Tag: মাধ্যম বাংলা

  • Ambubachi 2025: শুধু শাস্ত্র নয়, অম্বুবাচী পালনের নেপথ্যে রয়েছে বড় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও! জানেন কি?

    Ambubachi 2025: শুধু শাস্ত্র নয়, অম্বুবাচী পালনের নেপথ্যে রয়েছে বড় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের উদযাপিত হওয়া বিভিন্ন ধর্মকৃত্য বা লৌকিক আচার অথবা বিভিন্ন ব্রত একটু খতিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো অনেকটাই বিজ্ঞান সম্মত। আসলে, সাধারণ মানুষ ধর্মের কথা যতটা বোঝেন বিজ্ঞানের কথা তার থেকে অনেকটা কম উপলব্ধি করতে পারেন। তাই বৈজ্ঞানিক কারণগুলিকে ধর্মীয় আচারের মোড়কে তুলে ধরা হয়, যাতে মানুষের বুঝতে সাহায্য হয়। তেমনই একটি আচার বা উৎসব হল অম্বুবাচী (Ambubachi 2025)।

    ধরিত্রীকে মা অর্থাৎ নারী হিসেবে গণ্য করার প্রবণতা বহু প্রাচীন। বিভিন্ন সভ্যতা এবং বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাব নানা আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধরিত্রীর নারীত্ব উদযাপন করা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে পালিত হওয়া তেমনি একটি লোকাচার ‘অম্বুবাচী’ বা ‘রজঃপর্ব’। এই উপমহাদেশে ধরিত্রী বা দেশকে মা হিসেবে মহিমান্বিত করে নারীত্বের উদযাপন আমরা দেখি। ধরিত্রী বা দেবীকে নারী হিসেবে কল্পনা করে সেটা উদযাপন করার উৎসব হল অম্বুবাচী (Ambubachi Utsav)। এটি প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং পৃথিবীর উর্বরতা ও প্রজননের প্রতীক। এই সময়টি কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি এবং প্রকৃতির চক্রের সাথে একাত্মতা প্রকাশের সময়। এটি নারী প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি উৎসবও বটে।

    চলতি বছর অম্বুবাচীর তারিখ

    অম্বুবাচী প্রবৃত্তি (শুরু)- ২২ জুন ২০২৫, রবিবার (৭ আষাঢ় ১৪৩২)
    অম্বুবাচী নিবৃত্তি (সমাপ্ত)- ২৫ জুন ২০২২, বুধবার (১০ আষাঢ় ১৪৩২)

    সতীপীঠ কামাখ্যায় সূত্রপাত অম্বুবাচীর

    একান্ন সতীপীঠের অন্যতম অসমের নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দির (Kamakhya Mandir)। যেখান থেকেই এই অম্বুবাচী পালনের সূত্রপাত। অম্বুবাচীর সময় অসমের কামাখ্যা মন্দিরে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সতীপিঠের অন্যতম এই কামাখ্যা মন্দির তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠ। একান্নটি খন্ডে বিভক্ত হওয়া দেবী সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল এখানে। এর ইতিহাস সুদূরপ্রসারী।

    শাস্ত্রে অম্বুবাচীর নিয়ম

    অম্বুবাচীর (Ambubachi 2025) প্রথম দিন থেকে কামাখ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহের দ্বার বন্ধ থাকে। চতুর্থদিনের স্নান ও পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর কামাখ্যা মায়ের দর্শন করার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় কামাখ্যায়। অম্বুবাচী প্রবৃত্তির তিনদিন পর হয় অম্বুবাচী নিবৃত্তি। পঞ্জিকা মতে, আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ গ্রামবাংলায় এই আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। পিঠে-পায়েস বানানোর রীতি আছে এই সময়। বিধবা মহিলারা এই সময় তিন দিন ধরে ব্রত পালন করে থাকেন। শাস্ত্র অনুসারে, অম্বুবাচীর তিন দিন যে কোনও মাঙ্গলিক কার্য বা শুভ কর্ম, যেমন – বিবাহ, অন্নপ্রাশন, গৃহ প্রবেশ, উপনয়ন, ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত। কৃষিকাজ সংক্রান্ত কাজও এই সময় বন্ধ থাকে। জমিতে কোনও রকম খোঁড়াখুড়ি থেকে বিরত থাকা হয়। তবে চতুর্থ দিন থেকে কোনও বাধা থাকে না। অম্বুবাচীর নিবৃত্তির পর আবার জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়।

    অম্বুবাচী শব্দের উৎস কী?

    অম্বুবাচী শব্দটি অম্বু এবং বাচী এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত, যেখানে অম্বু অর্থ জল এবং বাচী অর্থ প্রস্ফুটিত। এই শব্দটি নারীর শক্তি এবং তাদের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। ‘অম্বুবাচী’ (Ambubachi 2025) শব্দের অর্থ হল জল সূচনা। আষাঢ় মাসের শুরুতে ধরিত্রী বা বসুমাতা বর্ষার জলে সিক্ত হয়ে ঋতুমতি নারী হিসেবে গণ্য হন। কৃষিভিত্তিক সমাজের সাথে যার নিবিড় যোগসূত্র। রজঃস্বলা নারীকে যেমন সন্তান ধারণে সক্ষম মনে করা হয় তেমনি বসুধাও ঋতুমতি হয়ে জলসিক্ত হয়, হয়ে ওঠে শস্যশ্যামলা। উর্বরতা বৃদ্ধি এবং ভাল ফসল ফলার সাথে সম্পর্কিত এটি।

