Tag: মাধ্যম

  • NCERT: অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে শারীর শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করল এনসিইআরটি, কী উপকারিতা?

    NCERT: অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে শারীর শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করল এনসিইআরটি, কী উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের ফিটনেস ও সুস্থতার দিকে নজর দিয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই অষ্টম শ্রেণিতে “শারীর শিক্ষা এবং সুস্থতা” নামের একটি নতুন বিষয় চালু করল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT)। জানা গেছে, ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির (NEP 2020) অনুযায়ী এই পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এনসিইআরটির এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে পড়ুয়াদের দৈহিক সক্ষমতা ও ক্রীড়া দক্ষতা বাড়বে। তারা অ্যাথলেটিক্স, টেবিল টেনিস, ভলিবল ইত্যাদি খেলায় পারদর্শী হয়ে উঠবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই পাঠ্যক্রমে যোগব্যায়ামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    প্রথম অধ্যায় শুরু হয়েছে বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে (NCERT)

    নতুন পাঠ্যবইয়ের (NCERT) প্রথম অধ্যায় শুরু হয়েছে বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে, যেখানে রয়েছে ভল্ট, দৌড়, এবং বরফ-জল নামের একটি দলগত খেলা। রয়েছে চারতালি নামের আরেকটি খেলার বর্ণনাও, যার মাধ্যমে নির্যাতন ও হেনস্থার বিরুদ্ধে সমাজের ভূমিকা কী হতে পারে, তা নাটকীয় উপস্থাপনায় তুলে ধরা হবে। পাঠ্যক্রমে রিলে দৌড় রয়েছে ‘অ্যাথলেটিক্স’ অধ্যায়ে (Physical Education)। সেখানে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, একজন দৌড়বিদকে কী কী শারীরিক ও মানসিক দক্ষতা অর্জন করতে হয়।

    চতুর্থ অধ্যায় জুড়ে রয়েছে টেবিল টেনিসের সম্পূর্ণ ধারণা

    চতুর্থ অধ্যায় জুড়ে রয়েছে টেবিল টেনিসের সম্পূর্ণ ধারণা, যেখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে ফুটওয়ার্ক, সাইড মুভমেন্ট, ফোরহ্যান্ড পুশ, ব্যাকহ্যান্ড পুশ ইত্যাদি কৌশল। এছাড়াও রয়েছে একটি অধ্যায়, যেখানে শেখানো হচ্ছে (NCERT) কীভাবে একজন দক্ষ ভলিবল খেলোয়াড় হয়ে ওঠা যায়। সেখানে পাস, সার্ভ, স্পাইক, ব্লক, ডিগ, রিকভারি মুভমেন্ট ইত্যাদি কৌশল (Physical Education) বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

    যোগব্যায়ামের উপর আলাদা অধ্যায় রয়েছে

    ষষ্ঠ অধ্যায়টি তৈরি করা হয়েছে যোগব্যায়ামের (NCERT) উপর। এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কীভাবে যোগব্যায়াম শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। আলোচিত হয়েছে সূক্ষ্ম ব্যায়াম, স্থূল ব্যায়াম, সূর্য নমস্কার, বিভিন্ন আসন, প্রাণায়াম (শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম), ইন্দ্রিয় সংযম, ধ্যান ইত্যাদি। এই পাঠ্যক্রমের লক্ষ্য, পড়ুয়াদের মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, মনঃসংযোগ ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করা।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জন্ম হারের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি ভোটার রাজ্যে, কারচুপিতেই জেতে তৃণমূল’’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘জন্ম হারের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি ভোটার রাজ্যে, কারচুপিতেই জেতে তৃণমূল’’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় বছরের পর বছর কারচুপি করেই জিতে আসছে তৃণমূল (Trinamool), সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই শাসক দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) এই রাজ্যে কতটা জরুরি, তাও সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অন্যদিকে, সংবিধান সংশোধন নিয়ে দেশজুড়ে হৈ-চৈ শুরু করেছে বিরোধী শিবির। এদিন ইন্ডি জোটকে একহাত নিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পর্যালোচনার জন্য যে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠিত হয়েছে, তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বেশ কিছু দুর্নীতিবাজ রাজবংশ। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে এর প্রধান প্রভাব পড়বে ইন্ডি জোটের ওপরেই। এদিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় গ্রোথ আর বার্থ রেট—এই দু’টোকে তুলনা করে দেখা গিয়েছে, জন্মের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি ভোটার রয়েছে এই রাজ্যে।’’

