Tag: মাধ্যম

  • Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় শীত কড়া নাড়লেও মশার দাপট চলছেই। তাই ডিসেম্বরেও রাজ্যবাসীর মশাবাহিত রোগ থেকে রেহাই নেই। এমনটাই খবর রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের অন্দরে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় বছরভর ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো উদ্বেগজনক। শীতের মরশুমে মশা বাহিত রোগের ঝুঁকি কিছুটা কমবে বলেই আশা করেছিলেন চিকিৎসক মহল। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে প্রায় দেড়শো জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে‌। উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়ার মতো একাধিক জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট রয়েছে। তবে কলকাতার শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মতো এলাকায় নভেম্বর মাস জুড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। এই এলাকা থেকেই গত এক মাসে প্রায় ৬০ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন।

    কেন ডিসেম্বরেও মশাবাহিত রোগের দাপট অব্যহত?

    সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ মূলত বর্ষাকালেই হয়। সেই হিসাব মতো সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর এই দুই মাস মশাবাহিত রোগের দাপট রাজ্যে বেশি থাকে। বর্ষায় জমা জল মশার আতুর ঘর। তাই এই সময়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগের সংক্রমণ বেশি হয়। কিন্তু চলতি বছরে শীতের মরসুমেও মশাবাহিত রোগের দাপট চলছে। বিশেষজ্ঞ মহল অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকেই এর জন্য দায়ী করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় অপরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না। পার্ক, পুকুর সংলগ্ন এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। আগাছা পরিষ্কার হয় না। এর ফলে মশার বংশবিস্তার সহজ হচ্ছে। তাই শীত পড়লেও মশাবাহিত রোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাচ্ছে না।

    কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া রুখতে প্রশাসনের সক্রিয়তার পাশপাশি জনসচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকার পরিচ্ছন্নতার পাশপাশি বাড়ি ও আশপাশের জায়গা পরিষ্কার রয়েছে কিনা সে সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে। ছাদে বা বাগানে জল জমতে দেওয়া যাবে না। অনেকেই ছাদে টবে গাছ রাখেন।‌ বাগান করেন। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ছাদে বাগান‌ তৈরির রেওয়াজ বাড়ছে। কিন্তু সেই বাগানে জল জমছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। পাশপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, এলাকায় পুকুর কিংবা পার্ক থাকলে প্রতি সপ্তাহে নিয়ম মাফিক, তার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি জরুরি। আগাছা পরিষ্কার করা, পুকুরের জল যাতে পরিষ্কার থাকে, সেদিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কেও সচেতনতা প্রসার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় আক্রান্তকে দ্রুত চিহ্নিত করা। বারবার জ্বর আসা, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। যাতে রোগ চিহ্নিত সহজ হয়। পরিবারের কেউ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে বাকিদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়া দরকার। রোগীকে মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। অন্যদের ও কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে রোগ সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়।

  • West Bengal SIR: সহজেই ধরা পড়বে ভুয়ো ভোটার! নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে কমিশন, কী বিশেষত্ব?

    West Bengal SIR: সহজেই ধরা পড়বে ভুয়ো ভোটার! নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে কমিশন, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো ভোটারদের (Fake Voters) ধরতে নতুন পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। ডুপ্লিকেট এন্ট্রি (Duplicate Entries) শনাক্ত করতে কমিশন ব্যবহার করছে একটি নতুন সফটওয়্যার, যার নাম ‘ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এন্ট্রিজ’ (Demographic Similiar Entries)। জানা যাচ্ছে, প্রথমবার এই নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে কমিশন। নাম, ঠিকানা-সহ ব্যক্তিগত তথ্য মিলিয়ে দ্রুত সম্ভাব্য ডুপ্লিকেট ভোটারদের খুঁজে বের করে দেবে এই সফটওয়্যার। কমিশনের বিশ্বাস, ভুয়ো ভোটারদের খুব সহজেই চিহ্নিত করবে নয়া এই সফটওয়্যার।