    বেদ-শাস্ত্রে বলা হয়েছে ধরিত্রী মা

    শাস্ত্রে পৃথিবীকে মাতৃস্থানীয় বা ধরিত্রী মাতা বলা হয়। বেদে এই রকমই বলা হয়েছে বসুন্ধরা আমাদের মা। পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলা হত। আবার আক্ষরিক অর্থে পৃথিবী সকল উদ্ভিদ ও জীব কুলের মাতা, কারণ সেখানেই আমাদের জন্ম, শুধু আমাদের কেন- ফুল, পাখি, প্রকৃতি এক কথায় সবাই আমরা পৃথিবীর সন্তান। প্রাচীন কালে চাষ আবাদ বা কৃষিকাজ বিশেষ কিছু তিথি নক্ষত্র অনুসারে শুরু করা হত। তার কারণ মানুষের কাছে তেমন কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছিল না। লোককথা অনুসারে, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের তৃতীয় পাদ অতীত হলে চতুর্থ পাদে আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদের মধ‍্যে ধরিত্রীদেবী ঋতুমতী হন বলে বিশ্বাস। সূর্য আদ্রা নক্ষত্রে গমন করলে বর্ষাকাল শুরু হয়। আবার অম্বুবাচীর অর্থও হল জল বৃদ্ধি। তাই এই সময়কে অম্বুবাচী বলা শুরু হয়। এই সময়েই পালন করা হয় অম্বুবাচী। এই সময় মাটি কাটা, জমিতে লাঙ্গল চালানো যায় না।

    পৃথিবীর উর্বরতার প্রতীক

    অম্বুবাচী (Ambubachi 2025) হল ধরিত্রী মাতার ঋতুস্রাব এবং পৃথিবীর উর্বরতার প্রতীক। বর্ষার শুরুতে বসুমতি মাতা যখন বর্ষা ঋতুর জলে সিক্ত হয়ে ওঠেন, তখন তাকে এক ঋতুমতী নারী রূপে গণ্য করা হয়। ঋতুকালে নারীরা রজঃস্বলা হওয়ার পর সন্তানধারণে সক্ষম হয়, বসুমতী মাতাকেও সেইভাবে গণ্য করা হয়, কারণ সিক্ত ধরা সহজেই ফসল উৎপাদন করতে পারে। গ্রীষ্মের প্রখর তাপ প্রবাহের পর শুষ্ক ধরিত্রী কে বর্ষার জলসিঞ্চন এর মাধ্যমে উর্বর করার জন্য কিছুদিন বিশ্রাম প্রদান করা হয়। মৃত্তিকা হয়ে ওঠে উর্বর। উর্বর মৃত্তিকাই প্রদান করতে পারে উৎকৃষ্ট মানের ফসলের। শস্য শ্যামল উর্বর পৃথিবীর জন্য সন্তানগণ ধরণী মায়ের নিকট এই তিনদিন প্রার্থনা করেন। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তার বুক থেকে উৎপন্ন শস্য খাদ্য হিসাবের গ্রহণ করে দুধে ভাতে বেঁচে থাকতে পারে।

    অম্বুবাচীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

    প্রকৃত পক্ষে, অম্বুবাচীর সময়টিকে বর্ষার সূচনা হিসেবে দেখা যেতে পারে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে মাঠ-ঘাট ভিজে যায়। অম্বুবাচীর (Ambubachi 2025) সময় বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি আর্দ্র থাকে এবং এটি ফসল রোপণের জন্য উপযুক্ত সময়। বৃষ্টির কারণে মাটির উর্বরতা বাড়ে এবং এটি ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। বৃষ্টির জল এবং আর্দ্রতা মাটির অণুজীবের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে, যা মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এই সময়টিকে পৃথিবীর উর্বর হওয়ার কাল হিসেবে ধরা হয়। জল ধরনের ফলে কৃষিকাজের ও সেচের প্রয়োজনীয় জল ও সহজেই সংগৃহীত হয় বাড়ত ভূগর্ভস্থ জলস্তর। সেকারণে অম্বুবাচীর কটা দিন প্রকৃত পক্ষে ধরণীকে আরো বেশি উর্বর হবার সুযোগ দেবার জন্য কৃষকরা কৃষিকাজ থেকে বিরত থাকেন। অম্বুবাচী নিবৃত্তির পরেই প্রাচীনকালে জমিতে চাষ আবাদ শুরু করা হত। ফলে, অম্বুবাচী (Ambubachi Utsav) একটি কৃষিভিত্তিক উৎসব।

  • Alzheimers-Dementia: প্রৌঢ় বয়সে একাকিত্ব বাড়াচ্ছে বিপদ! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    Alzheimers-Dementia: প্রৌঢ় বয়সে একাকিত্ব বাড়াচ্ছে বিপদ! কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে পরিবার! কাজের জন্য অধিকাংশ পরিবারেই সন্তান আর বাবা-মায়ের বাসস্থানের ঠিকানা এখন আলাদা! পড়াশোনা কিংবা কর্মসূত্রে অধিকাংশ পরিবারের তরুণ প্রজন্মকে আলাদা শহরে কিংবা ভিনদেশে থাকতে হচ্ছে। বাড়িতে থাকছেন প্রৌঢ় বাবা-মা। আর তার প্রভাব পড়ছে মস্তিষ্কে! সম্প্রতি অ্যালজাইমার নিয়ে এক কর্মশালায় চিকিৎসকদের একাংশ জানালেন, একাকিত্ব সমস্যা বাড়াচ্ছে। বিশেষত স্নায়ু ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার কারণ একাকিত্ব (Loneliness)!