    প্রসঙ্গ এসআইআর

    সাংবাদিক বৈঠকে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এসআইআর করতে হবে, এসআইআর হওয়া উচিত আর হবেও। এটা নতুন কিছু নয়। শেষ জনগণনা ২০১১-তে হয়েছিল। ভোটারের জন্ম-মৃত্যু-হার তুলনা করতে হবে। শেষ ১০ বছরে জন্মগ্রহণের তুলনায় আড়াই শতাংশেরও বেশি নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়। ভোটার তালিকার গ্রোথ আর বার্থ রেটের গ্রোথ, দুটো তুলনা করে দেখা গিয়েছে জন্মের তুলনায় আড়াইগুণ বেশি ভোটার রয়েছে। এরা কারা? এরা মৃত ভোটার, ফেক ভোটার, বাংলাদেশি মুসলমান, যারা জন্মেছেন চট্টগ্রামে, সিলেটে, রঙপুরে, লালমনির হাটে। মমতা ব্যানার্জির সৌজন্যে বেড়া টপকে (Trinamool) ঢুকে এখানে ভোটার তালিকায় নাম তুলে ফেলেছে। সেই জন্যই জন্মসংখ্যা আর ভোটারের সংখ্যার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে।’’

    গত লোকসভা ভোটে রিগিংয়ের প্রমাণ রয়েছে

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেছেন, ‘‘চব্বিশের নির্বাচনে ওরা (তৃণমূল) যা করেছে সেটাও দেখাব। চার ঘন্টা ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিল। সকালে ৮টা থেকে ১০টা ও বিকেল ৪টে থেকে ৬টা পর্যন্ত ক্যামেরা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমার কাছে পুরো তথ্য আছে। এক্সপোজ করব। ৮০,৫০০ বুথের মধ্যে ৩৫ হাজার বুথে রিগিং হয়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা আমি ধরিনি। টেলিকম বিভাগ থেকে যাকে বসানো হয়েছিল তিনি ধরেছেন। আইপ্যাক-এর মনোনীত ভাড়া করা এজেন্সি শোকজের উত্তর দিচ্ছে না। সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়েছিল হেরেছে। ডিভিশন বেঞ্চে মামলা ঝুলে আছে। তবে এবারে দু’নম্বরি করতে দেব না।’’

  • Weather Update: ১,২,৩… বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে মরসুমের নবম নিম্নচাপ, ফের দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে পারে বৃষ্টি-দুর্ভোগ

    Weather Update: ১,২,৩… বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে মরসুমের নবম নিম্নচাপ, ফের দক্ষিণবঙ্গে বাড়তে পারে বৃষ্টি-দুর্ভোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহবিদরা আগেই সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, চলতি মরসুমে সাগরের ঢেউয়ের মতো, একটার পর একটা নিম্নচাপ ধেয়ে আসবে। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত করে বঙ্গোপসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পথে। তেমনটা হল, তা হবে মরসুমের ৯ নম্বর। হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এবারেরটা গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হয় কি না, সে দিকে নজর রয়েছে হাওয়া অফিসের। তবে, এর প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা-সংলগ্ন এলাকায় ফের শুরু হতে পারে বৃষ্টি-দুর্ভোগ (Rain Forecast)। এর সঙ্গেই, আরও একটি আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন আবহবিদরা। তাঁদের পূর্বাভাস, নবমেই শেষ হচ্ছে না নিম্নচাপের ধারা। সপ্তাহান্তে বা আগামী সপ্তাহের গোড়ায় তৈরি হবে দশম নিম্নচাপটি।

    কী বলছে হাওয়া অফিস?