    স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে নয়া সফটওয়্যার

    কমিশন সূত্রে খবর, ইআরও-দের সিস্টেমে ইতিমধ্যেই সফটওয়্যারটি যুক্ত করা হয়েছে। ইআরও-দের ড্যাশবোর্ডে ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এনট্রিজ। কয়েকদিনের মধ্যেই নয়া সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন ডিইও। বাদ যাবে না রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (West Bengal CEO) দফতরও। কমিশনের দাবি, এ রাজ্যের ভোটার তালিকা (West Bengal SIR) স্বচ্ছ ও নির্ভুল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এন্ট্রিজ। কারণ, একই ব্যক্তির নাম একাধিক জায়গায় রয়েছে কিনা বা তথ্যের ভুল ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা ধরা পড়বে সহজেই। প্রশাসনের এক কর্তার মন্তব্য, “ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এনট্রিজ চালু হয়ে যাওয়ায় ডুপ্লিকেট এন্ট্রি খুঁজে বের করা দ্রুত, নির্ভুল ও স্বয়ংক্রিয় হবে। এতে ভোটার লিস্ট আপডেট করার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে।’’

    ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ

    দেশের ভোটার তালিকাকে ত্রুটি মুক্ত করা হল স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন-এর (West Bengal SIR) মূল উদ্দেশ্য। আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি এসআইআর কাজের শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ নতুন তালিকাটি যাতে একশো শতাংশ স্বচ্ছ এবং ত্রুটিমুক্ত হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর কমিশন। এসআইআর সংক্রান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেন কোনও প্রশ্ন না-ওঠে, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে কমিশনের তরফে৷ কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যে আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৪৫। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৯, নিখোঁজ ভোটার ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭১০, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২১৫, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮৩২। এদিকে শেষ পর্যায়ের রাজ্যে এসআইআর-এর (West Bengal SIR) সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে কমিশন। ফর্ম জমা নেওয়া হবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা।

  • Vijay Diwas 2025: ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসছেন ৮ মুক্তিযোদ্ধা সহ ২০ জন

    Vijay Diwas 2025: ৫৪তম বিজয় দিবস উদযাপন, বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসছেন ৮ মুক্তিযোদ্ধা সহ ২০ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এক ঐতিহাসিক দিন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধজয় (1971 Indo-Pak War) ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের (Birth of Bangladesh) দিন। যে কারণে, ভারত এই দিনটিকে ‘বিজয় দিবস’ (Vijay Diwas 2025) হিসেবে পালন করে এসেছে। সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Army Eastern Command) কাছে এই দিন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার (Lieutenant General Jagjit Singh Arora) কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল প্রায় ৯৩ হাজার পূর্ব-পাক সেনা। যুদ্ধের ইতিহাসে যা অন্যতম বড় আত্মসমর্পণ ছিল। যার পরেই স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। প্রতি বছরের মতো এবারেও বিজয় দিবস ধুমধাম করেই পালন করতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসছে ২০ জনের প্রতিনিধিদল (Bangladesh Delegation)।

    ভারতে আসছে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল

    প্রথমাফিক এবছরও ভারতীয় সেনা বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2025) পালন করতে চলেছে। রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর বিজয় দুর্গে (Vijay Durg) এই কথা ঘোষণা করেন মেজর জেনারেল বাঙ্গুরু রঘু (MGGS Major General Vanguru Raghu)। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসছে এক প্রতিনিধিদল। এদিনই বিজয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয় কলকাতায়। এই আবহে বিজয় দুর্গে (পূর্বতন ফোর্ট উইলিয়াম) বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মোট ২০ জনের প্রতিনিধিদল (Bangladesh Delegation) আসছেন কলকাতায়। সেনার তরফে আরও জানানো হয়, প্রতিবারের মতো এবারও বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের তরফ থেকে ফোর্ট উইলিয়ামে আসার জন্য বাংলাদেশ সেনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেয় সেই দেশের সেনা। ওই প্রতিনিধিদলে থাকবেন বাংলাদেশ সেনার দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক, ৮ মুক্তিযোদ্ধা (Muktijoddhas) এবং তাঁদের পরিবার। বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন এক ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার সামরিক অফিসার।

    বিজয় দিবসে থাকবে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল

    সেনার তরফে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ২০ জন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল (Bangladesh Delegation) এসে পৌঁছচ্ছেন কলকাতায়। ১৫ ডিসেম্বর তাঁরা বারাকপুরের মঙ্গল পান্ডে মিলিটারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেনাদের ‘মিলিটারি টাট্টু’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ওইদিন রাজভবনে গিয়ে রাজ‌্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ও সন্ধ‌্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে‌ বিজয় স্মারকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন-সহ একাধিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা। পাশাপাশি, ১৬ তারিখের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও।