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত দুই দশকে দেশ জুড়ে বেড়েছে ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমার (Alzheimers-Dementia) মতো রোগ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যা বাড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। প্রৌঢ় বয়সেই অনেকে খুব সাধারণ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসের বিষয়ে মনে রাখতে পারছেন না। এর ফলে বয়স্কদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরনোর পরেই ‘ব্রেন ফগ’-র মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ, স্বাভাবিক কাজ করার সময়েই হঠাৎ কী কাজ করা হচ্ছিল, কীভাবে করতে হবে, সে সম্পর্কে সবকিছু কিছু সময়ের জন্য সম্পূর্ণ ভুলে যাওয়া। এই সমস্যা বারবার দেখা দিলে যথেষ্ট আশঙ্কার বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ব্যবহারের ছোটো ছোটো জিনিস মনে রাখতে না পারা, ডিমেনশিয়া বা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ। একাধিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয়দের মধ্যে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই আগাম সচেতনতা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন একাকিত্ব (Loneliness) বিপদ বাড়াচ্ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত দুই দশকে সমাজ ও পরিবারের কাঠামো অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আধুনিক জীবন যাপনে ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই অনেক সময়েই পরিবারের তরুণ প্রজন্মদের সঙ্গে বয়স্কদের সময় কাটানোর বিশেষ সুযোগ হয় না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের বেশিরভাগ সময় একা থাকলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারলে, অনেক সময়েই মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হয়। এর প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে। স্নায়ুর সক্রিয়তা ও কমে যায়। বয়স বাড়লে স্বাভাবিক কারণেই স্নায়ুর ক্ষমতা কমে। কিন্তু তার উপরে মানসিক চাপ বাড়তি প্রভাব ফেলে। পাশপাশি, বাড়িতে দীর্ঘ সময় একা থাকলে সক্রিয় থাকার সুযোগ কম হয়। স্থির জীবনে মস্তিষ্কের কাজ করার সুযোগ ও কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তির উপরে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও কমতে থাকে‌। তাই অ্যালজাইমার কিংবা ডিমেনশিয়ার (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের প্রকোপ বাড়ার পিছনে একাকিত্ব সবচেয়ে বড় কারণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের?

    ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের মতো রোগের দাপট কমাতে সচেতনতা জরুরি। পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। পরিবারের কাঠামো ও বদলে যাচ্ছে। তাই এই সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন থাকাও দরকার। প্রৌঢ় বয়সে নিজের মতো জীবন যাপন জরুরি। সে সম্পর্কে অবগত থাকাও প্রয়োজন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলেই ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের ঝুঁকি কমবে‌। মানসিক চাপ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত সক্রিয় জীবন যাপন, সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। তাই সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার।

    বই পড়া, হাঁটা জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত বই পড়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স্কদের নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস একাকিত্ব (Loneliness) কাটাতে সাহায্য করবে। মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখবে। স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করবে‌‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কয়েক ঘণ্টা বা পড়লে মস্তিষ্কের কাজ হয়। আবার একাকিত্ব কমে‌। এর ফলে মানসিক অবসাদ দূর হয়।
    এর পাশপাশি নিয়মিত হাঁটাচলা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকাল ও বিকেলে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাইরে বেরোলে অবসাদ কমে। মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া, প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলা এগুলো একাকিত্ব কমাতে সাহায্য করে। আবার নিয়মিত আধ ঘণ্টা হাঁটলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয়‌। পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও ঠিক থাকে।

    আড্ডায় অনেক উপকার

    বিভিন্ন ধরনের মেন্টাল অ্যাক্টিভিটির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘরে বসেই ক্রশওয়ার্ড বা পাজেল গেম জাতীয় অ্যাক্টিভিটির অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে‌। বন্ধু তৈরি সবচেয়ে জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সেই স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য বন্ধু প্রয়োজন। একাকিত্ব কাটাতে এবং প্রৌঢ় বয়সের রোগের ঝুঁকি কমাতেও জরুরি বন্ধু। তাই এলাকার ও আশপাশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক দরকার। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এলাকার সম বয়সিদের সঙ্গে কিছুটা সময় গল্প করার অভ্যাস থাকা জরুরি। তাহলে একাকিত্ব (Loneliness) জটিল আকার নিতে পারবে না। ডিমেনশিয়া কিংবা অ্যালজাইমারের (Alzheimers-Dementia) মতো রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Central Government: পুরনো ও নতুন পেনশন প্রকল্পের গ্র্যাচুইটিতে সমতা আনল কেন্দ্র

    Central Government: পুরনো ও নতুন পেনশন প্রকল্পের গ্র্যাচুইটিতে সমতা আনল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বহুদিনের দাবি পূরণ হল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, অবসরকালীন সুবিধা সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের একটি উল্লেখযোগ্য দাবি পূরণ করতে পেরেছে। পাশাপাশি, এতে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে (Pension Schemes) বলেও মনে করেন তিনি। পেনশন অ্যান্ড পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার বিভাগ এ বিষয়ে একটি সরকারি নির্দেশিকা (অর্ডার) জারি করেছে। সেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (NPS)-এর আওতায় থাকা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরাও এখন থেকে কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস (পেনশন) বিধি, ২০২১-এর আওতায় অবসরকালীন ও মৃত্যুকালীন গ্র্যাচুইটি (Gratuity) সুবিধা পাবেন।

    নতুন আদেশ অনুযায়ী কী বলা হল (Central Government) ?

    NPS-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীরা অবসর বা চাকরি চলাকালীন মৃত্যুর ক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটি সুবিধা পাবেন।

    ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে সংশোধিত নিয়মে।

    চাকরির মেয়াদকালে (Central Government) মৃত্যু হলে, সংশ্লিষ্ট কর্মী বা তার পরিবার CCS পেনশন বিধি অনুযায়ী সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

    এতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সমতা ও ন্যায্যতা বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী বলছেন অল ইন্ডিয়া এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সভাপতি মনজিত সিং প্যাটেল?