    জানা যাচ্ছে, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রভাব পড়বে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায়। অন্যদিকে, দিঘার উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়া মৌসুমী অক্ষরেখাটি এখনও সক্রিয় (Weather Update)। এই মুহূর্তে তা বঙ্গের উপর দিয়ে বিকানের, জয়পুর, বান্দা, রাঁচী এবং দিঘার উপর দিয়ে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দুইয়ের জেরে হবে বৃষ্টিপাত। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যজুড়ে। সমুদ্র হয়ে উঠবে উত্তাল।

    কবে, কোথায় কেমন বৃষ্টিপাত?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি (Rain Forecast) হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া-কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Update)। ওই দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। শুক্রবার থেকে আবারও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ওইদিন বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া অফিস।

    দক্ষিণের পাশাপাশি, ঝড়বৃষ্টির (Rain Forecast) সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং আলিপুরদুয়ারে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। বুধবারও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পংয়ে বৃষ্টি হবে (Weather Update)। বৃহস্পতিবার থেকে কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। শুক্রবার ফের ভারী বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।

  • Delhi High: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ করতে বাধ্য নয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট

    Delhi High: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ করতে বাধ্য নয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে চলা অহেতুক বিতর্কের সমাপ্তি ঘটাল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Delhi High)। সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদির স্নাতক ডিগ্রির তথ্য প্রকাশে বাধ্য নয়। প্রসঙ্গত, তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় (RTI) এই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল যে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন, সেটিও বাতিল করে দেন বিচারপতি সচিন দত্ত।

    দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আদালতে কী জানালেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা

    শুনানির সময় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi High) পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার—তথ্য জানার অধিকারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি ছিল, শিক্ষার্থীরা তথ্য গোপন থাকবে—এই বিশ্বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের রেকর্ড জমা দেন। যদি কোনও বৃহত্তর জনস্বার্থ না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র ‘নিছক কৌতূহল’ মেটাতে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা অনুচিত। বিশ্ববিদ্যালয় আরও জানায়, আদালতের নির্দেশ থাকলে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির নথিপত্র জমা দিতে তারা প্রস্তুত। তবে শুধুমাত্র আরটিআই-র ভিত্তিতে এই তথ্য কোনও অপরিচিত ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব নয়।

    ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের শরণাপন্ন হন নীরজ কুমার

    অন্যদিকে, তথ্য জানার অধিকারের আবেদনকারী আরটিআই কর্মী নিরজ কুমারের পক্ষে আইনজীবী দাবি করেন, জনসাধারণের এসব জানার অধিকার রয়েছে বলে দাবি করলে আদালত তা খারিজ করে দেয়। প্রসঙ্গত, নিরজ কুমার ১৯৭৮ সালের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi High) স্নাতক পরীক্ষার্থীদের তালিকা জানতে চেয়ে আরটিআই করেন। বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য দিতে অস্বীকার করলে, তিনি ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের শরণাপন্ন হন। কমিশন তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয়। এরপরই ২০১৭ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই সময় আদালত প্রথম শুনানিতেই তথ্য কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির কপি প্রকাশ করেছে এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তা বৈধ বলে নিশ্চিতও করেছে। তবুও এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) ডিগ্রি নিয়ে কৌতূহলী হয়েছিল একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে—এই বিতর্কের অবসান ঘটাল এই রায়।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এনিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাও টানতে হবে।’’ সোমবারই তৃণমূল বিধায়ককে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে। এদিন ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে ধৃতের স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বলছেন, বাবা গিফট করেছেন। স্ত্রী বলছেন, চাকরি করে আয় করা টাকা। এসবই মিথ্যা বলে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভাইপো, মানিক ভট্টাচার্যদের বড় এজেন্ট। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তালিকা তৈরি করা, টাকা তোলা এবং একটা অংশ রাখা… এইসব কাজটাই করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আমি অনেকবারই বলেছি জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) কাছে পড়ে থাকলে শুধু হবে না। কারণ জীবনকৃষ্ণ সাহা কান্দি, নবগ্রাম,খড়গ্রামের বিধায়কদের দিয়ে সেইসব এলাকা থেকে টাকা তোলা এবং সেই সব এলাকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্তটা করেছেন। কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাকেও টানতে হবে।’’

    আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল, সবাই দেখেছে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে পাঁচিলে ঝোলা, পুকুরে মোবাইল ফেলা, পাম্প মেশিন বসিয়ে জল তোলা। আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল। সবাই দেখেছে। শাসকদল যখন বলছে রাজনীতি করছে, তখন শাসকদলের একটাও বলা উচিত ছিল যে কেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ছুটে পালাতে গেলেন? তিনি যদি নিরাপরাধ হয়ে থাকেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন,তাহলে ফেস করা উচিত। কেন তিনি মোবাইল পুকুরে ফেললেন? প্রথমে তো অস্বীকার করছিলেন। তিনি যে অপরাধী সেটা আজ সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছেন । শুধু ইডির কাছে নয়, ওটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে।’’

    এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই গ্রেফতারি হয়েছিল। এমনকি চোর সরকার সেই গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই দুর্নীতি তদন্ত সরাসরি হাইকোর্টের মনিটরিং-এ হচ্ছে। হাইকোর্ট একটি সিট বানিয়ে দিয়েছিল। এমনকি এই তদন্তের কে নেতৃত্ব দেবেন সেটাও সিবিআই হাতে ছিল না। সিবিআই কে তিনটের নাম জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়।’’

  • Intelligence Bureau: বেতন ৮১ হাজার পর্যন্ত, কেন্দ্রের ৩৯৪ জুনিয়র আইবি অফিসার পদে আবেদন পর্ব শুরু

    Intelligence Bureau: বেতন ৮১ হাজার পর্যন্ত, কেন্দ্রের ৩৯৪ জুনিয়র আইবি অফিসার পদে আবেদন পর্ব শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)-তে জুনিয়র ইন্টেলিজেন্স অফিসার (গ্রেড-২/টেকনিক্যাল) পদের জন্য ৩৯৪টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি (Junior Intelligence Posts) প্রকাশিত হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং তা চলবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত। এই পদের বেতনক্রম ২৫,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮১,১০০ টাকা পর্যন্ত (লেভেল ৪ অনুযায়ী)। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য ভাতার সুবিধাও প্রযোজ্য হবে (Intelligence Bureau)।

    সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য শূন্যপদ

    ঘোষিত শূন্যপদগুলির মধ্যে ১৫৭টি পদ সাধারণ (অসংরক্ষিত) শ্রেণির জন্য, ৩২টি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির (EWS) জন্য, ১১৭টি ওবিসি, ৬০টি তফসিলি জাতি এবং ২৮টি তফসিলি উপজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত (Intelligence Bureau)।

    বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (Intelligence Bureau)

    আবেদন করতে হলে প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে। তপশিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি, প্রাক্তন সৈনিকসহ অন্যান্য সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ৫ বছরের ছাড় মিলবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা

    শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের স্নাতক হতে হবে বিজ্ঞান বিভাগে, যেখানে বিষয় হিসেবে থাকতে হবে ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স, পদার্থবিদ্যা অথবা অঙ্ক। এছাড়া কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি, যারা ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি কিংবা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী, তারাও এই পদে আবেদন করতে পারবেন।তবে যাঁরা বেঞ্চমার্ক ডিজঅ্যাবিলিটির আওতাভুক্ত, তাঁরা এই পদের জন্য যোগ্য নন (Intelligence Bureau) বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

    কীভাবে করবেন আবেদন

    আবেদন করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে (IB JIO Grade/ Tech 2025 Recruitment Link)। রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রার্থীর মোবাইলে একটি ওটিপি (OTP) পাঠানো হবে, সেটি যাচাই করলেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ভবিষ্যতের জন্য আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট কপি রেখে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    তিনটি ধাপে হবে পরীক্ষা