    সেনার বিজয় বাইক র‌্যালির সমাপ্তি

    এদিকে, বিজয় দিবসকে (Vijay Diwas 2025) সামনে রেখেই গত ১ ডিসেম্বর গুয়াহাটি থেকে শুরু হয়েছিল বিজয় বাইক র‌্যালি (Vijay Bike Rally)। ডিমাপুর, তেজপুর, শিলং, গুয়াহাটি, বিনাগুড়ি, সুকনা, হিলি, শিলিগুড়ি, মালদা, পানাগড় হয়ে এদিন শেষ হয় কলকাতার বিজয় দুর্গে। শেষ পর্বে বাইক চালিয়ে অংশ নেন ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ তথা সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তেওয়ারি (GOC-in-C Lieutenant General RC Tiwari)। মোট ১৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল এই র‌্যালি। র‍্যালির সময় রাইডাররা আগরতলার অ্যালবার্ট এক্কা ওয়ার মেমোরিয়াল, করিমগঞ্জ মনোলিথস, কিলাপাড়া ওয়ার মেমোরিয়াল, বগরা ওয়ার মেমোরিয়াল, হিলি ওয়ার মেমোরিয়াল সহ বিভিন্ন যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

  • Liver Problems: শীতের মরসুমে বাড়ছে যকৃতের সমস্যা! কীভাবে এই সময়ে লিভার সুস্থ রাখবেন?

    Liver Problems: শীতের মরসুমে বাড়ছে যকৃতের সমস্যা! কীভাবে এই সময়ে লিভার সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের কুয়াশা আর সন্ধ্যা হতেই ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত এসেছে! তাপমাত্রার পারদ কমছে। কিন্তু শীত মানে শুধুই আবহাওয়ার পরিবর্তন নয়। শীত নিয়ে আসে নানান উৎসব আর উদযাপন। বাঙালির শীতকালে থাকে একাধিক পারিবারিক উৎসব, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক আর বছর শেষের নানান উদযাপন। তাই ডিসেম্বর মাসজুড়ে চলে দেদার খানাপিনা। শীতের মরসুমে এই উৎসব উদযাপনের জেরেই লিভারের নানান ভোগান্তি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রতি বছর বছরের শেষের সময়ে অনেকেই লিভারের সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে নানান জটিলতা তৈরি হয়।

    কেন বছর শেষে লিভারের সমস্যা বাড়ে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লিভারের নানান সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এমনকি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও এই ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। এই রোগের প্রকোপ বাড়ার জন্য বিশেষজ্ঞ মহল মূলত জীবন যাপনের ধরনকেই দায়ী করছেন। শীতে এই ধরনের লিভারের অসুখ আরও বেড়ে যায় বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

    শীতে ঘাম কম হয়। ফলে ক্যালোরি ক্ষয় আরও কমে যায়। অনেকেই আবার শীতে নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন না। তার উপরে শীত পড়লেই অনেকেই ‘ওভার ইটিং’ বা অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া শুরু করেন। লিভার রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই শীত পড়তেই নানান রকমের মাংস, মাছ জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে খেতে শুরু করেন। তার সঙ্গে ভারসাম্য রেখে সবুজ সব্জি কিংবা দানাশস্য খান না। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। একদিকে শারীরিক পরিশ্রম কম করা, আরেকদিকে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া, এই দুই কারণেই লিভারের সমস্যা বাড়ে। তাছাড়া, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের কাছে উৎসব উদযাপন মানেই মদ্যপান। এই অভ্যাস লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। মদ্যপানের জেরেও লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জেরেই হজমের সমস্যা দেখা যায়। বমি, পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। যা দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে।

    শীতের কোন খাবার লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের একাধিক খাবার লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের এই মরশুমি সব্জি এবং ফল নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। তাহলেই লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি কমবে।

    শীতকালে বাজারে দেদার পালং শাক পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে ক্লোরোফিল। এই উপাদান লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। কারণ ক্লোরোফিল সহজেই লিভারের টক্সিন দূর করে।

    এই মরশুমে আরেকটি শাক, লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেথি শাক লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নানান রকমের মশলাদার খাবার লিভারের উপরে চাপ তৈরি করে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন মেথি শাক খেলে লিভারের ডিটক্সিফিকেশনে বিশেষ সাহায্য হয়।