    অল ইন্ডিয়া এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সভাপতি মনজিত সিং প্যাটেল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এনপিএস-এ অবসরকালীন ও মৃত্যুকালীন সুবিধা নিয়ে এতদিন যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, সরকারের এই নতুন আদেশ সেই অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাল। কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি আজ বাস্তবায়িত হল।’’

    অর্থ মন্ত্রক ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে একটি বিকল্প পেনশন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছিল

    উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে একটি বিকল্প পেনশন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছিল। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) নিয়োগপ্রাপ্তরা এককালীনভাবে এনপিএস এবং সিসিএস (Pension) রুলসের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই সিদ্ধান্তে যেমন কর্মচারীরা উপকৃত হবেন, তেমনই অবসর এবং মৃত্যুকালীন আর্থিক সুরক্ষা আরও দৃঢ় হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল (Central Government) ।

  • Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে ইজরায়েল। ইরানের ১০০টিরও বেশি স্থানে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইহুদি দেশটি। এর পরমাণু কেন্দ্র, সামরিক কেন্দ্র এবং গোয়েন্দা পরিকাঠামোগুলিতে বড় আঘাত হানে তারা (Nuclear Blueprints)। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি হানায় ২২৪ জন ইরানির মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্র দাবি করছে। কিন্তু ইজরায়েল-ইরান এই যুদ্ধ রাতারাতি শুরু হয়নি। এর বীজ বহু বছর আগে থেকেই পোঁতা শুরু হয়েছিল ইজরায়েল। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির রাতে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ-এর এজেন্টরা ছোট্ট দলে গঠন করে ইরানের রাজধানী দক্ষিণ তেহরানের একটি গুদামে প্রবেশ করে। নিরাপত্তা রক্ষী আসার আগেই অপারেশন শুরু করে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা। তখন তাদের হাতে সময় ছিল ৬ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। এক বছর ধরে ওই গুদামের নজরদারি চালায় মোসাদ (Mossad)। তারপরে তারা এমন সিদ্ধান্ত নেয় যাতে নির্ধারণ করা যায়, কতটা সময় পাবে ওই গুদামে ঢোকার জন্য।

    হাতানো হয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র

    ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থার (Mossad) এখান থেকে হাতিয়ে নেয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র, পরিকল্পনা নিয়ে লেখা অনেক নথি ছিল। এই সবই ইরান দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছিল এবং এগুলো ছিল ইরানের পরমাণু অস্ত্রের সম্পর্কিত। জানা যায়, এরপরে মোসাদের এজেন্টরা অত্যন্ত গোপনে সেই গুদাম ত্যাগ করে (Nuclear Blueprints)। তারা এমন টর্চ ব্যবহার করে যাতে কারও নজরে না আসে। এভাবেই তারা ইরানের বোমার নকশা হাতিয়ে নেয়। পরে জানা যায়, যে পরিমাণ উপাদান তারা সেই গুদাম থেকে নিয়ে এসেছিল, তার ওজন হয় ৫০০ কেজি।

    নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দেখে চুরি গিয়েছে নথি (Mossad)

    প্রসঙ্গত, ওই গুদামের ছিল কঠোর নিরাপত্তা। রক্ষীরা কীভাবে কাজ করবে, কতক্ষণ ডিউটি করবে, কীভাবে নজরদারি চালাবে—তা সূক্ষ্মভাবে দেখভাল করা হতো প্রতিদিন। এছাড়াও সেখানে ছিল অ্যালার্ম সিস্টেম—অর্থাৎ, অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে পড়লে গোটা গুদাম জুড়ে শুরু হয়ে যেত অ্যালার্ম। কিন্তু ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিস তা অকেজো করতে সক্ষম হয়। ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিসের এই অভিযান বাস্তবিকপক্ষে কোনও সিনেমার থেকে কম কিছু নয়। সকাল পর্যন্ত মোসাদের চুরি ধরতেই পারেনি ইরানের সরকার। এর পরে, যখন প্রহরী বা নিরাপত্তারক্ষী এসে দেখে যে দরজা ভাঙা এবং সমস্ত কিছু খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তখন তারা বুঝতে পারে যে চুরি হয়েছে।

    মঞ্চে দাঁড়িয়ে নথি প্রকাশ করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

    এই ঘটনার ঠিক একেবারে তিন মাস পরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঞ্চে ওঠেন বক্তব্য রাখতে। তখনই তিনি একটি কালো ফোল্ডার এবং ডিস্কের স্তূপ নিয়ে ওঠেন এবং সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন মোসাদের এই সাফল্যের কথা। তিনি অভিযোগ করেন, ইরান বিশ্বের কাছে মিথ্যা কথা বলেছে, তারা পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কারবার করছে এবং পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অনেক কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা বক্তব্য হিসেবে ইরান, নেতানিয়াহুর দেখানো সেই আর্কাইভকে জাল বলে উড়িয়ে দেয়।

  • QS World University Rankings: কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেল দেশের ৫৪ বিশ্ববিদ্যালয়

    QS World University Rankings: কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেল দেশের ৫৪ বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ের সমীক্ষায় ভারতের ৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে (QS World University Rankings)। এর মধ্যে দিল্লির আইআইটি ১২৩তম স্থান অধিকার করেছে। প্রসঙ্গত, কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে সারা বিশ্বের দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত খড়গপুর আইআইটি ২১৫তম স্থান অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, সর্বশেষ বাছাই তালিকায় ঢুকে পড়েছে ৮টি নতুন ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    গত ১০ বছরে ব্যাপক গতিতে এগিয়েছে ভারতের উচ্চ শিক্ষা

    কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ের যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বিগত ১০ বছরে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৯০ শতাংশ উপরে উঠতে সক্ষম হয়েছে (QS World University Rankings)। ২০২৪ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আইআইটি দিল্লি ১৫০তম স্থানে ছিল, সেখান থেকে ২৭ ধাপ উপরে উঠে বর্তমানে তা ১২৩তম স্থানে পৌঁছেছে।