    নিয়োগ প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে—টিয়ার-১, টিয়ার-২ এবং টিয়ার-৩। প্রথম ধাপে থাকবে এমসিকিউ (MCQ) ভিত্তিক অনলাইন পরীক্ষা, যা ১০০ নম্বরের এবং ২ ঘণ্টার। এর ৭৫ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে, এবং বাকি ২৫ শতাংশ থাকবে সাধারণ মানসিক দক্ষতা (General Mental Ability) সম্পর্কিত। প্রথম ধাপে সফল প্রার্থীরা অংশ নেবেন ৩০ নম্বরের প্র্যাকটিক্যাল টেস্টে (টিয়ার-২)। শেষ ধাপে (টিয়ার-৩) হবে পার্সোনালিটি টেস্ট বা সাক্ষাৎকার।

  • ED Raids: নজরে এসএসসির ‘মিডলম্যান’ সেই প্রসন্ন, ইডির হানা পুরুলিয়াতেও, ১০০ কোটির লেনদেনের অভিযোগ

    ED Raids: নজরে এসএসসির ‘মিডলম্যান’ সেই প্রসন্ন, ইডির হানা পুরুলিয়াতেও, ১০০ কোটির লেনদেনের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy) শ্বশুরবাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। সোমবার সকালে পুরুলিয়ার নিমটাঁড় এলাকায় ইডির (ED Raids) একটি দল তল্লাশি অভিযান চালাতে যায়। অভিযোগ, কয়েক বছর আগে প্রসন্ন রায়ের শ্বশুরবাড়ির তিন বোন একসঙ্গে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন সম্পর্কে প্রসন্নের শ্যালিকা হন। স্থানীয়দের মতে, ওই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই প্রসন্নের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে ইডি। প্রসন্ন রায় বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। একসময় রংমিস্ত্রি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তাঁর বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ দেখে রীতিমতো চমকে গেছেন তদন্তকারীরা।

    ১০০ কোটি টাকার চাকরি বিক্রি (ED Raids)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসন্ন রায়ের হাত ধরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চাকরি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে (ED Raids)। পুরুলিয়া শহরের নিমটাঁড় এলাকায় অবস্থিত প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy) শ্বশুরবাড়িতে থাকেন তাঁর শ্যালক শুভম মঙ্গল। সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ সেখানে পৌঁছে যায় ইডির ছয় সদস্যের একটি দল। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সকাল থেকে সেখানেই টানা তল্লাশি চলে।

    শান্তিপ্রসাদ সিংহ ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ

    প্রসন্ন রায়ের নাম এসেছিল এসএসসি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহার ঘনিষ্ঠ ‘মিডলম্যান’ হিসেবে। অভিযোগ, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। এই মামলায় সিবিআই তাঁকে প্রথম গ্রেফতার করে। পরে তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান। তবে পরে ইডি আবার তাঁকে গ্রেফতার করে। ইডির দায়ের করা চার্জশিটে প্রসন্ন রায়ের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে (ED Raids)। জিজ্ঞাসাবাদে ইডিকে তিনি জানান, চাষাবাদের মাধ্যমে তিনি ২৬ কোটি টাকার বেশি আয় করেছেন।

    ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁর নামে একাধিক কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে। প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে, যেগুলিতে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ইডি প্রসন্ন রায়ের প্রায় ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে হোটেল, রিসর্ট এবং একাধিক সংস্থা। এই মামলার তদন্তে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে এ বার প্রসন্ন রায়ের শ্বশুরবাড়িতেও অভিযান চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

  • Bibhuranjan Sarkar: ইউনূস সরকারের চাপেই কি মরতে হল হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে?

    Bibhuranjan Sarkar: ইউনূস সরকারের চাপেই কি মরতে হল হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথায় ফলে সোনার ফসল, সোনার কমল ফোটে রে—সেই আমাদের বাংলাদেশ, আমাদেরই বাংলা রে। না, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখায় কবিতার লাইনগুলো ইউনূস জমানার (Yunus Government) বাংলাদেশে আর কাটে না। গণতন্ত্র সেখানে মুখ লুকিয়েছে, বাক্‌স্বাধীনতা নিহত, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অবাধ অত্যাচার তো সেখানে চলছেই। অহরহ খবর আসে গণপিটুনিতে হিন্দু হত্যার কথা। নির্যাতনের ইস্যুতে হিন্দুরা সেখানে সরবও হয়েছেন।। প্রতিবাদও জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের মেঘনা নদীতে ভেসে ওঠে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের (Bibhuranjan Sarkar) দেহ। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সাংবাদিক। রাজনৈতিক দিকে বামপন্থায় বিশ্বাস রাখতেন বিভুরঞ্জন।