    ব্রকোলি এবং ফুলকপির মতো সব্জি লিভারের জন্য বিশেষ উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জি এনজাইম সক্রিয় করে লিভারকে সুস্থ রাখে। বিটরুট লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    সব্জির পাশপাশি নানান ধরনের বেরি জাতীয় ফল এই সময়ে বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। এই ধরনের ফলগুলো লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, লিভার সুস্থ রাখতে নানান রকমের সব্জি, ফল খাওয়ার পাশপাশি অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষত চর্বি জাতীয় মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। পাশপাশি শরীরের ওজন সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি। তাই ওজন যাতে অতিরিক্ত না হয়, তাই নিয়মিত শারীরিক কসরত করা জরুরি। তাহলে লিভার সুস্থ থাকবে। কার্যক্ষমতা বাড়বে। ভোগান্তি কমবে।‌

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Donald Trump: নাকের বদলে নরুন! প্রথম ফিফা শান্তি পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    Donald Trump: নাকের বদলে নরুন! প্রথম ফিফা শান্তি পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ার আফশোস কি যাচ্ছেই না ডোনাল্ড ট্রাম্পের? নোবেল শান্তি পুরস্কার তিনি পাননি, এটা কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না? তাই কি ফিফাকে সামনে রেখে নিজেই নিজেকে শান্তি পুরস্কারে পুরস্কৃত করলেন ট্রাম্প?

    ফিফা শান্তি পুরস্কার পেলেন ট্রাম্প

    শুক্রবার আমেরিকার ওয়াশিংটনের জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টসে হয়ে গেল বিশ্বকাপের গ্রুপবিন্যাস। এই অনুষ্ঠানের আগে থেকেই ওয়াশিংটনে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। বিশ্বকাপে খেলতে চলা দেশগুলির সমর্থকরা হাজির হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, আমেরিকার জাতীয় ফুটবল লিগ এবং বাস্কেটবল লিগের তারকারা এসেছিলেন। ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলোত্তি, আমেরিকার কোচ মৌরিসিয়ো পোচেত্তিনো-সহ বিভিন্ন দেশের কোচকে দেখা গিয়েছে। তবে আগ্রহ ছিল একজনকে নিয়েই। তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনোর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা অজানা নয়। শোনা যাচ্ছিল, এ বার থেকে ফিফা যে শান্তি পুরস্কার চালু করেছে, তার প্রথম প্রাপক ট্রাম্পই। সেটাই হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার না পেলেও ফিফার পুরস্কার পেয়ে গেলেন ট্রাম্প। ইনফ্যান্টিনো জানান, বিশ্বজুড়ে থাকা ফুটবলপ্রেমী মানুষের তরফে এই পুরস্কার ট্রাম্পের হাতে তুলে দেওয়া হল। যদিও ট্রাম্পের জন্যই যে এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে এবং তিনিই যে প্রথম প্রাপক তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। অর্থাৎ, নাকের বদলে নরুন। বলা যেতেই পারে, ফিফাকে সামনে রেখে ট্রাম্প নিজেই নিজেকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন।

    মনে নোবেল শান্তি পুরস্কার না মেলার আফশোস!

    একটি ভিডিওয় দেখানো হয় কী ভাবে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলেছেন ট্রাম্প। সেই ভিডিয়োয় ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট একাধিক বার দাবি করেছেন তিনি সারা বিশ্বে মোট আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধও। ফিফার অনুষ্ঠানে ট্রাম্প আরও একবার বলেন, “সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি আমরা। কঙ্গোয় এক কোটি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছিল তাতে আরও এক কোটি মানুষ মারা যেতেন। ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও আমরা ওই দুই দেশের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই তা থামিয়ে দিয়েছি।” ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি যে তাঁর জন্যই সম্ভব হয়েছে, তা ট্রাম্প আগে বহু বার দাবি করেছেন। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক বার ট্রাম্পের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। মোদি নিজে ট্রাম্পকে ফোন করে স্পষ্ট করে সে কথা জানিয়ে দেন। কিন্তু ফিফার শান্তি পুরস্কার পেয়ে আবার একই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে, যতই তিনি ফিফা শান্তি পুরস্কার পান না কেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার না মেলার আফশোস রয়েই গিয়েছে। তাই তিনি বারবার দুই পরমাণু শক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থামানোর দাবি করেই চলেছেন।

  • Winter Weather Update: মরসুমের শীতলতম দিন! কলকাতার তাপমাত্রা এক রাতেই নামল আড়াই ডিগ্রি, আরও পড়বে পারদ?