    কী বলছেন কিউএস-র সিইও? (QS World University Rankings)

    এনিয়ে কিউএস-এর সিইও জেসিকা টার্নার বলেছেন, “উচ্চশিক্ষার মানচিত্রে ভারত যথেষ্ট এগিয়ে চলেছে।” প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দেশের জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞা মনে করছেন এরই প্রতিফল দেখা গিয়েছে কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে (QS World University Rankings)।

    ২০২৬ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়া ভারতের প্রথম দশটি বিশ্ববিদ্যালয় হল (Top 10 Indian Institutes)

    ১. আইআইটি দিল্লি – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ১২৩তম স্থান)

    ২. আইআইটি বোম্বে – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ১২৯তম স্থান)

    ৩. আইআইটি মাদ্রাজ – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৮০তম স্থান)

    ৪.আইআইটি খড়গপুর – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ২১৫তম স্থান)

    ৫. ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, বেঙ্গালুরু – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ২১৯তম স্থান)

    ৬. আইআইটি কানপুর – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ২২২তম স্থান)

    ৭. দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩২৮তম স্থান)

    ৮. আইআইটি গুয়াহাটি – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৩৪তম স্থান)

    ৯. আইআইটি রুরকি – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ৩৩৯তম স্থান)

    ১০. আন্না বিশ্ববিদ্যালয় – (কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ৪৬৫তম স্থান)

  • Amit Shah: ‘‘ইংরেজিতে যাঁরা কথাবার্তা বলেন, তাঁরা খুব শীঘ্রই লজ্জিত হবেন’’, ভারতীয় ভাষার পক্ষে সওয়াল শাহের

    Amit Shah: ‘‘ইংরেজিতে যাঁরা কথাবার্তা বলেন, তাঁরা খুব শীঘ্রই লজ্জিত হবেন’’, ভারতীয় ভাষার পক্ষে সওয়াল শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভাষাগত ঐতিহ্যের পুনরুত্থানের আওয়াজ তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি জানান যে, ভারতবর্ষের নিজস্ব পরিচয় হল তার ভাষা। এই দেশের ভাষাগুলি, এ দেশের পরিচয়কে বহন করে। তাই ভারতীয় ভাষাগুলিকে সর্বদাই বিদেশি ভাষার থেকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলেই মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। “ম্যাঁ বুঁদ স্বয়ং, খুদ সাগর হুঁ” নামের একটি বই লিখেছেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার আশুতোষ অগ্নিহোত্রী। এই বইটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বলেন যে, ‘‘ভারতবর্ষ থেকে উপনিবেশিকতার প্রভাব এবং ছাপ, দুটিকে মুছে ফেলতে হবে এবং আমাদের যে নিজস্ব ভাষা রয়েছে, সেগুলিকে আঁকড়ে ধরতে হবে গর্বের সঙ্গে (Linguistic Heritage)।’’

    ইংরেজিতে যাঁরা কথাবার্তা বলেন, তাঁরা খুব শীঘ্রই লজ্জিত হবেন

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) নিজের ভাষায় বলেন, ‘‘আমাদের দেশে যাঁরা এখনও পর্যন্ত ইংরেজিতে কথাবার্তা বলেন, তাঁরা খুব শীঘ্রই লজ্জিত হবেন। সেই সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠতে আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। আমার মনে হয়, আমাদের দেশের যে সমস্ত ভাষা রয়েছে, সেগুলি হল আমাদের সংস্কৃতির মণি-মাণিক্য। আমাদের নিজস্ব ভাষা ছাড়া আমরা নিজেদেরকে প্রকৃত ভারতীয় বলতে পারবই না।’’

    আমাদের দেশকে পরিচালিত করব আমাদের নিজস্ব ভাষা দিয়ে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) সমগ্র দেশবাসীর কাছে আবেদন জানান যে, বিদেশি ভাষাগুলিকে আঁকড়ে না ধরে যেন তাঁরা ভারতীয় ভাষা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকেই আঁকড়ে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশকে বুঝতে হলে, আমাদের সংস্কৃতিকে বুঝতে হলে, আমাদের ইতিহাসকে বুঝতে হলে এবং আমাদের ধর্মকে বুঝতে হলে, তা বিদেশি ভাষায় বোঝা যাবে না। বিদেশি ভাষা সম্পূর্ণভাবে আমাদের কল্পনায় আনতে পারবে না সমগ্র ভারতকে। আমি সম্পূর্ণভাবে জানি, এই লড়াই কতটা কঠিন। কিন্তু আমি এখানে আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী যে ভারতীয় সমাজ একদিন এটাতে জিতবেই। আরও একবার বলতে চাই, আত্মমর্যাদার সঙ্গে বলতে চাই—আমরা আমাদের দেশকে পরিচালিত করব আমাদের নিজস্ব ভাষা দিয়ে, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি (Linguistic Heritage) দিয়ে। এবং সেই মাধ্যমেই আমরা গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেব।’’

    পঞ্চপ্রাণ নীতির কথাও উঠে আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণে

    এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) বক্তব্যে উঠে আসে পঞ্চপ্রাণ নীতির আদর্শ এবং তাৎপর্য। প্রসঙ্গত, এই পঞ্চপ্রাণ নীতির কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং এই নীতির মাধ্যমেই আগামীর ভারত গড়ে উঠবে বলে আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত, পঞ্চপ্রাণ নীতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছেন ২০৪৭ সালের জন্য, যখন এই দেশ স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করবে। এ নিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদিজি আমাদের জন্য তৈরি করে দিয়েছেন পঞ্চপ্রাণ নীতি। স্বাধীনতার অমৃতকালে এর মাধ্যমে আমরা তৈরি করব একটি উন্নত ভারত, যেখানে সম্পূর্ণভাবে আমরা মুছে দেব উপনিবেশিকতা এবং দাসত্বের সমস্ত চিহ্ন। আমরা গর্বিত হব আমাদের প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে নিয়ে। একই সঙ্গে আমরা আমাদের এই দেশের ঐক্য, সংহতি বজায় রাখব এবং প্রতিটি নাগরিকই নিজের কর্তব্য পালন করবেন। এই পঞ্চপ্রাণ নীতি ১৩০ কোটি জনগণের কাছে আজ একটি সংকল্পপত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব এবং আমাদের ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে উন্নত ভারত গঠনে।’’

    ঔপনিবেশিক ছাপ মুছে ফেলতে দরকার প্রশাসনিক সংস্কার

    একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন প্রশাসনিক সংস্কারের কথাও বলেন এবং তিনি জানান যে, বর্তমানকালে প্রয়োজন হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের যে প্রশিক্ষণব্যবস্থা রয়েছে, তাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘এখানে অনেক ক্ষেত্রেই এখনও উপনিবেশিকতার ছাপ দেখা যাচ্ছে।’’ এগুলো মুছে ফেলতে হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে আমাদেরকে সেই সংস্কার আনতেই হবে।’’

    ভাষা সংরক্ষণে সাহিত্যের গুরুত্ব

    একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন সাহিত্যের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন এবং বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে সাহিত্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’’ তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘যখন আমাদের দেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল, বিদ্যুতের আলো ছিল না, তখনও এ দেশে সাহিত্য রচনা হত, বাতি বা প্রদীপের আলোয়। সেই সময়েও দেশে সাহিত্য রচিত হয়েছে ধর্ম ও স্বাধীনতা, সংস্কৃতিকে ঘিরে। এর পরে সরকার বদলেছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সেই সাহিত্যের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলেনি। কিন্তু যখনই কেউ আমাদের ধর্মকে, সংস্কৃতিকে বা সাহিত্যকে আঘাত করতে চেয়েছে, আমাদের সমাজ সর্বদাই তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। শুধু দাঁড়ায়নি, তাদেরকে পরাস্ত করেছে। কারণ সাহিত্যই হল আমাদের সমাজের আত্মা।’’

  • RBI Gold Reserve: ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০০ কেজি! সোনা মজুতে রেকর্ড ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    RBI Gold Reserve: ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০০ কেজি! সোনা মজুতে রেকর্ড ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনা সংরক্ষণে (RBI Gold Reserve) রেকর্ড করল আরবিআই। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য বলছে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আরবিআই-এর মজুত সোনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭৯.৫ টন (৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০০ কিলোগ্রাম)। ২০২০ সালের মাঝেমাঝে সময়ের তুলনায় যা এক-তৃতীয়াংশ বেশি। আরবিআই থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে ডলারের যে মূল্য, ২০২৪-২৫ সালে তার নিরিখে সোনার মজুতের মূল্য ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ভারতে বর্তমানে মোট বৈদেশিক সম্পদের ১২ শতাংশই সোনা

    আরও যে তথ্য সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতে বর্তমানে মোট বৈদেশিক সম্পদের ১২ শতাংশই এখন হল সোনা। গত বছরে মোট বৈদেশিক সম্পদের ৮.৩ শতাংশ ছিল সোনা। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি টানা তিন বছর ধরে এক হাজার টনেরও বেশি সোনা (RBI Gold Reserve) কিনেছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি সোনার উপরে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির ৯৫ শতাংশই জানিয়েছে আগামী এক বছরে বিশ্বব্যাপী সোনার মজুত অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির তরফ থেকে সোনার মজুত বর্তমানে ৩৬,০০০ টনে দাঁড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে ব্রেটন উডস যুগে সোনার মজুত সর্বোচ্চ পরিমাণে দাঁড়িয়েছিল এবং তা ৩৮ হাজার টনের কাছাকাছি পৌঁছেছিল।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির সোনার প্রতি আকর্ষণের কারণ কী?

    একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে (RBI Gold Reserve), দুই-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বৈচিত্রের কারণে সোনাতে বিনিয়োগ করছে। অন্যদিকে দুই-পঞ্চমাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য তা করছে। সাম্প্রতিককালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে শুল্কনীতি, তাও প্রভাব ফেলেছে এক্ষেত্রে। ভারতের তরফে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আরবিআইয়ের (RBI) সোনার মজুত ছিল ৮২২.১ মেট্রিক টন। অন্যদিকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ তা পৌঁছেছে ৮৭৯.৫৮ টনে। ২০২০ সালের তুলনায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৮.১৭ টন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, সোনার মজুত বৃদ্ধিই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির জন্য বেশ ভালো ফলাফল এনেছে।

  • Operation Sindhu: মোদি সরকারের অপারেশন সিন্ধু! ইরান থেকে দেশে ফিরলেন ১১০ পড়ুয়া

    Operation Sindhu: মোদি সরকারের অপারেশন সিন্ধু! ইরান থেকে দেশে ফিরলেন ১১০ পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিন্ধুর (Operation Sindhu) মাধ্যমে ইরান থেকে ১১০ ভারতীয় পড়ুকে নিয়ে আসা বিমান সফলভাবে অবতরণ করল দিল্লিতে। এর মাধ্যমে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করা পরিবারগুলির মুখে ফুটে উঠল এক স্বস্তির হাসি। জানা যাচ্ছে, ইরান থেকে যে ১১০ জন পড়ুয়াকে উড়িয়ে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯০ জনই জম্মু-কাশ্মীরের ছাত্র-ছাত্রী।

    কী বলছেন পড়ুয়া আমন আজাহার

    ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার আবহে ইরানের আকাশপথ বন্ধ (Operation Sindhu)। সে কারণেই পড়ুয়াদের আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে পার করানো হয়েছে। ওই পড়ুয়াদের মধ্যে অন্যতম হলেন আমন আজাহার। দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরে তিনি নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি খুবই খুশি। আমি কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। অবশেষে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারলাম। ইরানের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেখানকার বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরাও খুব কষ্টের মধ্যে আছে। যুদ্ধ কখনও কোনও কিছুর সমাধান হতে পারে না, এটা মানবতাকেই ধ্বংস করে।”

    কী বলছেন এক অভিভাবক?