    ১৯৫৪ সালে জন্ম বিভুরঞ্জনের (Bibhuranjan Sarkar)

    ১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া বিভুরঞ্জন সরকার লেখাপড়া করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। সেসময় তিনি ছিলেন বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক আজাদ, দৈনিক মাতৃভূমি, সাপ্তাহিক চলতিপত্রের সম্পাদক, সাপ্তাহিকএকতা এবং সাপ্তাহিক মৃদুভাষণের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় সাপ্তাহিক যায় যায় দিনে ‘তারেক ইব্রাহিম’ ছদ্মনামে লেখা তার রাজনৈতিক নিবন্ধ পাঠকপ্রিয় হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুন্সিগঞ্জ জেলার কলাগাছিয়ার কাছে মেঘনা নদীতে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিভূরঞ্জন সরকার ‘আজকের পত্রিকা’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও নিয়মিত কলাম লিখতেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তিনি একটি প্রতিবেদন bdnews24.com-এ পাঠান। ওই লেখার শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “এটা আমার শেষ লেখা হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে।” এই ঘটনার তদন্ত চলছে—কীভাবে বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু হল, তা খুঁজে দেখছে সে দেশের পুলিশ। কিন্তু বিভুরঞ্জনের মৃত্যু হতেই একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছু প্রশ্ন, যা তিনি তুলেছিলেন তার শেষ লেখায়। ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ আগস্ট।

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় সিপিবি নেতা মাজহারুল ইসলাম বাবলার ‘ইতিহাসের ঘটনাবহুল অগাস্ট’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, যার দায়িত্বে ছিলেন বিভুরঞ্জন সরকার (Bibhuranjan Sarkar)। অভিযোগ উঠেছে, ওই নিবন্ধে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত থাকায় ক্ষুব্ধ হন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। অভিযোগ, শফিকুল আলম এরপর আজকের পত্রিকার সম্পাদককে সরাসরি ফোন করে পত্রিকার লাইসেন্স বাতিল ও গোয়েন্দা সংস্থা লেলিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর হুমকি দেন। একইসঙ্গে তিনি আটজন সাংবাদিকের একটি তালিকা দিয়ে তাদের ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।

    অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় বাংলাদেশ সরকার

    এই চাপের মুখেই পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় এবং অনলাইন সংস্করণ থেকে নিবন্ধটি সরিয়ে ফেলে। ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তাঁকে যেভাবে অপমান করে ছুটিতে পাঠানো হল এবং হুমকি দেওয়া হল, সেটা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না।। হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার (Bibhuranjan Sarkar) তাঁর শেষ লেখায় লিখেছেন, গত বছরে সেদেশে সরকার পরিবর্তনের পরে অর্থাৎ ইউনূস জমানায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থা আরও কাহিল হয়েছে। বিভুরঞ্জন বাবুর অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা বলছেন “মন খুলে সমালোচনা করুন”, কিন্তু তাঁর প্রেস বিভাগ তো মন খোলা নয়। মিডিয়াতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবসময় আতঙ্কে রয়েছেন—কখন কোন খবর লেখার জন্য ফোন এসে তুলে নিতে হবে লেখা বা খবর। শেষ লেখায় বিভুরঞ্জন বাবুর আরও অভিযোগ, সম্প্রতি আজকের পত্রিকার অনলাইন বিভাগ—তাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে ইউনূস সরকারের তরফ থেকে। কারণ, সেখানে মাজহারুল ইসলাম বাবলা নামের এক জনৈক ব্যক্তি কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে দিল্লি পাঠিয়েছে। আর পুলিশের গুলিতে নয়, ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’-এর মাধ্যমে জঙ্গিরাও মানুষ হত্যা করেছে। ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’ মানে হচ্ছে ‘সুনিপুন পূর্ব পরিকল্পনা’। এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিভুরঞ্জন। তিনি বলছেন—এই লেখার মধ্যে অসত্য তথ্য কোথায়? শেখ হাসিনা তো গোপনে পালিয়ে যাননি। হাসিনার পুলিশ না হয় ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালিয়েছে, কিন্তু পুলিশকে হত্যা করল কে বা কারা? বিভুরঞ্জন বাবুর প্রশ্ন, এইটুকু লেখার জন্য পত্রিকার বিরুদ্ধে তৎপরতা দেখা হয়েছে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন, যে শেষ লেখাটি তিনি লিখলেন, সেখানেও তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা অসুবিধা—অসুখ, তার ছেলের অসুখ, তার পরিবারের অভাব—এই সব যেমন থাকলো, তেমনি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধেও তিনি তার ক্ষোভের কথা জানিয়ে গেলেন।

