল খেলে শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশপাশি মোচা, ডুমুর, পটল, পালং শাকের মতো সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের তাজা ফল ও সব্জি নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Delhi News: দিল্লিতে ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালাল মৌলবাদীরা, ছিনতাই করা হল টাকা-মোবাইল

    Delhi News: দিল্লিতে ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালাল মৌলবাদীরা, ছিনতাই করা হল টাকা-মোবাইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi News) সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ। একদল মৌলবাদী এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গেছে, গত ৪ জুলাই সাংবাদিক সুপ্রিয়া পাঠক এবং তাঁর ক্যামেরাম্যান স্যামের উপর হামলা চালায় একটি দল। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির সীমাপুরি থানা এলাকার বেঙ্গলি মার্কেট অঞ্চলে। অভিযোগ, সেখানে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছিল। এই বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়েছিলেন (Journalist) সুপ্রিয়া ও স্যাম। সেই সময়েই তাঁদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালানো হয়।

    জিনিসপত্র লুটও করে তারা (Delhi News)

    ঘটনার ফলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আহত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, আচমকাই বেশ কয়েকজন বোরখা পরা মহিলা এবং কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর তাঁদের উপর নির্মমভাবে হামলা চালায়। তাঁদের ক্যামেরা, মোবাইল, মাইক, নগদ টাকা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার (Delhi News) হয়নি। সোমবার সন্ধ্যাবেলায় দুই সাংবাদিক বেঙ্গলি বস্তির কাছাকাছি যান। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় সরকারি জমি দখল, অনুপ্রবেশকারী এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছিল। অভিযোগ, সেই এলাকায় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বসবাস রয়েছে।

    ২০০ জনের দল হামলা চালায়

    প্রথমে প্রায় ২০-৩০ জনের একটি দল সাংবাদিকদের (Journalist) বাধা দেয়। এরপর সেই সংখ্যা দ্রুত বেড়ে প্রায় ২০০ জনে পৌঁছায়। তাদের হাতে ছিল লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র। তারা লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উপর হিংস্র আক্রমণ চালায়। সুপ্রিয়া পাঠকের উপর বিশেষভাবে চড়াও হয় তারা এবং তাঁর মোবাইল, ক্যামেরা, মাইকসহ যাবতীয় সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়। সাংবাদিকরা একটি বাসে উঠতে (Delhi News) চাইলেও হামলা থেমে থাকেনি। হামলাকারীরা বাসের জানলা ভেঙে ফেলে এবং বাসের মধ্যেও তাদের উপর হামলা চালাতে থাকে। অভিযোগ, বাসমালিক সাংবাদিকদের (Journalist) সাহায্য না করে উলটে তাঁদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেন। এই ঘটনার একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার জেরে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

  • CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তভার শেষমেশ গ্রহণ করল সিবিআই। ওই ঘটনায় তিন বিজেপি কর্মীর খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল দুষ্কৃতী শাহজাহান শেখের নাম। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই (CBI)। শনিবার এই তথ্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

    ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    গত ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করবে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের নির্দেশও দেন। ওই তিন বিজেপি কর্মী—প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। ২০১৯ সালের ৮ জুন এঁরা খুন হন বলে অভিযোগ।

    শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

    প্রাথমিক চার্জশিটে শাহজাহান শেখের নাম থাকলেও, পরবর্তী সময়ে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ (CBI) করলে তাঁর নাম বাদ পড়ে বলে দাবি নিহতদের পরিবারের। নিহতদের পরিবারগুলোর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় । উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আরেকটি খুনের মামলার চার্জশিটেও শাহজাহানের নাম ছিল, কিন্তু পরে তিনি জামিন পান।
    ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে (CBI) রেশন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাতে গিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিক ও আধাসেনা জওয়ানরা ‘আক্রান্ত’ হন বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির আন্দোলন