    Winter Weather Update: মরসুমের শীতলতম দিন! কলকাতার তাপমাত্রা এক রাতেই নামল আড়াই ডিগ্রি, আরও পড়বে পারদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শুরুতেই জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে। প্রথমবার ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল কলকাতার পারদ। আজ, শনিবার মরসুমের শীতলতম দিন৷ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পারদ নামল ১৪ ডিগ্রির ঘরে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা স্বাভাবিকের থেকে ২.১ ডিগ্রি কম। শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে, এক রাতেই তাপমাত্রা কমল আড়াই ডিগ্রি! আলিপুরের পূর্বাভাস, এখন সবে শুরু! আরও নামবে পারদ।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর এই মুহূর্তে আর তেমন কোনও নিম্নচাপ অঞ্চল নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী সাত দিন শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া৷ বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে উত্তুরে হাওয়ার পথেও কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে শীত আরও বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গে আরও অন্তত দু’ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে কনকনে শীতের অনুভূতি বজায় থাকবে জেলায় জেলায়।

    দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই শীতের আমেজ। দক্ষিণবঙ্গে পুরুলিয়ায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। সপ্তাহান্তে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা অনেকটা কমছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে একধাক্কায় তাপমাত্রা পতন হয়েছে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে শীতলতম স্থান ছিল শ্রীনিকেতন৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনি ও রবিবার রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কুয়াশা থাকবে ভোরের দিকে।

    উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়াই থাকছে। পাহাড়েও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সপ্তাহান্তে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যাবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই কুয়াশার দাপট থাকবে। ফলে দৃশ্যমানতার অভাব থাকবে। কুয়াশার প্রভাবে সতর্কতা জারি রয়েছে উত্তরে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সমতল অঞ্চলে শীতলতম স্থান ছিল আলিপুরদুয়ার৷ তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদায় তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে। ওপরের পাঁচটি জেলার মধ্যে দার্জিলিংয়ে পারদ নেমেছে ৪.৫ পাঁচ ডিগ্রিতে৷ আগামী সাত দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন নেই৷

  • Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাজারে হাজির কমলালেবু! বাঙালির শীতকালের সঙ্গে কমলালেবুর সম্পর্ক চিরকালীন। সকালের প্রাতঃরাশের থালায় হোক, কিংবা স্কুলের টিফিন বাক্সে, কমলালেবুর উপস্থিতি জানান দেয় শীতের দাপট! তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাদে ও গন্ধে শুধু নয়, কমলালেবু স্বাস্থ্য গুনেও ভরপুর! তবে কিছুক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকার পাওয়া যাবে।

    নিয়মিত বাচ্চাকে কমলালেবু দিলে কী হয়?

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। শিশুরা শীতের সময়ে অনেকেই নানান সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি-সর্দিতে শিশুদের ভোগান্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে এই ধরনের সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমবে। ভোগান্তিও কম হবে।

    হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    শীত মানেই নানান উৎসবের মরশুম। পিকনিক হোক কিংবা পারিবারিক উৎসব, নানান অনুষ্ঠান চলে। তাই খানাপিনাও দেদার চলে। বিশেষত প্রাণীজ প্রোটিনের নানান পদ খাওয়া বেশি হয়। এই সময়ে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের মরশুমে শিশুদের বমি কিংবা পেটের সমস্যার মতো নানান ভোগান্তি বাড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, হজমের অসুবিধার জন্য এই ধরনের সমস্যা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে শিশুদের হজম শক্তি বাড়ে। তাঁদের পরামর্শ, জলখাবারের পরে কিংবা স্কুলের টিফিন শেষে নিয়মিত কমলালেবু খেলে হজম শক্তি বাড়বে।

    ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্লান্তি দূর করতে কমলালেবু বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা দিনভর নানান কাজ করে। ছোটাছুটিও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি করে। তাই তাদের বাড়তি এনার্জি প্রয়োজন। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং এনার্জির চাহিদা পূরণ করতে কমলালেবু খুব উপকারি। কমলালেবুতে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হয় না।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    ভারতীয় শিশুরা স্থুলতার সমস্যায় ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত ওজন পরবর্তীতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কমলালেবু ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অতিরিক্ত খাওয়া বা ‘ওভার ইটিং’-র প্রবণতা কমবে।

    হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমবে!