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই, বাক্‌স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই, সেখানে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রশ্ন করা যায় না। যদি কেউ প্রশ্ন তোলে, তাহলে হুমকি আসে মৌলবাদী প্রশাসনের তরফে। এই সবকিছু মিলিয়েই বিভুরঞ্জন সরকার চরম সিদ্ধান্ত নিলেন? এর দায় কি ইউনূস সরকার এড়িয়ে যেতে পারে? ইউনূস সরকারের চাপে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাঁর সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করেছেন বলে অভিযোগ ছিল বিভুরঞ্জন বাবুর। শুধু তাই নয়, বিভুরঞ্জন তাঁর লেখায় বলেছেন যে, ইউনূস সরকারের কোপে পড়েছে তাঁর ছেলে ও মেয়েও। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ে জীবনে কখনও কোনো পরীক্ষায় ফেল করেননি। বিভুরঞ্জন (Bibhuranjan Sarkar) বাবুর মেয়ে একজন ডাক্তার। কিন্তু গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে এমডি করার সময়, সরকার পরিবর্তনের পর বিভাগের প্রধানের কোপে পড়েন তিনি। ফলে থিসিস পরীক্ষায় তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন বিভুরঞ্জন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিভুরঞ্জন বাবু তাঁর শেষ চিঠি ও শেষ প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লেখেন, “আমার মেয়ে তো কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না, তাহলে তাকে কেন ফেল করানো হলো? তিনি আরও আশঙ্কা করেছেন, তাঁর মেয়েকে এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে পোস্টিং-ও দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, বিভুরঞ্জন বাবুর ছেলে বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। দেশে অনেক চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিভুরঞ্জন বাবু। বিভুরঞ্জন বাবুর প্রশ্ন—“এর কারণ কি শুধু এই যে, সে আমার ছেলে?” অর্থাৎ, পরিষ্কার বোঝা যায়, কীভাবে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে দিনের পর দিন ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষ্য করা হয়েছে। বিভুরঞ্জন কীভাবের মারা গেলেন তা সময়ই বলবে। কিন্তু তাঁর মৃত্যু প্রাতিষ্ঠানিক খুন। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা অবরুদ্ধ, এই দাবি বিভুরঞ্জনবাবু বারবার করেছেন তাঁর শেষ লেখায়। আর একজন বামপন্থী সাংবাদিকের এই পরিণতি দেখেও কি ঢাকায় ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন অধ্যাপক অমর্ত্য সেন?

  • ED Raids: এসএসসি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা ইডির, এবার ঝোপে ফোন ছুড়লেন তৃণমূল বিধায়ক

    ED Raids: এসএসসি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা ইডির, এবার ঝোপে ফোন ছুড়লেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তেড়েফুঁড়ে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED Raids)। সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ইডির অভিযান চলেছে। সূত্র অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলাতেও ইডির তল্লাশি অভিযান চলছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে ইডি (SSC Recruitment Case)। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজেও বাড়িতেই উপস্থিত রয়েছেন। ইডির অন্তত পাঁচ আধিকারিক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

    সাঁইথিয়াতে জীবনকৃষ্ণের পিসির বাড়িতে চলছে ইডি হানা (ED Raids)