    ওই পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যরা (Operation Sindhu) দিল্লি বিমানবন্দরে, সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং প্রশংসা করেন। কোটা থেকে আসা এক অভিভাবক, যিনি তাঁর ছেলেকে নিতে এসেছিলেন, সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমার ছেলে সেখানে এমবিবিএস পড়ছে। আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে এসে ফিরতে পেরেছে। ভারত সরকার বিশেষ বিমান পাঠিয়েছিল। আমি খুবই খুশি যে আমার ছেলে বাড়ি ফিরতে পেরেছে। আমি এজন্য ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” একই সঙ্গে ওই অভিভাবক ভারতীয় দূতাবাসের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে ইরানে যে সমস্ত পড়ুয়া এখনও রয়ে গেছেন, তাঁদের যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। জানা যাচ্ছে ইরানে বর্তমানে ১৩ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন।

    ইরানে থাকা নাগরিকদের জন্য দিল্লির নির্দেশ (Operation Sindhu)

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েল এবং ইরানের (Iran) মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভারত সরকার ইরানে থাকা নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং একাধিক নির্দেশ জারি করেছে। ভারত সরকার অনুরোধ করেছে, ইরানে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যেন ভারতীয় দূতাবাসের সামাজিক মাধ্যম চ্যানেলে দেওয়া আপডেটগুলি নিয়মিতভাবে অনুসরণ করেন।নয়া দিল্লির এই অনুরোধ ও উদ্যোগের ফলেই ইরান (Iran) থেকে নিরাপদভাবে ১১০ জন পড়ুয়া দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন।

  • Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাউদাউ করে জ্বলছে ইরানের তেলকূপ। সেই আগুনের লেলিহান শিখা যত ছড়াচ্ছে, ততই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিশ্বে। না, কোনও পরিবেশজনিত কারণে এই উদ্বেগ নয়। এই উদ্বেগ বিশ্বের চালিকা শক্তিকে ঘিরে। এই চিন্তা জ্বালানি তেলকে (Crude Oil Crisis) ঘিরে।

    শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষের (Israel Iran Conflict) মাঝে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজারেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের একের পর এক তেলের খনিতে আছড়ে পড়ছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তেহরানও। ফলে, সংঘর্ষ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই, উল্টে তার পরিধি ও প্রভাব আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি চাপা উৎকণ্ঠা (Crude Oil Crisis)।

    দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র ইরান

    কেন? বিশ্বের খনিজ তেলের ভান্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে ইরানের হাতে। বিশ্বে তেল রফতানিকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে রয়েছে ইরান। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী দেশগুলির সংস্থা ওপেক-এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র এটি। ইরান সহ বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রগুলির গোষ্ঠী অয়েল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (সংক্ষেপে ওপেক) গড়ে দৈনিক ১২ কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদন করে (Crude Oil Crisis)। এর মধ্যে, ইরান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৪ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যার মধ্যে প্রায় ১৭ লক্ষ ব্যারেল রফতানি করা হয়। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইরান একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি

    তথ্য বলছে, ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষ (Israel Iran Conflict) শুরু হওয়া ইস্তক, বিশ্বের দৈনিক তেল উৎপাদনের পরিমাণ ১২ কোটি থেকে কমে ৯.৭ কোটি ব্যারেল হয়েছে। ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই ঘাটতি ইরানের থেকেই উৎপন্ন। ফলে, ইরানের যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব তেলের বাজারে (Crude Oil Crisis)। যুদ্ধ শুরু ইস্তক আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণের মানদণ্ড ব্রেন্ট-এর প্রকাশিত দৈনিক মূল্য তালিকা অনুযায়ী, জুন মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০.২ শতাংশ বেড়েছে। গত ১৪টি সেশনে বেড়েছে ৯ বার! অর্থাৎ, সেশন-প্রতি ১.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি।

    ৮৫ শতাংশ তেল আমদানি করে ভারত

    বিশ্বে তেল আমদানিকারী দেশগুলির অন্যতম ভারত। বর্তমানে, প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলই অন্য দেশ থেকে আমদানি করে ভারত। তবে, বিগত ২ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়েছে ভারত। এখন এই ৮৫ শতাংশের মধ্যে ৪০ শতাংশ তেলই ভারত কেনে রাশিয়া থেকে। এটা চালু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। সেই সময় অত্যন্ত সুকৌশল অবলম্বন করে রাশিয়া থেকে সস্তায় বিপুল পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি শুরু করে ভারত। একটা সময় ছিল, যখন ভারত ২৭টি দেশ (মূলত ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত) থেকে তেল আমদানি করত। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০। ফলে, ভারতের হাতে একাধিক বিকল্প রয়েছে। যার জেরে দেশের তেল সরবরাহ সুরক্ষা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    হরমুজ প্রণালির গুরুত্ব কতটা?