    বয়ঃসন্ধিকালে থাকা সময় থেকেই বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। বহু স্কুল পড়ুয়া ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে হাড় ক্ষয়ের রোগ বাড়ছে। যা দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, স্কুলের টিফিনে শীতকাল জুড়ে থাকুক কমলালেবু। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে নানান রকম ভিটামিন থাকার পাশপাশি থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো নানান গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ। এই উপাদান হাড় মজবুত করতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই কমলালেবু নিয়মিত খেলে হাড়ের মজবুত হবে।

    বড়দের জন্যও সমান ভাবেই উপকারি

    শিশুদের পাশপাশি বড়দের জন্যও কমলালেবু সমান ভাবেই উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ত্বকের সমস্যা মেটাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় জেরবার হন। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুলকানির মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করে। পাশপাশি কমলালেবু হার্টের রোগের ঝুঁকিও কমায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত শীতকালে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ে। তাই এই সময়ে আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত কমলালেবু খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কমলালেবুতে থাকা পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ সম্পদ রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

    তবে, খেয়াল রাখতে হবে…

    তবে কমলালেবুর উপকার পাওয়ার জন্য এই ফল খাওয়ার সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবু খালি পেটে খেলে অম্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ভারি খাবার খাওয়ার পরে তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যাবে। তবে দিনে দুটোর বেশি কমলালেবু খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে অন্যান্য সমস্যা দেখা যেতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের দিনে একাধিক কমলালেবু না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Putin Praises Modi: “মোদিকে পেয়ে ভারত ধন্য”, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    Putin Praises Modi: “মোদিকে পেয়ে ভারত ধন্য”, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত ভাগ্যবান এবং ধন্য যে মোদির মতো একজন নেতা পেয়েছেন।’ কথাগুলি বলেছেন ভারত সফরে আসা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানিয়ে দিলেন, তিনি বা মোদি— কেউই চাপে সিদ্ধান্ত নেন না। একইসঙ্গে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে আমেরিকার ভারতকে শুল্ক-চাপ দেওয়ায় গর্জে উঠলেন ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের সাফ কথা, আমেরিকার যদি রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতেরও সেই অধিকার আছে।

    ‘‘আমেরিকার অধিকার থাকলে, ভারতের কেন থাকবে না’’

    রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনের দেশ থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার জন্য অধিকাংশ ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ (মোট ৫০ শতাংশ) শাস্তিমূলক শুল্কও আরোপ করেছেন তিনি। যে কারণে, রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নামতে চলেছে। অন্যদিকে, রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম আমদানি অব্যাহত রেখেছে আমেরিকা। অর্থাৎ, একদিকে ভারতকে রাশিয়া থেকে তেল না কেনার হুমকি, অন্যদিকে তলে তলে নিজেরা পরমাণু জ্বালানি কিনে চলেছে। এই নিয়েই ট্রাম্পের দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিলেন দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২ দিনের সফরে ভারতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এদেশে পা রেখেই পুতিন বলেন, “আমেরিকা তাদের পরমাণুকেন্দ্রগুলির জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনা অব্যাহত রেখেছে। সেটা হল ইউরেনিয়াম, যেটা আমেরিকার পরমাণুকেন্দ্রগুলিকে সচল রাখতে ব্যবহৃত হয়।” তাঁর প্রশ্ন, রাশিয়া থেকে আমেরিকার জ্বালানি কেনার অধিকার থাকলে, ভারতের কেন থাকবে না?

    “না আমি, না মোদি, কেউ কারও চাপে সিদ্ধান্ত নিই না”

    পুতিন জানান, পশ্চিমী চাপের কারণে ভারতের তেল আমদানি চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে কিছুটা কমেছে। তবে সেটা খুবই সামান্য। মোট বাণিজ্য আগের মতোই প্রায় একই পর্যায়ে আছে। পুতিন জানান যে, ভারতের সঙ্গে জ্বালানি নিয়ে যে চুক্তি রয়েছে, তা পশ্চিমি দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পরও অপরিবর্তিত রয়েছে। কোনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা ইউক্রেনের যুদ্ধ তা পরিবর্তন করতে পারেনি। তিনি বলেন, “পেট্রোলিয়াম পণ্য ও অপরিশোধিত তেল, ভারতের সঙ্গে রুশ তেলের বাণিজ্য মোটামুটি স্বাভাবিকভাবেই চলছে।” পুতিন বলেন, “না আমি, না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেউ কারও চাপে সিদ্ধান্ত নিই না। আমরা কোনও দেশের বিরুদ্ধে কাজ করি না।”

    “মোদির নিঃশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতবর্ষের নাম”