    শুধু তার নিজের বাড়ি নয়, জীবনকৃষ্ণ সাহার শ্বশুরবাড়িতেও হানা দিয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা (ED Raids)। একইসঙ্গে অভিযান চলছে বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও। জানা যাচ্ছে, মায়া সাহা সম্পর্কে জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি হন। এর আগেও এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম উঠে এসেছিল। সেই সময় সিবিআই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সিবিআই হানার সময় জীবনকৃষ্ণ মোবাইল ফেলে দেন পুকুরে। মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় দু’দিন পর। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল। পরে ২০২৪ সালে তিনি জামিনে মুক্ত হন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জামিনে রয়েছেন। এবার তাঁর আত্মীয়র বাড়িতেও হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ঝোপে ফোন ছুড়ে ফেললেন জীবনকৃষ্ণ, এবারেও হল না রক্ষা

    সূত্রের মারফত আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র জেলাগুলিতেই নয়, কলকাতার একাধিক এলাকাতেও ইডির অভিযান (ED Raids) চলছে। প্রতিটি অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে (SSC Recruitment Case)। সোমবার সকালেই মুর্শিদাবাদের জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রামের বাড়ির সামনে দুটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়—একটিতে ছিলেন ইডির আধিকারিকরা (ED Raids), অন্যটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সূত্রের দাবি, এ বার ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেন জীবনকৃষ্ণ। কেন্দ্রীয় সংস্থার তিন জওয়ান তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। অভিযোগ, পালানোর সময় বাড়ির পিছনের ঝোপে একটি মোবাইল ফেলে দিয়েছেন তিনি। পরে তা উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর ইডির পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে এবং জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সম্প্রতি এই মামলাতেই নিউটাউনে ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ইডির আরও একটি দল পৌঁছে যায় পুরুলিয়ায় দুর্নীতি মামলায় জড়িত প্রসন্ন রায়ের শ্বশুরবাড়িতে। পাশাপাশি,  তল্লাশি চলেছে বড়ঞার এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতেও।

  • RSS: ৫ সেপ্টেম্বর যোধপুরে বসছে আরএসএস-এর বার্ষিক অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    RSS: ৫ সেপ্টেম্বর যোধপুরে বসছে আরএসএস-এর বার্ষিক অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক, চলবে তিনদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছরের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক (RSS) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজস্থানের যোধপুরে (Jodhpur)। এই বৈঠক চলবে ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, মোট তিন দিন। প্রতি বছরেই সংঘের সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর এই বৈঠক কেরলের পালাক্কাড় জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই জাতীয় সমন্বয় বৈঠকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ৩২টি শাখা সংগঠনের নির্বাচিত প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন বলে সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, এই সমস্ত সংগঠন সমাজিক ও অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে এবং তারা আরএসএস-এর আদর্শ ও ভাবধারার অনুসারী।

    উপস্থিত থাকবেন সংঘের সরসংঘচালক ড. মোহন ভাগবত

    বৈঠকে প্রতিটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের বর্তমান কার্যক্রম ও পরিস্থিতি তুলে ধরবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশদ আলোচনা করবেন। সেইসঙ্গে, দেশের ঐক্য, নিরাপত্তা, এবং সামাজিক নীতিসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে। সারাদেশে বর্তমানে চলমান নানা বিষয়ে আরএসএস কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়েও এই বৈঠকে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সংঘের (RSS) সরসংঘচালক ড. মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন ৩২টি শাখা সংগঠনের জাতীয় সভাপতি, সংগঠন সম্পাদক ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।

    শতবর্ষে সংঘ (RSS)

    এই সংগঠনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, ভারতীয় জনতা পার্টি, ভারতীয় কিষাণ সংঘ, বিদ্যাভারতী, ভারতীয় মজদুর সংঘ ইত্যাদি। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) তার শততম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। আগামী ২ অক্টোবর পড়েছে বিজয়া দশমী। এই উপলক্ষে সমন্বয় বৈঠকে বিশেষ আলোচনা হতে পারে বলে আরএসএস নেতৃত্ব জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে নাগপুরে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিজয়া দশমী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। জানা গেছে, এ বছরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

LinkedIn
Share