    তবে, ভারতের আশঙ্কা কি একেবারেই নেই? না, অবশ্যই রয়েছে। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Iran Conflict) জেরে যদি হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একটা আশঙ্কা (Crude Oil Crisis) তৈরি হতে পারে। কী এই হরমুজ প্রণালি? কোথায় অবস্থিত? কেন এতটা তাৎপর্যপূর্ণ? হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়।হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই হরমুজ প্রণালির উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সবচেয়ে বড় কথা, এর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ইরানের হাতে।

    কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?

    মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা তেল মূলত হরমুজ প্রণালি রুট দিয়ে ভারতে আসে। শুধু ভারত নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ। বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) প্রতিদিন এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি। আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেলের বেশি তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত।

    ভারতের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ৩৩ শতাংশ এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। এই রাস্তা বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ (Crude Oil Crisis) বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    বিকল্প পথ তৈরি ভারতের

    তাহলে ভারতের সামনে উপায় কী? পশ্চিম এশিয়ায় সম্ভাব্য টালমাটাল পরস্থিতির (Israel Iran Conflict) কথা চিন্তা করে আগাম বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছে ভারত। এখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত। যেগুলি ভারত মহাসাগর হয়ে আসে। তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে, সেই পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে, তাতে অর্থ ও সময় দুই বেশি ব্যয় হবে। ফলে, বাড়বে তেলের দাম। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    যদিও, দেশে জ্বালানি তেল নিয়ে সঙ্কট তৈরি হবে না বলে অভয় দিচ্ছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের মতে, দাম বাড়লেও, সরবরাহের কোনও ঘাটতি হবে না। তৈরি হবে না দেশে তেলের ভান্ডারগুলিতে যে পরিমাণ তেল মজুত রয়েছে, তাতে কোনও সঙ্কট তৈরি হবে না বলেই আশ্বাস দিচ্ছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৫৬ লক্ষ ব্যারেল তেল ব্যবহার হয় ভারতে (Israel Iran Conflict)। এর মধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০ লক্ষ ব্যারেল পরিমাণ তেল হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। বাকিগুলি এখন আসে অন্য রুট দিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে এই রুটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে দিল্লি। উপরন্তু, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ১০ দিনের তেল।

    ফলে, এখনই ভারতের চিন্তার কিছু নেই (Crude Oil Crisis)।

  • Dengue in Bengal: বর্ষা আসতে না আসতেই রাজ্যে ডেঙ্গির চোখরাঙানি! কোথায় বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Dengue in Bengal: বর্ষা আসতে না আসতেই রাজ্যে ডেঙ্গির চোখরাঙানি! কোথায় বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ চড়লেও আকাশে মেঘ জমেছে! মাঝেমধ্যেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বর্ষা (Monsoon) আসছে! আবহাওয়া দফতর জানান দিয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গেই ডেঙ্গির চোখরাঙানি (Dengue) শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে ফের ডেঙ্গির দাপট (Dengue in Bengal) শুরু হতে পারে। তাই আগাম বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রাজ্যবাসীর ভোগান্তি কমাতে এখন থেকেই বাড়তি তৎপরতা (Dengue Precautions) প্রয়োজন। না হলে বিপদ মারাত্মক হতে পারে।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক জেলায় বর্ষা (Monsoon Season) শুরু হওয়ার আগেই ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে প্রকোপ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যে অগাস্ট-সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এই তিন মাসে ডেঙ্গি সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে। বিশেষত সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তাই অন্তত জুন-জুলাই থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি (Dengue Precautions)। বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয় হলে, বিপদ মোকাবিলা সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাজ্যের কী পরিস্থিতি?

    স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue in Bengal) সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বর্ষা শুরুর আগেই হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তথ্য অনুযায়ী, জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৯০ জন। উত্তর চব্বিশ পরগনায় কমবেশি ১৬০ জন। হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৩৫ জন। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২০ জন। ডেঙ্গির চোখরাঙানি থেকে বাদ নেই কলকাতাও। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতাতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন। এছাড়াও, বর্ধমান, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদিয়া জেলার পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাংশ।

    কীভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারের তৎপরতা এবং সাধারণ মানুষের সতর্কতা ডেঙ্গি মোকাবিলা সহজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় এলাকা (Dengue in Bengal) পরিষ্কার সবচেয়ে জরুরি। মশার আঁতুরঘর ভাঙতে না পারলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়বে। তাই এলাকার পার্ক, রাস্তা এমনকি আবর্জনা ফেলার জায়গাও পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল জমতে দেওয়া চলবে না। বাড়ির ছাদে, বাগানে কিংবা এলাকার পার্কে আগাছা জন্মালে পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষত যারা ছাদে বা বারন্দায় বাগান করেন, তাঁদের জন্য পরামর্শ, টবে যাতে জল না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থির জলে ডেঙ্গি মশা বেশি জন্মায়। তাই টব কিংবা ফুলদানির মতো জায়গায় জল জমলে ডেঙ্গির মশার প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকিও (Dengue Risks) বেশি। বাড়িতে চৌবাচ্চা থাকলে সেখানেও সাত দিনের বেশি জল যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    আশপাশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সংক্রমণ রুখতে ডেঙ্গির উপসর্গ সম্পর্কেও সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিন দিন লাগাতার জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি (Dengue in Bengal)। ডেঙ্গি হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই সংক্রমণ রুখতে সহজ হবে। রোগীর দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে বড় বিপদ এড়ানোও সহজ হবে। পরিবারের কোনো সদস্য ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে তাকে অবশ্যই আলাদা ঘরে রাখতে হবে। মশারি টাঙিয়ে রাখা জরুরি। বাড়ির অন্য সদস্যদের যাতে ডেঙ্গি (Dengue Precautions) না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে বাড়তি তৎপরতা প্রয়োজন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share