    পুতিনের কথায়, “বিশ্ব আজ ভারতকে এক শক্তিশালী দেশ হিসেবে দেখছে। ভারত তার নেতৃত্ব নিয়ে গর্ব করতে পারে।” একইসঙ্গে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ভারত ভাগ্যবান এবং ধন্য যে মোদির মতো একজন নেতা পেয়েছেন। পুতিন বলেন, “মোদিকে পেয়ে ভারত ধন্য। মোদির নিঃশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতবর্ষের নাম।” এছাড়া, তাঁদের মধ্যে বিশ্বস্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুতিনের মতে, ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক আর শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মোদি। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করা যায়, সে দিকেই মুখিয়ে রয়েছেন তিনি।

  • RBI Cuts Repo Rate: বড়দিনের আগে বড় ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের! কমল রেপো রেট, সস্তা হবে ঋণের বোঝা

    RBI Cuts Repo Rate: বড়দিনের আগে বড় ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের! কমল রেপো রেট, সস্তা হবে ঋণের বোঝা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের আগেই বছর শেষের বড় খবর! সাধারণ দেশবাসীর জন্য সুখবর শোনাল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আমজনতাকে সুরাহা দিয়ে রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মানিটরি পলিসি বা আর্থিক নীতি রূপায়ণ কমিটির দু’দিনের বৈঠকের পর শুক্রবার সকালে এই ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়, রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। অর্থাৎ, রেপো রেট ৫.৫০ শতাংশ থেকে নেমে ৫.২৫ হল।

    কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    এই নিয়ে চলতি বছরে চতুর্থ বারের জন্য কমল রেপো রেট বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি, এপ্রিলে ২৫ করে এবং জুনে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নতুন হারে সুদ কমার পর ২০২৫ সালে মোট ১২৫ বেসিস পয়েন্ট কমল রেপো রেট। বিশ্লেষকদরে মতে, এর সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপর। এখন গৃহঋণ, গাড়ি ঋণ এবং ব্যক্তিগত ঋণের ইএমআই আরও কমবে, অর্থাৎ ঋণ নেওয়া সস্তা হবে। অথবা, কেউ মাসিক কিস্তি কমাতে না চাইলে কমবে তাঁর ঋণ পরিশোধের সময়কাল। রেপো রেট কমার ফলে ভাসমান সুদে গৃহঋণ বা গাড়ির ঋণের ক্ষেত্রে প্রতি এক লক্ষ টাকায় আপনার ইএমআই কমতে পারে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এর ফলে, যাঁরা দীর্ঘমেয়াদের লোন নিয়েছেন, তাঁরা অনেকটা স্বস্তি পাবেন। ফলে, গ্রাহকদের হাতে আসবে বাড়তি টাকা। আর বাজারে বাড়বে নগদের জোগান। তৈরি হবে চাহিদা।

    রেপো রেট কী?

    রেপো রেট হল সুদের হার। যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। আরবিআই যদি রেপো রেট বাড়ায়, তাহলে ব্যাঙ্কগুলির ঋণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে এবং তারা গ্রাহকদের উচ্চ হারে ঋণও দেয় উল্টোদিকে, এই হার কমার অর্থ ব্যাঙ্ক কম সুদে টাকা ধার নিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক থেকে। ব্যাঙ্ক যদি কম সুদের হারে টাকা ধার পায়, তাহলে গ্রাহকদের ঋণেও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ঋণে সুদের হার কমতে পারে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বৃদ্ধি সহজ হয়। অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে তাই এই পদক্ষেপ কার্যকরী হিসাবে বিবেচিত হয়।

    কী বললেন আরবিআই গভর্নর?

    সঞ্জয় জানিয়েছেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রেপো রেট কমানো হবে। কারণ টাকার দাম পড়লেও কমেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। সে কথা মাথায় রেখেই রেপো রেট কমিয়েছে আরবিআই। তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের শেষ মাসে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের মুখে থাকলেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীল মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অবস্থাকে ব্যাখ্যা করা যায় একটাই শব্দে, ‘গোল্ডিলক্স পিরিয়ড।’ অর্থাৎ, একটি আদর্শ অর্থনৈতিক অবস্থা। যেখানে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল, বৃদ্ধি ভাল, বেকারত্ব কম ও মুদ্রাস্ফীতি কম বা মাঝারি থাকে। চলতি অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড লো হিট করেছে। অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল মাত্র ০.২৫ শতাংশ। এ ছাড়াও প্রথম ৬ মাসে দারুণ জিডিপি বৃদ্ধি দেখেছে দেশ। এমনকি চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বেড়েছে ৮.২ শতাংশ। যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধিকে আরও স্থিতিশীল ও চাঙ্গা করতে সুদের হার কমানো জরুরি ছিল।

    অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ…

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাজারকে আরও গতি দেবে। তাঁদের মতে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির স্থিতাবস্থা এবং ষষ্ঠবার ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির অগ্রগতির প্রবণতা সত্ত্বেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও ধীরেসুস্থে এগনোর নীতি নিয়েছে। ভারতের উৎপাদন বৃদ্ধির হার গত ৬টি ত্রৈমাসিক দ্রুতগামী হয়েছে। অন্যদিকে, মুদ্রাস্ফীতি বেশ খানিকটা কমে মাসিক হিসাবের নিরিখে নিম্নগামী রয়েছে। এই বিরল ঘটনায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ নিয়ে পরপর চারবার রেপো রেট শক্ত হাতে ধরে রাখল।

  • Blood Pressure: শীত এলেই বৃদ্ধি পাচ্ছে রক্তচাপ! কোন কোন বিপদ বাড়ছে?

    Blood Pressure: শীত এলেই বৃদ্ধি পাচ্ছে রক্তচাপ! কোন কোন বিপদ বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডিসেম্বরের আগমনে শীতের জানান আরও বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতা থেকে জেলা, রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ! কমছে তাপমাত্রার পারদ। বিশেষত ভোর ও রাতের দিকে শীতের উপস্থিতি ভালোই অনুভব করা যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শীত আরও স্পষ্ট জানান দেবে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদদের একাংশ। তবে শীতের আমেজ নানান উৎসব আর উদযাপনের ইঙ্গিত দিলেও, শীতে কিছু বাড়তি বিপদ ও জানান দেয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীত পড়লেই বাড়তে থাকে রক্তচাপ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই সমস্যা বেড়েছে। তারমধ্যে শীতের আবহে সেই সমস্যা আরও বাড়ছে। এমনকি যাদের রক্তচাপ বছরভর স্বাভাবিক থাকে, তাঁদেরও, বছরের এই সময়ে রক্তচাপ উর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

    কেন শীত পড়লেই রক্তচাপ বাড়ে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীত পড়লেই রক্তচাপ উর্ধ্বমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ আবহাওয়া। শরীরের সঙ্গে প্রকৃতির যোগ ওতোপ্রোতভাবে রয়েছে। তাপমাত্রার পারদ নামলেই রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে ধমনীতে তার প্রভাব পড়ে। আর তার জেরেই রক্তচাপ বাড়ে। শীতের আবহে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন দেখা যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ নামলে নোরপাইনফ্রাইন, ক্যাটেকোলামাইনের মতো হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এগুলো শরীরে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শীত পড়লে রক্তচাপ উর্ধ্বমুখী হয়।

    আবহাওয়ার পাশপাশি শীতে জীবন যাপনের ধরনেও পরিবর্তন ঘটে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ঘাম কম হয়। শারীরিক পরিশ্রমও কম হয়। বয়স্কদের একাংশ শীত পড়তেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। এর ফলে রক্তচাপ বাড়ে। শীতকাল মানেই পিকনিক কিংবা নানান আনন্দ উৎসব। আর সব উৎসবের উদযাপনেই থাকে ভুরিভোজ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই অতিরিক্ত পরিমাণ প্রাণীজ প্রোটিন, চর্বিজাতীয় খাবার খান। আর তার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।

    উচ্চ রক্তচাপ কোন বিপদ বাড়িয়ে দেয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তচাপ বাড়লে হার্টের উপরে চাপ বেশি পড়ে। তাই উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হার্ট অ্যাটাক কিংবা অন্যান্য হৃদরোগের অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনির উপরেও প্রভাব পড়ে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে কিডনির উপরে চাপ পড়ে। যার জেরে কিডনির কার্যকারিতা কমতে থাকে। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তচাপ বাড়লে মস্তিষ্কের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    শীতেও কীভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    শীতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন পালং শাক খেলে রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম‌্যাগনেশিয়াম। এই দুই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শীত আর কমলালেবু বাঙালির কাছে প্রায় সমার্থক শব্দ। সকালের ঘরোয়া জলখাবারের সঙ্গে হোক কিংবা পিকনিকের শেষ বেলায় বাঙালির পাতে থাকে কমলালেবু। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই কমলালেবু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।

    শীতের বাজারে সহজেই পাওয়া যায় বিট। এই সব্জি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিট থেকে শরীর স্বাভাবিক নাইট্রেট পায়। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরে ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয়। আবার হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share