    এই ঘটনার কিছুদিন পর থেকেই সন্দেশখালির বহু বাসিন্দা শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সরব হতে থাকেন। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয়দের কৃষিজমি জোর করে দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে, সেই ভেড়ির লিজের টাকা প্রাপ্যদের দেওয়া হয়নি, এবং একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা জড়িত। এছাড়াও, এলাকায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় (CBI)। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় বিজেপি-সহ একাধিক বিরোধী দল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে অংশ নেয়। এই চাপের মুখেই তৃণমূল কংগ্রেস শাহজাহান শেখকে দল থেকে সাসপেন্ড করে।

  • Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আনা সবচেয়ে বড় সংস্কার হিসেবে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইনের প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) মঙ্গলবার বলেছেন, দেশজুড়ে এই নতুন আইনগুলি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার পর, এফআইআর দায়েরের তিন বছরের মধ্যেই বিচার নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। নতুন তিনটি আইন—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (BSA)—২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই আইন তিনটি যথাক্রমে ঔপনিবেশিক যুগের ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC), ফৌজদারি কার্যবিধি (CrPC) এবং ১৮৭২ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে।

    তিন বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে এবার জানালেন শাহ (Amit Shah)

    দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “এই তিনটি আইন এক ধরনের রূপান্তর আনতে চলেছে আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায়। এতদিন এই ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা না থাকা। আমি ভারতের প্রতিটি নাগরিককে (New Criminal Law) আশ্বস্ত করতে চাই যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে নতুন আইনগুলির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে এবং তারপরে, কোনও এফআইআর দায়ের হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে তার বিচার নিষ্পত্তি হবে—এটি নিশ্চিত করা হবে।”

    ভারত মণ্ডপমে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে (Amit Shah) ভাষণ দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এই সংস্কার প্রতিটি নাগরিকের অধিকারকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। এটি তাঁদের নিরাপত্তার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী এবং সহজলভ্য করে তোলাই এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এটাই দেশের সবচেয়ে বড় আইনি সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।” তিনি আরও জানান, এই আইনগুলির প্রণয়নের (New Criminal Law) পেছনে ছিল বিস্তৃত পরামর্শ, বহু বিশেষজ্ঞের মতামত ।

  • Indore: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদের অভিযোগ, পলাতক নেতার মাথার দাম ১০ হাজার

    Indore: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদের অভিযোগ, পলাতক নেতার মাথার দাম ১০ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা প্রলোভনে হিন্দু মহিলাদের (Hindu Girls) ফাঁদে ফেলে তাঁদের ‘লাভ জিহাদ’-এর শিকার বানানোর অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস কাউন্সিলরের নাম আনোয়ার কাদরী। ইতিমধ্যেই তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর মাথার দাম মধ্যপ্রদেশ (Indore) প্রশাসন ১০,০০০ টাকা ঘোষণা করেছে। তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    কী বলছেন মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ?

    এ নিয়ে মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ রাজেশ দন্দিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনায় আনোয়ার কাদরী অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার (Indore) অভিযোগে ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।

    স্থানীয়ভাবে ‘আনোয়ার ডাকাত’ নামে পরিচিত কাদরি (Hindu Girls)

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস কাউন্সিলর আনোয়ার কাদরী একাধিক অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত — এজন্য তাঁকে ‘আনোয়ার ডাকাত’ নামেও ডাকা হয়। ‘লাভ-জিহাদ’ অভিযানে অর্থায়ন এবং একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার নাম (Indore) আসার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন আনোয়ার। উল্লেখযোগ্যভাবে, আনোয়ার কাদরী তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাহিল শেখ এবং আলতাফ খানকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রদান করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এই অর্থ মূলত ব্যবহৃত হত হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণী ও মহিলাদের নানা প্রলোভনের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলার কাজে। সাহিল এবং আলতাফ ওই অর্থের সাহায্যে পরিকল্পিতভাবে মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতেন এবং পরবর্তীতে তাদের বিয়ে করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, লাভ জিহাদের মূল উদ্দেশ্য হল, ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নারীদের টার্গেট করা। এই কার্যকলাপের পেছনে আনোয়ার কাদরীর প্রত্যক্ষ অর্থায়ন ও মদত ছিল বলেই তদন্তকারীদের ধারণা।

LinkedIn
Share